just_Friend writer:MD.Helal uddin পর্ব-০১

0
1030

রিয়া চল না আজ যাই, আমার বাসা পুরো ফাঁকা কেউ নাই,
-দেখ নাইম, তুই ফ্রেন্ড তাই তোকে একবার চান্স দিছি আর না,
–আবার যাই না, চল অনেক মজা দিবো,
–রাফি যদি জানতে পারে তাহলে শেষ করে ফেলবে আমাকে,
–এত ভয় পাস কেনো,একটা bf গেলে আরো ১০টা bf পাবি,তুই কি কম সুন্দরী,
–তা ঠিক বলছিস,কিন্তু ও ভালো একটা ছেলে বোকাসোকা, যা বলি তাই করে,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
এমন আর পাবো না,
–আচ্ছা চল তো জানতে পারবে না,আজ ওয়ান টাইম খেয়ে শুরু করব,
— ওয়াও আচ্ছা চল তাহলে,,,,
রিয়া চলল তার জাস্ট ফ্রেন্ড নাইমের সাথে রুমডেট করতে,
রাফি রিয়া কে অনেক ভালবাসে, আর বিশ্বাসও করে,
রিয়া আর নাইম ক্লাসমেট আর রাফি
এক ইয়ারের সিনিয়র,
রাফি রিয়া কে ফোন দিলো,
রিয়া; হ্যালো রাফি বলো
রাফি; তুই কই?
রিয়া; আমি তো মাত্র ক্যাম্পাস থেকে বাসায় আসলাম,
রাফি; তা আমাকে ফোন দিবা না,
রিয়াঃ ফোন তো দিয়েছিলাম,তোমার ফোন অফ ছিলো,,
রাফি; ক্লাসে ছিলাম,,,,
কথা শেষ হওয়ার আগেই রিয়া ফোন টা কেটে দেয়,
রাফি কিছু মনে করে না,
কিছুক্ষণ পর রিয়ার বান্ধুবি লিমা এসে
জিজ্ঞেস করে রাফি ভাইয়া রিয়া কে দেখছেন,
রাফি; ও তো বাসায় চলে গেছে,
লিমা; কি বাসায় চলে গেছে,কিন্ত রিয়ার বাবা আমাকে ফোন করে বলল,রিয়ার ফোন অফ বাসায় যায়নি,
তখন রাফির টনক নড়ে,
রাফি তখন রিয়া কে ফোন দেয়,কিন্তু অফ,
রাফি লিমা কে জিজ্ঞেস করে নাইম কে দেখছো,
লিমা; না ভাইয়া ওকেও তো দেখছি না,
তখন রাফির মনে সন্দেহ জাগ্রত হলো,
রাফির এক ফ্রেন্ড এসে বলল,
কি মামা তোমার পাখি কে দেখলাম নাইমের সাথে, ব্রেকাপ হয়ছে নাকি,
রাফি; কই দেখছোস,
–নাইমের বাসার দিকে যেতে দেখলাম,
রাফি; চল মামা তাহলে,
–আরে কই যামু,
রাফি বাইক Start দিয়ে বলল রাতুল বস,
রাতুল হচ্ছে রাফির ফ্রেন্ড,
রাতুল; কই যামু বলবি তো,
রাফি; নাইমের বাসায়,
রাতুল ; কেনো, রিয়া গেছে বলে,তুই কি রিয়া কে সন্দেহ করিস,
রাফি; আগে করতাম না একটু আগে থেকে করি,
রাতুল; কি ভাবে,
রাফি; রিয়া রে ফোন দিলাম ও বলল বাসায়,তুই বললি নাইমের বাসার দিকে যাচ্ছে,
রাতুল ; তাহলে মামা চল যাই,
কিছুক্ষনের মধ্যে নাইমের বাসার সামনে হাজির হল,
কিন্ত রাফি বাসার ভিতরে যেতে ভয় পাচ্ছে,যেয়ে কি বলব ও তো কোন কাজেও আসতে পারে কোন বই নিতে,
রাতুল; সালা তুই কথা আগে ভেবে বলতে পারলি না,
রাফি; আরে তখন তো মাথায় সন্দেহ ছিলো,চল চলে যাই,
রাতুল; দোস্ত খুব ক্ষুধা পাইছে,চল ভিতরে যাই,
রাফি; সালা এক লাথি খাবি,খাবি হোটেলে চল বাসার ভিতর কি করবি,,,
রাতুল; দেখ আমার কাছে টাকা নাই,আমরা নাইমের বড় ভাই, বাসায় গেলে না খেয়ে আসতেই দিবে না,
আর তোর সন্দেহ দূর হবে,
রাফি; যখন বলবে কেনো আসছেন তখন কি বলবি,
রাতুল; বলব বলব,আমরা একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট,,,,,,,,,,,.
রাফি; মামা বুঝতে পারছি এবার চল আর বলতে হবে না,
দরজায় কলিং বেলে চাপ দেয় রাতুল কিন্ত কেউ দরজা খোলে না,
রাফি দরজা ধাক্কা দিতেই খোলে যায়, তার মানে দরজা খোলাই ছিলো,
এমন সময় নাইম এসে হাজির অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় শুধু একটা জাঙ্গিয়া পড়া,
তখন রাফির মাথায় আবার রিয়ার কথা চলে আসে,
রাতুল; নাইম তোমার এই অবস্থা কেনো,
নাইম ভয়ে চুপসে গেছে,চোকে মুখে বিষন্নতা,
নাইম আমতা আমতা করে বলল, ভাভাভাভাইয়া গোগোসল করছিলাম তো,
রাতুল; বাসায় কেউ নাই,
নাইম; না ভাইয়ায়ায়া,নানানু বাড়ি গেছে,
রাতুল; তুমি এমন করছো কেনো,
রাফির মনে এখন এক অজানা ভয় কাজ করছে,আর মন চাইছে ভিতরে যেতে,
কিন্ত ছোট ভাই নাইমের যে অবস্থা যাই কি করে,কিন্ত রাফির মন মানছে না,
কিন্ত রাফি এদিক সেদিক তাকাচ্ছে,হঠাৎ ফ্লোরে চোখ যায়,
আর যা দেখে রাফির চোখ কপালে উঠে যায়,
রাফি; নাইম আমাকে এক গ্লাস পানি খাওয়াতে পারবা,
নাইম; আসলে ভাইয়া পানি নেই, সাপ্লাই পানি তো,
রাতুল; দূর মিয়া তুমি না একটু আগে বললা গোসল করতে ছিলা,
রাফির মন তখন বলে ও মিথ্যা কেনো বলছে,
রাফির মন আর মানছে না তাই রাফি নাইম কে ঠেলে ভিতরে ঢুকে,
রাফি; নাইম কে বলে তোর রুম কোন টা,
রাতুল রাফি কে বলে বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না,
কারন সোফার উপর রিয়ার ফোন টা দেখে বিশ্বাস হয়ে গেছে,
রাফি তখন নাইম কে একটা থাপ্পড় দেয় আর ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
রিয়া আসছে কিনা,
নাইম ভয়ে বলে দেয়,
রাফি উপরে যায় রুমের দরজা খোলতেই যা চোখে পড়ে,
নিজের প্রিয় মানুষ টা কে এই ভাবে দেখতে হবে তা কখনো ভাবে নি,
রাফি দেখে রিয়া উলঙ্গ অবস্থায় বসে আছে,,,
ওদের মধ্যে কিছু একটা হয়ছে তা রুমের অবস্থা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,
রিয়া ভয় পেয়ে যায় আর আমতা আমতা করে বলে,,,,,,,,,
গল্প; #just_Friend
writer:MD.Helal uddin
পর্ব-০১
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here