just_Friend writer:MD.Helal uddin part:02

0
395

রিয়া উলঙ্গ অবস্থায় রাফি কে আমতা আমতা করে বলল তুমি যা ভাবছো তা কিছুই না,আমি জামা চেন্স করছিলাম,
রাফি তখন রেগে গিয়ে প্যান্টের বেল্ট
খোলার চেস্টা করলে,
তাই দেখে রিয়া এগিয়ে আসে আর বলে।
আগে বলবা তো তুমি,,,,,,,, চাও,
তোমরা ছেলেরা চোখের সামনে
মধু দেখলে আর না খেয়ে থাকতে পারো না,আচ্ছা আসো,
এতে রাফির আরো রাগ হয়,
তখন বেল্ট খোলে এলোপাতাড়ি মারতে
শুরু করে রাফি,
মারতে মারতে এক টা সময় রিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়,
সারা শরীর লাল হয়ে গেছে,
রাতুল এসে দেখে রিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে,
আর গায়ের উপর বিছানার চাদর দেওয়া,
রাতুল; রাফি তুই কি করেছিস রিয়াকে,
এমন পড়ে আছে কেনো,
রাতুল বুঝতে পারলো রিয়ার গায়ে কোন কাপড় নেই তাই, রাতুল তার বড় বোন কে ফোন দিলো,আর নাইমের বাসায় আসতে বলল,
রাতুল ব্যাপার টা কাউ জানাতে চায় না,
আর ঐ দিকে নাইম কে শক্ত করে বেঁধে রাখছে,
রাতুল আবার রাফি কে জিজ্ঞেস করলো,তুই কি করেছিস রিয়া কে,
কিন্ত রাফি চুপ করে বসে আছে,
রাফি কোন দিন ভাবতে পারে নাই রিয়া এমন একটা কাজ করবে,আর তাকে এই ভাবে মারবে,
সবার মত রাফিও স্বপ্ন ছিলো,রিয়া হবে রাফির লক্ষি একটা বউ ছোট্ট একটা সংসার হবে,,,
তা হয়তো নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো,
রাফি চি
রাফি চুপ করে বসে আছে,কিচ্ছু বলছে,
কিছুক্ষনের মধ্যেই রাতুলের আপু এসে হাজির হল, **নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
আপু; রাতুল কি হয়েছে আমাকে এখানে আসতি বললি কেনো,
রাতুল; আপু রাফি তো একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলছে,
আপু ; কি করছে রাফি,
রাতুল তখন সব বলল,
রাতুলের বোন রুমে গিয়ে দেখলো,
রাফি বসে আছে আর একটা মেয়ে ফ্লোরে পরে আছে,
রাতুল রাফি কে ধরে তুলে বাহিরে নিয়ে গেলো,
আর রিয়া কে কাপড় পড়িয়ে,
রাতুল কে ডেকে বলল এই ভাবে কেউ কাউ কে মারে,মেয়েটা কে হাসপাতালে না নিলে বিপদ হতে পারে
রাতুল; কিন্ত আপু ব্যাপার টা যে জানাজানি হয়ে যাবে,
আপু; হাসপাতালে না নিলে কিছু একটা হয়ে যেতে পাড়ে,
কোন উপায় না পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়,আর রাতুল কিছু ফ্রেন্ড কে ফোন দেয় কিছু নাইম কে নিয়ে যাওয়ার জন্য,
রাতুল আর রাফি খুব ভালো বন্ধু রাতুলের বোন খুব ভাল ভাবে চিনে নিজের ছোট ভাইয়ের মতই দেখে,
রিয়া কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল,
আল্লাহর রহমতে বেঁচে যায় রিয়া,
আর তা না হলে রাফি খুব ভালো ভাবে ফেঁসে যেতো,
এদিকে রিয়ার বাসায় অলরেডি জানাজানি হয়ে গেছে,
আর রিয়ার ব্যাপার এলাকা+ক্যাম্পাস পুরো তোলপাড় ,,,
রাফি ৫দিন হল বাসা ছাড়া বাসায় যেতে পারছে না,রাফির বড় ভাই বাবার জন্য,বাসায় গেলেই কিছু একটা হতে পারে তার ভয়ে যায়নি, রাতুলের বাসায় থাকে,
রাফির বাবা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় কলিং বেল টা বেজে উঠে,
রাফির মা দরজা টা খোলে দেয়,
রাতুলের মা দরজা খোলে দেখলেন একজন ভদ্রলোক আর সাথে একটি মেয়ে,
–আপনারা কে চিনতে পারলাম না তো,
–এইটা রাফিদের বাসা কি ,
–জ্বী হে,কিন্ত আপনারা কে?
–আমি রিয়ার বাবা, আর ও রিয়া,
এমন সময় রাফির বাবা এগিয়ে এসে
কে আসছে,
রিয়ার বাবা, তখন বলল আপনি মনে আজমল সাহেব,
–জ্বী আমি আজমল, কিন্ত আপনি কে?
–আমি আঃরহমান, আপনার ছেলে রাফি কি করছে জানেন তো,
আপনার ছেলের জন্য আজ আমরা কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না,
রাফির বাবা তখন রেগে বলল,যার কুকর্ম করেছে তার বাসায় যান এখানে আসছেন কেনো,
রহমান সাহেব ; দেখেন সব কিছু মুলে হচ্ছে আপনার ছেলে,আপনার ছেলে কে বলেন,আমার মেয়ে কে বিয়ে করতে,
আজমল সাহেব ঃঃআমার ছেলে কেনো একটা চরিত্রহীন মেয়ে কে বিয়ে
করতে যাবে,আমার ছেলে কে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবো তাও এই মেয়ে কে বিয়ে করাবো না,
রহমান সাহেব; বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো,ধর্ষণের মামলা দিবো,
আর এই যে রেখে গেলাম আমার মেয়ে কে আপনারা কি করবেন জানি না,
আর রিয়া কে বলে গেলো তুই এই বাড়ি থেকে বের হবি না,তোর যায়গা আমার বাড়িতে নেই,আর যদি তুই আমার বাসায় আসিস তোর মরণ নিশ্চিত, পরে এদের ফাঁসাবো,
রিয়ার বাবা রাফির বাসায় রিয়া কে রেখে গেলো,
(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব হয় না,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
রাফির বাবা খুব চিন্তায় পড়ে গেলো,কি করবে এখন,অন্যের পাপের ফসল তার ছেলে কেনো নিবে,
রাতে মহল্লার চেয়ারম্যান আসলো আর থানা থেকে রিয়ার বাবা একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে আসলেন,পারিবারিক ভাবে মিটিয়ে দিতে,
রাফি আসলো,
পারিবারিক মিটিং শুরু হল,
রাফির বাবার এক কথা সে এই মেয়ে ঘরে তুলবে না,
এর জন্য ছেলের জেল হয় ফাঁসি হয় হবে,তার এক কথা,
রিয়ার বাবাও হাল ছেড়ে দিলেন,
রিয়ার বাবা শেষ পর্যন্ত রাফির বাবার পায়ে পর্যন্ত ধরলেন,আর বললেন ভাই আমার মেয়ে টা কে মেনে নেন,নাহলে ও বাঁচবে না,
তখন রিয়া তখন সবার মাঝখান থেকে দাঁড়িয়ে বলল,আমাকে বিয়ে করতে হবে না,আমি শুধু রাফির সাথে ১০টা মিনিট কথা বলতে চাই আলাদা,
রাফি বাবা তখন বললেন না,
তখন চেয়ারম্যান বলল,আজমল সাহেব কথাই তো বলবে বলুক,
অনুমতি দেওয়া হল,দুজন এক টা রুমে গেলো,
২০মিনিট পর বের হয়ে,
রাফি সবাই কে বলল,আমি রিয়া কে বিয়ে করতে রাজি,আমি বিয়ে করতে চাই,,,,,,,,
গল্পঃ #just_Friend
writer:MD.Helal uddin
part:02
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here