গল্পঃ #Just_Friend
writer:MD.Helal uddin
পর্ব-০৩
,
বেশ্যা একটা মেয়ে কে বিয়ে করবি রাফি কথা আজমল সাহেব খুব রেগে বললেন,
রাফি তখন তার বাবা কে বললেন বাবা ও খারাপ মেয়ে না,
–তুই ভালো খারাপের কি বুঝিস,যে মেয়ে নিজের ইচ্ছায় অন্য ছেলের শুয়ে বেড়ায় তুই তাকে বিয়ে করবি,
–দেখো বাবা আমার যা বলার বলে দিয়েছি,
রাফির মা এগিয়ে এসে বলল,রাফি এমন কোন ভুল করিস নাই যেটার মাশুল তোকে দিতে হবে,
দেখ আমরা তোর বাবা মা,তোর ভাল চাই খারাপ না,তোকে কি এমন বলল,
তুই রাজি হয়ে গেলি,
এই বিয়ে আমি মেনে নিবো না,
রাতুল তখন রাফি কে বুঝানোর জন্য,
ব্যালকনিতে নিয়ে গেলো,
আর
রাতুল; রাফি তুই কি পাগল হয়ে গেছিস,এই মেয়ে কে তুই বিয়ে করবি,
রাফি; দেখ রাতুল, বিয়ে করলে রিয়া কেই করব,
রাতুল রেগে গিয়ে বলল,ঐ মাগী তোকে কি এমন বলল তুই রাজি হয়ে গেলি,
রাফি এক মুহুর্ত লেট করলো না রাতুলের গালে থাপ্পড় দিতে,
রাতুল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো, রাফির দিকে,একি আমার বন্ধু রাফি,
রাতুল রেগে চলে গেলো,
আর রাফির বাবা মা কে বলে গেলো,
আন্টি আপনার ছেলে আর আপনার কন্ট্রোলে নেই,
যা চায় তাই করুন,
তখন আজমল সাহেব, তার ছেলে কে অপশন দিলেন,যদি এই মেয়ে কে বিয়ে করিস, তাহলে এই বাড়িতে থাকতে পারবি না,
আমাদের ভুলে যেতে হবে চিরদিনের জন্য,
রাফির মা রাফি কে বুঝায় কিন্ত বুঝে না,
সবার কাছে অবাক লাগলো,একটা রুমের ভিতর নিয়ে কি এমন বলল,যার
রাফি বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেলো,
রাফি কারো কথা না শুনে সবার সামনে রিয়ার হাত বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় রিয়া,
(অনেকে আমার গল্প করছে,আমার কোন গ্রুপে দেখলে আমাকে ম্যানশন দিবেন,অরজিনাল রাইটার আমি (মোঃহেলাল উদ্দিন)
রাফির বাবা মা কান্নায় ভেঙে পড়ে,
আর এদিকে নাইম নিখোঁজ কিন্ত রাতুল জানে নাইম কই,
সোজা নাইমের কাছে যায় রাতুল নিজের রাগ ঝারতে,সাথে কিছু বন্ধু নিয়ে,
যার জন্য এই ঝামেলার জন্ম,
আজ নাইম কে শাস্তি দেওয়ার পালা,
তাই নাইম কে শক্ত করে বাঁধা হল,
তারপর নাইম কে অর্ধ উলঙ্গ করা হল,
রাতুল; সেক্স করতে খুব ভাল লাগে তাই না,এরকম করে কত মেয়ের জীবন নস্ট করছিস,
নাইম কান্নার সুরে ভাই আমাকে ছেড়ে দেন,আমি আর জীবনে এই সব করব না,
রাতুল ; না ছোট ভাই শাস্তি তোমাকে পেতে হবে,
১বন্ধু বলল কি করব অকে, কি করা যায় বল,
আরেক জন বলল,আগে জাঙ্গিয়া টা খোলে পুরো লেংটা কর,
আরেকজন টান মেরে পুরো টা খোলে ফেলল,
রাতুল; খুব দাঁড়ায় তাই না,আজকের পর থেকে আর যাতে না দাঁড়াতে না সেই ব্যবস্থা করছি,১বার দাঁড়াতে গেলে ১০০বার চিন্তা করবে,
এই মুখ টা ভাল করে বাঁধ যাতে চিল্লাতে না পারে,
আর দেখ কোথাই বিষাক্ত পিঁপড়া আছে,আর ওর পুরুষাঙ্গ মিস্টি কিছু লাগা,তার পর খেলা হবে,
নাইম চিৎকার করে কান্না করতে চাইলে পারে না,
সব রেডি করা হল,
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
তারপর পিঁপড়া ছেড়ে দেওয়া হল,
তারপর যে কথা সেই কাজ শুরু হয়ে গেলো,
পিঁপড়ার প্রতি টা কামড়ে বুঝে গেছে,কি যন্ত্রনা,এক সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে আর অজ্ঞান হয়ে যায়,
এক বন্ধু আজ যে শাস্তি হয়ছে,ও কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকানোর সাহস পাবে,দেখ না আমারই চোখে পানি চলে আসছে,
রাতুল;বাদ দে এই সব আমার মতে ঠিক আছে,জ্ঞান ফিরলে ছেড়ে দিবি,
আমি যাই কাজ আছে,,,
ঐ দিকে রাফি আর রিয়ার বিয়ে হয়,,
রাফি বিয়ে করে রিয়াদের বাড়ি থেকে যায়,
মানে যাকে আমরা বলি ঘরজামাই,
ভালই চল ছিলো,,,,
দুই বছর পর,,,,,,,
রাফি ছোট্ট একটা চাকরি নেয় আর ওদের একটা মেয়ে হয় নাম,
সিদরাতুল মুনতাহা,ডাক নাম মুনতাহা,
মেয়ে আর ছোট্ট সংসার খুব ভালো ভাবে যাচ্ছে,
একদিন,,,,,,
দিন টা ছিলো রাফি আর রিয়ার বিবাহবার্ষিকী,
সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখে রিয়া নেই,
রান্না ঘরে যায় দেখে রান্না করছে,
রিয়া; আজ এত সকাল সকাল ঘুম ভাঙলো যে,
রাফি; খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে,
রিয়া; দেখছো না রান্না করছি,কিছু বলবা,
রাফি; হুম
রিয়া; বলো,,
রাফি ; আসলে লাগবে না কথা বলতে বলতে রিয়া কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
রিয়া; কি করছো,দেখছো না রান্না করছি,
রাফি; একটু আদর করি না,এমন করো কেনো,
রিয়া; পরে তুমি এখন যাও মুনতাহা কাঁদবে,
কিন্ত রাফি ধরেই আছে ছাড়ছে না,
রিয়া গরম খুন্তি হাতে নিয়ে, তুমি ছাড়বা নাকি গরম খুন্তির ছ্যাকা খাবা,
রাফি; দূর নিজের বউ কে আদর করব তাও পারি না,
রিয়া; পাগল একটা,
রাফি নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো,যাওয়ার আগে রিয়া কে বলল,আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে,,,,, বলে চলে গেলো,
সেদিন বিবাহবার্ষি ছিলো তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে একটা গোলাপ আর কেক নিয়ে তারাতাড়ি বাসায় ফিরে,
কলিং বেল দিতে যাবে দরজা খোলা,
মুনতাহা ফ্লোরে বসে কাঁদছে,
হাতের জিনিসপত্র রেখে কোলে নেয় মুনতাহা কে,তারপর রিয়া কে ডাকতে থাকে,
রিয়া তখন দৌড়ে আসে বেডরুম থেকে,
তার পিছে একজন অজানা লোক আসে,যাকে রাফি কোন দিন দেখিনি,
রাফি জিজ্ঞেস করে উনি, রিয়া বলে আমার কাজিন,
কিন্ত রাফি চিনে না,
আর দুজন কে অন্য রকম মনে হচ্ছে,আতংকিত মনে হচ্ছে,,
রাফির মনে সন্দেহের চাকা আবার ঘুরা শুরু হয়ে গেলো,আর লোকটি কোন কথা না বলে তারাতাড়ি চলে গেলো,
রাফির মনে আরও সন্দেহ চেপে বসলো,
মনে মনে ভাবছে রিয়া কি তাহলে পরকিয়া করছে,,,,,,,,,,,
(সব সময় গল্প গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব হয় না,তাই বাকি গল্প পেতে Add দিয়ে সাথে থাকুন)
আর একটু পিছনে নিতে যাই সেই দিন রুমে ডেকে কি এমন বলেছিলো,
সেই দিন রিয়া রাফির পায়ে পড়ে কেঁদেছিল, আর বলেছিলো আমি যা ভুল করেছি তা ক্ষমার যোগ্য না,
ভুল তো মানুষই করে, প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে কর,না হলে আমার বাবা আমি আমার পরিবার এই সমাজে বাঁচতে পারব না,তুমি যা বলবা যা করতে বলবা, যে ভাবে চলতে বলবা চলব।
৫ ওয়াক্ত নামাজ পরবো,
আমি কোন দিন তোমার অবাধ্য হবো না,
ধরে আমি একজন পতিতা আমি তোমার হাত ধরে ভালো হতে চাই,
তুমি কি সে সুযোগ দিবে না,
আজ যদি তুমি না বলো,
কাল থেকে আমি সত্যি পতিতা হয়ে যাবো,যখন তুমি কারো থেকে শুনবে আমি পতিতা তোমার কেমন লাগবে,
রাফি আমি ভাল হতে চাই,
সেদিনের কান্নায় রাফি নিজেকে ধরে রাখতে পারি নাই,
প্রিয়জন যত ভুল করুক যদি একবার এসে বলে আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেও আর হবে না,
রাফির মনটা নরম হয়ে যায়,আর বিয়ে করে,
এই তো ছিলো রুমের ঘটনা,
(চলবে)