বকুলতলা
৩৬.
সুনসান, ঝিমানো পরিবেশ। হাসপাতালের লম্বা করিডোরটা শূণ্য, ফাঁকা। রাত কয়টা বাজছে? বারোটা? একটা? সাথে হাত ঘড়ি কিংবা মোবাইল, কিচ্ছু আনেনি তরী। আনার সময়টাও ছিল না। রফিক সাহেবের সকাল থেকেই প্রেশার লো ছিল। রাতের খাবার-দাবারের পর সেটা হুট করেই বেড়ে যায়। প্রণয় তখনো বাসায় ফিরেনি। কল করলেও শুধু রিং হচ্ছিল। ওপাশ থেকে কেউ ধরছিল না। অবস্থা বেগতিক দেখে আবদুল, তরী আর আয়েশা খাতুনই তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। নূরী আসেনি। মেয়েটা একটু বেশিই অসুস্থ কি না!
পাস্টিকের চেয়ারগুলোর একটাতে হেলান দিয়ে বসে ছিল তরী। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছে। এত ঘুম পাচ্ছে! কোনোমতে জোড় করে চোখের পাতা খুলে রেখেছে সে। হামি দিচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। ঝাপসা দৃষ্টিতে হঠাৎ দেখলো, হন্তদন্ত পায়ে প্রণয় ছুটে আসছে। খুব ব্যস্ত ভাবে। পা জোরা তরীর সামনে থামিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস ফেলে প্রশ্ন ছুঁড়লো, “বাবার কি অবস্থা? কোন কেবিনে?”
তরী ততক্ষণে সোজা হয়ে বসেছে। ঘুম উবে গেছে বহু আগে। উত্তরে আস্তে করে বললো, “মামা ঠিক আছেন। সামনের কেবিনে আছেন।”
প্রণয় একপলক তাকালো। স্থির চাহনি। মেয়েটাকে অনেকদিন পর দেখছে সে। আগের থেকে সুন্দর হয়ে গেছে বোধহয়। তবে মুখটা একটু মলিন, বিষণ্ণ। সে নজর ফিরিয়ে দ্রুত কেবিনের দিকে ছুটলো। তরী যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো তখন। লোকটার মুখোমুখি হলে ভীষণ অস্বস্তিরা কোত্থেকে যেন উড়ে এসে জেঁকে বসে। সম্পর্কটা স্বাভাবিক নেই বলেই হয়তো।
সময় গড়ালো। প্রণয় কেবিন থেকে বেরুলো অনেক্ষণ পর। আস্তে ধীর শরীরটাকে টেনে টেনে তরীর পাশে ধপ করে বসে পরলো। পরনে এখনো বাহিরের জামাকাপড়। হাসপাতাল থেকে হয়তো সরাসরি এখানে এসেছে।
—“কেমন আছো?”
সরব, প্রণয় আস্তে করে শুধালো। তরী প্রথমে ভেবে পেল না সে কি বলবে। প্রণয়ের সাথে কথা বলতেও তার এখন জড়তা কাজ করে। কিন্তু সে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলো। সম্পর্কটায় এত বেশি জ’টিলতা আসলেই অসহ্যকর। এভাবে তো ভালো থাকা যায় না। লোকটার জন্য তার ভীষণ মায়া হয়। ইচ্ছে করে, কাউকে ধরে এনে প্রণয়ের সাথে প্রণয় ঘটিত কিছু করে দিতে। পরক্ষণেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে, তা যদি সম্ভব হতো!
তরী একটু সরে বসেছে। প্রণয় তাকিয়ে তাকিয়ে তরীর জড়তাটুকু, এই সরে বসা কাঁটার মতো গিলে নিলো। অথচ সেটা দেখতেই পেল না তরী। উত্তরে বললো, “ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?”
—“আছি।”
—“মামার কি জ্ঞান ফিরেছে? কথা বলেছেন?”
—“হ্যাঁ।”
—” কি বলেছেন মামা?”
প্রণয় এবার আড়নয়নে তাকালো। তরীকে একবার পরখ করে বললো, “কি বলবে? তোমাকে বিয়ে করতে জোড় করছিল।”
—“তো আপনি কি বললেন?”
প্রণয় কেমন একটা সুপ্ত নিশ্বাস ফেললো। অতি সন্তপর্ণে। তরীর টের পেল না একদমই। অকপটে বললো, “করবো না বলেছি।”
—“ভালো করেছেন।”
প্রণয় বুঝলো, মেয়েটা আসলেই নিষ্ঠুর। নিজের ওপর তার খুব হাসি পেল। হাসলোও ক্ষীণ। কিন্তু বেহায়ার মতো তার তবুও তরীর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। বেহায়াপনার প্রশ্রয় বাড়িয়ে বললো, “তুমি যাচ্ছো না কেন কেবিনে? বাবার সাথে দেখা করে আসো।”
তরী তখন শুকনো হাসলো,
—“মামী আমার এখানে থাকা পছন্দ করছেন না। আবদুল ভাইয়া আসলেই উনার সাথে বাসায় চলে যাবো। নূরী ভাবীও তো বাসায় একা।”
—“খুব ভালোবাসো মাহাদকে, তাই না?”
হুট করে এক অদ্ভুদ প্রশ্ন করে বসলো প্রণয়। প্রশ্নটা করার পরই বুঝলো, করাটা উচিত হয়নি। অথচ তরীর ঠোঁটের কোণে তখনো সূক্ষ্ণ হাসিটা লেগে আছে। সে ওভাবেই উত্তর দিলো, “আমি আগেও বলেছি, তাকে ভালোবাসি কি-না আমি বুঝতে পারছি না। হয়তো ভালোবাসি। নয়তো ভালোবাসতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু তাকে প্রচন্ড রকমের অনুভব করি আমি। তার ভেতরকার তাকে দেখতে পাই। সে আমাকে ভালোবাসি বলে বলে বিরক্ত করে বলেই কিন্তু নয়। মাহাদের চোখে আমাকে হারানোর ভয় দেখেছি। তার চেয়েও বড় কথা, সে আমাকে পুরোনো ভেঙ্গে পরা তরী থেকে নতুন তরী হতে সাহায্য করেছে। খুব বিরক্ত করেছে, ভীষণ আগলে রেখেছে, মন খারাপের সময় হাসিয়েছে। অথচ লোকটাই কিন্তু ভালো নেই! একটা কথা বলি প্রণয়? মনে কিছু নেবেন না। আপনি আমাকে কখনো বিশ্বাস করতে পারেননি। ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু যত কিছু হয়ে যাক, মাহাদ আমাকে কখনো কষ্ট দেয়নি। আপনি বরাবরাই অধৈর্য। আমাকে আগে থেকে ভালোবাসলেও এখন পর্যন্ত ভালোবাসাটা ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেননি। আমাকে বুঝতে দেননি। সেখানে মাহাদ পদে পদে আমাকে আগলে রেখে বুঝিয়েছে ও আমাকে কতটা চায়। এমন মানুষকে আমি বলেই হয়তো এতদিন লেগে যাচ্ছে ভালোবাসি শব্দটা উচ্চারণ করতে।”
তরী থামলো। লম্বা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বুঝিয়ে দিলো, সে নিজেকে আজকাল কতটা সুখী ভাবে।
এরপরের সময়টা কাটলো রয়েসয়ে। বাতাসের ঝাপটাগুলো বেড়ে চললো তীব্র থেকে তীব্র ভাবে। বৃষ্টি হবে নাকি? নাহ্। অনেক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরও বৃষ্টির দেখা মিললো না। বরং বাতাস কমে গিয়ে ভ্যাপসা গরম হয়ে উঠলো আশপাশ। হাসপাতালের নিজস্ব একটা গন্ধ চারিদিকে ঘুর ঘুর করতে লাগলো। এরমাঝে কেবিন থেকে বের হয়ে আব্দুল তরীকে তাড়া লাগালো বাসায় যাবে বলে। তরী প্রণয়কে একটু দেখে নিলো তখন। মুচকি হেসে বললো, “আমি আসলেই আপনার প্রতি মায়া ছাড়া কখনো কিছু অনুভব করতে পারিনি। যে মায়া আপনার কাজে লাগবে না। কিন্তু আমি আপনাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। সেই শ্রদ্ধা থেকেই একটা অনুরোধ করবো, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। এতদিন আমার সাথে অভিমান করে যেভাবে ছিলেন? এখনো অভিমান করে সেভাবে থাকুন। কিন্তু মামার জন্য হলেও এমন চুপচাপ থাকবেন না প্লিজ। মামা আপনাকে অনেক ভালোবাসেন।”
তরী আব্দুলের সাথে চলে গেল। বিশাল করিডোরে একা, চুপচাপ বসে রইলো প্রণয়। চোখ বুজে অনুভব করলো, তার তেমন একটা কষ্ট হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? তরী তাকে নিয়ে একটু হলেও চিন্তা করে বলেই হয়তো।
–
বাঁধন বরাবরই শক্ত ধাঁচের মেয়ে। ডি’ভোর্স হওয়ার সময়টাতেও সে কাঁদেনি। বরং খুশি হয়েছে এমন একটা ব্যক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে, যে তাকে কখনো ভালোই বাসেনি। ফোন করে শুধু তরীকে তার আনন্দের কথা বলে। কিন্তু তরী তো জানে, তার আপা ওই লোকটাকে অনেক ভালোবাসে। শুধু হাসলেই কি সেটা মন থেকে হাসা হয়? মাহাদও তো কথায় কথায় হাসে। কই? সে তো ভালো নেই।
তরী গ্রামে যাবে বলে ভাবছে। দুইতিন দিন সেখানে থেকে আসবে। বাঁধনও বলছিল। কিন্তু বরকত সাহেব রাজী ছিলেন না। কারণ অবশ্য একটাই। অর্ণব। অস’ভ্য ছেলেটার উৎপত্তি বেড়েছে। বাজারে সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেরায় সমবয়সী ছেলেদের নিয়ে। শুনে তরী বলেছিল, “তাই বলে কি আমি তোমাদের সাথে দেখা করতে আসবো না? আমার গ্রামে যাবো না? ওই লোকটাকে ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকবো? তোমার মেয়ে আর আগের মতো নেই বাবা। রুখে দাঁড়ানোর শক্তি আছে। বাজে কিছু করতে চাইলে পিটি’য়ে ছাড়বো একদম।”
বরকত সাহেব ভালো করেই জানেন, বলা যত সহজ, করা কিন্তু অত সহজ না। কিন্তু তবুও তিনি মেয়েকে অত আটকালেন না। আসতে দিলেন। রফিক সাহেবও তরীর গ্রামে যাওয়া নিয়ে কিছু বলেননি। ওইবারের মতো প্রণয়কেও তাকে দিয়ে আসার কথা উচ্চারণ করেননি একবারও। নীরবে সম্মতি দিয়েছিলেন শুধু।
–
গ্রামে এসে তরীর দিন ভালোই কাটছিল। কিন্তু অর্ণবের ভয়ে বরকত সাহেব তাকে ঘর থেকে বেরুতে দিচ্ছিলেন না। বেশি হলে বাড়ির আশেপাশে একটু হাঁটতে যেতে পারতো সে। সেদিন বরকত সাহেবও বাসায় ছিলেন না। কি যেন কাজ পরেছে তার। বাঁধন ঘরে কাঁথা মুড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। তিতির তখনো স্কুলে। তরীর একা একা ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। কত দিন নিজ গ্রাম ঘোরা হয় না! সেই কবে দেখেছিল তিতিরদের বিদ্যালয়ের পাশে একটা নতুন পার্ক বানানো হচ্ছে। এতদিনে হয়তো হয়েও গেছে। এদিকে আবার তিতিরের ছুটি হতেও বেশি দেড়ি নেই। ওড়না ভালো মতো গায়ে জড়িয়ে তরী বেড়িয়ে পরলো ঘর থেকে। পার্ক দেখে নাহয় তিতিরকে নিয়ে আসবে। দু’বোন গল্প করতে করতে আশপাশ ঘুরবে।
কিন্তু মাঝপথেই অর্ণবকে টং দোকানে দেখতে পেল তরী। বড় বড় ছেলেদের নিয়ে তা’স খেলছে সে। মুখে কি উপচে পরা হাসি! তৎক্ষণাৎ তরীর পা থেমে গেল। যতই সাহস দেখাক সে, এই মানুষটার সামনে নিজেকে বোবা প্রাণী মনে হয় তার। একঝটকায় যেন অতীতের সব কিছু চোখে ভাসে। তরী আর সামনে এগোলো না। পেছন ফিরে চলে আসতেই নিচ্ছিলো, অর্ণব দেখে ফেললো। না ফিরেও অর্ণবের হইহই কলরব শুনতে পেলে তরী। সে চিৎকার করে ডাকছে,
—“এই মেয়ে, দাঁড়া! তোরে চেনা চেনা লাগতাছে কেন?”
কি অভিনয়! অর্ণব জানে তরী এসেছে। এটা যে তরী, এটাও বুঝেছে। তার ছেলেপেলে তো আছেই বলার জন্য!
তরী তবুও দাঁড়ালো না। দ্রুত পা চালিয়ে চলে যেতে চাইলো এখান থেকে। কিন্তু অর্ণবের পালা চাকরগুলো সামনে এসে পথ রোধ করে দাঁড়ালো। যেন কোনো কঠিন দেওয়াল! অর্ণব এলো ধীরেসুস্থে। তরীর চোখেচোখ রেখে কেমন বিশ্রী হাসলো। দাঁতগুলো হলদেটে। বাজে দেখাচ্ছে। নে”শা করার কারণে চোখদুটো লালচে হয়ে আছে। রোগা-পাতলা শরীর। খিকখিক করে হেসে বললো, “পাখি আমার তো দেখি সুন্দর হয়ে গেছে। শহুরে বাতাসে কি আমাকে ভুলে গেছ জানেমন?”
তরী ভয় পাচ্ছে। প্রচন্ড ভয়। তবুও চোখ-মুখ শক্ত করে বললো, “আমাকে যেতে দিন।”
—“এত সহজে? তোমাকে কতদিন কষ্ট দেই না! হাত যে নিশপিশ করছে জানেমন।”
আবারও খিকখিক করে হাসলো অর্ণব। তরী কিছু বলতেই নিচ্ছিলো, হঠাৎ এক পরিচিত কণ্ঠ শুনতে পেল। মাহাদের কণ্ঠস্বর। তরীর চিনতে একটু ভুল হয়নি।
—“হাত নিশপিশ করলে কেটে ফেলুন ভাই। এমন হাত রাখতে নেই।”
আসলেই এটা মাহাদ। এইযে, সামনে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুখশ্রী দারুণ কঠিন। তরী ভীষণ, ভীষণ, ভীষণ চমকালো। বিমূঢ়, হতবুদ্ধি চাহনিটা ওভাবেই আটকে রইলো মাত্র। অথচ অর্ণব তবুও হাসছে। হিসহিসিয়ে বললো, “নতুন নাগর নাকি? তোমার তো দেখি অনেক সাহস বাড়ছে। ব্যাপার না। তোমার এই জেদটা আমার পছন্দ হয়েছে। ভা’ঙ্গতে মজা হবে কিন্তু। ছেলেটাকেও শ’ক্তপোক্ত মনে হচ্ছে। কিছু একটা না করলে তো আমার এ গ্রামের মাতব্বর হওয়াটাই বৃথা!”
মাহাদকে একবার দেখে অর্ণব চলে গেল। সে ভুলেও এসব জনসমাগমে কিছু করেনা। ছেলেটাকে পরে দেখা যাবে।
—“আপনি এখানে কিভাবে?”
তরীর উৎক’ণ্ঠা গলার স্বর।
মাহাদ তখনো অর্ণবের যাওয়া দেখছে। প্রশ্ন এড়িয়ে বললো, “এটাই কি অর্ণব?”
—“হ্যাঁ। কিন্তু আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। আমি তো দুইদিন পরই আসতাম, তাই না? তবুও কেন এলেন এখানে?”
মাহাদ এবার ঠান্ডা চাহনিতে তরীকে দেখে নিলো। মেয়েটা ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে আছে। লহু স্বরে বললো, “আসার প্লেন ছিল না। দাদী মা”রা গেছেন কাল রাতে। সেজন্যই এসেছিলাম।”
—“আমাকে জানান নি কেন?”
—“জানিয়ে কি হবে?”
তরী দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মাহাদের দাদীর কথা শুনে খারাপ লাগলেও তার চিন্তা অন্যদিকে। এই বেপরোয়া ছেলেটাকে কোনোভাবেই এখানে থাকতে দেওয়া যাবে না। যদি অর্ণব কিছু করে ফেলে? জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিঁজিয়ে বললো, “আপনি কখন যাবেন ঢাকা? আজকেই চলে যান, বিকালের বাসে।”
কথাটা মোটেও ভালো লাগলো না মাহাদের। ভ্রু কুঁচকে বললো, “তুমি কি ঐ ইঁন্দুরটাকে ভয় পাচ্ছো? আশ্চর্য!”
—“ওই লোক ইঁন্দুর দেখতে হলেও কাজকর্ম কিন্তু মোটেও ইঁন্দুরের মতো না! বুঝতে পারছেন না কেন?”
—“তোমার মনে হয় আমি ওই টিনি ইঁন্দুরকে এমনি এমনিই ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো?”
—“কি করবেন আপনি?”
আঁ’তকে উঠে বললো তরী। মাহাদ ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো। তরীর মাথার ওড়নাটা আরেকটু টেনে বললো, “তুমি যা ভাবছো, তাই।”
__________________
চলবে~
ঈশানুর তাসমিয়া মীরা