হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১১

0
612

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১১
.
.
🍁
—- “ওয়াট .!!! কি বলছেন কি ..??কে আপনারা আমার ছেলে কে কেন কিডন্যাপ করেছেন..?? কি চাই আপনাদের..??”(আরিয়ান খান)

— ” গুড ক্রশ্চেন মিস্টার খান ৷ শুনুন তাহলে আপনার একমাত্র ছেলে কে আমরা ছেড়ে দিবো তবে একটা শর্তে আপনার ছেলে যে মেয়ে টিকে বিয়ে করতে চায় সে মেয়েটার সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিবেন না ৷ আর একটা কথা মন দিয়ে শুনুন আমি ফাকাঁ আওয়াজ দিচ্ছি না ৷ যদি পুলিশে খবর দিন তো আপনার ছেলের মুখ টা ও দেখতে পাবেন না কখনো”(আসলাম)

— ” না না আপনারা বিশ্বাস করুন আমি পুলিশ কে জানাবো না ৷ কিন্তু আগুন তো ওই মেয়েটাকে ভালোবাসে.!!! আমি বাবা হয়ে কি করে নিজের ছেলের ভালোবাসা টাকে ছিনিয়ে নি??? ”

— ” মাই গড আপনার কাছে আপনার ছেলের থেকে তার ভালোবাসা বড় হলো ওকে দেন আপনাকে টু আওয়ারস টাইম দিলাম ভেবে দেখুন কি করবেন আর রাজি না হলে দেন আপনি তাহলে আপনার ছেলের ডেড বডি দেখার জন্য প্রস্তুত হোন…”

কথাটা শেষ করেই আসলাম ফোন ডিসকানেক্ট করে দিলো৷ এদিকে আরিয়ান খান ছেলের শোকে পাগল প্রায় কি করবে না করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না ৷ অন্যদিকে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে মেঘের ডেরায়৷ আগুনের চোখ মুখে কালো কাপড় দিয়ে বাধা ৷ আসলাম কিছুক্ষন পর মেঘ কে কল করে সব আপডেট দিতে মেঘ আসছি বলে কল কেটে দেয়…..
,
,
,
,
,
—- “নাহ আশিক এটা কি করে হয় তুই হয়তো ভুল দেখেছিস৷ মেঘ কি করে ফিরে আসতে পারে ওকে তো ওর বাবা মায়ের সাথে মেরে ফেলেছিলাম…??”( ফাহিম)

— “না না ফাহিম আমি ভুল বলছি না ৷ আমি নিজের চোখে মেঘ কে এই ইউএস য়ে দেখেছি..”(আশিকুর )

— ” তুই সত্যি বলছিস আশিক..??”(ফাহিম)

— ” আমি যে সত্যি বলছি তার প্রমান আছে আহাদ ৷ সেই প্রমান আমার দোস্ত তোর ভাই ফাহাদ ও সব থেকে বড় প্রমান..”(আশিকুর)

ফাহাদের নাম তুলতে ফাহিম চমকে ওঠে আমতা আমতা করে বলে উঠলো ” ফাহাদ কি করে তোর প্রমান হয় আশিক .?? ওকে তুই কোথায় পেয়েছিস..??”

— ” পেয়েছি আহাদ পেয়েছি এখন ফাহাদ কে হসপিটাল থেকে নিয়ে আসতে হবে ৷ তুই আর আমি যাবো ফাহাদ কে হসপিটাল থেকে নিয়ে আসতে..”(আশিকুর)

— ” আ,,মি আ,,আশিক আমি যদি না যাই তাহলে কি হয় না ৷ নাহ মানে ফাহাদ যদি আমাকে দেখে কোন রিয়েক্ট করে বসে হসপিটালে তাহলে তো প্রব্লেম ..!!”(ফাহিম)

ফাহিমের কথাটা আশিকুর ভেবে দেখে বলে “হ্যা ঠিক বলেছিস ও তো তোকে একদমি সহ্য করতে পারে না কেন তা একমাত্র আল্লাহ জানে আর তোরা দুজন ৷”

— ” তাহলে তুই যাচ্ছিস ফাহাদ কে আনতে..??”(ফাহিম)

— ” হ্যা যাচ্ছি ৷ ফাহাদ কে সেইফলি একবার আমাদের কাছে আনতে পারলে আমাদের আর কেউ কিছু করতে পারবে না ৷ মেঘ ও না৷…”(আশিকুর)

— ” তুই এতোটা কি করে শিওর হলি আশিক.??”

— ” ফাহিম তুই ভুলে যাচ্ছিস আমাদের হাতে এখনো মেঘ কে চেকমেট করার জন্য কোন ঘোড়া বা মন্ত্রীর প্রয়োজন নেই ফাহিম আমার দাবার গুটি রানি আছে ওকে দিয়েই আমি হা হা হা…”(আশিকুর)

— ” দেরি না করে বেরিয়ে আমি বাংলোতে আছি…”

আশিকুর রহমান নিজের প্লান মাফিক ছদ্দবেশ ধরে ফাহাদ কে যে হসপিটালে রাখা হয়েছে সে হসপিটালে চলে যায় ৷ কোন টাইড সিকিওরিটি না থাকায় অতি সহজে আশিকুর রহমান ফাহাদের কেবিনে ঢুকে যায় ৷ ফাহাদ কে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখে আশিকুর ফাহাদ কে তোলার জন্য চাদর সরাতে আশিকুর চমকে যায় কারন চাদরের নিচে ফাহাদ নয় জ্যাক শুয়ে গান তাক করে আছে আশিকুরের দিকে……….
,
,
,
,
,
— কি বেপার আজ আগুন স্যার ক্লাসে আসলো না কেনো..??(ইভা)

—- “কেনো রে তুই কি ওই চিপকু বুইড়া ব্যাটারে মিস করতাছোস..??”(রেগে বললো ফারহা)

—” দেখ ফারু তুই স্যার কে সহ্য করতে পারিস না ঠিক আছে এটা তোর প্রব্লেম কিন্তু আমার সামনে স্যার কে নিয়ে এই সব বাজে কথা বলবি না ৷ এরকম ইয়াং হ্যান্ডসাম ডেসিং কুল স্যার কে বুইড়রা বানায় দিলি..”(ইভা)

— বুইড়রা রে বুইড়রা বলমু না তো কি ছুড়ি কমু শালির ঘরের শালি ৷ তোর ওই স্যারের থেকে আর একজন আছে যার পার্সোনালিটি এটিটিউড সবার থেকে আলাদা সর্ম্পূন অন্যরকম গাঢ় নীল চোখের রং ,চুল গুলো হালকা ব্রাউন কালার আর…বাকি টা বলার আগে তিন্নি ফারহা কে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো ..” ফারু তুই ঠিক আছিস তো(কপালে হাত দিয়ে)”

—” আমার কি হবে হু আমি ঠিক আছি..”

—” আমার মনে হয় না ফারু তুই যে ভাবে একটা ছেলের রুপের বর্ননা দিচ্ছিস মনে হচ্ছে তুই ছেলেটার উপর মারাত্বক ক্রাশ খেয়ে বসে আছিস আব তেরা কেয়া হোগা ফারহা..?? .”(তিন্নি).

তিন্নির কথাটা যেনো বার বার ফারহার কানে বেজে উঠছে ৷ আমি ক্রাশ তাও ওই লোকটার উপর হাউ ইজ ইট পসিবেল !!!! নাহ এই ফাজিল গুলো কে বুজতে দেওয়া যাবে না নাহ হলে সারা দিন আমার মাথা খাবে…

” ডাফার আমি কেন ক্রাশ খাবো আমি তো যাষ্ট ইভার ভূল ধারনাটা ধরিয়ে দিচ্ছি দ্যাটস ইট..”(ফারহা)

“এই তোদের গবেষনা শেষ হলে সামনে তাকিয়ে দেখ সবার জমরাজ আসছে…”(আফিফ)

আফিফের কথায় সবাই সামনে তাকিয়ে দেখে প্রিন্সিপাল স্যার রেগে বড় বড় চোখে তাকিয়ে ওদের দিকে আসছে ৷ প্রিন্সিপাল কে দেখে ফারহার কাপাঁ কাপিঁ শুরু হয়ে গেলো কারন কলেজে ঢুকতে ফারহার নজরে সিসি ক্যামেরা টা আসে বিষয় টা তিন্নি কে জানায় না কারন তিন্নি অযথায় প্যানিক করে কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না প্রিন্সিপাল হয়তো সব জেনে গেছে….

” গুড মরনিং স্যার !!!!”(সবাই একসাথে)

প্রিন্সিপাল আড়চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ” গুড না ব্যাড মরনিং তা তো পরে দেখা যাবে তার আগে তোমরা ক্লাসে যাও এখুনি ক্লাস শুরু হবে…..”

প্রিন্সিপালের কথা শুনে এক সেকেন্ড ও না দারিয়ে দৌড়ে ক্লাসে চলে গেলো সবাই..

” ভাইরে ভাই আজ মরতে মরতে বেঁচে গেছি কিন্তু টাকলু স্যার এমন কথা বললো কেনো ..?? পরে নাহ হয় ভাবা যাবে তার আগে ওদের সব টা বলি নয়তো বিনা মেঘে বর্জ্যপাত হবে”(ফারহা)
*

*
মেঘ আগুনের সামনে দারিয়ে আছে ৷ আগুনের মাথায় গভীর আঘাত লাগায় আগুনের জ্ঞান ফেরেনি ৷ মেঘ কিছুক্ষন আগুনের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে আসলাম কে নির্দেশ দেয় আগুন কে হসপিটালে ভর্তি করে দিয়ে আসতে৷ কথাটা শোনা মাত্র আসলাম মনে হয় অবাকের চরম পর্যায় ৷ মেঘ আসলামের মুখের সামনে তুরি বাজাতে আসলামের হুস ফিরে আসে ……

— ” বস আপনি এটা কে ছেড়ে দিবেন..?? কিছু না করে..??”(আসলাম)

আসলামের কথায় মেঘ স্মিত হেসে আসলামের দিকে তাকিয়ে বলে ..” এই মেঘ চৌধুরী কখন তার শত্রুদের ক্ষমা করে না আসলাম ৷ আমার কাছে যুদ্ধে নামা মানে নিজের শত্রুদের দূর্বলতা জেনে সেখানে আঘাত করা ৷যাতে পরবর্তীতে লড়াই করার শক্তি সাহস কোন টাই না থাকে৷ You Know That Aslam Everything is fair in love and war………”

মেঘের নির্দেশনা মতো আসলাম আগুন কে হসপিটালে ট্রিটমেন্ট দিয়ে আবার নিয়ে আসে তবে পুরো সময় টাই আগুন কে অজ্ঞান করে রাখা হয়েছে ৷ এদিকে আরিয়ান খান ছেলের শোকে পাগল প্রায় তখনি আরিয়ান খানের ফোন টা বেজে ওঠে
আননোন নাম্বার দেখে দ্রুত কলটা রিসিব করে আরিয়ান খান…..

— ” হ্যালো হ্যালো কে বলছেন..?”

— ” মেঘ চৌধুরী অরফে কিং….” নামটা বলে মেঘ থেমে গেলো কারন হু কারন টানা হয় পরে জানতে পারবেন….

কিং নামটা শুনে আরিয়ান খান বুকে হাত দিয়ে বসে পরে ..” কি,,কিং ” ব,,বস আ,,আপনি আ,,আমাকে কল করেছেন..?

— ” কলটা আমার লোকেরা করতো কিন্তু আমি কলটা করলাম ৷ তো মিস্টার খান কিংয়ের সাথে কথা বলতে পেরে কেমন লাগছে আপনার নিশ্চয় এখন বুকে হাত দিয়ে বসে আছেন ৷ বুকের ভিতর চিন চিন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে ..?? “(মেঘ)

—” বস আমি কি কোন অপরাধ করেছি ..??”

আরিয়ান খান কথাটা ভয়ে ভয়ে জ্বিগাসা করতেই মেঘ শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো ” খান আমার জিনিসে যদি কেও হাত বারায় তাকে আমি কি করি তা সেটা খুব ভালো করেই জানিস ৷ ”

—” বস আ,, আমি আপনার জিনিসে হাত দিয়েছি..??” (অবাক হয়ে)

প্রশ্ন টা করে যেনো আরিয়ান খান বোকা বনে গেলো ৷ এখন বুজতে পারছে কিং য়ের জিনিসে হাত দেওয়ার কথার মানে টা ৷

— ” খান আমি কখনো কাউকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দি না তবে তোকে দিলাম কারন একটাই তুই আমার লোক ৷”

— “বস আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন আপনার জিনিসে আমার ছেলে হাত দিবে না আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ..”

— ” খান তোর বাড়ির বাইরের দারিয়ে থাকা গাড়িতে তোর ছেলে আছে …”

কথাটা বলে মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে দিলো৷

— ” আসলাম প্রেয়শী কে আগামি পনেরো মিনিটের মধ্যে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই..”

কথাটা বলে মেঘ চোখ বন্ধ করে এরিকের মাথার উপর রাখা ফুলের বাজ টায় গান তাক করে শুট করে দেয়…ভয়ে এরিক ওখানে শুয়ে পরে তা দেখে আসলাম হা হা করে হাসতে থাকে ৷ আসলাম কে এভাবে হাসতে দেখে মেঘ চোখ গরম করে তাকাতে আসলাম হাসি বন্ধ করে ভো দৌর লাগায় ফারহা কে আনতে…🏃🏃
*

*
— ” ওয়াট দ্যা হেল ফারু তুই জানিস তোর এই কান্ডের জন্য আমাদের পুরো গ্যাং টা প্রিন্সিপাল স্যারের নজরে পরে গেলো ..?”( রাব্বি)

— ” চুপ ওই সালা টাকলুর নজরে পরলে তোর বাপের কি তুই এতো হাইপার হচ্ছিস কেনো..?? “(ফারু)

— ” দেখ বাপে যাবি না তাহলে কিন্তু আমি তোর মায়ে যামু…”(রেগে বললো রাব্বি)

— ” তুই কিন্তু..বাকি টা বলতে না দিয়ে আফিফ চেচিয়ে উঠলো …” চুপ একদম চুপ তোরা দারিয়ে দারিয়ে ঝগড়া না করে একটা Solution দিবি তা না ৷ আর একটা কথা বললে দুইটার মাথায় আমি কাঠাল ভাঙ্গমু..”

— ” আফিফফা তোর একদিন নয় তো আমার একদিন কাঠাল ভাঙ্গবি দারা দেখাচ্ছি মজা ”

আফিফ ফারহার হাত থেকে বাচার জন্য দৌড়ে কলেজ থেকে বের হয়ে যায় ফারহা আফিফের পিছু নিয়ে দৌড়ে কলেজের বাইরে আসতেই ফারহার সামনে একটা কালো মাইক্রো দারিয়ে ফারহার হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে গাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে নেয় ……….
*

*

#চলবে…………………….🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here