#তোমার_আমার_প্রণয়
#israt_jahan_arina
#part_8
রাত প্রায় আড়াইটা। মেহবুবা রহমান নিজের রুমে বসে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ছেন।নিজের মনকে শান্ত রাখার একমাত্র ঔষধ হচ্ছে নামাজ। নিজের দুই ছেলের প্রতি ভীষণ অসন্তুষ্ট তিনি।
হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে তার টনক নড়লো। এত রাতে কে বাসায় আসতে পারে সেটা তার জানা। তবুও উঠে নিজের রুমের দরজায় এসে দাঁড়ালো। বাসার কাজের মেয়েটা ঘুম ঘুম চোখে উঠে দরজা খুলে দিলো। জয় আর মাহাদ এসেছে। জয় মাহাদকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অতিরিক্ত ড্রাংক মাহাদ। ঠিকমতো দারাতেও পারছে না। জয় কোনোমতে ধরে তাকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে তুলছে। ছেলের এই অধঃপতন মেহেবুবা রহমান কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। তিনি আর রুম থেকে বের হলেন না।
কলিং বেলের শব্দে শামসুন্নাহার বেগম সিঁড়ির সামনে এসে দাড়ালেন। মাহাদের কাছে আসতেই চোখমুখ কুঁচকে ফেলেন। মদের গন্ধ তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারেন না। অতি আদরের নাতিটা এভাবে জীবনটাকে ধ্বংস করছে দেখে তিনি ভীষণ কষ্ট পান। জয়ের পিছুপিছু তিনি মাহাদের রুমে আসলেন। জয় কোনমতে মাহাদকে বিছানায় শুইয়ে দিল। শামসুন্নাহার বেগম এগিয়ে এসে মাহাদের পা থেকে জুতা খুলতে লাগলেন। আর বিড়বিড় করতে লাগলেন
-“ওই কালনাগিনী টা আমার সোনার সংসার ধ্বংস করে ফেলছে। ওই মা** জন্য আমার নাতিটা রসাতলে গেল।”
দাদির বিড়বিড় শুনে জয় কিছুটা বিরক্ত হলো। এই বুড়িকে জয় একদমই পছন্দ করেনা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা এই মহিলার কাজ।
জয় কে উদ্দেশ্য করে দাদী বললো
-“ওই জয়, তুই মাহাদরে এই সব ছাইপাশ খাইতে আটকাইতে পারিস না?”
জয় কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। সে বললো
-“দাদী আপনি তো জানেন মাহাদ কে। ও কারো কথা শোনে?”
জয়ের কথা শুনে দাদী চোখ মুখ কালো করে ফেললো। আর বললো
-“তুই আটকাবি কেমনে? তুই তো নিজেই ছাইপাশ গিলা বইসা আছস।”
জয় এবার কিছুটা লজ্জা পেল। এমনিতেই বেচারা মহা টেনশনে আছে। রাত আড়াইটা বাজে অথচ সে বাসায় পৌছায়নি। বউ যে আজ তাকে সেই ক্যালানি দেবে তা সে ভাল করেই বুঝতে পারছে। তাই সে দ্রুত দাদীকে বিদায় দিয়ে বেরিয়ে গেল। শামসুন্নাহার বেগম কিছুক্ষণ মাহাদের চুলে হাত বুলিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
________________________
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল দৃশ্যর। দ্রুত উঠে রেডি হয়ে নাস্তার টেবিলে বসলো। লতা আপু আগেই টেবিলে বসে নাস্তা করছে। দৃশ্যকে দেখে বললো
-“কিরে রাতে তোর ঘুম হয়নি? চোখের নিচে কেমন কালো হয়ে গেছে?”
-“না আপু তেমন কিছু না।”
-“কাল অফিস থেকে আসার পর থেকেই তোর মুড অফ দেখছি? কী হয়েছে?”
দৃশ্য জোরপূর্বক হেসে বললো
-“কি যে বলো না আপু, তেমন কিছুই না।”
-“বুঝলাম। অফিস থেকে এসে তোর সময় হবে? আসলে চিন্তা করছিলাম আজ বিকেলে একটু বাজারে যাব। অফিসের ব্যস্ততায় বাজার করতে পারিনি দুই দিন। আর জিনিয়া তো অনেক লেট করে আসে।”
-“ঠিক আছে আপু। সন্ধ্যার দিকে আমরা যাব।”
লতা কিছুক্ষণ দৃশ্যের দিকে খেয়াল করে বললো
-“কিছু হয়েছে দৃশ্য?”
প্রশ্নটা দৃশ্যর মনে ভীষণ ভাবে আচর কাটলো। আসলেই কি কিছু হয়েছে? কিছু হওয়ার তো কথা নয়। অন্তত সে এতটা দুর্বল তো নিশ্চয়ই না। সে হালকা হেসে বললো
-“কিছুই হয়নি আপু,তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো।”
-“আচ্ছা ঠিক আছে তুই নাস্তা করে বের হ।আমি বেরিয়ে যাচ্ছি আমার আবার দেরি হয়ে যাবে।”
-“ঠিক আছে আপু।”
ভিড় ঠেলে খুব কষ্টে বাসে উঠলো দৃশ্য। কিছু টাকা হাতে রাখা প্রয়োজন। তাছাড়া আজ বাজার করতে হবে, তার কিছু দেওয়া দরকার। তাই আজ রিক্সা নিলো না। দৃশ্যর বেতন খারাপ না। তবে বিগত কয়েক মাসে অগ্রিম খরচ এর তালিকা টা বেশ বড় হয়ে গেছিল। তাই এই মাসে প্রেসারটা বেশি যাচ্ছে। নেক্সট মাসে অনেকটা সামলাতে পারবে।
ড্রিম ফ্যাশন হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে দৃশ্য একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো। নিয়তি তাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করাবে সেটা তার ভাবনাতে ছিল না। অন্তত ওই মানুষটার মুখোমুখি সে হতে চায়নি। মাথায় শুধু অতীতের স্মৃতিগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে।
দৃশ্য আর মাহাদের প্রায় প্রতিদিনই দেখা হয় স্কুলে। সরাসরি কথা না বললেও আড়চোখে দুজন দুজনকে দেখে থাকে। মাঝে মাঝে মাহাদ তার বান্ধবীদের স্পেশাল অফার দিয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে সে অফার মাহাদের উপরই ভারি পড়ে যায়। যেমন সেদিন দৃশ্য আর তার বান্ধবীরা ক্যান্টিনে এসে বসেছিল। মাহাদ ও তার বন্ধুরা তখন ক্যান্টিনে বসে চা খাচ্ছিল। দৃশ্য কে আসতে দেখেই রাফসান মৌকে তাদের টেবিলের কাছে আসতে ইশারা করলো। মাহাদরা তাকে ডাকছে ভেবে খুশিতে গদগদ হয়ে উঠেছে মৌ। মৌ যেতেই রাফসান বললো
-“ছোট আপু আজ এত দেরিতে আসেলে যে ক্যান্টিনে।”
-“এমনি।কিছু বলবেন ভাইয়া?”
-“ইসস!!মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে ছোট বেয়াইন টার।”
মৌয়ের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। সিনিয়র ভাইগুলা কি তার সাথে মজা করার জন্য ডেকেছে। পাশের টেবিলে দৃশ্য, নাবিলা আর সায়মা বসে দেখছে রাফসানের কান্ড।জয় বলে উঠলো
-“যেহেতু দেখছিস আমাদের বাচ্চা বিয়াইন টার মুখটা শুকিয়ে গেছে। তাহলে দাড়িয়ে আছিস কেন ঠান্ডা কিছু খাওয়া।”
দৃশ্য বুঝতে পারলো মাহাদের ফ্রেন্ডরা মৌয়ের সাথে মজা নিচ্ছে। দৃশ্য দ্রুত মৌ এর পাশে এসে দাঁড়ালো। মাহাদ কপাল চুলকে আড়চোখে দৃশ্যের দিকে তাকালো। দৃশ্য মুচকি হেসে বললো
-“হ্যাঁ ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। শুধু আমার ফ্রেন্ডের না, আমাদের সবারই গলা শুকিয়ে গেছে। কিন্তু আপনাকে কষ্ট করে যেতে হবে না ভাইয়া। আমরাই যাচ্ছি আপনি কষ্ট করে একটু বিল টা দিয়ে দিয়েন।”
রাফসান হেসে মাথা ঝাঁকিয়ে বললো
-“হ্যাঁ অবশ্যই পিচ্ছি ভা… সরি আপু।”
দৃশ্য একবার আড়চোখে মাহাদকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে মৌ কে সাথে নিয়ে চলে গেল।
দৃশ্যর সেই হাসিটা অনেক রহস্যজনক লাগলো মাহাদের কাছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর ক্যান্টিনের ছেলেটা বিল নিয়ে রাফসানের সামনে ধরলো। রাফসান হাসিমুখে বিল টা নিয়ে খুলে স্তব্ধ হয়ে গেলো। সাড়ে তেরো হাজার টাকা বিল। রাফসানের বিস্ময় ভরা মুখ দেখে জয় বিলটা হাতে নিলো। সে রীতিমত শক। দুইজনের চেহারার দিকে তাকিয়ে মাহাদ বিল টা নিয়ে দেখলো।রাফসান বির বির করে বলে উঠলো
-“মামা ভুলটা আমারই ছিল। পিচ্চি ভাবির সাথে তো আর পারিনা। ভাবলাম তার বান্ধবীকে একটু জব্দ করব। কিন্তু ভাবি তো পুরা পকেটে লাথি মারলো।”
জয় বললো
-“পিচ্চি ভাবিকে এখানে আসতে দেখে তখনই আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। নিশ্চয়ই একটা ঝামেলা পাকাবে।”
মাহাদ মনে মনে একটু হাসলো। এই পিচ্ছিটা আসলেই সেই একটা জিনিস। পুরো পৃথিবীতে মনে হয় এক পিস। এমনিতে দেখলে মনে হয় ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে শয়তানি বুদ্ধি সারাক্ষণ ঘুরে। মাহাদ ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলো এতো বিল এর কারণ কি?
ছেলেটা জানালো বিশ টাকার দুইশ টা কোক আর চল্লিশ টাকার দুইশ সাব বার্গার নিয়েছে।সাথে কয়েক বোতল পানি।
ছেলেটার কথা শুনে মাহাতো তার বন্ধুরা হা করে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা আরও জানানো ক্লাস এইট এর দুই সেকশনের সকল স্টুডেন্টদের এই খাবার দিয়েছে। দৃশ্য যে তাদের বড় রকমের একটা বাশ দিয়ে গেল সেটা বুঝতে তাদের বেশি সময় লাগল না। শেষ পর্যন্ত এই বিল মাহাদকে পরিশোধ করতে হয়েছে।
সেদিন বিকেলে কোচিংয়ে বের হয়েছে দৃশ্য আর নাবিলা। মাহাদ সাইডে বাইকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।দৃশ্য মনে মনে যে ভয় পাচ্ছিলো তাই হলো। মাহাদের ভয়ে আজ কোচিং আসতে চায়নি।কিন্তু বাবা আজ বাসায়।তাই আসতে হলো।দৃশ্য কে দেখতেই এখানে দাঁড়িয়ে থাকে মাহাদ।
দৃশ্য কে আসতে দেখে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে তার কাছে ডাকলো। মনে মনে কিছুটা ভয় পাচ্ছে দৃশ্য। মাহাদের সাথে তার সম্পর্ক তা অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে। তবুও আজ যেই কাণ্ড ঘটিয়েছে নিশ্চয়ই মাহাদ তাকে বকা দিবে। মাইরও দিতে পারে। মুচকি হেসে মাহাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। মাহাদ দুই হাত ভাঁজ করে দাড়িয়ে বললো
-“কি ব্যাপার আজ এতো দেরি করে আসলে কেনো?”
-“এমনি।দেরি হয়ে গেছে।”
-“নাকি আমার ভয়ে আসতে চাইছিলে না?”
দৃশ্য আমতা আমতা করে বললো
-“আমি ভয় কেনো পাবো?আপনার বন্ধু না আমার বান্ধুবিদের তৃষ্ণা মেটাতে চেয়েছিলো?তাই আমার সব বন্ধুদের ট্রিট দিয়ে দিলাম।”
-“ভালো করেছো। ভবিষ্যতে এমন চলতে থাকলে আমার সংসার যে লাটে উঠবে তা বুঝা হয়ে গেছে।”
দৃশ্য মাহাদের কথা কিছুই বুজলো না।বললো
-“মানে?”
-“মানে কিছু না। যাও কোচিং এ যাও।”
-“ওকে।”
দৃশ্য চলে যাচ্ছে আর মাহাদ এক দৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিয়ে আছে।এই পিচ্ছি টা কবে বড়ো হবে?
আজ কাল দৃশ্য নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হচ্ছে। মাহাদকে দেখলে তার বুকের বা পাশে শীতলতা বয়ে যায়। মাহাদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলতে ভীষণ ভালো লাগে।দৃশ্যকে মাহাদের যেই জিনিসটা আকৃষ্ট করে তা হলো মাহাদের ধূসর চোখ।একদিন তো বলে ফেলেছিলো
-“আপনার চোখ বিড়ালের মত কেনো?”
-“বিড়ালের মত! এটাকে ধূসর চোখ বলে।”
-“কিন্তু আমার কাছে তো কেমন বিড়াল বিড়াল লাগে।”
-“তার মানে আমার চোখ তোমার পছন্দ না?”
-“তা বলিনি। আমার আপনার এই বিলাই চোখ গুলো অনেক ভালো লাগে।”
-“আল্লাহ এতক্ষণ বিড়াল অব্দি ঠিক ছিলো। এখন তো সোজা বিলাই তে চলে আসছে।”
মাহাদে কথা শুনে দৃশ্য খিল খিল করে হেসে উঠল।
মাহাদ হঠাৎ দৃশ্য কে বলে উঠলো
-“দৃশ্য একটা কথা জিজ্ঞেস করি?”
-“বলুন।”
-“তোমার কাছে ভালবাসার মানে কি?”
কথাটা শুনে দৃশ্য কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকলো। তারপর বললো
-“জানিনা। তবে আমি মা কে আর ভাইয়াকে প্রচন্ড ভালোবাসি।বাবাকেও বাসী কিন্তু তাদের দুজনের থেকে একটু কম।”
কথাটা বলেই সে শব্দ করে হেসে উঠলো। যে হাসি মাহাদের মনে কম্পন সৃষ্টি করলো।সে বললো
-“আমরা সবাই ফ্যামিলি কে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু আমি তোমাকে এই ভালবাসার কথা বলছি না।”
-“ও বুঝতে পেরেছি। ফ্যামিলি বাদে আমি নাবিলাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তারপর মৌ আর সায়মাও আছে।”
মাহাদের এবার নিজের কপাল নিজেই চাপড়াতে ইচ্ছা করছে।কাকে কি বলছে?এই পিচ্ছির মাথায় শুধু শয়তানি বুদ্ধি ছাড়া আর কিছু নাই।আর সে এক পাগল গেছে এই পিচ্চিকে ভালোবাসা বুঝাতে।
দৃশ্য কথা শেষ করে গেলো ডিনার করতে।টেবিলে বসে খেতে শুরু করলো।দৃশ্যর বাবা গম্ভীর মুখে বললো
-“দৃশ্য এইবার ফাইনালে যদি তোর রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তো এই মোবাইল আমি এক আছাড়ে ভাঙবো।যখন দেখি তখনই হাতে মোবাইল।”
দৃশ্য ভীষণ ভয় পেয়ে গেল।আজ কাল সে আসলেই বেশি মোবাইল হতে নিয়ে ঘুরছে। সারাক্ষণ মাহাদের সাথে চ্যাটিং চলে তার।ভয়ে আমতা আমতা করে বললো
-“সরি বাবা।এমন আর হবে না।”
-“মনে থাকে যেন।আর ফাহিম তুই রাতে দেরি করে বাসায় আসা শুরু করেছিস?”
বাবার কথা শুনে ফাহিমের কাশি উঠে গেলো।সে বুঝতে পারলো এখন তার ক্লাস নিবে বাবা। রাগী চোখে দৃশ্যের দিকে তাকালো। ভাইয়ের দৃষ্টি বুঝতে পেরে দৃশ্য মুখ ভেংচি কাটলো। যার মানে এবার তোমার খবর আছে।
ফাহিম এক গ্লাস পানি খেয়ে বললো
-“নাতো বাবা।আমি তো ঠিক সময়ে বাসায় চলে আসি।”
-“এমনটাই যেনো হয়।”
-“জি বাবা।”
দৃশ্য ফাহিমের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। আর ফাহিম তাকে বারবার চোখ রাঙাচ্ছে। খাওয়া শেষে দৃশ্য রুমে গেল।ফাহিম দৃশ্যর রুমে এসে বললো
-“ওই সারাদিন তোর মোবাইলে কি?বাবা অব্দি নোটিস করেছে?”
-“আমি কি করবো?আমি সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকলে বাবা দেখে না। যখনই ফোন হাতে নেই বাবা চলে আসে।”
-“এমন কিছু করিস না যাতে ভাই রাগ হয়ে যাই।আমাদের মান সম্মান যাবে এমন কিছু ঘটলে বাবার আগে আমিই তোকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবো।”
দৃশ্য বিরক্ত হয়ে বললো
-“আমার সাথেও গুন্ডামি শুরু করেছিস ভাইয়া?তুই না পাশের এলাকার কোন ছেলেদের সাথে দুইবার মারা মারি করে হসপিটাল অব্দি পৌঁছেছিস।তবুও তোর গুন্ডামির সখ মিটেনি?”
ফাহিম রেগে দৃশ্যর বেনুনিতে দিলো এক তান।দৃশ্য চিৎকার দিয়ে ফাহিমকে মারতে দৌড়াতে শুরু করলো।দুই ভাই বোন খুনসুটিতে মেতে উঠলো।