#নিনীকা
#পর্ব_২৫
ওয়াশরুমে থেকেই নিনীকা ডাকলো,
—এক সেট কাপড় দিন আমায়, শাওয়ার নিয়েই বের হবো। গা ভিজিয়ে মনে হলো কাপড় নেই।
রওনক সিগারেট লুকিয়ে বড় একটা তোয়ালে নিনীকার হাতে দিয়ে বললো,
—আপনার কাপড় আমি মিলিয়ে বের করতে পারবো না। এটা দিয়ে কাজ সারুন আপাতত!
তোয়ালে হাতে নিতে নিতে একটুখানি মুখ বের করে নিনীকা রিকোয়েস্ট করে বললো,
—মদ পাওয়া যাবে কোথাও বা গাঁজা? আমার অনেক দুঃখ দুঃখ লাগছে। মদ খেলে নাকি কষ্ট কমে?
রওনক স্পিচলেস! সে রাগ করে সিগারেট ফুঁকছিলো। এই মেয়ে তারও দুই ডিগ্রী উপরে। নিনীকা ওয়াশরুম থেকে আবার চেঁচালো,
—পাওয়া যাবে?
যথাসম্ভব ধমকের স্বরে রওনক বললো,
—আমার খুবই নিয়মমাফিক জীবন। হিসেবের বাইরে একচুমুক পানিও নয়, আবার মদ! আপনি পাগল হয়ে গেছেন ডক্টর।
শাওয়ার শেষে নিনীকা টাওয়াল মুড়িয়ে বের হয়ে রওনকের সামনে এসে দাঁড়ালো। চুল মুছেনি একটুও নিনীকা। সারা ফ্লোরময় টুপটুপ পানি! রওনক হা করে তাকিয়েই আছে। থাকুক তাকিয়ে; শরীর নিনীকার কাছে তুচ্ছ ব্যাপার। তার কাছে মনের অভিমান অনেক বড়। রওনক তো আর দেখে শুনে বিয়ে করেনি নিনীকাকে।
একদিকে মাথা নুইয়ে চুলে হাত দিয়ে ঝাঁকি দিতে দিতে
খুব সহজভাবে সে বললো,
—রেগে থেকে বেশি কষ্ট আমিই পাচ্ছি। তাই ঠিক করেছি একেবারে সব বাদ দিয়ে দিবো।
ফর্সা আর্মপিট দেখা যাচ্ছে। রওনকের দৃষ্টি ওদিকে।
নিনীকা আবার বললো,
—সব বাদ্। নো বেগুন খেত, নো ছাগলের যন্ত্রণা। বুঝলেন নায়কসাহেব!
রওনক তড়াক করে উঠে গিয়ে নিনীকাকে জড়িয়ে ধরলো। ঘাড়ের কাছে চুমু খেয়ে বললো,
—রাগ তাহলে একেবারে গেল। উফ্ আমার যে কি চাপ লাগছিলো!
দু-হাত ছাড়িয়ে নিয়ে নিনীকা বললো,
—রাগের কথা কে বলল? আপনাকে একেবারে বাদ দিয়ে দিবো, সেটা বললাম!
—ওহো তাই নাকি? আমাকে এখনো বাদ দেননি তাহলে?
রওনক দরজাটা লক করে এসে নিনীকার তোয়ালেটার পিঠের দিকের অংশটা খুলে নিয়ে বললো,
—ওহো চুল মুছে দিচ্ছি আপনার শেষবারের মতো।
তোয়ালেটা শক্ত করে চেপে ধরলো নিনীকা।
—এত সখ তো নিজের তোয়ালে দিয়ে মুছুন না। এটা কেন টানছেন?
রওনক নিজের গায়ের টি-শার্ট খুলে বললো,
—ওকে, এটা দিয়ে মুছে দিচ্ছি তাহলে।
নিনীকা সরতে গেলেও রওনক ছাড়লো না। শক্ত করে টেনে ধরে বললো,
—এক ঘুষিতে দশ গুন্ডা মারতে পারি আমি। এক নিনীকা তো কিছুই না।
নিনীকা ফিসফিস করে বললো,
—ছাড়ুন আমাকে, ছাড়ুন। লাস্ট উইকে আপনি আমায় ফোন করেছেন মাত্র দু-বার। এটা সম্পর্ক?
রওনক তার থেকে আরো আস্তে ফিসফিসিয়ে বললো,
—ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না। দরকার হলে দুনিয়া ছেড়ে দিবো, তাও আপনাকে ছাড়বো না ডক্টর। আর ফোন করলে ধরছেটা কে? তুলছেই না কেউ। সব কথা তো সোহেলের সাথে আপনার।
—উফ সিগারেটের গন্ধ লাগছে। ছিঃ ইয়াক!
রওনক হেঁচকা টানে নিনীকাকে কোলে নিয়ে বললো,
—লাগুক গন্ধ! আমার ভালোবাসা সিগারেটময় ভালোবাসা। আপনার জন্য আমার পেটেও সিগারেট গেছে। এবার আপনাকে সিগারেটের গন্ধ খাওয়াবো।
নিনীকা জবাব দিলো না। একবার শুধু আস্তে করে বললো রওনকের কানে কানে,
—ছেলেমানুষ দেখতে এত সুন্দর হওয়ার কি দরকার আছে? আমার ব্যাপারটা খুব লাগছে…
সেই রাত জেগেই পার হলো দু-জনের। একশো হাজারটা প্ল্যান করা হলো। ফিউচার ওয়ার্কের প্লান হলো। সপ্তর্ষি সন্তানের কথা ভাবা হলো, জোছনায় ময়ুরের পেখম খোলার কথা ভাবা হলো, শীতের রাতে কিভাবে ঘুমানো হবে তা ভাবা হলো, আরও কত কি!
সকালে ডাকতে এসে সোহেল রওনক স্যারের কাছে প্রথম যে কথাটা শুনলো, তা হলো,
—আগামী কিছুদিনে যত কাজ আছে পেছাও। যেভাবে পারো পেছাও। বলে দাও যে আমি হাত বা পা কিছু একটা ভেঙ্গে ফেলেছি। অর লঞ্চে করে বরিশাল যাবার ব্যাবস্থা করো। হানিমুন হবে বরিশালে।
সোহেল স্তম্ভিত হয়ে গেল। স্যারের হানিমুন বরিশালে? একবার নিউজ লিক হলে তো শেষ।
—বরিশাল মানে স্যার! দেশের বাইরের অনেক ট্রিপ অনেকের পক্ষ থেকে অলরেডী অফার করাই আছে। আর এইসব কথা লিক ফিক হলে?
—তোমাকে ম্যানেজার করার একমাত্র কারণ, তুমি সব ম্যানেজ করবে বলে। প্রশ্ন করার জন্য নয় কিন্ত!
সোহেলের মেজাজ চূড়ান্ত খারাপ হয়ে গেল। স্যারের বউ তো এক রাতেই পুরো মাথাটা খেয়ে নিয়েছে দেখছি স্যারের। কি সব ডিসিশন!
সকালে ব্রেকফাস্টের টেবিলে রওনকই সার্ভ করলো নিনীকাকে। মোবাইলে রওনককে ভিডিও করতে করতে নিনীকা বললো,
—বাহ্ এত যত্ন! আমি কিন্তু ছুটি ফুটি পাবো না, কনভিন্সের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না কিন্তু।
—ছুটি তো আমি ম্যানেজ করবো, শুধু ইচ্ছে দরকার আপনার ডক্টর!
রুটি ছিড়ে নিয়ে তা ঝোলে ভেজাতে ভেজাতে বললো নিনীকা,
—আমার ইচ্ছে নেই তো।
—-আমি যদি আয়নার মজার কথাটা বলতে পারি, তাহলে?
নিনীকা লজ্জা পেলো খুব।
—প্লিজ বলবেন না ওটা… প্লিজ..
—শুনেই দেখুন না ঠিক বললাম কিনা??
নিনীকা দু-হাতে কান চেপে ধরলো।
—এই আয়নাটির মজার ব্যাপারটা হলো, এই বিশেষ ধরনের আয়নাটি রাজপরিবারের আরেকটি বিশেষ উপলক্ষে ব্যবহৃত হতো। তা হলো, আগেরদিনের সম্রাটদের স্ত্রীরা যখন মান্থলি পিরিয়ডে অসুস্থ হতেন, সেটা মুখে বলতেন না। যেদিন অসুস্থ হতেন, সেই দিন রাণী এসে সম্রাটের কাছে এই আয়নাটি চাইতেন। বলতেন, জাহাপনা আপনারা তারকা দর্পন দিন তো; আমি আজ মুখ দেখবো ওতে।
সম্রাট তখনি মন খারাপ করতেন। কারণ এর মানে হলো, রাণী পরের সাত রাত্তিরের জন্য আলাদা থাকবেন। বিশেষ ও গোপনীয় এই নাটকীয় পদ্ধতিটি সম্রাট ও তাঁর সম্রাজ্ঞীরাই ব্যবহার করতেন শুধু।
উত্তর কি ঠিক হলো?
নিনীকা শুধু তাকালোই। বললো না কিছু।
—রাজা-রাণীদের ব্যাপার স্যাপারে কত চার্ম ছিল! তাই না ডক্টর? আপনি ভেবেছিলেন, প্রতিবার আপনি যখন এসে আয়না চাইবেন রাজাদের মতো আমিও মন খারাপ করবো। তবে আপনি একটু ভিন্নভাবেও ভেবেছিলেন। সেটা হলো যেসময় ঝগড়া হবে আমাদের মাঝে, সে রাত্তির আলাদা থাকার হুমকি আপনি আমাকে আয়না চেয়েই দিবেন। এম আই রাইট?
নিনীকার চোখেমুখে খুশির হাসি।
—আমরা কবে বরিশাল যাবো?
রওনক নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে আসলো নিনীকার কাছে। নিনীকার প্লেটটা হাতে নিতে নিতে বললো,
—খাইয়ে দিচ্ছি আমি। ইলার ব্যাপারটা আমার প্রথম বলেই কি এত রাগ? তখন তো আমি আপনাকে পাইনি খুঁজে ডক্টর।
নিনীকা রওনকের শার্টের বুকের বোতামটা খুলে দিয়ে বুকের কাছের সেখানে গাল ছুঁইয়ে বললো,
—আমাদের কিন্তু অনেক কাজ সামনে। এই ব্রেকটার পর দুজনের খুব করে খাটতে হবে। দাদীমা বলতেন, বিয়ের পর নাকি মেয়েদের মনের জোর অর্ধেক হয়ে যায় কিন্তু আমার তো দ্বিগুণ হলো।
দু-চারমিনিট দু-জনেই চুপ। নিনীকা কাঁদছে। রওনক বাঁধা দিলো না।
—একটা জিনিসে খুব কৌতুহল আমার! জিজ্ঞেস করি ডক্টর?
মুখটা না তুলেই নিনীকা মাথা নাড়লো।
—আপনার বাবা কি আপনার মায়ের উপর কোনো কারণে অভিমান করে আছেন?
নিনীকা স্বাভাবিক হয়ে কাপে চা ঢালতে লাগলো।
—আপনি কি করে বুঝলেন? কেউই তো জানে না এটা। পাপা আমার সিক্রেট।
—এমনিতে তো বুঝা যায় না। আপনাকে প্রায়ই বলতে শুনি, পাপা মাকে ভালোবেসো।
কিছু না বলে নিনীকা চায়ে চিনি মেশাতে থাকলো। রওনক নিনীকার হাতটা চেপে ধরে একই সাথে কাপে চিনি নাড়তে নাড়তে বললো,
—আপনার বলতে ইচ্ছে না করলে থাক ডক্টর।
—পাপার বিয়ের পর পাপা মাকে একটি বিশেষ জিনিস উপহার দিয়েছিলেন, মা সেই জিনিসটা কাউকে দিয়ে দেন পাপার অনুমতি ছাড়াই। তারপর থেকেই রাগ। এটা কিন্তু পাপার পাতানো উত্তর। কিন্তু সত্যিকারের উত্তরটা হলো, আমার সেই গায়িকা মায়ের কাছে মা আমার স্নেহের জন্য অনেকবার গিয়েছিলেন। সেই মা একটা শর্তে পাপাকে বিয়ে করে সংসারে আসতে চেয়েছিলেন। শর্তটা হলো, মা যদি পাপাকে ডিভোর্স করেন তাহলে গায়িকাবানু এসে সংসারে থাকবেন এবং আমিও মায়ের আদর পাবো।আমার সহজ সরল মা ওই নোংরা প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়ে পাপাকে ডিভোর্স করতে চেয়েছিলেন। সেখানেই পাপার রাগ। যে মহিলা সন্তান এবোর্শানের মতো কাজ করতে পারেন, সে মহিলার কথা মা কেন শুনতে গেলেন? এই জিনিসটাও আমি পাপার বিভিন্ন সময়ের কথার সূত্র ধরে পেয়েছি কিন্তু।
রওনক বিষন্ন গলায় বললো,
—আপনার অনেক ভালো বুদ্ধি!
—এই বুদ্ধিই কাল হয়েছে সবসময় আমার। এই বুদ্ধি বিবেচনার কারণে জীবনে এত দায়িত্ব। বুঝলেন?
—সত্যি করে বলুন তো, আপনার কোনটা পছন্দ ডক্টর? বোকা না বুদ্ধিমতি?
নিনীকা হাসলো শুধু। সোহেল পাশে এসে বিব্রতভাবে দাঁড়িয়েছে।
—স্যার, ম্যামের পাপা ফোন করেছেন। বরিশালে আপনারা কোথায় কোথায় ঘুরবেন, এক্সাক্ট ডিটেইল চাচ্ছেন। উনার লোক থাকবে ওখানে।
রওনককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিনীকা বললো,
—পাপাকে আমি বলবো। আপনি যান।
সোহেল চলে যেতেই নিনীকা রওনকের গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
—হানিমুনের প্রতিটা দিন আমরা আমাদের মতো করে কাটাবো। কি রাজি তো নায়কসাহেব?
রওনক সানন্দে মাথা নাড়লো।
—স্ট্রিট ফুড খাওয়ার জন্য রেডী হোন এবার। ডাব দিয়ে শুরু হবে কিন্তু!
পরিশিষ্ট: বেশ কয়েক বছর পর বাংলাদেশের সরকারের এক বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের (বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে) কয়েকজন গুণী মানুষকে সম্মানিত করছেন। জাতীয় পর্যায়ে এই
গুণী মানুষদের সম্মাননা ও পুরষ্কার পাবার কারণ; তাদের সমাজে বহুমুখী অবদান। এই অনুষ্ঠানে নারী হিসেবে এই বিশেষ সম্মাননা প্রথমবারের মতো পাচ্ছেন, ডা. নিনীকা চৌধুরী। তিনি সম্মাননা ও পুরস্কার নেবার পর অনুষ্ঠান সঞ্চালক তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
—আচ্ছা, আপনার তো অনেকগুলো পরিচয় ম্যাম। এই যেমন আপনি একাধারে একজন চিকিৎসক, একজন কণ্ঠশিল্পী, একজন সমাজসেবক। আপনার ডাক্তারি ও সংগীত দুটোই আপনি উৎসর্গ করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। আপনার আরো একটি পরিচয়, আপনি এদেশের সবথেকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়কের স্ত্রী। আবার রিসেন্ট একটা পরিচয়, আপনার বড়ছেলেও খুব ভালো ছবি আঁকিয়ে! শিশু পর্যায়ের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও জিতছে সে।তার মানে হলো, আপনি একজন ক্ষুদে আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পীর মা। এর মধ্যে আপনার কোন পরিচয়টি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
নিনীকার চোখ ছলছল করে এলো।
—এই জবাবটা আমি আমার স্বামী রওনকের হাত ধরে বলতে চাই। আমি একা কিছুতেই বলতে পারবো না।
রওনক হাসিমুখে স্টেজে উঠে গিয়ে নিনীকার হাত ধরে পাশে দাঁড়ালো।
নিনীকা তাকালো একবার রওনকের দিকে। গভীর ভালোবাসাময় দৃষ্টি। সেই দৃষ্টি বলছে, আমি খুব ভালোবাসি আপনাকে।
তারপর দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বললো,
—আমার এই সব পরিচয়ই আমার জন্য গর্বের ও আনন্দের। তবে আমার সবথেকে প্রিয় যে পরিচয় তা হলো, আমি ড. আশিকুল হক চৌধুরী এবং মাহবুবা চৌধুরীর মেয়ে। আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাবা-মায়ের একমাত্র আদুরে মেয়ে।
—আপনার মা-বাবা কি এসেছেন ডক্টর নিনীকা?
চোখের জল এইবার গাল গড়িয়ে পড়লো নিনীকার।
—ওই যে আমার মা-বাবা।
সঞ্চালক ডা. নিনীকার মা-বাবাকে স্টেজে আসার জন্য অনুরোধ করলো। আশিকুল সাহেব স্টেজে গেলেন না। তার হাউমাউ করে কান্না পাচ্ছে। পাগলি মেয়েটা যে কি বলে না? মাহবুবা গেলেন স্টেজে।রওনক আর মাকে দু-পাশে নিয়ে আনন্দিত গলায় নিনীকা আরো বললো,
—-একদিন শুধু আমার এই পরিচয়টাই রওনককে আমার জীবনে এনে দিয়েছিলো। আর তার পরের গল্পটা তো সবার জানা। মা-বাবা, আমার সম্মানিত পৃথিবীর নাম।
কনভেনশন সেন্টার সকল দর্শকের হাততালিতে ফেটে পড়লো। নিনীকা রওনকের হাতটা আরো শক্ত করে ধরে ক্লোজ হয়ে দাঁড়ালো। একের পর এক ক্যামেরার ফ্লাশ জ্বলছে। কিন্তু নিনীকা ও রওনক মনে মনে ঠিক জানে, এই এত লোকের মাঝে দুরে কোথাও এক কুৎসিত মহিলা হিংসে ও দুঃখে হাততালি দেয়নি।রাগে সে পুড়ছে খুব। জ্বলছে তার শরীর। ভস্ম হয়ে যাচ্ছে সে।
ইলা তার মেয়েকে টিভির দিকে আঙুল দেখিয়ে বলছে,
—-নিনী মা-মণি দেখেছো? এই নিনীকার মতো কিন্তু হতে হবে তোমায়। এরকম ভালো।
ইলার মেয়ে কপট রাগে বললো,
—আগে কথা দাও রওনক আংকেলের মতো অমন হ্যান্ডসাম নায়ক দেখে বিয়ে দিবে আমায়?
ইলা জবাব দিলো না। কিশোরী মেয়ের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে সে।
(সমাপ্ত)