#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-০৩
০৬।
অফিসে থেকে ফিরেই ধপ করে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিল মাফিন। তার প্রচন্ড ক্লান্ত লাগছিল, তাই শুয়া থেকেই মহুয়াকে জোরে আওয়াজ দিয়ে বলল,
“মহু, আমার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত বানিয়ে আন।”
এদিকে মাফিনের কন্ঠ শুনে মারিয়া লাফিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো। মহুয়া যেই মাফিনের কথামতো শরবত বানাতে যাবে, তখনই মারিয়া বলল,
“আজ ভাইয়ার জন্য আমিই শরবত বানাবো। তুই এখানে থাক।”
মহুয়া ব্যস্ত হয়ে বলল,
“না বাবা না, শরবত ভালো না হলে ভাইয়া আমাকেই বকবে।”
“তোকে বকলে বকতে পারে, আমাকে তো কখনই বকবে না।”
“হ্যাঁ, তুই তো প্রধানমন্ত্রী!”
“আরেহ, আমি নারী জাগরণের নেত্রী।”
“হয়েছে, তোর ভাষণ এখানেই শেষ কর। আমি বানিয়ে দিচ্ছি, তুই-ই ভাইয়ার কাছে নিয়ে যা।”
“তুই কি ভেবেছিস চান্দু, আমি তোর ক্রেডিট নিবো? তুই আমাকে এতোটা সস্তা কিভাবে ভাবলি?”
“ওহ আল্লাহ, মেয়েটা একটু বেশিই বুঝে। দেখুন নেত্রী মহোদয়া, আপনার পরিকল্পনা হচ্ছে এই মুহূর্তে ট্যুরের জন্য মেজ ভাইয়াকে রাজি করানো, ভাইয়াকে শরবত বানিয়ে খাওয়ানো না। তাই আপনি সেটাই চিন্তা করেন। ভাইয়া জিজ্ঞেস করলে না হয়, সত্যিটাই বলবেন। আর শোন, ওটা আমাদের ভাইয়া, কোনো ইনভেস্টিগেটর নয়, যে তোকে এতো প্রশ্ন করবে!”
মারিয়া মহুয়ার কথা শুনে মাথা নেড়ে সম্মতি দিল। এরপর মহুয়া ভাইয়ার জন্য এক গ্লাস শরবত বানিয়ে মারিয়ার দিয়ে পাঠিয়ে দিল। এদিকে মাফিন চোখ খুলে মারিয়াকে শরবত হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো। সে বিছানা ছেড়ে উঠে বসতে বসতে মারিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে রে? তুই আবার কখন থেকে এসব কাজ করা শিখেছিস?”
মারিয়া শরবতের গ্লাস মাফিনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“আগেই বলে দিলাম এই শরবত মহুয়া বানিয়েছে। আমি কিন্তু কারো ক্রেডিট নেই না। আর শরবত নিয়ে আসাটা খুব বড় কোনো কাজ নয়।”
মাফিন শরবত খাওয়া শেষ করে মারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
“আচ্ছা, বুঝলাম। কিন্তু যেই মেয়ে নিজের হাত থেকে পড়ে যাওয়া কোনো জিনিস তুলতে দূর থেকে মহুয়াকে ডাক দেয়, সে আমার কাছে হঠাৎ এভাবে শরবতের গ্লাস নিয়ে হাজির হলো, ব্যাপারটা একটু গোলমেলে মনে হচ্ছে।”
“ভাইয়া, সবকিছুই পানির মতো পরিষ্কার। শুধু তুমিই বুঝতে পারছো না।”
“কি পরিষ্কার?”
“এই যে আমি আমার ভাইয়ার সেবা করছি। আর বড়দের সেবা করলে, সৃষ্টিকর্তা রহমত দান করেন।”
“ওরে বাবা, এতো দেখছি বড়সড় গোলমাল বাঁধিয়ে এসেছে।”
মারিয়া মুখ ছোট করে বলল,
“ভাইয়া! তুমি এভাবে কেন বলছ?”
মাফিন হাসতে হাসতে বলল,
“আচ্ছা বোনু বল এখন। কি করতে হবে আমাকে?”
মারিয়া মাফিনের পাশে বসে এক গাল হেসে বলল,
“কলেজ থেকে আমাদের বান্দরবান নিয়ে যাচ্ছে। দুই দিন সেখানে থাকতে হবে। কিন্তু মাকে বলার সাহস হচ্ছে না। তুমি একটু বলে দেবে, প্লিজ?”
“এতো বড় দায়িত্ব তুই আমাকে কেন দিচ্ছিস? বড় ভাইয়াকে বল।”
“ভাইয়ার মন ভালো নেই।”
“কেন?”
“মিষ্টি আপুর সাথে ঝামেলা হয়েছে। বাকীটা তুমিই ভাইয়ার কাছ থেকে জেনে নিও। আগে আমার সমস্যার সমাধান দাও।”
“কে যাচ্ছে তোর সাথে?”
“মহুয়াকে নিয়ে যাবো।”
“তাহলে চিন্তা করিস না। মা মহুকে খুব ভরসা করে। আর আমি একবার বললেই যেতে দেবে। কিন্তু বড় ভাইয়ার ব্যাপারটা গুরুতর কিছু হলে তোর কপালে দুঃখ আছে।”
“মানে?”
“মানে আমি আগে ভাইয়ার সাথে কথা বলে দেখি। তুই আগ বাড়িয়ে স্বপ্ন দেখিস না আবার। যদি যেতে না পারিস, তাহলে আমিই তোকে আর মহুয়াকে নিয়ে যাবো।”
মারিয়া উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
“না, যেতে পারবো না কেন বলছ? যেতেই হবে। বান্ধবীদের সাথে ঘুরাঘুরি করা, আর তোমাদের সাথে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে আলাদা ব্যাপার আছে। আমার সব ফ্রেন্ডরা যাচ্ছে, ওদের বাবা-মা অনুমতিও দিয়ে দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যতো ঝামেলা!”
“হয়েছে বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। চুপচাপ ঘরে গিয়ে বসে থাক। আমি বললাম তো দেখবো। যা এখন।”
মারিয়া বিড়বিড় করতে করতে নিজের ঘরে চলে এলো। তারপর চটজলদি ওজু করে জায়নামাজ বিছিয়ে মাথার কাপড় ঠিক করতে লাগলো। এদিকে মহুয়া ঘরে এসে মারিয়াকে দেখে বলল,
“এইটা কোন বেলার নামাজ পড়ছিস? এখনো তো আজান দেয় নি। নামাজের সময়ও হয় নি।”
মারিয়া শান্ত কন্ঠে বললো,
“নফল নামাজ পড়ছি। যত পাপ করেছি, সবকিছুর জন্য আজই ক্ষমা চেয়ে নেবো। আল্লাহ যদি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে বান্দরবান যাওয়ার সুযোগটা করে দেন, আমি একশো রাকাআত নামাজ পড়বো। তাই আগে থেকেই দুই রাকাআত পড়ে ফেলছি।”
মারিয়ার কথা শুনে মহুয়া দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মাথা নাড়তে নাড়তে আবার ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
০৭।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে রাস্তায় চলমান যানগুলো দেখছে প্রহর। আর তার মস্তিষ্কে মায়া জড়ানো একটা মুখ ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রহর উল্টোদিকে ফিরে রেলিঙে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে খাঁচায় বসে থাকা তার প্রিয় দুইটা ময়না পাখি টুসটুস খান ও টুসটুসি খানমের দিকে তাকিয়ে বলল,
“এই টুস-টুসি, আমি যে মেয়েটির নামটাই জানতে পারলাম না। আমার যে মেয়েটাকে বড্ড ভালো লাগে। মেয়েটা এতো রহস্যময়ী কেন বলতে পারবি?”
প্রহর কথাটি বলেই মুচকি হাসলো। রাজ্যের প্রশান্তি তার বুকে নেমে এসেছে। যতোবারই সে তার মায়াবিনীর কথা চিন্তা করে ততোবারই তার মনটা একদম শান্ত হয়ে যায়।
হঠাৎ প্রিয়ার কন্ঠ শুনে প্রহরের ভাবনায় ছেদ ঘটলো। ঘরের দরজা খুলে দিতেই প্রিয়া বলে উঠলো,
“ভাইয়া সেই কবে থেকে তোকে ডাকছি। তুই ঘর বন্ধ করে বসে আছিস কেন?”
“এমনিতেই। কিছু বলবি?”
“হ্যাঁ, সামনের সপ্তাহের পরের সপ্তাহে আমার কলেজ থেকে বান্দরবান ট্যুরে নিচ্ছে। আব্বু-আম্মু তো অনুমতি দিয়েই দিয়েছে, এখন তোর কাছে এসে একবার বলতে বললো। তুই হ্যাঁ বললেই যেতে দেবে। তুই নাকি এসব ব্যাপারে ভালো জানিস, তাই।”
“সমস্যা কি! কলেজ থেকে যেহেতু নিয়ে যাচ্ছে তাহলে যা।”
প্রিয়া এক গাল হেসে বললো,
“আচ্ছা, এখন টুস-টুসিকে বিরক্ত না করে, খেতে চল।”
প্রহর কিছুক্ষণ পর ডায়নিংয়ে এসে বসলো। প্রহরকে দেখে প্রহরের মা তার প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
“আহা, আমার ছেলেটা! সারাদিন না খেয়ে বাইরে বাইরে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে করতে একদম শুকিয়ে গেছে। একটু ভালোমতো খাওয়া-দাওয়া কর। বউ ঘরে তুলতে হবে তো!”
প্রহর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
“মা, এখন এসব কথা উঠাচ্ছো কেন? একটু শান্তিতে খেতে তো দাও।”
“বিয়ের কথা বললে তোর মনে এতো অশান্তি নেমে আসে কেন? তুই আমাদের একটা মাত্র ছেলে। আমার কি বউমা ঘরে তুলতে ইচ্ছে করে না? বিয়ের বয়স তো হয়েই গেছে।”
“মা, আমি মাত্র অফিসে জয়েন করেছি। এখনো মাস্টার্সও শুরু করি নি। এসব আমি এখন ভাবতে পারছি না।”
“আরেহ বোকা ছেলে, বিয়ে করলে কি মাস্টার্স করতে পারবি না? বউ কি তোকে আঁচলের সাথে বেঁধে রাখবে নাকি?”
প্রহর মায়ের কথা শুনে মুখ নিচু করে ফেলল। প্রিয়া ভাইয়ের মুখ দেখে বলল,
“হয়তো ভাইয়ার কোনো পছন্দ আছে!”
প্রিয়ার কথা শুনে প্রহর বিস্ফোরিত চোখে তার দিকে তাকালো। ভাইয়ের অগ্নি দৃষ্টি দেখে প্রিয়া জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললো,
“একটু মজা করলাম আর কি!”
প্রহরের মা ছেলের মুখের সামনে এক দলা ভাত এগিয়ে দিয়ে বললেন,
“ওরে আমার বাবা রে, মেয়ে পছন্দ থাকলে শীঘ্রই বল। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমি শুধু আমার ছেলের বউয়ের চাঁদ মুখটা দেখতে চাই।”
প্রহর কোনো কথা না বলে চুপচাপ বসে মায়ের হাতে রাতের খাবার খেয়ে নিল। খাওয়া শেষে প্রহর চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল,
“মেয়েটার নামটা এখনো জানতে পারি নি। তবে তোমার খুব পছন্দ হবে। খুব মিষ্টি একটা মেয়ে! আমি যেমন মেয়ে পছন্দ করি, ঠিক তেমনি। বাকীটা আল্লাহ’র ইচ্ছা।”
প্রহরের মা ছেলের কথা শুনে প্রশান্তির হাসি দিয়ে বললেন,
“আলহামদুলিল্লাহ। মেয়ের একটা ছবি নিয়ে আসিস। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো।”
প্রহর মুচকি হেসে বলল,
“আমার কাছেও তো নেই। আচ্ছা, দেখি জোগাড় করতে পারি কিনা।”
প্রহর রাতে ছাদে এসে বসলো। খোলা আকাশের নিচে চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে তার খুব ভালো লাগে। এমন একটা শান্ত পরিবেশে তার মায়াবিনী যদি তার পাশে বসে থাকতো, তাহলে তো এই পরিবেশটা আরো প্রশান্তির মনে হতো। সে মনে মনে মায়ের কথা ভাবছে। মায়াবিনীকে যদি একেবারে বিয়ে করেই নিয়ে আসে, তাহলে তো কোনো কথায় নেই। আর সে এমন একটা বয়সে আছে, যে বয়সে তার প্রেম করার কোনো মন-মানসিকতা নেই। জীবনে একটা প্রেমও সে করে নি। মেয়েদের সাথে কুশল বিনিময় পর্যন্তই তার সীমাবদ্ধ। মূলত তার মনের মতো সে কাউকে পায় নি। পেলেও মন তাকে ধরে রাখে নি। কিন্তু এই মায়াবিনী তো প্রথম দর্শনেই প্রহরের মনে মায়া বাঁধিয়ে ফেলেছে। এই মায়া কাটানো তার পক্ষে অসম্ভব।
০৮।
মোহাম্মদ আলভী হোসেন প্রহর খুব শান্ত মেজাজের যুবক। সদ্য অনার্স শেষ করে সে একটা কোম্পানিতে জয়েন করেছে। কিছুদিন পর হয়তো মাস্টার্সেও ভর্তি হয়ে যাবে। সে বাবা-মার প্রথম সন্তান। তার ছোট বোন আফিয়া হোসেন প্রিয়া কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ছে। তার বাবা মিস্টার খালেদ হোসেন একজন বিজনেসম্যান, আর তার মা, মাসুমা আকতার একজন গৃহিনী।
প্রহর চুপচাপ থাকতেই খুব পছন্দ করে। তবে সে মাঝেমাঝে তার প্রিয় দুইটা পাখি টুস-টুসির সাথে কথা বলে সময় কাটায়। টুস-টুসির নামগুলো সে নিজেই রেখেছে। ছেলে ময়নার নাম টুসটুস খান, আর মেয়ে ময়নার নাম টুসটুসি খানম। পাখিদের সাথে সময় কাটানো ছাড়াও তার আরেকটা প্রিয় অভ্যাস বই পড়া। অফিস শেষে সে প্রায়ই বাতিঘরে গিয়ে বসে বসে বই পড়ে। অফিসের সময়টা সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আর প্রহর অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়েই বাতিঘরে বই পড়তে চলে যায়। বাসার কাছাকাছি থাকায় তার তেমন সমস্যাও হয় না।
তবে সপ্তাহের একটা বিশেষ দিনে প্রহর একটু আগেভাগে গিয়েই বসে থাকে। কারণ তার মায়াবিনী সেই বিশেষ দিনে সেখানেই বই পড়তে আসে।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় প্রহরের ভাবনায় ছেদ ঘটলো। কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে প্রহরের বন্ধু সাহিল বলে উঠলো,
“কেমন আছিস তুই?”
“ভালো, তোর কি খবর!”
“এইতো চলছে। তো বন্ধু বিয়ে খাচ্ছি কবে?”
“তুই এই কথা জিজ্ঞেস করতে ফোন দিয়েছিস?”
সাহিল হেসে বলল,
“আচ্ছা বাবা, আগে মেয়ে পটিয়ে নে, তারপর জিজ্ঞেস করব।”
প্রহর আনমনে হাসলো। সাহিল বলল,
“আচ্ছা তোর সেই বই প্রেমিকার কি খবর? নাম জানতে পেরেছিস?”
প্রহর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“সে আর হলো কোথায়!”
“তোর কাছে মেয়েটার কোনো ছবি নেই?”
“ছবি কিভাবে থাকবে? নামটাই জানতে পারলাম না, আবার ছবি!”
“মেয়েটা যেহেতু নিয়মিত বই পড়তে যায়, ওখানের কাউকে জিজ্ঞেস করলেও তো পারিস।”
“আমি কি করি নি ভেবেছিস? মেয়েটা কারো সাথেই কথা বলে না। চুপচাপ এসে বই পড়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে কিছু বই কিনে নিয়ে যায়।”
“তো ওখানের কাউকে বলিস নাম জেনে নিতে।”
“দূর, এসব সুন্দর দেখায় না।”
“এসব সুন্দর-অসুন্দর বিচার করতে গেলে তোর কপালে আর সেই বই প্রেমিকা জুটবে না।”
প্রহর কিছু বললো না। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। সাহিল হঠাৎ কি ভেবে বলল,
“একটা কাজ কর, মেয়েটার একটা ছবি তুলে নিয়ে আসিস। তারপর একদিন প্রিয়াকে পাঠিয়ে দিবি, নাম জেনে আসবে।”
“ওরে বাপরে, কেউ দেখে ফেললে আমার আর রক্ষা নেই।”
“প্রেমিকাকে পেতে চাইলে একটু আধটু দুঃসাহস করতে হয়৷ আর তুই যেহেতু বলেছিস, মেয়েটা প্রতি সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে থাকে, তাহলে ছবি তুলে প্রিয়াকে দেখাবি, ও গিয়ে নামটা জিজ্ঞেস করে আসবে। আর তুই যখন যাস, তখন তো প্রিয়া ব্যস্ত থাকে। নয়তো ওকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারতি।”
“আমার সাথে কিভাবে যাবে? প্রিয়া সন্ধ্যার পর বাসা থেকেই বের হতে চায় না। আর ওকে সেই সময় ওর স্যার পড়াতে আসে। আমি বরং একটা ছবি তুলে নিয়ে আসি৷ যদিও কাজটা ঠিক হবে না।”
“এতো ঠিক-বেঠিক চিন্তা করিস না বন্ধু। প্রেমে যেহেতু পড়েছিস, বিয়েটাও সেরে ফেল। বেশি অপেক্ষা করতে গেলে দেখা যাবে শেষমেশ কুদ্দুস স্যারের মতো প্রেমিকার মেয়ের সাথেই বিয়ে ঠিক হয়েছে।”
চলবে-