রংধনুর_আকাশ #লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ পর্ব-৪৩:

0
619

#রংধনুর_আকাশ
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-৪৩:

৬৮।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মহুয়া। সে হলুদ রঙের শাড়ি পরেছে, আর খোঁপায় বেলি ফুলের মালা বেঁধেছে। মারিয়া হলুদ রঙের সালোয়ার-কামিজ আর তার দুই হাতে বেলি ফুলের মালা। মারিয়া খুব যত্নের সাথে মহুয়াকে সাজিয়ে দিয়েছে। আজ প্রথম মহুয়া এতো সাজগোজ করেছে। মারিয়া মহুয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,
“মনে হচ্ছে আজ তোরই হলুদ। তাই আমি তোকে সাজিয়ে দিয়েছি।”

মহুয়া ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
“সাজ কি বেশি মনে হচ্ছে? একটু কমিয়ে ফেল না।”

“আরেহ দূর। অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। অনুষ্ঠানে আমাদের পরিবারের বাইরে কেউ আসবে না, নয়তো আজই তোকে দেখে ছেলেরা শেষ হয়ে যেতো।”

“এসব উল্টোপাল্টা কথা বলিস না। মা শুনলে আমাকে ওয়াশরুমে নিয়ে মাথায় পানি ঢেলে দেবে।”

“তা ঠিক। আচ্ছা, এখন আমাকে দেখ। কেমন লাগছে? প্রহর আমাকে দেখে শেষ হয়ে যাবে তো?”

মহুয়া হেসে বলল,
“শেষ কেন? একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।”

দুই বোন হাসতে লাগলো। মারিয়া বলল,
“আজকাল তুই অনেক কথা বলা শিখেছিস। কারো প্রেমে পড়েছিস নাকি?”

মহুয়া মারিয়ার মাথায় গাট্টা মেরে বলল,
“প্রেমে পড়লেই কি মানুষ কথা বলতে পারে?”

“হ্যাঁ, প্রেম মানুষের মনের সব জড়তা কাটিয়ে দেয়। মানুষ তখন প্রাণ খুলে কথা বলে।”

মহুয়া আয়নায় একবার নিজেকে দেখলো, আর মনে মনে প্রশ্ন করলো,
“আমি কি সত্যিই প্রেমে পড়েছি? কিন্তু আমি তো জানিই না সেই প্রেমিক সম্পর্কে? তাহলে কি কোনো পুরুষ অবচেতন মনে আমার মস্তিষ্কে জায়গা করে নিয়েছে। থাক, আমি সেই মনকে প্রশ্ন করতে চাই না। সে না হয় ধীরে ধীরেই প্রকাশ পাক।”

আজ প্রহর সাদা পাঞ্জাবী পরেছে। সে ছাদে মাহাথিকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করছে। ছাদেই হলুদ অনুষ্ঠান করা হবে। আর রাতে ক্লাবে মেহেদি অনুষ্ঠান। এদিকে মারিয়া পরিপাটি হয়ে প্রহরের সামনে এসে দাঁড়ালো। প্রহর মারিয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর বলল,
“ভালো লাগছে।”

প্রিয়া মারিয়াকে দেখে বলে উঠলো,
“ভাবী, তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। ভাইয়ার চোখ তো আজ অন্যদিকে পড়বেই না।”

কথাটি বলে প্রিয়া হাসলো। সাথে মারিয়া লজ্জা মাখা হাসি দিলো। আর বলল,
“প্রিয়া, তুমি আমাকে ভাবী বলো না। মারিয়া বলে ডেকো।”

প্রিয়া আঁড়চোখে প্রহরের দিকে তাকিয়ে বললো,
“ঠিক আছে। অন্য কারো যদি সমস্যা না হয়!”

প্রহর ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“আমার কেন সমস্যা হবে।”

“কেন তুই-ই তো বলেছিলি, আমার বউকে নাম ধরে ডাকবি না। ভাবী বলবি। সম্মান দিবি।”

কথাটি শুনে মারিয়া লজ্জা পেয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে হাসলো। আর প্রহর রাগী দৃষ্টিতে প্রিয়ার দিকে তাকালো। কারণ সে এই কথাটা অনেক আগেই বলেছিল, যখন সে জানতোই না যে মারিয়া তার মায়াবিনী নয়। প্রিয়া মুখে হাত দিয়ে বলল,
“আচ্ছা, আচ্ছা। আমি নিচে যাচ্ছি।”

প্রহর এবার মারিয়ার দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো। হঠাৎ মহুয়ার কন্ঠ শুনে প্রহর কাজ থামিয়ে মুখ ঘুরিয়ে মহুয়ার দিকে তাকালো। আর তাকে দেখেই প্রহর নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলো। মহুয়া একদম তার মনের মতো করে সেজেছে। সেই শাড়ি, হাত ভর্তি চুড়ি আর খোঁপায় ফুল। মারিয়া প্রহরকে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,
“মহুয়াকে কিন্তু আমিই সাজিয়েছি।”

প্রহর হালকা হেসে বলল,
“অনেক সুন্দর লাগছে।”

মহুয়া কথাটি শুনে লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে চলে গেলো। আর প্রহরের দৃষ্টি এখনো মহুয়ার দিকে। এদিকে মারিয়া মনে মনে ভাবছে,
“মহুয়ার বেলায় অনেক সুন্দর লাগছে, আর আমার বেলায় শুধুই ভালো লাগছে।”

মাফিনের হলুদ পর্ব শেষ। এই পুরো সময়ে প্রহরের দৃষ্টি বারবার মহুয়ার দিকেই যাচ্ছিল। মারিয়া রীতিমতো ক্ষেপে আছে। প্রহরের মহুয়ার প্রতি আলাদা অনুভূতি আছে, এই ব্যাপারে মারিয়ার আর কোনো সন্দেহ নেই। সে রাতে ইচ্ছে করে মিথ্যে বাহানা দিয়ে ক্লাবে না গিয়ে বাসায় থেকে যায়। তার ধারণা প্রহর তাকে নিতে আসবে। কিন্তু না প্রহর একবারও আসে নি। বিষয়টা খুব অদ্ভুত লাগছে মারিয়ার! বউয়ের ভাইয়ের বিয়ে, যেখানে বউ নিজেই অনুপস্থিত, অথচ বর একবারো তাকে নিতে এলো না। এমনকি একটা ফোনও করলো না।

অন্যদিকে মাফিনের মেহেদিতে নাচ-গানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রিয়া হঠাৎ বলে উঠল,
“ভাইয়া তুমিও তো গান গাইতে পারো। একটা গাও না।”

প্রহর প্রথমে চাইছিলো না। শেষে অনেকের অনুরোধে প্রহর কন্ঠে গান ধরলো।

“আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফঁস্ গয়ি,
বিনোদ বেণীর জরীন ফিতায়
আন্ধা ইশক্ মেরা কস্ গয়ি
আন্ধা ইশক্ মেরা কস্ গয়ি।
.
তোমার কেশের গন্ধে কখন
লুকায়ে আসিলো লোভী আমার মন
বেহুঁশ হো কর্ গির্ পড়ি হাথ মে
বাজু বন্দ মে বস্ গয়ি
বাজু বন্দ মে বস্ গয়ি।
আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফঁস্ গয়ি
দিল ওহি মেরা ফঁস্ গয়ি।
.
কানের দুলে প্রাণ রাখিলে বিঁধিয়া
আঁখ্ ফিরা দিয়া চোরী কর্ নিন্দিয়া
দেহের দেউড়িতে বেড়াতে আসিয়া
দেহের দেউড়িতে বেড়াতে আসিয়া
অর নেহিঁ উয়ো ওয়াপস্ গয়ি
আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফঁস্ গয়ি
দিল ওহি মেরা ফঁস্ গয়ি।”

প্রহরের গান গাওয়ার সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রিয়া শখের বশে করেছিল, মারিয়াকে পাঠানোর জন্য। কিন্তু এই ভিডিওতে যে এমন একটা চিত্র ধারণ হয়ে যাবে, তা প্রিয়ার কল্পনারও বাইরে ছিল।

পরের দিন মাফিন আর স্বস্তিকার বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হলো। রাত ১টায় আরিয়া ফেরদৌস নতুন বউকে ঘরে তুললেন। আর বাসায় অতিথি হিসেবে যারা এসেছিলো, সবাই যার যার বাসায় ফিরে গেলো।
এদিকে মহুয়া একাই মাফিন আর স্বস্তিকার বাসর ঘর সাজিয়েছে। সে লক্ষ্য করলো, গতকাল থেকে মারিয়া তার সাথে কথা বলছে না। সে চুপচাপ এক কোণায় বসে সময় পার করেছে, এমনকি সে আজ ক্লাবে একা একাই খেয়েছে, পরিচিত কারো সাথেই খেতে বসে নি। এমনকি প্রিয়ার সাথেও কথা বলে নি। আর মাঝে মাঝেই মহুয়া তাকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করতে দেখেছে। সে বাসর সাজাতে সাজাতে ভাবলো, আজ রাতেই তাকে জানতে হবে, মারিয়ার হঠাৎ এমন নিশ্চুপ হয়ে যাওয়ার কারণ কি।

৬৯।

প্রহর গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই মারিয়া প্রহরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,
“আজ একটা প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিয়েই যান!”

প্রহর ভ্রূ কুঁচকে বললো, “কি প্রশ্ন!”

“আমার এমন কেন মনে হচ্ছে যে আপনি আমার চেয়ে বেশি আমার বোনের ব্যাপারে আগ্রহী।”

“মানে?”

“মহুয়ার কথা বলছি। বোন তো আমার একটাই আছে। যার দিকে আপনি পেঁচার মতো তাকিয়ে থাকেন।”

প্রহর মারিয়ার কথায় বিব্রতবোধ করছিলো। সে একবার ভাবলো এখনিই সব জানিয়ে দেবে। পরক্ষণেই সে ভাবলো, এরপর যে ঝামেলা সৃষ্টি হবে তা মোকাবিলা করার মতো সাহস তো তার এই মুহূর্তে নেই। আর এসব জানাজানি হলে অনেক বিশ্রী দেখাবে। প্রহর নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
“অনেক উল্টোপাল্টা কথা বলছ। তোমার একটু ভেবে চিন্তে কথা বলা উচিত।”

“আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনাকে ভালো মানুষ ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার বর একটা লুচ্চা।”

প্রহর শক্ত হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো। তার গলার ভেতরটা যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে। এই প্রথম কোনো মেয়ে তার জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেছে, ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে তার।

মারিয়া এবার প্রিয়ার পাঠানো ভিডিওটি প্রহরকে দেখিয়ে বলল,
“প্রথমত গানের অর্থ আর আপনার দৃষ্টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে গানটা কাকে উদ্দেশ্য করে গেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত অনেকদিন ধরে আপনার মহুয়ার প্রতি আগ্রহটা আমার চোখে পড়ছিল, কিন্তু আমি বারবার বিষয়টা ইগনোর করেছিলাম। আচ্ছা, এখন আপনার জায়গায় আমি থাকলে আপনি আমাকে তালাক দিয়ে দিতেন, তাই না? আসলে পুরুষ জাতিটাই খারাপ। তারা নিজের দোষ দেখে না। কিন্তু নারীদের দোষ ঠিকই দেখে।”

মারিয়া কিছুক্ষণ থেমে আবার বলল,
“না, না ভুল বলেছি। আপনার মতো ভদ্রবেশী পুরুষগুলোই মারাত্মক খারাপ। এখন বাসায় যান। আমার সাথে আর যোগাযোগ করবেন না। আমি কিছুদিন পর আপনার সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দেবো। এখন তো মাত্র মেজ ভাইয়ার বিয়ে হয়েছে।”

কথাগুলো বলে মারিয়া চলে গেলো। সে প্রহরকে কিছু বলার সুযোগ দিলো না। সে বাসায় এসে ওয়াশরুমে গিয়ে অনেক কান্না করলো। সে যে তার মায়ের মতোই ঠকেছে, তা সে এই মুহূর্তে কাউকে জানাতে চায় না। প্রহরকে নিয়ে সে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। এমনকি অবচেতন মনে ভালোও বেসে ফেলেছিল। সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে প্রহরকে পেয়ে সে সুখী। কিন্তু এটা নিছক মারিয়ার কল্পনা ছিল।

অন্যদিকে প্রহর কাঁপা কাঁপা শরীরে ঘরে ঢুকলো। তার শরীর কাঁপছে। মাসুমা আকতার ছেলেকে দেখে দৌঁড়ে এলেন, আর ব্যস্ত কন্ঠে বললেন,
“কি রে বাবা, ঘামাচ্ছিস কেন তুই? তোর শরীর ঠিক আছে তো! প্রেশার বেড়েছে? গরুর মাংস খেয়েছিস নাকি?”

প্রহর মাকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠলো। মাসুমা আকতার ছেলের পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে কেঁদে দিলেন৷ এরপর চেঁচিয়ে প্রহরের বাবা আর প্রিয়াকে ডাকলেন। খালেদ হোসেন ছেলেকে ঘরে নিয়ে গেলেন। বিপি চেক করলেন, ঘরের এসি ছেড়ে দিলেন, তারপর ওষুধ খাইয়ে দিলেন। অন্যদিকে মাসুমা আকতার ছেলের অবস্থা দেখে মোটামুটি অসুস্থ হয়ে গেলেন। আর প্রিয়া তার মাকে সামলাতে ব্যস্ত।

রাত তিনটায় প্রহর চোখ খুলে দেখলো মাসুমা আকতার তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। প্রহর বলল,
“তুমি ঘুমাও নি?”

“তোকে এই অবস্থায় রেখে আমি ঘুমাবো?”

“আমি এখন সুস্থ আছি।”

“আগে আমায় বল, কি হয়েছিল হঠাৎ?”

প্রহর মায়ের হাত ধরে বলল,
“অন্যায় করছিলাম মা। তোমার ছেলে অনেক খারাপ হয়ে গেছে। অনেক খারাপ মানুষ আমি।”

“এসব কেন বলছিস তুই? কে বলেছে তোকে এসব!”

“যেই বলুক, সে কিন্তু ঠিকই বলেছে। আমার স্বভাব নষ্ট হয়ে গেছে, মা।”

মাসুমা আকতার আর কিছুই বললেন না। তিনি প্রহরের পীড়াপীড়িতে উঠে চলে গেলেন। কারণ প্রহর এই মুহূর্তে একা থাকতে চায়।
এরপর রাতে সে আর ঘুমাতে পারলো না। ভোর চারটায় সে মারিয়াকে কল করলো। এদিকে মারিয়াও ঘুমায় নি। মহুয়া যতোক্ষণ জেগে ছিল, ততক্ষণ ঘুমের ভান ধরে বিছানায় শুয়েছিল। মহুয়া ঘুমানোর পর বারান্দায় বসে বসে কেঁদে বাকী রাত পার করেছিল আর ভাবছিল, কিভাবে প্রহরকে ভুলে থাকবে? কারণ মানুষটা যে অল্প সময়ে তার মনে জায়গা করে নিয়েছে। কিছু না করেও কি কারো মনে জায়গা পাওয়া সম্ভব? হয়তো সম্ভব। নয়তো কি প্রহর পারতো?

চারটায় প্রহরের কল দেখে মারিয়া অবাক হয়ে গেল। এই প্রথম প্রহর তাকে অসময়ে কল করেছে। সে তো খুব কমই মারিয়াকে কল দেয়। তাহলে হঠাৎ? এসব ভাবতে ভাবতেই মারিয়া কাঁপা হাতে কল রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে প্রহর বলল,
“ঘুমাও নি?”

“উঁহুম।”

“মারিয়া, ঘুমাও নি কেন তুমি?”

মারিয়া ভেজা কন্ঠে বললো, “এমনি!”

“কাঁদছো?”

“না।”

“একটা কথা বলি!”

“হুম।”

“তুমি আমার সম্পর্কে ওমন চিন্তাভাবনা মাথায় রেখো না, প্লিজ। আমি সম্পর্কটা নষ্ট করতে চাই না। তোমার যদি মনে হয় আমার নজর খারাপ, আমি তোমাদের বাসায় আর যাবো না। মহুয়ার সামনেও আর দাঁড়াবো না। তুমি আমাকে একটা সুযোগ দিতে পারবে?”

মারিয়ার ইচ্ছে করছে কেঁদে কেঁদে বলতে,
“তোমার এই একটা কল আমার মনকে আরেক বার ভাবতে বাধ্য করছে, আমি ভুল। হয়তো সব আমারই ভুল ধারণা। তোমার মনে শুধু আমিই ছিলাম, এখনো আমিই আছি।”

মারিয়া বলল,
“কালকে দেখা করতে পারবেন?”

“হুম। বিকেল তিনটায় জামাল খান চলে এসো।”

চলবে–

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here