#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ৩৫ {বোনাস পার্ট 🥀}
“বিশ্বাস” কথা টা কিন্তু অতি ক্ষুদ্র তবে এর বিশালতা বিশাল। যা মুখে বা শব্দে ব্যাক্ত করা ভারি মুশকিল। এই বিশ্বাস টা আব্রাহাম আইরাতের ওপর রাখে নি। আব্রাহাম এমন টা করবে তা আইরাতের কল্পনা থেকে একশ হাত দূর দূর ছিলো। আব্রাহাম এমনটা করেছে, যেই আব্রাহাম কিনা আইরাতের চোখে এক ফোটা পানি দেখলে দুনিয়া এইদিক থেকে ওইদিক করে ফেলতো। আইরাতকে হাসানোর জন্য নিজেই উদ্ভট উদ্ভট আচরণ করে বসতো। সে আব্রাহাম কিনা আজ আইরাতের সাথে….।
আব্রাহামের চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষন পর আইরাতের জ্ঞান ফিরে। নিজেকে নিজের কাছেই খুব ভারি ভারি লাগছে। মাথা টা চিন্তার বোঝা হয়ে আছে। নিজের মাঝে এক ফোটা শক্তিও বাকি নেই উঠে বসার। আইরাতের চোখের পানি তে বালিশ সম্পূর্ণ ভিজে একদম চুবুচুবু হয়ে গেছে। বাইরে মুষুলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে বিকট শব্দে বিদুৎ চমক দিচ্ছে। আইরাত চাদর টা নিজের বুক অব্দি টেনে নেয়। হাত আর গলার পাশে খুব জ্বালাপোড়া করছে। আইরাত তার হাতে তাকিয়ে দেখে লালা লাল অনেক আচড় কাটা রয়েছে। আইরাত ঢুকরে কেদে ওঠে।
আব্রাহাম;; আমি মরে যাবো কিন্তু আমার থেকে তোমাকে আলাদা হতে দিবো না। আইরাত তুমি না আমার। হেই বেবিগার্ল,, দি কুইন অফ মাই হার্ট। আমি খুন করে ফেলবো যেই হারামি তোমার দিকে চোখ তুলে তাকাবে। প্রথমে তোমাকে মারবো আর তারপর নিজে মরবো। আমি ভালোবাসি তোমায় প্লিজ আমায় ছেড়ে যেও না। জানপাখি আমার৷
আব্রাহামের বলার প্রতিটা কথা, প্রতিটা কথা আইরাতের কানে বাজছে। আব্রাহামের সেই হাসি, সেই চেহারা চোখে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর তার আজকের সেই ভয়ংকর চেহারা টা আবার মনে পরতেই আইরাত আরেক দফা কেপে ওঠে ভয়ে।
আইরাত;; আম আম..আমি তোহ এ এমন চা চায় নি। আম আমি ভেবেছিলাম স সব ব বলে দিবো আ আপনাকে। কি কিন্তু আপনি তো আম আমকে বলার সুযোগ টা টাই দিলেন না। আম আমি তো…..
আইরাত হিচকি পেরে কাদছে। মুখ দিয়ে আর কিছু বের হচ্ছে না। আইরাত কোন রকমে উঠে সোজা ওয়াসরুমে চলে যায়। এবার আইরাতের রাগ হচ্ছে অনেক বেশি অনেক। আইরাত ধপ করে শাওয়ারের নিচে বসে পরে। দুই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে কেদে ওঠে…
আইরাত;; আমি আপনাকে ঘৃণা করি আব্রাহাম,, আমি আপনাকে ঘৃণা করি। (চিল্লিয়ে)
।
।
বাইরে বৃষ্টির এতো টাই বেগ যে মনে হচ্ছে চারিদিকে কুয়াশা তৈরি হয়েছে। সামনে ঠিক ঠাক ভাবে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আর এদিকে আব্রাহাম প্রচুর ড্রাংক। কিন্তু নিজের সেন্স হারায় নি। কোন দিশা খুজে পাচ্ছে না আব্রাহাম যে আসলে কোথায় গাড়ি নিয়ে থামাবে। হঠাৎ আব্রাহাম একটা খোলা জায়গায় এসে গাড়ির ব্রেক কষে। আব্রাহাম গাড়ি থামিয়ে দিয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে স্টেয়ারিং এ বারি দেয়। তার পক্ষে আর সম্ভব না। আব্রাহাম বাইরে বের হয়ে পরে। এই বৃষ্টি তে ভিজতে থাকে। হাটু গেড়ে মাটিতে বসে পরে। আব্রাহাম এবার কেদে দেয়। কথায় বলে ছেলেদের কাদতে নেই কিন্তু মানুষ তো মাটিতে গড়া কোন পুতুল তো না।
আব্রাহাম;; আমি এই কাজ টা করতে চাই নি। আমি এমন কিচ্ছু করতে চাই নি। কিচ্ছু না আইরাত। আমি সত্যি এমন কিছুই করতে চাই নি। আমি জানি একটা মেয়ের কাছে নিজের মান-সম্মান কি পরিমান ইম্পর্ট্যান্ট। কিন্তু আমি পারবো না। আমি আমার নিজের চোখের সামনে তোমাকে ওই রায়হানের হতে দেখতে পারবো না। তুমি ওই রায়হানের সাথে খুশি থাকবে তা আমি দেখতে পারবো না। যা আমার তা আমার। একে তুমি আমার জেদ বলো আর যাই কিছু। তুমি এখনো আমার। তুমি আমার ছিলো, আছো। আর যদি না হও তাহলে সব বরবাদ করে দিবো আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিবো। জানি এখন আমি তিক্ততায় ভরে যাবো তোমার চোখে কিন্তু এই আমিই থাকবো তোমার জীবনে আর কেউ না।
আব্রাহাম মাটিতে বসেই বৃষ্টি তে ভিজতে লাগলো। ঘন্টা খানিক ওভাবেই বসে থেকে আব্রাহাম চলে আসে। গাড়ি নিয়ে সোজা নিজের বাসায় আসে। মাথা থেকে শুরু করে একদম পা পর্যন্ত সব ভেজা। আব্রাহাম এসে নিজের রুমে চলে যায়। পুরো পাগল হয়ে আছে সে। নিজের সামনে আইরাতের ওই শাড়ি পড়া লুক টা ছাড়া আর কিছুই আসছে না। আব্রাহাম তার রুমে যেতেই সবার আগে চোখে পরে আইরাতের হাসি হাসি বড়ো সেই ছবি টা। আব্রাহামের চোখে পানি গুলো মুক্তোর ন্যায় কেমন চিকচিক করছে। সে আলতো হাতে আইরাতের ছবি টা ছুইয়ে দেয়। ঘুমের মেডিসিন হাতে নিয়ে নেয়। হাতে যে কয়টা ট্যাব্লেট এটেছিলো সেই সব গুলো মুখে পুরে নেয়। আইরাতের সেই ছবির নিচেই আব্রাহাম নিজের গা এলিয়ে দেয়। সেভাবেই শুয়ে থাকতে থাকতে আব্রাহামের চোখ লেগে যায়। মনে হচ্ছে সে মরে যাচ্ছে । আর এছাড়াও বেচে থেকে কি লাভ এখন।
আইরাত এসে তার রুমের জানালার কাছে বসে পরে। জানালা দিয়ে খোলা বাতাস এসে আইরাতের চুল গুলো উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নাক মুখ সব ফুলে রয়েছে। আইরাত শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ টুপ করেই তার চোখ দিয়ে কয়েক বিন্দু পানি গড়িয়ে পরে। এই পানি বিন্দু গুলো মুছে ফেলার বিন্দুমাত্র আগ্রহ তার নেই। ভালোই তো ছিলো সবকিছু তাই না। তাহলে দমকা এক ঝড় এসে কেমন এমন এলোমেলো হলো। কেন ভালোবাসায় সাজানো জীবন টা এভাবে কালো অন্ধকারের মন্দবাসা হয়ে গেলো। আব্রাহাম কেন করলো এমন। একটা বার শুনে নিতো আইরাতের কথা জাস্ট একটা বার। আব্রাহামের করা পাগলামো গুলো যে কখন আইরাতের মনের কোণে জায়গা করে নিয়েছিলো তা আইরাত জানে না। ভয় গুলো সব ভালোবাসার বিজে রুপ নিচ্ছিলো তবে কেন সেগুলো পরিপক্ক হবার আগেই নষ্ট হয়ে গেলো। আব্রাহামের ওপর অভিমান যেন পাহাড় সমান জন্ম নিলো আইরাতের মনে।
।
।
পরেরদিন সকালে~~~
আব্রাহামের দাদি এসে এই যে আব্রাহামের রুমের দরজা ধাক্কায় কিন্তু খোলার কোন নাম গন্ধ নেই। এবার যেন কিছুটা চিন্তা হতে লগে ইলার। ইলা আর না পেরে অয়ন কে ফোন দেয়। অয়ন এলে ইলা অয়ন কে সব বলে। অয়ন বুঝে যে কি হয়েছে,, সে আব্রাহামের রুমে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে। দেখে আব্রাহাম আইরাতের ছবির নিচে পরে রয়েছে। অয়ন দ্রুত গিয়ে আব্রাহামের মাথা তুলে নিজের কোলে নেয়।
অয়ন;; আব্রাহাম, আব্রাহাম। এই আব্রাহাম…
আব্রাহাম নিভু নিভু ভাবে নিজের চোখ মেলে তাকায়।
আব্রাহাম;; চিন্তা করিস না। মরি নি আমি। (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে)
অয়ন;; কি যাতা বলছিস আর তোর এই অবস্থা কেন। গায়ে ভেজা কাপড় চেঞ্জ করিস নি কেনো।
আব্রাহাম;; অয়ন আমি খুন করেছি।
অয়ন;; কি?
আব্রাহাম;; আমি খুন করেছি একটা মেয়ের। জ্যান্ত লাশ বানিয়ে দিয়েছি আমি।
অয়ন;; কি বলছিস তুই?
আব্রাহাম;; আইরাত, আইরাতের খুন করেছি আমি। একটা মেয়ের কাছে তার স্বতিত্ব সবথেকে বেশি হয়। আমি তা কেড়ে নিয়েছি।
অয়ন;; কি? আব্রাহাম কি বলছিস তুই?
আব্রাহাম;; আমি মরে যাবো সত্যি আমি মরে যাবো আইরাত কে ছাড়া। আর নিজের সামনে ওকে আমি অন্য কারো হতে দেখবো তার থেকে ভালো আমি মেরেই ফেলি তাকে।
অয়ন;; তুই ওঠ আগে।
আব্রাহাম;; তুই চলে যা।
অয়ন;; কিন্তু
আব্রাহাম;; অয়ন যা প্লিজ।
অয়ন সিচুয়েশন টা বুঝতে পেরে আব্রাহামের কাছ থেকে চলে আসে। আব্রাহাম অফিসে যায় না। নিজের কাপড় গুলো চেঞ্জ করে হাতে সিগারেট নিয়ে করিডরে চলে যায়। মূলত আব্রাহাম রায়হান কে খুজছে। রায়হান কে পেলে সে জ্যান্ত কবর দিবে ওকে। অন্যদিকে আইরাত হাত-পা গুটিয়ে কাচুমাচু হয়ে বসে আছে। না চাইতেও কাল রাতের কথা গুলো বার বার মনে পরছে।
আইরাত;; ঘৃণা করতে পারবো না আমি আপনাকে। সেই ভাবে ঘৃণা করতে পারবো না। অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে। কিন্তু আপনার কাছেও আর যাবো না। দূরে চলে আসবো আপনার কাছ থেকে। আমি জানি সবকিছু একটা ভুল বুঝাবুঝিতে হয়েছে। কিন্তু এই ভুল বুঝাবুঝি আমি ভাংাবো না। আপনি নিজে থেকে যখন আপনার ভূল বুঝবেন তখন আপনি নিজেই আমার কাছে আসবেন।
।
।
আব্রাহাম;; রায়হান কোথায়?
মানিক;; আমি জানি নাহ, আমি জানি নাহ। আমাকে ছেড়ে দিন।
মানিকের কথা শুনে আব্রাহাম হুংকার দিয়ে ওঠে। দেয় মুখ বরাবর এক ঘুষি মেরে। সাথে সাথে মানিকের নাক মুখ কেটে যায়।
আব্রাহাম;; এবার বল রায়হান কোথায়?
মানিক;; আহ, রায়হান রায়হান…
মানিক রায়হানের সাথে কাজ করে আব্রাহাম তার গার্ড দের দিয়ে তুলে এনেছে তাকে। আর এবার তাকে নিজের সামনে একটা চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে। অনেক মেরেছে আব্রাহাম ওকে। আর মানিক গরগর করে সব এবার বলেও দিয়েছে। হঠাৎ রকটা গার্ড এসে মানিকের গলার ঠিক ডান সাইডে একটা ইঞ্জেকশন পুশ করে। মানিক অজ্ঞান হয়ে পরে। তারপর তাকে নিয়ে চলে যায়। আব্রাহাম সিগারেটের এক পাফ নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। সে এখন একটা সাদা গেঞ্জি পরে আছে। গেঞ্জির হাতা একদম চিকন। তার হাত গুলো, মাসালস গুলো ফুলে ফেপে ওঠেছে। আব্রাহাম সিগারেট খেতে খেতে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে দেখছে। নিজের বুকে, হাতে, কিছুটা ঘাড়ে বেশ গাঢ আচরের দাগ রয়েছে। এগুলো সব আইরাতের হাতের নখের আচড় তা আব্রাহাম বুঝতে পেরেছে। আব্রাহাম আলতো হাতে আচড়ের ওপর ছুইয়ে দেয়। তারপর রেডি হয়ে চলে যায় এই রায়হানের খোজে।
আব্রাহাম আজ তার বাইক নিয়ে বের হয়েছে। কোন গার্ড নেয় না, কোন গান ওর পিস্তল কিচ্ছু নেই নি সাথে। রায়হানের বাড়ি গিয়ে নিজের মন মর্জি মতো ভেতরে ঢুকে পরে। আর রায়হানের বাড়ির গার্ড দের এখনো এতো বড়ো কলিজা হয় নি যে আব্রাহাম কে আটকাবে। আব্রাহাম রায়হানের বাড়ি যেতেই রায়হান কে পেয়ে যায়। ওহহ আসলে এটা রায়হানের দুই নাম্বার বাড়ি তার আসল না। রায়হান আব্রাহাম কে দেখে এগিয়ে যায়।
রায়হান;; স্বপ্ন দেখছি না তো। তুই আমার বাড়িতে?
আব্রাহাম;; হ্যাঁ এলাম। আসতে বাধ্য করলি।
রায়হান;; কি হয়েছে?
আব্রাহাম;; হবে তো তোর। আগে বল বিয়ে কেমন করলি?
রায়হান;; বিয়ে মানে?
আব্রাহাম;; ওমা কাল বিয়ে করলি আর আজ ভূলেও গেলি।
রায়হান;; কি বলছিস এইসব?
আব্রাহাম;; জানিস তো বিয়ে করেছিস তুই কিন্তু ফুলশয্যা করেছি আমি।
রায়হান;; ক্লিয়ার বল।
আব্রাহাম;; আরে আইরাত কে। মানে দুনিয়া তে তো মেয়ে নেই আর কোন। তোকে দেখে দেখে ওর পেছনেই পরতে হলো। বিয়েও করে নিলি অগোচরেই।
রায়হান;; আব্রাহাম ভাগ্য ভালো বিয়ে টা হয় নি।
আব্রাহামের টনক নড়ে এবার।
আব্রাহাম;; হুয়াট রাবিশ। কাল তোদের বিয়ে হয়েছে রাইট?
রায়হান;; না হয় নি। আইরাত আমাকে ভালোবাসে না। তোকে বাসে। ফলে বিয়ে করে নি।
আব্রাহামের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো। মানে কি বিয়ে হয় নি। তাহলে কাল আব্রাহাম। ওহহ শিট।
আব্রাহাম;; দূরে থাক তুই।
আব্রাহাম এই বলে ছুটে রায়হানের বাড়ি থেকে বের হয়ে পরে। হাওয়ার বেগে আইরাতের বাড়ি যায়। চোখের পানি গুলো কোন রকমে মুছে নিচ্ছে হাতের উল্টো পাশ দিয়ে। কিন্তু আইরাতের বাড়িতে তালা দেওয়া কেউ নেই। আব্রাহাম নিজের মাথার পেছনে হাত দিয়ে দেয়। আইরাত তাহলে গেলো কোথায়? পাগলের মতো করে আইরাতকে খুঁজে চলেছে আব্রাহাম। আব্রাহামের কেনো যেনো মনে হতে লাগলো আইরাত তার ভার্সিটিতে। কেননা আজ তো আইরাত জীবনেও অফিসে আসবে না। আজ কেনো আর কখনো আসবে কিনা সন্দেহ। আব্রাহাম ছুটে আইরাতের ভার্সিটি তে গেলো। আর যেতেই ভাগ্যক্রমে আইরাতকে দেখে। আব্রাহাম বাইক থেকে নেমে আইরাতের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
আইরাত দিয়ার সাথে কথা বলছিলো। দিয়া কে এখনো সে কিছুই বলে নি। তবে বলতে চাইছে। এরই মাঝে আব্রাহাম হাপাতে হাপাতে আইরাতের কাছে এসে দাঁড়ায়। আইরাত সোজা আব্রাহামের চোখের দিকে তাকায়। দেখে আব্রাহামের চোখ গুলো লাল বর্ণ। চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি পরছে আব্রাহামের। তবে আব্রাহাম কে এখন এই মূহুর্তে নিজের সামনে দেখে আইরাতের কাল রাতের ঘটনা গুলো মনের দেওয়ালে ভেসে ওঠলো। আইরাত আর থাকতে না পেরে ঠাস করে আব্রাহামের গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। দিয়া তার মুখে হাত দিয়ে দেয় এটা দেখে। আইরাত বেশ জোরেই আব্রাহাম কে থাপ্পড় টা মেরেছে। এই থাপ্পড়ের শব্দ যেন চারিদিকে বাজছে। আইরাত আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে আছে।
।
।
।
চলবে~~
(কি, গল্পের নাম কি সাইকো নিড় নাকি কি যেন একটা?? ভাই আমি এই গল্পের নাম পর্যন্ত জীবনে শুনি নাই কপি করবো কীভাবে। একটা গল্পের একটা অংশ বা একটা পার্ট আরেক টা গল্পের সাথে মিলে যেতেই পারে। এটা সম্পূর্ণ কাকতালীয় একটা ব্যাপার৷ তাই বলে আমি গল্প কপি করেছি এই কথা টা বলা কি মানায়?? প্রশ্ন আপনাদেরই করি। না মানে এটা তো আমার প্রথম গল্প না তাই না। আরো গল্প লিখেছি আমি তো সেইগুলো যদি নিজে থেকে বানাতে পারি তাহলে এটা কেনো বানাতে পারবো না। It”s just a coincidence… হুট করেই মিলে গেছে। আমার মাথা আছে সেখান থেকে গল্প বানাতে পারি কপি করার ইচ্ছে নেই আমার 🙂)