#নেশাক্ত_ভালোবাসা #লেখিকাঃ Tamanna Islam #পর্বঃ ৪৯

0
799

#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ৪৯

আব্রাহাম-আইরাতের দিন গুলো ভালোই কাটলেও গতো দুই দিন যাবত কেমন একটু অগোছালো প্রকৃতির হয়ে গেছে। অর্থাৎ আইরাত কি যেনো নিয়ে বেকার চিন্তা করে। অযথা মনমরা হয়ে বসে থাকবে, কাজে খেয়াল থাকবে না। না জানি কিসে ডুবে থাকে। আব্রাহাম ব্যাপার টা বুঝতে পারে না। আব্রাহাম অফিসে, আজ রনিতের স্কুলে পেরেন্ট”স মিটিং ছিলো। তাই রনিতের সাথে আইরাত স্কুলে গিয়েছিলো। বাড়ি ফিরে আসে তারা। বাড়ি ফিরেই আইরাতের আগে রনিত দৌড়ে চলে যায় ইলার কাছে। ইলা রনিতের স্কুল ব্যাগ আর টাই টা খুলে দেয়। আইরাত তাদের বসতে বলে নিজে ওপরে চলে যায়। কানের ঝুমকো টাতে একটু টান পরেছে তাই তা ঠিক করতে করতে আইরাত ওপরে রুমের ভেতরে চলে গেলো। তবে ভেতরে যেতেই অবাক। আব্রাহাম রুমে বসে আছে।

আইরাত;; আব্রাহাম আপনি? (কপাল কুচকে)

আব্রাহাম;; _________________

আইরাত;; অফিস থেকে এতো জলদি এসে পরেছেন যে? কাজ শেষ নাকি কিছু হয়েছে?

আইরাতের ফোনটা আব্রাহামের কাছে। আব্রাহাম আইরাতকে অন্য আরেকটা ফোন দিয়েছে তবে মেইন টা আব্রাহাম নিজের কাছে রেখেছে। আব্রাহাম আইরাতের ফোনটা আইরাতের দিকে এগিয়ে দেয়।

আইরাত;; কি করবো ফোন দিয়ে?

আব্রাহাম;; তোমার ফোনে গত তিনদিন যাবত লাগাতার আননোন নাম্বার থেকে কল আসছে।

আইরাত;; কিন্তু তা আমি কি করে জানবো। ফোন তো আপনার কাছে ছিলো তাই না।

আব্রাহাম;; হ্যাঁ ছিলো কিন্তু ফোন আমি নিজের সাথে নিয়ে ঘুড়ি না। ড্রয়ারে ছিলো, বাসায় ফাইল ভুলে গেছি তা নিতে এসেছিলাম এসে দেখি ফোন বাজছে। আমি রিসিভ করার আগেই কেটে গেছে।

আইরাত;; আমি জানি না কিছুই।

আব্রাহাম;; রায়হান ছিলো।

আইরাত;; কি?

আব্রাহাম;; অবশ্যই রায়হান ছিলো। কেননা এই কাজ রায়হান ছাড়া আর কেউ করতেই পারবে না।

আইরাত;; আব্রাহাম প্লিজ মাথা ঠান্ডা করুন।

আব্রাহাম এসে সোজা আইরাতকে জড়িয়ে ধরে।

আব্রাহাম;; তুমি আমার।

আইরাত;; হ্যাঁ 😅।

আব্রাহাম;; আচ্ছা শুনো কোন কারণে, মানে যেকোন কারণেই হোক না কেনো তুমি কি আমায় বিন্দু পরিমানও ঘৃণা করো? মানে আমি জানি আমি তোমার সাথে অনেক বার অনেক কিছু করেছি। হ্যাঁ হার্টও করেছি সেগুলোর জন্য বিন্দু পরিমাণ হলেও কি তুমি আমায় ঘৃণা করো?

আইরাত;; আব্রাহাম আপনি কি বলছেন কি এইসব। মাথা ঠিক আছে আপনার। আমি ঘৃণা না ভালোবাসি আপনাকে।

আব্রাহাম;; হুমম।

আইরাত;; হুমমম

আব্রাহাম;; তাহলে তুমি মনমরা হয়ে কেনো থাকো বলতো? কিসের এতো চিন্তা তোমার?

আইরাত;; কিছুর চিন্তাই নেই আমার।

আব্রাহাম;; আমি বাইরে গেলাম।

আইরাত কে আর কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে আব্রাহাম চলে যায়। আইরাত বুঝলো যে আব্রাহামের মুড অফ। আব্রাহাম ইলা আর রনিত কে দেখে চোখে সানগ্লাস টা পরে দ্রুত বাইরে বের হয়ে পরে। আইরাত ছুটে বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়ায় আর তখনই আব্রাহাম সাই করে চলে গেলো।

আইরাত;; ব্যাটা খবিশ একটা বার তাকালো না পর্যন্ত। দাড়াও চান্দু তোমার মুড ঠিক করতাছি।

আইরাত সোজা চলে গেলো রান্নাঘরে। রান্নাঘরে গিয়েই বিরিয়ানি রান্না করা শুরু করে দিলো। ওইযে ওই মহান বিরিয়ানি যেটা অন্য কেউ মুখেও তুলতে পারে না আর সেটা কিনা আব্রাহাম পুরো শেষ করে ফেলে। আইরাত আগে থেকে এখন ভালো ভাবে রান্না পারলেও সে ইচ্ছে করেই ওমন আজগুবি মার্কা বিরিয়ানি রান্না করছে। সেম সেইদিনের মতো। না তার থেকে বেশি আর না তার থেকে কম। আইরাতকে এভাবে রান্না করতে দেখে ইলা কাশতে কাশতে রান্নাঘরে আসে।

ইলা;; কিরে কি করিস তুই?

আইরাত;; বিরিয়ানি রান্না করি 🧛‍♀️।

ইলা;; আয় হায় এটা তো সেদিনকার মতো হয়েছে।

আইরাত;; হ্যাঁ ওমন করেই রেধেছি।

ইলা;; কিন্তু কেনো?

আইরাত;; তোমার নাতির মুড অফ। তাই রান্না করে ফেললাম, এখন এটা নিয়ে অফিসে চলে যাবো।

ইলা;; হায়রে। আমি কি কিছু করে দিবো?

আইরাত;; এই না না তুমি বাইরে যাও। আর এছাড়াও আমার রান্না প্রায় শেষ।

ইলা চলে আসে। তার কিছুক্ষন পর আইরাতের দি মোস্ট গজামিল মার্কা খাবার ওরফে বিরিয়ানি রান্না শেষ হয়। আইরাত গাড়ি বের করে সোজা আব্রাহামের অফিসে চলে যায়। আইরাত তো টুটু করে অফিসে এসে পরেছে। আইরাতকে অফিসে দেখে সবাই সালাম দিচ্ছে, হাই-হ্যাল বলছে। আইরাত রোদেলা কে দেখে। দুজনেই হেসে দেয়। আজ কত্তোদিন পর তাদের দেখা হলো।

রোদেলা;; ওই হয় আমাদের বসের বউ।

আইরাত;; হাহাহাহা, কেমন আছো?

রোদেলা;; বেশ ভালো। তুমি?

আইরাত;; হ্যাঁ এইতো।

রোদেলা;; মানে ভাবা যায় আগে বান্ধুবি বললেও এখন কিনা ম্যাম বলে ডাকতে হয়। আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিলো তোমার আর স্যারের ওপর।

আইরাত;; আরে ধুর কে বলেছে ম্যাম বলে ডাকতে। যা ইচ্ছে ডাকতে পারো।

রোদেলা;; তো হঠাৎ কি মনে করে অফিসে?

আইরাত;; জামাইজানের মুড অফ তাই বিরিয়ানি নিয়ে এসেছি।

রোদেলা;; আহা ভালুপাসা, যাও যাও কেবিনে যাও।

আইরাত;; আচ্ছা থাকো তাহলে।

আইরাত সোজা আব্রাহামের কেবিনের ভেতরে চলে যায় আর অবশ্যই পারমিশন ছাড়া। তবে আইরাত গিয়েই থেমে পরে। কেননা একজন মেয়ে কলিগ আব্রাহামের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা ঝুকে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। এটা দেখেই তো আইরাতের মেজাজ ৪৪০°। আইরাতকে এভাবে ধিরিম করে আসতে দেখে আব্রাহাম খুশি হবে না কি করবে বুঝে না। সবাই জানে আব্রাহাম-আইরাত কাপল। তাই আইরাতকে দেখে মেয়েটা দ্রুত আব্রাহামের কেবিন থেকে চলে যায় আইরাতের পাশ কাটিয়ে। মেয়েটার যেতেই আইরাত চোখ ছোট-ছোট করে আব্রাহামের দিকে তাকায়।

আব্রাহাম;; তুমি আবার এখানে আসতে গেলে কেনো। কিছু লাগলে আমায় ফোন করতে আমি গার্ড দের বলে দিয়ে আসতাম।

আইরাত রাগে আস্তে আস্তে পা ফেলে আব্রাহামের টেবিলের সামনে আসে।

আইরাত;; কিছু নিতে না দিতে এসেছি।

আব্রাহাম;; কি?

আইরাত;; এটা।

আইরাত খাবারের বক্স টা আব্রাহামের টেবিলের ওপর রাখে। বক্সের মুখ খুলে দিতেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানি সামনে পরে। আব্রাহাম যেনো এখানে গলে গেলো একদম মোমের মতো।

আব্রাহাম;; বিরিয়ানি!! এটা কি আমার জন্য সারপ্রাইজ ছিলো নাকি বেবিগার্ল। থ্যাংক ইউ সো সো মাচ।

আব্রাহাম হাতে চামচ নিয়ে সোজা খাওয়া শুরু করে দেয়। আর আইরাত টেবিলের সাথে হেলান দিয়ে দুই হাত ভাজ করে সরু চোখে আব্রাহাম কে দেখছে।

আব্রাহাম;; এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? পছন্দ হইছে আমারে?

আইরাত;; পছন্দ দেখেই তো বিয়ে করেছি।

আব্রাহাম;; হ্যাঁ এছাড়াও ভালো ছেলে আজকাল পাওয়াই যায় না। আমি তো ভালো বিয়ে করে ফেলেছো ভালো ছেলে দেখে তাই ভালো করেছো।

আইরাত;; আহা, এটা ভুল ভালো কেউই থাকে না। আর জামাই রা তো একদমই না। মেরে-পিটে ভালো বানিয়ে নিতে হয়।

আব্রাহাম;; আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে যে এই বিরিয়ানি খাওয়ার পর আমার কপালে মাইরও খাওয়া জুটবে।

আইরাত;; অবশ্যই।

আব্রাহাম;; কিন্তু কেনো? আমি কি করলাম?

আইরাত;; মেয়ে টা কে ছিলো?

আব্রাহাম;; আরে নতুন একটা মেয়ে, কাজ বুঝছিলো না তাই বুঝিয়ে দিলাম।

আইরাত;; ওহহ তাই না। নতুন মেয়ে? তো নতুন তো আমিও ছিলাম কই আমাকে তো কখনো এভাবে বুঝিয়ে দেন নি।

আব্রাহাম;; তোমাকে কি কি করেছি তুমি তা নিজেও ভালো করে জানো। মানে লাইক সিরিয়াসলি তুমি বলছো এই কথা। যেখানে আমি তোমার কেবিন আমার কেবিনে শিফট করে দিয়েছি। তাকিয়ে দেখো তো এখনো তোমার টেবিল টা আমার কেবিনেই রয়েছে। আর তোমাকে তো হাতে-কলমে আর না জানি কতো ভাবে করে বুঝিয়ে দিয়েছি তাই না, তুমি তা জা……………….

আইরাত;; এই না না থাক হয়েছে, আর বলতে হবে না। আপনি গিলেন।

আব্রাহাম খাচ্ছে আর মাঝে মাঝে আইরাতের দিকে তাকাচ্ছে। নাহ, মেয়েটা ভারি রাগ করেছে।

আব্রাহাম;; বেবিগার্ল?

আইরাত;; কি হইছে?

আব্রাহাম;; হুম।

আব্রাহাম খেতে খেতে একটা মাঝারি আকাড়ের বক্স আইরাতের দিকে দিলো।

আইরাত;; এটা কি?

আব্রাহাম;; খুলেই দেখো না।

আইরাত বক্স টা খুলে ফেলে। দেখে প্রায় ১৩ ডজনের মতো চুড়ি আর ৭ সেট ঝুমকো। আইরাত তো এগুলো দেখে খুশিতে পাগল। কিন্তু সে খুব চেষ্টা করছে যেনো হেসে না দেয়, হেসে না দেয়। দাতে দাতে কামড়ে হাসি আটকে রেখে রাগি রাগি একটা ভাব আনতে চাইছে।

আইরাত;; আহাম, আহাম।

আব্রাহাম;; পছন্দ হয়েছে (খেতে খেতে)

আইরাত;; আব…হুম হুম।

আব্রাহাম;; বেবিগার্ল 🤨🤨

আইরাত;; 😁😁😁😁। এত্তো গুলা আলাভু। এত্তো গুলা চুম্মা, লাপ্পিউ লাপ্পিউ লাপ্পিউ। ইইইইইই আল্লাহ এতো সুন্দর সুন্দর চুড়ি & ঝুমকা। এইই জামাইজান থাংকুউউউউ।

আব্রাহাম;; আচ্ছা এগুলো তে এমন কি আছে? মানে এগুলো পেলে মেয়েরা এত্তো খুশি কেনো হয়?

আইরাত;; ওয়েট একটা ডেমো দেই। এই যে ধরুন আপনি রিভলবার, নাইফ, হ্যান্ডগান, ব্লেক ওয়াচ এগুলো পেলে যেমন খুশ হন ঠিক তেমন আমিও। এগুলো মেয়েদের প্রথম ভালোবাসা বুঝলেন। ইন ফ্যাক্ট এমন কোন মেয়েই নেই যে এগুলো পছন্দ করে না। তবে এগুলো ছাড়াও আমার আরেকটা ভালোবাসা আছে।

আব্রাহাম;; হ্যাঁ আমি।

আইরাত;; না।

আব্রাহাম;; হুয়াট?

আইরাত;; আপনার ওই ঘন চাপদাড়ি গুলো, আপনার হাতের ওই ফুলো ফুলো রগ গুলো, আপনার সিল্কি চুলগুলো আর আপনার ভুড়ি। ওহহহ সরি সরি আপনার তো ভুড়িই নেই। আসছে রে বডি ওয়ালা।

আব্রাহাম;; হুম বুঝলাম।

আইরাত গিয়ে আব্রাহামের গলা জড়িয়ে ধরে। তারপর আব্রাহামের গালে কষে একটা চুমু দিয়ে দেয়।

আব্রাহাম;; হুম আমার খাওয়া শেষ। এবার তুমি বাড়ি যাও রাশেদ কে বলে দিচ্ছি আমি।

আইরাত;; আরে না আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি। একাই যেতে পারবো।

আব্রাহাম;; সিওর?

আইরাত;; হ্যাঁ।

আব্রাহাম;; ওকে ফাইন।

আইরাত আব্রাহাম কে বলে আর নিজের গিফট গুলো নিয়ে এসে পরে।



অন্যদিকে রায়হান-প্রীতি লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসছে। প্রীতির প্ল্যান মুতাবিক আগে দেশে ফিরতে হবে।

রায়হান;; দেশে কাল সকালের মাঝেই পৌঁছে যাবো।

প্রীতি;; হুমম। তারপর কি?

রায়হান;; আব্রাহামের অফিসে ঝামেলা করতে হবে।

প্রীতি;; কি? খবরদার আব্রাহামের সাথে কিছু করবে না।

রায়হান;; চিল প্রীতি বেবি, কষ্ট করলে তেষ্ট মিলে। আব্রাহামের একটু ক্ষতি না করলে না আইরাত আমার হবে আর না ই আব্রাহাম তোমার।

প্রীতি;; দেশে গিয়ে এরপর কি করবে তাই বলো?

রায়হান;; আব্রাহামের একটা ড্রাইভার আছে যা আমার সাথে রয়েছে। কিন্তু এটা আব্রাহাম জানে না। বেশি না মাত্র কয়েকদিন হবে নতুন ড্রাইভার টা গিয়েছে। তার সাথেই গোলমাল লাগাতে হবে।

প্রীতি;; আব্রাহামের বেশি কিছু যাতে না হয়। নয়তো তোমাকে দেখো আমি কি করি। তোমার আইরাতকেও মেরে ফেলবো আমি।

রায়হান;; আগে এটা বলো যে আব্রাহামের জন্য কি কি করতে পারবে তুমি?

প্রীতি;; মানে?

রায়হান;; মানে এই যে তুমি তো আব্রাহামকে অনেক ভালোবাসো তাই না। তো এখন বলো যে এই ভালোবাসায় তুমি আব্রাহামের জন্য কি কি করতে পারবে?

প্রীতি;; সব, সব করতে পারবো আমি সব। এমনকি জীবন নিতে বা দিতেও আমি দ্বিতীয় বার ভাববো না।

রায়হান;; না না, জীবন দিতে হবে না। শুধু একটু এক্টিং করতে হবে। আর এছাড়াও তুমি তো তাতে এক্সপার্ট।

প্রীতি;; খুলে বলো।

রায়হান;; তোমাকে আইরাত হতে হবে প্রীতি।

প্রীতি;; কিহহ, কেনো?

রায়হান;; প্রীতি জানো তো ধোকা খুব খারাপ জিনিস আর তা যদি হয় নিজের সবথেকে আপনজনের কাছ থেকে তাহলে সেই মানুষ টা তো জীবন্ত লাশ হয়ে যায়।

প্রীতি;; হ্যাঁ তবে এর সাথে আমার আইরাত হবার কি কানেংশন? আর আমি আইরাতই বা হবো কেনো?

রায়হান;; যদি তুমি আইরাত না হও তাহলে কিছুই হবে না কিচ্ছু না। হুবাহু আইরাত হতে হবে তোমার। তার মতো করে কথা বলতে হবে, তার মতো হাটতে হবে, আর সবচেয়ে বড়ো কথা চেহারা তা পাল্টাতে হবে তোমার তবে তা ক্ষনিকের জন্য।

রায়হান সবকিছু প্রীতি কে বুঝিয়ে দিলো। ধাপে ধাপে সব করতে হবে।

প্রীতি;; মানুষ বলতো খালি মাথা শয়তানের কারখানা। আজ দেখেও নিলাম। তোমাকে।

রায়হান;; সে যাই বলো। তো আইরাত পার্ট 2, বি রেডি।

প্রীতি;; আই এম।





চলবে~~

{কাল গল্পের সব থেকে ক্লাইমেক্স একটা পার্ট হবে। এটাই গল্পের মূল প্যাচ। পুরো গল্পের চেহারা পালটে যাবে। পরে আবার সব নতুন করে শুরু হবে। বলা যায় এটাই এই গল্পের মেইন টার্নিং পয়েন্ট ❤️।}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here