প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_১১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আন্টি একটা কথা বলার ছিল আপনার সাথে
.
হ্যাঁ বাবা বলো
.
বাসায় আসুন,সোফায় বসে বলতেছি
.
আহানার মা শান্তর সাথে বাসার ভেতরে চলে গেলো
আহানা শান্তর মায়ের কাছে এসে বসেছে ঘাসের উপর আর ওর মা হুইলচেয়ারে
.
আহানার মা সোফায় বসে শান্ত গলায় বললেন “হুম বাবা বলো কি বলবে”
.
মিঃমজনু শেখ এখন চৌধুরী হয়ে গেছে আন্টি!
আমার অফিসের সাথে পার্টনারশিপ করতে চায় তাও ৫০/৫০,হাহা,আমি তো নাম শুনে কিছুক্ষণ ভাবনায় ছিলাম যে উনি কি সেই মজনু শেখ?নামটা পাল্টে চৌধুরী হয়েছেন,চিনছি কি করে জানেন আন্টি?ইন্ডাস্ট্রির নাম শুনে
আগে ছিল আয়াত লাগজারিস গ্রুপ আর এখন মজনু লাগজারিস গ্রুপ!!
আরে ভাই কপি করলি ঠিক আছে তাই বলে পুরাটা?
.
তো তুমি কি বললে?
.
আমি রাজি হয়ে গেলাম
.
এমন কেন করলে বাবা তুমি তো জানো উনি কিরকম খারাপ লোক তার পরেও কেন তুমি উনার সাথে বন্ধুত্ব করতে গেছো
.
আরে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবো তাই তো জেনেশুনে ফাঁদে পা ফেললাম
আর সে আমাকে আর আমার ফ্যামিলিকে চেনে না তাই কাজটা আরও সহজ হলো আমার জন্য,আন্টি আপনি আমাকে জাস্ট ১মাস টাইম দেন,আপনার বাড়ি -গাড়ি সব আমি ব্যাক এনে দিব
.
এটা কি সম্ভব?
.
অবশ্যই সম্ভব! তাকে তার পথ দিয়েই আক্রমণ করবো আমি,আপনি শুধু বলেন আপনাদের গাড়ী কি রঙের লাগবে আর বাড়ি কি রঙের লাগবে
.
আহানার মা মুচকি হেসে বললেন”বাবা পারলে আমাদের আগের বাসা এনে দাও,ওখানে আহানার বাবার সব স্মৃতি
বাসাটা মজনু যার কাছে বিক্রি করেছে সে বিদেশ থাকে বলে বাসাটা পড়েই আছে পরিত্যাক্ত
.
ওকে ডোন্ট ওয়ারি,আমি সেটাই এনে দিব আর ঐ মজনুর যেটা আছে সেটাও মাটিতে মিশিয়ে দিব আমি
.
আমাকে একটা আশা দিলে তুমি
ভাবতেও পারিনি আদৌ এটা ফেরত পাবো কিনা
যদি পাই তাহলে খুব ভালো হতো
.
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন
.
আহানা উঁকি মেরে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কান পেতে শুনার চেষ্টা করছে যে কি কথা হচ্ছে ওখানে
.
শান্ত কথা শেষ করে নিজের রুমে চলে গেলো
আহানা সাথে সাথে মায়ের কাছে দৌড়ে এসে বললো “এতক্ষণ কি কথা হলো”
মা আহানাকে সবটা বুঝিয়ে বললেন,মায়ের কথা শুনে আহানা ফিক করে হেসে দিয়ে বললো”মঘেরমুলুক নাকি?
দলিল করা সম্পত্তি আবার ব্যাক পাওয়া যায় নাকি,পাগলের প্রলাপ”
.
আরে শান্ত অনেক জোর দিয়ে বললো হলেও তো হতে পারে
.
কচু হবে,হুদাই আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে
♣
আহানা রেডি হচ্ছে টিউশনি করাতে যাবে বলে,রেডি হয়ে বের হতে নিতেই দেখলো শান্ত ও বের হচ্ছে বাসা থেকে
নেভি ব্লু কালারের জ্যাকেট পরে ফোনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কারে উঠলো সে
আহানা দাঁড়িয়ে ভাবলো নির্ঘাত জিএফের সাথে মিট করতে যাচ্ছে কারণ আজ তো শুক্রবার,উনার অফিস তো শুক্রবারে দুপুর পর্যন্ত থাকে রিপা আপু বলেছে আর এখন তো বিকাল
হুমম! হুহ আমার কি!
আহানা সোজা হেঁটে চললো টিউশনির দিকে,পথে রিকসা পেলে জলদি যাওয়া যাবে
এখান থেকে রিকসা নিলে ১৫মিনিট পরই চিত্রাদের বাসা,চিত্রাকে পড়িয়ে তারপর যাবে সিয়াদের বাসায় তারপর আবার ফিরে আসবে সে
চিত্রাকে একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে আহানা আনমনে ভাবতেছে শান্তর জিএফটা দেখতে জানি কিরকম!আর শান্তর কি দেখে ওকে পছন্দ করলো সে?শান্তর মধ্যে তো আমি কোনো গুনই দেখি না
মনে হয় যে ওরে পছন্দ করে সে নিজেও একটা পাগল,হিহি
.
ম্যাম
.
হুম বলো চিত্রা
.
হাসতেছেন কেন ম্যাম?
.
না কিছু না এমনি,তুমি তোমার কাজ করো নাহলে চড় মেরে দিব,সারাদিন খালি বকবক!
.
আহানা কি হয়েছে?চিত্রা কি কথা শুনে না?
.
শুনে শুনে,একটু ধমক দিতে হয় আর কি,ওর রেসাল্ট দিসে না আজকে?গ্রেট কত?
.
সেটাই তো বলতে এলাম,,আহানা আমি এত খুশি কি বলবো,এই প্রথম চিত্রা ৯০এর উপর মার্কস পেয়েছে,তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিব
.
যাক আমার ধমক কাজ দিয়েছে,ধন্যবাদ দিতে হবে না আন্টি
ও বড় হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে একদিন এটাই তো চাই
.
আন্টি খুশি মনে চলে গেলেন
আহানা আবার ও ভাবনায় চলে গেলো,একবার গিয়ে শান্তর জিএফটা দেখলে ভালো হতো না?মনটা কেমন খচখচ করতেছে,অবশ্য আমি তো জানি না সে এখন কোথায়
ফলো করলে ভালো হতো,কিন্তু উনারে ফলো করতে গেলে তো আমারই টিউশন মিস যেতো
আহানা চিত্রাকে পড়ানো শেষ করে বাসা থেকে বের হতেই সিয়ার আম্মু ফোন করে জানালেন তারা আজ পার্কে ঘুরতে গেছেন তাই আজকে আহানা যেন পরাতে না আসে
আহানা তো মহাখুশি,এখন কথা হলো সে কি করবে,তার তো মন চাচ্ছে শান্ত এখন কি করতেছে সেটার সূত্র বের করতে
কিন্তু করবে তো কি করে!পরেই ওর মনে হলো রিপা জানলেও জানতে পারে যে শান্ত কোথায় গেছে
আহানা দেরি না করে বাসার দিকে ছুটলো
একটা কিউট বিকালবেলা,বেশ লাগতেছে
তার উপর রহস্য রহস্যভাব!!সূত্রের অভাব
শান্তর রহস্য বের করবো এই ভেবে বিকালটা কেন জানি আরও ভালো লাগতেছে
আহানা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িতে ফিরে এসে রিপাকে কথার ছলে জিজ্ঞেস করলো শান্ত কই গেছে
রিপা সাথে সাথে বলে দিলো একটা রেস্টুরেন্টের নাম
আহানা অবাক হয়ে বললো”তুমি জানলে কি করে?”
.
রিপা বললো শান্ত যাওয়ার সময় ওর মাকে বলে গেছে যে সে কোথায় যাচ্ছে
.
আহানা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবলো সে কি রেস্টুরেন্টে যাবে?নাকি যাবে না
গেলে তো অনেক ভালো হয়,শান্তর বিপক্ষে কিছু প্রমান পাওয়া যাবে এরপর থেকে শান্তকে কন্ট্রোলে আনাও যাবে
ভাবতে ভাবতে সে হাতের পার্সটার ভিতরে টাকা গুনলো
গুনে গুনে ২০টাকা আছে,২টা ১০টাকার নোট
আর রেস্টুরেন্ট টাতে যেতে ৩০টাকা লাগবে,মায়ের কাছে তো কোনো টাকা নাই,আহানার কাছে টাকা আরও আছে তবে সেগুলো তাদের বাসায়,আবার তাদের বাসায় যেতে হলে সন্ধাও হয়ে যাবে,আমি বরং আসার সময় হেঁটে আসবো
আহানা তাই একটা রিকসা নিলো কোনো মতে রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি আসলে তারপর বাকিটা হেঁটে যাওয়া যাবে এই ভেবে
তো রিকসাআলা ওকে রেস্টুরেন্টটার এক কিলোমিটার আগেই নামিয়ে দিয়েছে
আহানা উনাকে জিজ্ঞেস করলো রেস্টুরেন্টটা কোথায় উনি বললেন “সোজা গিয়ে বাম পাশে”
আহানা এবার জোরে সোরে হাঁটা ধরেছে,হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গিয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দালানের দিকে তাকালো
মুখ খানিকটা উঁচু করেই তাকাতে হয়েছে এত বড় দালান,১৯/২০তলা হবে
ইয়া বড় দালান, ৬তলায় রেস্টুরেন্ট দেখা যাচ্ছে,মানুষ বসে গসিপ করতেছে এটাও দেখা যাচ্ছে কারণ দেয়ালের গ্লাস স্বচ্ছ
তো যেমন ভাবা তেমন কাজ,আহানা লিফটে উঠে আসতেছে সেখানে
মনে মনে সে মহা খুশি,আসার সময় নিতুর থেকে ক্যামেরাও এনেছে এটা দিয়ে ভালো মানের ছবি তুলে শান্তকে ব্ল্যাকমেইল করবে সে
রেস্টুরেন্টে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা কোণায় সে শান্তকে দেখলো
শান্ত বকবক করে কথা বলেই যাচ্ছে আর তার সামনে মনে হয় একটা মেয়ে বসে আছে,চুল দেখে মনে হয় মেয়ে,ইয়া বড় বড় চুল
আহানা লুকিয়ে লুকিয়ে শান্তদের পাশ থেকে কয়েক সিট দূরে এসে বসেছে
ওড়না দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ক্যামেরা অন করলো সে
পিছন থেকে করচ করচ করে কয়েকটা ছবি তুললো,আরেকটা তুলতে যাবে এসময়ে ওয়েটার এসে হাজির
দাঁত কেলিয়ে সে বললো অর্ডার দিতে
আহানা পড়লো মহা বিপদে,তার কাছে তো একটাকাও নেই,কি করবে এখন,রেস্টুরেন্টে এসেছে যখন কিছু তো খেতে হবে তা না হলে তো ওরা ওকে বসতে দিবে না
আহানা সবদিক ভেবে বললো ঐ যে লোকটা দেখছেন আমার ভাইয়া হয়,টাকা উনার থেকে নিয়েন,আমি এখানে আসছি আমার ভাইয়ার কাজের তদারকি করতে,এখন আপাতত আইসক্রিম দিয়ে যান একটা
ওয়েটার হেসে চলে গেলো
আহানা এবার ছবি তুলবে মেয়েটার মুখ সহ
এগোতে এগোতে অনেকটা কাছে চলে এসেছে সে
ক্যামেরা ঠিক করে ভালো করে ছবি তুলার জন্য মেয়েটার দিকে তাকাতেই আহানা ৪৪০ভোল্টের ঝটকা খেলো একটা
এটা দেখি পোলা!!!!
আহানা ইয়া বড় হা করে কাছে এসে ছেলেটার চুল ধরে দেখতে লাগলো
তারপর ছেলেটার গোফ ধরে টানাটানি শুরু করে দিলো সে
শান্ত আহানাকে দেখে চমকেছে তার চেয়ে বেশি চমকেছে আহানা যখন ছেলেটার চুল আর গোফ টানাটানি শুরু করে দিয়েছে
শান্ত কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আহানাকে টেনে ছেলেটার কাছ থেকে সরিয়ে আনলো
নাহলে সে আর একটুর জন্য ছেলেটার চুল দাঁড়ি সব তুলেই নিয়ে আসতো
.
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে বোকার মত প্রশ্ন করে বসলো
আর সেটা হলো”আগে বলুন এটা মেয়ে না ছেলে?”
.
শান্ত ফিসফিসিয়ে বললো”তুমি এখানে কি করতেসো?”
.
আমার প্রশ্নের উত্তর দিন
.
অবিয়াসলি ছেলে,গোফ দেখো না?যেটা ধরে টানতেছিলে এতক্ষণ
.
গোফ তো দেখেছি,সাথে এক হাত লম্বা মাথার চুল ও দেখতেছি তাই কনফিউশানে আছি এটা কি আসলে
.
শান্ত ছেলেটাকে এক্সকিউজ মি বলে আহনাার হাত ধরে দূরে নিয়ে আসলো
“শুনো এটা আমার ক্লাইন্ট!উনার সাথে মিট করতে এসেছি আমি,তুমি এখানে আসছো কেন সেটা বলো?”
.
বেডা না বেডি,কইতে আপনার এত সময় কেন লাগে বুঝি না আমি
.
এটা ছেলে,কথা শুনো নাই তুমি?অনেক ছেলেরা চুল বড় রাখে এমন,আগে দেখোনি
.
বাহ তো
.
ভালো,দেখা হয়ে গেছে
যাও এখন
.
না যাবো না আমি
কেন যাবা না?
.
আমি আপনার জিএফকে দেখতে এসেছি
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে এবার পুরো বিষয়টা বুঝলো
তারপর হাত গুটিয়ে বললো”আচ্ছায়ায়ায়ায়া,এবার বুঝলাম!!আমার পিছনে গোয়েন্দাগিরি করো??বাপরে বাপ হাতে দেখি নিতুী ক্যামেরাও আছে
.
😒
.
আসেন আপনাকে মিট করাই আমার জিএফের সাথে
.
না না,দরকার নাই!
.
আরে আসেন আসেন
শান্ত আহানার হাত মুঠো করে ধরে টেনে সিটে বসিয়ে দিয়ে নিজেও ওর পাশে বসে পড়লো
আহানা ঢোক গিলে যেতে যেতে জানালার সাথে লেগে গেছে
.
মিট দিদার,ওর নাম দিদার উল হক,আমার ক্লাইন্ট,আর দিদার উনি হলেন পাশের বাসার আন্টি টাইপস রিলেটিভ আমার
মানে সে আজ এসেছে আমার আর আমার জিএফের গোপন পিক তুলতে
.
দিদার হেসে বললো”আর সে আমাকে তোমার জিএফ ভেবেছে?”
.
হ্যাঁ,এবং ছবিও তুলে ফেলেছে মুখ না দেখেই
.
হাহা,ভেরি ফানি,তা এই ছবি দিয়ে উনি কি করতেন?
.
সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতো
.
বাহ কি আইডিয়া!
.
ম্যাম আপনার আইস্ক্রিম
.
আহানা আইসক্রিমের দিকে তাকিয়ে তারপর শান্তর দিকে তাকালো,ভয়ার্ত স্বরে বললো”খাব না আমি”
.
শান্ত ওয়েটার থেকে আইস্ক্রিম নিতে নিতে বললো”মারবো না তোমাকে,মারার চেয়েও কঠোর শাস্তি দিব আমার পিছনে লাগার জন্য”
আহানার হাতে আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে শান্ত দিদারকে বিদায় দিলো
তারপর আহানার দিকে ঘুরে বসে তার হাতে থাকা কফির মগে চুমুক দিলো
আহানা আইসক্রিম খাচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে কি করে রক্ষা পাবে সে
.
এই মেয়ে!
.
আহানা আইসক্রিম মুখে দিতেই শান্ত “এই মেয়ে” বললো তাই ওর গলায় আইসক্রিমে থাকা বাদাম আটকে গেলো
কাশতে কাশতে বললো”কি ”
.
তোমারে আমি হারে হারে চিনি
.
চিনছেন তো ভালো করছেন আবার বলার কি আছে?
.
আজ তোমার হাত পা ভেঙ্গে তার পর বাসায় নিয়ে যাবো
.
কককককেন এমন করবেন আআআআপপপনি!
.
শান্তর পিছনে কোনো গোয়েন্দা লাগলে তারে শান্ত এমনি এমনি ছাড়ে না
আর হলো কথা জিএফের আমার এসবে ইন্টারেস্ট নেই,মা যাকে বলবে তাকেই বিয়ে করে নিব
.
ওহহহ
.
দেখি ক্যামেরা দেখাও
.
না,কেন দেখবেন আপনি,একদম ধরবেন না ক্যামেরা
.
তার মানে নিশ্চয় কিছু একটা গণ্ডগোল আছে,দেখি দাও আমাকে
.
না দিব না
.
শান্ত আরও এগিয়ে গেলো আহানার দিকে,আহানা ভয়ে পিছিয়ে গিয়ে হাতে থাকা আইসক্রিম এক চামচ শান্তর গালে লাগিয়ে দিলো,একদম লেপটে
.
শান্ত চোখ বন্ধ করে টেবিল থেকে টিসু নিয়ে মুখ মুছতে গিয়ে থেমে গেলো
আহানা বোকার মত তাকিয়ে আছে আর হাতে থাকা ক্যামেরাটা পিছনে লুকাচ্ছে
শান্ত আহানার গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ মুছে নিলো
আহানা কোনে রিয়েক্টই করলো না কারণ এখন তার একটাই কাজ আর সেটা হলো ক্যামেরা লুকানো
.
শান্ত মুখ মুছা শেষ করে আহানার হাত চেপে ধরলো,কিছুটা জোরেই
আহানা হাত মুছড়াতে মুছড়াতে বললো”তাও ক্যামেরা দিব না আমি”
শান্তর সাথে জোরাজুরিতে পারলো না আহানা,শান্ত ক্যামেরা নিয়েই ছাড়লো তারপর দেখলো আহানা মোট ১৪টা ছবি তুলেছে সবগুলোতে শান্ত হেসে তাকিয়ে আছে সামনে বসা মানুষটির দিকে
শান্ত অফিসের কথা বলার সময় মাঝে মাঝে হেসেছিল আহানা ঠিক ওসময়টায় ছবি তুলেছে যেন ওর মা মনে করে এটা সত্যিই ওর জিএফ
আচ্ছা বাকি ছবিগুলোতে মেয়ের চুল তুলেছে সব
হায় রে!
আমাকে ফাঁদে ফেলার সব তৈরি করে নিয়েছিল বেকুবের গুষ্টিটা
.
আহানা টেবিলের নিচ দিয়ে বের হয়ে এক দৌড় মেরেছে ততক্ষণে
শান্ত সামনে তালিকে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা দারোয়ানকে ইশারা করলো
দারোয়ান আহানার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছে সাথেসাথে
.
আহানা পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো শান্ত হাসতে হাসতে আসতেছে এদিকে
চলবে♥