প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৪০

0
480

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪০
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা মুচকি হেসে বারান্দার নিচে তাকাতেই চোখ পড়লো শান্তর উপর
শান্ত যেন এতক্ষণ ওর দিকেই চেয়ে ছিলো
আন্টি বাসার ভিতরে চলে যাওয়ায় শান্তও যেতে নিচ্ছিলো ঠিক তখনই সে আহানাকে দেখতে পেয়েছে বারান্দাতে
তাই সেখানেই দাঁড়িয়ে থেকে আহানার চোখে মুখের হাসি দেখতে ব্যস্ত হয়ে গেলো
আহানা শান্তর মিষ্টি হাসি দেখে মনের অজান্তেই হেসে ফেললো সে নিজেও
তারপর কি যেন মনে করে মুখ বাঁকিয়ে আবারও নিজের রুমে ফেরত গেলো
শান্ত ঠিক বুঝলো না,মুখ বাঁকানোর কারণটা কি ছিলো
তারপর সেও বাসার ভেতর দিকে চললো
আহানার মা হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাসার প্রতিটা আসবাবপত্র দেখতেছেন আর গায়ের হালকা গোলাপি রঙের শাড়ীটার আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছতেছেন
সব কিছুতে আহানার বাবার স্মৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে
সোফার রুমের সামনে যে বিরাট দেয়ালটা আছে সেটাতে মিনিমাম ৩০টার মতন ছবি ঝুলানো
সবগুলোতে আহানা,তার বাবা আর তার মা,সাথে আছে শান্ত ও তার বাবা মা
আহানার মা একটা ছবি হাতে নিলেন,ছবিটা আহানার বাবার,সেটা ধরে তিনি শক্ত চোখে চেয়ে রইলেন
শান্ত আর ওখানে দাঁড়ালো না, সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে গেলো সে
এই বাড়িতে সে কদিন আগেও এসেছিলো,সেট আপ দেখার জন্য,বাড়িটা সে মিঃ মজনুর থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ঠিক তেমন করে যেমন করে মজনু আহানার মায়ের থেকে কেড়ে নিয়েছিলো
জাস্ট মাস্টারমাইন্ড প্ল্যান করতে হয়েছে এই আর কি,এই মজনুকে পথে বসাবো আমি,আমাকে চেনে না
শান্ত মুচকি হেসে শেষ সিঁড়িটা পেরিয়ে দোতলায় পা রাখতেই আহানার সাথে এক ধাক্কা খেয়ে গেলো
আহানা মাথা মুছতে মুছতে বললো”দেখে চলতে পারেন না?”
.
শান্ত ব্রু কুঁচকে বললো”আমি না হয় কিছু একটা ভাবতে ভাবতে উপরে উঠতেছিলাম তাই খেয়াল ছিল না
কিন্তু তুমি কোনদিকে চেয়ে এদিকে আসতেছিলে?”
.
আহানা আবারও মুখ বাঁকিয়ে পাশ কেটে নেমে যেতে নিতেই শান্ত ওর হাতের কব্জি ধরে ফেললো
.
আহানা পিছন ফিরে বললো”কি?আবার কি?”
.
কেমন লাগলো?
.
বেশ ভালো,ধন্যবাদ দিতেই পারি
.
ওয়েলকাম! বাট!
.
বাট কি?
.
এখন থেকে আলাদা হয়ে গেলাম,দুবার বিয়ে করা বউ এখন থেকে আলাদা থাকবে,আমার কেমন জানি খালি খালি লাগতেছে
.
এহহহহ,এত দরদ?আমার তো মনে হয় আপনি মনে মনে খুশি আমাকে বের করে দিয়ে
.
সেটা ঠিক বলছো,আজ থেকে আমাকে কেউ জ্বালাবে না
.
হুহ😎আর আমিও শান্তিতে থাকবো আপনার সাথে ঝগড়া করে মাথার গরম করার ঝামেলা নেই,আহা কি আনন্দ বিল্ডিংয়ে বিল্ডিংয়ে!!
.
আহানা হেলেদুলে নিচে নেমে গেলো
শান্ত উপরের রুমগুলো দেখে আবার নিচে চলে এসেছে
আহানা রান্নাঘরে গিয়ে উৎপাত করছে আর ওর মা আপাতত তার রুম দেখতে গেছেন
শান্ত রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে যা বুঝলো আহানা চা আর পাকোড়া বানাচ্ছে,নুডুলস পাকোড়া
শান্ত এগিয়ে গিয়ে চুলার পাশের তাকে পা ঝুলিয়ে বসে পড়লো
আহানা ওর দিকে একবার চেয়ে চায়ের পানি বসাতে বসাতে বললো”তা মাসকাবারি বাজার করলো কে?বাসা তো আজ ওপেন হলো তাই না?”
.
জি তাই,তবে এই বাসা মরুভূমির মতন ছিলো,আমি সব ঠিক করেছি ঠিক আগে যেমন ছিলো তেমন করে,বাগান দেখলে তো মূর্ছা যেতা,আমি লোক লাগিয়ে সব ঠিক করেছি,বাজার করে রেখেছি,সব সেট করে তারপর তালা মেরে আন্টিকে আনলাম
আর আমি তো চেয়েছিলাম প্রতি মাসে আন্টির নামের সেই ব্যাংক আকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে সংসার চালানোর টাকা আর কি বাট তুমি তো এমনি এমনি টাকা নিবা না তাই কি আর করার কাল থেকে অফিসে এসো,লাল কারে করে
.
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো”কার চালিয়ে যাব ২০হাজার টাকার চাকরি করতে😂”
.
কি আর করার,আমার বউ তো এমনি এমনি টাকা নিতে চায় না
.
আর একটা কথা আমি কার চালাতে পারি না
.
আরে সমস্যা নাই,তোমাদের পুরান ড্রাইভারের সাথে আমার কথা হইছে,উনি কাল থেকে জয়েন হয়ে যাবেন
.
সত্যি?কিন্তু উনার বেতন?আমি তো পাবো ২০হাজার
.
হাসবেন্ড হিসেবে ড্রাইভারের সেলারিটা আমি বহন করতে পারি,তাই নয় কি?
.
আহানা ভাবলো অনেক তারপর আর কিছু বললো না,বাটিতে পাকোড়া নিয়ে চায়ের পাতিলে চা পাতা দিয়ে সোফার রুমের দিকে চললো
শান্ত এসে সোফায় বসে গরম গরম পাকোড়া মুখে দিয়ে টিভিটা অন করেছে
আহানার মাও এসে গেছে ততক্ষণে
মায়ের আজ খুশি ধরে না
মা বললেন শান্ত যেন ওর মাকে নিয়ে আসে,শান্ত হেসে বললো”আমি রিপাকে বলে দিয়েছি সে নিতু আর মাকে নিয়ে ক্যাবে করে আসতেছে”
.
তাই??তাহলে আজ তোমরা এখানেই থেকে যেও,খুব মজা হবে
.
মন্দ হয় না,তবে আমার অফিসের আজ অনেক কাজ,আজ রাতেই সব কাজ সারতে হবে,তাই আজ পসিবল না
.
ওহহ
.
আহানা পাকোড়া নিয়ে নিয়ে গোটা গোটা গিলছে,চিবানোর প্রয়োজনও মনে করছে না কারণ শান্তর খাওয়ার স্পিড দেখে তার কলিজা কাঁপতেছে
যে স্পিডে শান্ত পাকোড়া খাচ্ছে মনে হয় আহানার কপালে আর একটাও জুটবে না তাই সে সব সাবাড় করতেছে অনবরত
.
শান্ত ব্যাপারটা বুঝতে পেরে কপাল কুঁচকে বললো”ছোটবেলায়ও এমন করতে তুমি,তোমার জন্য আমি ঠিকমত চিপস খেতে পারতাম না,আর এখনও শুরু করে দিলে?”
.
তো কি করবো,যেভাবে রাক্ষসের মতন খাওয়া শুরু করছেন বাপরে বাপ
.
আমি না হয় একসাথে দুটো মুখে দিয়েছিলাম একবার তুমি কি করছিলে এতক্ষণ?? একসাথে ৪টা মুখে পুরে বসে ছিলে,আমি খেয়াল করিনি?
.
থাম তোরা!খাওয়া নিয়েও ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিস শেষমেষ!

আহানা কোমড়ে ওড়না বেঁধে রান্নাঘরে ঢুকেছে,আজ সে বিরিয়ানি রাঁধবে,এক প্রকার পার্টি ধরে নেওয়া যায়
একে তো মায়ের জন্মদিন আরেক তো তাদের বাড়ি গাড়ি সব ফেরত এসেছে
তাই আজ আলাদা একা আমেজ আমেজ ভাব পুরো বাড়ি জুড়ে
শান্ত টিভি দেখতেছে সোফায় হেলান দিয়ে বসে
আর আহানার মা বাগানে ফুল দেখতে গেছেন
৫/১০মিনিট পর শান্তি রহমান আর রিপা,নিতুও এসে পড়েছে
আহানার মা তাদের নিয়ে বাগানের যে অংশে ছায়া সেখানে গিয়ে বসেছেন চেয়ার নিয়ে
আহানা চা নাস্তা পাঠিয়েছে,রিপা হেল্প করেছে কিছু
শান্ত আহানাকে দেখছে আবার টিভি দেখছে
মনে হচ্ছে সে বিবাহিত ব্যাচেলর
আহা!মন চাচ্ছে জোর গলায় বলতে!”ওগো বউ লেবুর শরবত এক গ্লাস পাওয়া যাবে কি?”
কিন্তু ভয় করে যদি খুন্তি ছুঁড়ে মারে?এমনিতেও একা হাতে সব সামলাচ্ছে
ভাবতে ভাবতেই আহানাকে দেখে তার ভাবনায় ইয়া বড় ছেদ পড়লো আর সেটা হলো আহানা মুচকি হেসে হাতের ট্রে তে করে এক গ্লাস লেবুর শরবত নিয়ে এদিকেই আসতেছে
সকাল সকাল জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি নাকি?না এটা স্বপ্ন না
.
আহানা এক গাল হাসি নিয়ে গ্লাসটা শান্তর হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে পড়লো দপ করে
শান্ত ঢোক গিলে শরবতের দিকে একবার তাকাচ্ছে তো আবার আহানার দিকে তাকাচ্ছে
কিছু মিশিয়ে দেয়নি তো?
আহানা শান্তর হাত থেকে শরবতের গ্লাসটা নিয়ে এক চুমুক দিয়ে আবারও ফেরত দিলো সেটা
তারপর বললো”কিছু মিশাই নি,খেতে পারেন”
.
শান্ত তাও ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে,তাহলে আহানার এমন হাসির আর এমন পতি সেবার কারন কি হতে পারে?
.
আহানা আঙ্গুল দিয়ে শান্তর হাতে গোল গোল করে বানাতে বানাতে বললো”শুনো না””
.
শান্তর কাশি উঠে গেছে “শুনো না” শুনে,তারপর গলা একটু হাত দিয়ে ঘষে বললো”কি শুনতাম?”
.
শুধু বিরিয়ানি খেতে কেমন কেমন লাগে,একটু বাজার থেকে গিয়ে কোকাকোলা আর শশা,টমেটো নিয়ে আসেন না!!
এবার আহানার গলার আওয়াজ চওড়া হয়ে গেলো
উঠে দাঁড়িয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে রাগী রাগী লুকে বললো”এসবও আবার বলতে হয়?মিনিমাম কমন সেন্স নাই আপনার?মাসকাবারি বাজার করে দিছেন উনি!
আমার মাথা করেছেন
এটা পেলে ওটা নাই
এখন গিয়ে এসব নিয়ে আসেন যান,সেই সকাল থেকে টিভিই দেখতেছে খালি,আজাইরা একটা!
.
শান্ত জ্যাকেটটা একটু টেনে ঠিক হয়ে বসে বললো”শান্তি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের” মালিক কিনা বাজারে যাবে শশা,টমেটো আর কোকাকোলা আনতে?”
.
তো?না পারলে লোক ধরিয়ে তাকে দিয়ে আনান,আপনার তো টাকা আর টাকা,টাকা আর টাকা
.
শান্ত মুখ বাঁকিয়ে তাহসিনকে কল করে বললো আনতে
তারপর আবার টিভি দেখায় মন দিলো
আহানা বিরিয়ানি নাড়তে নাড়তে বলতেছে”ছেলেরা অফিসের কাজ ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না,আরে মাঝে মাঝে ওয়াইফকে কাজে হেল্প করতে হয়,এইটুকু জ্ঞানবোধ নেই নাকি?”
.
আহানা শান্তকে বকতে বকতে পিছন ফিরতেই ভয় পেয়ে গেলো শান্তকে দেখে,শান্ত একটা ছোট বাটি আর চামচ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
মুখটা গুলিয়ে বললো”একটু বিরিয়ানি দাও না,টেস্ট করে বলবো কেমন হয়েছে”
.
শুনুন!এমনিতেও লোক বেশি,তার উপর আপনি তাহসিন ভাইয়াকেও ডেকেছেন এখন আবার একটু চাচ্ছেন?দুপুরবেলায় আপনার পাতে কম দিব তাহলে”
.
আরে তাহসিন খাবে না তো,সে এক দাওয়াতে সেখান থেকে আসতেছে এখন,জিনিস দিয়ে আবারও দাওয়াতে যাবে সে
.
লোকটা এত কষ্ট করে এসব আনবে তাকে আমি এসব না দিয়ে যেতে দিব?
.
ওর মাস করা বেতন আছে আমার বাসার ছোটখাটো সব কাজ করার জন্য,বুঝেছো?
.
তার পরেও এটা ভদ্রতা!
.
ফাইন!দিও না বিরিয়ানি
.
শান্ত মুখ বাঁকিয়ে চলে যেতে নিতেই আহানা আটকিয়ে বললো”আচ্ছা দিচ্ছি,রাগ করিয়েন না”
.
শান্ত এক চামচ মুখে দিয়ে আহা আহা বলতে বলতে সোফার রুমের দিকে চলে গেছে
আহানা হাসতেছে শান্তর এমন বাচ্চামি দেখে
.
সবাই একসাথে খেতে বসেছে,শান্ত চেটেপুটে সবটা বিরিয়ানি খেলো তার প্লেটের,মনটা আরেকটু আরেকটু চাচ্ছে
আহানা বাটিতে করে এক্সট্রা বিরিয়ানি দিয়ে বললো”নিন খান”
.
শান্ত যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে,আহানার থেকে বাটিটা কেড়ে নিয়ে সেটাও খেয়ে নিলো সে
তারপর সবাই কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে যে যার বাসায় ফিরে গেছে
আহানা নিজের রুমে বসে কাঁচা কলার চিপস খাচ্ছে আর ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতেছে
এত মজার বিরিয়ানি সে কিনা একটুও খেতে পারলো না!!সবাই বললো অনেক মজা হইছে আর সে একটু টেস্ট ও করতে পারলো না?
নিজের ভাগের বিরিয়ানি পুরোটা শান্তকে খাইয়েছে সে
একটা রাক্ষস,একবার জিজ্ঞেস ও করেনি আহানা তুমি খেয়েছো?তুমি না বললা বিরিয়ানি কম,তাহলে এখন কি করে এক্সট্রা দিচ্ছো?
সেসব তো জিজ্ঞেসই করেনি উল্টো হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খেয়েছে,আর আমি দুপুরবেলায় বসে এখন চিপস খাচ্ছি,পোড়া কপাল আমার!
দুবার বিয়ের পরেও বউয়ের অধিকার পেলাম না আর আজ বিরিয়ানি ও পেলাম না
এরই মাঝে ফোন বেজে উঠলো,শান্তর ফোন
৩/৪ ঘন্টার মতন হয়েছে চলে গেছে এখন আবার ফোন করছে কেন,ঢং করতে?
হ্যালো!কি সমস্যা? ফোন করেছেন কেন আবার?
.
বাপরে!এত রাগ?তা কষ্ট করে গেটের বাইরে আসতে পারবেন?
.
কি জন্যে?বিরিয়ানি আর নাই,পাতিল মেজে ধুয়ে উল্টো করে রেখে দিয়েছি ভেসিনে পানি ঝরে যাওয়ার জন্য
.
আমি কি বলছি যে বিরিয়ানি খাবো?
.
তাহলে?
.
আরে আসোই না একটু
.
ওকে
.
আহানা চিপস হাতে নিয়েই চললো,পরে ভাবলো শান্ত যে খাদক এটাও খেয়ে নিবে
তাই সে বাটিটা সোফার উপর রেখেই গেটের দিকে গেলো
শান্ত কারের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
বাম হাত পকেটের ভিতরে আর ডান হাতে একটা টিফিন বক্স
.
আহানা কাছে এসে বললো”কি?”
.
নাও ধরো
.
কি এটা?
.
বিরিয়ানি
.
আমি বাজারের বিরিয়ানি খাই না,শরীর খারাপ করে
.
এটা বাজারের না, এটা আমি বানিয়েছি
.
কিহহহহহহ!
.
আস্তে!এত জোরে চেঁচাও কেন?মানুষ কি ভাববে?
.
মানে সিরিয়াসলি? আপনি বানিয়েছেন?আমার বিশ্বাস হয় না
.
বিরিয়ানিতে কিশমিশ ১৩টা দিয়েছি,গুনে নিও তাহলেই বুঝবা
.
হঠাৎ বানালেন কেন?কে শেখালো?
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here