প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৪৯

0
536

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪৯
#Writer_Afnan_Lara
🌸
তোমার কি হয়েছে একটু বলবা??
.
না কিছুই তো হয়নি,ভুলবশত মাথা রেখেছি তার জন্য সরি
.
তোমার মনের খবর তুমি আর আল্লাহ জানো,আমার জানার সাধ্য নাই
.
রিয়াজ আর নওমি মিলে ছবি তুলতেছে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে
আর আহানা সেখানে একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,শান্ত তার ইউটিউবের ব্লগ নিয়ে ব্যস্ত
এসব দেখে আহানার এত এত বিরক্তি লাগছে,রিয়াজ আর নওমি কতই না মজা করছে আর আমার স্বামীকে দেখো!বেয়াদব একটা
আমার সাথে একটা ছবিও তো তুলতে পারে!এত সুন্দর ভিউ আসতেছে চারিদিক থেকে,এটাই তো ছবি তুলার মোক্ষম সময়
অথচ উনাকে দেখো!লাগবে না তোর কেয়ার!তোর প্রেম,তোর ভালোবাসা,বাই!
আহানা রাগে গজগজ করতে করতে পাহাড় থেকে নেমে চলে যাচ্ছে
রিয়াজ আর নওমি ওকে চলে যেতে দেখে শান্তকে ডেকে বললো আহানা হুট করে চলে যাচ্ছে কেন
শান্ত ও ব্যাপারটা বুঝলো না,সেও সেদিকে ছুটলো
.
আহানা দাঁড়াও,কোথায় যাচ্ছো?
.
আহানা পিছন ফিরে তাকাচ্ছেও না,কথার উত্তর ও দিচ্ছে না,শুধু হেঁটে চলেছে সে
শান্ত তার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিয়ে শেষে আহানাকে ধরতে পারলো,হাত ধরে টান দিয়ে আটকিয়ে নিজের দিকে ফিরালো
আহানার দুচোখ ভর্তি পানি
তার আরেকটা হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সে বললো”আমি হোটেলে ফিরে যেতে চাই”
.
শান্ত নির্বাক হয়ে আহানার অশ্রুসিক্ত চোখজোড়ার দিকে চেয়ে আছে,তারপর বললো”কি হয়েছে তোমার?”
.
প্লিস!
.
শান্ত আর কিছু বললো না,আহানার হাত ছেড়ে দিয়ে বাইকে উঠে বসলো
আহানাও চুপচাপ এসে বসেছে,শান্ত হেলমেট পরতে পরতে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রিয়াজ আর নওমিকে হাত দিয়ে বাই বলে বাইক স্টার্ট করলো
.
হোটেলে এসেই আহানা নিজের বিছানায় দপ করে বসে পড়লো,মুখের হাবভাব নিশ্চুপ এখনও
শান্ত দরজা লাগিয়ে এসে এক দৃষ্টিতে প্রায়ই দেড় মিনিটের মতন চেয়ে রইলো ওর দিকে তারপর কি ভেবে আহানার হাতের কব্জি ধরে ওকে টান দিয়ে বিছানা থেকে নামিয়ে নিলো
.
আহানা চুপ করে আছে এখনও,শান্ত দাঁতে দাঁত চেপে ওকে কাছে নিয়ে এসে বললো”কি সমস্যা তোমার??জাস্ট ক্লিয়ার করো বলো”
.
আহানা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো”কিছু হয়নি”
.
শান্ত ওর হাতে চাপ দিয়ে বললো”আমি সত্যিটা শুনতে চাই আহানা”
.
আহানা শান্তকে হুট করেই জড়িয়ে ধরলো,কাঁদতে লাগলো আর কিছু বলতে পারছে না সে
আহানা শান্তকে এভাবে ধরতেই শান্তর বুকের ভেতরটা ধুক করে উঠলো
আহানা কষ্ট পেয়েছে??তাই কি সে এভাবে জড়িয়ে ধরেছে আমাকে?কিন্তু কিসের কষ্ট?
.
আহানা শান্তর জ্যাকেটটা খাঁমছে ধরে শান্তর বুক থেকে মুখটা উঠিয়ে শান্তর দিকে তাকালো তারপর বললো”আমি জানি না আমি কি চাই তবে আমার ভালো লাগে না অন্য কাপলদের দেখলে,কারণ ওদের মতন আমরা নই,কেন নই?”
.
শান্ত আহানার কাঁধ ধরে ওকে ঝাঁকিয়ে বললো”তার মানে তুমি চাও আমি তোমাকে স্ত্রীর অধিকারটাও দিতাম?”
.
অধিকারটাও???
.
হ্যাঁ টাও!!আমি তোমাকে সেফ করার জন্য বিয়ে করেছি,তোমার মান রাখতে ২য় বার বিয়ে করেছি তোমাকে
তোমাকে সে সকল অধিকার দিয়েছি যেটা তোমার প্রাপ্য,আর রইলো কথা স্বামী স্ত্রীর মাঝের সম্পর্কটার!
.
চাই না!ছেড়ে দিন আমার হাত,আমি কি বলেছি আমি সেটা চাই?মন খারাপ কেন হয়েছিলো সেটা বললাম,আপনি আমাকে আপন করতে চাইলেও আমি দিব না,আপনাকে চেনা হয়ে গেছে আমার
এখন হাত ছাড়ুন
.
শান্ত ওকে আরেকটু কাছে টেনে বললো”চুপচাপ বসে থাকো এখানে”
.
আহানা চোখ মুছে বসে পড়লো বিছানায়
শান্ত দরজা খুলে বেরিয়ে চলে গেছে
আবার ১৫/১০মিনিট পর ফেরত আসলো সে হাতে ২টা ছোট বাঁশ নিয়ে,ভেতরে চা
এসে দেখলো আহানা খাটের এক কোণায় গুটিশুটি দিয়ে বসে আছে
.
নাও ধরো,এটা খেয়ে শরীর চাঙ্গা করো
.
আহানা হাতে বাঁশটা নিয়ে শান্তর কথা শুনে চোখটা বড় করে চেয়ে রইলো
তারপর চায়ে চুমুক দিয়ে বললো”কেন?চাঙ্গা করে কি হবে?”
.
কিছু হবে না,জাস্ট কান্নাকাটি করছো যে একটু রিফ্রেশমেন্ট ফিল হবে
.
আহানা ব্রু কুঁচকে চা খাওয়ায় মন দিলো আবার,শান্ত বারান্দায় দাড়িয়ে চুপচাপ চা খাচ্ছে,আহানা চায়ে এক চুমুক দিচ্ছে তো একবার শান্তর দিকে তাকাচ্ছে
শান্ত তার চা শেষ করে পিছন ফিরে তাকাতেই দেখলো আহানা ওর দিকেই চেয়ে আছে
শান্ত একটু করে হাসলো,তাও এমন ভাবে যেন আহানা বুঝতেই না পারে
আহানা চোখটা তখনি সরিয়ে আরেকদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছে
শান্ত এগিয়ে এসে আহানার হাত ধরলো আবারও,তারপর ওকে টেনে বারান্দায় নিয়ে আসলো
.
আরে এমন করছেন কেন,কি হয়েছে?
.
শান্ত আহানাকে টেনে এনে বারান্দার একপাশে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে ধরে চুপচাপ বাইরের দিকে তাকানোই মনোনিবেশ করলো
আহানা থ মেরে শান্তর মুখের দিকে চেয়ে আছে,এসব কি হচ্ছে সব তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
শান্তর কোনো উত্তর না পেয়ে আহানা নড়েচড়ে দাঁড়িয়ে বললো”আপনি এমন করলেন কেন??আমাকে হঠাৎ বিছানা থেকে তুলে এনে এখানে দাঁড় করিয়ে রাখার মানে টা কি সেটাই বুঝতেছি না!
.
শান্ত পাহাড় থেকে চোখ ঘুরিয়ে আহানার দিকে চেয়ে বললো”কেন?তোমার না স্ত্রীর অধিকার দরকার,তো এখন এই মূহুর্তে অন্য কাপলরা যেটা করতো আমি ঠিক সেটাই করতেছি,সিম্পল!”
.
আহানা কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”তো অন্য কাপলরা এখন বারান্দায় এই রোমান্টিক ওয়েদারে,রোমান্টিক প্লেসে চুমু দিলে আপনিও কি সেটা……!!
.
আহানার কথা আর শেষ হলো না তার আগেই শান্ত আহানার গলা টিপে ধরে ওকে কাছে নিয়ে এসে গালে একটা চুমু বসিয়ে দিয়ে আবারও ওকে ছেড়ে দিলো
তারপর আবারও সে দূরের পাহাড়টার দিকে চেয়ে রইলো
আহানা গালে হাত দিয়ে ভূত দেখার মতন ফ্রিজড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,তারপর সোজা হেঁটে রুমে চলে গেলো সে
দপ করে বিছানায় বসে পড়লো,গালে হাত এখনও
শান্ত মনে হয় পাগল হয়ে গেছে,এমন করলো কেন?আমি তো ভাবতেই পারিনি এমনটা করবে
.
শান্ত বারান্দা থেকে ফেরত এসে নিজের বেডে বসতে বসতে বললো”আচ্ছা নিউ কাপলরা এই সময়ে কি করে?আই মিন এখন তো সন্ধ্যা ৬টা বাজে”
.
আহানা কথাটা শুনে গালে হাত দিয়ে ভয়ে বিছানার চাদর টেনে শুয়ে পড়লো
.
শান্ত ফিক করে হেসে দিলো তারপর একটা বালিশ নিয়ে হেলান দিয়ে বসে ফোনে গেমস খেলা শুরু করলো সে
.
আহানা চাদরটা হালকা সরিয়ে উঁকি দিয়ে শান্তকে একবার দেখে নিলো তারপর আবারও মুখটা ঢেকে ফেললো
.
শান্ত ফোন রেখে দিয়ে আহানার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে
মেয়েটা মুখ ফুটে বললে আমি তাকে সে সব দিব যা সে চায়!
কিন্তু না,সে বলবে না,কেন বলবে না?সে নিজেও জানে না সে আসলেই কি চায়!
মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে ধরে পিটাই,এমন পিটাই যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতন অবস্থা হয় তার
.
আহানা বিপরীত পাশে ফিরে শুয়ে আছে,পরনে কালো রঙের সুতির শাড়ীটা,কিছুক্ষণ আগেই চেঞ্জ করেছে সে
ফর্সা হাত-পিঠটা যেন তুলে ধরে রেখেছে শাড়ীটা
আসলেই পৃথিবীতে কালো না থাকলে ফর্সা কেমন হয় তা বোঝা যেতো না,দুটোরই মূল্য সমান সমান
ব্লাউজটার পিছন সাইতে দুটো ফিতা লাগানো,,তাতে ফুল করে আটকানো আবার,মানে রেডিমেট,এই সুতা টানলেও কি না টানলেও কি,ব্লাউজটা জামার মতন পরতে হয় সুতাটা জাস্ট ডিজাইন করে লাগানো
.
শান্ত গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখে যাচ্ছে,তারপর নিজে নিজে এগিয়ে গেলো আহানার দিকে,চুপ করে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো
আহানা চাদর সরিয়ে বেডের দিকে তাকালো আবার শান্তকে দেখার জন্য কিন্তু বেড তো খালি,চাদরটা সরিয়ে সে উঠে বসতেই দেখলো শান্ত ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে
কিছুটা ভয় পেয়ে আহানা পিছিয়ে গিয়ে বললো”কি হয়েছে?”
.
কিছু না,অন্য কাপলরা তো একজন আরেকজনকে দেখাদেখি করে তাই আমিও দেখলাম একটু
.
আপনি প্লিস এই অন্য কাপল কি করে না করে সেই ট্যাগ লাইন নিয়ে কথা বলা অফ করেন
.
কেন??তুমি তো বললে অন্য কাপলরা রোমান্স করে আর তুমি আমি করি না বলে তোমার সেটা ভাল্লাগে না যার কারণে কংলাক পাহাড় থেকে কাঁদতে কাঁদতে চলে এসেছো
.
আমার কিছু লাগবে না,যান গিয়ে নিজের বেডে গিয়ে বসেন আমাকে খোঁচা মারা অফ দেন প্লিস
.
ওকে ফাইন,যা তুমি বলবা,বিয়ের পর থেকে তো তোমার কথায় উঠতে বসতেছি
.
আহানা মন খারাপ করে উঠে গিয়ে বারান্দায় নিচে বিছানো তোষকটায় বসে পড়লো,দূরে কিছু দেখা যায় না তবে আকাশে একটা চকচকে চাঁদ দেখতেছি
খুব সুন্দর ভিউ,ঠিক যা যা চেয়েছিলাম সব কিছু পাচ্ছি তবে কিসের যেন শূন্যতা রয়ে যাচ্ছে,কথাটা আহানা শেষ না করতেই পাশেই শান্তর উপস্থিতি টের পেলো
শান্ত তোষকের উপর পা মেলে বসে পড়লো
তারপর একটা গান চালালো ফোনে এরপর ফোনটাও পাশে রেখে দিয়ে আনমনে চাঁদটার দিকে তাকালো
আহানা শান্তর কার্যকলাপ দেখা শেষ করে সেও চাঁদের দিকে তাকিয়ে রইলো এবার
শান্ত আহানার গায়ের সাথে লেগে বসতেছে বারবার আহানা সরতে সরতে বারান্দার শেষ প্রান্তে চলে এসেছে
তাই বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে বললো”আপনি কি চান আমি পাহাড়ের নিচে পড়ে যাই?”
.
না চাই না,বাট তুমি কেন পড়তে চাচ্ছো সেটাই বুঝলাম না
.
কে বললো আমি পড়তে চাচ্ছি?আপনি তে বারবার গায়ে লাগছেন তাই তো সরতেছি
.
বাহ রে!!তোমার স্বামী আমি
আমি তোমার গায়ে লাগবো না তো কে লাগবে??আর তুমি কেমন স্ত্রী??
গায়ে লাগলাম বলে সরতেসো কেন?চুপ করে বসে থাকলেই পারো
.
আহানা আর কিছু বললো না,দুহাত দিয়ে গা টা ঢেকে বাইরের দিকে চেয়ে রইলো
শান্ত রুমে জ্যাকেট খুলে রেখে এসেছে নাহলে এখন জ্যাকেটটা আহানাকে দিতো গায়ে দেওয়ার জন্য
তারপর কি মনে করে গিয়ে নিজের বিছানার উপর থেকে চাদর এনে সেটা গায়ে মুড়িয়ে আহামার পাশে বসলো
অথচ তার শীত করে না,শীত করতেছে আহানার
আহানা ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে ওর দিকে
শান্ত গানের তালে তালে ঢুলতে ঢুলতে বললো”কেউ চাইলে চাদরটা শেয়ার করতে পারে আমার সাথে ”
.
নো থ্যাংকস
.
তোমার না জ্বর?
.
এত কেয়ার থাকলে পুরো চাদরটাই আমাকে দিয়ে দেন,ঢং না করে,আমি খুব ভালো করে জানি আপনার শীত করছে না
.
আরে আহানা বুঝতেছো না কেন??অন্য কাপলরা চাদর মুড়ি দিয়ে একসাথে বসে থাকে এসময়ে,তাহলে আমরা কেন বাদ যাব??
.
আহানার খুব রাগ হলো এবার,রাগের বশে সে বললো”অন্য কাপলরা হানিমুন সেরে বাড়ি গিয়ে সুখবর শোনায় তাদের ফ্যামিলিকে,তাহলে আমরা কেন বাদ যেতাম?
.
শান্ত মুচকি হাসলো তারপর তার গায়ের থেকে চাদরটা ফেলে ধাওয়া করলো আহানাকে
আহানা পিছোচ্ছে আর সে এগোচ্ছে
আহানা কাঁপা কাঁপা গলায় বললো”আমি আসলে মজা করছিলাম,আপনি ব্যাপারটা সিরিয়াসলি কেন নিচ্ছেন?”
.
শান্ত আহানার একদম কাছে এসে বললো”কাল বাড়ি ফিরে যাব,তাহলে কাল মাকে সুখবর কি করে দিব আমরা? হাউ?”
.
আহানা আরেকটা চড় মেরে দিলো,তবে আস্তে করে,ওরকম ঠাস ঠুস না,জাস্ট গালে হাত লাগিয়ে মুখটা আরেকদিকে ফিরিয়ে দিলো
.
শান্ত মুচকি হেসে মুখটা আবারও আহানার দিকে ফেরালো,মুখ এগিয়ে এনে আহানার গলায় ঘষতেছে সে এখন
খোঁচা খোঁচা দাড়ির স্পর্শে আহানার কাতুকুতু লাগতেছে প্রচণ্ডরকম ভাবে
শান্তকে সরাতে ধাক্কা দিলো সে
তারপর নড়তে নড়তে বললো”প্লিস অন্তত এরকম দুষ্টুমি করবেন না,কাতুকুতু লাগতেছে”
.
শান্ত মুচকি হেসে উঠে চলে গেলো
আহানা যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো,গলায় হাত বুলাতে বুলাতে বড় করে শ্বাস নিচ্ছে সে,শান্তর কি হয়েছে আজকে
কথা মাটিতে পড়ার আগেই একশান নিচ্ছে,সব কিছুতে ভয় করছে আমার
সন্ধাবেলায় গালে চুমু এখন আবার এটা,হইছে টা কি উনার??মন খারাপ করে থাকাও বারণ আমার,সবসময় দাঁত কেলিয়ে থাকা যায় এত??
তার উপর স্পষ্ট করে কারণ না বললেও ঠিক বুঝে নেয়
কি একটা ঝামেলা!
.
শান্ত আহানার বালিশটা নিজের বেডে নিয়ে আসলো,আহানা ৫/৬মিনিট পর বারান্দা থেকে এসে তার বালিশ শান্তর বিছানায় দেখে বললো”এটা কি আবার?”
.
ওমা!নতুন কাপলরা একসাথে ঘুমায়,জানো না?
.
আমার ঘাঁট হয়েছে আপনাকে ওসব বলায়,,প্লিস নতুন কাপল কাপল বলা এসব অফ দেন
.
না অফ দিব না,তোমার একবার একটাতে মন খারাপ হয় আমি শুধু জানতে চাই তুমি ঠিক কিসে হ্যাপি?
কোমড় ধরলে চেঁচাও আবার না ধরলেও চেঁচাও
কেয়ার করলে আড় চোখে তাকাও না করলে কাঁদিয়ে ভাসিয়ে ফেলো
স্ত্রীর অধিকার দিতে চাইলেও দোষ,না দিলে বাপরে বাপ ইজ্জতের ফালুদা করে ফেলো
আমার তো এখন মনে হচ্ছে ইন ফিউচার তুমি বাচ্চার হওয়ার সময়ে বলবা “এটা ঠিক না,আই এম কনফিউজড, আই নিড সাম টাইম”
মানে আমাকে সব দোষ দিতে চাও তুমি আর এটাতেই তুমি হ্যাপি হও,কি চিজ তুমি!আসলেই বুঝি না আমি
এখন মনে হচ্ছে রতন আর সাইমন কেন তোমাকে এখন পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি
ভাই আমি বিয়ে করা বর হওয়ার সত্ত্বেও কিস করতে গিয়া আর হুদাইও মোট মিলাইয়া কতগুলো চড় যে খাইছি
.
ব্যস! এত অভিযোগ যখন জোর করে বিয়ে করেছেন কেন??
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here