প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৩৫
#Writer_Afnan_Lara
🌸
রিয়াজের মায়ের কড়া শাসনে আহানা অবশেষে ডিনার করতে রাজি হলো,শান্ত কফি খেয়ে একটু চাঙ্গা ফিল নিয়ে রুম থেকে বের হয়েছে সবেমাত্র
আহানা ভেবেছে শান্ত বুঝি আজ খাবার খেতে চাইবে না তাই সে নিজেই এক প্লেট খাবার হাতে করে শান্তর জন্য নিয়ে আসতেছে এদিকে
শান্ত সোজা রিয়াজের রুমে চলে গেছে,সেখানে রিয়াজ,সূর্য আর নওশাদ একজন এক জায়গায় মরার মত পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে আর আবোলতাবোল বলে যাচ্ছে,মদ বেশি খেয়েছে তারা,,তাই এই হাল
শান্ত ওদের সবার গায়ে চাদর টেনে দিয়ে আবার বেরিয়ে এলো,বের হতেই দেখলো আহানা খাবার হাতে রুমে ঢুকতেছে
শান্ত ও সেদিকে গেলো কৌতুহলবশত
আহানা এদিক ওদিকে তাকিয়ে শান্তকে দেখতে না পেয়ে আবারও পিছন ফিরলো,শান্ত কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে ওর দিকে
.
কি ব্যাপার?
.
খাবেন না?আপনার জন্য খাবার নিয়ে এলাম
.
হুম খাবো,একটু দেরিতে,রাত ১০টা বাজে,ঘুমিয়ে পড়ো তুমি
.
কোথায়?বিছানায় নাকি সোফায়?
.
ওকে টস করি,,
.
শান্ত পকেট থেকে একটা ৫টাকার পয়সা নিয়ে বললো সেতু পড়লে আমি,শাপলা পড়লে তুমি সোফায় শোবে
.
ওকে
.
শান্ত পয়সাটা উপরের দিকে মারলো ঘুরিয়ে
শাপলা পড়েছে
শান্ত দাঁত কেলিয়ে বিশ্ব জয়ের হাসি দিয়ে বিছানায় শুতে গেলো
আহানা মুখ বাঁকিয়ে বালিশ একটা নিয়ে সোফায় এসে বসেছে
শান্ত কিছুক্ষণ আপন মনে তার ফোনে গান শুনেছে তারপর টেবিলের উপর থেকে খাবারের প্লেটটা নিয়ে খাবার খেয়েও নিয়েছে
আহানা একটা ম্যাগাজিন পড়েছে এতক্ষণ ধরে,সম্ভবত হাস্যরসিক একটা ম্যাগাজিন,সব কৌতুক নিয়ে
আহানা হেসে হেসে অনেকটা সময় পার করলো তারপর চোখে ঘুম নেমে আসতেই সোফায় শুয়ে পড়লো সে
শান্ত গান শুনতে শুনতে এবার তার বিরক্তি এসে গেছে তাই ফোনটা এক পাশে রেখে বিছানা থেকে নামলো রুমের লাইট অফ করতে,চোখ গেলো আহানার দিকে
আহানা হাত পা গুটিয়ে সোফায় কোনোরকম করে ঘুমাচ্ছে
শান্ত লাইটটা অফ করে দিয়ে বিছানায় ফেরত চলে আসলো
পরেরদিন সকালে আহানা চোখ খুলে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করেছে,পাশে শান্ত নেই,সোফাতেও নেই
কিন্তু আমি তো সোফায় ঘুমিয়েছিলাম,এখানে এলাম কি করে,আর উনি কোথায়??
আহানা তড়িগড়ি করে বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে আসলো তারপর রুম থেকে বের হতে হতে একবার ঘড়ির দিকে তাকালো সে
৮টা বাজে তখন
বিয়ে বাড়ি বলে কথা,হইচই লেগে আছে চারিদিকে
আহানা করিডোর পেরিয়ে রিয়াজের রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থেমে সেদিকে তাকালো একবার
শান্ত আর নওশাদ মিলে রিয়াজের বিয়ের শেরওয়ানি দেখতেছে আর দাম নিয়ে কথা বলতেছে
আহানা একটু এগিয়ে এসে বললো”এই যে শুনুন”
.
শান্ত পিছনে তাকিয়ে ব্রু কুঁচকালো
এই মেয়েটাকে হাজারবার মানা করার পরেও এই যে শুনুন বলবে আমাকে,আরে আমি কি ওর জামাই লাগি!??
ও হ্যাঁ সত্যি তো এখন জামাই লাগি
ভাবতে ভাবতে শান্ত দরজার কাছে এসে বললো”কি চাই?”
.
আপনি আমাকে সোফার থেকে তুলে বিছানায় এনেছেন তাই না?
.
আমার ঠেকা পড়েছে তাই না?তুমি নিজেই আসছো বিছানায়
.
মিথ্যা বলবেন না একদম,আমি নিজে কেন আসবো?
.
ঘুমের ঘোরে,আর কেন?
.
আপনাকে বলেছিলাম না আমাকে ছুঁবেন না
.
আরেহ তুমি নিজে এসে শুইছো আমার কি দোষ এতে?
.
ঘুমের ঘোরে মানুষ বিছানা থেকে পড়ে যায় শুনেছিলাম আর সোফা থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে বিছানায় এসে শোয় এ প্রথম শুনলাম
.
তাই?
.
তাই?
আপনি!!আপনি খুব খারাপ!
.
আহানা বকতে বকতে চলো গেলো
শান্ত দাঁত কেলিয়ে ওর চলে যাওয়া দেখছে
কাল রাতে সে আহানাকে তুলে বিছানায় নিয়ে এসেছিলো আর নিজে গিয়ে সোফায় শুয়েছিলো
কারণ আহানা ঘুমের মধ্যে কোমড় ধরে বিরক্তি নিয়ে একবার একদিকে ফিরছিলো বারবার
বোঝাই যাচ্ছিলো যে তার সোফায় শুতে কষ্ট হচ্ছে
এদিকে শান্তর ও অভ্যাস নেই সোফায় শোয়ার কিন্তু কি করবে,আহানার কষ্ট ও সহ্য করা যাচ্ছিলো না সেই মূহুর্তে
.
রিয়াজের আম্মু এসে বললেন শান্তর আম্মু আর আহানার আম্মু এসে গেছে
শান্ত সেদিকে গেলো জলদি করে,আহানার মা আহানাকে দেখে তো অবাক
গোলাপি শাড়ী,গলায় সোনার চেইন,মাথায় গোমটা দিয়ে এদিক ওদিক হাঁটতেছে, যেন বিবাহিত সে
মা এগিয়ে এসে আহানার হাতের কুনুই ধরে টেনে এক কোণায় নিয়ে গেলো
.
আরে মা তুমি,কখন এলে?
.
আগে বল এমন বউ বউ সেজে হাঁটতেছিস কেন?মানুষ তো বলবে তুই বিবাহিত
আর তোর গলার চেইন এটা পেলি কই,দেখে তো সোনার মনে হচ্ছে,আরেহহ এটা তো শান্তর
.
আহানা ঢোক গিলে বললো”ঐ আসলে আমি এটা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম,হ্যাঁ এটা শান্ত ভাইয়ারই
উনাকে সকাল থেকে দেখিনি তো তাই গলায় পড়ে নিয়েছি,সুন্দর লাগছে না আমাকে?”
.
হুম
কিন্তু!তোর আর শান্তর হাবভাব আমার কেন জানি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে,কি লুকাচ্ছিস তোরা বল তো?
আর সত্যি করে বল কার সাথে কাল রাতে ঘুমিয়েছিলি?
.
আহানা মুখটা শক্ত করে বুকের ভেতর এক বালতি ভয় নিয়ে বললো”রিয়াজ ভাইয়ার বোন মুনমুনের সাথে”
.
কই সে?
.
আহানা কাল থেকে দু তিনবার একটা বাবু টাইপের মেয়েকে দেখেছিলো মনে হয় সে মুনমুন
তাই বললো”দাঁড়াও,ঐ তো সোফায় বসে চিপস খাচ্ছে সে”
.
আচ্ছা
.
শান্ত রুটি মুখে দিয়ে সোফার রুমে আসতেই ওর মায়ের মুখোমুখি পড়লো
আর নিতু ও সোফায় বসে আছে একপাশে,রিয়াজের আম্মু তাদের চা নাশতা দিয়ে চলে গেছেন,আর আহানার মা ওকে চেপে ধরে ফিসফিস করে কি যেন বলতেছে
.
শান্ত পালাতে গিয়েও পারলো না,নিতু ডাক দিয়ে বসলো
শেষে মায়ের পাশে এসে সোফায় বসলো সে
.
এই তো শান্ত এসে গেছে,নে তোর গলার চেইনটা খুলে ওকে দিয়ে দে
.
আহানা কপাল কুঁচকে চেইনটা খুলে শান্তকে দিতে দিতে বললো”ধরেন ভাইয়া,আপনার চেইন,পড়ে গেছিলো এটা আর আমি কুড়িয়ে পেয়েছি,আপনার জিনিস আপনি ফেরত নেন”
.
শান্ত আগামাথা কিছুই বুঝতেছে না,তাও আহানার চোখ রাঙানো দেখে চেইনটা সে ফেরত নিলো
.
আরে আরে আমার মেইন মেহমানরা যে এসে গেছে!!
কথাটা বলে রিয়াজের দাদি এসে আহানার মায়ের পাশে বসলেন
শান্ত আহানাকে চোখ টিপে এদিকে আসতে বললো
আহানা তাই সুযোগ বুঝে উঠে শান্তর কাছে গিয়ে দাঁড়ালো
.
এই শুনো,দাদি সত্যিটা যদি বলে দেয়?
.
আমি কি জানি?এমনিতেও মা আসার পর থেকে ১০০টা প্রশ্ন করতেছে আমাকে
আপনি সত্যিটা বলে দেন না প্লিস
.
পাগল নাকি!আমার মায়ের মুখ দেখছো আজ??কেমন করে রাখছে
.
উনি মুখ ভার করে রেখেছেন শুধুমাত্র এক কারণে আর সেটা হলো আপনি বিয়েতে রাজি নন
.
এই তোমরা দুজন কি ফিসফিস করতেছো?আমরাও একটু শুনি
.
শান্ত বললো”ঐ আসলে আন্টি! রিয়াজের বিয়ে নিয়ে একটু প্ল্যান করছিলাম আর কিছু না”
.
শান্ত আহানার হাত ধরে সোফার রুমে থেকে বেরিয়ে আসলো,যতক্ষন ওখানে থাকবে ততক্ষনই সবার নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে
শান্ত রিয়াজকে রেডি করতে ওর রুমে গেছে
আর আহানা সেই আগের রুমে বসে আছে চুপচাপ,মায়ের কাছে গিয়ে বসা যাবে না,শান্তর কড়া নিষেধ
মা আহানাকে খুঁজতে খুঁজতে সেই রুমটায় চলে আসলো,রুমে এসে তো মায়ের চোখ কপালে,সারা রুমের ফ্লোরে গোলাপের পাপড়ির ছড়াছড়ি
.
কিরে তুই এই রুমে কি করিস.আর এটা তো দেখি বাসর ঘরের মতন
.
আহানা লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে তোতলাতে তোতলাতে বললো”ইয়ে না মানে কোথাও বসার খালি জায়গা পাচ্ছিলাম না তো তাই এখানে আসলাম”
.
আমার কাছে থাকতি,চল এখান থেকে
.
মা আহানার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলেন আবার সেই সোফার রুমে
রিয়াজকে রেডি করিয়ে নওশাদ,সূ্র্য আর শান্ত ও রেডি হয়ে নিয়েছে,এবার কারে উঠে বসবে
শান্ত আহানাকে সবখানে খুঁজে না পেয়ে শেষে সোফার রুমে পেলো
আহানার মা ওকে চেপে ধরে বসে আছে
.
শান্ত চোখ রাঙিয়ে বুঝালো যে ওকে মানা করেছে এদের সাথে যেন না বসে সে আহানাই কিনা আবারও এখানে এসে বসলো
আহানা ইশারা ইঙ্গিতে বুঝালো তার দোষ নাই,মা জোর করে এনেছে
.
শান্ত মায়ের দিকে চেয়ে বললো”মা আমি রিয়াজের সাথে বিয়ের গাড়ী করে ওর শশুর বাড়ি রওনা হচ্ছি, তোমরা রিয়াজের আম্মু,দাদির সাথে এসো,আমি আহানাকে নিয়ে যাই কেমন?
.
শান্তর মা আর আহানার মা ভূত দেখার মতন শান্তর মুখের দিকে চেয়ে আছেন
শান্ত হালকা কেশে বললো”কেন? কোনো সমস্যা আছে কি?”
.
আহানার মা বললেন”না সমস্যা নেই,যাও তোমরা”
.
আহানা শান্তর সাথে যেতে যেতে বললো”কি ব্যাপার এত ভালোবাসা প্রদান করছেন?শরীর ঠিক আছে তো আপনার?”
.
আরেহহ আমি তোমাকে আন্টির থেকে সরিয়ে আনার জন্য বললাম,দেখো না কেমন প্রশ্ন শুরু করছে তোমাকে
.
ওহ আচ্ছা,ভালো করেছেন
.
এক মিনিট,তৈরি হওনি কেন?১০মিনিট আছ হাতে,জলদি করে রেডি হয়ে আসো
.
আচ্ছা আচ্ছা
.
আহানা গিয়ে মাকে বললো শাড়ীর প্যাকেটটা দিতে
মা একটা প্যাকেট হাতে ধরিয়ে বললেন এটা নাকি শান্তর মা কাল উনাকে নিয়ে শপিংয়ে গিয়ে এটা আহানার জন্য কিনেছিলো
আহানা প্যাকেটটা নিয়ে সেই রুমে এসে শাড়ীটা পরেই দৌড় দিলো আবার
বিয়ের গাড়ীর সামনে এসে দেখলো শান্ত হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ওর অপেক্ষা করছে
আর রিয়াজ সূর্য আর নওশাদ একটু দূরে ফটোশুট করতেছে
.
এই যে শুনুন!! ধুরুন তো এটা
.
আহানা নিজের কানের দুল শান্তর হাতে দিয়ে চুলগুলো বাঁধতে লাগলো
বাঁধতে বাঁধতে বললো”ভেবেছি লেট হয়ে গেছে তাই জাস্ট শাড়ীটা পরেই বেরিয়ে পড়েছি”
.
আহানার মা আর শান্তি রহমান জানালা দিয়ে ওদের দিকেই চেয়ে আছেন
আহানার মা শান্তর মায়ের হাতে হাত রেখে বললেন”দেখলা বুবু,কি সুন্দর লাগছে ওদের,মনে হয় যেন সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে এমন লাগতেছে”
.
শান্তি রহমান মুখটা ফ্যাকাসে করে ফেললেন কথাটা শুনে
.
বুবু তুমি চিন্তা করিও না,আমি বলেছি না ওরা একদিন না একদিন একজন আরেকজনকে ঠিকই বুঝবে,দেখোই না কদিন আগে দুটোই একটা আরেকটার মুখ দেখতে চাইতো আর এখন একসাথে থাকে সবসময়,এবার শুধু ওরা মুখ ফুটে বলার পালা
.
রিয়াজ গিয়ে প্রথমে বসলো তারপর শান্ত আর আহানা ওর সাথে বসেছে,সামনের সিটে নওশাদ আর সূর্য কিলাকিলি করে কোনোরকম বসে পড়লো
উদ্দেশ্য ঢাকা ধানমন্ডি,নওমিদের বাসা ওখানেই
আহানা জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে আছে,শান্ত রিয়াজের সাথে কথা বলতেছে আজ কি কি করবে ওরা সেটা নিয়ে
নওশাদ বলে উঠলো”শান্ত তুই কিন্তু একবার ধুমধাম করে বিয়ে করবি,ওদিনের বিয়েতে না ছিলো কোনো মজা,না ছিলো কোনো গানবাজনা ”
.
শান্ত হেসে বললো”ওটা বিয়েই ছিলো না,জাস্ট একটা চুক্তি ছিলো যেটা দায়িত্বের খাতিরে করেছিলাম,তোরা তো জানিসই আমি আর আহানা একে অপরকে পছন্দ করি না”
.
কথাটা আহানার বুকে গিয়ে বাঁধলো তারপরে মনে হলো ঠিকই তো বলেছেন উনি
.
বাই দ্যা ওয়ে তোরা কাল বিছানায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়েছিলি কেন?
.
শয়তানি করছিলাম,আমরা তো ভেবেছিলাম তোরা দুজন দুজনকে মেনে নিয়েছিস
.
এটা ভুল,আমরা জীবনেও এক হবো না
.
আহানার মনটা খারাপ হয়ে গেলো,কেন হলো সে জানে না
তবে এতদিন ভাবতো শান্ত ওকে কিছুটা হলেও লাইক করে বাট এখন এ সবকিছু শুনে মনে হচ্ছে সব তার ভুল ধারনা ছিলো
শান্ত ওকে ভালোইবাসে না,লাইক ও করে না
বিয়েটা সে আমার সেফটির জন্যই করেছে
আর আমি কিনা কত কি ভেবে বসেছিলাম
.
ধানমন্ডিতে নওমিদের বাসার গেটের সামনে আসতেই ওরা দেখলো মেয়েদের ভিড় বরাবর গেটের কাছে
রিয়াজ পকেট থেকে ৫হাজার টাকা গুনে গুনে নিয়ে নওশাদের হাতে দিলো লুকিয়ে রাখার জন্য
বাসা থেকে আসার সময় মা ১০হাজার টাকা দিয়ে বলেছেন গেটে টাকাগুলো দিতে,এত টাকা কেন দিব?৫হাজার দিব বাকিগুলো নওশাদ তোর কাছে রাখ আপাতত
এগুলো দিয়ে আমি হানিমুনে যাবো
.
রিয়াজ তোর মতো কিপটা আর দেখিনি আমি,যাই হোক তোর বিয়ের গিফট হিসেবে তোর আর নওমির জন্য আমি বালির টিকেট কেটেছি,হানিমুন প্যাকেজে,সো টাকা নিয়ে ভাববি না
.
রিয়েলি?
.
ইয়াহ!
.
তুই আমার কলিজা রে দোস্ত!
.
নওশাদ ব্রু কুঁচকে বললো”শান্ত এটা ঠিক না,আমিও ওর জন্য হানিমুনের প্যাকেজ হিসেবে সাজেকের মাচাং হোটেলটায় বুকিং দিয়েছি”
.
আরে সাজেক?আমি একসাথে দুটায় যাব কি করে?
.
সমস্যা নেই,বালি ট্যুরে তোর যেদিন ইচ্ছা সেদিন যেতে পারবি, আমি ডেট আনফিক্সড করে রেখেছি
.
নাইস
.
সূর্য দাঁত কেলিয়ে বললো”আমি কিন্তু হানিমুন প্যাকেজ কাটিনি,আমি তোর সংসারের কিছু এ্যাসেসরিস কিনেছি,ওসব গিফট দিব”
.
গাড়ী থেকে নামার পর থেকে শান্ত খেয়াল করলো আহানা কেমন মনমরা হয়ে গেছে,মুখে হাসি উধাও হয়ে গেছে তার
কণা আর নওমির বোনেরা মিলে গেট আটকিয়ে রেখেছে
শান্ত এসে সবার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবির হাতাটা একটু উঠিয়ে বললো”কে আমার বেস্টফ্রেন্ড থেকে টাকা নিতে চায়,দেখি একটু তাকে”
চলবে♥