প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৪১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
ইউটিউব,আর কে শেখাবে?
.
আচ্ছা,টেস্ট করে দেখি,আসুন না বাসার ভিতর
.
আহানা টিফিন বক্সটা নিয়ে বাসার দিকে ছুটলো এক দৌড়ে
শান্ত এসে সোফায় বসেছে,আহানা একটা চামচ দিয়ে বিরিয়ানি মুখে দিতেই নাকে দিয়ে কানে দিয়ে মনে হয় ধোঁয়া বের হবে এমন অবস্থা,এত পরিমাণ ঝাল দিয়েছে আরেক চামচ খেলে পুকুরে ডুব দিয়ে বসে থাকতে হবে
আহানা পুরো বাড়ি মাথায় করে পানি খেতে খেতে ফ্লোরে হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়েছে
তারপর শান্তকে এক গাদা গালিও ছুঁড়ে মেরেছে
শান্ত অসহায়ের মতন ওর মুখের দিকে চেয়ে বসে আছে
আহানা নিজের আগের বানানো কলার চিপসটা হাতে নিয়ে খেতে খেতে ইচ্ছামত আবারও বকলো শান্তকে তারপর আহানার খেয়াল হলো শান্ত আসার পর থেকে বাম হাতটা পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছে,বিষয়টা সবেমাত্রই খেয়াল করলো সে
তাই কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো হাতটা ওমন করে লুকিয়ে রেখেছে কেন সে
শান্ত থতমত খেয়ে বললো”এমনি,স্টাইল”
.
কথাটা আহানার হজম হলো না,ফ্লোর থেকে উঠে তেড়ে আসলো চেক করার জন্য তার আগেই শান্ত সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো তার দেরি হচ্ছে সে এখন বাসায় ফিরবে
.
এক মিনিট দাঁড়ান,আমার থেকে কিছু লুকানোর ক্ষমতা আপনার নেই,দেখি আপনার হাত
.
শান্ত হাতটা ভালো করে পকেটে ঢুকিয়ে বললো”আমার লেট হচ্ছে বললাম না,পরে কথা হবে বাই”
.
আহানা শান্তর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ওর হাত টানাটানি শুরু করে দিলো দেখার জন্য
অনেক জোরজবরদস্তি করে শেষে সে দেখতে পারলো ওর হাতটা
পোড়া গেছে তাই লুকিয়ে রেখেছিলো
আহানা চোখ বড় করে চেয়ে থেকে আর জিজ্ঞেস করলো না যে এটা কিভাবে হলো,চুপচাপ সে দৌড়ে গিয়ে একটা ওয়ারড্রবের ড্রয়ার থেকে মলম খুঁজে আবার ফেরত আসলো
.
লাগবে না,নিতু লাগিয়ে দিয়েছে
.
ওটা তো শুকিয়ে গেছে,তাই আবার লাগাচ্ছি,আপনাকে কে বলেছিলো ফাজলামি করতে?রেঁধে একেবারে উদ্ধার করছে আমাকে
.
আর কত বকবা?
.
আহানা আর কিছু বললো না,মলমটা লাগিয়ে দিয়ে বিরিয়ানি এনে এক চামচ শান্তকেও খাইয়ে দিলো জোর করে
তারপর বললো “এটা একটা প্রতিশোধ নিছেন তাই না,সবাই ভাববে আমার বর কত ভালো,আমার কত কেয়ার করে,বাট বিরিয়ানির টেস্ট কেমন সেটা তো শুধু আমি জানি”
.
প্রতিশোধ না,সেটা হলে হাত পুড়াতাম না,যাই হোক তুমি বুঝবে না
বাই
.
শান্ত চলে যাচ্ছে আর আহানা থ হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ওর যাওয়া দেখছে,বিকাল ঘনিয়ে এসেছে
আহানা সোফার উপরে রাখা তার কাঁচা কলার চিপসটা হাতে নিয়ে আবারও নিজের রুমে ফেরত গেলো
.
শান্ত নিজের কারে বসতে বসতে হেসে দিলো হাতের দিকে তাকিয়ে
ঝাড়ি ও দেয় আবার কেয়ার ও করে,এই মেয়েটাকে আসলেই বুঝতে পারি না আমি
♣
শান্ত নিজের বাসায় এসে তো ওর চোখ কপালে
কণা আর তার মা বাবা এসে হাজির
শান্ত হাল্কা কেশে উনাদের সালাম দিয়ে দাঁড়ালো একপাশে
মা ও বসে আছেন হাসিমুখে,বুঝাই যাচ্ছে বিয়ের কথা পাকা করতে এসেছেন তারা,উফ!!মা আমাকে না জানিয়ে এদের কেন ডাকলো আবার
কণা লজ্জায় মনে হয় মরে যাবে এই দেখে শান্তর গা জ্বলে যাচ্ছে,এর চেয়ে তো আহানার রাগী রাগী লুকটা মাচ বেটার
.
উনাদের হাতে দেখছি আংটির বক্স,শান্ত আজ তুই শেষ!
.
মা শান্তকে হাত দিয়ে কাছে ডাকলেন
শান্ত ভালো ছেলের মতন গিয়ে বসলো উনার পাশে
কণার মা বাবা দাঁত কেলিয়ে চেয়ে আছেন শান্তর দিকে,তাদের পাগল মেয়ের যে এত ভালো চয়েস তা তাদের জানার বাইরে ছিল
অবশ্য এই নিয়ে কতবার যে কত ছেলেকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলো কণা,এটা নতুন কি,তবে এবারের টা খাসা
.
শান্তি রহমান আংটির বক্সটা কণার মায়ের হাত থেকে নিতেই শান্ত দাঁড়িয়ে পড়লো,আজ যদি সবটা না বলে তো ভালো ফাঁসা ফাঁসবো,আহানা আমাকে কাঁচা গিলেই খাবে
.
শান্ত হালকা কাশ দিয়ে আবারও এদিক ওদিক তাকিয়ে পরিবেশ কেমন বুঝে নিলো,সবাই ওর মুখের দিকেই চেয়ে আছে
.
শুনো মা!!এদের ডাকার আগে আমাকে একবার জানানো উচিত ছিলো তোমার
আর আমি তো তোমাকে বলেছিলাম এসব নিয়ে না ভাবতে
আর একটা কথা এসব আজীবনের জন্য বাদ দাও,কারন আমি অলরেডি মেরিড
.
কথাটা শুনে সবাই চোখ তুলে তাকালো শান্তর দিকে
শান্ত হনহনিয়ে নিজের রুমে চলে গেছে ততক্ষণে
মা তো রীতিমত শকড!!!!আহানা আর শান্তকে মিলানোর জন্য উনি আর আহানার মা মিলে ওদের দুজনকে আরেকজনের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করছিলো আর শেষে এই শুনবে তা একদম ভাবেননি তিনি,ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না,শান্ত এসব কি বলতেছে,তাহলে কি সেদিন শান্তর বাবার কাজী বন্ধু মইনুদ্দিন ভাই ঠিক বলেছিলেন?শান্তর বিয়ে হয়ে গেছে
উনার ফোন পেয়ে আমি এটা বিশ্বাস করিনি,এখন তো শান্ত নিজের মুখেই বলে দিলো,উনি আমাকে জাস্ট কথাটা বলেই লাইন কেটে দিয়েছিলেন আমি তো বোবা হওয়ায় উত্তরটাও দিতে পারলাম না সেদিন,নাহলে জিজ্ঞেস করতাম ও ঠিক কাকে বিয়ে করেছে
.
শান্ত নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে ফেললো,তারপর আহানাকে ফোন করলো জানাতে যে সে বিয়ের কথা বলেছে মাকে
ফোনের উপর ফোন বেজে যাচ্ছে আর আহানা?সে তো তার নিজের বাথরুমের বাথটাবে মরার মত ঘুমাচ্ছে,এতদিন পর নিজের সব ফিরে পাওয়া কি মুখের কথা?আজ তো সে বাথটাবেই ঘুমাবে
মা সোফার রুমে মনে হয়,আর আহানার ফোন তার বিছানার উপর
৫/৬বার কল দেওয়ার পরও না ধরায় শান্ত ভাবলো কাল আহানা অফিসে আসলে জানাবে তখন
ওদিকে কণা শান্তর রুমের দরজা মনে হয় ভেঙ্গেই ফেলবে,তার একটাই কথা শান্ত বিয়ে করেনি,এটা সে মিথ্যা বলেছে,তার মা বাবা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে ওদের বাসা থেকে
শান্ত কানে ইয়ারফোন গুজে বারান্দায় বসে আছে চুপ করে,হাতে একটা ইংলিশ ম্যাগাজিন
♣
পরেরদিন সকাল সকাল শান্ত অফিসে গেলো,করিডোরের দিকে যেতে যেতে একবার আহানার কেবিনের দিকে তাকালো সে,কেবিন খালি,অবশ্য ৯টা বাজেনি এখনও,কর্মচারীরা ৯টায় আসবে,তবুও অনেকেই আসতেছে এখন
.
শান্ত নিজের অফিস রুমে গিয়ে কোটটা খুলে চেয়ারে এলিয়ে দিয়ে গ্লাস থেকে পর্দা সরালো
ঊষা এসে গুড মর্নিং জানাতেই শান্ত বললো”আহানা আসলে যেন এখানে আসে সাথে সাথে”
ঊষা ঠিক আছে বলে চলে গেছে
আহানা ৯টার সময় অফিসে এসে হাজির,তাদের কারে করে এসেছে সে
কি যে ভালো লাগতেছে,এতবছর কত কষ্টই না সে করেছিলো তবে সকাল সকাল মা যা বললো তাতে মেজাজটা বিগড়ে আছে,ঐ শান্তর উপর ঝাড়তে হবে তারপর শান্তি হবে
আহানা অফিসরুমে ঢুকতেই ঊষা এসে বললো শান্ত ওকে ডেকেছে
আহানা তাই সোজা ওদিকেই গেলো
.
আসবো শান্ত ভাইয়া????
.
হঠাৎ আহানার মুখে ভাইয়া ডাক শুনে শান্তর মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো, কপাল কুঁচকে সে ফাইল গুলো থেকে চোখ উঠিয়ে ওর দিকে তাকালো,তারপর ২মিনিটের জন্য ভ্রমে চলে গেলো আহানাকে দেখে
ঘাড়ো হলুদ রঙের একটা শাড়ী, চুল ছাড়া,একদম রেডি,শান্ত ঠিক বুঝলো না,তারপর বললো”কি ব্যাপার?এত সাজগোছ কেন?”
.
আসলে ভাইয়া
.
আর একবার ভাইয়া বললে তোমার ঐ সুন্দর শাড়ীর বেহাল অবস্থা করে দিব,চিনো তো আমাকে??
.
আহানা গলায় হাত দিয়ে ঘষতে ঘষতে বললো”কি আর করবো বলেন!!!আমার তো আজ এঙ্গেজমেন্ট,আজকের পর থেকে তো আপনি আমার ভাইয়াই তাই না?”
.
মানে?কিসের এঙ্গেজমেন্ট??কার সাথে?
.
আহানা এবার নিজের আসল রুপে আসলো, লাফ দিয়ে শান্তর সামনে থাকা কাঁচের টেবিলটার উপর গিয়ে গোল হয়ে বসে একটা পেন নিয়ে শান্তর গলায় চেপে ধরে বললো”তোর সাহস তো কম না,আবার জিগাস!কার সাথে আবার??আমার সাঙ্গাইয়ার সাথে,সাঙ্গাইয়া কাকে বলে জানিস তো!!দ্বিতীয় স্বামীকে বলে,তোরে এত করে বলছি তোর মারে বল আমরা বিবাহিত, তুই তো কবি না
তো ঠিক আছে,আমি আজ ঐ বলদা রামিমের সাথে এঙ্গেজমেন্ট করে নিমু,আর তুই আজ থেকে আমার ভাইয়া,কথা ক্লিয়ার?”
.
শান্ত তো অবাক হয়ে আহানার দিকে চেয়ে আছে,যেভাবে গুন্ডি ভাব নিছে,একেবারে আমার টেবিলের উপর বসে কলম গলায় গেঁথে কথা বলছে
.
আহানা কলমটা সরিয়ে পাশ থেকে গ্লাস নিয়ে পানি খেলো ঢকঢক করে তারপর টেবিল থেকে নেমে শাড়ীর কুচি ঠিক করে মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতে নিতেই শান্ত সামনে এসে দাঁড়ালো
.
আবার কি?
.
আপনি থেকে একেবারে তুই?
আগে শুনো আমার কথা
.
কি কথা শুনবো তোর??তুই তো তোর মারে বাঘের মতন ভয় পাস,তোরে আর কি কমু আমি?বিয়ের ৫/৬দিন হয়ে গেছে,তারপর আবারও বিয়ে হইছে মোট মিলিয়ে দুবার আর তুই খালি মুড মুড কস
.
এবার শুনো আমার কথা,কাল মা কণার মা বাবা আর ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছিলো একেবারে এঙ্গেজমেন্ট করানের জন্য দ্যান আমি বলছি আমি মেরিড
.
সত্যি?
.
৩সত্যি
.
ইয়াহু!!
.
আস্তে,পুরো কথা শুনো,এবার তোমার বিয়ে আটকাবে কি করে,এবার তো তোমার মায়ের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে
.
আপনার কি মনে হয় শান্তি আন্টি এতক্ষণে মাকে এসব জানায় নি?
.
কি বলো!মা তো কথা বলতে পারে না
.
ওহ হ্যাঁ,তাহলে এখন?
.
বিয়ে ভাঙ্গার অভিজ্ঞতা আছে?
.
ওহ ওটা সমস্যা নাই,ছেলে হাবাগোবা হলে ২মিনিটের কাজ,আর আপনার মত হলে একটু টাইম লাগবে
.
আমার মত হলে মানে?
.
মানে নাছোড়বান্দা,রাগী,বদমেজাজি
.
বাই দ্যা ওয়ে,এরকম সুন্দর করে সেজেছো কি জন্যে?তুমি চাও ঐ রামিম ছেলে তোমাকে দেখে পাগল হয়ে যাক?
.
আমাকে সুন্দর লাগছে বুঝি?
.
লাগছে বাট এমন করে যাবা না,এক দেখাতেই পছন্দ করে ফেলবে,একটু ভূত ভূত টাইপের মেকাপ আছে না ওগুলা ট্রাই করো
.
এক কাজ করবো,মুখ ধুয়ে যাবো,নো মেক আপ লুক নিয়ে
.
আরে না না,তোমাকে নো মেক আপেও সুন্দর লাগে,বললাম তো ভূত সেজে যাবা
.
আপনার আইডিয়া আপনার কাছে রাখেন,ভূত সেজে গেলে মা আমাকে কেলাবে,বলবে ইচ্ছা করে বিয়ে ভাঙ্গতে চাচ্ছি
.
কি করবা তাহলে?
.
কাঁচামরিচের জুস খাওয়াই দিব,শুনলাম ছেলে নাকি কাঁচামরিচ খেলে অজ্ঞান হয়ে যায় ঝালে
.
কমাই দিও,পরে মরে যাবে
.
খাওয়াবো না তো,গায়ে ঢেলে বলবো”ওপস সরি!”
গায়ের জ্বালায় এমনিতেই অজ্ঞান হবে,জুস খাওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না
.
এত বুদ্ধি নিয়ে থাকো কেমনে!তা কখন দেখতে আসবে?
.
সন্ধ্যাবেলায়
.
ওকে ফাইন,যাও এখন নিজের কাজে,আর চুল ছেড়ে রাখছো কেন?খোঁপা করো,দুবার বিয়ে করছো,সাধ মেটে নি?আবারও করবা?তাহলে চলো
.
আহানা ব্রু কুঁচকে খোঁপা করে নিলো তারপর বললো”খোঁপা আটকানোর কাঠি তো আনি নাই”
.
শান্ত টেবিলের উপর থেকে পেন টা এনে আহানার খোঁপায় ঢুকিয়ে দিলো,তারপর বললো”যাও”
.
আহানাও চলে আসলে নিজের কেবিনে
ওদিকে শান্ত ভাবনায় আছে আহানা কি করে সামলাবে সব,তার মনে হচ্ছে দুই পরিবার একসাথে হয়ে তারপর নিজেদের মধ্যে সব আলাপ করে নিলে ভালো হতো
ওদিকে দেখতে দেখতে সন্ধাও হয়ে গেছে,আহানা বাসায়ও চলে এসেছে
মা বললো শরবত জুস যেটা ইচ্ছা সেটা তৈরি করতে,ছেলে পক্ষ এসে পড়বে
আহানা কাঁচামরিচের জুস বানালো,মা এসে জিজ্ঞেস করলো সবুজ রঙের এটা আবার কিসের জুস
.
আহানা হেসে বললো লেবু আর পুদিনা,অনেক টেস্ট আর হেলদি ও
.
আচ্ছা
.
ছেলে,,,তার মা আর ফুফু এসে পড়েছে
আহানা উঁকি দিয়ে একবার দেখলো,চেহারায় বোঝা যাচ্ছে এক নাম্বারের বলদ,ইয়া বড় চশমাও পড়েছে,এরে তো কণার সাথে মানাবে
যাই হোক এর গায়ে পুরোটা জুস ঢালবো না,হাফ ঢালবো,বেচারার চেহারা দেখে মায়া হচ্ছে
.
আহানা মাথায় ঘোমটা টেনে সেদিকে গেলো
মা বললো রামিমের সাথে বাগানের দিকে যেতে ট্রেতে জুস নিয়ে,ওখানে চেয়ার আছে সেখানে বসে খেতে আর গল্প করতে
আহানা তাই গেলো সেদিকে,রামিম আহানার থেকে চোখ সরাচ্ছে না
আহানা চেয়ারে বসে দেখলো রামিম এখনও দাঁড়িয়ে ওর দিকে হা করে চেয়ে আছে,আহানা বিরক্তি নিয়ে বললো”বসুন না এখানে,,জুস খাবেন না??”
.
হ্যাঁ খাবো তো
.
রামিম সামনের চেয়ারে বসে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইলো আবারও
আহানা জুসটা নিলো রামিমের গায়ে ঢালার জন্য তার আগেই রামিম ওর থেকে জুসের গ্লাসটা কেড়ে নিয়ে ঢকঢক করে পুরোটা গিলে সাবাড় করে দিলো
আহানা মুখে হাত দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েছে
রামিম এবার বুঝলো সে আসলে কি খেয়েছে
ঝালের চোটে রামিম “আম্মাগো” বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলো”
দুমমমমম!
আহানা মুখে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে
মরে গেছে নাকি?আমি জেলে যাবো না তো?
চলবে♥