প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৫০
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আমি একটা কাগজে লিখে দিব যে আমি ঠিক কি কারণে তোমাকে বিয়ে করেছি তারপর সেটা দেয়ালে টাঙিয়ে রাখবো
কারণ তোমাকে বিয়ে করার পর থেকে তুমি এই প্রশ্নটা মিনিমাম দেড় শতবার জিজ্ঞেস করেছো এন্ড আই নো তুমি এই প্রশ্ন আরও আরও করবে
.
কথা সেটা না, কথা হলো….
.
চুপ!আর একটা কথাও না,এখানে এসে বসে থাকো,আমি গিয়ে দেখি খাবার কি পাওয়া যায় এখানে তারপর এসে তোমাকে নিয়ে যাব
♣
এই লোকটা আমার কোনো কথা কখনও বুঝার চেষ্টা করে না,নিজের কথাই কথা হয়ে গেলো
.
শান্ত প্রায়ই ১০/১৫মিনিট পর আবার ফেরত এসে বললো”বাম্বো চিকেন খাবে ডিনারে,আহানা যেন তৈরি হয়ে নেয়,রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবে তারা”
.
আহানাও এক পায়ে খাড়া!! লাফ দিয়ে উঠে বললো “চলুন”
.
শুনো!রেডি হয়ে নেওয়া মানে এই না যে যেই জায়গায় বসা থাকে ঐ জায়গা থেকে উঠে বললা “চলুন”,রেডি হওয়া মানে চুল ঠিক করে,পোশাক আশাক ঠিক করে নেওয়া,বুঝছো??
নিজের দিকে তাকিয়ে দেখো একবার,বনমোরগের মতন লাগতেছে তোমাকে
.
আহানা কপাল কুচঁকে চুলগুলো টেনেটুনে খোঁপা করে নিয়ে শাড়ীটাও টেনে ঠিক করে নিলো তারপর বললো”এবার তো চলুন”
.
কি ব্যাপার বলো তো?তোমার এত তাড়া কিসের?
.
তাড়া কিসের সেটা কোন মুখে জিজ্ঞেস করছেন আপনি?আমাকে যে বিকালে নাস্তায় শুধু চা খাওয়াইছেন সেদিকে খেয়াল আছে আপনার?কিপটা জামাই একটা!
এত টাকা কি করবেন যদি আপনজনই খিধায় মরে যায় যায় অবস্থা হয়
.
তুমি যে খাদক একদিনে”শান্তি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির “সব টাকায় খাবার কিনে সেটা খেয়ে সাবাড় করে দিতে পারবা
.
খোঁটা দিচ্ছেন??আমি যাবো না,ডিনার ও করবো না
.
কথাটা বলে আহানা গায়ে কাঁথা টান দিয়ে লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো
.
আরে আরে!এরকম রাগ দেখাও কেন?আমার খিধা লেগেছে,চলো এখন,রাগ-টাগ বাদ দাও,ওসব পরে হবে,উঠো বলছি
.
যাব না আমি,আপনার টাকায় আপনি খাবার কিনে খান
.
দেখো মেজাজ খারাপ করবা না,তা নাহলে কোলে তুলে নিব কিন্তু!
.
আহানা দাঁত কেলিয়ে চুপ করে আছে কাঁথা মুড়ি দিয়ে
শান্ত যখন দেখলো তার হুমকিতেও আহানা তার কথার নড়চড় হয়নি তখন সে নিচু হয়ে আহানাকে বিছানা থেকে তুলে নিলো
তারপর হেসে বলতে যাবে যে”দেখলা তো কথা শুনো নাই এখন কোলে নিয়েছি”
কিন্তু সেটা সে বলতে পারলো না কারন আহানা তো মহাখুশি তার কোলে উঠে
এমন কি সে মুচকি হেসে শান্তর গলা জড়িয়ে ধরে কোলে উঠাটা সেট ও করে নিলো যেন কত পথ এমতাবস্থায় পাড়ি দিতে হবে
.
শান্ত ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বললো”তুমি আমার কোলে উঠে হ্যাপি?”
.
ভালোই লাগতেছে,এখন চলুন যাই রেস্টুরেন্টে
.
তুমি আসলে!!!এসব তাহলে নাটক ছিলো!
.
শান্ত উপায় না পেয়ে চুপচাপ আহানাকে নিয়ে হোটেল থেকে নামলো,ম্যানেজার এবং আশেপাশের সবাই তাকিয়ে আছে ওদের দিকে
শান্ত একটা রুমাল দিয়ে মুখটা ঢেকে নিয়েছে নামার সময়
আহানা মুচকি মুচকি হাসতেছে,প্রায় ২মিনিট হয়ে গেছে শান্ত আহানাকে নিয়ে হেঁটেই চলছে
আহানা চুপ করে এক দৃষ্টিতে শান্তর দিকে চেয়ে আছে
শান্ত ওর দিকে একবার তাকায় তো আবার সামনের রোডটার দিকে তাকায়,রোডটা মোটামুটি অন্ধকার তবে আশেপাশের রিসোর্ট গুলো থেকে আলো আসতেছে কিছু
আহানা মুগ্ধ হয়ে শান্তকে অপলক দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে,শান্ত হাঁপাচ্ছে এবার,অনেকটা পথই হেঁটেছে সে
আহানা কোনোদিকেই তাকাচ্ছে না,শুধু শান্তকে দেখায় ব্যস্ত সে
.
শান্ত সামনের পথের দিকে চেয়ে বললো”আরেকদিকে তাকাও,এরকম চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো কেন?আগে কখনও দেখো নাই আমাকে?”
.
দেখি নাই,তবে এ প্রথম এত সময় ধরে কোলে নিয়ে হাঁটতেছেন তো! আই এম ইমপ্রেসড
.
তোমার ইম্প্রেসডের গুষ্টি উদ্ধার করবো আমি,১৪দিনের জিম হয়ে গেছে আমার একদিনেই
এত ওজন বাপরে বাপ!দেখে বোঝা যায় না আসলেই
মনে হয় ৬০/৭০কেজির আলুর বস্তা আরও নরমাল ওজনের হবে
তোমার ওজনের কাছে সেসব ফেল
.
কখনও তুলছেন যেভাবে সিউরিটি নিয়ে বলতেছেন??
.
এক্সকিউজ মি!!
.
না আলুর বস্তা কেন তুলবেন,সেটাই!
.
হুম!গেস করলাম আর কি,বাই দ্যা ওয়ে তোমার ওজন কত?
.
অনলি ৫৩কেজি
.
এই জন্যই আমার ডান হাতের রগটা পিনপিন করতেছে যেকোনো সময় চটাস করে ছিঁড়ে যাবে
.
কেমন স্বামী আপনি?বউকে তুলতে পারেন না
.
তুলতে পারি না?দীর্ঘ ৩মিনিট ধরে হাঁটতেছি কোলে নিয়ে
এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেও এক কথা ছিলো
বিনা রেস্টে হাঁটতেছি
আমি তোমাকে নামানের পর আমাকে একটা এ্যাওয়ার্ড দিবা,প্রাপ্য আমার
.
রেস্টুরেন্টের সামনে এসে অবশেষে শান্ত আহানাকে নামালো
তারপর বললো”দাও আমাকে কি দিবা,এত কষ্ট করলাম”
কথাটা শান্ত হাত ঝাড়তে ঝাড়তে বললো
.
আহানা পা উঁচু করে শান্তর গালে চুমু দিয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে চলো গেলো এক দৌড়ে
শান্ত রীতিমত অবাক,হা করে সে আহানার চলে যাওয়া দেখছে
আহানা লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলো রেস্টুরেন্টের
শান্ত তার কিছুক্ষণ পর এসে সেও বসেছে,দুজনে দুজনের দিকে তাকাচ্ছে না,এরকম একটা সিচুয়েশনে খাবার ও জলদি এসে গেলো,দুজনে আরেকদিকে ফিরে খাবারটাও শেষ করে ফেললো,তারপর রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এবার দুজনে কিছুটা হলেও নরমাল হয়েছে
আহানা রোডের পাশে দাঁড়িয়ে দূরের পানে চেয়ে আছে,দূরে একটা পাহাড়ে আলো জ্বলছে,নিশ্চয় কারোর বাড়ি-ঘর হবে সেখানে
শান্ত রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে তার ফুফুর সাথে কথা বলায় ব্যস্ত,ফুফু জিজ্ঞেস করলেন ডিনার করেছে কিনা,মন চাইলে আবার ফেরত আসতে পারে তারা
শান্ত বললো ডিনার করেছে উনি যেন চিন্তা না করে
.
কথা বলা শেষে শান্ত এসে বললো”হুম চলো যাই”
আহানাও পিছু পিছু আসতে লাগলো কোনো কথা না বলেই,আজকে যা যা হয়েছে জীবনেও তা সে আর শান্ত দুজনের এক জনেও কল্পনাও করতে পারে নাই
দুজনেরই মুখে কোনো কথা নেই
অন্ধকার একটা পথ ধরে দুজনে হাঁটতেছে,মাঝখানে হালকা দূরত্ব বিদ্যমান
শান্তর হাতে বারবার আহানার শাড়ীর ছোঁয়া লাগছে,যতবার লাগছে ততবারই সে আড় চোখে আহানার দিকে তাকায়
আর আহানা সোজা নিচের দিকে চেয়ে হেঁটে চলেছে
কিছুদূর যেতে না যেতেই শান্ত হঠাৎ আহানার হাতটা চেপে ধরলো
আহানা কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই সে বলে উঠলো”কেউ যদি তোমাকে টেনে নিয়ে যায়,সাবধানতার তো কূল নেই তাই না?”
.
আমার হাত ধরতে মন চাইছে সেটা বললেই হয় এত বাহানার কি আছে?
আর আমাকে কে নিয়ে যেতে চাইবে?শুধু এক কথা আমাকে কে নিয়ে যাবে,কচু নেবে!নিজের বর আমাকে সামলাতে পারে না অন্যরা কি করবে,আর আপনাকে চেনা আছে আমার
কেউ নিয়ে গিয়ে আপনাকে কল করলে বলবেন”ভাই ছেড়ে দে নাহলে তোরে আহানা নিজেই কাঁচা গিলে খেয়ে নেবে”
.
শান্ত আহানাকে টান দিয়ে ওর সামনে এনে দাঁড় করিয়ে বললো”তোমার মনে হয় আমি এটা বলবো?যেটার ভয়ে তোমাকে বিয়ে করেছি আর সে আমি কিনা এসব বলবো??জানে মেরে দিব যে তোমাকে আমার থেকে আই মিন কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে চাইবে তাকে
.
আপনার থেকে?বাব্বাহ এত প্রেম!
.
ও তুমি বুঝবে না,তুমি ঝগড়া ছাড়া জীবনে আর কোনো উন্নতি করতে পারবা না জানা আছে আমার
.
হুহ!
♣
দুজনেই রিসোর্টে যখন ফিরে আসলো তখন ঠিক রাত সাড়ে ১০টা বাজে
আহানা বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে আকাশের চাঁদটাকে দেখছে
কি সুন্দর পরিবেশটা,নিশ্চুপ,শহরের কোনো বালাই নেই এখানে
চাঁদের আলো সোজা মুখের উপর এসে পড়ছে,ইস যদি চাঁদটাকে ছুঁতে পারতাম!
.
পাশে শান্ত এসে বললো”এই চাঁদকে ছুঁতে পারো”
.
আহানা একটা ভেঁংচি দিয়ে বললো”আপনি বুঝি চাঁদ?”
.
চাঁদ কিনা জানি না তবে আজ ঠিক যেমন করে আমাকে দেখছিলে এখনও আকাশের ঐ চাঁদকে তেমন করেই দেখছিলে তাই বললাম আর কি
.
♥যে জিনিস আমরা পাই না,কিন্তু যেটা পাই সেটাতে সে জিনিস মনে করে আপন করে নিই♥
আচ্ছা একটা কথা জানার ছিল
.
বলুন!! আসুন আগে বসুন
শান্ত আহানার হাত ধরে নিচে বিছানো তোষকে বসিয়ে দিলো তারপর গালে হাত দিয়ে আহানার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করলো সে কি বলতে চায়
.
আহানা হালকা হেসে জিজ্ঞেস করলো একটা কথা
আর সেটা হলো”আপনি কখনও প্রেম করেছেন?”
.
নাহ,অফিসের কাজের চাপে,মায়ের কেয়ার,নিতুর কেয়ারের চাপে আমি এসবের ঘানি টানি নাই,দেখোই না তোমাকে বিয়ে করে বিয়ের দায়িত্ব উঠাতে গিয়েও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি
.
আচ্ছা!তো প্রেমে পড়েছেন কারোর?
.
শান্ত আহানার দুচোখের দিকে তাকিয়ে বললো”হ্যাঁ,পড়েছি”
.
কে সে??দেখতে কেমন?তার কি বিয়ে হয়ে গেছে আপনার মতো?
.
হ্যাঁ তার বিয়ে হয়ে গেছে,তাকে কত বছর ধরে মনে রেখেছিলাম,তার ছবিটা আজও আমার আলমারিতে যত্ন করে রাখা
.
তো তাকে বলেননি কেন?বললে তো আজ সে আপনার হতো
.
মেয়েটা অনেক বাজে বুঝলে,মানে কি বলবো,ওর মতন স্বভাবের মেয়ে আমি আর দেখিনি,প্রচুর দুষ্টুমি করে,সে সবসময় আমাকে হারাতে চাইতো,আমার যা সব তার হওয়া চাই
.
ছোট থেকে জানতেন বুঝি?
আসলে আমার মনে নেই ছোটবেলার কথা তা নাহলে মনে থাকতো শান্ত ভাইয়া ঠিক কোন মেয়েটার জন্য পাগল ছিলো, আমি তাকে চিনি কিনা
.
আরে তুমি চিনো ওকে!
.
তো আমাকে বিয়ে করলেন কেন তাহলে??মনে যদি একটুও মায়া থাকতো তার জন্য অন্য কাউকে বিয়ে করার ইচ্ছাই আসার কথা না আপনার
.
আরে কি করবো বলো,আমি যেদিন তোমাকে বিয়ে করেছিলাম সেও সেদিন বিয়ে করে নিয়েছে,তাই তো আমিও করে নিয়েছি
.
ওহহ!
.
এবার আমি প্রশ্ন করবো
.
হুম বলেন
.
তোমার সাথে আমার যেদিন দেখা হয়েছিলো সেদিন তুমি সুইসাইড করতে চেয়েছিলা,আমি জানতে চাই কেন??
.
ওটা ফিনান্সিয়াল প্রবলেমের কারণে,আসলে আমি একা সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতাম তাই এসব থেকে মুক্তি পেতে সুইসাইড করতে চেয়েছিলাম,মায়ের জন্য তো খালা আছে সেই সুবাদে
.
আহা কত প্ল্যান,আমি তো ভাবলাম কোন ছেলে ছ্যাকা দিলো আবার,অবশ্য এখন মনে হচ্ছে কোনো ছেলেই তোমাকে সামলাতে পারবে না,যদিও আমি একটু একটু পারি বাট অন্য কেউ পারে নাই পারবেও না,ইম্পসিবল একটা ব্যাপার
.
সেটা ঠিক,তবে আমি কি এত খারাপ বলুন?
.
প্রশ্নটা করে আহানা অসহায় একটা লুক নিয়ে শান্তর দিকে চেয়ে আছে
.
শান্ত আহানার গাল ধরে টেনে বললো”ওলেলেলে”
.
উফ,গাল টানেন কি জন্য?
.
এরকম ফুলা ফুলা গাল দেখলে টানতেই মন চায়,তোমার সাথে ঝগড়া করতে করতে আমি কতদিন কাটালাম,গাল টানলাম আজ,কি ভুল করলাম,বিয়ের দিন থেকে টানা উচিত ছিলো
.
আমিও আপনার চুল টেনে দিব
.
দাও,মাথা ব্যাথা করতেছে
.
আহানাও ভালো মেয়ের মতন চুলগুলো টেনে দিলো শান্তর
.
বাট এক দিক দিয়ে আমি খুশি,অন্তত ঐ কণার হাসবেন্ড হই নাই
.
হলে ভালো হতো,আপনার ওয়াইফ ও হলে আপনার এসব ঢং বের হই যেতো,আমাকে ঝগড়ায় যা তা বলেন,কণাকে বললে একদম মুখটা সেলাই করে দিতো আপনার,তখন ঠিক হতো
.
তোমার ও রতনের সাথে বিয়ে হলে বেশ হতো,আসতে এক চড় যেতে এক চড় খেতে,আর বাকি টর্চার তো আছেই
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চুল টানা বন্ধ করে দিয়ে উঠে চলে গেলো
শান্তর বিছানা থেকে ওর বালিশটা নিয়ে সে পাশের বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো
শান্ত উঠে এসে দেখলো তার ওয়াইফ আগের জায়গায় এসে শুয়ে পড়েছে
.
আহানা এখনও ঘুমায়নি,সামনে থাকা দেয়ালটার দিকে চেয়ে আছে সে,অথচ শান্তর কোনো সাড়াশব্দ নেই
আহানার রাগ আরও বেড়ে গেছে,গাল ফুলিয়ে সে চোখ বড় বড় করে এবার দেয়ালটা দেখে যাচ্ছে
প্রায়ই ১২/১৪মিনিট পর আহানা খেয়াল করলো একটা হাত ওর কোমড় ছুঁয়ে ফেলেছে,পাশ ফিরে তাকাতে যেতেই এবার শান্ত ওর মুখটা আহানার গলায় এনে রাখলো তারপর চোখটা বন্ধ করে বললো”অলরেডি ১২টা বেজে গেছে,ঘুমাও,আর নিশ্চয় এখন কোমড় ধরা নিয়ে চেঁচাবা না?”
.
আহানাও আর কিছু বললো না,চুপচাপ আবারও দেয়ালটার দিকে ফিরে শুয়ে পড়লো সে
♣
রাত এখন ১টা ৩২বাজে,আহানা ঘুমিয়ে গেছে, শান্ত ঘুমায়নি,কেন যেন ঘুম আসতেছে না
আহানাকে অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে সে জাস্ট আহানার রাগটা ভাঙ্গার জন্য ওকে ধরেছিলো
ঘুম আসতেছে না দেখে উঠে বসলো সে
আহানা হাত দুটো মাথার নিচে রেখে গুটিশুটি দিয়ে শুয়ে আছে খাটের এক কোণায়
শান্ত কাঁথাটা ওর গায়ে ভালো করে টেনে দিয়ে ওর দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলো
একে আমি কখনও ছাড়তে পারবো না,আমার লাইফের একটা অংশ হয়ে গেছে মেয়েটা
শুধু একবার বলো”আমাকে চাও”
যে জোর আমি তোমাকে বিয়ে করতে করেছি সেটা অন্য কিছুতে করতে চাই না আহানা
মাঝে কিসের যেন দেয়াল বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বারবার
আমি জানি না কেন,কিসের জন্য ওকে কাছে নিয়েও নিতে পারি না
.
আহানা ঘুরে শান্তর হাতটা জড়িয়ে ধরলো ঘুমের ঘোরে
.
শান্ত বসেই ছিলো,আহানা এভাবে হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে নেওয়ায় তার সব ভাবনায় ছেদ পড়েছে
আরেকটা হাত বাড়িয়ে আহানার চুল গুলো এলিয়ে দিলো সে
তারপর কি মনে করে চুলের ভিতরে হাত দিয়ে ওর মাথাটা ধরে টান দিয়ে ঘুম থেকে তুলে ফেললো ওকে
.
আহানাকে ঘুম থেকে এমন হুট করে উঠিয়ে দেওয়ায় আহানা প্রথমে বেশ ভয় পেলো তারপর বুকে থুথু দিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে তারপর ব্যাপারটা বুঝতে পারলো যে শান্ত আবারও ওর এত সুন্দর ঘুম টেনে তুলে নষ্ট করেছে
চলবে♥