প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৬১
#Writer_Afnan_Lara
🌸
প্রমাণ লাগবে না আমার,ভালো যে বাসেন না তা খুব ভালো করে জানি,তো কিসের প্রমাণ দেবেন আপনি??
বলার আর কিছু আছে??
.
শান্ত পাশ থেকে থ্রি পিসটার ওড়না হাতে নিয়ে আরও এগিয়ে আসতেছে
আহানা ওড়নাটার দিকে তাকিয়ে খানিক ভয় পেয়ে গেলো,তারপর একটু পিছিয়ে বললো”বললাম না,কোনো প্রমাণ লাগবে না আমার,এসব কি করতে চান কি আপনি? ”
.
দেখবা তো!
.
আহানা কিছু বলার আগেই শান্ত ওড়না দিয়ে আহানার মুখটা ভালো করে বেঁধে ফেললো,আহানা ভেবেছিলো হয়তবা ওর হাত দুটো বাঁধবে কিন্তু এ দেখি তার উল্টাটা করলো শান্ত
আহানা চোখ বড় বড় করে শান্তর দিকে তাকিয়ে হাত উঠালো মুখের বাঁধন খুলার জন্য, শান্ত এবার তার দুহাত ও ধরে ফেললো শক্ত করে
.
আহানা কিছু বলতেও পারছে না,হাত ও নাড়াতে পারছে না,কিরকম একটা বিরক্তির মাঝে সে শান্তর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত মুচকি হেসে বললো”কেমন লাগছে??
বেশি বকবক করো বলেই একদম সবার আগে মুখ বেঁধেছি তোমার,এবার কাউ কাউ করো যত পারো”
.
আহানা চোখ দিয়ে রাগ ঝাড়ছে তাও কোনো লাভ হচ্ছে না,শান্ত এমন ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে যেন সে আহানার রাগে ভয় পায়নি বরং আরও রাগানোর ফন্দি আঁটছে
.
কি??কিছু বলবা না আহানা??বলো না একটু শুনি!ভালোবাসি বলি না সবসময় এটা বলো যে এখন ভালোবাসা দেখাতে আসায় এত ছটফট করছো কেন হুমমম?
.
আহানা হাত পা নাড়াতে নাড়াতে শান্তর গায়ের দিকে তাকাচ্ছে মাঝে মাঝে,শান্ত ব্যাপারটা বুঝতে পেয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো”এত কিছুর মাঝে তুমি আমার বডি চেক করছো?ভাল্লাগছে??”
.
আহানা ব্রু কুঁচকে মুখ আরেকদিকে ঘুরিয়ে নিলো,সোজা বারান্দার দিকে তাকালো সে,বৃষ্টি থেমে গেছে,সব অন্ধকার,ঘড়িতে সাড়ে ৭টা বাজে এখন
আহানা শান্তর দিকে তাকাচ্ছে না,হাত ও নাড়াচ্ছে না,চুপ করে নির্বাক হয়ে সে বাইরের দিকে চেয়ে আছে,অথচ বাইরে কিছুই নেই দেখার মতো,সব অন্ধকারে ছেয়ে গেছে,শান্তদের বাসার মতন এখানে ল্যাম্পপোস্ট নেই
আহানা তার গলায় শান্তর স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো সাথেসাথে
তাও তাকালো না সে শান্তর দিকে,একটা গভীর রাগ এখন তার মধ্যে বাস করছে
বারবার করে সে বলেছিলো যে তাকে ভালোবাসি না বলে যেন শান্ত তাকে না ছোঁয়
আর শান্ত তার এই কথাটা শুনলো না,বললো ঠিক আছে তবে সেটা জেদ ধরে,মন থেকে তো বলেনি
তাই এখন এত ভালো লাগার স্পর্শের মধ্যেও ভালো লাগছে না,বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে তার
শান্তর ঠোঁটজোড়া আহানার গলা থেকে সরিয়ে আহানার কানের কাছে নিয়ে আস্তে করে বললো”তোমাকে খুব ভালোবাসি,কখনও কাউকে এই কথাটা বলা হয়ে উঠেনি বলে তোমাকে হুট করেই বলতে এত দেরি হয়ে গেলো!ভেবেছিলাম তুমি হয়ত বুঝবে!
কিন্তু তুমি তো মুখের কথায় বিশ্বাসী! শুনে রাখো! আই নিড ইউ!!”
.
আহানা কথাগুলো শুনে শান্তর দিকে তাকালো,শান্তর মুখটা আহানার পাশে বালিশের উপর রাখা,তারপরেও দুহাত দিয়ে সে এখনও আহানাকে ধরে রেখেছে
♥
♥
ভোর ৫টা ১৪বাজে,আহানা খাটের এক কোণায় গুটিশুটি দিয়ে বসে আছে শান্তর দিকে তাকিয়ে
শান্ত তার সাদা পিঠটা উপরে রেখে ঘুমাচ্ছে মাথা বালিশের নিচে গুজে দিয়ে
আহানা এবার নড়েচড়ে বিছানা থেকে নামলো,শাড়ীর আঁচলের অর্ধেক অংশ শান্তর বুকের নিচ দিয়ে গিয়ে বিছানার ওপাশে পড়েছে,আহানা আঁচলটা ধরে বেকুবের মতন চেয়ে রইলো কিছুক্ষন তারপর এক ঝটকা দিতেই শান্ত মুখের উপর থেকে বালিশটা একটু সরিয়ে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে বললো”আরও ভালোবাসা চাও নাকি?ঘুমাতে পারিনি,এবার একটু ঘুমাতে দাও আমাকে”
.
ঢং করবেন না একদম! জোর করে ভালোবাসা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করেছে,আঁচলের উপর থেকে নিজের এই খাম্বা বডি সরান!
.
শান্ত আঁচলটা সরিয়ে আরেকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো
আহানা আঁচল হাতে নিয়ে ব্রু কুঁচকে বারান্দায় চলে আসলো,শাড়ীটা কাঠ শুকা শুকিয়েছে,গায়ে থেকেই শুকিয়ে গেছে,আজব ব্যাপার হলো শান্ত যখন এসেছিলো তখন সন্ধ্যা ৭টা বাজে আর এখন সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে
অথচ মা আর খালা একবারও ডাকলো না!!
আহানা ভাবতে ভাবতে পিছন ফিরে শান্তর দিকে তাকালো একবার!
কাল রাতে যা হয়েছে সব প্রথমে আহানার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই হচ্ছিলো,পরে যখন আহানা শান্তর থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনলো তারপর থেকে সে শুধু শান্তর মুখের দিকেই চেয়ে ছিলো
.
আহানা ফ্রেশ হয়ে সেই থ্রি পিসটা পরে রুম থেকে বের হয়েছে,মা নিজের রুমে ঘুমাচ্ছেন,খালাও
আহানা সোফায় এসে পা তুলে বসে একটু হেলান দিলো,চোখে ঘুম নেমো আসলো তার সাথে সাথেই,ভেজা চুলে ঘুম ভালো করে আসে,এখনও তাই হলো,তার উপর শীত শীত আবহাওয়া
.
শান্ত এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়েছে,আহানা রুমে নেই
সকাল সকাল যে ঝাড়িটা দিলো বাপরে বাপ!!
যেন তাকে ভালোবেসে আমি ভুল করেছি,কেন করেছি!এখন এসব বলে লাভ আছে??
সারাদিন কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করতো কখন তাকে বলবো আমি ভালোবাসি,এবার সোজা সাফটা যখন প্রুভ করে দিলাম তখন উনি রাগ দেখাচ্ছেন,আমার কি,আমার বউকে আমি ভালোবেসেছি,আমার কাছে তো ভালোই লাগছে
তাহলে ও এরকম রাগ দেখায় কি জন্যে সেটা বুঝলাম না আমি
শান্ত নিজের টিশার্টটা খু্ঁজে সেটা পরে নিলো তারপর গেলো ফ্রেশ হতে
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আহানাকে এখনও না দেখে এবার সে রুম থেকে বের হলো
আহানাকে নিচে দেখলো সোফায় পা তুলে গুটিশুটি দিয়ে ঘুমাচ্ছেন উনি,কপাল কুঁচকানো রেখে
এই মেয়েটা আমাকে বাধ্য করেছিলো কাল রাতে জোর করতে আর এখন এমন ভাব করে ঘুমাচ্ছে যেন সব দোষ আমারই ছিলো!
ভালোবাসলেও দোষ না বাসলেও দোষ
.
শান্ত কাছে এসে আহানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো
আহানা সাথেসাথে চোখ খুলে ফেলে উঠে পিছিয়ে গিয়ে বললো”আবার কি চাই?”
.
যদি বলি আবারও তোমাকে চাই?
.
একদম হাত ভেঙ্গে দিব,অনেক হইছে!
.
হাত ভাঙ্গবা কেন?আমি তোমার বর,এখন আমরা পুরোপুরি হাসবেন্ড ওয়াইফ,আমাদের মাঝে সে সম্পর্কটা হয়েছে
শান্ত কথাটা বলে আহানার দিকে দাঁত কেলিয়ে চেয়ে রইলো
আহানা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিয়ে বললো”আর হবে না কোনোদিন,কারণ আমি আর আপনাকে আমার মুখ আর হাত বাঁধতে দেবো না”
.
তো না বেঁধেই ভালোবাসবো নাহয়
.
আপনি একটা!!!
যান এখান থেকে!স্টুপিড!
.
শান্ত হাসতে হাসতে ডাইনিংয়ে এসে পানি নিয়ে খেয়ে বললো”বউ যাও আমার জন্য নাস্তা বানিয়ে আনো,কাল তোমার চক্করে সন্ধ্যা থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি আমার”
.
আহানা আরোকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো সোফায়
.
শান্ত ফ্রিজ খুলে আইসকিউব বের করে পা টিপে টিপে আহানার কাছে এসে আহানার গলার উপর ২/৩টা আইস কিউব নিয়ে ছেড়ে দিলো
আহানা এক চিৎকার দিয়ে উঠে বসে জামা ঝাড়তে ঝাড়তে সোফা থেকে নেমে গেলো সাথেসাথে
.
শান্ত সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে বললো”যাও বাবু,যেটা বলছি সেটা করো”
.
আহানা রাগে কটমট করতে করতে রান্নাঘরের দিকে চললো
.
শান্ত টিভিটা অন করে একটা কুশন কোলে রেখে টিভি দেখায় মনযোগ দিয়েছে
আহানা পিঠ মুছতে মুছতে রুটি বানাচ্ছে
কি জ্বালাচ্ছে লোকটা!!এমন করে কেন বুঝি না!
.
আহানা এবার নাস্তা বানিয়ে এনে টেবিলে রেখে গাল ফুলিয়ে শান্তর দিকে তাকিয়ে বললো”নেন,এসে খেয়ে নেন,আর আমাকে উদ্ধার করেন,আপনি তো সব করে আমাকে ইদানিং উদ্ধার করছেন
.
শান্ত চেয়ার টেনে বসে বললো”খাওয়াই দিবা না?”
.
আপনার সমস্যা কি বলুন তো?এমন ভাব করছেন যেন কি দয়া করছেন আমাকে যে আমি সেটা চুকাবো এখন?
.
দয়া?? কিসের দয়া?ভালোবাসি কিনা জানার জন্য মাথা চিবিয়ে খাচ্ছিলা আমার,এখন এমন রাগ দেখাও কেন?ভালোবাসা কম হয়েছে নাকি?
.
চুপ করে থাকুন তো!আপনি ভালোবাসেন কিনা তা জানার জন্য জিজ্ঞেস করছিলাম এটা ঠিক তবে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য বলিনি আমি আপনাকে!
আপনি কাল যা করেছেন সব আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিলো
.
বিয়ের ২০/২৪দিন পর তুমি এটা বলছো?আমার মনে হয় না তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছিলো,আমি তোমার চোখের ভাষা পড়তে পারি আহানা
.
আহানা কিছু না বলে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
.
শান্ত নাস্তা করে মেইন দরজা দিয়ে বেরিয়ে চলে গেছে তার বাসায়
আহানার সামনে আসেনি আর,বাসায় ফিরে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো সে
আহানা উঁকি দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখলো শান্তকে ড্রয়িং রুমে দেখা যাচ্ছে না তার মানে চলে গেছে,আহানা তাই আবার নিজের রুমে ফেরত চলে আসলো
.
শান্ত অফিসে মাথায় হাত দিয়ে নিজের রুমে বসে আছে,ঊষা এক কাপ কফি ওর সামনে রেখে বললো”স্যার আজ এত তাড়াতাড়ি এলেন যে?কোনো মিটিং আছে?”
.
নাহ,এমনি ভালো লাগছিলো না,যে ক্লায়েন্টের সাথে আমাদের কাল মিটিং করার ছিলো তাকে আজ ডাকো,অন্য কোনো ক্লায়েন্ট থাকলেও তাদের আজ ডাকো
আমি আজ সারাদিন ব্যস্ত থাকতে চাই
.
ঠিক আছে স্যার
.
আহানা ফোন নিলো শান্তকে কল করার জন্য তার আগেই কল আসলো শান্তর বাসা থেকে,রিপার কল
আহানা রিসিভ করতেই রিপা বললো”আহানা জলদি করে হসপিটালে চলে আসো,শান্তি ম্যাডামের শরীর খারাপ হয়ে গেছে”
.
আহানা বিচলিত হয়ে বললো”কিহহ!কি হয়েছে?মা এখন কোথায়?কেমন আছে?”
.
শরীর খারাপ হয়ে গেছে,বড় বড় করে শ্বাস নিচ্ছেন শুধু,আমি দেরি না করে হসপিটালে নিয়ে এসেছি,শান্ত স্যার ফোন ধরছেন না,তুমি জলদি চলে আসো,আমার একা ভয় করছে,নিতু ও স্কুলে
.
আহানা দেরি না করে বেরিয়ে পরলো বাসা থেকে,হসপিটালে এসে সে শান্তকে অনেকবার ফোন করলো কিন্তু শান্ত ক্লায়েন্টের সাথে মিটিংয়ে ব্যস্ত
এদিকে ডাক্তার অপারেশনের জন্য এডভান্স ৫লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলেছে সেটা দিলেই অপারেশন শুরু করবে
১০মিনিট ও অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে যার কারণে আহানা শান্তর অফিসে যাওয়ার সাহস করলো না,পেপারে সাইন করে হসপিটালের নিচে গেলো এটিএম থেকে টাকা তুলতে,একদিন শান্ত ওকে তার এটিএমের কার্ড দিয়েছিলো
টাকা তুলে সে টাকা জমা দিয়ে মাথায় হাত দিয়ে করিডোরের একটা চেয়ারে এসে বসলো,সব টেনসন তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,এসময়টায় শান্তকে অনেক দরকার,এভাবে মাকে একা রেখেও যেতে পারছে না সে
.
দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে চললো,শান্ত সবে একটা মিটিং শেষ করেছে
ঊষা দৌড়ে এসে বললো”স্যার একটা কথা!”
.
কি?
.
স্যার আপনার একাউন্ট থেকে সকাল ১১টা ১৯মিনিটে ৫লাখ টাকা উইথড্র করা হয়েছে,মেসেজ এসেছে একাউন্ট থেকে
.
শান্ত চেয়ার থোকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো”কি?কে উঠালো?কি দিয়ে উঠিয়েছে?”
.
স্যার আমি অফিসে ফোন করেছিলাম উনারা জানালো আপনার পার্সোনাল এটিএম কার্ড থেকে
.
আমার পার্সোনাল কার্ড তো আমি আহানাকে দিয়েছিলাম,তাহলে কি আহানা?এত টাকা তুললো কেন,কি হয়েছে!!
.
শান্ত ফোন হাতে নিয়ে দেখলো আহানার ৫৬টা কল
শান্ত বুঝলো কিছু তো একটা হয়েছে,সোজা আহানাকে ফোন করলো সে,আহানা কাঁদতেছে শান্তি রহমানের জন্য
ফোন বাজতে দেখে চোখ মুছে রিসিভ করে শুধু বললো”শান্ত প্লিস হসপিটালে আসুন,শান্তি আন্টি অনেক অসুস্থ!অপারেশনের জন্য নিয়ে গেছে”
.
শান্তর মনে হলো পুরো পৃথিবীটা তার থমকে গেছে,হাত থোকে ফোন ফেলে সে ছুটলো,যত দ্রুত সে যেতে পারে
১৫মিনিটের পথ সে হাই স্পীডে গাড়ী চালিয়ে ১০মিনিটেই চলে আসলো,৪র্থ তলায় এসে আহানার দিকে তাকিয়ে সে সামনের রুমটার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর মাকে দেখতে না পেয়ে আহানার কাছে এসে বললো”মায়ের কি হয়েছে আহানা?আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই তোমার কল রিসিভ করতে পারিনি”
.
মায়ের হঠাৎ করে শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেছিলো,অপারেশনের জন্য নিয়ে গেছে,আমার হাতে টাকা নেই বলে আপনার এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলে কাগজে সই করে দিয়েছি
আমাকে রিপা জানালো,তখন ছুটে এসে দেখি মাকে অপারেশন করার রুমে নিয়ে গেছে
.
শান্ত মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো,৭বছরের আগের ঘটনাটা তার চোখের সামনে এখন মনে হচ্ছে আবারও রেপ্লে হচ্ছে
বাবাকে হারানোটার কষ্ট আবারও বুকে বিধছে খুব করে
মাকে হারালে সে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না কিছুতেই
কি থেকে কি হয়ে গেলো,সকালে অফিসে আসার সময় নিয়ম করে শান্ত তার মায়ের রুমে গিয়েছিলো,,মা তখন চুপ করে বারান্দার বাইরের ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন তাহলে হঠাৎ করে শরীর এমন খারাপ হলো কেন তার
.
ডাক্তার বেরিয়ে এসে শান্তকে দেখে বললেন”আরে শান্ত!!আপনার মা উনি??”
.
শান্ত চোখ মুছে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো”মায়ের কি হয়েছে ডাক্তার?শ্বাস কষ্ট হলে অপারেশন কেন?”
.
শ্বাসকষ্ট হয়ে উনার হার্ট এটাক হয়েছে,হার্ট এটাকের আগে যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় সেটাই হয়েছিলো,এবং তার পরপরই হার্ট এটাক হয়েছে উনার!আর তাই অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া উনাকে
ডাঃআয়ুশ এসেছেন বলে আমি বেরিয়ে এসেছি,উনি আজই চলে যেতেন এই কেসটা এসে পড়ায় থেকে গেলেন,টেনসন করবেন না উনি সব সামলে নেবেন ”
চলবে♥