প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৬২

0
494

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৬২
#Writer_Afnan_Lara
🌸
মায়ের কি অবস্থা এখন?আমি একটু দেখতে যেতে পারি?
.
নাহ এখন না,অপারেশন শেষ হোক তার আগে দেখা করা যাবে না
.
মন খারাপ করে শান্ত এসে আহানার পাশে বসলো,রিপা গেছে নিতুকে স্কুল থেকে আনতে,আহানা শান্তর হাতটা ধরে বললো”সব ঠিক হয়ে যাবে”
.
সেটাই যেন হয়,মাকে ছাড়া আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকার,,নিতু কখনও বাবার আদর পায়নি,আর এবার সে এত কম বয়সে মাকে ছাড়া হলে ওকে সামলাবো কি করে আমি?
এসব ভেবেই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আহানা!
.
এতসব ভাববেন না,মায়ের জন্য দোয়া করুন,আমি আমার মাকে ফোন দিয়েছি,মা আর খালা এসে পড়বে কিছুক্ষনের মধ্যেই
.
শান্তর চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,চোখ মুছতে মুছতে প্রায়ই অচেতন হওয়ার মতো হাল হয়ে গেছে তার,আহানা ওর এমন অবস্থা দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারছে না,কি করে শান্তকে সে এখন সামলাবে
আহানা বাধ্য হয়ে উঠে গিয়ে দুটো কফি আনলো হসপিটালের ক্যানটিন থেকে
শান্তর কাছে এসে কফির গ্লাসটা শান্তর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো”এটা খেয়ে নিন,মায়ের সাথে কথা বলার শক্তি টুকু জোগাবে অন্তত”
.
শান্ত কফি হাতে নিয়ে চুপচাপ খেয়ে আবারও অপারেশন থিয়েটারের কাছে এসে দাঁড়ালো,তার মিনিট পাঁচেক বাদেই মিঃ আয়ুশ বের হলো,শান্ত উনাকে দেখেই সাথে সাথে জিজ্ঞেস করলো” মা কেমন আছে”
.
উনি মাস্ক খুলতে খুলতে বললেন”এখন সেফ আছে”
.
আমি একবার দেখা করতে পারি?কোনো কথা বলবো না
.
আচ্ছা,তবে শুধু আপনি যাবেন
.
কথাটা বলে আয়ুশ চলে গেলেন,শান্ত দেরি না করে তার মাকে দেখতে চলে গেলো
হসপিটালের ড্রেস পরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাকে,মায়ের এখনও সেন্স ফেরেনি,চোখটা বন্ধ তার
শান্ত কাছে এসে উনার মাথায় হাত রাখলেন তারপর নিঃশব্দে কেঁদে ফেললো সে
একটা টু শব্দ ও সে করেনি,মায়ের মাথায় হাত রেখে আরেক হাত দিয়ে মায়ের হাতটা ধরে চুমু খেলো সে,কাঁদতে কাঁদতে শুধু মাকেই দেখে যাচ্ছে শান্ত
নার্স ছিলো ৩জন,তারা শান্তর কান্না দেখে তাদের ও অনেক খারাপ লাগলো
মায়ের সব ছেলেই হয়ত এমনভাবে কাঁদে যখন তাদের মমতাময়ী মায়ের অসুখ হয়
শান্ত ও তাই কাঁদছে,তার কষ্টটা একটু বেশিই
কারণ সে তার বাবাকে তাদের ছেড়ে চলে যেতে দেখেছে,এখন আবার মায়ের এই অবস্থা,তার বুক ফেটে কান্না আসছে শুধু
মায়ের সুস্থতা দেখে অবশেষে তার কান্না থামলো,চুপচাপ মায়ের হাত ছেড়ে বেরিয়ে আসলো সে
বের হতেই আহানার মুখোমুখি হলো শান্ত,আহানা একবার শান্তর দিকে তাকাচ্ছে আবার রুমটার দিকে তাকাচ্ছে
শান্ত আহানাকে এমন বিচলিত দেখে চোখ মুছতে মুছতে চেয়ার টেনে বসে বললো”মা ঠিক আছে,আমি গিয়ে দেখে আসছি”
.
আলহামদুলিল্লাহ,জ্ঞান ফিরেছে?আমি একটু যাই?
.
না,ডাক্তার মানা করেছে
.
ওহ!বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে কখন?
.
কাল,বা পরশু জানি না ঠিক,তুমি এক কাজ করো আন্টির সাথে বাসায় চলে যাও,আমি এখানে মায়ের সাথে আছি
.
নাহ,বাসায় গিয়ে কি করবো,এখানে আমার প্রয়োজন হতে পারে আমি বরং এখানেই থেকে যাই
.
শান্ত আর কিছু বললো না,চুপ করে বসে থাকলো,আহানার মা আর খালা অনেকক্ষণ ছিলেন হসপিটালে
তারপর তারা বাসায় ফিরে গেলো,সাথে করে নিতুকেও নিয়ে গেলো
বাচ্চা মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে শেষ,তার উপর তার কিছু খাওয়াও হয়নি
আহানা আর শান্ত ও কিছু খায়নি,দুজনেরই মনের ভেতর ভয় মাকে নিয়ে
.
আহানা গালে হাত দিয়ে বসতে বসতে মাথা এলিয়ে কখন যে শান্তর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো,রাত ৯টা বাজতেই শান্ত আহানাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললো কিছু খেতে যাবে তাই
আহানা সকালে যে নাস্তা করেছিলো আর কিছু খায়নি সারাদিনে
তাই সে শান্তর কথামতন রেস্টুরেন্টে চললো ডিনার করার জন্য
আহানা খিধার জোরে গপাগপ খেয়ে যাচ্ছে,কিন্তু শান্ত কিছুই মুখে তুলছে না দেখে আহানা এক লোকমা তুললো ওর মুখের সামনে
.
শান্ত বললো তার খিধা নেই,আহানা তাও জোর করায় আহানার হাতেই সে ২/৩লোকমা ভাত খেয়ে নিলো,ডিনার শেষে শান্ত আহানাকে জোর করে বাসায় রেখে গেছে,আহানা বাসায় আসতে চায়নি,কিন্তু শান্তর ধমকে আর কিছু বলার সাহস পেলো না সে
শান্ত বললো সে একাই তার মায়ের খেয়াল রাখতে পারে
আহানা এদিকে একা একা টেনসন করছে শান্ত ওখানে কি করছে,সব সামলাতে পারছে তো??
রাত ১২টা বেজে গেছে অথচ আহানার চোখে বিন্দুমাত্র ঘুম নেই,থাকার কথাও না,কারন মায়ের মতন একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে হসপিটালের বেডে পড়ে আছে,নিজের স্বামীও সেখানে তাহলে নিজের কি করে ঘুম আসে??
তার উপর জোর করে বাসায় ফেলে গেছে আমাকে,আমি একা একা এত টেনসন কি করে নিতে পারি
♣♣
আহানা পরেরদিন ভোর হতে না হতেই বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো সোজা হসপিটালে,এসে দেখলো হসপিটালে মায়ের রুমে এপাশে একটা সিঙ্গেল বেডে শান্ত মাথায় হাত রেখে ঘুমাচ্ছে,আহানা শান্তকে আর মাকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো,আসার সময় নাস্তা বানিয়ে এনেছে সে শান্তর জন্য,কাল রাতে শুধু ৩লোকমা খেয়েছিলো শান্ত সেটা আহানার মনে আছে,আস্তে করে সে শান্তর কাছে গেলো জাগানোর জন্য পরে ভাবলো হয়ত সারারাত ঘুমাতে পারেনি তাই সে শান্তকে জাগালো না,ব্যাগটা এক পাশে রেখে সে করিডোরের দিকে আসলো,হসপিটালে এখন ক্লিনাররা ছাড়া আর কেউ নেই,তাও সবাই ঘুমাচ্ছে ফ্লোরে কাঁথা বালিশ বিছিয়ে
ভোর ৫টা বা ৬টা থেকে হয়ত তাদের কাজ শুরু হবে
আহানা হেঁটে হেঁটে চারিদিকটা দেখে নিয়ে পিছন ফিরতেই শান্তকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে গেলো,তারপর বুকে থুথু দিয়ে বললো”এমন করে ভয় দেখালেন কেন,আমার কলিজা কাঁপতেছে,সারা হসপিটাল খালি,হুট করে এমন একজনকে দেখলে ভয় পাবারই কথা আমার”
.
তুমি এই ভোরে এখানে কেন?রিকসা পেলে কই?
.
হুহ,হেঁটে এসেছি
.
এত দরকার ছিলো?বাসায় ঘুমিয়ে থাকতে পারলে না?
.
ঘুম আসে না তো আপনাদের টেনসনে,আপনি কাল রাতে আমাকে বাসায় রেখে এসে ঠিক করেননি একদম
.
তোমাকে এখানে রাখলে আলাদা বেড নিতে হতো তার উপর তোমাকে একা রুমপ দিতে দেওয়ায় টেনসন ছিলো,আমি থাকতাম মায়ের পাশে তাই বলে এত ঝামেলা মাথায় নিই নাই,তোমাকে সোজা বাসায় রেখে এসেছি একেবারে
.
আপনি কি করে জানলেন যে আমি এসেছি?
.
তুমি আমার বালিশের কাছে নাস্তার টিফিন বক্স রেখে এসেছো,তোমার হাতের রান্নার ঘ্রান নাকে আসতেই জেগে গেছি
.
আচ্ছা,তো এখন নাস্তা করবেন?সার্ভ করে দিব?
.
নাহ এখন না
.
মায়ের অবস্থা কেমন?রাতে জ্ঞান ফিরেছিলো?
.
হুম,রাত ২টোর দিকে চোখ খুলেছিলো,আমি তখন তার পাশে চেয়ারে বসা ছিলাম,আমাকে দেখতে পেয়ে খুশি হয়েছে অনেকে
.
আমাকে দেখলে আরও খুশি হতো হুহ!
.
ত্যাড়ামি না করে চলো রুমে গিয়ে বসে থাকবে,এভাবে একা একা করিডোরে হাঁটার সাহস দিছে কে তোমাকে ?
.
এখানে তো আর মজনু বা সাইমন এসে পড়বে না
.
তবে তাদের মতো আরও লোক আছে পৃথিবীতে,মেয়ে হয়েছো যখন!!! তখন বুঝেশুনে চলা শেখো
.
ভয় দেখতে হবে না আমাকে,চলুন তো,আমি মায়ের কাছে বসে থাকবো এখন
.
আহানা সোজা গিয়ে মায়ের কাছে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়লো,শান্ত পাশের বেডটায় বসে চোখ ডলতেছে,চোখে ঘুম নেই তার
হসপিটালে আসলে এই এক ঝামেলা,ঠিকমত ঘুম আসে না
মোটকথা নিজের বাসা ছাড়া অন্য কোথাও সহজে ঘুম আসে না কারোরই
শান্তর হয়েছে তাই
.
সকাল ৭টা বাজে এখন,আহানা মায়ের বেডটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে,শান্ত উঠে এসে আহানাকে উঠিয়ে দিতে গিয়েও পারলো না,বেচারি আমার মতন মনে হয় ঘুমাতে পারেনি ঠিকমত,এরকম একটা জীবনসঙ্গীনি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,যে আপনার মাকে নিজের মা মনে করে
শান্ত আহানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে গেলো ডাক্তারের সাথে কথা বলতে,ডাক্তার বললেন সব তো ঠিকঠাক আছে তবে একটু খেয়াল রাখতে হবে উনার,সবসময় উনার পাশে কাউকে না কাউকে থাকতে হবে মাস্ট
উনার সাথে হাসি-মজা করতে হবে যাতে সবসময় তার মন ভালো থাকে
শান্ত হসপিটালের কর্তৃক সব পেপারে সাইন করে নিলো,আজই মাকে বাসায় নিয়ে যাবে সে
আহানা এখনও ঘুমায় কি ঘুম তার,চোখের সামনে দেখছে শান্ত তাকে কিস করতে আসতেছে
এক কাঁপুনি দিয়ে আহানা জেগে গেলো,চোখ মুখ ডলে বুঝতে পারলো এটা স্বপ্ন ছিলো,মাথার ঘাম মুছে সে চেয়ার থেকে উঠে পাশের বেডটায় এসে বসলো দপ করে
এত কিছুর পরেও কিসের কথা আসতেই ভয় পায় কেন আমার!
কিন্তু শান্ত গেলো কই আবার,নাস্তা করবে না!
.
আহানা বেড থেকে নেমে দরজা দিয়ে উঁকি দিলো করিডোরে,কিন্তু বের হলো না,মাকে একা রেখে যাওয়া যাবে না তাই
শান্ত প্রায়ই ৩০/৩৫মিনিট পর ফেরত আসলো,মুখে হাসি নিয়ে
.
আহানা বললো”কি?এরকম হাসির কারন কি?”
.
মাকে আজই নিয়ে যাওয়া যাবে
.
এটা তো খুশির খবর,কখন নেওয়া যাবে?
.
দুপুরের দিকে,দাও নাস্তা,খেয়ে নেবো,আজ আর অফিসে যাবো না,মায়ের কাছে থাকাটা মোর ইম্পরট্যান্ট
.
হুম
.
শান্ত নাস্তা করে নিলো সাথে আহানাও,মাকে আপাতত খাবার খাওয়ানো যাবে না,হসপিটাল থেকে ওরা আলাদা করে সুপ আর কি কি যেন দেবে সেটা খেতে বলা হয়েছে
আহানা আর শান্ত এখন দুজনে সেই পাশের বেডটায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে
আহানা শান্তর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে এক খোঁচা মারলো
শান্ত তখন নিজের ফোন দেখতেছিলো,আহানার খোঁচায় সে আহানার দিকে চেয়ে নরমালি বললো”সব ভুলে গেছো?মনে লাড্ডু ফুটতেছে তোমার?”
.
আহানা চমকে বললো”কি ভুলছি?”
.
পরশু রাতটা!
.
আহানা চোখ বড় করে একটু সরে বসলো তারপর বললো”ও হ্যাঁ,ভুলে গিয়েছিলাম তো,না সেটা তো আজীবন মনে থাকবে,খোঁচা তো দিয়েছি অন্য কারনে
.
কি কারণ?
.
আগে বলুন আপনি আমাকে ঐ রাতের কথা মনে করিয়ে দিলেন কেন?আমি কি বলছি” শান্ত কিস মি”
.
চোরের মনে পুলিশ পুলিশ
.
চোর কে আর পুলিশ কে?
.
চোর ছিলে তুমি,এখন পুলিশ পুলিশ ভাব নিতেসো
.
আহানা শান্তর কথাটা গভীর মনযোগ দিয়ে ভাবতে লাগলো,তাও এর মানে বুঝলো না
তারপর বললো”আরে শুনুন না”

হুম বলুন না,কান তো খাড়া,সব শুনতেছি,বলুন,অনেকদিন আপনার ক্যাঁচক্যাঁচ শুনি না আমি,এখন কান আমায় বলছে”কিছু একটা মিসিং”
.
একদম মজা নেবেন না,একটা সিরিয়াস কথা বলার ছিলো,ভুলে গেছি,ধুর!
.
আচ্ছা আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি,খোঁচা মেরেছিলা কি জন্যে?
.
ও মনে পড়েছে,অনেকদিন আপনার সাথে ঝগড়া করা হয় না তো তাই ভাবলাম একটু ঝগড়া করবো
.
মা সামনে ঘুমাচ্ছে,আর তুমি ঝগড়া করতে চাও সেধে সেধে?
.
এটা চেঁচিয়ে ঝগড়া হবে না,এটা হবে ফিসফিস ঝগড়া
.
ওকে তাহলে করতে পারো,শুরু করো
.
আপনি একটা উজবুক
.
উজবুক নাম শুনেছি,তবে এর মানে জানি না সরি,তাই পাল্টা জবাব দিতে পারলাম না,তবে সময় পেলে গুগল করে বের করতে পারলে তোমার চুল ছিঁড়বো মনে রেখো
.
তাহলে আপনি খাটাশ
.
খাটাশের কি দেখলে?
.
কিছুই না! এমনি এমনিও পদবি দেওয়া যেতে পারে পার্সোনাল লোকদের
.
আমি তোমার পার্সোনাল লোক?কবে হলাম?
.
বিয়ের দিন থেকেই
.
তবে তুমি কিন্তু আমার সেই ছোটবেলা থেকেই পার্সোনাল লোক
.
ঠিক কখন থেকে?
.
তুমি আমার ৪বছরের ছোট ছিলে,তো যখন তুমি জন্মেছিলে তখন মনে হয় আমি ৪বছরের ছিলাম,তেমন হিতাহিত জ্ঞান না থাকলেও আমি নাকি তোমার সেরেলাক নিজে আগে টেস্ট করে তারপর তোমার মুখে দিয়ে দিতাম যখন তোমার উঠতি বয়স ঠিক তখন
.
আগে আপনি টেস্ট করতেন কি জন্যে?
.
সেরেলাক অনেক মজার একটা খাবার,শুধু শুধু খেতে তো জোস লাগে তার উপর তোমার প্রতি আমার কেয়ার কাজ করতো তখন,তোমাকে আন্টি কি খাওয়াই না খাওয়াই আমার তো জানতে হবে তাই না?
.
এইটুকু বয়সে এসব ভাবতেন?
.
জি না ভাবতাম না,ভাবা শিখেছিলাম তাও মায়ের থেকে
তোমাকে তো আমি দুচোখে দেখতে পারতাম না
তোমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দেওয়ার ও চেষ্টা করতাম,তোমার বুকে বালিশ রেখে আন্টি তোমার ঘুম পাড়াতো আর আমি সেটার উপর উঠে একদিন বসতে গিয়েছিলাম,পরে আম্মু হাতেনাতে আমাকে ধরে নাকি অনেক পিটিয়ে ছিলো আর প্রমিজ করিয়েছিলো যেন আমি সবসময় তোমার পাশে ছায়া হয়ে থাকি,তোমার কেয়ার করি,তোমাকে বেশি ভালোবাসি
.
আপনি এত গুন্ডা ছিলেন?
আল্লাহ তুমি আমাকে জন্মের পরপরই কোন রাক্ষসের কাছে বড় হতে দিয়েছিলা
.
এই রাক্ষসটাই এখন তোমার বর
.
যাই হোক!আমার তো ছিঁটেফোটাও মনে নেই
.
থাকবে কি করে??আমি যখন আমেরিকা চলে আসি তখন তুমি অনেক ছোট ছিলে,এত কিছু মনে থাকার কথা না
আমার ৭বছরের পরের তোমার সাথে কাটানো সময় গুলো মনে আছে,বাকিগুলা মা বলেছিলো আমায়,সেগুলো মনে ছিলো না,কারণ তোমাকে আমি পিচ্চিকাল থেকেই চিনি
.
এত এত মেয়ের মাঝে আহানাকেই মনে ধরেছিলো কেন?
.
কে বলেছে??তোমার মাঝে আহামরি বলতে জাস্ট দুইটাই জিনিস আছে সেটা হলো মায়া ভর্তি একটা চেহারা আর দুষ্টুমিষ্টি স্বভাব এগুলাতে আমার মা ইম্প্রেসড আর আমি তো ছোট থেকে একসাথে থাকতে থাকতে ফিদা
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”তাহলে এতদিন চেপে রেখেছিলেন কেন?”
.
আমার কথা হলো ভালোবাসি বললেই সেটা ভালোবাসা হয় না
কাজে দেখানোতে বিশ্বাস করি আমি,তুমি তো নিব্বি,তুমি এসব বুঝবা না খুকি
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here