প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৬৩

0
488

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৬৩
#Writer_Afnan_Lara
🌸
কথায় কথায় আমাকে ছোট বলবেন না,আমি যথেষ্ট ম্যাচিউর,আপনার বুঝতে ভুল হয় এই আর কি,এর জন্য আপনাকে আমি হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ খাওয়াবো,কাজ করবে সিউর
.
কোনো ঔষুধ লাগবে না,যেটা সত্যি সেটাই বুঝি,বরং তুমি খাও,তোমার তো শয়তানি বাঁদরামির শেষ নেই,তাতে ওসব যদি একটু কমে আর কি
.
আহানা রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই দুজনেই দেখতে পেলো মায়ের জ্ঞান ফিরেছে,দুজনেই একসাথে উনার কাছে এসে দাঁড়ালো
উনি চোখ খুলতেই ওদের একসাথে দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হলেন,কিন্তু মুখে কিছুই বলতে পারলেন না
.
দুপুর হতে না হতেই শান্ত তার মাকে নিয়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে পড়েছে,বাসায় ফিরে মাকে নিজের রুমে রেখে সে মায়ের হাত ধরে পাশে বসে থাকলো,মাকে ছাড়া কোথাও যাবে না সে
.
আহানা শান্তর রুমে এসে রুমটা পরিষ্কার করলো তারপর গেলো গোসল করতে,শান্ত মায়ের ঘুম আসা পর্যন্ত মায়ের হাত ধরে ছিলো তারপর নিতুকে ডেকে দিয়ে সে আসলো ফ্রেশ হতে
আহানা গোসল করতে গেলে ১ঘন্টার কাছাকাছি সময় নষ্ট করে
দেরি হওয়ার কারণ হলো সে সাবান গায়ে একটু ঘষে টাইলসের দিকে গভীর মনযোগ দিয়ে দেখে,তারপর সাবান আবার আরেকটু ঘষে ফ্লোরের দিকে চেয়ে দেখে
কি কারণে এত দেখে দেখে সময় নষ্ট করে তা সে নিজেও জানে না
তবে গোসলের সময়টায় এরকম উদ্ভট কাজ করতে তার বেশ লাগে
এদিকে শান্ত তোয়ালে হাতে নিয়ে ৫মিনিট হয়েছে কোমড়ে হাত দিয়ে বাথরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,আর আহানার কোনো খোঁজই নেই,ঝর্নার পানির আওয়াজ আসতেছে তা না হলে শান্ত ধরেই নিতো যে আহানা মরে গেছে
তো এতক্ষণ সময় লাগাচ্ছে দেখে শান্ত এক ধমক দিয়ে বললো”তুমি নিজ থেকে বের হবা নাকি আমি টেনে হিঁচড়ে তোমাকে বের করবো?”
.
আহানা হকচকিয়ে সাবানটা হাত থেকে ফেলেই দিলো তারপর দরজার কাছে এসে বললো”২টার সময় ঢুকছি,এরকম করেন কেন?”
.
শান্ত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো এখন বাজে পনে ৩টা
শান্তর চোখ কপালে উঠে গেছে,তারপর আরেক ধমক দিয়ে সে বললো”এত ঘন্টা ধরে কি করো তুমি?তুমি কি এমন করেই গোসল করো?আমার তো ৩মিনিটে গোসল হয়ে যায়”
.
আপনি হয়ত সাবান দেন না গায়ে
.
দিই,তোমার মতন কচ্ছপের স্পীডে দিই না,আমি সময় নষ্ট করি না
অবশ্য আজাইরা মানুষেরা এরকম করেই সময় নষ্ট করে,তোমাকে দেখে মানতে বাধ্য হলাম
.
আহানা ঠুসঠাস করে বাথরুম থেকে বের হলো কোমড়ে হাত দিয়ে
পরনে আগের থ্রি পিসটা অথচ সারা গায়ে সাবানের বাবলসে ভর্তি
.
শান্ত আহানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললো”কি ব্যাপার এখনও গায়ে পানি ঢালো নাই?”
.
আপনার এত কিসের সমস্যা আমার গোসল নিয়ে?নিজের চরকায় তেল দিন না,যত্তসব!
ঠিক করে গোসল ও করতে দেয় না আমাকে
এটা আমার শশুর বাড়ি ওকে?আমাকে কোনো কিছুতে মানা করার কোনো অধিকার নেই আপনার
.
ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন!!! এই বাসাটা আমি আমার টাকায় তৈরি করেছি
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”তো??রীতিমতন এটা আমার শশুড় বাড়ি হয়,শশুড় আপনার বাবা হয় ওকে?সে সূত্রে এটা তার বাড়ি,আপনি তো গাছের একটা পাতা স্বরুপ
.
এরকম ফালতু লজিক দেওয়ার জন্য তোমাকে বাথটাবে চুবিয়ে আধ ঘন্টা বাদে বের করবো
.
সে যাই হোক,সত্যি কথা এমন তেতোই হয়,এখন আরও মিনিট দশেক ওয়েট করবেন নাকি আমি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতাম আপনি গিয়ে গোসল করে আসবেন
.
শান্ত তোয়ালে গলায় ঝুলিয়ে যেতে যেতে বললো”আমার অনেক কাজ আছে,আরও ১০মিনিট অপেক্ষা করার সময় নাই”
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে বললো”যেন আজই ৫তলা বিল্ডিং নিজের হাতে তৈরি করবেন”
.
শান্ত ৫মিনিটেই গোসল সেরে বের হলো,আহানা ফ্লোরে বসে আছে গালে হাত দিয়ে
.
শান্ত তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বললো”তোমার বসার জায়গার অভাব পড়েছে?”
.
জি না,আপনার বিছানায় এরকম সাবান আলা শরীর নিয়ে বসলে আপনি পরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলবেন”আমার এত সুন্দর ইম্পোর্টেড বেড কভার নষ্ট করে দিলো রে”
.
তোমার সাথে ভালো মানুষ কথা বলে না
.
আহানা বাথরুমে যেতে যেতে বললো”তাহলে তো আপনি খারাপ মানুষ ওরপে হোল স্কয়ার
.
কি বললে?আমি করলাম?
.
আহানা দরজা লাগিয়ে ফেলে বললো”আপনি তো সোজা আমাকে বিয়েই করে নিয়েছেন তাও দুবার করে”
.
এই মেয়েটার সাথে জীবনে লজিক দিয়ে পারি না,মনে হয় যেন লজিক নিয়ে ডিগ্রী করে রেখেছে
.
শান্ত এবার সোজা গিয়ে শুয়ে পড়লো,রাতে ভালোমতন ঘুম হয়নি তার এবার শান্তিতে একটু ঘুমাবে সে
.
আহানা গোসল করে বেরিয়ে দেখলো তার মিষ্টি বর বুকে বালিশ রেখে সোজা হয়ে খাটের মাঝখানে গিয়ে ঘুমাচ্ছেন
আহানা কিছুক্ষন তাকিয়ে ভাবলো”ছোটবেলায় শান্ত আহনার এমন অবস্থায় বলািশের উপর বসতে চেয়েছিলো,মন তো চাচ্ছে আমি এখন বসে আমার প্রতিশোধটা নিয়ে নিই,কিন্তু নাহ,মাফ করলাম যাও
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো মাকে দেখতে,সোফার রুম দিয়ে মায়ের রুমে য়াওয়ার সময় দেখলো ওর মা আর খালা আসতেছে,মাকে দেখতে এসেছে মনে হয়
আহানা তাই তাদের নিয়ে শান্তি রহমানের রুমে ঢুকলো
নিতু তার মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে
কিন্তু মা জেগে আছেন,আহানার মা তার পাশে এসে বসলেন হাতটা ধরে
আহানা তাই গেলো নাস্তা বানাতে সবার জন্য এসময়ে ভাত তো খাবে না মা আর খালা,ভাত খেয়ে এসেছে নিশ্চয়
তার চেয়ে বরং আমি চা আর কিছু হালকা নাস্তা বানিয়ে নিই
.
আহানা মন দিল লাগিয়ে নাস্তা বানাচ্ছে,রিপা আজ আসেনি ওর নাকি কি কাজ পড়ে গেছে
বুয়া রান্না সেরে চলে গেছে,তাই মায়ের রুমে সবাই,আহানা একা রান্নাঘরে আর শান্ত তার রুমে ঘুমায়
হঠাৎ আহানা নিজের কোমড়ের কাছে কারোর গরম নিশ্বাস টের পেয়ে চামচ নিয়ে পিছন ফিরে দুম করে এক বাড়ি বসিয়ে দিলো
.
আউচচচচচ!
.
ওপস,সরি!আপনি এখানে কি করেন? তাও হাঁটু গেড়ে বসে লুকিয়ে,আমার কোমড়ের কাছে এসে আপনার নিশ্বাস পড়তেছিলো,এটা কোন ধরনের অসভ্যতামি,আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম
.
আরে বোন সাধে করি নাই,সিলিন্ডার চেক করছিলাম,দোকান থেকে কল এসেছিলো ওরা বললো চেক করার লোক আজ এসে ফিরে গিয়েছিলো দারোয়ান নাকি গেটে ছিল না,তাই আমাকে চেক করতে বললো
.
ওহ আমি তো ভাবলাম কি না কি
.
ওসবই ভাবো,একবার চড় আর এখন চামচ দিয়ে বাড়ি,আর কি কি করবা তুমি?স্বামীকে কেউ এমব ভাবে প্রতিনিয়ত মারে সেটা তোমাকে না দেখলে জানতাম না
.
যাই হোক,আমাকে বোন বললেন কেন?
.
তুমি যে সারাদিন শান্ত ভাইয়া ভাইয়া বলো আমি তোমাকে চামচ দিয়ে বাইড়াইছি?
.
আপনি আমাকে মারবেন?
.
না না সেটা কেন করতে যাব,আমি তো খালি তোমার হাতে মাইর খেতে খেতে ২/৩বাচ্চার বাপ হয়ে যাবো একদিন
.
বকরবকর না করে যান তো
.
বিসকিট দাও
.
লাঞ্চ করবেন না?
.
দুপুর ৩টায় লাঞ্চ করি না আমি,বিসকিট দাও আর চা বানাও,মাথা ধরেছে ঠিকমত ঘুমাতে পারিনি
.
আহানা বিসকিট একটা শান্তর হাতে দিয়ে চায়ের দিকে মন দিলো
শান্ত চুলার পাশের তাকের উপর বসলো পা দুলিয়ে
বিসকিটে এক কামড় দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে আহানার দিকে তাকাচ্ছে সে
আহানা পিছন ফিরে তাকাতেই শান্ত আরেকদিকে মুখ করে নিলো
.
কি ব্যাপার?প্রেম প্রেম পাচ্ছে?
.
যার সাথে ছোট থেকে একসাথে থাকলাম তার প্রতিটা দিনই প্রেম প্রেম পেয়েছিলো
.
আহা!! কবি কবি ভাব রে,এতদিন মেরেও মুখ দিয়ে ভালোবাসি কথাটা বের করতে পারিনি আর আজ উনি হাবুডুবু খাচ্ছেন
.
কে বললো?কবিতাটি তোমার জন্য ছিল না
.
আহানা চামচটা ঘুরাতে ঘুরাতে শান্তর দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে বললো”তা কার জন্য ছিল?”
.
আমার অত্যন্ত কিউট প্রেমিকার জন্য
.
নিন চা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন
.
আহানা চায়ের কাপটা শান্তর হাতে দিয়ে মায়ের রুমের দিকে গেলো,নিতু উঠে বসে চোখ ডলতেছে
আহানা সবাইকে চায়ের কাপ ধরিয়ে দিয়ে নিতুকে বললো মুখ ধুয়ে আসতে,তার জন্য গরম দুধ রেখেছে,সে যেন সেটা খেয়ে নেয়
.♣
মা আর খালা মিলে শান্তি রহমানের সাথে গল্প করছেন উনার মন ভালো করার জন্য
আহানা বোর হয়ে শান্তর রুমে ফেরত আসলো,শান্ত তার বউকে চলে যেতে দেখেও সেও পিছু পিছু এসে পড়েছে
আহানা বিছানায় বসে টিভিটা অন করে পা তুলে গোল হয়ে বসলো
.
শান্ত চুপচাপ এসে পাশে বসে ফোন হাতে নিয়ে কিছুক্ষন দেখলেও মন বসছে না দেখে রেখে দিলো সে
এদিকে আহানা মনযোগ দিয়ে একটা হিন্দি সিরিয়াল দেখছে
.
দেখতেছো না আমি কতক্ষণ ধরে তোমার দিকে চেয়ে আছি?
.
দেখলাম তো ফোন টিপতেছেন,এররই মাঝে ফোন রেখে দিছেন?
.
ভালো লাগছে না,চলো ঝগড়া করি
.
মুড নেই
.
কেন?তুমি যখন বলো তখন আমি ঝগড়া করি না?তাহলে আমি বলাই ঝগড়া করতেসো না কেন?
.
কেমন মানুষ আপনি?ঝগড়ার জন্য ঝগড়া করতেছেন?
আমি ভাবতাম আমিই হয়ত পাগল যে চেয়ে চেয়ে ঝগড়া করি
এখন দেখি আপনাকে সেই রোগ ধরেছে
.
মাস্ক পরে থাকবা,কিসব উল্টা পাল্টা রোগ তোমার থেকে আমাকে ধরছে
.
আহানা রেগে শান্তর চুল টেনে দিলো,রিমোট দিয়ে একটা বাড়ি বসিয়ে দিলো ধুমদাম
.
আমাকে মারা ছাড়া আর কিছু পারো না?
.
আহানা মুচকি হেসে এগিয়ে এসে শান্তর কপালে চুমু দিয়ে বললো”পারি তো অনেক কিছু,”
.
আহানা চুমুটা দিয়ে সরে যেতে নিতেই শান্ত ওর পিঠে হাত রেখে ধরে ফেললো ওকে
.
আহানা ব্রু কুঁচকে বললো”মজা করছি,ধরলেন কেন আমাকে?এসময়ে?
এখন?বাসায় মেহমানে ভর্তি,মায়ের অসুখ!”
.
হইছে হইছে,রোমান্স করার জন্য ধরি নাই,এমনিতেই ধরলাম,যাও ছেড়ে দিয়েছি,কি মেয়েরে বাবা!
.
আহানা চলে গেলো রুম থেকে,শান্ত হেসে দিয়ে ফোনটা আবার হাতে নিতেই ওর চোখ কপালে,কণার কল
.
এই মেয়েটা আমার নাম্বার পেলো কই?সহসা নাম্বার চেঞ্জ করতে হবে দেখছি তা নাহলে মাথা চিবিয়ে খাবে আমার
.
তারপর শান্ত কি ভেবে আহানার ফোনটা হাতে নিয়ে সিম চেঞ্জ করে তার সিম আহানার ফোনে ঢুকালো আর আহানার সিম তার ফোনে ঢুকালো
হেহে এবার যা করবে সব আহানাই করবে
.
শান্ত বিছানা থেকে নেমে ল্যাপটপ নিয়ে বারান্দার দিকে চলে গেছে
আহানা কিছু সময় বাদে আবারও রুমে ফেরত আসলো,এসেই দেখলো ওর ফোন জ্বলতেছে,কার যেন কল এসেছে,সাইলেন্ট করে রাখায় সাউন্ড হচ্ছিলো না
.
আহানা কল রিসিভ করে হ্যালো বলতে যেতেই ওপাশ থেকে কণা বললো”জান জান প্লিস টক উউথ মি”
.
কে রে?কে তুই?কোথাকার জান?আমি মেয়ে!!!
মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে জান বলতে লজ্জা করে না?বেশরম!
.
আহানা লাইন কেটে দিয়ে বারান্দার দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো শান্ত হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে
.
কি ব্যাপার?এরকম হাসতেছেন কেন?
.
কিছু না তো,এমনি
.
আহানা আবার চলে যেতে নিতেই কলটা আবার আসলো
এবার সে বিছানায় বসে রিসিভ করলো,কণা বললো”হু আর ইউ??এটা শান্তর নাম্বার নাহ?
.
শান্ত??আপনি কে বলুন তো
.
আমি ওর জিএফ,ওকে দাও,তুমি কে?
.
আমি ওর ওয়াইফ!
.
কণা হালকা কেশে দম নিয়ে বললো”তুমি তো বউ হয়েও বউ না,শান্ত তোমাকে মেনে নেয়নি জানা আছে আমার,ওকে দাও,ওর সাথে কিছু কথা আছে আমার”
.
আহানা শান্তর দিকে তাকালো তারপর বললো”সে তো আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমায়
.
বিশ্বাস করি না
.
করো না?
.
না?
.
সত্যি করো না?
.
না!
.
তাহলে মুড়ি খাও
.
আহানা লাইনটা কেটে দিয়ে ফোন নিয়ে হনহনিয়ে শান্তর সামনে এসে রেগে রেগে বললো”আপনার পাগলা প্রেমিকা আপনাকে জ্বালানোর জায়গায় আমাকে জ্বালাচ্ছে কেন?”
.
কারণ আমার সিম আমি তোমার ফোনে দিয়েছি আর তোমার সিম আমি ইউজ করছি
আশা করি তুমি ওকে সামলাতে পারবে
.
আমি কেন সামলাবো?
আপনি আপনার রুপ দিয়ে কণাকে পাগল বানিয়েছিলেন এখন ওরে আমি কেন সামলাবো,আপনি সামলান
.
কেমন বউ তুমি?তোমার জেলাস ফিল হচ্ছে না?
.
তখন হতো যখন আপনি আর ওর মাঝে টাংকি চলতো বিয়ের পরেও,এ ছাড়া জেলাস ফিলের কিছু দেখছি না
সিম বদলে নিজের সিম নিজে নেন আর যতবার সে কল করবে ঝাড়ি দিয়ে কেটে দিবেন
.
আমার অনেক কাজ,তুমি সামলাও না প্লিস!আর ওকে ব্লক দিলে আরেক নাম্বার থেকে কল করে
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here