প্রেমের পাঁচফোড়ন💖 #সিজন_২ #পর্ব_৫৯

0
496

প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৫৯
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা ওয়াসরুম থেকে বের হতেই দেখলো শান্ত অর্কিডগুলো নিয়ে দাঁত কেলিয়ে চেয়ে আছে ওর দিকে
.
কি ব্যাপার?এবার এগুলো চিবিয়ে দেখাতাম?এরকম চেয়ে আছেন কেন?
.
না মানে এত দামি ফুল তো,পছন্দ হয়নি তোমার?
.
দামি ফুল আমার পছন্দ না,আমার ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার বেশি ভাল্লাগে,এর জায়গায় একটা গন্ধরাজ দিলে আরও খুশি হতাম,যাই হোক ধন্যবাদ!
.
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চলে গেলো রুম থেকে,শান্ত মন খারাপ করে ফুলগুলো টবে সাজিয়ে রেখে সেও চলে গেলো ফ্রেশ হতে

ঢং দেখায় আমাকে!প্রোপোজ করতে শরম করে তার,অসভ্য একটা,এর থেকে কিছু আশা করাও মস্ত বড় ভুল আমার,এই জন্য মানুষ বলে আগে মেয়েরা প্রোপোজ করতে নেই,করলে বহুত ঘানি টানতে হয়
আমারও হয়েছে তাই
শান্ত যে আমাকে কোনোদিন ভালোবাসি বলবে না তা আজ হারে হারে বোঝা হয়ে গেছে আমার
.
রিপা পানি গরম করতে এসে আহানার দিকে চেয়ে বললো “কি গো? কি এতো বিড়বিড় করে বলছো?”
.
আহানা চমকে রিপার দিকে তাকিয়ে বললো”না কিছু না”
কথাটা বলে সে চায়ের ট্রেটা হাতে করে মায়ের রুমের দিকে গেলো সোজা,মা যেন ওরই অপেক্ষা করছিলেন,আহানা মুচকি হেসে উনার হাতে চায়ের কাপ দিলো সাথে বিসকিট তো আছেই তারপর সে চললো শান্তর রুমের দিকে
রুমে এসে টেবিলের উপর অর্কিড ফুলগুলো দেখে আহানার খুব রাগ হলো,রাগে গজগজ করতে করতে সে চায়ের কাপটা টেবিলের উপর রাখলো,শান্ত সবে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়েছে
আহানা ওর দিকে একবার তাকিয়ে বিছানায় এসে বসলো চায়ের কাপ নিয়ে,তারপর চায়ে চুমুক দিয়ে ব্রু কুঁচকে বললো”কি ব্যাপার বলুন তো?,এমন ড্যাবড্যাব করে দেখতেছেন কেন আমাকে?সেই তখন থেকে”
.
কেন?তোমার কোনো সমস্যা?
.
আহানার আরও রাগ উঠলো,সামান্য কথায় হ্যাঁ/না বলে উত্তর দেওয়াই যেতে পারে তাই বলে ধমক দেবে কেন?
.
আহানা আর কিছু বললো না,টম এন্ড জেরি দেখায় মন দিয়েছে সে এখন
শান্ত চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সেও আহানার গা ঘেঁষে বিছানায় এসে বসলো,আহানার কেমন একটা অস্বস্তিকর লাগছে ব্যাপারটা,একটু নড়েচড়ে বসে সে বললো”পুরো খাট খালি রেখে আমার গায়ের সাথেই আপনাকে লেগে বসতে হবে সবসময়?”
.
ছোটবেলায় তুমি আমার কোল ছাড়া কোথাও বসতে না,ওটার শোধ তুলতেছি
.
শোধ তুললে পুরোটাই তোলা উচিত,গা ঘেঁষে না বসে একেবারে কোলে এসেই বসুন না,দেখি আপনার কত ক্ষমতা?
.
শান্ত মুচকি হেসে সত্যি সত্যি আহানার কোলে বসে পড়লো
.
আহানা এক চিৎকার দিতেই শান্ত ওর মুখটা চেপে ধরে বললো”তুমি তো বললা বসতে!”
.
আহানা কিছু বলতে পারলো না হুট করেই কেঁদে ফেললো
হঠাৎ ওকে কাঁদতে দেখে শান্ত সরে গিয়ে বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো ব্যাথা পেলো কিনা
.
আহানা চোখের পানি মুছে বললো”হাতের চুড়ির সাথে পেয়েছি একটু”
.
শান্ত আহানার হাত দুটো ধরে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষন, তারপর অসহায় একটা লুক নিয়ে বললো”সরি!আমি এতসব খেয়াল করিনি আসলে,মজা করতে গিয়ে কষ্ট দিয়ে ফেললাম তোমাকে”
.
হুহ!কাঁচের চুড়ি গুলো কত সাধ করে কিনেছিলাম,একদিন একটা ভাঙ্গেন আপনি
.
আরও ভাঙ্গছিলাম?কবে সেটা?
.
কথায় কথায় আমার হাত চেপে ধরে যে টান দেন,তো সেটাতে আমার চুড়িগুলো ভেঙ্গে যে চুরমার হয়ে যায় সেদিকে খবর আছে আপনার?
অবশ্য খবর থাকবে কি করে,পারেন তে শুধু ঝগড়া করতে আর কিছুই পারেন না,ভালোবাসা টাসা মনে হয় না আপনার দ্বারা জীবনে হবে
.
এর মধ্যে ভালোবাসা আসে কোথা থেকে,আসলো যখন তখন একটা কথা বলি শুনো!!তুমি যে বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো ব্যস হয়ে গেলো এটাই ভালোবাসা?
তোমাকে এটা কে বললো?
ভালোবাসা মুখে প্রকাশ করলেই সব হয়ে যায় না,কাজে দেখাতে হয়
.
তো আমি কিস করি নাই আপনাকে?
.
আজব তো!কিস আসছে কোথা থেকে,ভালোবাসার মধ্যে ছোঁয়াছুঁয়ি থাকে না বুঝলে?
.
আহানা গালে দুটো আঙ্গুল রেখে ভাবতে থাকলো
তারপর আবার শান্তর দিকে চেয়ে বললো”তাহলে ভালোবাসাই কি থাকে?”
.
শান্ত মুচকি হেসে আহানার কোমড়ে হাত দিয়ে এক টান দিয়ে কাছে নিয়ে এসে বললো”অনুভূতি”
.
আহানার হার্টবিট বেড়ে গেছে,ঢোক গিলে বললো”এটা?”
.
জি!বুঝতে পারছেন তাহলে!
.
আমি তো বুঝলাম,তবে আপনি কবে বুঝবেন শুনি?
.
আমিও বুঝে গেছি
.
আহানা রুমের চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে বললো”কই ভালোবাসার অনুভূতিটা টের পেলাম না,চোখে দেখলাম না!
.
চোখে দেখতে চাও?চলো তোমাকে আজ আমি সেই অনূভূতিটা দেখাবো,চা শেষ করো
.
আহানা ব্রু কুঁচকে চা হাতে নিয়ে সবটা শেষ করে ফেললো দু সেকেন্ডেই,তারপর আবারও শান্তর দিকে চেয়ে বললো”কই দেখান”
.
শান্ত নিজের চা শেষ করে বিছানা থেকে নেমে বললো”ফলো মি”
.
আহানাও গাধার মতো ওর পিছু পিছু ছুটেছে,শান্ত রান্নাঘরে ঢুকে মুঠো করে কি যেন নিলো তারপর বাসা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে যাচ্ছে সে এখন,আহানাও এবার সিঁড়ি বেয়ে ওর পিছু পিছু ছাদে যাচ্ছে,শান্ত হাতে কি নিলো সে দেখলো না
.
ছাদে এসে আহানা হাঁপিয়ে গেলো তারপর বললো”কই??”
.
শান্ত মুচকি হেসে ছাদের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছে
আহানা আরেকটু এগিয়ে গিয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”মিথ্যে আশা দিয়ে এখানে আনছেন তাই তো?আপনি তো জানেনই না ভালোবাসা কি হয়,কি করে সেটা ফিল হয়,শুধু শুধু আপনাকে বিশ্বাস করে এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে আমার”
.
শান্ত তার হাতের মুঠোয় থাকা জিনিসগুলো ছাদের উপর রাখলো
আহানা মুখ বাঁকিয়ে চলে যেতে নিতেই শান্ত ওর হাত ধরে ফেললো
আহানা পিছন ফিরে তাকিয়ে বললো”আবার কি?”
.
শান্ত পিছনে ছাদের রেলিংয়ে হাত দিয়ে জিনিসগুলো একটু খানি নিয়ে আহানার গায়ে ছুঁড়ে মারলো
আহানা চোখ বন্ধ করে ফেললো সাথে সাথে
ওর সারা গায়ে লাল রঙের আবিরের ছড়াছড়ি
আহানা চোখ খুলে নিজের গায়ের দিকে তাকিয়ে আবারও শান্তর দিকে তাকালো,কিছু বলার আগেই শান্ত আবারও আরেক মুঠো আবির ওর গায়ে ছুঁড়ে মারলো
এটা ছিলো নীল রঙের
তারপর আহানার হাত ছেড়ে দিলো সে
আহানা হাত দিয়ে শাড়ী থেকে আবির ঝাড়তে ঝাড়তে বললো”পাগল গয়ে গেলেন??
.
আহানা বিরক্তি নিয়ে গায়ের থেকে আবির ঝেড়ে যাচ্ছে,শান্ত আহানার হাত দুটো ধরে ফেললো আবারও
আহানা এবার অবাক হলো,বিরক্তি ভাব কমে গেছে তার মুখ থেকে
শান্ত হ্যাচকা টান দিয়ে ওকে একদম কাছে নিয়ে আসলো
তারপর রেলিংয়ে থাকা অবশিষ্ট আবিরের গুড়ো আহানার ডান হাতের তালুতে রাখলো সে,তারপর সেই হাতটা দিয়ে নিজের মুখে আর গলায় লাগালো আহানার হাত দিয়ে
.
আহানা অবাক হয়ে শুধু দেখছে শান্ত কি করছে এসব

বিকালের শেষ অংশ এখন
সূর্য ডুবুডুবু,,নভেম্বরের এই সময়টা মুখে প্রকাশ করার মতন না,এই সময়টা সারাদিনের মধ্যে বেস্ট বলা যেতে পারে চোখ বন্ধ করেই
.
আহানা হাত মুছড়াচ্ছে ছাড়ানোর জন্য,তারপর যখন দেখলো শান্ত দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে
তখন উপায় না পেয়ে সে বললো”কি করতে চান বলুন তো??
এমন হাত আটকে ধরেছেন কেন?তার উপর আবির দিয়ে ভূত বানিয়ে রেখেছেন আমাকে আর নিজেকেও
সন্ধ্যাবেলার ভূতে ধরেছে নাকি আপনাকে? কি হলো উত্তর দিচ্ছেন না কেন?আর আমার হাতই বা ছাড়ছেন না কেন?ছাড়ুন,হাতে চুড়ি আর ২/৩টা আছে এগুলাও ভাঙ্গার শপথ করে রাখছেন নাকি আপনি?
যেভাবে ধরে রেখেছেন যেন আমি আবার আপনাকে চড় মারতে পারি সে ভয়ে……
.
আহানা কথাটা শেষ করে চুপ হয়ে গেলো,বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো তার,শান্ত কি তাহলে!
আহানা সব কথা থামিয়ে শান্তর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এবার,ভয় কাজ করছে,এ এক অন্যরকম ভয়,কারোর থেকে ভালোবাসার স্পর্শ পাওয়ার আগ মূহুর্তে যে ভয়টা হয় ঠিক সেটা
আহানার আরও ভয় করছে শান্তর চোখ দুটো দেখে
শান্তর চোখ যেন স্পষ্ট করে বলছে”আহানা আজ তুমি শেষ”
.
শান্ত আহানার ঠোঁটজোড়ার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসছে সেই কখন থেকে
আর এদিকে আহানার ভয়ে গলা শুকিয়ে হাত পা কাঁপার মতন অবস্থা,হাত নাড়তে নাড়তে তার হাত ব্যাথা হয়ে গেছে যার কারণে এখন সে হাতদুটো নিচে নামিয়ে নিয়েছে শান্ত কিন্তু এখনও আহানার হাত ছাড়েনি
.
বিকাল সম্পূর্ণ শেষ,সন্ধ্যা হয়ে গেছে,অন্ধকার নামছে ধীরে ধীরে
শান্ত এখনও সেই একই মিষ্টি হাসি দিয়ে আহানার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে
আর আহানা চুপ করে শান্তর চোখের দিকে চেয়ে আছে
.
রোডের ল্যাম্পপোস্ট গুলো এক এক করে জ্বলে উঠছে,বাসার গেট থেকে দারোয়ান উঠে গিয়ে এদিক ওদিক হাঁটছেন
তারপর তিনি বাগানের লাইটগুলো জ্বালিয়ে আবার আগের জায়গায় গিয়ে বসলেন
.
আহানা বড় করে একটা নিশ্বাস ফেলে বললো”সারা জীবন এমন ফ্যালফ্যাল করে চেয়েই থাকবেন?হাত ছাড়ুন,অনেক হয়েছে!!আমার হাত পা ধরে গেছে এরকম এক টানা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
আজব তো!!সেই তখন থেকে বকবক করে যাচ্ছি আমি আর আপনি খালি আমাকেই দেখে যাচ্ছেন,কিছু তো বলবেন!নাকি বোবা হয়ে গেলেন!
.
আহানা আবারও হাত মুছড়ানো শুরু করলো
ওর হাতের ২জোড়া কাঁচের চুড়ি ঝুনঝুন আওয়াজ করছে একটার সাথে একটা লেগে
আহানা আবারও থেমে গেলো,হাত ব্যাথা হয়ে গেছে তাই
মলিন চোখে সে শান্তর দিকে তাকিয়ে বললো”ছেড়ে দিন নাহলে কিছু তো বলুন,আমার ভালো লাগছে না এমন দাঁড়িয়ে থাকতে”
.
কিছু ফিল হয়?
.
কি?
.
এই যে এতক্ষণ ধরে ভালোবাসার মানুষের কাছাকাছি আছো কিছুই ফিল হয়নি তোমার?কথা ছিলো ভালোবাসা ফিল করানো তাইতো এত কিছু করার,আবির মেখেছিলাম কেন জানো?কারণ তোমার গায়ে আবির মেরে আমি তোমার চোখে নেশা দেখেছিলাম,তারপর তোমার হাতে আবির আমার গায়ে লাগিয়ে আমি আমার চোখের নেশা তোমাকে দেখালাম
.
হইছে,ভালোবাসা দেখা হয়ে গেছে আমার,এবার তো হাত ছাড়ুন!শান্তি আন্টি এতক্ষণ আমাদের না দেখলে চিন্তা করবে,তার উপর রিপা বা নিতু যদি হুট করে ছাদে চলে আসে?
.
রিপা তার বাড়ি ফিরে গেছে,নিতু ডান্স ক্লাসে গেছে,মা উপন্যাস পড়ছেন
আর কারোর ডিটেইলস লাগবে আহানা ম্যাম?
.
আহানা এদিক ওদিক তাকিয়ে বললো”তাহলে বলুন আর কি চান যে এমন হাত ধরে রেখেছেন আমার”
.
শান্ত আহানাকে আরেকটু কাছে টেনে নিয়ে বললো”তোমাকে ”
.
আহানা শক্ত গলায় বললো”মনের কথা না জানিয়ে আমাকে ছুঁবেন না”
.
শান্ত হাসলো তারপর হাসি থামিয়ে বললো”কেন?মনের কথা ছুঁয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যায় না বুঝি?”
.
আমি কাজে-বোঝাতে মানি না,আমি মুখে স্বীকার করাকে মান্য করি,আশা করি বুঝতে পেরেছেন!
.
সেটা তো এত সহজে প্রকাশ করবো না,তোমাকে কাঁদতে হবে শাহরিয়ার শান্তর জন্য,বুঝলা মেয়ে?
.
আরও কাঁদাবেন?এতদিনের কান্নায় হয়নি আপনার?
.
হয়নি তো,আরও কাঁদো,দেখি একটু
.
আহানা জোরে জোরে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে,মেজাজ সম্পূর্ণ বিগড়ে গেছে,এরই মাঝে শান্ত আলতো করে ওর কপালে একটা চুমু এঁকে দিলো
আহানা মূহুর্তেই থেমে গেলো,চুপ করে থাকলো সে
শান্ত ফিসফিস করে বললো”ফিল হয়?”
.
আহানা চোখ দুটো বন্ধ করে চুপ করে থাকলো,কিছু বললো না আর
শান্ত আহানার ঠোঁটজোড়া স্পর্শ করে ফেলেছে
গুনে গুনে ৪সেকেন্ডের জন্য! তারপর আহানাকে ছেড়ে দিলো সে
আহানা এখনও নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,তারপর কি যেন ভেবে সে দৌড়ে চলে গেলো ছাদ থেকে
শান্ত মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে আকাশের দিকে তাকালো,সন্ধ্যাতারা উজ্জ্বল হয়ে আছে,আর কোনো তারা নেই আকাশে
অথচ শান্তর মনে হচ্ছে তার আশেপাশে আলোয় আলোয় ভর্তি
আহানা শান্তর রুমে এসে বিছানার ওপাশে ফ্লোরে বসে পড়লো হাত পা গুটিয়ে,পুরো শরীরের শিরায় শিরায় কম্পিত হচ্ছে ৪সেকেন্ডের সেই অনুভূতিটা,এত সময় ধরে এর রেশ রয়ে গেলো,থেকে যাবে অাজীবন,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ ছোঁয়া আমার মনে থাকবে
আমি এটা নিয়েই হেসে খেলে জীবন কাটাতে পারবো,আমার আর কিছু চাই না শান্ত,আমাকে সব দিয়ে দিলে আজ
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here