#তুমি_আছো_তুমি_রবে
#পর্বঃ১৬ #রেহানা_পুতুল
তোমার জন্য আমার একমাত্র বোনের বিয়ে ভেঙ্গে গেল? শুনে রাখো, উল্টাপাল্টা কিছু হলে তুমিও এ সংসারে থাকতে পারবেনা।
ঝিনুক একদৌড়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। আরিশা বলল ভাইয়া এটা কি বললে ভাবিকে? তুমি আসলেই একটা ইম্পসিবল ম্যান। ভাবির দোষ নেইতো।
জামান খান ছেলের উপর ক্ষুদ্ধ হলেন। আরিশাকে জিজ্ঞেস করলেন,
কারন বল বলছি।
আরিশা বলল, নিলমের বাবা বলছে ভাবি আমাদের কর্মচারীর মেয়ে। এই খবর আগে জানতোনা তারা । জানলে রাজী হতোনা। তাহলে সমাজে আমাদের লেভেল কোথায় নেমে গেল এখন। তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক করলে তাদের ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।
জামান খান একরোখা হয়ে উঠলেন। রোষপূর্ণ কন্ঠে বললেন,
যারা মানুষকে মানুষ হিসেবে কদর করতে জানেনা। যারা শুধু উঁচু নিচুর ব্যাবধান খুঁজে বেড়ায়। এমন হীন চিন্তাচেতনার লোকদের সাথে আমরাও নাই।
আরশাদ গলা নিচু করে সর্যি বাবা। আমি ভাবছি ঝিনুক কোনভাবে ফোনে তাদেরকে উল্টাপাল্টা কিছু বলেছে। ও এমনি।
জোবেদা বেগম বললেন, তুই ও এমন বলে তোর সাথেই ঝিনুক বেয়াড়া আচরণ করে। কই আমাদের সবার সাথেতো ও মিশেই চলে। কি মিশুক একটা মেয়ে। বজ্জাত ছেলে কোথাকার।
ঝিনুক ব্যাগ হাতে করে রুমের সামনে এসে,
বাবা,মা,আরিশা আমি চলে যাচ্ছি। আমার জন্য আরিশার বিয়ে বন্ধ হোক এটা আমি চাইনা। তাদেরকে জানিয়ে দেন আপনার ছেলে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে। এই বলে ঝিনুক ধীরপায়ে এগিয়ে গিয়ে বাসার গেট খুলল।
সবাই ছুটে এসে ঝিনুককে ধরে রুমে নিয়ে গেলো। জামান খান ছেলের দিকে কড়া চোখে চেয়ে,
বৌমাকে যে ভুল বুঝে ভুল আচরণ করেছিস তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নে বলছি।
আরশাদ মনে মনে ফুঁসে উঠছে ঝিনুকের উপর। তেজ কি তার। ডিভোর্স! মন চায় পিষে ফেলি।
ভাইয়া স্যরি বল বলছি।
চুপ কর তুই। এখন লজ্জা করে। রুমে গিয়ে বলব।
তাহলে ভাবির হাত ধরে রুমে নিয়ে যাও এক্ষুনি।
আরশাদ ঝিনুকের হাত মুঠোবন্দি করলো। ক্ষিপ্র গতিতে টেনে হিঁচড়ে রুমে নিয়ে গেলো। বিছানার উপর ফেলে দিলো ঝিনুককে।
থম মেরে বসে রইলো। ঝিনুক নিরবে অস্রু বিসর্জন দিতে লাগলো। একসময় নিস্তেজ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
আরশাদ ঝিনুকের পড়ার টেবিল থেকে তার একটি খাতা টেনে নিলো। কলম হাতে নিলো। স্যরি লিখার জন্য খাতার শেষের পাতা উল্টাতে লাগল। মুহুর্তেই চোখে পড়লো, কালো কালির গোটা অক্ষরে কিছু লিখা।
” আজ আমার মন কতটা ভালো ঠিক জানিনা। তবে এটা জানি এই প্রথম আমার আকুল হৃদয়খানি আবেগের কাছে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে। গতনিশিতে কোন পুরুষের বুকে মুখ লুকিয়েছি। অবিরাম সুখের ফল্গুধারায় ভেসে গিয়েছি। সে পুরুষ অন্যকারো নয়। সে আমার একার। আমার একান্তের। আমার অবসরের। আমার ক্লান্তক্ষনের। আমার বিষাদ মাখা রজনীর। আমার অলস লাগা ভোরের। এক অজানা অনুভূতি আমাকে মোহাবিষ্ট করে রেখেছে। আমি বোধহয় পুরুষটাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
মেয়েদের বুক ফাটে মুখ ফাটেনা। সত্যিই। কিন্তু ওর থেকে পাওয়া ব্যথাগুলোও আমাকে ভীষণ পোড়ায় প্রায়শই। তাকে আমি মুখস্থ করতে চাই। পড়তে চাই দিবানিশি। সযতনে।সঙ্গোপনে।”
নির্বাক হয়ে যায় আরশাদ। অনুতাপের অনলে দগ্ধ হতে থাকে তার চিত্তখানি। তারমানে ঝিনুক ও আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু আমার এত নিকৃষ্ট স্বভাবের জন্য ঝিনুকের ভালোবাসার নাগাল পেতে গিয়েও হারিয়ে ফেললাম। ঝিনুকের কাছ থেকে আমার প্রাপ্তি হবে ঘৃণাই। এটাই হওয়া উচিত আমার। এমন সাতপাঁচ ভেবে আরশাদ লেখাগুলোর রিপ্লাইতে কিছু লিখতে গিয়েও লিখলোনা। তাহলে ঝিনুক ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে যাবে। সারারাত রুমে বারান্দায় পায়চারি করেছে সে। সোফায় শুয়েও দুচোখের পাতায় তন্দ্রা আনতে পারেনি।
_____
ঝিরিঝিরি শীতল বাতাসের প্রভাত শেষে ভোর গড়িয়ে দুপুর হয়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। রাত গড়িয়ে নিশিরাত। এভাবেই দিন গড়িয়ে মাস হয় হয়। মাস গড়িয়ে বছরের দিকে পা বাড়াচ্ছে। কিন্তু ঝিনুক আর আরশাদের প্রণয়ের ভাবটুকুও হলোনা।
রূপকথার দুঃখী রাজরানীর মতো এক বুক বেদনাভরা অভিমান অনুযোগের ঝাঁপি নিয়ে ঝিনুকের জীবন চলছে নিরানন্দভাবে। আরশাদের কিছু আচরণ ঝিনুককে তিলেতিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে গলে পড়া মোমের মতো। ক্ষয়ে আসা চাঁদের মতো।
শান্ত দিঘির জলের ন্যায় ঝিনুকের নিরবতায় আরশাদ চিরকালের জন্য বদলে গেলো। দিনের পর দিন আরশাদের নিরবতা দেখেও ঝিনুক ভাবান্তর হয়ে উঠে আজকাল। তবে তা নিরালায়। অনুভব করার সুযোগ দেয়না আরশাদকে।
দুজনার মাঝে নিত্য দেখা হয়। নিত্য চোখাচোখি হয়। নিত্য একি রুমে নিদ্রা যায়। কিন্তু ভিন্ন শয়নে। কখনো সখনো কিঞ্চিৎ ছোঁয়াও লাগে দুজনের। কিন্তু এতসবে দুজনের মাঝে নেই কোন অনুভূতি। নেই কোন আকুলতা। নেই কোন অনুভবের উষ্ণতা। আছে শুধু একবুক শূন্যতা। হৃদয় জুড়ে খাঁ খাঁ দীর্ঘশ্বাস। কাছে পেয়েও না পাওয়ার যন্ত্রণা। এ যেন প্রণয়ের কারাগারে বিষাদের জলসাঘর।
এ ভিতরে একদিন মারিয়া এসে ঝিনুকের দুহাত ধরে ক্ষমা চাইলো। বললো ঝিনুক ভাবি ভুল মানুষই করে। খালাতো ভাইকে ভালোবেসে কি অপরাধ করেছি? মানছি। সেদিনের ছাদের বিষয়টাতে আমিই এককভাবে দোষী। তুমি আরশাদ ভাইয়ের উপর মান করে থেকনা প্লিজ। তুমি হয়তো ভাবছ হঠাৎ আজ কেন ক্ষমা যাচ্ছি। আসলে আরো আগেই আসতে মন চাচ্ছিল। কিন্তু কোন মুখে আসব তোমার সামনে। তাই পারছিলামনা।
আন্টি তোমার বাবার কথা আঙ্কেলের কাছ থেকে শোনার পর আম্মুকে বলছে কেঁদে কেঁদে। তা শুনে আমার আম্মুও কেঁদে ফেলছে। কারণ আমার আম্মুর এ দুনিয়াতে এ বড়বোন ছাড়া আর যে কেউই নেই। সেদিন যদি আংকেলর কিছু হতো তাহলে আমার একমাত্র খালা বিধবা হতো।
জীবনটা তার কোথায় উড়ে উড়ে গিয়ে ঠিকরে পড়তো শুকনো বাঁশপাতার মতো। তা কে জানে। বোনের এই ধূসর জীবন দেখে ছোটবোন কি ভালো থাকতে পারতো। কখনোই না। আর তার প্রভাব আমাদের সন্তানদের উপরেও কমবেশী প্রভাব ফেলতো।
পৃথিবীতে নিজে ভালো না থাকলে দ্বিতীয়জনকে বা অন্যজনকে ভালো রাখা দুঃসাধ্যকর হয়ে পড়ে।
আজ এতসব ঠিক আছে শুধু তোমার বাবার জন্যই। হ্যাঁ তিনি উছিলা মাত্র। ভালোমন্দ স্রস্টার হাতে। আর তুমি সেই মহান মানুষের সন্তান। যে আমার খালার পুত্রবধূ হয়ে আমাদের সবাইকে আনন্দিত করেছ।
আমি একজনকে ভালোবাসি। সামনেই আমাদের বিয়ে। আরশাদ ভাই আমার ছোট্টবেলার আরশাদ ভাই। আমাকে বকুনি দেওয়ার আরশাদ ভাই। ঘাড় মটকানোর আরশাদ ভাই। এর বাইরে এখন আর কিছুই না ঝিনুক ভাবি । এটা তুমিও বেশ বোঝো। একপাক্ষিক অনুভূতির কোন মূল্য নেই। তাই বলছি তুমি এ নিয়ে কোনদিন ও আরশাদ ভাইকে ভুল বুঝনা।
বলতে বলতে মারিয়া অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ল। ঝিনুক তার দুহাত ধরে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে বলল,
আরেহ মারিয়াপু এত নমনীয় করে বলতে হবেনা। এটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই আপনার প্রতি। আপনার স্থানে থাকলে হয়তো আমার ও অনুরাগ হতো উনার জন্য।
মারিয়া বলল তার মানে এখন নেই অনুরাগ?
নিঃসন্দেহে আছে। কিন্তু বুঝতে দিইনা। এটা আমাদের স্বামী স্ত্রীর লুকানো সিক্রেট। হিহিহিঃ।
মারিয়া ঝিনুক হেসে ফেললো একসাথে।
নিলমের বাবাকে একদিন ফোন করে জামান খান শুধু দু’ চারটি বাক্য শোনালো দৃঢ় কন্ঠে। তারপর তার ও চোখের সামনে থাকা ধনি গরিবের বৈষম্য নিয়ে কালো পর্দাটা সরে গেলো। নিজ থেকেই অনুরোধ করলেন অনুশোচনার রথে চড়ে,
আরিশাকে যেন তার ছেলের জন্য উপহার হিসেবে দেয়। জামান খান মেয়েকে হারানোর শংকায় রাজী হলেন। বিয়ে হবে একবারে অনার্স শেষ হলেই।
ক্লাসে বেশ কিছু বন্ধুও জুটে গিয়েছে ঝিনুকের। সে বন্ধুবৎসল ও বটে। বাসার চেয়ে ক্লাসেই বেশী আনন্দে থাকে ঝিনুক। কেননা সেখানে তাকে বিরহ গ্রাস করতে পারেনা। বন্ধুদের সাথে নানান উচ্ছ্বলতায় মেতে থাকে সারাটাদিন। বন্ধুরা আরশাদকে দেখতে চায়। বাসায় আসতে চায়।
তাদের বিয়ের একবছর ফূর্তি উপলক্ষে আরিশা কেককাটার আয়োজন করে। ঝিনুক একদম চাচ্ছিলনা এমন কিছু। কিন্তু এড়িয়ে যাওয়ার কোন চান্স নেই। ঝিনুক ক্লাসের কিছু বন্ধুকে ইনভাইট করে। তারা দুচারজন আসে। আরশাদের সাথে পরিচিত হয়।
কেককাটা হয় দুজনের হাত এককরে। একে অপরকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। সবাই বেশ উপভোগ করে। সেলফি, ছবি,ভিডিও,বেলুন ফোটানো, কিছুই বাকি রইলোনা।
আরিশা বলল,ভাবিকে গিফট দাও। আরশাদ স্মিত হেসে পকেট থেকে একটি হিরের আংটির বক্স বের করলো। সবার সামনে ঝিনুকের হাত ধরে অনামিকায় পরিয়ে দিলো। আর একটি মেরুন কালারের কভারে মোড়ানো ডায়েরি দিল ঝিনুকের হাতে।
তা দেখে ঝিনুকের বন্ধুরা রসালো সুরে বলে উঠে,
ইয়েহ! এ দেখি স্বামী নয়। আস্ত একটা রোমান্টিক প্রেমিক। ডায়েরিও দেয়।
তমা বলল, আচ্ছা ভাইয়া ডায়েরিটা দেয়ার অর্থ কি? দুজন একি জায়গায় বাস করেও?
আরশাদ শান্ত গলায় জানালো,
যা আমাকে ঝিনুক বলতে পারবেনা মুখ খুলে, তা যেন এ ডায়েরিতে লিখে স্বাদ মেটায়। যেমন তা বকা,গালি,হিংসা,ক্রোধ,অনুযোগ, অভিযোগ সবই হতে পারে। শুধু যে প্রণয় আর বিরহ বিচ্ছেদের গল্প লিখবে তা কিন্তু নয়। এখানে এক আকাশ ফ্রিডম রয়েছে ঝিনুকের।
জুলি বলল। ওয়াও! সো সুইট। এমন প্রেমিক বর পেলে জনম সার্থক হতো আমার।
ঝিনুক বলল,তাহলে তুই বিয়ে বসে যা। আমার কোন আপত্তি নেই। এক পুরুষ চারজন বিয়ে করতে পারে।
জুলি হেসে বলল,
হ্যালো মিস্টার রাজী?
তাহলে ডেকে আনি কাজি?
আরশাদ বলল, রাজী নহে আমি। আমার যা আছে তাতেই একজনম চলে যাবে।
এমন নানা খুনসুটিতে বেশসময় পার হয়ে গেলো। খাওয়া দাওয়া করে সবাই চলে গেলো।
ডায়েরিটা পেয়ে ঝিনুক খুব খুশি হলো। কিনবে কিনবে করেও একটা ডায়েরি তার কেনা হচ্ছেনা। অভিমানে তাকে বলতেও পারছেনা। আঙ্গুল থেকে আংটিটা খুলে তার পড়ার টেবিলে রেখে দিলো। মনের মিলে যেখানে গরমিল। সেখানে এই প্রাণহীন বস্তু আঙ্গুলে দিয়ে কি লাভ। কেবল মিছেই ছলনা।
ঝিনুক সোফায় শুয়ে গেল রোজরাতের মতো। আরশাদ দেখে ফেললো আংটিটা। হাতে তুলে নিলো। কষ্টে তার হৃদয়টা ফেটে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। বুকের বাঁ পাশটায় চিনচিন ব্যথা করছে। আটকানো যাচ্ছেনা চোখের পানি। বারান্দায় গিয়ে নিরবে চোখের পানি ঝরাতে লাগলো। বুকের অতলে যেন শত দোযখের গনগনে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে।
একাধিক মশার কামড়ে ঝিনুক জেগে গেলো। বারান্দার দরজা খোলা নাকি? মশা ঢুকলো কিভাবে? ভেবেই মাথা তুলে দেখে শূন্য খাট। দরজা খোলা। উঠে গিয়ে দেখে আরশাদ হেলান দিয়ে চেয়ারে বসে আছে। নির্জীব চাহনি। জোছনার মায়াবী আলো এক চিলতে বারান্দায় লুটোপুটি খাচ্ছে।
ঝিনুক একটু থেমে বলল, আমাকে মশা কামড়াচ্ছে। ঘুমাতে পারছিনা।
আরশাদ চট করে উঠে গেল। কারণ সে ঝিনুককে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসে। অনুভব করে গভীরভাবে। তার সামান্য কষ্ট ও এখন সহ্য করতে পারেনা।
দরজা বন্ধ করে দিয়ে খাটে চলে গেলো। বসে রইলো বালিশে হেলান দিয়ে।
ঝিনুক মশা মারার ব্যাটটি হাতে নিলো। লাইট জ্বালালো। আরশাদের চোখে চোখ পড়তেই দেখে দুচোখ ফোলা। বিমূর্ত তার মুখখানা। তিন আঙ্গুলের মাথায় ধরে আংটিটা নাড়াচাড়া করছে।
আরশাদ ঝিনুক হতভম্ব হয়ে গেলো। বিছানায় গিয়ে বসল আরশাদের পাশে। মোলায়েম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
আপনার চোখ ভেজা? কেঁদেছেন কেন? হাতে এই আংটি কেন? কোন সমস্যা?
হাহাকার জাগানিয়া একটা দীর্ঘস্বাস ছাড়লো। ঝিনুকের চোখে চোখ রাখলো। কাতর কন্ঠে বলল ,
ঝিনুক আমি যদি বলি আমি তোমার আগে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। বিশ্বাস করবে?
চলবে… ১৬