প্রেমের পাঁচফোড়ন💖
#সিজন_২
#পর্ব_৬০
#Writer_Afnan_Lara
🌸
আহানা এখনও একই জায়গায় বসে আছে,সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ৮টা বাজে এখন
ঠিক ৮টা বাজতেই শান্ত ছাদ থেকে ফিরে তার রুমে আসলো
আহানাকে নিচে বসে থাকতে দেখে সে কিছু বললো না,চুপচাপ ল্যাপটপটা নিয়ে বারান্দার দিকে চলে গেলো সে
বিন ব্যাগে বসে আবারও আহানার দিকে তাকিয়ে সে আহানাকে দেখতে পেলো না
লজ্জা পেয়ে চলে গেছে মনে হয়,শান্ত মুচকি হেসে তার কাজে মন দিলো
আহানা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে আছে,এত কিছুর পরেও আহানার আজ ভীষণ খারাপ লাগছে
কেন লাগছে তা সে জানে না,তবে মনে হচ্ছে সবকিছুই সে শান্তকে জোর করিয়ে করাচ্ছে
এটা কিআসলেই ঠিক?
নাহ ঠিক নয়,আমি ঠিক করিনি,উনার সামনেই যাব না আর
♣
রাত ১১টা বাজতে চললো অথচ আহানা এখনও ওর রুমে আসছে না
শান্ত কাজ সেরে উঠে ডিনারের জন্য আসলো,সাথে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে আসতেছে,আহানা মনে হয় নিতুর রুমে,কারণ মায়ের রুমেও সে আহানাকে দেখেনি
মেয়েটা দূরে দূরে থাকছে কেন এত!
.
আহানা নিতুর রুমে বসে নিতুর সাথে গল্প করছে,শান্ত নিতুর রুমে গিয়ে চেয়ার টেনে বসলো ওদের গল্পে সামিল হওয়ার জন্য
আহানা শান্তকে দেখে নড়েচড়ে বসলো
শান্ত কথার ছলে ছলে বারবার ওর দিকে তাকায় শুধু
আহানা তাই উঠে গিয়ে বললো”নিতু আমি ডিনার রেডি করতে যাচ্ছি,তোমরা কথা বলো কেমন?”
আহানা আর দেরি না করে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো
শান্ত ও সাথে সাথে বেরিয়ে ওর হাতটা ধরে ওকে আটকালো তারপর বললো”এরকম পালাচ্ছো কেন বলোতো?”
.
আহানা চোখ বন্ধ করে রেখেছে,তারপর একটা শ্বাস নিয়ে বললো’কাজ আছে আমার,হাতটা ছাড়ুন”
.
শান্ত হাত ছেড়ে দিয়ে রুমের দিকে চলে যেতে যেতে বললো”আমি ডিনার করবো না”
.
আহানা শান্তর চলে যাওয়া দেখছে,তারপর টেবিলে খাবার সার্ভ করে,মাকে আর নিতুকে খাবার দিয়ে শান্তর রুমের দিকে তাকিয়ে রইলো সে
তারপর শান্তকে আসতে না দেখে সেদিকে গেলো সে
ওকে ডাকার জন্য
মা আবার কি না কি মনে করে বসবেন পরে!
আহানা রুমে এসে দেখলো শান্ত চাদর টেনে শুয়ে পড়েছে,রুমের লাইটটা অফ করে,এখন ল্যাম্পশ্যাড জ্বলছে শুধু
আহানা কাছে এসে বললো”আসুন না,মা ভাববে আমরা আবারও ঝগড়া করেছি,শুধু শুধু রাগ করছেন কেন?”
.
শান্ত ঘুরে আরেকদিকে ফিরে গেলো
আহানা সেদিকে এসে শান্তর গায়ে হাত রেখে বললো”আসুন না প্লিস! ”
.
খাবো না বললাম না???
.
আহানা আর কিছু বললো না,আবারও ফেরত গেলো ডাইনিং রুমের দিকে
মা আহানার দিকে তাকিয়ে আছেন,তার আর বুঝতে বাকি নেই দুজনের মধ্যে কিছু একটা হয়েছে,উনি তাই খাওয়া শেষ করে চুপচাপ চলে গেলেন,কারণ এরা যতই ঝগড়া করুক না কেন পরে সব ঠিকঠাক হয়ে যায়
.
আহানা খাবার খেলো না,রুমে ফেরত আসলো না খেয়েই,তারপর শান্তর এক পাশে শুয়ে পড়লো সে
.
কি থেকে কি হয়ে গেলো,আমি কি উনাকে রাগ দেখিয়েছিলাম?তাহলে উনি এতো রাগ কেন দেখাচ্ছেন আমাকে?খাবারটাও খেলো না,সকালে নাস্তা করবে কিনা কে জানে!
♣
খিধাতে দুজনের একজনেরও ঘুম হচ্ছে না
রাত ২টোর দিকে দুজনেই এপাশ ওপাশ করতে করতে উঠে পড়লো একসাথে
আহানা ঘুম ঘুম চোখে শান্তর দিকে চেয়ে কিছু না বলে উঠে গিয়ে পানি এক গ্লাস ছিলো সেটা নিলো খাওয়ার জন্য
শান্ত তার আগেই এসে ছোঁ মেরে গ্লাসটা নিয়ে নিলো তারপর বললো”আমি কিছু খাইনি,সো এটার প্রতি অধিকারটাও আমার”
.
আহানা গাল ফুলিয়ে বললো”আমিও খাইনি”
.
খাওনি কেন?আমি কি তোমাকে বলেছিলান যে খেও না?
.
আপনি এরকম রাগ দেখান কেন আমাকে?কি করেছি আমি?
.
কি করো নাই সেটা বলো,কিস করার পর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকতেছো,অন্য কোনো হাসবেন্ড হলে সিধা গালে চড় মেরে দিতো বুঝলা?
.
আহানা মাথা নিচু করে বললো”আমি ভাবলাম আমি জোর করাতে এমন করেছেন”
.
তুমি?তুমি কিসের জন্য আমাকে জোর করেছো?কবে?বরং কিস করতে গিয়ে দুবার চড় খেয়েছি আমি
.
না সেটা না,ভলোবাসার ব্যাপারটার কথা বলছি
.
শান্ত পানির গ্লাসটা টেবিলে রেখে আহানার দুকাঁধ ধরে বললো”দেখো আহানা!আমরা হাসবেন্ড ওয়াইফ,এরকম রিলেশন হওয়া স্বাভাবিক ”
.
তার মানে আপনি আমার স্বামী হওয়ার কারণেই এমনটা করলেন?আর কিছু না?
.
না?আর কি?
.
আহানা মুখ কালো করে বিছানায় এসে বসলো,তারপর কেঁদে দিলো আবার
.
শান্ত মাথায় হাত দিয়ে ওর পাশে বসে পানির গ্লাসটা এগিয়ে ধরে বললো”উফ,তোমাকে কি করে বুঝাই যে!!! থাক,বুঝতে হবে না,তুমি কি চাও খোলসা করে বলো,আমাকে এতো প্যাচে ফেলবা না একদম
.
আহানা শান্তর দিকে ফিরে বসে হাত দিয়ে চোখগুলো মুছে বললো”আপনি আমাকে ভালোবাসেন?”
.
শান্ত আহানার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,তারপর কিছু না বলেই উঠে বারান্দায় চলে গেলো
আহানা বুঝতে পারলো শান্ত ওকে ভালোবাসে না,সে কাঁথাটা টেনে আবারও শুয়ে পড়লো,শান্তর থেকে এই উত্তরটা সে আর কোনোদিন চাইবে না,যে ওকে ভালোবাসে না তাকে জোর করে কি লাভ!
.
পরেরদিন সকাল সকাল আহানা শান্তর সামনে ওর মাকে বললো সে কয়েকদিনের জন্য তার মায়ের বাড়িতে থাকতে চায়
শান্ত চুপচাপ নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো,কথাগুলো ভালোমতন শুনেছে সে,কিন্তু তাও কোনো পাত্তাই দিলো না
আহানাও নিরুপায় হয়ে সব গুছিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসলো
সারাদিনে দুজন দুজনের কোনো খোঁজ নিলো না
.
আহানা বিছানায় শুয়ে শুয়ে একটা ছবি দেখছে,ছবিটা শান্তর,যখন তার ১৮বছর বয়স ছিলো এটা তখনকার ছবি
আহানা শান্তি রহমানের রুমে পেয়েছিলো ছবিটা,বেশ ভালো লেগেছিলো বলে ছবিটা নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলো আহানা
শান্তর গায়ে ছিলো সবুজ রঙের একটা টিশার্ট
বাসার সামনে দাঁড়িয়ে এক গাল হাসি নিয়ে সে ফটোগ্রাফারের দিকে চেয়ে ছিলো
আহানা ছবিটা দেখতে দেখতে ফোনের দিকে তাকালো একবার,ফোন জ্বলছে না,শান্তর একটা ফোনের আশায় সে আজ সারাটা দিন লাগিয়ে দিয়েছে,কিন্তু কেন?
যে আমাকে ভালোবাসে না তার প্রতি আমার কেন এত টান??একটা স্বার্থপরকে ভালোবাসি বলেছিলাম,এই তার নমুনা
.
শান্ত বাসায় ফিরেছে,আজ জলদি করেই ফিরেছে,সে জানে বাসায় আহানা নেই,এউ কথা ভেবে অফিসের কোনো কাজেই তার মন বসছিলো না তাই চলেই আসলো
.
পুরো রুমটা তার খালি পড়ে আছে,সেই বৃষ্টি শুরু আবারও,মন খারাপের সময় কেন যে বৃষ্টি হয় কে জানে!
শীত এমনিতেই পড়তে শুরু করেছিলো এবার তো জোরেশোরে পড়বে মনে হয়
শান্ত চেঞ্জ করে এসে বিছানায় বসলো,আহানার গায়ের গন্ধ পুরো রুম জুড়ে,অথচ সে নেই,একটা কথার উত্তর দেইনি বলে চলে গেলো
আমি বলেছি সব কিছুর একটা সময় আছে
জীবনে প্রেম করি নাই,হুট করে আই লাভ ইউ বলতে পারি না আমি
তোমার প্রশ্নের সোজা উত্তরটাও দিতে পারলাম না বলে তুমি চলেই গেলে?আমার মন বুঝতে এত কিসের কষ্ট তোমার?সব কিছুতে দেমাগ দেখানো কি সাজে?
সন্ধ্যা হয়ে আসতেছে একটা কল পর্যন্ত করে নাই,নিশ্চয় আমার কলের অপেক্ষাই আছে,এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারবো না আমি
.
শান্ত একটা কালো জ্যাকেট নিয়ে তার টিশার্টের উপর দিয়ে সেটা পরতে পরতে বেরিয়ে গেলো
আহানাদের বাসার সামনে কার থামাতেই সবার আগে নজরে পড়লো আহানাকে
আহানা তার বারান্দাটায় দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টি উপভোগ করছে
পুরো শরীর ভিজে একাকার হয়ে গেছে তার
শান্ত কার থেকে নেমে আহানার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলো,আহানা চোখ খুলছে না,সে বৃষ্টির মধ্যে ডুবে আছে
.
আমার প্রতি যত রাগ সব নিজেকে ভিজিয়ে মেটাচ্ছে,জ্বর হলে কার ক্ষতি হবে আমার নাকি তার??এটা বুঝে না
.
শান্ত বাসায় ঢুকে সোজা আহানার রুমে আসলো
গায়ের জ্যাকেটটা খুলে হাতে নিয়ে বারান্দার দিকে ছুটলো সে
কাছে এসে আহানার গায়ে জ্যাকেটটা পরিয়ে ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করালো সে
আহানা চমকে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে
.
শান্ত কিছুটা রাগি চোখে আহানার দিকে তাকালো তারপর নিচু হয়ে আহানাকে কোলে তুলে নিলো সে
আহানার পুরো শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেছে
আহানা নরম গলায় বললো”যে আমাকে ভালোবাসে না তার কোনো অধিকার নেই আমাকে ছোঁয়ার,তার থেকে প্রাপ্য যে অধিকার আছে সেসব ও আমার লাগবে না”
.
শান্ত আহানাকে বিছানায় নামিয়ে আলমারি থেকে তোয়ালে নিয়ে ওর গায়ে ছুঁড়ে মেরে বললো”কবির মতন বড় বড় ডায়ালগ না মেরে মাথা মুছে ফেলো”
কথাটা বলে শান্ত আলমারি খুঁজে একটা থ্রি পিস বের করে সেটাও আহানার গায়ে ছুঁড়ে মেরে বললো”চেঞ্জ করো শাড়ীটা,নাহলে আমি করাই দেবো”
.
আহানা তোয়ালে আর জামা কাপড় সব বিছানায় ফেলে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে চলে যেতে নিতেই শান্ত সামনে দিয়ে এসে দরজাটা লাগিয়ে ফেললো
আহানা বিরক্ত হয়ে বললো”আর কি চান আপনি!এখানে এসেছেন কি জন্যে?যাকে ভালোবাসেন না তার প্রতি এত কিসের দরদ আপনার?”
.
দরদ না কর্তব্য
.
চুলোয় যাক সেসব,এখন পথ ছাড়ুন আমার,অনেক বিরক্ত করছেন!আপনাকে কে বলেছিলো এখানে আসতে?আমাকে ছাড়া চলে না?
.
শান্ত কিছু না বলে আহানাকে টেনে এনে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে তোয়ালে বাড়িয়ে ধরলো ওর দিকে
.
আহানা আবারও চলে যেতে নিতেই শান্ত ওর শাড়ীর আঁচল মুঠো করে ধরলো তারপর বললো”চুপচাপ মাথা মুছো নাহলে……
.
আহানা বাধ্য হয়ে চুল মুছে নিচ্ছে,শান্ত এবার থ্রি পিসটা আহানার হাত ধরিয়ে দিয়ে বললো”নাও চেঞ্জ করে আসো”
.
পারবো না,আঁচল ছাড়ুন আমার
.
শান্ত আঁচলটা আরেকটু টেনে ধরে বললো”মেজাজটা খারাপ করিও না আহানা,যেটা বললাম সেটা করো, তুমি জানো বৃষ্টিতে ভিজলে তোমার অসুখ হয় তাও জেনে শুনে এমন করার কারণ কি সেটা বুঝতেছি না আমি
সিমপাথি পেতে চাও আমার থেকে?
.
আহানার চোখে পানি এসে গেছে শান্তর মুখে সিমপাথি কথাটা শুনে তারপর নিজেকে শক্ত করে সে বিছানা থেকে উঠে দাড়িয়ে বললো”সিমপাথি??আপনার থেকে সিমপাথি পাওয়ার আশায় আমি এসব কেন করবো??আমি ওমন মেয়ে?আপনার তা মনে হয়?
আমি কণা নই মিঃশাহরিয়ার শান্ত!আমি আহানা,আমার কাছে নাটক জিনিসটা নেই,আমি যা করি মন থেকে করি
আর আপনি আমাকে এখন বলছেন আমি সিমপাথি পাওয়ার জন্য বৃষ্টিতে ভিজতেছিলাম??আমার জ্বর হলে আপনি কেয়ার দেখাবেন তাই??
কেয়ার ছাড়া আর কি দেখিয়েছেন যে সেটা পাবার আশায় আমি এমন করবো?
আমার শরীর আমার ইচ্ছা,আমি যা খুশি তাই করবো,আপনার কোনো অধিকার নেই কেনো কিছুতেই
আপনি আমাকে ভালোবাসেন না
নামেই স্বামী আপনি তাহলে এতকিছুতে মাথা ঘামান কেন আপনি?
বেরিয়ে যান আমার বাসা থেকে,আমি আপনার মুখ ও দেখতে চাই না!যার মনে আমাকে নিয়ে এরকম নিচু মনমানসিকতা আছে তার সাথে আমার কোনো কথা নেই
.
শান্ত রেগে আহানার গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো
.
আহানা গালে হাত দিয়ে কিছু না বলে চলে যেতে নিতেই শান্ত ওর হাত ধরে কাছে টেনে এনে বললো”এমন ভাবে কথা বলতেছো যেন আমার আর তোমার এরেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছে?”
.
আহানা নিশ্চুপ হয়ে কেঁদে যাচ্ছে
.
শান্ত ওকে ঝাঁকিয়ে বললো”মুখে বললেই বুঝবা আমি তোমাকে ভালোবাসি?এটা কোন ধরনের লজিক আহানা?তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না আমি,বারবার আমাকে বাধ্য কেন করো??গায়ে হাত তুলতেও বাধ্য করলে তুমি
ভালোবাসি বলিনি মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি না??তোমার প্রশ্নের উত্তর দিই নাই বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি না?
তুমিও ম্যাচিউর এবং আমিও,বাট তোমার লজিক সেকেলে রয়ে গেছে,বাচ্চামি ছাড়া আর কিছুই দেখি না আমি তোমার মাঝে
কাল বিকালের সেই সময়টুকু যথেষ্ট নয় তোমার এটা বুঝার যে আমি তোমাতে আসক্ত???ভালোবাসি বললেই তুমি হ্যাপি?আর কিছু লাগবে না তোমার??তো ফাইন,আমি তোমাকে ভালোবাসি,এবার খুশি তো তুমি??নিজের সমস্ত জেদ ছেড়ে এবার শাড়ীটা চেঞ্জ করে ফেলো,আর কথা বাড়িও না তুমি
.
আহানা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো”জোর করে চাইনি আমি,আর তাই চলে এসেছিলাম এখানে,আপনার দয়া আমার লাগবে না,চলে যান এখান থেকে!”
.
আই নিউ ইট!তুমি ভালোবাসি কথাটা শোনার পরে ঠিক এই রিয়েকশানটা দেখাবে,আসলেই কি চাও তুমি নিজেও সেটা জানো না আহানা
.
আহানা শান্তকে দূরে ঠেলে দিলো ধাক্কা দিয়ে
তারপর বললো”আমি শুধু এটা চাই আপনি এখান থেকে চলে যান প্লিস!”
.
শান্তর মাথা চড়ক গাছ,রেগে আহানাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেললো সে
তারপর হাত দিয়ে নিজের মাথার চুলগুলো টানলো মিনিট দুয়েক ধরে
আহানা এক দৃষ্টিতে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে
শান্ত চুল গুলো ঠিক করে গায়ের টিশার্টে হাত দিলো,চট করে খুলে ফেললো টিশার্টটা
আহানা এখনও চুপ করে তাকিয়ে আছে
শান্ত টিশার্টটা ফ্লোরে ছুঁড়ে মেরে এগিয়ে আসতে আসতে বললো”আজ সব প্রমাণ করে দেবো”
চলবে♥