লোডশেডিং’ পর্ব ৭.

0
299

‘লোডশেডিং’
পর্ব ৭.

তাবিনা মাহনূর

__________

কান্নার বিলাপ শুনে চৈতির ঘুম ছুটে গেল। ঘড়িতে সকাল সাড়ে আটটা। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়ে দেখলো, শিমুল ঘরে নেই। বের হতে গিয়ে আবার দাঁড়িয়ে পড়লো। মাথায় বড় করে ঘোমটা টেনে ড্রইং রুমে যেতেই শুনতে পেলো বড় চাচী দিলারা বেগমের ভেজা কন্ঠ।

– ছেলেটার বড় ভাই ভাবি থাকলেও পুরো একা হয়ে গেল। মাথার উপর ছায়া হিসেবে বাবা না থাকলে চলে? এদিকে স্বাধীনের মায়ের অবস্থাও যাই যাই। আমি গিয়ে জোর করে মুখে তুলে দুবার রুটি খাইয়েছি। তা নাহলে না খেয়েই মরতো। স্বাধীনের চেহারা দেখার মতো নাইরে নীরা, যা হয়ে….

চৈতির দিকে তাকিয়ে থেমে গেলেন তিনি। ছোট চাচী নীরাও ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকলেন। জেবিন এখানে নেই। তারমানে বাসাতেই আছেন অথবা শোকবাড়িতে গেছেন। চৈতি কিছু না বলে বেরিয়ে আসতে গিয়েও পিছনে ফিরে বললো, ‘আসসালামু আলাইকুম চাচী আপনাদের।’

নীরা আর দিলারা, দুজনেই বেশ অবাক হলেন। চৈতি ততক্ষণে বাইরে চলে গিয়েছে। নীরা অবশ্য বেশিক্ষণ বিস্ময় ধরে রাখলেন না এর কারণ বুঝতে পেরে, ‘বুঝেননি ভাবি? আমার পাগল মেয়ে চৈতিরও মাথা খেয়েছে। কি সব দ্বীনদারিতা নিয়ে পরে আছে। আপনিই বলেন, আমরা কি ধর্ম কর্ম কিছু জানি না?’

এবার নিজের মেয়ের গীত গাইতে লাগলেন নীরা। এসব শুনতে ইচ্ছে না করলেও দিলারা বসে থাকলেন। কিছুক্ষণ পর স্বাধীনের বাসায় গিয়ে ওর ছোট ভাইয়ের বউকে দেখে আসতে হবে। স্বাধীনের বড় দুই ভাই বিবাহিত, তাদের মাঝে ছোট জনের স্ত্রী গর্ভবতী। শশুর দুই বউকে মেয়ের মতো স্নেহ করতেন বলে ছোট বউটা কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। আবার যখন যেতেই হবে তাই কষ্ট করে সিঁড়ি বেয়ে তিনতলায় উঠতে ইচ্ছে করছে না। এখানেই পরে রইলেন আর গীবতের সাক্ষী হিসেবে থাকলেন।

_____

চৈতি ঘরে ফিরে হাত মুখ ধুয়ে নিলো। তার মন পরে আছে ও বাড়িতে। যেতে মন চাইলেও লোকে কি বলবে ভেবে যেতে পারলো না। তার চেয়েও বড় কথা, সৌরভ যখন জানবে যে সে লোকারণ্যের মাঝে গিয়েছে তখন কৈফিয়ত দেয়ার কোনো ভাষা খুঁজে পাবে না সে। কেননা, স্বাধীন তার আপন কেউ নয় এবং ঘনিষ্ঠতাও নেই।

মন খারাপ করে বিছানায় বসতেই মনে হলো, শিমুলের ঘরে ফোন রেখে এসেছে সে। দোতলায় গিয়ে শিমুলদের বাসায় ঢুকতে যাবার সময় শিমুলকে দেখলো নিচ থেকে আসছে। শিমুল বাহিরে গিয়েছিল বড় একটা ওড়না দিয়ে নিজের সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে। মুখে একটা মাস্ক পরে নিয়েছে সে। চৈতিকে দেখে বলে উঠলো শিমুল, ‘তুই উঠে পড়েছিস? আমি ঐ বাড়ি থেকে আসলাম। ইশ! ছোট বউটার অবস্থা ভালো নারে। জ্ঞান হারানোর সময় নাকি টেবিলের কোণায় বারি খেয়ে পেট ব্যথা শুরু হয়েছে। এরপর সেই যে ব্লিডিং শুরু হলো, এখন আর থামে না।’

চৈতি বুঝতে পারলো, স্বাধীনের ছোট ভাবীর কথা বলা হচ্ছে। তারমানে ওখানে অবস্থা আরও বেগতিক। সে শিমুলকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে পথ রোধ করে বললো, ‘শিমু আপু, একটু দাঁড়াও। আমারও গিয়ে দেখে আসতে ইচ্ছে করছে। তুমি দয়া করে আমাকে সাহায্য করো। আমি একা গেলে কি না কি মনে করবে মানুষ।’

– তুই যাবি? চল। কিন্তু ছোট ভাবীকে মনে হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তুই গেলে আন্টিকে দেখিস। ছেলেদের মাঝে যাবি না। আমার হাত ধরে থাকবি।

নানান শর্ত মেনে শিমুলের সাথে স্বাধীনের বাসায় গেল চৈতি। মনে পড়ে তার, এ বাসায় তাদের স্বপরিবারের দাওয়াত ছিল চার বছর আগে। তখন চৈতি ক্লাস নাইনের ছাত্রী। স্বাধীন ছিল পাকা দুষ্টু। চৈতির লাল জামার সাথে সবুজ ঝালোর সহ নকশা দেখে নাম দিয়েছিল টিয়া পাখি। এরপর সেদিন সৌরভ তাকে শাসিয়ে বলেছিল, সেই জামা যেন কোনোদিন না পরে সে। সেই যে শেষবার এসেছিল, এরপর আর আসেনি।

স্বাধীনদের তিন তলায় বড় ভাই ভাবি আর মা বাবা থাকতেন। চার তলায় ছোট ভাই ভাবি। স্বাধীন চিলেকোঠার ঘরে থাকায় আলাদা কোনো ফ্ল্যাটের প্রয়োজন পরেনি। তিন তলায় ঢুকেই একটা শোকের ছোয়া পেলো চৈতি। এমন শোক তার জীবনে তার মায়ের চলে যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। আজকে তার সেই দিনের কথা ভেবে কান্না আসছে খুব। কান্নাটা চেপে রেখে একটি ঘরে ঢুকে সে দেখলো একজন কম বয়সী মহিলাকে ধরে স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে। পেটের নিচ বরাবর বেশ রক্তের দাগ। বুক কেঁপে উঠলো চৈতির। মেয়েটা চিৎকার করে বলছে, ‘আমার বাচ্চা! আমার বাচ্চার কিছু হবে না তো? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!’

পাশেই একজন কম বয়সী ছেলে, সম্ভবত স্বাধীনের ছোট ভাই তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছে। চৈতি না থাকতে পেরে ছুটে গিয়ে ছোট বউয়ের মাথায় হাত দিয়ে বলতে লাগলো, ‘আল্লাহর উপর দৃঢ় ভরসা রাখুন। আপনার বাচ্চার কোনো ক্ষতি হবে না।’

মেয়েটা দু চোখ বুজে বড় এক শ্বাস নিয়ে বললো, ‘তাই তো! আমি আর বাবু একসাথে থাকবো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’

হঠাৎ কেঁদে ফেললেন স্বাধীনের ভাই শাফিন। তার কান্না দেখে চুপ হয়ে গেল ছোট বউ। তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, চৈতি তার হাত ধরেই রেখেছে। ঘরের দরজার কাছাকাছি যেতেই ছোট বউ বলে উঠলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ!’

চৈতি থমকে গেল। কি শুনেছে সে, তা বোধগম্য হলো না। পুরো কালিমার শেষ অংশটুকু বলতে পারলেন না ছোট বউ। হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বউকে আঁকড়ে ধরলেন শাফিন। স্বাধীন কোথা থেকে ছুটে এসে এই অবস্থা দেখে বললো, ‘আরে কান্নাকাটি না করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যেতে দাও।’

কারো মুখে কথা নেই। হাসপাতাল থেকে আসা নার্স দুজনের মাঝ থেকে একজন মুখ নামিয়ে বললেন, ‘উনি বেঁচে নেই।’

স্বাধীন শোক সামলে উঠতে না পেরে দরজা ধরে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলো। ততক্ষণে সবাই জড়ো হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনের মা নাজমা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। তাকে নিয়ে কয়েকজন ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বড় ভাবি কাঁদতেও ভুলে গেলেন। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটা এভাবে চলে যাবে কেউ কল্পনা করতে পারেনি।

ঘরে নতুন শোক। তিনতলায় মহিলারা শোক পালন করছেন, নিচ তলায় পুরুষ মানুষের আনাগোনা। চৈতির ভালো লাগছে না আর। শিমুলকে নিয়ে নাজমা বেগমের কাছে গিয়ে তার পরিস্থিতি দেখে এলো সে। এখন সান্ত্বনা দেয়ার মতো অবস্থাও নেই। দীর্ঘশ্বাস ফেলে চৈতি ঘরের বাইরে পা রাখতেই সৌরভকে দেখতে পেলো। দ্রুত শিমুলের পিছে লুকিয়ে সে বললো, ‘শিমু আপু, তুমি একটু সৌরভ ভাইয়াকে দেখো। আমি ততক্ষণে নীচে নেমে যাই।’

শিমুল কি বুঝলো বোঝা গেল না, চৈতিকে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেল সে। চৈতি সৌরভের অগোচরে ধীরে ধীরে হেঁটে জায়গাটা পার হলো। সামনে এগোতেই শুনতে পেল কেউ বলছে, ‘স্বাধীন, কই গেলি?’

চৈতি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, স্বাধীন একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভিড়িয়ে দিয়েছে। সে আশেপাশে শিমুল আর সৌরভের উপস্থিতি আছে কিনা তা দেখে সেই ঘরের দিকে পা বাড়ালো। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলো সে স্বাধীন দুই হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছে।

এই ঘরটা একদম কোণায় হওয়ায় এর আশেপাশে লোকজন নেই। স্বাধীন সবার সামনে নিজেকে শান্ত দেখাচ্ছে ঠিকই কিন্তু ভেতরটা তার পুড়ে যাচ্ছে। সেই পোড়া ক্ষত কমাতে অশ্রু বিসর্জন খুব প্রয়োজন ছিল। এই ঘরের আশেপাশে কাউকে না পেয়ে ঘরে ঢুকে মন হালকা করার চেষ্টা করছে সে। সকলের সামনে পুরুষ মানুষের কাঁদতে নেই, এই কথা ধারণ করেছে স্বাধীন।

চৈতির মন কেঁদে উঠলো। ভুলেই গেল সে কোথায় আছে। মনচোরার এমন বিপদে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না সে। ঘরে ঢুকে স্বাধীনের সামনে দাঁড়ালো চৈতি। বাহিরের মানুষ হঠাৎ এসে পড়লে কলংক ছড়িয়ে যাবে সেই ভয় তার মাঝে কাজ করছে না। স্বাধীন দুই হাতে নিজের মুখ ঢেকে রাখায় তাকে দেখতে পায়নি। চৈতি কাঁপা হাতে স্বাধীনের ঘন চুলের মাঝে হাত ডুবিয়ে দিলো। সাথে সাথে মাথা তুলে তাকালো স্বাধীন।

নির্নিমেষ চাহনি, দুজনের চোখেই অশ্রু জ্বলজ্বল করছে মুক্তোর মতো। চোখের ভাষা দিয়ে কথা বলছে তারা। স্বাধীন কান্না ছেড়ে অবাক তাকিয়ে চৈতির দিকে, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু পাওয়ার পর মানুষের যেই বিস্ময় জেগে উঠে স্বাধীনের মনেও সেই বিস্ময়। চৈতি তখনো কাঁদছে, হাতটা স্বাধীনের চুলে খেলা করছে। ধীরে ধীরে সেই হাত স্বাধীনের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির কাছে আসতেই ঝট করে উঠে দাঁড়ালো স্বাধীন। শুধু দাঁড়িয়েই ক্ষান্ত দেয়নি, দ্রুত গতিতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল সে। চৈতির বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে এলো, তবে মুখে হাত দিয়ে সেই কান্না থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলো সে।

দরজার দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলো চৈতি। শিমুল দাঁড়িয়ে আছে চিন্তিত মুখে। চৈতি কান্না থামানোর চেষ্টা করছে তা দেখে শিমুল বলে উঠলো, ‘দ্রুত আমার সাথে আয়। ছোট ভাবীর গোসলের কাজ শেষ। এখন জানাজা পড়ানো হবে। সৌরভ সেখানে গেছে। ততক্ষণে বাসায় চলে যেতে হবে।’

চৈতি চোখ মুছে শিমুলের কাছে গেল। হাঁটতে হাঁটতে শিমুল বলে উঠলো, ‘মাথার ওড়না পরে গিয়েছে। ঠিক কর।’

শিমুলের কণ্ঠের গম্ভীরতা রাগ নাকি বিরক্ত প্রকাশ করছে তা বোঝা গেল না। বাসায় ফিরে শিমুল নিজের ঘরে গেল, চৈতি তার ফোন নিয়ে বাসায় চলে গেল। ঘরের দরজা আটকে বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ গুজে অঝোরে কাঁদতে লাগলো সে। প্রথমত, মানুষের মৃত্যু যে এতোটা আকস্মিকভাবে আসতে পারে তা নিজ চোখে দেখেছে আজ। দ্বিতীয়ত স্বাধীনের অবহেলা। স্বাধীন তার স্নেহ কিংবা সান্ত্বনা কোনোটাই নিতে চায়নি। মন ভেঙে গিয়েছে চৈতির। ভবিষ্যতে স্বাধীন তার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় চোখের পানি বাঁধ মানছে না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে স্বাধীনের ওপর যাওয়া প্রতিটি ঝড়ের প্রভাব। স্বাধীন কীভাবে সবকিছু সামলে উঠবে তা ভাবতেই চৈতির মন আরো কেঁদে উঠছে।

________

সময় আপেক্ষিক। কারো কাছে একটি ঘন্টা এক সপ্তাহের মতো মনে হয়, কারো কাছে এক মিনিটের মতো মনে হয়। আজ তিনদিন পার হলো, এই তিনদিন চৈতির কাছে তিন মাসের মতো মনে হয়েছে। সৌরভ আসেনি একবারও। শিমুলের সাথেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি তার কারণ শিমুলের স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চৈতি বিরক্ত করতে চায়নি। সাদিয়া আর সাদিক জেবিনের কড়া বকুনি খেয়ে চৈতির ঘরে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। সারাদিন ঘরে বসে কেটে যায়, পড়ার টেবিলে মন বসে না। স্বাধীনের কোনো খোঁজ পায়নি সে। ছাদে যায়নি একবারও। আজ যাওয়ার প্রয়োজন মনে করল সে।

আছরের নামাজ আদায় করে ছাদে চলে গেল। পাশের বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে তালা ঝুলছে। ছোট এক শ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বড় এক শ্বাস নিলো সে। এরপর আল্লাহর কাছে দুয়া করলো, তার মনে শান্তির উদয় ঘটার জন্য। শিমুলের কাছে শুনেছে সে, আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে আল্লাহর কাছে নিজের কষ্টের কথা বলা একটি অন্যতম সুন্নাহ (সহীহ মুসলিম ২৫৩১, সহীহ বুখারী ৪৪৬৩)। কিছুক্ষণ আকাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতেই মনটা হালকা হয়ে এলো। করকর শব্দে পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলো সে স্বাধীন ছাদে এসেছে। চিলেকোঠার ঘরের দরজা খুলে ভেতরে চলে গেল স্বাধীন।

চৈতির ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। বেশ অনেকক্ষণ, প্রায় আধা ঘণ্টা হয়ে গেলেও স্বাধীন ঘর ছেড়ে বের হলো না। চৈতি তবু অপেক্ষা করতে লাগলো। তার নিজেকে বেহায়া মনে হলেও মনটা যেতে দিচ্ছে না কোথাও। স্বাধীন পিঠে ঝোলানো একটি ব্যাগ নিয়ে বের হলো। ঘরের দরজায় আবার তালা মেরে ছাদের দরজার দিকে এগিয়ে গেল। চৈতিকে খেয়াল করে তাকিয়ে থাকলো সে। ঠিক সেদিনের মতো তাদের কারোর পলক পড়ছে না।

স্বাধীন কিছুটা এগিয়ে এলো ছাদের কিনারায়। হাতের ইশারায় চৈতিকে কাছে ডাকলো। চৈতিও স্বাধীনের কাছাকাছি থাকা রেলিং এর কাছে গিয়ে দাঁড়ালে স্বাধীন বললো, ‘মনে আশা রেখো না।’

চলে গেল সে। চৈতির কানে তখনো বাজছে, ‘মনে আশা রেখো না।’

_________

চলবে ইন শা আল্লাহ……….

[বিশেষ কারণে আজ আগে আগেই দিয়ে দিলাম।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here