লোডশেডিং’ শেষ পর্ব

0
458

‘লোডশেডিং’
শেষ পর্ব

তাবিনা মাহনূর

____________________

পৃথিবীর মন্দটুকু ভুলে ভালোবাসাকে আপন করে বেঁচে থাকে শত শত মানুষ। তা নাহলে তাদের জন্য যে পৃথিবীটা নরক সমতুল্য।

চৈতির দিনক্ষণ কেটে যায় ভালোবাসা স্মৃতিতে ধারণ করে। শুধু তার পরিবার নয়, পাঠকদের ভালোবাসা তাকে প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেয়, ‘তোমার অস্তিত্বের মান শূন্য নয়।’ চৈতির ছোটবেলা থেকে দারুন গল্প বলার সৃজনী ক্ষমতাটা সে উপন্যাসের পাতায় প্রয়োগ করেছে। আল্লাহর দেয়া এই উপহার তাকে সদকায়ে জারিয়া তৈরি করে রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।

গতকাল তার প্রথম বই বের হয়েছে। এই নিয়ে গতদিন সে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে মহা আনন্দে কাটিয়েছে। নিবরাস একজন বোধবুদ্ধি সম্পন্ন পুরুষ। সে চৈতির মনের খবর আপনাআপনি বুঝতে পারে। তাই চৈতিকে সে আজ সারাফের কাছে এনেছে। তাকে বলেছে, ‘দুদিন থাকো এখানে।’

চৈতি শুনে একটু রাগ দেখিয়েছে, ‘মাত্র দুদিন? গত চার মাস ধরে এখানে আসা হয় না। এবার একটা সপ্তাহ থাকি?’

ভ্রু কুঁচকে নিবরাসের উত্তর ছিল, ‘চার মাস আগে এসেছিলে। পরের মাসে গর্ভধারণের কথা জানলে। ডাক্তারের উপদেশ মনে নেই? প্রথম তিন মাস খুব সাবধানে চলতে হয়। এজন্যই তো বাসা থেকে বের হতে দিইনি। তুমি শুধু আমার থেকে দূরে থাকতে চাও।’

চৈতি হেসে বলেছে, ‘আচ্ছা, পাঁচদিন?’

– তিনদিন!

নিবরাসের কাছেই হার মানতে হয় চৈতির। নিবরাস তাকে একটুও দূরে রাখতে চায় না। যাওয়ার আগে নিবরাস কানে কানে বলে গিয়েছে, ‘আমার যে একা ভালো লাগে না সাফা। তিনদিন পর এসে আমি সহ দুদিন থেকে যাবো। পাঁচদিন হলো তো?’

চৈতির আসার কথা শুনে শিমুলও বায়না ধরেছিল মায়ের বাড়ি আসার জন্য। মাহতাব তাকে রেখে গিয়েছে। দুই বোন এখন আড্ডায় ব্যস্ত। শিমুল চৈতিকে দেখছে। কত সুখী মনে হচ্ছে তাকে! শিমুলের চোখ ভরে উঠলো। সে বললো, ‘আলহামদুলিল্লাহ! তোকে দেখলে আমার আনন্দে অশ্রু ঝরে রে।’

চৈতি হাসলো, ‘সত্যিই আপু। নিবরাসের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আশ্চর্যের বিষয়, এই যে দুটো বছর কাটিয়ে দিলাম আমার নতুন ঘরে, কোনোদিন কেউ সাহস পায়নি আমাকে অপবাদ দিয়ে কথা বলার। এক আত্মীয়া একবার শুধু নিবরাসের ছোট আম্মুর সাথে আমাকে তুলনা করে বাজে কথা বলেছিলেন। পরেরদিন থেকে দেখি ওই আত্মীয়া কেমন ভয়ে ভয়ে চলছেন। নিবরাসকে বকা দিয়েছি আমি। আমাকে কি বলে জানো? সে নাকি কিছুই বলেনি। শুধু বলেছে, “আমার ছেলে মেয়ে হলে তোমার আশেপাশে যেন না যায় সেই ব্যবস্থা করবো। কারণ তুমি যে ভয়ানক মানুষ, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলো। আমার ছেলেমেয়েদের কষ্ট দিলে হয়তো ওরা তোমার চুল ছিঁড়ে ফেলতে পারি, কারণ এটা আমিই শিখিয়ে দিব। আমার তখন গুনাহ হবে।”

মূলত মানুষটা হলেন নিবরাসের দাদি। নিজের প্রিয় নাতির ছেলেমেয়ে না দেখার এবং নিবরাসের রাগের শিকার না হওয়ার কারণে তিনি মুখে কুলুপ এটে থাকেন। নিবরাস অবশ্য দাদিকে খুব সম্মান করে চলে। সে কখনোই কারো সাথে বেয়াদবি করে না পারতপক্ষে। চৈতি পরনিন্দার ভয়ে নিবরাসের দাদির নামটা গোপন রাখলো। তবে এ কথা শুনে শিমুল হাসতে হাসতে চোখের জল ছেড়ে দিলো। চৈতি পেটে হাত রেখে বললো, ‘আমি সত্যিই সুখী, আলহামদুলিল্লাহ।’

শিমুল বললো, ‘একটা প্রশ্ন করবো চৈতি, রাগ করবি না তো?’

– উহু। বলো, আজ আমি খুশি আছি।
– স্বাধীনকে কেন মেনে নিস নি?

চৈতি হাসলো, ‘এতোদিন পর এই প্রশ্ন?’

– কারণ তোকে খুব সুখী দেখে আমার মনে হলো, এই সুখটা কি স্বাধীনের সাথে হতে পারতো না?
– জানি না আপু। সুখ আল্লাহ দিয়েছেন। কার সাথে দেয়া হয়েছে, এটাও আল্লাহই নির্ধারণ করে রেখেছেন। তাই এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে একটা কথা বলি, আমি নোংরা একটা দুর্ঘটনার শিকার যেখানে সমাজ আমাদের মতো ভুক্তভোগীকে সবসময় দোষারোপ করে। আর আমাদের মতো নারীদের জন্য নিবরাসদের মতো পুরুষ খুব খুব খুব প্রয়োজন।
– স্বাধীন কি তেমন পুরুষ নয়?
– এখন কেমন জানি না। তবে আগে তেমন ছিলেন না উনি।
– মানে?

চৈতি বললো, ‘আপু, একটু খেয়াল করে দেখো। যেদিন আমার সাথে ভয়ানক ঘটনা ঘটলো সেদিন স্বাধীন ভাই অনেক সাহায্য করেছেন। কিন্তু একবারও আমার জন্য এগিয়ে এসেছেন? আমি একটা মোহে পড়েছিলাম তার উপর। যেটাকে তিনি ভালোবাসা বলেই জানতেন। তারপরও আমাকে বিয়ে করার সাহস হয়েছিল উনার?’

শিমুল বললো, ‘হয়তো চেয়েছিল, সাহস পায়নি বলার।’

চৈতি মুচকি হাসলো, ‘এটাই নিবরাসের সাথে তার পার্থক্য। নিবরাস কিন্তু ঠিকই সবার সাথে ঝামেলা করে আমাকে বিয়ে করেছেন। কারণ তিনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন, আমার অবস্থা যাচাই করে তিনি আমাকে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু স্বাধীন ভাই? আমি কখনোই নিবরাসের সাথে কাউকে তুলনা করতে চাই না বা চাইনি। তুমি কথা তুললে বলেই বলছি, স্বাধীন ভাই কিন্তু এসব ব্যাপারে কেমন যেন গা বাঁচিয়ে চলতেন। নিবরাসের মতো পুরুষদের জন্যই আমাদের মতো নারীরা নিরাপদ জায়গা পায়। কারণ নিবরাস আমাকে কষ্ট পেতে দেখতে চান না। আমি আবারো বলছি, স্বাধীন ভাই এখন কেমন আমি জানি না। তবে তার আগের ভূমিকা বিবেচনা করলে আমি সত্যিই হতাশ হই।’

– হুম, বুঝেছি। তবে স্বাধীন কিন্তু ভালো ছেলে।
– অবশ্যই, উনি যা করেছেন আমার জন্য তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে। কিন্তু আপু, এই বিষয়টা এখানেই বাদ দিই? আমি চাই না আমার মুখ থেকে নিবরাস ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের আলোচনা বের হোক। তা দুর্নাম তো নয়ই, সুনামও নয়।

শিমুল কথা ঘুরিয়ে চৈতির লেখালেখি জীবন নিয়ে আলাপ জমিয়ে তুললো। সেই সাথে শিমুলও তার সাংসারিক জীবনের গল্প করলো। জেবিন তাদের গল্প দেখে মুচকি হাসলেন। তিনিও চৈতির উসিলায় পর্দা ধরেছেন। সাদিয়া মেয়েটা আগের তুলনায় শান্ত হয়ে গিয়েছে, চৈতির শাসনে। তিনি তাই নিশ্চিন্ত থাকেন। সাদিয়ার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন চৈতিকে। পূর্বে চৈতির সাথে বাজে ব্যবহার করতেন মনে করেই তিনি অনুতপ্ত হন। এখনো আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি ঘরের দিকে পা বাড়ালেন, এমন সময় সারাফ এলেন অনেক বাজার সদাই করে। মুচকি হেসে তিনি বললেন, ‘আজ ভালো ভালো রান্না করো চৈতির উম্মি, আমার চৈতালির শুভ দিন এসেছে!’

আজ সারাফের বাড়িতে আনন্দের হাট বসেছে। নীরা এলেন, সাজিদ এলেন। সজীবকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আসেননি। আনাসের বউকে মেনে নিয়েছেন নীরা। তারাও আজ আসবে। আর আসাদ থাকে লন্ডনে। তার আগমন হবে ভিডিও কলের মাধ্যমে।

দিলারাকে ফোন করেছিলেন জেবিন। দিলারা অনেকদিন পর স্বাভাবিক স্বরে কথা বলেছেন। কারণটা জানা গেল অবশ্য। সৌরভ বিয়ে করবে। চৈতি যখন পাত্রী সম্পর্কে জানলো, তখন সে কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়েছে। মাইমুনা সৌরভকে বিয়ে করবে। সৌরভেরও তাতে সায় আছে। চৈতি স্বস্তির শ্বাস ফেললো। মাইমুনা দ্বীনের পথে আছে। সৌরভও ক্ষমা চেয়েছে অনেকবার। হতে পারে একদিন সৌরভ দ্বীনের আলো খুঁজে পাবে। মাইমুনার ভঙ্গুর পরিবারে সৌরভের মতো উচ্চবিত্তবান একজনকেই প্রয়োজন ছিল। মাইমুনা তাই নিজের সম্মান ও স্বাদ বিসর্জন দিয়ে সৌরভকে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে। চৈতি শুধুই দুআ করে দিলো।

জয়নাব সবাইকে একত্রে দেখে হাসছেন। ছলছল নয়ন জোড়া তার। তিনি কেমন আনমনে দেখলেন, কুহু হাসছে। কুহু মুচকি হেসে সবাইকে দেখছে। জয়নাবের গাল বেয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়লো।

_________________

স্বাধীন এখন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরিরত অবস্থায় আছে। ঢাকার পরিবেশ থেকে এতোটা দূরে থাকতে তার কোনো কষ্ট হয় না। শুধু ছেলেটার জন্য মন কাঁদে। আজও ছেলেটা ফোন করে বলেছে, ‘আব্বু, তুমি আসো না কেন? আমার খুব খারাপ লাগে।’

ছেলেটা বড় মানুষের মতো করে কথা বলে। স্বাধীনের চোখে অশ্রু জমে, ‘আসবো বাবা। কাল পরশুর মধ্যেই আসবো ইন শা আল্লাহ।’

স্বাধীন ছেলের আকুতি শুনে তিন দিনের ছুটি নিয়েছে। চৈতির বিয়ের খবর শোনার পর সে পাবনায় চলে আসে। সে আর বিয়ে করেনি। একাকী জীবনই ভালো লাগে তার। কারণ এই যুগে কোনো মেয়েকেই বিশ্বাস করতে পারে না সে।

কাল চৈতির লেখা উপন্যাস বের হয়েছে। উপন্যাসের নাম ‘লোডশেডিং’। স্বাধীন অর্ডার করবে না ভেবেও করেছে। আজ পার্সেল এসেছে। বইটা খুলে সে চৈতির শুভেচ্ছা বাণী পড়লো যেটা সে তার পাঠকদের উদ্দেশ্যে লিখেছে।

সারা রাত ধরে উপন্যাস পড়লো স্বাধীন। পুরো উপন্যাস জুড়ে একজন ধর্ষিতা নারীর জীবন কাহিনী লেখা। তবে সম্পূর্ণ উপন্যাস চৈতির জীবনের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ নয়। অর্ধেক মিল রেখে বাকি অর্ধেক দ্বারা সে ইসলামের বাণী পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে ‘সাফা’ নামের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মাধ্যমে। তবে স্বাধীনের চোখ আটকে গেল উপন্যাসের শেষ পাতায় গিয়ে। যেখানে সাফা ও তার বড় সন্তান বৃষ্টির কথোপকথন রয়েছে।

“- আম্মু, তুমি কীভাবে এতটা ধৈর্য ধরলে বলো তো?

সাফা হাসলো। মেয়েটা বেশ কৌতূহলী হয়েছে। সে হেসে বললো, ‘সর্বপ্রথম তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। এরপর আমি একটা জিনিস মনের মাঝে ধারণ করে নিয়েছি।’

– কি সেটা?
– লোডশেডিং।
– মানে?
– প্রতিটা মানুষ বলে, ঘন কালো রাতের পর ঠিকই সূর্য উঠবে, ভোর হবে। কিন্তু আমি বলি, সূর্য উঠলেও, আবার তা অস্ত যায়। যায় না?

বৃষ্টি চুপ করে আছে। যেমন সূর্যোদয় ঘটে, তেমন সূর্যাস্ত দেখা যায়। কিন্তু সে এখনো লোডশেডিং এর উপমাটা বুঝতে পারেনি। তাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। সাফা বলে দিলো।

– তাই আমি এটাকে লোডশেডিং বলি। জীবনের লোডশেডিং। যেটা কখন আসবে বলা যায় না, কখন ঠিক হবে বলা যায় না। সূর্যোদয়ের পর ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শান্তি। তারপর আবার মনে হয়, সন্ধ্যা তো এসেই গেল। সূর্যাস্ত ঘটবে। কিন্তু লোডশেডিং? তুই এখন আলোর মাঝে আছিস। মাসের পর মাস তোর আলো থাকে। হঠাৎ লোডশেডিং দেখা দিলো। আলো নেই, অন্ধকার হাতড়ে তুই বেঁচে থাকার লড়াই করছিস। তুই জানিস না কখন আলো আসবে, কারণ এখানে সূর্যোদয়ের মতো নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তারপর আল্লাহর ইচ্ছেতে একদিন আলো আসবে। তুই শান্তিতে শ্বাস নিতে পারবি। কিন্তু তুই জানিস না লোডশেডিং আবার কবে হবে, জীবনের লোডশেডিং।

বৃষ্টি বললো, ‘তাহলে কি আমরা শুধু লোডশেডিং এর ভয় করবো?’

– উহু, বরং এই সময়টাকে উপভোগ করবি। লোডশেডিং হলে যেমন আমরা অন্ধকারকে খুঁজে পেয়ে সব কাজ রেখে একাকী একটু সময় কাটাই, জীবনের লোডশেডিং ঘটলে সব কাজ ফেলে আল্লাহর সান্নিধ্যে কাটানোর মাঝে আছে অপার সুখ। আল্লাহকে নিয়েই সেই সময়টা কাটে অবর্ণনীয় স্মৃতিময়। যেমনটা আমি কাটিয়েছিলাম। আমার জীবনে যখন লোডশেডিং এলো, কবে আলো আসবে তা জানতাম না। কিন্তু আমি সময়কে থামিয়ে রাখিনি। সময়ের সাথে চলেছি ঈমানের পথে। আল্লাহকে হৃদয়ে গেঁথে অপেক্ষা করেছি উজ্জ্বল আলোর আশা নিয়ে।

বৃষ্টি মুচকি হাসলো। সাফা তার কন্যার চিবুকে হাত রেখে বললো, ‘মামণি, সবার জীবনেই মাঝে মাঝে লোডশেডিং দেখা দেয়। এটাকে বিপর্যয় মনে না করে শিক্ষা মনে করলে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। তখন এই লোডশেডিং এর সময়টুকু উপভোগ করা যায় এবং দ্যুতির আকাঙ্ক্ষা আরো দৃঢ় হয়। আশা জাগে যে একদিন আলো আসবেই। সেই পর্যন্ত তাওয়াক্কুল রাখি, জীবনের কঠিন সময়টাকে সরল পথে চালিয়ে নিই।’

(সমাপ্ত)”

বইটা বন্ধ করলো স্বাধীন। তার মনে হলো, এই কথাগুলো কেউ তার সামনে বসে তাকে বলেছে। মনে পড়লো তার, বাসন্তী রঙের শাড়ি পরা মেয়েটা এখন কালো বোরকায় আবৃত থাকে। আশ্চর্য তো! মেয়েটার চেহারা মনে করতে পারছে না স্বাধীন। একদম না! একটুও মনে পড়ছে না। না চেহারা, না কন্ঠ। কোনোটাই মনে আসছে না তার। মনে করতে হলে মস্তিষ্কে প্রচন্ড চাপ পরছে। স্বাধীন আর চেষ্টা করলো না। থাক না মেয়েটা একান্ত কারো হয়ে। সে কেন অন্য নারীকে মনে করবে। আস্তাগফিরুল্লাহ!

হঠাৎ স্বাধীনের ইচ্ছে হলো লোডশেডিং এর সময়টাকে উপভোগ করতে। সে ফোন হাতে নিলো। মাকে ফোন করে সে বললো, ‘মা, আমার জন্য পাত্রী খুঁজতে থাকো। আমি বিয়ে করবো আবারো। জীবনের এই লোডশেডিং উপভোগ করার পরই আমার আলো আসবে ইন শা আল্লাহ। আমি সেই আলোর অপেক্ষায় আছি মা। ঠিক চৈতির মতো!’

_______________

(সমাপ্ত আলহামদুলিল্লাহ)

[চৈতির সাথে আপনাদের জার্নিটা আজ শেয়ার করবেন দয়া করে। আমার কথা বলি, খুব ভালো লেগেছে আপনাদের অনুভূতি জেনে। ভালোবাসা অবিরাম!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here