#ধারাবাহিক_গল্প #হ্যাঁ_তোমায়_ভালোবেসেছিলাম ১০
#আসেফা_ফেরদৌস
হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মল্লিকা। ভাবছে, গড়গড় করে জীবনের হাজার গল্প বললেও এই গল্পটা কখনোই বলেনি ফয়সাল, একদম চেপে গিয়েছে। কেন বলল না, কী কারণ থাকতে পারে, আশ্চর্য ব্যাপার।
মেয়েটার ভাবনাগুলো এলোমেলো হতে শুরু করেছে প্রতিমুহূর্তে, ওর বিস্মিত, আহত, একটু লজ্জিত, দুশ্চিন্তাগ্ৰস্ত দৃষ্টি পাশে বসে থাকা মানুষটাকে মল্লিকার চিরচেনা ফয়সালের সঙ্গে ঠিক যেন মেলাতে পারছে না। এতবছরের জীবনে ফয়সালকে এতটা ধীরস্থির সে দ্যাখেনি, এভাবে কষ্ট পেতে দ্যাখেনি। ফয়সালের প্রতিটা বাক্যের ভেতরের কষ্ট যেন মন ছুঁয়ে যাচ্ছে! ছেলেটা মল্লিকাকে ভীষণ ভালোবাসে। এবং ওর মধ্যে এখনো যথেষ্ট ছেলেমানুষি আছে। সেজন্যই আগপিছ চিন্তা করে নিজের অতীত বলতে পারেনি মল্লিকা, জানা ছিল, ফয়সাল আঘাত পাবে। কিন্তু এত সাবধানতার পরও কষ্টটা সে পেয়েই গেল!
মল্লিকাকে এভাবে ওর দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকতে দেখে ফয়সাল হাসল আবার, একটু অপেক্ষা করে বলল, আমাকে নিয়ে ভেবো না মল্লিকা, এমন না যে, এখন থেকে আমি সবসময়ই এমন মন খারাপ করে থাকব, আমিও জানি ব্যাপারটা বড়োজোর এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হবে না!
কিন্তু ততদিন আমি নিজের মতো থাকতে চাই, আবার একটু বাউন্ডুলে হতে চাই, এক কথায় এই বেদনটা লালন করে দেখতে চাই কেমন লাগে! তুমি যদি দশ বছর কষ্ট পুষে রাখতে পারো, তবে আমার এক সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখতে দোষ কোথায়!
সত্যি বলতে আমার কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই। আমি শুধু কয়েকটা দিন আপনমনে কাটাতে চাই, কাছের মানুষদের জীবনে নিজের অবস্থান মূল্যায়ন করতে চাই, একটু ভালো করে জানতে চাই যে কার জীবনে আমি কতটা অপরিহার্য আসলে! কেননা, আগপিছ ভাবতে গিয়ে আজকাল মনে হচ্ছে আমি মানুষটা বোধহয় কারোরই খুব একটা প্রিয় হতে পারিনি!
কিছুদিন পর হয়ত মুকুলও এসে বলবে, বাবা, তুমি বাবা হিসেবে খুব একটা সফল নও, আমার জন্য নির্ঝঞ্ঝাট একটা জীবন নিশ্চিত করতে পারোনি তুমি! ছেলেমেয়েদের বাবা মাকে ঘিরে এমন কিছু না কিছু আক্ষেপ তো থাকেই!
মল্লিকা হাসল একটু, কিন্তু সে যে রেগে গিয়েছে সন্দেহ নেই। হঠাৎ ঘড়ি দেখল ফয়সাল, বলল, দেখেছ কতক্ষন বসিয়ে রেখেছি, আমার তো মনেই নেই! যাও, যাও, রেডি হও। শোভন ভাই নিজে আসছেন তোমার জন্য।
কেন?
ওমা! আজ না তোমাদের কাজিনদের গেট টুগেদার, তিনি ফোন করে আমাদেরকে যেতে বললেন। আমি বলেছি আমার শরীরটা ভালো নেই, তবে তুমি যাবে অবশ্যই!
কেন বললে?
আরে আশ্চর্য! আপু দুলাভাইয়ের সঙ্গে যেতে না দিয়ে আমার যেমন একটা বদনাম হলো, তারপরও আবার না করব! মাথা এতটাই খারাপ নাকি? এবার যেতে না দিলে কাকে কী না কী বলে বসবে, তার তো কোনো ঠিক ঠিকানা নেই!
মল্লিকা বলতে গেলে আকাশ থেকে পড়েছে। কোনোরকমে বলল, আমাদের না আজ লং ড্রাইভে যাবার কথা?
কথা ছিল! কিন্তু আমার শরীরটা যে ভালোমতোই বিগড়ে গিয়েছে, সেজন্যই ঐ প্ল্যান ক্যানসেল আপাতত, তারচেয়ে বরং তুমি গিয়ে ঘুরে এসো!
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মল্লিকা, বেশ একটু রেগে গিয়ে বলল, ফয়সাল, এতক্ষণ আমি তোমার সব কথা চুপচাপ শুনেছি, এভাবে বললে কিন্তু আর চুপ করে থাকব না, ভালো ঝগড়া হয়ে যাবে বলে দিলাম! কান খুলে শুনে রাখো প্লিজ, তোমাকে এ অবস্থায় রেখে কোথাও ঘুরতে টুরতে যাচ্ছি না আমি!
ফয়সাল চোখ তুলে তাকাল একবার, ঠোঁটে একটু মুচকি হাসি, যে হাসি আহত হৃদয়ের গল্প বলে! আজ মল্লিকার ওর জন্য এই মায়া হয়ত ফয়সালের দৃষ্টিতে অনর্থক। ছেলেটা চুপচাপ মিষ্টি খাচ্ছে। আর কিছু বলার নেই। তবে মনটা হালকা লাগছে বেশ।
দশ মিনিট পর,
ফয়সাল, মল্লিকা পাশাপাশি বসা,শোভন ভাইকে ফোন করে মল্লিকা নিজে নিষেধ করেছে। ও গজগজ করতে করতে বলল, আমাকে কোনো না কোনোভাবে কষ্ট দেয়ার জন্য সে সবসময় এক পায়ে খাড়া থাকে! আমি বলব এক, তিনি বুঝবেন আরেক! এই হলো গিয়ে ভাগ্য!
ওহ্ আচ্ছা! এতকিছুর পরও বুঝি কষ্টটা তুমি বেশি পেয়েছ? এবং এখনো নিজেকেই সঠিক মনে হচ্ছে তোমার! আশ্চর্য! কিন্তু এমন একটা ঘটনা আজ আমি ঘটালে, কান্নাকাটি, চিৎকার চেঁচামেচির আর শেষ থাকত না! অতীতের ভালোবাসার কাছে আমি এভাবে আক্ষেপ করলে কথাটা এ বাড়ির মানুষজন তো জানতই, এরপর ফোনে ফোনে খবর গিয়ে পৌঁছাত তোমাদের বাসায়, মৌনী আপুর বাসায়, তারপর আকারে ইঙ্গিতে আপু দুলাভাইও আমাকে কিছু না কিছু হিতোপদেশ তো দিতেনই! ফয়সাল যে রেগে গিয়েছে বোঝা যায়।
মল্লিকা অবাক। বিস্মিত কন্ঠে বলল, আশ্চর্য! আজ এত বছর পর আমার সম্পর্কে এই মূল্যায়ন তোমার? আমি বুঝি সব কথা, বাসার সবার কাছে, মা বাবার কাছে, আপু দুলাভাইয়ের কাছে বলে বেড়াই? ভালো, বেশ ভালো! আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল মেয়েটা কিন্তু ফাইজার কন্ঠ শুনে থেমে যেতে হলো।
ও ঢুকতে ঢুকতে বলল, ওহো! চখাচখিরা এখানে! ছোটো ভাইয়া, তোমাকে যে পুরো বাড়ি খুঁজে এলাম! অথচ, তুমি এখানে বসে ভাবির সাথে আড্ডা জুড়েছ!
ছোট মামা বাইরে থেকে ফিরেছে রে?
হ্যাঁ কখন! মামা খুঁজছে তোমাকে!
আচ্ছা, চল যাই, এভাবে শুয়ে বসে থাকতে আমারও ভালো লাগছে না!
উঠে হাটতে শুরু করেছে ফয়সাল, মল্লিকা তাকিয়ে আছে। বেরিয়ে যাবার সময় ফাইজা বলল, ভাবি তুমি আসবে না?
তোরা যা, আমি একটু রান্নাঘরে যাব!
আচ্ছা।
মল্লিকার কন্ঠটা শুনতেই ফয়সাল ফিরে তাকিয়েছে, খানিকক্ষণ এভাবেই তাকিয়ে থেকে একপর্যায়ে বেরিয়ে গেল।
তিনদিন পর।
অফিসে নিজের রুমে বসে আছে ফয়সাল। দুপুরের খাবার সময় প্রায় হয়ে এসেছে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না। বাসায় এত হৈচৈ, আনন্দ, সবার সঙ্গে চমৎকার সময় কাটছে, তারপরও কাল দুপুর থেকে ওর মন খারাপ। মন খারাপ মল্লিকার জন্য!
মেয়েটা সবার সামনে একদম হাসিখুশি, স্বাভাবিক, ঘরের কাজ করছে, মা, বাবা, মামা, প্রত্যেকের খেয়াল রাখছে, মুকুল, মিনিকে সামলাচ্ছে, ফয়সালের যত্ন নিচ্ছে, ফাইজার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে, অংশ নিচ্ছে পারিবারিক আড্ডা কিংবা হাসি ঠাট্টায়! অথচ এতকিছুর পরও ফয়সাল ঠিক জানে মল্লিকা ভালো নেই! ও ভীষণ বাস্তববাদী, ব্যক্তিত্ববান এবং অদ্ভুত একটা মেয়ে। যে ছোটখাটো কষ্টের ব্যাপার সহজে বললেও মারাত্মক কষ্টের কথা বলতে চায় না! এবং এবার ফয়সালের আচরণে মেয়েটা মারাত্মক কষ্টই পেয়েছে।
কষ্ট তো ফয়সালও পেয়েছিল, ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল! যে কষ্ট থেকে স্বাভাবিক হতে সময় লেগেছে বেশ। তবে একবার মন খুলে সব কথা বলে ফেলার পর ভেতরটা হালকা হয়ে গেছে। মল্লিকার উপর রাগ ছিল, দুজনের মধ্যে সরাসরি কথাও হয়নি খুব একটা, তারপরও পরিবারের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছে ওরা। ঘুরে বেরিয়েছে, জমিয়ে আড্ডা দিয়েছে, হৈচৈ হাসি আনন্দ খাওয়া দাওয়া সব হয়েছে। একটা বয়সের পর জীবন এমনই হয় কি!
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, মল্লিকা ফয়সালের রাগ ভাঙানোর কোনো চেষ্টাই করেনি, আর একটা কথা বলেনি আরফানকে নিয়ে। অবস্থাটা যেমন আছে ঠিক তেমনই থাকতে দিয়েছে। মনে হয় যেন সেদিন দুপুরের ফয়সালের কথাগুলো সে বেমালুম ভুলে বসে আছে। কিছুই যেন হয়নি ওদের মধ্যে!
এমন স্বাভাবিকতায় গত তিনদিনে ফয়সাল ধীরে ধীরে আবিষ্কার করেছে কিছু কিছু মানুষের উপর চাইলেও রাগ করে থাকা যায় না! মল্লিকার আচরণ বিশ্লেষণ করে ওর বারবার মনে হয়েছে, আচ্ছা আমি কি অনেক বেশি রিঅ্যাক্ট করে ফেলেছি, কী হতো সেদিন এতগুলো কথাগুলো না বললে? একবার একটা বিষয় কি জীবনের স্বস্তির কথা ভেবে চেপে রাখা যেত না, এড়িয়ে যাওয়া যেত না? কিংবা বললেও আরো সহজভাবে বলা উচিত ছিল। আসলে সেদিন শরীরটা বিগড়ে গিয়েই সব হিসাবনিকাশ উল্টো পাল্টা করে ফেলল! শারীরিক যন্ত্রণায় ভেতরের দুঃখ বেদনা সব গড়গড় করে বেরিয়ে চলে এসেছে। আরে, এতটা সরল সোজা হলে তো সমস্যা!
এই সরল সোজা মানুষটা অবশ্য ভালো বেকায়দায় পড়েছে এখন, এমন স্বাভাবিকতার দেয়াল টপকে রাজ্যের কথা বলা গেলেও জীবন জীবনের গতিতে চললেও দু অক্ষরের সরি শব্দটা বলা যাচ্ছে না! বলতে গেলেই মনে হয়, জীবন তোমার, গল্প তোমার, রহস্য তোমার, ব্যর্থ প্রেম তোমার, হাহাকারও তোমার অথচ অযাচিত কষ্টটা আমার ভাগ্যে জুটল! এমন কেন হবে? এতকিছুর পরও কি সরি শব্দটা তুমি বলতে পারো না? এত ইগো কেন! এভাবেই আপনমনে গজগজ করে ফয়সাল, কিন্তু যতই গজগজ করুক, ও জানে শেষমেশ ক্ষমাটা চাইতে হবে তাকেই।
এমন অপরাধবোধের দোলাচলে কাল আবার একটা নতুন ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা ঘনাতেই আকাশে সাজ সাজ রব, আবারও ঝড়ের পূর্বপ্রস্তুতি। ফয়সাল মোবাইলটা হাতে নিয়ে খেলছিল, ও জানত মল্লিকার ফোন আসবেই। একবার খালি মেয়েটা অনুরোধ করেই দেখুক, পারলে একদৌড় দিয়ে বাসায় চলে যাবে ফয়সাল।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মল্লিকা ফোন করেনি।উল্টো কল এলো ফাইজার। ফোন ধরতেই মেয়েটা খুশি খুশি গলায় বলল, ভাইয়া আমরা খালামনির বাসায় এসেছি। তুই কি ফেরার পথে এদিক দিয়ে হয়ে যাবি?
দেখি! তোরা সবাই এসেছিস?
না, ভাবি বাসায়। তার নাকি শরীর ভালো নেই!
ফয়সালের বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ডটা ভীষণ জোরে লাফ মেরেছে! একটু আতঙ্কিত গলায় বলল, কেন, মুকুল কোথায়?
আমাদের সঙ্গে।
আশ্চর্য! মল্লিকাকে বাসায় একা রেখে এসেছিস, মুকুলকে রেখে এলে কী হতো?
মুকুল আসতে চাইছিল ভাইয়া, ভাবিও বলল, নিয়ে যা, আমার সমস্যা হবে না!
ও বললেই হবে নাকি, তোদের একটা কমনসেন্স নেই? দেখেছিস না আকাশের কী অবস্থা!
সরি ছোট ভাইয়া! আসলে আমরা যখন বের হই তখন তো আবহাওয়া ভালো ছিল,কে বুঝেছে এমন ঝট করে ঝড়বৃষ্টি চলে আসবে!
আচ্ছা, আমি যাচ্ছি! বলেই ফোন রাখল ফয়সাল, মাথায় এখন একটাই চিন্তা, বাড়ি গিয়ে পৌঁছাবে কখন!
ওর বাড়ি এসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেজেছে সন্ধ্যা সোয়া সাতটা। আকাশে বিদ্যুতের রেখা খেলা করছে একটু পরপর, সঙ্গে মেঘের ভয়ঙ্কর গর্জন। পুরো এলাকায় কারেন্ট নেই, মোবাইল ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে ছেলেটা বলতে গেলে লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি টপকে ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মল্লিকার সাথে ফোনে কথা হয়েছে একবার, এরকম মারাত্মক আবহাওয়ায় রাস্তা থেকে বারবার ফোনে কথা বলতে গেলে মেয়েটা আবার ফয়সালের জন্য দুশ্চিন্তা শুরু করবে। তবে দু তিনবার মেসেজ চালাচালি হয়েছে, ওকে যতটা সম্ভব অভয় দিয়েছে ফয়সাল, কিন্তু এ মুহূর্তে কড়া নাড়তে সাহস হচ্ছে না, মল্লিকা চমকে যেতে পারে।
ফয়সাল ফোন ঘোরাল। এক দুই রিং হতেই ভেসে এলো মল্লিকার কাঁপা কাঁপা কন্ঠ। হ্যা- হ্যা- হ্যালো, মেয়েটা হয়ত কাঁদছেও।
দরজা খোলো আমি বাইরে!
দু এক মিনিটের মধ্যেই খোলা হলো দরজা। মল্লিকার চেহারায় স্বস্তির হাসি, বলল, এসেছ?
ঢুকতে ঢুকতে ছেলেটা বলল, কী ব্যাপার, আই পি এস এর কী হলো, মোমবাতি নিয়ে ঘুরছ যে?
আই পি এসটা আজ সকাল থেকে কাজ করছে না, চার্জ লাইটটাও যে কোথায় রেখেছি খুঁজে পাচ্ছি না!
ওহ্! দেখি মোমবাতিটা, তুমি তো আবার এসব নিয়ে হাঁটতে ভয় পাও।
মোমবাতিটা নিরাপদ জায়গায় রেখে, ডাইনিং রুমের বেসিনে হাতমুখ ধুলো ফয়সাল। এরপর সোজা চলে গেল কয়েকদিন আগে কিনে আনা বড়ো টর্চ লাইটটা খুঁজতে। অকারণে শখ করেই জিনিসটা কিনেছে ও, নিয়ম করে চার্জও দেয়, কিন্তু এটা কেনা নিয়ে মা রীতিমতো বকেছেন। তার এক কথা, এত বড়ো টর্চ হাতে নিয়ে কে বের হবে! জেদ করে গত পরশু জিনিসটা সে লুকিয়ে ফেলেছে, যেটা খুঁজে বের করতে প্রায় পনেরো মিনিট লাগল। আসলে আজকাল একটা জিনিস কোথাও রাখলে এমনিতেই মনে থাকে না তার উপর লুকিয়ে রাখলে তো মহাসমস্যা! যাই হোক টর্চ জ্বেলে দেখা গেল ভালোই আলো হচ্ছে।
ফয়সাল বেশ বিজ্ঞের মতো বলল, দেখলে তো, কখন যে কোন জিনিসটা কাজে লেগে যাবে বলা মুশকিল! অযথাই মা বকাঝকা করল!
তুমি কি এটা লুকিয়ে রেখেছিলে?
কী করব, মা বেশি চটে গিয়েছে। উপায় ছিল না!
সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে একপর্যায়ে উচ্ছল হাসিতে ফেটে পড়ল মল্লিকা। বলল, তোমার আর মুকুলের মধ্যে সত্যিই খুব একটা পার্থক্য নেই!
ফয়সাল একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কখনো কখনো খুব সাধারণ দৃশ্যও অদ্ভুত সুন্দর মনে হয়!
চলবে
কেউ লেখা কপি করবেন না।
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/Anyaprokash/permalink/1516678882180467/