প্রিয়তমা♥️ #writer- সালসাবিল সারা #সিজন_১ পর্ব-১৯

0
784

#প্রিয়তমা♥️
#writer- সালসাবিল সারা
#সিজন_১
পর্ব-১৯
*
*
এই সপ্তাহের শুক্রবার আসতে মাত্র চার দিন বাকি…!!
আর ভাইয়ার আকদের অনেক কাজ এখনও শেষ হয়নি…!!

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভাবীর জন্যে শপিং করা…!!!আর সেটাই এখনো করা হয়নি..!!!

ভাইয়ার আকদ হবে শুক্রবার আসরের নামাজের পরে!! কিন্তু রাতে এনগেজমেন্টের একটা অনুষ্ঠান করা হবে..!!!

ভাবী এবং আমাদের প্রায় আত্মীয়রাই অনুষ্ঠানে আসবেন তাই অনুষ্ঠানের জন্য একটি ক্লাব বুক করা হলো…!!!

ভাবীর বাসা থেকে আসার পরই মেহমানের লিস্ট করা, তাদের দাওয়াত দেয়া, আরো নানা কাজে এতটাই মগ্ন ছিলাম যে ভাবীর জন্য শপিং করাই হয়নি..!!

আজকেই আকদের শপিং করার জন্য আমি ভাইয়া,আপুরা আর সাদিফ ভাইয়া মিলে একসাথে মার্কেটে যাওয়ার প্ল্যান করলাম…!!

বাসার সব কাজ শেষ করে আমরা সবাই একসাথে বিকালের দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম..!!!

কথা ছিল ভাইয়া আর আমি একসাথে আমাদের গাড়ি করে যাবো..!! সাদিফ ভাইয়া আর আপুরা ওদের গাড়িতে যাবে..!!

কিন্তু মাঝখান থেকে বাম হাত ঢুকিয়ে দিলো সাদিফ ভাইয়া…!! যেই মাত্র বাসা থেকে বের হবো তখন এই সাদিফ ভাইয়া আমার ভাইয়া কে বলল….

“রাফসান..!! তুই কি সিউর যে তুই গাড়ি করেই যাবি”..??

“মানে কি??? গাড়ি করে না গিয়ে উড়ে উড়ে যাব নাকি”..!!

“না!! তা কেমনে যাবি??? তবে যেভাবেই যাস শেফা কিন্তু আমার সাথে যাবে..!!তোর যদি একা একা লাগে তাহলে তুই এই দুই বান্দর থেকে যেকোনো একজনকে নিয়ে যা বা দুই বান্দরকে একসাথে নিয়ে যা..!!! নাহলে আজকে শপিং এর কথা ভুলে যা”…!!!

সাদিফ ভাইয়ের কথা শুনে আমার মাথায় চক্কর দিয়ে উঠলো..!! আমারই সামনে আমার ভাইকে উনি আমার জন্য থ্রেট দিচ্ছেন…!! কি সাহস!!!

“এই চুপ কর তুই…!!তুই আর আমি সামনে বসবো আর এই তিন বান্দর পিছনে বসে যাবে…!! আমরা ইজিলি একসাথে সবাই মিলে যাইতে পারতেছি!!!! আলাদা আলাদা যেতে হচ্ছে না”…!!!!

“ওয়াও!!! রাফসান..!!! তুইতো আমার সাথে থেকে থেকে অনেক ইন্টেলিজেন্ট হয়ে গেছোস!!! এই প্ল্যানটা তো আমার মাথায় আসেনি”..!!!

“তোর মাথায় সবসময় চলে কিভাবে কাকে চিল্লাবি..!! কিভাবে কাকে বকা দিবি..!! কিভাবে কাকে মারবি!!! এগুলো ছাড়া তুই আর কি ভাবতে পারিস”..!!!

“হাহাহা..!!! ব্যাড জোক!!! চল তো..!! তোর সাথে ঝগড়া করতে করতে অনেকটা লেট হয়ে গেল”…!!!

ভাইয়া কিছু বলবে যাবে তখনই আমি বলে উঠলাম…

“এই আপনারা কি যাবেন?? নাকি আমরা তিনজন একা একা চলে যাব”???

“সেটাইতো!!! এই টমেটো চলো ত আমরা চলে যাই..!!তোরা আয় আমরা যাচ্ছি”..!!!
সাদিফ ভাইয়া কথা বলে আমার হাত ধরে টান দিতেই ভাইয়া আর্লি গাড়িতে উঠে..সবাইকে বসতে বললো..!!

সাদিফ ভাইয়া উনার গাড়ি আমাদের বাসার উঠানে রাখলেন..!! আমরা সবাই একসাথে রওনা দিলাম!!!

🌸

সাদিফ ভাইয়া আগে বলে দিলেন যে আকদের শপিং যেনো পাকিস্তানি শোরুম টা থেকেই করা হয়..!!!

আর সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো..!! এই শোরুম টা সাদিফ ভাইয়ার নিজেরই…!!!মানে সিরিয়াসলি!!! এটাতে প্রায় অনেক বার আসলাম!! কিন্তু একবারও জানলাম না এটা উনারই শোরুম…!!

এই শহরে উনাদের আরো কি কি আছে আল্লাহ্ই জানে!!!

এবারও আমরা শো রুমের একেবারে কর্ণারে বসলাম!!
আর এদিকে সব নিউ ডিজাইন গুলো সাদিফ ভাইয়া ম্যানেজার কে বলে আনিয়েছেন..!!!

ভাবীর জন্য একটা অনেক সুন্দর গর্জিয়াস গারারা সিলেক্ট করলাম..!!

আমার আর আপুদের জন্য গারারা নিলাম তবে সিম্পল!!বেশি গর্জিয়াস না..!!!! জারাভির জন্য একটা সুন্দর গাউন নিলাম…!!!

ভাবীর আর আমার ড্রেস তো ভাইয়া কিনে দিবে স্বাভাবিক!!! তবে আপুরা আর জারাভির ড্রেসগুলো ভাইয়ার তরফ থেকে গিফট পেয়ে গেলো..!!!!

এরপর আমরা পাশেই একটা শাড়ির শো রুমে গেলাম!!

ভাবির জন্য তিনটা শাড়ি কেনা হলো..!!শাড়ি কেনার সময় সাদিফ ভাইয়া একটা শাড়ি আমার দিকে দিয়ে বললো…

“ফুল!!! এটা তোমাকে অনেক মানাবে..!!তোমার পছন্দ হলে আমি এটা তোমায় কিনে দিতে চায়”…!!

আমি উনার কথায় অবাক হয়ে বললাম….

“আরে..!!আমি কি শাড়ি পড়ি নাকি?? শাড়িটা সুন্দর অনেক..!!!আপনার গার্লফ্রেন্ডের জন্যে নিতে পারেন”..!!

“এই!! সাদিফ!তোর গার্লফ্রেন্ড মানে”…???
কথাটা ভাইয়া অনেকটা রেগেই বললো….

আর এদিকে সাদিফ ভাইয়া আমার ভাইয়াকে”কিছুনা রাফসান!!!পরে বলবো তোকে!!!” কথাটা বলে ভাইয়া থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে শাড়িটা হাতে নিয়ে হন হন করে হেঁটে চলে গেলেন..!!!

কাহিনী কি হলো আগা মাথা কিছু বুঝলাম না…!!!

এরপর আবার আমরা সবাই মিলে একটা শপিং মলে
গেলাম…!!!ভাবীর যত কসমেটিকস,জুতা,জুয়েলারি আরো যা যা দরকার সবই নিয়ে আমরা সাদিফ ভাইয়ার নিউ রেস্টুরেন্টটাতে গেলাম…!!

এতক্ষণের মাঝে আমার সাথে একটুও কথা বললেন না সাদিফ ভাইয়া..!!!

আজব উনার এত্ত রাগ কেন আমি বুঝি না..!!আমাকে তো সারাদিন চিল্লাবে…!!!আমি কিছু একটু বললেই সমস্যা..!!!

*
*
ভাইয়াকে সাদিফ ভাইয়া পুরো রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখাচ্ছে আর আমরা তিন বোন বসে আছি…!!!

ইতি আপুর সামনেই এখন জুমান আপুকে জিজ্ঞেস করা দরকার..!! আসলে জুমান আপুর হয়েছে কি…???

“জুমান আপু???তুমি আমাকে ইগনোর করছো কেনো..?আর আমার উপর এত রাগই বা কেনো দেখাচ্ছো…!!!কি করেছি আমি”???

জুমান আপু আমাকে কিছু বলতে যাবে তখনই.. সাদিফ ভাইয়া আর ভাইয়া এসে হাজির…!!!
শিট!!!
জুমান আপুর সমস্যাটা এখনই বের হতো কিন্তু উনারা এসে সব নষ্ট করে দিলেন…!!!

এমনি তো যেকোনো ভাবে হলেও সাদিফ ভাইয়া আমার পাশে বসে কিন্তু আজ আমার পাশে বসলো না!!!
এত রাগ!! বাবারে বাবা…!!!

এই নে ধর!!!!মেনু দেখ তোরা কি কি খাবি আর্লি অর্ডার কর..!!!(সাদিফ ভাইয়া)

“রাফসান ভাইয়া!!… আমি কিছুই খাব না..!! আমার একদম ভালো লাগছে না..!! আমি বাসায় যাব!!! তোমার তাড়াতাড়ি অর্ডার করো”….!!!

“খাবি না মানে!!! কেন খাবি না?? বিকালের দিকে তো নাস্তা করলি না!!! তোর কি এখনো ক্ষুদা লাগে নি”??
(রাফসান ভাইয়া)

“রাফসান !!ওকে বলে দে…!!এখন যদি ও খাবার অর্ডার না করে!!! আমি কিন্তু ওর অবস্থা বারোটা বাজে ফেলবো”..!!!!(সাদিফ ভাইয়া)
কথাটা অনেক রাগী ভাবে বলেই উনি আমার পাশে এসে বসলেন..!!!

“ব্যস!!! প্ল্যান সাকসেসফুল”!!!আমার প্রিয় গন্ডার টা আমার পাশে এসে বসে গেলেন..!!ইয়ে মানে সাদিফ ভাইয়া আমার পাশে বসে উনার আর আমার জন্যে খাবার অর্ডার করে দিলেন…!!!

আমি অবশ্যই জানতাম উনি আমার এই ফাঁদে পা দিবেনই…!!!উনাকে ছাড়া বেশ একা একা লাগছিলো..!!কিন্তু এখন আমার বেশ ভাল্লাগছে..!!হিহি..!!

🌸

গাড়ি থেকে নেমেই আমরা মেয়েরা বাসায় চলে গেলাম!!কারণ দুইটা বড় গন্ডার থাকতে আমরা কেন জিনিস আলগাবো…!!! হোক না সেটা শপিং ব্যাগ!!!

সাদিফ ভাইয়ারা রাতের খাবার খেয়েই চলে গেলেন..!!
আর যাওয়ার সময় ভাইয়াকে আপুদের ড্রেস দিতে দেখলাম…!!

এই জুমান আপুটার রাজ বের করতেই হবে..?!! কিভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে যেন এখনই কাঁচা চাবিয়ে খেয়ে ফেলবে..!!!

উনারা চলে গেলে… ভাইয়া আমার রুমে এসে আমাকে ড্রেসের প্যাকেট দিলেন সাথে একটা শাড়ির প্যাকেটও দিলেন…!!! শাড়ির প্যাকেট দেখে আমি খানিকটা অবাক হলেও শাড়িটা দেখে একদম শিওর যে এটা সাদিফ ভাইয়া আমাকে কিনে দিয়েছেন!!!!…

ভাই থেকে কিছু আস্ক করতে যাব তার আগে ভাই আমার রুম থেকে চলে গেলেন….
শাড়িটা কিন্তু খুবই সুন্দর..!!!!
.
.

দেখতে দেখতে শুক্রবার চলে এলো..!!! সকাল থেকেই এত কাজ করতে করতে আমার অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেছে…!!!

খালামণিরা,মামীরা তো দুদিন আগেই চলে এসেছে…!! কিন্তু সাদিফ ভাইয়া আর খালু রাতেই চলে যেতেন…!!মামা একেবারে নাকি আজকেই আসবে..!! আর বাবার গুষ্টির সব ছেলেরাই তো মসজিদে যাবে আকদের সময় আর বাকিরা ক্লাবে আসবে রাতে…!!

আজকে ভাইয়াকে হলুদ লাগিয়ে আরো কি কি যেন করবে…!!! ব্যাপারটা অনেক মজা লাগছে আমার…!!!

সাদিফ ভাইয়া একটা অ্যাশ কালার কাবলি পড়েছে আজকে!!! উনাকে যে এত সুন্দর লাগছে আমি জাস্ট অপলক তাকিয়ে আছি…!!!

আচ্ছা!!! উনি কি দিনদিন সুন্দর হচ্ছে??…. নাকি আমার থেকেই উনাকে এত সুন্দর লাগছে!!!

একটু পরে ভাইয়াকে হলুদ লাগাবে..!! আর আমি এখনো রেডি হয়নি…!!

এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে সাদিফ ভাইয়া, আমি আর আপুরা মিলে ডেকোরেশনের কাজ করছি..!!!

সেদিনের কথাটার জন্য এখনও সাদিফ ভাইয়া আমার সাথে ভালো করে কথা বলেনা..!!!উনি আমার সাথে ভাব দেখাচ্ছে!! কিন্তু আমি তাও নিজ থেকে উনার সাথে কথা বলেছিলাম..!!

কিন্তু উনি হু হা করা ছাড়া আর কিছু বলেনি…!!!

ছাদের এক পাশ চুপচাপ সাজিয়ে একেবারে নিচে নেমে গেলাম…!!! আপুদের সাথেও কোন কথা বললাম না আর উনার সাথেও কোন কথা বললাম না..!!!

আর এদিকে সাদিফ ভাবছে…

তার ফুলটার কি হলো হঠাৎ..!!! শেফাকে এত ইগনোর করার পরও ফুলটা আমার সাথে নিজ থেকে কথা বলতে আসতো..!!! কিন্তু আজ তো একেবারে আমাকে ইগনোর করে চলে গেল…!!!

টমেটোটা কি জানে তার এই গোমরা মুখটা দেখতে আমার কত ভালো লাগে!!! যখন সে আমার সাথে কথা বলতে আসে কিন্তু আমি তাকে হু হা করে ইগনোর করি!!.. তখন সে ভ্র কুঁচকে আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে..!!!! ইসস!!! ইচ্ছা করে তখন ওকে একদম খেয়ে ফেলি…!!!!

এসব ভেবেই সাদিফ আপন মনে হেসে উঠলো…!!!

*
*

নিচে নামতেই ইতি আপু আমাকে একটি হলুদ শাড়ি ধরিয়ে দিল…!!!

শাড়িটা হাতে নিয়ে আমি বলে উঠলাম…

“আপু শাড়ি কেন হঠাৎ??? এটা পড়বো এখন”???

আপু হেসে বলল….

” হ্যাঁ শাড়ি পড়বো আমরা সবাই মিলে এখন…!!! শাওয়ার তো সকালে নিয়েছিস এখন হাত মুখ ধুয়ে খালার কাছে যা…!!! শাড়ি পড়ে একটু সেজে জলদি ছাদের উপর আয়…!! আমিও সেজে নিচ্ছি আর জুমান তো অনেক আগেই রেডি”…!!!!

যদিও শাড়ি আমার খুব কম পড়া হয় তবে শাড়ি পড়তেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে…!!!

হাতমুখ ধুয়ে শাড়িটা নিয়ে মায়ের কাছে চলে গেলাম মা খুব সুন্দর ভাবে আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দিলেন…!!!

এরপর আমি একটু হালকা একটা নুড কালার লিপস্টিক আর আইলাইনার দিয়ে নিলাম আর চুল গুলো একটা ম্যাসি বেণী করে ছাদে উঠে গেলাম…!!!

ছাদে উঠে দেখলাম ইতি আপু জুমান আপু সবাই একসাথে সেলফি তুলছে..!!! আর সাদিফ ভাইয়া আর আমার ভাই একসাথে একদম এক কোণায় দাড়িয়ে কি যেন আলোচনা করছে….!!!!

আমি গিয়ে আপুদের সাথে ছবি তুলতে লাগলাম!! কিন্তু জুমান আপু আমি যাওয়ার কারণে অন্যদিকে চলে গেলেন…!!!

আমি বসে চুপচাপ দোলনায় চড়ছি আর পাশে ইতি আপুর সাথে ছবিগুলো দেখছি…!! জুমান আপু কার সাথে যেনো কথা বলছে অন্যপাশে দাড়িয়ে..!!

একটু পরেই জুরাইন আর জারাভি দৌড় দিয়ে চলে আসলো ছাদের উপর…!!! বেচারারা এতক্ষণ ঘুম ছিল …!!!

জুরু এসেই… আমার কাছে “শেপা আপি” বলে চিল্লিয়ে
একেবারে আমার কোলে উঠে গেলো..!!!এই বাচ্চাটা এমনই..!!!আমাকে দেখলেই শুধু লাফ দিয়ে কোলে উঠে…!!!

আর এদিকে সাদিফ জুরাইনের আওয়াজ শুনে পিছে ফিরতেই শেফাকে দেখে চমকে উঠলো…!!!

এই প্রথম তার শেফাকে শাড়িতে দেখছে সে…!!!

বুকটা আজ একটু বেশিই ধুকধুক করছে…!!কেমন জানি লাগছে আমার…!!!মাথাটাই পুরো হ্যাং করছে..!!!এই মেয়েটা যে এখন দিব্যি জুরাইনের সাথে শাড়ি পড়া অবস্থায় কোলে নিয়ে খেলছে…!! ও কি জানে ওকে দেখে আমার বুকে কেমন ব্যথা করছে…???

“এই এভাবে হা করে আমার বোনের দিকে দেখবি না ..!!!
নজর লেগে যাবে তো…!!!পলক তো ফেল একটা”…??
(রাফসান)

“চুপ কর শালা…!!আমার নজর তো ওর উপর অনেক আগেই লেগেছে…!!! তবে অন্য কারোটা এই সাদিফ আমার টমেটোর উপরে পড়তে দিবে না”…!!!

সাদিফ ভাইয়া আর ভাইয়ের কথা বলা শেষেই ওরা আমাদের দিকে এগিয়ে এলো…!!!

মা,খালা,মামী সবাই ছাদে এলো…!!!একসাথে ছাদে সবাই একে একে ভাইয়াকে হলুদ লাগলাম…!!!

সাদিফ ভাইয়া তো ভাইয়াকে হলুদ পুরো গায়েই লাগিয়ে দিলেন..!!!!এটা দেখে সবাই হাসতে হাসতে কাত..!!!
ভাইয়াকে হলুদিয়া পাখি লাগছে দেখতে…!!!

সবাই সবাইকে হলুদ লাগিয়ে দুষ্টামি করতে লাগলাম !!!
জুরুকে তো একেবারে আমি হলুদ ভুত বানিয়ে দিলাম..!!! জুরুও তার ছোট্ট হাত দিয়ে আমাকে লাগিয়ে দিলো হলুদ…!!!

এতক্ষণ সময় ধরে সাদিফ ভাইয়া শুধু আমাকে দেখতেই লাগলেন…!!না কথা বললেন না হলুদ লাগিয়ে দিলেন…!!!

সবাই মিলে গ্রুপ ছবি তুলতে লাগলাম…!!!

সাদিফ ভাইয়া আমার পাশে এসে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়ালেন…!!!আমি উনার দিকে তাকাতেই দেখলাম উনি একদম দুষ্টুমিভরা নজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন…!!! আমি কিছু বলতে যাবো তখনই….

আমার পেটে ঠান্ডা কিছু অনুভব করলাম…!!!আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম… সাদিফ ভাইয়াই আমার পেটে হলুদ লাগাচ্ছেন…!!!

পেটের দিকে তাকিয়ে দেখলাম…!!!!
শাড়িটা একটু সরে গেছে যার কারণে পেট দেখা যাচ্ছে ..!!আর সেখানেই উনি হলুদ লাগাচ্ছেন!!!!!

ভাবতেই আমার সম্পূর্ণ শরীর ঝন ঝন করে কেপে উঠলো..!!!

আমি সাদিফ ভাইয়ার হাত সাথে সাথে খামচে ধরে ফেললাম আর পেট থেকে হাত ছাড়ানোর জন্যে আরো জোরে খামচি দিতে লাগলাম…!!

কিন্তু উনি হেসে ফিসফিসিয়ে আমাকে বললেন…

“সামান্য পেটের পাশে হাত দিতেই তোমার এত কাপাকাপি..!!! ফিউচারে তোমার অবস্থা কি হবে,তোমার ফেস এক্সপ্রেশন কেমন হবে এইগুলো শুধু ভাবতে নয় বাস্তবে দেখারই লোভ সামলাতে পারছিনা আমি…!!!!ফুল..!!!তখন তো মেবি খামচে আমার মাংস তুলে ফেলবা”…!!!

সাদিফ ভাইয়ার এই কথাগুলোর শুনে আমার কাপানি আরো বেড়ে গেলো…!!!

উনার কথার অর্থ ঠিক না বুঝতে পারলেও…!!!জানিনা কেন গা টা প্রচণ্ড শিউরে উঠতে লাগলো…!!!!
কি বলেন উনি এইসব…!!!!

চলবে….♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here