মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️ 🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒 Part-19

0
841

😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒

Part-19

হিয়াঃ আপনাকে বললাম গলি দিয়ে নিতে,,মেইন রাস্তা দিয়ে এসে কি হলো দেখলেন এবার

উজানঃ আরে এই রোডে কখনো এরকম জ্যাম হয় তুমি দেখেছ এর আগে,,শুধু শুধু বেশি কথা

হিয়াঃ না হলেও,,তাই বলে সোজা রাস্তা ছেড়ে কি দরকার ছিলো এরকম বাঁকা রাস্তায় বাইক ঢুকানোর,,,,নিজের তো দেড়ি হলো হলো সাথে আমাকেও লেট করিয়ে দিলেন

উজানঃ মুখ টা বন্ধ করো তো,,ওলয়েজ বক বক

হিয়াঃ নিজে ভুল করে এখন আমাকে চুপ থাকতে বলছে,,হু

দুজনে জ্যামে পড়ে ঝগড়া করতে থাকে,,থামার নামই নেই সেই ঝগড়ার,,এদিকে এদের টোনাটুনির ঝগড়ার মাঝে কোন ফাঁক দিয়ে জানি ফুলকলি হাতে গোলাপের তোড়া ধরে এসে উজানের সামনে দাঁড়িয়ে ফিঁক করে হেঁসে উঠে

ফুলকলিঃ ভাইজান,,

উজানঃ ফুলকলি তুই!!

ফুলকলিঃ কেমন আছেন ভাইজান,,ফুল আপাও আছে আপনার লগে দেখছি

উজানঃ আমি ভালো আছি,,তা গ্রাম থেকে ফিরে একবার দেখাও করলি না আমার সাথে,,এই তুই ভুলে গেলি আমাকে রে

ফুলকলিঃ না ভাইজান আপনারে ভুলুম কেমনে,,আর আপনে কেমনে জানতেন আমি গ্রামে গেছিলাম

উজানঃ তোদের খোঁজ না রাখলে চলবে,,তা এই ফুল নিয়ে এই রোদে কি করছিস আজ কি একটাও ফুল বিক্রি হয় নি

ফুলকলিঃ না ভাইজান কেবলই আইলাম

উজানঃ দেখি কি ফুল আছে,,wow red rose!!সব গুলো দে তো আমাকে

ফুলকলিঃ সব ফুল দিয়ে আপনে কি করবেন,,আপাকে দেবেন,,

উজানঃ হুম তোর আপার জন্য,,হিয়া

হিয়াঃ হুম

উজানঃ ফুল গুলো নেও তো

হিয়াঃ আমি কেনো মানে

উজানঃ নেও আমি টাকা টা দিয়ে নিচ্ছি

হিয়াঃ ঠিক আছে___ফুলকলি দেও আপু আমাকে ওগুলো

ফুলকলি হিয়াকে ফুল গুলো দিলে হিয়া ওর ব্যাগ থেকে শ্রাবণের জন্য কিনে রাখা পাঁচ টাকার দুটো ডেইরি মিল্ক থেকে একটা বের করে ফুলকলির হাতে ধরিয়ে দিয়ে ফুলকলির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়

ফুলকলিঃ ধন্যবাদ আপা,,অনেকদিন চকলেট খাই না

উজানঃ নে রে ফুলকলি,,,,সাবধানে দেখে রাস্তা পাড় হোস

ফুলকলিঃ আচ্ছা ভাইজান,,আসি আপা

হিয়াঃ হুমম,,

ফুলকলি রাস্তা দেখে পার হয়ে ওপারে গিয়ে ব্যাগ থেকে বাকি ফুল গুলো বের করে বিক্রি করতে থাকে,,এদিকে উজানের বাইক তখনো জ্যামে,,আজকেও যে হিয়ার টিউশন পড়িয়ে বাড়ি ফিরতে রাত হবে হিয়া ঠিক বুঝতে পারছে,,

উজানঃ ডিজগাস্টিং,,এমন ভাবে জ্যামটা লেগে আছে বাইক টা যে রিভার্স করবো সেই ওয়ে টাও নেই_____কোনো যে তোমার কথা টা শুনতে গেলাম না ধুর___আর এই সাব্বির টা ফোন দিয়ে দিয়ে মাথা পুরো শেষ করে দিচ্ছে মনে হয় যেনো আমি ছাড়া ওদের শো আঁটকে থাকবে

উজান রাগে দুইবার বাইকের হন বাজিয়ে দেয়,,কিন্তু কোনো লাভ হয় না এতে,,হঠাৎ উজান খেয়াল করে ফুলকলি চলে যাবার পর থেকে হিয়া কেমন চুপ হয়ে আছে,,কিছু বলছেও না রাগও হচ্ছে না,,কি ব্যাপার,,উজান পেছন ঘুরে হিয়ার দিকে তাকাতে গিয়ে খেয়াল করে হিয়া ওদের পাশের একটা গাড়ির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,গাড়ি টা একটা বিয়ের গাড়ি ছিলো,,জানালা টা খুলে রাখায় স্পষ্ট ভাবেই দেখা যাচ্ছে ভেতরে বউ সাঁজে বসে থাকা মেয়ে টাকে,,হয়তো মেয়েটা পার্লার থেকে সেজেগুজে এখন বিয়ের ভ্যানুতে যাচ্ছে,,মেয়ে টাকে বউয়ের সাজে একদম পরী গুলোর মতো লাগছে যেমনি লাল বেনারসি তেমনি সোনার অলংকারে পরিপূর্ণ,,

উজান বুঝে হিয়ার মনে আশা প্রশ্ন গুলো,,কিন্তু উজান কিছু বলে না শুধু চুপ থেকে হিয়ার মন টাকে বুঝতে চেষ্টা করে,,একটা সময় জ্যাম ছাড়ে,,উজান হিয়াকে নিয়ে রিফাতদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে,,হিয়া রিফাতকে পড়াতে যেতে তড়িঘড়ি শুরু করে

হিয়াঃ ধন্যবাদ,,আসি আমি এখন হুম___এই এই আপনার ফুল

উজানঃ আস্তে,,ফুল গুলো রাখো আমি রাতে তোমাকে নিতে আসার সময় নেবো

হিয়াঃ রাতে নিতে আসবেন মানে!!

উজানঃ রিফাতকে পড়িয়ে নিঝুমকে পড়াতে যাবা তাই তো

হিয়াঃ হুম

উজানঃ রিফাতকে ছাড়বা ৭টা নিঝুম কে সাড়ে আটটা,,তখন ওতো রাতে একা ফিরবা

হিয়াঃ হ্যা রাত তো একটু হয়ে যায় কিন্তু ওটা ব্যাপার না হয়ে যাবে

উজানঃ হবে না,,,,আমি যা বলছি সেটা শুনো___তুমি নিঝুমকে পড়া শেষ হয়ে আসলে ফোন দেবা আমাকে,,আমি নিতে আসবো

হিয়াঃ ঠেকা আমার,,আমি এখন আসি হ্যা,,দেড়ি হয়ে যাচ্ছে বাই বাই

উজানঃ ফোন দিও কিন্তু

হিয়াঃ দেবো না,,আমি একা যেতে পারবো

উজানঃ আস্তে হিয়া,,পরে যাবা__ফোন দিও কিন্তু।
___________________

রাত তখন ৮ঃ৩৫,,নিঝুম কে পড়িয়ে ওদের বাড়ি থেকে বের হয়ে বড় রাস্তায় আসতেই হিয়ার সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে যায় উজান,,

উজানঃ ফোন দিতে বললাম দিলা না কেনো??

হিয়াঃ হুম,,নিন এখন আপনার গোলাপ

উজানঃ তুমি আমাকে গোলাপ দিয়ে প্রপোজ করছো হিয়াপাখি,,

হিয়াঃ প্রপোজ আপনাকে!!আমি শুধু আপনার ফুল আপনাকে ফেরত দিচ্ছি,,ধরুন

উজানঃ আমার ফুল!!আমি আবার কবে ফুল কিনলাম

হিয়াঃ মজা হচ্ছে আমার সাথে??

উজানঃ মজা!!কেনো বলো তো তোমার মনে হচ্ছে আমি মজা করছি তোমার সাথে

হিয়াঃ আপনি না বড্ড কথা পেঁচান,,নিন ধরুন তো ধরুন

উজানঃ তুমি এই ফুল ফেরত দিলে আমি এখন সেটা ভিডিও করবো,,আর ভিডিও করে কাল ঝিনুক দের গিয়ে বলবো হিয়া আমাকে কাল রাতে রোজ দিয়ে প্রপোজ করেছে,,এই দেখো প্রমাণ।

হিয়াঃ কি!!___এসব কি ধরনের ব্লাকমেইল ভাইয়া,,

উজানঃ উফ আবার ভাইয়া,,,দেখি কথা না বাড়িয়ে উঠো তো এখন বাইকে

হিয়াঃ আমি তখন বলেছি না ওটাই ফাস্ট আর ওটাই লাস্ট তাহলে

উজানঃ তুমি বড্ড ক্লান্ত করিয়ে দেও আমাকে হিয়া,,প্লিজ বসো না বসো

হিয়াঃ আপনি কেনো এসব করছেন,,প্লিজ এসব আমার সাথে যায় না একটু বুঝুন আপনি,,আপনি যেটা চাইছেন ওটা সম্ভব না,,আমি কখনো আপনাদের মতো

উজানঃ হিয়া প্লিজ

হিয়াঃ ভাইয়া একটু বুঝুন,,আপনি যেটা করছেন সেটা জাস্ট ওয়েস্ট ওফ টাইম ছাড়া কিছুই না,,আমার থেকে কিচ্ছু পাওয়ার নেই আপনার একটু বুঝুন

উজানঃ আচ্ছা যাও বুঝলাম,,আজ যখন এসে গেছি এটলিস্ট এখন আর না করো না,,কথা দিচ্ছি কাল থেকে আর আসবো না

হিয়াঃ না আমি জানি আপনি কাল ঠিক আসবেন

উজানঃ তুমি বিরক্ত হলে আমি আসবো না কথা দিচ্ছি

হিয়াঃ বিরক্তের প্রশ্ন না ভাইয়া,,আমি আপনাকে বুঝাতে পারছি না যে আমি

উজানঃ চুপ__কিচ্ছু বুঝাতে হবে না তোমাকে,,দেখি এদিকে আসো

হিয়াঃ কি

উজানঃ আসো

হিয়াঃ আসলাম

উজানঃ ওয়েট

উজান ওর পেছনে বাইকে লক করা একটা ব্যাগ থেকে হিয়ার জন্য একটা দামি কাজ করা বিয়েতে পড়ার লাল কারুকাজ করা ওরনা বের করে আলতো করে হিয়ার মাথায় দিয়ে দেয়,,লাল ওরনা টা মাথায় জড়িয়ে হিয়াকে যে কি অপূর্ব সুন্দর দেখতে লাগে লিখে সেটা বোঝানো মুশকিল,,হিয়ার মায়াবী মুখ টা ওরনার লাল আভা তে ভরে আরো রক্তিম বর্ণতে ভরে উঠে নিমিষে।

হিয়াঃ এ-সব এসব কি করছেন আপনি

উজানঃ বউ সাঁজে তোমাকে কেমন লাগবে তাই দেখতে চাইছি

হিয়াঃ আমা–কে কে–নো,,,আমি মানে

উজানঃ খুব বউ সাজতে মন চায় তোমার তাই না

হিয়াঃ ধ্যাত!!পাগল আপনি,,বউ সাজতে চাইলেই কি বউ সাজা যায়

উজানঃ কেনো যায় না

হিয়াঃ বউ সাজতে গেলে বর লাগে,,বর টা কোথায় শুনি

উজানঃ সামনে একটা জলজ্যান্ত বর দাঁড়িয়ে আর এই ইডিয়ট টাকে দেখো কি বলছে,,

হিয়াঃ কিছু বলছেন আপনি

উজানঃ না____বর ঠিক সময় চলে আসবে,,এখন তুমি আসো বসো

হিয়াঃ এটাই কিন্তু লাস্ট হ্যা

উজানঃ আসো,,পেত্নী একটা

হিয়া উজানের বাইকে গিয়ে বসে,,রাত তখন নয় টার কাছাকাছি,,উজান হিয়াকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কোন সেই অলিগলি তে নিয়ে গিয়ে বাইকে বসে রাতের ঢাকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে,,উজানের তো হিয়ার সাথে কাটানো সব কিছুই এখন বেশ ভালো লাগে,,এদিকে হিয়ার মনেও বিরাজ করতে শুরু করে সেই চাঞ্চল্যতা,,হিয়াকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে উজান হিয়ার মাথার ঘোমটা তুলে দিয়ে হিয়ার কয়েকটা ছবি তুলে নেয় টুক করে

হিয়াঃ আসি আমি এখন

উজানঃ যাবা

হিয়াঃ আর কতো থাকবো,,দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টা ঘুরিয়ে নিয়ে আসলেন এরপরো বলছেন থেকে যেতে

উজানঃ হুম__

হিয়াঃ ওরনা টা??

উজানঃ রাখো তোমার কাছে,, বিয়ের দিন পড়বা

হিয়াঃ বর টা কি আপনি নিয়ে আসবেন

উজানঃ দরকার পড়লে বর হয়ে আসবো সমস্যা

হিয়াঃ না__আসি আমি

উজানঃ হুম___হিয়া

হিয়াঃ জ্বী ব’লেন

উজানঃ আর কখনো এভাবে হারিয়ে যাবা না তো??

হিয়াঃ জানি না

উজানঃ হিয়া তুমি জানো না এই তিন দিন আমি__আর কখনো এভাবে না বলে প্লিজ,,কথা দেও আমাকে যে তুমি আর কখনো এভাবে আমাকে না বলে কোথাও নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে না?

হিয়াঃ পরিস্থিতি মানুষ কে কখন কোথায় কোন জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দেবে আমরা তা জানি না ভাইয়া,,হয়তো কখনো আমি আবার এভাবে

উজানঃ চুপ___যাও বাড়িতে তুমি,,খুব পরিস্থিতি বুঝে বসে আছো দেখছি

হিয়াঃ যেটা সত্যি আমি সেটা বললাম

উজানঃ বেশি বলো মাঝে মাঝে

হিয়াঃ তাই,,হবে হয়তো___আসছি শ্রাবণ অপেক্ষা করছে

উজানঃ ঠিক আছে,,রাতে ফোন করবো ফোন সাথে রাখবা

হিয়াঃ আমি ক্লান্ত ভীষণ ঘুমিয়ে পড়বো

উজানঃ একসাথে গল্প করতে করতে ঘুমাবো

হিয়াঃ আমি গল্প জানি না

উজানঃ আমি অনেক গল্প জানি

হিয়াঃ আসছি আমি

উজানঃ আসো

হিয়াঃ পাগল আপনি

উজানঃ পাগলি তুমি

হিয়াঃ কুমড়োপটাশ যান গিয়ে বাড়িতে বসে বসে ভাত দিয়ে কুমড়ো খান

উজানঃ পেত্নী একটা যাও গিয়ে বাড়িতে আলু ভর্তা করে ভাত খাও

হিয়াঃ যান তো আপনি

উজানঃ যাও তো তুমি

হিয়াঃ যাচ্ছি

উজানঃ না বলো আসছি

হিয়াঃ আসছি

উজানঃ হুম

________________

আজ দুদিন পর,,সন্ধি আর ঝিনুকের সেই হাত পা পড়া অনুরোধে হিয়া আর না করতে না পেরে সবার সাথে চলে আসে নারায়ণগঞ্জ,,নারায়ণগঞ্জ এ ঝিনুকদের গ্রামের বিশাল বড় বাড়ি থাকলেও ছেলে পক্ষ আর মেয়ে পক্ষের এতো লোকজন যে কোথায় বসে একটু যে রেস্ট করবো সেই জায়গা টাও অবধি নেই,,ঝিনুকের ফ্যামিলির সাথে ওর আপুর হবু শ্বশুরবাড়ি মানে রুপমদের সেই ছোট থেকে পরিচিতি তাই বিয়ে টা এভাবে এক বাড়িতে থেকে আয়োজন করা হবে বলে এই একসাথে থাকার আয়োজন
__________________
প্রথম দিনে বাড়ির ছাঁদে সব ফ্রেন্ডসার্কেল মিলে গোল হয়ে পাটি বিছিয়ে বসে জমছে আড্ডা দিচ্ছে,,হিয়া শ্রাবণকে কোলে নিয়ে বসিয়ে,তার পাশে সন্ধি ঝিনুক সবাই গোল হয়ে,,আর সামনে ছেলে গুলো যে যার মতো বসে

সাব্বিরঃ বলছি কি উজান,,তুই তো ঝিনুকের সাথে খুব ফ্রি একটু ঝিনুক কে যদি

উজানঃ এতো ভীতু কেনো তুই,,আমাকে দেখ তো আমি হিয়াকে ভয় পাই কখনো,,সবার সামনে ওর পিছনে পড়ে থাকি

সাব্বিরঃ আমার তোর মতো অবস্থা নেই ভাই,,তোর মতো কলিজা আমার নাই,,তুই একটু দেখ না

উজানঃ আচ্ছা এখন ঝিনুকের বোন সাথে আছে আমি দেখছি কাল কি করা যায় হুম

সন্ধিঃ এই তোরা ফিস ফিস করে কি এতো কথা বলছিস হ্যা,,,,তা হিয়াআআআ সেদিন তো আর তোমার আর সিফাতের কাপল ড্যান্স আমরা মিস করে গেছি আজকে যদি

সন্ধির বলাও শেষ নেই সবার লাফালাফি তাতেই শুরু,,সবাই হিয়া উজান বলে চিৎকার করে করে ছাঁদ একবারে কাঁপিয়ে তুলে

ঝিনুকঃ উঠ না উঠ না,,এই মেয়ে উঠ না

হিয়াঃ পাগল তুই ঝিনুক মাথা ঠিক আছে তোর

সন্ধিঃ প্লিজ হিয়াআআআ,,দেখো উজান কি রকম তোমার দিকে তাকিয়ে হাসছে

উজান সত্যি হিয়ার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিচ্ছে,,এখন সে হিয়ার সাথে ড্যান্স করবে ভেবেই ক্রাসবয় এখন আহ্লাদে পুরো গদ গদ হয়ে যাচ্ছে,,

হিয়াঃ অসম্ভব আমি কি করে ওনার সাথে

সাব্বিরঃ কামন হিয়া লেটস ডু ইট,,,আমরা সবাই তোমার আর উজানের নাচ দেখতে চাই

হিয়াঃ ভাইয়া আমি কি করে

ঝিনুকঃ ধুর উঠ না,,কেনো এতো ঢং করিস,,বাইকে বেরু বেরু করে হাওয়া
খাও তখন এতো লজ্জা কোথায় থাকে হ্যা,,

হিয়াঃ ঝিনুক আমি

সবাই আরো গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে শুরু করে,,শেষ মেষ উজান এসে হিয়ার সামনে হাত বাড়িয়ে দিলে হিয়া লজ্জায় পুরো মাথা নামিয়ে নেয়,,এদিক থেকে সন্ধি আর ঝিনুক ঠেলে হিয়াকে দাঁড় করিয়ে দেয়❤️,,

শ্রাবণঃ ইয়েএএএএএএএ এখন বুবু আর ভালো ভাইয়া নাচ করবে,,কি মজা হে হে

হিয়াঃ এই চুপ করে এক জায়গায় বস,,

হিয়া শ্রাবণকে চুপ করতে বললে শ্রাবণ ঘপ করে ঝিনুকের কোলে গিয়ে বসে পড়ে,,ঝিনুকো শ্রাবণকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতো আগলে ধরে,,,,

উজান এসে হিয়ার এক হাত ধরে আরেক হাত হিয়ার কোমড়ের হালকা করে রাখতেই হিয়া পুরো কুঁকড়ে উঠে,,,সাব্বির গিয়ে এবার সাউন্ড বক্সে গান চালিয়ে দিলে,,সবার চোখ আঁটকে থাকে উজান আর হিয়ার উপর,,,উজান আলতো করে হিয়ার দিকে ঝুঁকে হিয়ার কানে ফিসফিস করতে শুরু করে এবার,,

উজানঃ ভার্সিটিতে আসার পর থেকে তো আমার সব রেকর্ড ভেঙে একবারে টুকরো টুকরো করে দিয়েছ,,তা এবার দেখি আমার সাথে নাচে তুমি পেরে উঠতে পারো কি না

হিয়াঃ এই হিয়া মুনতাসীর কে Challenge করছেন আপনি

উজানঃ যদি এটাকে তোমার Challenge মনে হয় তাহলে তাই

হিয়াঃ ঠিক আছে,,দেখা যাক কে জিতে!!

বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি

চলতে গিয়ে মনে হয়
দূরত্ব কিছু নয়
তোমারি কাছেই ফিরে আসি

তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের
আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেম হীনা
কখনো বাঁচে

তুমি তুমি তুমি শুধু এই মনের
আনাচে কানাচে
সত্যি বলনা কেউ কি প্রেম হীনা
কখনো বাঁচে

বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি

মেঘের খামে আজ তোমার নামে
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও
খুব যতনে তা লিখেছিলাম

মেঘের খামে আজ তোমার নামে
উড়ো চিঠি পাঠিয়ে দিলাম
পড়ে নিও তুমি মিলিয়ে নিও
খুব যতনে তা লিখেছিলাম
ও চায় পেতে আরো মন
পেয়েও এত কাছে

বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি

উজানঃ কেউ একজন এতো ভালো নাচ পারে জানা ছিলো না তো

হিয়াঃ 😌😌

মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে
ভুল ত্রুটি আবেগী খুঁনসুটি
সারাক্ষন তোমায় ছুঁয়ে রাখে

মন অল্পতে প্রিয় গল্পতে
কল্পনায় স্বপ্ন আঁকে
ভুল ত্রুটি আবেগী খুঁনসুটি
সারাক্ষন তোমায় ছুঁয়ে রাখে
ও চায় পেতে আরো মন
পেয়েও এত কাছে

বলতে চেয়ে মনে হয়
বলতে তবু দেয় না হৃদয়
কতটা তোমায় ভালোবাসি

নাচ শেষ হতেই সবাই হাত তালি দিয়ে উঠে,,উজান হিয়ার নাচ পুরো সবাইকে মাতিয়ে দিয়েছিলো,,মনে হচ্ছিলো আগে থেকে শিখে আসা কোনো নাচ
উজানঃ হেরে গেলাম গো সাব্বির হেরে গেলাম,,পারলাম না তোদের ভাবির সাথে জিততে,,আজকেও হারতে হলো

হিয়াঃ ধ্যাত পাগল একটা

________________________

পরের দিন

ঝিনুকঃ হিয়া হিয়া হিয়া

হিয়াঃ হ্যা বল,,এরকম হাঁপাচ্ছিস কেনো

ঝিনুকঃ এই নে এটা হলুদের শাড়ি,,মেয়েদের সব শাড়ি এক দেখতে,,আর আপুর ইচ্ছে অনুযায়ী তোরা সব মেয়ে গুলো আজ বাঙালি শাড়ি পড়বি___আর এটা সন্ধি আপুর শাড়ি,,সন্ধি আপু ওয়াশরুম থেকে বের হলে দিয়ে দিস

হিয়াঃ হ্যা কিন্তু

ঝিনুকঃ কি কিন্তু,,ওদিকে মা ডাকছে,,কি বলবি জলদি বলললল

হিয়াঃ আ হা থাম না___এই শাড়ি টা কে দিলো মানে সব মেয়ে দের

ঝিনুকঃ আরে এটা আমাদের রীতি,,রীতি ঠিক না আসলে এখানে হলুদে আমরা মেয়ে রা সব থীম ড্রেস পড়ি,,তাই ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষ মিলায় ৫০টা একই শাড়ির ওডার করা হয়েছে,,,আর কোনো প্রশ্ন তোর

হিয়াঃ না আমি

ঝিনুকঃ তুই ঔ আমি তুমি করতে থাক,,আমি গেলাম,,,অনেকক কাজ

হিয়াঃ আরে শোন না,,আমি বাঙালি শাড়ি পড়তে পারি না,,একটু দেখিয়ে দে না প্লিজ আমি তো কাউকে সে রকম চিনি না এখানে যে ডেকে বলবো একটু

ঝিনুকঃ তুই কেনো বুঝছিস না আমার সময় নেই ওতো,,,তুই সন্ধি আপু আসলে আপুকে দিয়ে পড়িয়ে নিস

হিয়াঃ আমি আপুকে দিয়ে,,আপুও যদি পড়াতে না পারে

ঝিনুকঃ তুই না ওলয়েজ অগ্রীম চিন্তা করিস,,ইউটিউব দেখে পড়ে নিস আমি গেলাম

বলেই ঝিনুক হিয়ার হাতে দুটো শাড়ি আর ব্লাউজ ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসে,,
_____________

এদিকে সন্ধি বের হয়ে আসলে হিয়া সন্ধির হাতে শাড়ি ধরিয়ে দেয়,,এদিকে কি করে বাঙালি শাড়ি পড়তে হয় সন্ধিও সেটা জানে না,,কি করবে এরা এখন,,সন্ধি ওখানকার একটা আন্টিকে বলে বাহিরে গিয়ে শাড়ি পড়িয়ে নিয়ে শিখে এসে হিয়াকে শাড়ি পড়াতে শুরু করে,,

সন্ধিঃ সবাই শাড়ি পড়ে নিচে চলে গেছে এই আমি আর তুমি শুধু এখনো রুমে বসে

হিয়াঃ সরি আপু আমার জন্য আপনাকেও,,,,সাধারণ ভাবে পড়ার হলে না আমি পড়তে পারতাম কিন্তু এই বাঙালি শাড়ি আমি কখনো

সন্ধিঃ আরে ওটা ব্যাপার না,,আমিও তো জানতাম না ভাগ্যিস ঔ আন্টি টা ছিলো,,ওনার খুব তাড়া ছিলো নয়তো আমি ওনাকেই নিয়ে আসতাম তোমার জন্য উনি এসে

সন্ধি আর কিছু বলতে যাবে তার আগে রুপম এসে সন্ধিকে দশ মিনিটের জন্য আর্জেন্ট ডেকে পাঠায়,,সন্ধি হিয়াকে অর্ধেক শাড়ি পড়ে বসিয়ে দিয়ে দশমিনিটের জন্য যায় ঠিকই কিন্তু আধা ঘণ্টা হয়ে আসে তবু তার আসার নাম নেই

হিয়াঃ ধুর যা এভাবে শাড়ি ধরে আর কতোক্ষন বসে থাকবো,,আপু কি আসবে না আমি নরমালই যেভাবে শাড়ি পড়ি ওভাবে পড়ে নেবো___কিন্তু সবাইকে যে তখন দেখলাম কি সুন্দর এক রকম করে আমি আবার অন্য রকম করে পড়লে ব্যাপারটা খারাপ দেখাবে না তো___আর একটু কি দেখবো

এদিকে হিয়া বসে বসে টুকুর টুকুর চোখ দিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে সন্ধির জন্য ওয়েট করতে থাকে,,,,
________________

উঠোনে মুখোমুখি দুটো স্টেজ সাজানো হয়,,একটাতে মেয়ে কে হলুদ মাখানো হবে তাই এখানে সব মেয়েদের দল অন্যটায় ছেলেকে হলুদ মাখানো হবে তাই ওটাতে ছেলেদের দল,,
মেয়েরা সবাই শাড়ি পড়ে নিচে বসে নাচ গান করতে তৎপর,,,এই সব শাড়ি পড়া রমনীদের মাঝে ছেলেদের ওখান থেকে উঠে আসে আমাদের ক্রাশবয়,, সাদা পাঞ্জাবির মাঝে লাল সুতোর কাজ করা পাঞ্জাবি পড়ে এন্ট্রি নিলো আমাদের শাহরিয়ার সাহেব,,সাথে চোখে সেই দারুণ সানগ্লাস চুল গুলো উস্ক খুস্ক,,আর জিংকস টাও স্টাইল করে ছেঁড়া,,,হিরোর বেশে এন্ট্রি নিতেই মেয়ে গুলোর শুরু হলো মনের মধ্যে চিন চিন ব্যাথা,,দু’চোখের সব দিয়ে ঠিকরে খেতে থাকলো উজানকে,,আন্টি গুলোও অনেকে উজানকে দেখতে লাগলো যদি কোনোভাবে উজানকে নিজের মেয়ের জামাই বানানো যায়!!

কিন্তু সব মেয়ের নজর উজান শাহরিয়ার এর উপর থাকলেও উজান শাহরিয়ার এর দু চোখ ব্যাস্ত তার হিয়াকে খুঁজতে,,,কোথায় তার হিয়া__সব মেয়ে গুলো এক শাড়ি পড়াতে তাকে অনেক টাই বিব্রত হতে হচ্ছে হিয়াকে খুঁজতে,,শেষে শ্রাবণ এসে বলে বুবু তার এখনো শাড়ি হাতে ঘরে বসে আছে,,পড়িয়ে দেওয়ার লোক নেই___শুনেই উজান দিক বিদিক ভুলে ছুটে গেলো তার প্রেয়সীর কাছে!!

হিয়া তখন মনে মনে ঠিক করছে সে শাড়ি খুলে নরমাল শাড়ি তেই নিচে নামবে তাই শাড়ির আঁচল মোড়া করে এক কাঁধে ঝুলিয়ে সে ব্যস্ত দু হাতে তার শাড়ির কুঁচি করতে,,,এমন সময় গেটের ঠক ঠক শব্দ কানে আসতেই হিয়া ভাবে হয়তো সন্ধি এসেছে,,হিয়া কিছু না ভেবে এক হাতে কুঁচি ধরে গেট খুলে দিতেই উজান দুম করে রুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে দেয়!!

হিয়াঃ একি আপনি!!___কি করেছেন এখানে!!

উজানঃ তো__মা__কে শাড়ি পড়িয়ে দিতে এসেছি__শ্রাবণ বললো বুবু শাড়ি হাতে বসে আছে

হিয়াঃ আছিই তো,,দেখুন না সন্ধি আপু আমাকে অর্ধেক শাড়ি পড়িয়ে দিয়ে কোথায় যে উধাও হয়ে গেলো আর আসার নামই নেই

উজানঃ হুম ওর এসেও আর কাজ নেই,,দেখি কি পড়তে পারছো না

হিয়াঃ এই না না__আপনি কেনো!!__আপনার শাড়ি পড়িয়ে দিতে হবে না আপনি ঔ সন্ধি আপুকে ডেকে আনুন তাহলেই হবে

উজানঃ সন্ধি নেই,,বাহিরে___তুমি না সেবার আমার বাড়িতে একা একা শাড়ি পড়লা তাহলে এখন কি সমস্যা হচ্ছে

হিয়াঃ আরে ওটা তো এমনি শাড়ি,,বাঙালি শাড়ি পড়তে বলে গেছে ঝিনুক কিন্তু আমি তো কিছুতেই পড়তে পারছি না

উজানঃ বাঙালি বলতে ঔ বাহিরে মেয়ে গুলো যেভাবে পড়েছে

হিয়াঃ হুম

উজানঃ ওয়েট

হিয়াঃ কি ওয়েট

উজান ওর ফোন বের করে বাঙালি শাড়ি কি করে পড়তে হয় সেটা হিয়াকে বের করে দেয়,,

উজানঃ নেও এটা ধরো,,আমি ইউটিউব দেখে দেখে তোমাকে

হিয়াঃ না___আপনি উল্টোদিকে মুখ করে থাকুন আমি এটা দেখে একা একা পড়তে পারবো

উজানঃ আমি পড়িয়ে দিলে কি সমস্যা,,

হিয়াঃ অনেক সমস্যা,,আপনি ঘুরুন ওদিকে মুখ করে,,ঘুরুন বলছি

উজান উল্টো পিঠে ফোন ধরে ওপাশে মুখ করে ঘুরে,,এদিকে হিয়া ইউটিউব দেখে দেখে কিভাবে বাঙালি শাড়ি পড়তে হয় সেটা রপ্ত করতে থাকে।

হিয়াঃ একদম এদিকে ঘুরবেন না কিন্তু হ্যা

উজানঃ ঠেকা আমার,,সামন থেকে যা সুন্দর View পাচ্ছি এরপর পেছনে ঘুরে কি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবো নাকি

হিয়াঃ বুঝি না আপনার কথা____এটা এদিক দিয়ে ধরে এদিকে হুম তার পর পেছন দিক দিয়ে_____হুম_____কি জানি বলছিলেন

উজানঃ কিছু না,,তুমি মন দিয়ে শাড়ি পড়ো,,আমি পেছনে ঘুরছি না

হিয়াঃ সে আপনার সাহস আছে নাকি পেছনে ঘুরবার,,ঘাড় পুরো ভেঙে দেবো না আমি

উজানঃ তাই নাকি

হিয়াঃ হুম__আর একটু ওয়েট করুন আমি সেফটিপিন কয়েকটা লাগিয়ে নেই

উজানঃ হুম ফাস্ট

হিয়াঃ আ হা একটু স্থির হয়ে থাকুন না

উজানঃ ওদিকে কোমড়ের দিক টা বেড়িয়ে আছে ওটাতে ঠিক করে সেফটিপিন দেও

হিয়াঃ কোন দিকে এদিকে??

উজানঃ হ্যা হ্যা আর একটু এ পাশে__হুম ব্যাচ হয়ে গেছে এখন সেফটিপিন টা পিন করে দেও

হিয়াঃ হুমম আর কিছু বের হয়ে নেই তো না,,,হুম হয়ে গেছে নিন আপনি এবার ঘুরুন

উজান ঘুরে হিয়ার দিকে তাকিয়ে থ হয়ে যাবার বদলে মিচকে দিয়ে হাঁসতে থাকে

হিয়াঃ আপনি না আসলে যে কি হতো আজ আমার___নিন আমি রেডি

উজানঃ আর কিছু সাজবা না

হিয়াঃ আর কি সাজবো,,আমার যে সাজার কিছু নেই

উজানঃ হুমম জানি,,তুমি আর বাকি সব মেয়ে দের মতো আটা ময়দা মাখার মেয়ে না___দেখি এদিকে আসো

হিয়াঃ কেনো

উজানঃ আমি আসতে বলেছি তাই আসো

হিয়াঃ আসলাম

উজান সামনের ড্রেসিং থেকে চিরুনি আর একটা কিলিপ নিয়ে হিয়ার মাথা টা খুব সুন্দর করে খোঁপা করে দেয়,,আয়নার লাগানো কার জানি টিপ থেকে টিপ তুলে হিয়ার কপালে পড়িয়ে দিতেই হিয়া লজ্জায় পুরো মাথা নুইয়ে ফেলে,,হিয়ার লজ্জা কে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়ে উজান ওর পাঞ্জাবির পকেট থেকে হিয়ার জন্য কিনে আনা এক জোড়া ছোট ঝুমকো বের করে

উজানঃ এই যে লজ্জাবতী তাকাও একবার এদিকে

হিয়াঃ না

উজানঃ আরে দেখো আমার দিকে

হিয়াঃ না,,আমি নি–চে যা–বো

উজানঃ যাবোই তো,,কিন্তু একবার মুখ টা তুলো

হিয়াঃ না

উজানঃ আচ্ছা বেশ দেখতে হবে না আমাকে,,দেখি

বলে উজান হিয়ার কানের লতি ধরে এক এক করে হিয়ার দু কানে সেই ছোট ঝুমকো দুটো পড়িয়ে দেয়,,হিয়া কি করবে বুঝে উঠতে পারে না,,উজান আলতো করে হিয়ার থুতনি ধরে মুখটা তুলতেই হিয়া চোখ বন্ধ করে দেয়,,!!

উজানঃ আজকে এই লজ্জাবতী টাকে আরো একটা নাম দিতে ইচ্ছে করছে,,,,দেই????

হিয়া কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে শুধু একটা মিষ্টি করে হাসি দিয়ে মাথাটা আস্তে করে নাড়িয়ে নেয়

উজানঃ আজকে থেকে আমার এই লজ্জাবতী টার আরেকটা নাম হচ্ছে মায়াবতী!! মুখ জুড়ে তোমার এতো মায়া কেনো হ্যা__এতো নেশা ধরিয়ে দেয় আমাকে,,ইচ্ছে তো করে অনেক ভুল কিছু করে ফেলি কিন্তু তুমি যদি খারাপ ছেলে ভেবে বসো তখন

হিয়া এবার চোখ খুলে হেঁসে ফেলে

হিয়াঃ মেয়ে দের সাথে ফ্লাট করার জন্য আপনাকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া উচিৎ ছিলো সেটা কি জানেন আপনি

উজানঃ আমি তোমার সাথে ফ্লাট করছি হিয়াপাখি??

হিয়াঃ করছেন না?তাহলে কি করছেন?ভালোবাসা?

উজানঃ ঠেকা আমার,,উজান শাহরিয়ার ভালোবাসবে তোমার মতো একটা পেত্নী কে,,হু আমার যে বউ হবে

হিয়াঃ সে হবে পৃথিবীর সবচাইতে মিষ্টি একটা মেয়ে তাই তো?

উজানঃ হুম তাই,,আসো তুমি ওলয়েজ বেশি বক বক করো

উজান হিয়াকে নিয়ে বের হতে ধরলে হিয়া কি মনে করে উজানকে থামিয়ে ধরে

হিয়াঃ এক মিনিট,,

উজানঃ কি

হিয়াঃ আচ্ছা আপনি তো ওদিকে মুখ করে ছিলেন তাহলে কি করে বুঝলেন আমার কোমড়ের এদিকে ফাঁকা হয়ে সব দেখা যাচ্ছে

উজানঃ কিভাবে বুঝলাম

উজান হিয়াকে পেছনে ঘুরিয়ে আলমারির সাথে লাগানো আয়না টা দেখিয়ে দেয়,,যেখান হতে সে হিয়ার শাড়ি পড়া প্রথম থেকে শেষ সব মন ভরে দেখে নিয়েছিলো!!!!

হিয়াঃ আপনি তারমানে,,

উজানঃ কি করবো তুমি তো পেছন ঘুরতে মানা করেছিলে তাই তো আমি

হিয়াঃ তাই বলে আপনি এভাবে আমার সব দেখে নেবেন,,

উজানঃ পাগলি একটা,,আসো,,আমি দেখি নি কিছু ঔ একটু একটআর দেখলেও বা কি নিজেরই তো জিনিস দেখলাম

হিয়াঃ অসভ্য ধ্যাত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here