মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️ 🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒 Part-06

0
883

😏 # মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒

Part-06

একটু আগে এসে দর্শকসারিতে ভিড় করলো উজানের সব বন্ধু সার্কেল,,মঞ্চের উপর তখন উপস্থাপন করা হচ্ছে লেখক রবীন্দ্রনাথের চোখের বালি,,সবাই ঠিক মতো বসে পড়তেই ঝিনুক হিয়াকে নিয়ে অডিটোরিয়ামের ভেতর এসে উজানের বন্ধু সার্কেলের চোখ এড়িয়ে পেছনের সীটে বসে পড়ে,,হিয়া অবশ্য আসতে চাই নি কিন্তু ঝিনুককে যে সে কিছুতেই না করতে পারে না।

ঝিনুকঃ আহ আমাদের অনু আপু যা অভিনয় করছে না নায়িকা ঐশ্বরিয়াকেও হার মানাবে

হিয়াঃ হুম,,,আচ্ছা শোন না তোর এই নাটক কতোক্ষন চলবে আমাকে কিন্তু ৭টার আগে বাড়ি ফিরতে হবে

ঝিনুকঃ ৭টা তো হয়ে যাবে,,এখনো তো দেখ ঠিক করে ৫টাও বাজেনি

হিয়াঃ জানি,,শ্রাবনের জন্য একটু চিন্তা হচ্ছিল তাই

ঝিনুকঃ হুমম বুঝলাম,,তুই তো একটা কাজ করতে পারিস হিয়া,,শ্রাবনকে একটা বাটন ফোন কিনে দিলেই তো পারিস তাহলে যখন তখন ওর খোঁজ নিতে পারবি

হিয়াঃ হুমম তাই ভাবছিলাম সেদিন,,দেখি এই মাসে টিউশনের টাকা টা হাতে আসলেই

ঝিনুকঃ কতো কি কি যে করবি ঔ টিউশনের টাকা দিয়ে তুই তুই জানিস

হিয়াঃ হুম কতোদিক যে হিসাব করে চলতে হয় রে তুই বুঝবি না,,,,

ঝিনুকের হাতে বাদাম আর বুট তুলে দিয়ে

হিয়াঃ বাদাম গুলো বেশ গরম লাগছে,,মামা মনে হয় এখনি ভাজঁলো

ঝিনুকঃ বুট গুলোও গরম গরম দেখ,,ভালোই লাগছে খেতে

হিয়া একটা হাসি দিয়ে ঝিনুক কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে কে জানি একটা তার চুল টেনে আবার ছেড়ে দেয়,,হিয়া প্রথমে ব্যাপারটাকে গুরুত্ব না দিলেও পরে বারবার চুলে টান পড়াতে হিয়া পেছন ঘুরে আর ঘুরেই দেখতে পারে আর কিছু না তার বয়লার মুরগী মানে উজান ওর পেছনের সীটে বসে ইচ্ছে করে তার চুল ধরে টানছে

হিয়া রক্তবর্ণ চোখে উজানের দিকে তাকাতেই উজান ফিক করে একটা হাসি দিয়ে মাছুম মাছুম চেহারা বানিয়ে ফোন টিপতে শুরু করে যেনো কিছুই হয়নি এখানে।

হিয়া কিছু না বলে সামনে ঘুরে আবার ঝিনুকের সাথে নাটক দেখা আর গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,এদিকে উজান আবার পেছন থেকে হিয়ার চুল নিয়ে টানাটানি খেলা শুরু করে,,শেষে হিয়াও বাধ্য হয়ে হাতে থাকা বাদামের খোসা গুলো সব পেছন দিক দিয়ে উজানের গায়ে ছিটিয়ে দেয়।

ব্যাপারটা উজানের খুব মজা লাগে,,উজান আরো বেশি করে হিয়ার চুল ধরে টানাটানি করতে থাকে,,উজান হিয়ার চুল টানে হিয়াও হাত পেছন করে বাদামের খোসা গুলো উজানের গায়ে সিটকে দিতে শুরু করে,,এরকম করতে করতে এক পর্যায়ে হিয়ার সব বাদাম ফুরিয়ে আসে,,হিয়া আর কি করবে ওভাবেই তখন কিছু না করে বসে থাকে,,আর এদিকে উজান অনবরত হিয়ার চুল টানতে শুরু করে কিন্তু বাদামের খোসা আর তার গায়ে আসে না

এদিকে হিয়া আর উজানের এই কান্ড দেখে ঝিনুক পুরো হেঁসে হেঁসে খুন হবার উপক্রম

ঝিনুকঃ ভাইয়া বাদাম বুট যা ছিলো সব শেষ তো

উজানঃ শেষ!! আগে বলবা না____সাব্বিরররর

সাব্বিরঃ হ্যা ভাই

উজানঃ এক্ষুনি গিয়ে রমজান মামার কাছে সব বাদাম বুট নিয়ে আয় কুইক

সাব্বিরঃ ঠিক আছে ভাই আপনি পাঁচ মিনিট ওয়েট করেন আমি ২ই মিনিটে আসছি

সাব্বির তড়িৎ গতিতে ছুটে গিয়ে বাদাম বুট নিয়ে এসে ঝিনুক আর হিয়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজের সীটে বসে পড়ে,,এদিকে হিয়া এতোগুলো বাদাম বুট দেখে অনেকটাই শ্রাবনের জন্য ব্যাগে ভরিয়ে রাখে বাড়ি ফিরে দুই ভাই বোন মিলে খাবে বলে,,এদিকে হিয়ার বাদাম বুট দিতে দেড়ি হচ্ছে দেখে উজান অস্থির হয়ে হিয়ার চুল টুকটুক করে আবার টানতে শুরু করে

ঝিনুকঃ আরে ওয়েট ভাইয়া,,খোসা গুলো তো ছাড়তে সময় দিবেন

উজানঃ ওহ সরি সরি

হিয়া খোসা ছাড়িয়ে আবার উজানের গায়ে ফেলতে শুরু করে,,আর উজান এক হাতে ফোন ঘুতাতে থাকে অন্য হাতে কিছু ক্ষন পর পর টানতে থাকে হিয়ার চুল,মাঝে মাঝে হিয়ার ওসব খোসা বুট ছিটকে দিতে দেড়ি হওয়াতে অনেকটা ক্ষেপে উঠে আমাদের এই ক্রাশবয়

একটা সময় নাটক শেষ হয়,,সবাই এক এক করে বের হতে শুরু করে,,উজান হিয়ারাও উঠে পড়ে সবার সাথে,,গেট দিয়ে বের হয়ে যাবার মুহুর্তে হিয়া উজানকে থামিয়ে দিয়ে

হিয়াঃ এই যে শুনছেন

উজানঃ আমাকে বললা!!

হিয়াঃ হ্যা আপনাকেই বললাম

উজানঃ এভাবে আর কখনো ডাকবা না

হিয়াঃ কেনো

উজানঃ (হিয়ার দিকে একটু ঝুকে হিয়ার কানে ফিসফিস করে) কি রকম বউ বউ ডাকছে শুনতে লাগে বুঝলা!!

উজানের কথায় হিয়া ফিক করে হেঁসে দিয়ে উজানকে ওর দু হাত পাততে বলে,,উজানো বাধ্য ছেলের মতো ওর দুহাত হিয়ার সামনে মেলে ধরতেই হিয়া ওর দু হাত বের করে উজানের হাতে খোসা ছাড়ানো অনেকগুলো বাদাম বুট তুলে দেয়

হিয়াঃ বাদামের সাথে একটু বিট লবন দিলে জিনিস টা খেতে আরো মজা লাগতো,,এ-র পর থেকে বাদাম বুট কিনলে রমজান মামার থেকে বিট লবন টাও চেয়ে নিবেন মনে করে,,,,,,আসছি

হিয়া একটা হাসি দিয়ে ঝিনুক কে নিয়ে ওখান থেকে আবার ক্যাম্পাসের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে,,এদিকে হিয়ার বউ বউ টাইপ কথা শুনে আর মুখের সেই হাসি দেখেই ভার্সিটির চকলেট বয়ের এখন গলে গিয়ে পুরো মাখোমাখো অবস্থা😌☺️
______________________
ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনের আশেপাশে হাঁটছে ঝিনুক আর হিয়া,,এদিকে ফাল্গুনের দমকা হাওয়ায় উড়ছে গাছের সব সজীব পাতা আর মরা পাতা গুলো শুকনো ডাল বেয়ে বাতাসের সাথে ঝরে পড়ছে অবিরত,,,,ক্যান্টিন টার চারপাশ টাও সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর করে,,আর আজ ওকেশন উপলক্ষে এক্সট্রা মজার মজার খাবার তো আছেই,,

মকবুল স্যার ভার্সিটির সবার প্রিয় শিক্ষক আর ওনার সবচাইতে প্রিয় স্টুডেন্ট হচ্ছে উজান,,সেই সুবাধে উজানের পুরো ফ্রেন্ড সার্কেলের সাথে স্যারের এক অন্য রকম সম্পর্ক গড়ে উঠে,,তো সবাই আজ ঠিক করে মকবুল স্যারের পকেট তারা আজ খসিয়েই ছাড়বে,,আর সবার অনুরোধ রাখতে মকবুল স্যার এখন ক্যান্টিনে বসে সবাইকে ট্রিট দিতে ব্যস্ত

ঝিনুকঃ হিয়া আমার না খুব খিদে পেয়েছে চল না ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু একটা খাই

হিয়াঃ ওওওহহ তুই আর তোর খিদে,,সবসময় অসময়ই পায়,,এতো সুন্দর বাতাস দিচ্ছে এখন এই বাতাস ছেড়ে খেতে যাবো

ঝিনুকঃ এই রকম করিস কেনো,,ক্যান্টিন মনে হয় যেনো কোন সেই গুহার ভেতরে যে ওখানে আকাশ বাতাস পাইতে তোর সমস্যা

হিয়াঃ আআআ,,তবে আমি কিন্তু খাবো না,,তুই আমাকে একদম জোর করবি না

ঝিনুকঃ চল তো আগে___

ঝিনুক হিয়াকে নিয়ে ক্যান্টিনের ভেতরে আসে ঠিকই কিন্তু আজ ক্যান্টিনে এতো ভীড় যে বসার সব সীট ব্লক

হিয়াঃ সেই জোর করে নেওয়ালি তো আমাকেও,,বিচ্ছু একটা

ঝিনুকঃ তুই কি তুই তো একটা বেজি,,,হু,,,,,এ মা এখানে তো সব সীটই ব্লক দেখছি,,কোথায় বসি এখন

হিয়াঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খা

ঝিনুকঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়া যায় নাকি,,,,

হিয়াঃ খা তো ঝিনুক বিরক্ত করিস না,,নে আমিও খাচ্ছি

এমন সময় মকবুল স্যারের চোখ যায় ঝিনুক আর হিয়ার দিকে,,,আর ঝিনুক স্যারের বউয়ের কি রকম রিলেটিভ হওয়াতে ঝিনুককে উনি বেশ ভালোই চিনে ফেলেছে এই কদিনে,,স্যার খেয়াল করে ঝিনুক আর হিয়া দাঁড়িয়ে বসার জন্য সীট খুঁজচ্ছে,,স্যার ঝিনুক কে ডাকতেই ঝিনুক হিয়াকে সাথে নিয়ে স্যারের সামনে উপস্থিত হয়,,স্যার তাদের টেবিলের দুটো চেয়ার দেখিয়ে হিয়া আর ঝিনুককে বসতে বলে,,এদিকে ঝিনুক চটজলদি সাব্বিরের পাশের সীট টায় বসে গিয়ে হিয়ার জন্য উজানের পাশের সীট টা ছেড়ে দেয়,,

ঝিনুকের এই কাজে উজান ঝিনুক কে চোখ টিপে😉একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিলেও হিয়া কিন্তু মনে মনে খুন করতে থাকে ঝিনুককে,,স্যারের সামনে কিছু এখন সে বললতেও পারছে না তাই বাধ্য হয়ে উজানের পাশে বসতে হয় তাকে

মকবুল স্যারঃ তাহলে আর এক বছর আছিস তুই এই ক্যাম্পাসে তাই তো,,এরপর তো আর ভুলেও পা দিবি না এই ভার্সিটিতে___আর এই তোর মকবুল স্যারকেও মনে রাখবি না

উজানঃ এটা কোনো কথা বললেন স্যার আপনি,,আপনাকে যে ভুলে যাবে সে তো মানুষ ই না

মকবুল স্যারঃ বলছিস___তবে তুই চাইলে কিন্তু এই ভার্সিটিতে টিচার হয়ে জয়েন করতে পারিস তোর যা রেজাল্ট আমরা তো বোর্ড মিটিং এ সেদিন তোকে নিয়েও অনেক কথা বললাম

উজানঃ কি যে বলেন স্যার,,রেজাল্ট ভালো হলেই কি আমি আপনাদের মতো পড়াতে পারবো

মকবুল স্যারঃ চেষ্টা করতে তো সমস্যা নেই,,আমার অনুপস্থিতিতে তুই আমার হয়ে যেই ক্লাস টা করিয়েছিলি সবাই কিন্তু কমবেশি সেটাকে খুব ভালো বলেই বলেছে আমি যতোদূর শুনলাম

উজানঃ আরে না,,ক্যাম্পাসের সবাই আমাকে একটু ভয় পায় বুঝলেন তাই হয়তো আমার হয়ে বানিয়ে বলে দিয়েছে

মকবুল স্যারঃ দেখ আমি তোকে অফার করলাম,,ডিসিশন টা এখন সম্পূর্ণই তোর

ঝিনুকঃ ভাইয়াআআআ😍😍😍,,স্যার কিন্তু আপনাকে একটা ইয়াআআআ বড় সুযোগ দিচ্ছে,,,আপনি এক বছর পর ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে যাবেন আর আমরা কেবলই ফাস্ট ইয়ার,,,আপনি চলে গেলে কে আমাকে হিয়াআআআআকেএএএএ না মানে আমাদের মতো মাছুম মাছুম স্টুডেন্ট যারা আছে তাদেরকে কে এতো দেখে রাখবে বলুন তো

হিয়াঃ আহ ঝিনুক কি হচ্ছে কি😠😠

ঝিনুকঃ কি ঠিক বললাম তো ভাইয়া🥰🥰

উজানঃ (শালি সাহেবা তো দেখছি আমার চাইতেও ফাস্ট,,আমি তো এভাবে ভেবে দেখে নি,,ভাগ্যিস স্যার আমার এতো কিউট শালি সাহেবার সামনে কথা টা তুললো)_____হ্যা হ্যা ঝিনুক তুমি চিন্তা করো না,,আমি না হয় টিচার হয়ে ফিরে তোমাদের দেখেশুনে রাখবো

ঝিনুকঃ হে হে🥰

হিয়াঃ 😠😠

হিয়া রাগে কিছু বলতে যাবার আগেই ভীষম খেয়ে খুক খুক কাশতে শুরু করে,,এদিকে হিয়ার এই বেহাল অবস্থা দেখে উজান তড়িঘড়ি করে পাশে থাকা জগ থেকে জল ঢেলে হিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিতেই হিয়া গ্লাস টা থেকে জল খেতে শুরু করে কিন্তু তবুও যেনো হিয়ার খুকখুকানি টা কিছুতেই কমে না

উজান আলতো করে হিয়ার মাথায় হাত দিয়ে হিয়ার মাথা চাপড়াতে শুরু করে

উজানঃ আস্তে,,আস্তে এভাবে মেট্রোরেল এর গতিতে কোন মানুষ খাবার খায় হিয়া___নাকি কাউকে দাঁড়িয়ে রাখছো বাহিরে যে এতো তাড়াহুড়ো করে গপ-গপ করে খাচ্ছো

হিয়াঃ না,,আমি ঠিক আছি,,আপনি এতো অস্থির হবেন না

উজানঃ হুমম,,আর খেতে হবে না,,খাচ্ছ তো কম মুখে মাখছো বেশি,,টিস্যু দিয়ে দেখি মুখ টা মুছো

হিয়াঃ কি করছেন আপনি স্যার দেখবে,,রাখুন টিস্যু টেবিলে,,অসভ্য

উজানঃ 😏এ জন্য বলে মেয়ে মানুষের ভালো করতে নেই

হিয়াঃ করতেই বা যান কেনো শুধু শুধু😡

উজান হিয়াকে ভেংচি কেটে দিয়ে আবার মকবুল স্যারের সাথে গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,এদিকে ঝিনুকের সাথে উজানের এতো খোলামেলা গল্প আর হিয়ার প্রতি উজানের এই কেয়ারিং কিছুতেই সহ্য হয়ে উঠে না সামনের সীটে বসে থাকা নীলিমার,,পারলে বুঝি ওখানেই সে হিয়াকে কসিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে দেয়,,

মকবুল স্যারঃ আমি যখন ভার্সিটিতে জয়েন করি এস এ টিচার সে সময় তোর ভাবীও কিন্তু হিয়ার মতোই ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট ছিলো,,তবে মজার ব্যাপার কি জানিস আংটি পড়ানোর দিনই আমি জানতে পারি আমি যাকে বিয়ে করবো সে আমারই ভার্সিটিরই স্টুডেন্ট

উজানঃ তারপর

মকবুল স্যারঃ তারপর ঔ যা হয়,,তাই বলছি শাষণে রাখতে চাইলে টিচার হয়ে জয়েন কর,,ঝগড়া করবার সময় এই ট্রিকে বেঁচে যাবি

উজানঃ আপনি না স্যার🥰🥰,,,,,,আমার পছন্দ টা কি রকম বললেন না তো

মকবুল স্যারঃ তোর পছন্দ খারাপ হয় কি কখনো😉

স্যারের কথায় উজান হেঁসে ফেলে,,এদিকে হিয়া কোনো রকম খাবার টা শেষ করে ঝিনুক কে নিয়ে উঠতে ধরতেই হিয়ার হাত লেগে পাশে থাকা উজানের ফোন টা টুক করে নিচে পড়ে যায়,,অন্য কেউ হলে হয়তো এতোক্ষণে উজান তার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দিতো কিন্তু প্রত্যেক পুরুষ যে তার প্রিয়তমার কাছে মাছুম সাজতে বড়ই পারদর্শী,,তাই তো উজান মুচকি হেঁসে দিয়ে ফোন টা তুলতে যাবে ওমনি হিয়া উজান কে থামিয়ে দেয়

হিয়াঃ সরিইইইই,,,,দাড়ান আমি তুলে দিচ্ছি

উজানঃ না থাক আমি তুলছি

হিয়াঃ না আমি দিচ্ছি তো তুলে

হিয়া যেই ফোন টা তুলে মাথা উঁচু করতে যাবে ওমনি উজান নিচু হয়ে ফোন টা তুলবে আর ঠিক তখনই উজানের ঠোঁট গিয়ে স্পর্শ করে হিয়ার ঠিক কপালের মাঝ বরাবর নাকের একটু উপরে😘😘😘😘

দুজনেই এই মুহুর্তে ভীষণ রকম শকড খেয়ে ভূত দেখার মতো দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ,,কি হলো কেস টা😕😕

ভাগ্যিস উজানের হাইট জিরাফের মতো নয়তো মকবুল স্যার দেখে নিলে পুরো মানসম্মানে পড়তে হতো,,স্যারের সাথে ফ্রী ঠিক আছে কিন্তু বেশি ফ্রী হলেই তো সমস্যা আবার তাই না,,,

হিয়া ঠিক কি করবে বুঝতে পারে না,,তড়িৎ গতিতে স্যারকে কিছু না বলেই দৌড় শুরু করে সামনে,,আর উজান তো এদিকে ৪৪০ ভোল্ট চুমু নামক শকড খেয়ে মানে দিয়ে চুপ হয়ে বসে তাকিয়ে শুনতে থাকে মকবুল স্যারের সব বকবক,,যদিও স্যারের কোনো কথাই তার কানে এই মুহুর্তে কিচ্ছু ঢুকছে না

_____________
হিয়াঃ হ্যা শ্রাবন সোনা,,শুন আমি আর ২০মিনিটের মধ্যেই আসছি,,তুই কিন্তু একটুও ভয় পাস না হ্যা

শ্রাবনঃ আরে বুবুনি তুই আরো দেরি করে আয় না আমি আর একটু খেলতে পারবো তাহলে

হিয়াঃ বদমাইশ,,আচ্ছা শোন আপুকে জ্বালাবি না বেশি আর খিদে পেলে খাটের নিচে নীল বোয়ম টায় বিস্কুট রাখা আছে ওখান থেকে বের করে খেয়ে নিস কেমন

শ্রাবনঃ আচ্ছা আচ্ছা তুই ধীরেসুস্থে আয়,,বুঝলি

হিয়াঃ হুম হুম রাখছি

হিয়া ফোন রেখে ফিরতে যাবে ওমনি নীলিমা এসে পেছন থেকে হিয়ার ফোন টা গপ করে কেড়ে নেয়,,নীলির রাগ,কেনো হিয়া তখন উজানের পাশে বসে উজানের এতো কাছাকাছি এলো,,তাই সে ঠিক করে সে এখন হিয়াকে হিয়ার জায়গাটা বুঝাবে

হিয়াঃ আমার ফোন টা আমাকে দিন আপু

নীলিমাঃ আরে দাঁড়াও দাঁড়াও এতো তাড়া কিসের

হিয়াঃ আপু আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে আমাকে আমার ফোন টা দিন

রাইসাঃ দে তো দেখি ফোনটা,,এ মা বাটন ফোন,,এই ইরাতে এসে কেউ বাটন ফোন ইউস করে

নীলিমাঃ তাও আবার দেখ না কি অবস্থা ফোনের,,এই ফোন দিয়ে আদৌও কি কথা বলা যায়,,দেখে তো মনে হচ্ছে বাচ্চা দের কোনো খেলনা মোবাইল

রাইসাঃ বাচ্চারাও এখন স্মার্টফোন ছাড়া ইউস করে না নীলি

বলেই সবাই হো হো করে হাসতে শুরু করে

নীলিমাঃ তা হিয়া কোন ফেরিওয়ালার থেকে কিনেছিলা ফোন টা শুনি

ঝিনুকঃ আপু প্লিজ হিয়ার ফোন টা দিয়ে দিন,,সন্ধ্যা হয়ে আসছে আমরা বাড়ি ফিরবো

রাসেলঃ তা তুমি বাড়ি ফেরো কে আটকিয়ে রাখছে তোমাকে

হিয়াঃ ভাইয়া প্লিজ এরকম না করে আমার ফোন টা দিন,,আমাকেও বাড়ি ফিরতে হবে

নীলিমাঃ ইউস তো করো দু টাকার ফোন কিন্তু ভাব তো দেখাও যেনো কতো কোটিপতির মেয়ে তুমি,,এতো কিসের অহংকার তোমার হ্যা

হিয়াঃ আপু আমি কোথায় আপনাদের ভাব দেখালাম,,আমি তো শুধু আমার ফোন টা

রাইসাঃ আবার মুখের উপর কথা😠😠

রাসেলঃ দেখি ফোনে কি কি আছে,,এ মা হিয়া তোমার ফেইসবুক একাউন্ট নেই,,কি দিয়ে ফেইসবুক ইউস করো, এই ফোন দিয়ে??

হিয়াঃ না মানে আমি

রাসেলঃ তোমার ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ কিচ্ছু নেই

হিয়াঃ ওগুলো কি জিনিস

হিয়ার কথায় সবাই আবার হো হো করে হাসতে হাসতে হিয়াকে আরো অপমান করতে শুরু করে,,এদিকে সবার অপমান চরম পর্যায়ে চলে গেলে হিয়ার চোখ দিয়ে টল টল করে জল বের হতে শুরু করে,,কিন্তু হিয়া শুধু নীরবে কাঁদতে থাকে,,হিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ঝিনুকো হালকা কেঁদে ফেলে,,কিন্তু ঝিনুক তো আবার হিয়ার মতো এতো নরম শরম না ঢাকার মেয়ে বলে কথা মাথায় বুদ্ধি না থাকলে চলবে নাকি তার তাই তো বুদ্ধি করে উজানকে একটা টেক্সট দিয়ে জলদি এদিক টায় আসতে বলে ঝিনুক

রাইসাঃ দেখ ছোট বাচ্চার মতো আবার কাঁদছে,,

হিয়াঃ (কাঁদতে কাঁদতে) আপু আমার ফোন টা

রাইসাঃ তোমার এই খেলনা মোবাইল টা আজ আমরা রেখে দিয়ে এটাকে ফুটবল বানিয়ে খেলবো,,উজানের পাশে বসার সাহস দেখাবার জন্য এটা তোমার শাস্তি

হিয়াঃ আপনারা কিন্তু র্যাগিং এর নামে মানুষ কে একটু বেশি হেনস্তা করছেন,,আমি কিন্তু ভিপি কে বলতে বাধ্য হবো এবার

রাইসাঃ হ্যা যাও না যাও বলো গিয়ে প্রমাণ আছে কোনো যে আমরা তোমাকে

নীলিমাঃ (রাইসাকে থামিয়ে দিয়ে) শুনো হিয়া একটা সাজেশন দেই,, যেরকম তোমার অবস্থা সেই অবস্থারই ছেলেমেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করবার চেষ্টা করবা,,অবশ্য তোমার মতো এতো করুন অবস্থা এই ভার্সিটিতে কারো আছে কি না আমার সন্দেহ,,আর একটা কথা উজানের থেকে যেনো তোমাকে আমি দশ হাত দূরে দেখি,,উজান কোনোদিন তোমার মতো মেয়েকে ভালোবাসা তো দূর পছন্দের তালিকাতেও রাখবে না,,তাই নেক্সট টাইম নিজের লেভেল টা বুঝে,,,,,

নীলিমা আর কিছু বলার আগেই রাইসা নীলিকে থামিয়ে দিয়ে নীলির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা উজানের দিকে ইশারা করে,,নীলিমার অন্তরাত্মা মুহুর্তে কেঁপে ওঠে,,নীলি একটা শুকনো ঢোক গিলে আমতা আমতা করতে শুরু করে,,

উজানে চোখে এখন আগুন জ্বলছে,হিয়ার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া জলরাশি যেনো ঘি হয়ে সেই আগুন টাকে আরো জ্বলন্ত করে তুলছে….!!!!

উজান এগিয়ে এসে কিছু বলার আগেই হিয়া নিজেকে সামলাতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ওখান থেকে দৌড়ে ভার্সিটির মেইন রাস্তার মাঠ টা দিয়ে জোরে জোরে পা চালাতে শুরু করে,,উজান আপাতত নীলিদের কিছু না বলে হিয়াকে শান্ত করতে হিয়ার পিছনে ছুঁটতে শুরু করে

উজানঃ হিয়াআআ,,হিয়াআআ শুনো আমার কথা টা,,হিয়াআআ____হিয়া

হিয়া আরো দূত পা চালাতে শুরু করলে উজান এসে দুম করে হিয়ার হাত টা ধরে হিয়াকে থামিয়ে দেয়

হিয়াঃ কি করছেন কি,,হাত ছাড়ুন আমার

উজানঃ হিয়া একবার অন্তত কথা টা শুনো আমার

হিয়াঃ আমি আর একবার আপনাকে বলবো আমার হাতটা ছেড়ে দিন

উজানঃ না ছাড়বো না কি করবে না ছাড়লে,,এতো কিসের জেদ তোমার হিয়া??

হিয়াঃ আপনার এটাকে জেদ মনে হচ্ছে,,আমার যা সামর্থ্য আমি সেটা দিয়েই চলতে পছন্দ করি কিন্তু আপনার ফ্রেন্ডরা আমার সাথে যা করলো সেটা সত্যি ওদের থেকে কাম্য ছিলো না

উজানঃ ওকে ফাইন,,আমি ওদের হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,,এখন তো অন্তত একটু শান্ত হও

হিয়াঃ আমি শান্ত হই বা অশান্ত তাতে আপনার কি,,প্লিজ ছাড়ুন আমার হাতটা

উজানঃ হিয়া তুমি এরকম বাচ্চা দের মতো বিহেভ কেনো করছো😠

হিয়াঃ আপনার এটাকে বাচ্চামি মনে হচ্ছে,,যদি তাই মনে হয় তাহলে আমি তাই করছি,,হ্যাপি

উজানঃ না,,কিসের এতো পার্ট দেখাচ্ছ তুমি আমাকে,,এই শাহরিয়ার উজান কিন্তু আজ অবধি এই ভার্সিটি লাইফে কারো কাছে এরকম ভাবে অবনত হয় নি যা আজ তোমার সামনে হচ্ছে😡

হিয়াঃ কে বলেছে আপনাকে আমার সামনে অবনত হতে,,আমি বলেছি__কে আমি যে আপনি আমার সামনে মাথা নত করবেন,,,,প্লিজ আমার হাত টা ছাড়ুন আমার হাতে ব্যাথা লাগছে

হিয়ার কথায় উজান রাগের বশে হিয়ার হাতটা আরো জোরে করে চেপে ধরে কেনো হিয়া এসবের জন্য ওকে ভুল বুঝছে আর দুজনের কথা কাটাকাটি আর হাত নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে উজানের হাত দিয়ে ভেঙে যায় হিয়ার হাতের তিন চারটা কাচের চুড়ি,,আর তা দেখেই হিয়ার একটু আগের কষ্ট টা যেনো আরো বহুগুণ বেড়ে উঠে,,শ্রাবন কতো কষ্ট করে টাকা জমিয়ে জমিয়ে ওর বুবুনির জন্য চুড়ি গুলো কিনলো আর উজান কি না এভাবে,,হিয়ার চোখ দিয়ে আবার সেই অনবরত জল পড়তে শুরু করলো,,ঘটনার রেশ বুঝার আগেই হিয়া বসিয়ে দিলো উজানের গালে আরো একটা থাপ্পড়!!

উজানঃ হাউ ডেয়ার ইউ😡তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে আবার!!

হিয়াঃ কেনো আমার হাত ধরে আপনি এরকম অসভ্যতামি করছেন,,আর এই যে চুড়ি গুলো ভেঙে দিলেন এখন আমি কি করে

হিয়া ওর চোখ মুছতে মুছতে নিচ থেকে কাচের চুড়ি গুলোর ভাঙ্গা অংশ কুড়াতে থাকে,,হিয়া ওসব কুড়িয়ে উঠে চলে যেতে ধরলে উজান আবার হিয়ার বাহু চেপে ধরে পাশে থাকা বট গাছটায় ঠেসে ধরে হিয়াকে থামিয়ে দেয়

হিয়াঃ আপনারো কি আমার ফোনটার মতো আমাকে দোকানের কোনো সস্তা জিনিস মনে হয়,,যে যখন ইচ্ছে আপনি আমার হাত ধরছেন আমার বাহু ধরে আমাকে থামিয়ে দিচ্ছেন

উজানঃ দোকানের কোনো সস্তা জিনিস মনে হয় কি না জানি না কিন্তু তোমাকে আমার নিজের জিনিস মনে হয়,,আর নিজের জিনিসের সাথে কতোটুকু কি করতে হয় এই উজান শাহরিয়ার খুব ভালো করেই সেটা জানে❤️

হিয়াঃ খুব অহংকার না আপনার এই নামের আপনার

উজানঃ তোমার যদি এটাকে অহংকার মনে হয় তো সত্যি হিয়া তোমাকে আমার কিচ্ছু বলার নেই,,,,,,(পকেট থেকে রুমাল টা বের করে)দেখি চোখ মুছো

হিয়াঃ আমি চোখ মুছবো না

উজানঃ তুমি আমার সাথে জেদ করছো হিয়া,,পারবা তুমি আমার সাথে

হিয়াঃ না পারার কি আছে,,আপনারা তো শুধু মানুষের উপর জোর খাটাতেই শিখছেন সবাই,,কাউকে আপন করতে শিখতে পেরেছেন কি কখনো

উজানঃ জাস্ট মুখ টা বন্ধ করো এসব ফিল্মেটিক কথাবার্তা আমার একদম সহ্য হয় না😡

হিয়াঃ সত্য কথা বললাম যে সহ্য না হবারই কথা

উজানঃ রিয়েলি,,,,ডু ইউ নো তখন প্রিয়াংকার জায়গায় মঞ্চে তোমাকে উঠানো উচিৎ ছিলো এতো সুন্দর সুন্দর ডায়লগ থ্রো করছো কিভাবে হাউ

হিয়াঃ হ্যা এখনতো আমার সবকিছু আপনার নাটকই মনে হবে

উজানঃ হ্যা মনে হলে বলবো না,,প্রথম দিন তো কতো হিরোগিরি দেখলা আজ কি হলো আজ এরকম কেঁদে কুটে পালিয়ে যাচ্ছ কেনো

হিয়াঃ হ্যা আপনার তো আমাকে এখন তাই মনে হবে যে আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে যাচ্ছি,,এখন কি আর মনে হবে যে আমি সাহসী মেয়ে,,এখন তো আর আমাকে আপনার ভালো লাগবে না

উজানঃ তুমি এরকম অহেতুক অন্যের রাগ আমার উপর ঝারলে অবশ্যই আমার খারাপ লাগবে

হিয়াঃ আমি আমি আমি অন্যের রাগ আপনার উপর ঝারছি,,আর আপনি কি করছেন,আমাকে না আটকিয়ে তো আপনার ঔ অসভ্য বন্ধু গুলো কে কিছু হলেও বলে আসতে পারতেন,,তা না করে আপনি উল্টো আমাকে

হিয়ার কথায় এবার উজান চুপ হয়ে মনে মনে কি জানি একটা ভেবে মিচকে মিচকে হাসতে শুরু করে

হিয়াঃ কি হলো উওর দিন,,কথা সব স্টক থেকে ফুরিয়ে গেলো তাই না,,যাবেই তো_____কি হলো আপনি এরকম করে হাসছেন কেনো!!

উজানঃ একটা জিনিস দেখে

হিয়াঃ মানে

উজানঃ আমরা দুজন কি রকম নতুন বর বউয়ের মতো ঝগড়া করছি দেখো(বুম বুম বুম)

হিয়াঃ 😕😕

উজানঃ বিয়ের পরো কি তুমি আমার সাথে আই মিন তোমার হাসবেন্ড এর সাথে এরকম করেই তর্ক করবা😊

হিয়াঃ আপনাকে তো আমি😡____আপনি একটা,,একটা ঔ আপনি একটা ঔ খুব খুব খুব বাজে লোক,,শুধু মানুষের স্পেশালি আমার ইমোশন নিয়ে মজা করতে পছন্দ করেন,,

উজানঃ আমি মোটেই তোমার ইমোশন নিয়ে কখনো মজা করি নি হিয়া

হিয়াঃ সে আপনি কি করেছেন না করেছেন আমি এসব বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না,,আপনি প্লিজ দয়া করে কালকের পর থেকে আমার পেছনে এভাবে পড়ে থাকবেন না___কোথায় আমি আর কোথায় আপনি,,আমি তো আপনার বন্ধু হবারো যোগ্যতা হয়তো রাখি না___আপনি দয়া করে এবার আমাকে এই ভার্সিটিতে আমার মতো থাকতে দিন,,নাহলে হয়তো আমার পড়াশোনা আমাকে এখানেই স্টপ করে দিতে হবে

উজান কিছু বলতে গিয়েও আর কথা না বাড়িয়ে ঝিনুককে ডেকে বলে হিয়াকে বাড়ি দিয়ে যেতে,,হিয়া যাবার আগে উজান কে আরো একবার বলে যায় উজান যেনো এরপর থেকে আর ওর আশেপাশে না ঘুরে,,হিয়া চলে গেলে উজান পাশে দাড়িয়ে থাকা গাছটায় রাগে একটা ঘুষি মেরে ওখানে বসে পড়ে চোখ টা বন্ধ করে,,আর চোখ বন্ধ করতেই ওর চোখের সামনে ভেসে ওঠে হিয়ার অশ্রমাখা মায়াবী মুখ টা,,নিমিষে উজানের বুক টা ক্ষত দিয়ে ভরে উঠে,,কিছু ক্ষন পর চোখ মেলে ফোন টা হাতে নিতেই উজান খেয়াল করে সামনে ঘাসের উপর হিয়ার ভেঙে যাওয়া চুড়ির আরো দুটো টুকরো পড়ে আছে,,উজান উঠে চুড়ি গুলো তুলে ওর পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়

উজানঃ ইডিয়ট একটা,,সামান্য কয়েকটা চুড়ি ভেঙে গেছে বলে কেউ এরকম করে কাঁদে!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here