😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒
Part-18
ভার্সিটির উল্টোদিকের বড় মাঠ টার ধার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া লেক টার এক পাশের ঘাসের উপর বসে আছে উজান,,আজ তার খুব রাগ হচ্ছে,,কেনো হিয়া এখনো নিজেকে এভাবে এতো অবহেলার মধ্যে রাখছে,,হিয়া কি সত্যি বুঝে না উজানের মনের ফিলিংস টা,,নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে কোনটা??
ক্লাস শেষে উজানকে খুঁজতে খুঁজতে হিয়া আসে,,গুটিগুটি পায়ে কিছু না বলেই উজানের পাশে বসে পা দুটো সামলে মেলে দিয়ে লেকের সামনে বহুদূর যেদিকে চোখ যায় ওদিকে তাকিয়ে থাকে,,উজান হিয়াকে দেখে রাগ হয়ে ওখান থেকে উঠে পেছনে হাঁটতে শুরু করে,,এতে হিয়ার কোনো ভাবাবেগ হয় না,,হিয়া তখনো এক মনে সামনে তাকিয়ে আছে তো আছে কারণ সে জানে উজান আবার এসে ঠিক তার পাশে বেহায়ার মতো বসে পড়বে,,আর হিয়ার মনের কথা টাই সত্য হয়,,উজান হাঁটতে ধরে থেমে যায়,,ঘুরে এসে আবার দুম করে হিয়ার একদম গা ঘেঁষে হিয়ার পাশে বসে যায়,,বসে শুধু রাগে ফুঁসতে থাকে,,এমনিতে সে রাগে আছে তার উপর হিয়া এমনভাবে এতো ইজি হয়ে আছে যেনো কিছুই হয়নি,,উজান এবার হিয়াকে ঝারি দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে হিয়া উজানের দিকে মুখ ঘুরিয়ে উজানকে প্রশ্ন করে,
হিয়াঃ আমাকে ভালোবাসেন আপনি??____একটা প্রশ্ন করেছি আপনাকে উত্তর দিন____কি হলো চুপ হয়ে আছেন কেনো??
উজানঃ তোমার মতো এতো উশৃংখল,,বেয়াদব একটা মেয়েকে ভালোবাসবো আমি,,নেভার
হিয়াঃ তাহলে আমাকে ওভাবে খুঁজছিলেন কেনো এই তিনদিন?
উজানঃ কে বলেছে আমি তোমাকে খুঁজেছি,,আমি তো আমি তো শ্রাবণকে খুঁজেছি
হিয়াঃ তাহলে এখানে বসে বসে কি করেছেন,,আপনার তো এখন শ্রাবণের সাথে থাকবার কথা,,খুব নাকি মিস করছিলেন ওকে
উজানঃ আমি এতোক্ষণ শ্রাবণের সাথেই ছিলাম,,তুমি তখন ক্লাস করছিলা,,হু
হিয়াঃ আপনি আবার আমার বাসাতেও গিয়েছিলেন এর মধ্যে!!
উজানঃ হ্যা,,তোমার বাসা কি মঙ্গলগ্রহে নাকি যে যেতে আসতে সময় লাগবে আমার
হিয়াঃ হ্যা কিন্তু____আচ্ছা একটা কথা বলুন তো আমি আর শ্রাবণ যদি আর কখনো ফিরে না আসতাম তখন কি করতেন আপনি
উজানঃ আমিও হারিয়ে যেতাম কোথাও একটা
হিয়াঃ তাই,,ভালোই তো মেয়ে দের সাথে ফ্লাট করেন আপনি,,তা আমার আগে এরকম করে কতোগুলো মেয়েকে লাইন মেরেছিলেন একটু বলবেন
উজানঃ তুমিই ফাস্ট
হিয়াঃ তার মানে আপনি আমাকে লাইন মারেন বলছেন,তাই তো
উজান টপ করে হিয়ার মাথায় একটা গাট্টা মারলে হিয়া খেঁকিয়ে উঠে
হিয়াঃ গাট্টা মারলেন কেনো আবার,,
উজানঃ এসব কি ওয়ার্ড হ্যা লাইন মারা,,ফ্লাট,,কি বুঝো এসবের তুমি ছোট একটা বাচ্চা কেবলই ফাস্ট ইয়ার তার আবার কথার ধরণ কি দেখো,,
হিয়া কিছু না বলে একটা হাসি দিয়ে আবার সামনে তাকিয়ে থাকে,,উজান আলতো করে হিয়ার হাত টা ধরে সামনে আনতেই হিয়া খানিকটা চিৎকার করে উঠে
উজানঃ কি হলো,,এভাবে চিৎকার কেনো করলে
হিয়াঃ না ঔ হাতে
উজানঃ হাতে কি,,দেখি
হিয়াঃ না কিছু না এমনি
উজানঃ হাত গুলো এরকম ফুলে ফুলে আছে কেনো
হিয়াঃ না কিছু না,,বললাম তো
উজানঃ শ্রাবণ বললো সেলাইয়ের কাজে গিয়েছিলে,,তবে কি
হিয়াঃ হ্যা ঔ সেলাই করতে গিয়ে এক দু বার সুই ফুটে
উজানঃ এটা এটা এক দু বার সুই ফোটার হাত___এতো অযত্ন কেনো হিয়া তোমার তোমার উপর
হিয়াঃ আরে সেলাই করতে গিয়ে তো এসব একটু আধটু সুই ফুটবে এটা কোনো ব্যাপার হলো
উজানঃ না ব্যাপার না,,ব্যাপার কেনো হতে যাবে,,সুই কেনো চাকু দিয়ে হাত কাটলেও তো তোমার কাছে সেটা কোনো ব্যাপার হবে না
হিয়াঃ আপনি একটু বেশি ই বুঝেন
উজানঃ চুপ করো তো তুমি,,মুখ টা বন্ধ করো এখন
উজান হিয়াকে থামিয়ে দিয়ে সাব্বির কে ফোন করে একটা হাতের জন্য ক্রীম নিয়ে আসতে বললে,,সাব্বির সব কাজ ফেলে দশ মিনিটের মধ্যে উজানের বলা ক্রীম টা নিয়ে এসে উজানের হাতে দেয়,,উজান ক্রীম টা নিয়ে খুব যত্ন ভরে হিয়ার হাতে লাগাতে শুরু করে,,হিয়া অপলক উজানের দিকে তাকিয়ে থাকে আর ভাবতে থাকে কেনো উজান ওর এতো কেয়ার নিচ্ছে,,উজান যে বলে সে নাকি হিয়ার মতো মেয়েকে ভালোবাসে না তাহলে কিসের জন্য সে হিয়ার প্রতি,,ওদিকে সন্ধি আর ঝিনুক ও তো বলে উজান নাকি ওকে ভালোবাসে তাহলে উজানের সেটা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়!!
উজানঃ পরীক্ষা নেক্সট মানথ না
হিয়াঃ হুম
উজানঃ আরো এক মাসের মতো
হিয়াঃ হুম
উজানঃ তাহলে প্রবলেম হবার কথা না
হিয়াঃ কিসের প্রবলেম
উজানঃ ঝিনুকের থেকে শুনে নিও
হিয়াঃ না আপনি বলুন
উজানঃ পরশু থেকে ঝিনুকের বোনের বিয়ে এটা নিশ্চয় জানো
হিয়াঃ হ্যা শুনেছিলাম,,বলেছিলো ঝিনুক কিন্তু পরশু থেকে এটা জানতাম না
উজানঃ হুম__জানবা কি করে লুকিয়ে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে থাকলে কি আর কাছের মানুষ গুলোর কি অবস্থা হচ্ছে সেটা জানতে পারবা
হিয়াঃ Sorry
উজানঃ উমহুম ওসব সরি টরি দিয়ে উজান শাহরিয়ার ভুলবে না,,উজান শাহরিয়ার কে তোমার খুব স্বস্তা বলে মনে হয় তাই না
হিয়াঃ তাহলে কি করতে হবে আমাকে এই নিরুদ্দেশ হয়ে থাকার জন্য
উজানঃ কিছু করতে হবে না,,ঔ একটু সুন্দর করে সেজেগুজে শ্রাবণ সহ ঝিনুকের সাথে বিয়ের বাড়িতে আসতে হবে
হিয়াঃ 😒😒
উজানঃ ওরকম করে চোখ পাকিয়ে লাভ নেই,,ঝিনুকের বোন বিয়ে হচ্ছে আমাদের ব্যাচের রুপমের বড় ভাইয়ের সাথে,,আর রুপমকে তো তুমি চেনোই আমরা ছাড়া আবার ওর কিছু ঠিক ভাবে হয়ে ওঠে না___তাই ছেলে পক্ষ হতে আমরা ওল ফ্রেন্ডগুষ্টি ইনভাইটেড আর মেয়ে দের পক্ষ হতে তুমি আসবা ঝিনুকের সাথে,,ক্লিয়ার
হিয়াঃ হ্যা কিন্তু,,দেখুন ঝিনুকের আপুর বিয়েতে ঝিনুক আমাকে ইনভাইট করবে সে আমি জানি,,আর আমি যে ওকে নাও করতে পারবো না সেও আমি জানি,,,,আমি না হয় শ্রাবণকে নিয়ে একদিন ঔ এক ঘন্টা গিয়ে বিয়ে এ্যাটেন্ড করে আসবো এ আর এমন কি
উজানঃ উমহুম ঔ এক ঘন্টার জন্য না ম্যাডাম,,দুই রাত তিন দিনের জন্য,,
হিয়াঃ মাথা ঠিক আছে আপনার,,দুই রাত তিন দিন ধরে বিয়ে হবে বুঝি
উজানঃ না,,একদিন গায়ে হলুদ একদিন বিয়ে একদিন বউভাত,,তিনটা অনুষ্ঠানেই হবে ঝিনুকদের গ্রামের বাড়ি নাওয়ানগঞ্জ এ,,সো দা মোরাল ইজ তুমি আর শ্রাবণ আমাদের সাথে তিন দিন সেখানে থাকছো,,আন্ডারস্ট্যান্ড
হিয়াঃ কচু আন্ডারস্ট্যান্ড,,আমার খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই তো আমি মানুষের বাড়িতে গিয়ে এতোদিন থেকে আসবো,,আপনার ইচ্ছে হলে আপনি যান পুরো ফ্রেন্ডগুষ্টি কে সাথে নিয়ে যান দরকার পড়লে পুরো ক্যাম্পাসে আপনার উপর ঔ ক্রাশ খেয়ে উল্টে পড়া মেয়ে গুলোকে নিয়ে যান,,কিন্তু আমি এই এসবে নেই,উমহুম
উজানঃ তুমি না গেলে আমি তোমাকে তুলে নিয়ে যাবো
হিয়াঃ আমি চিৎকার করবো
উজানঃ আমি হাত দিয়ে তোমার মুখ চিপে ধরে রাখবো
হিয়াঃ আমি আপনার হাতে কামড় বসিয়ে দেবো
উজানঃ আমি তোমার হাত ভেঙে রেখে দেবো
হিয়াঃ আমি ব্যাথা পাবো,,
উজানঃ আমি আদর দিয়ে দেবো
হিয়াঃ কতো গুলো আদর দিয়ে দেবেন,,
উজানঃ কতো গুলো আদর চাই তোমার
হিয়াঃ এতো গুলো চাই
উজানঃ এই এতো গুলো
হিয়াঃ না এর চাইতেও বেশি,,এই এতো গুলো
উজানঃ এতো গুলো,,এই মাঠ টার সমান
হিয়াঃ না এই আকাশ টার সমান
উজানঃ এই আকাশ টা তো অনেক বড়,,এতো আদর দিলে রাখবা কোথায়
হিয়াঃ আপনি এতো আদর দিতে পারলে আমি রাখতেও পারবো
উজানঃ আমি তো পারবো কিন্তু তুমি
হিয়াঃ আমি কি_____
এবার হিয়ার হুঁশ ফিরে,,বলতে বলতে উজান যে ওকে দিয়ে কিসব বলিয়ে নিচ্ছে এবার হিয়ার বুঝে আসতেই হিয়া নিজের জিহ্বে কামড় বসিয়ে লজ্জায় পুরো মাথা নুইয়ে নেয়,,হিয়ার সেই লজ্জারত মুখ দেখে উজান কিছু না বুঝেই হিয়ার গালে টপ করে একটা চুমু,,এঁকে দিয়ে পাশে ঘাসের উপর আকাশ পানে মুখ করে শুইয়ে পড়ে,,এদিকে হিয়া তো পুরো লজ্জায় গলে গিয়ে সামনে লেকের দিকে তাকিয়ে ঘাসের উপর হাত রেখে ঘাস গুলোকে হাত দিয়ে মোচড়াতে শুরু করে,,কি করলো উজান এটা ওর সাথে!!উজান না হয় করলো কিন্তু সে নিজে উজানের সাথে কি এসব কথা বলছিলো একটু আগে,,ভেবেই হিয়ার মাথা পুরো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধুর
চুপচাপ দুই এক মিনিট ওভাবে বসে থাকার পর হিয়া কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে যেই ওখান থেকে উঠে চলে যেতে ধরবে ওমনি উজান হাত বাড়িয়ে হিয়াকে টেনে নিজের বুকের উপর ফেলে দেয়,,মুহুর্তে হিয়ার বুক শুন্য হয়ে আসে,,
হিয়াঃ কি করেছেন আপনি,,মাঠ দিয়ে যখন তখন কেউ চলে আসতে পারে প্লিজ আপনি ছাড়ুন আমাকে
উজানঃ এতো লাজুক কেনো তুমি
হিয়াঃ লজ্জা মেয়েদের ভূষণ,,কথা টা শুনেননি কখনো,,তাই আমি লাজুক,,হ্যাপি___ছাড়ুন এখন আমাকে,,ছাড়ুন নাআআআ
উজানঃ আজকে থেকে তোমার আরো একটা নতুন নাম দিলাম আমি
হিয়াঃ নাম!!আবার__পেত্নী,,ইডিয়ট এসব ডেকেও মন ভরেনি যে এখন
উজানঃ না ওসব তো থাকবেই কিন্তু তার সাথে
হিয়াঃ কি তার সাথে!!
উজানঃ লজ্জাবতী
হিয়াঃ লজ্জাবতী!!
উজানঃ হুম লজ্জাবতী হিয়া____লজ্জাবতী গাছ দেখছো কখনো ছুঁইয়ে দিলে যেমন নুইয়ে যায় তুমিও ঠিক সে রকম একটু তে লজ্জায় চোখ মুখ লাল করে পুরো নুইয়ে ফেলো
বলেই উজান হিয়ার হাত টা ছেড়ে দিলে হিয়া উঠে দাঁড়িয়ে সামনে হাটতে শুরু করে,,হিয়ার সাথে সাথে উজানো উঠে নিজের বাইক টা নিয়ে স্টার্ট দিয়ে হিয়ার সামনে এসে দাঁড় করিয়ে দেয়
হিয়াঃ আবার কি চাই
উজানঃ বসো
হিয়াঃ কোথায়
উজানঃ আমার মাথায়,,বাইকে বসতে বলেছি গর্ধব একটা
হিয়াঃ আপনি বললেই আমাকে আপনার বাইকে বসতে হবে,,,,আপনি আপনার কাজে যান আমাকে আমার কাজে যেতে দিন
উজানঃ তুমিই তো আমার কাজ এখন হাঁস পাখি
হিয়াঃ তাই বুঝি
উজানঃ হুম তো
হিয়াঃ ভার্সিটির রকবাজ শাহরিয়ার যে এভাবে বেকার হয়ে একটা মেয়ের পেছনে এভাবে পড়ে থাকবে সেটাআআআআ জানা ছিলো না
উজানঃ এটা তো শাহরিয়ার সাহেবো বুঝতে পারে নি কখনো,, কি আর করার____আসো তো তোমাকে রিফাতদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আবার আমার কাজ আছে,,উঠো কুইক
হিয়াঃ আপনার কাজ আছে তো আপনি কাজে যান,,আমি ছোট বাচ্চা না যে একা একা যেতে পারবো না
উজানঃ তুমি যে ছোট বাচ্চা না,তুমি যে একা যেতে পারবা আমি জানি কিন্তু আমি এখন যা বলছি তুমি সেটা করো ফাস্ট
হিয়াঃ উমহুম,,আপনি আসতে পারেন আমি আসছি
উজানঃ তুমি শুনবে না তো আমার কথা
হিয়াঃ না
উজানঃ হিয়া আমি কিন্তু রাগ হচ্ছি
হিয়াঃ যা আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম
উজানঃ ফাজলামো হচ্ছে আমার সাথে,,
হিয়াঃ বালাইষাট আমার বয়েই গেছে আপনার মতো একটা কুমড়োপটাশের সাথে ফাজলামো করতে
উজানঃ এতো কথা বলো তুমি__মুখ ব্যাথা করে না
হিয়াঃ আপনি যে সবসময় আমার পেছন পেছন এরকম করে ঘুরঘুর করেন আপনার পা ব্যাথা করে না??
উজানঃ করে তো কিন্তু তাও তো তুমি আমার কষ্ট টা বুঝো না
হিয়াঃ আমি বলেছি কখনো আপনাকে আমার জন্য এতো কষ্ট করতে
উজানঃ তা বলবা কেনো,,মুখে তো বিষ থাকে ওলয়েজ তোমার,,মুখে মধু টাইপ কিছু থাকলে না ভালো কথা মুখ দিয়ে বের হবে
হিয়াঃ আপনি কিন্তু পায়ে পা লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার সাথে ঝগড়া করছেন
উজানঃ আমি আমি ঝগড়া করছি আর তুমি,,তুমি তো যেনো মুখ বন্ধ করে সব সহ্য করে নিচ্ছ
হিয়াঃ ঠেকা আমার
উজানঃ না ঠেকা তো আমার,,,আসো তো বসো তোমার বকবকানির চক্করে আমার লেট হয়ে যাচ্ছে
হিয়াঃ তা যান আপনি,আমার সাথে কি সাধ আপনার
উজানঃ আআআআ,,এতো এনার্জি আসে কোথা থেকে ঝগড়া করার,,শরীরে তো হিমোগ্লোবিন কম এই আমাকে দেখলে কি রক্ত টকবগ করতে শুরু করে তোমার তাই না
হিয়াঃ (ফিক করে হেঁসে দিয়ে) হ্যা একটু একটু করে
উজানঃ তোমার ঔ একটু একটু কি করে কমাতে হয় বিয়ে বাড়িতে যাই আগে তারপর দেখাবো
হিয়াঃ আমি আপনার থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকবো
উজানঃ আমি ঠিক খুঁজে নেবো
হিয়াঃ আমি অদৃশ্য হয়ে যাবো
উজানঃ আমি ম্যাজিক করে তোমাকে আবার বাস্তবে ফিরে নিয়ে আসবো
হিয়াঃ উফফ এতো কথা বলেন না আপনি
উজানঃ হেরে গেলে তো
হিয়াঃ হুম হারলাম__যান তো এখন আপনার কাজে,,আমার এমনিতেও কতো দেড়ি হয়ে গেলো আপনার জন্য
উজানঃ আসো না হিয়া এরকম করো কেনো তুমি সবসময়
হিয়াঃ আপনি যান তো
উজানঃ প্লিজ
হিয়াঃ না
উজানঃ প্লিজ
হিয়াঃ না
উজানঃ আচ্ছা এর বিনিময়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিও,,তাও উঠো প্লিজজজজজ
হিয়াঃ (ফিক করে হেঁসে দিয়ে) আমার থাপ্পড় খেতে আপনার এতো ভালো লাগে
উজানঃ আগে লাগতো না এখন লাগে,,,প্লিজজজ উঠো এবার আমার লেট হচ্ছে
হিয়াঃ আআআ,,এটাই ফাস্ট আর এটাই লাস্ট ঠিক তো
উজানঃ হুমম হুমম পাক্কা পাক্কা আসো
হিয়াঃ আপনি না___যেটা মনে চায় সেটা করাবেন তো ছাড়বেন
উজানঃ বসো তো বেশি বকবক না করে,,,সাবধানে
হিয়া আলতো করে উজানের কাঁধে হাত রেখে বাইকে উঠে পড়ে,,উজান আর হিয়াকে তার কোমড় ধরতে ইনসিস্ট করে না,,হোক একদিন শাহরিয়ার সাহেবের সেই ইচ্ছে টাও পূরণ হবে হয়তো_____বাইক চলতে গিয়ে একটা সময় খুব জ্যামে আঁটকে পড়ে,,কি আর করার এখন থাকো এই গরমে জ্যামে বসে____