মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️ 🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒 Part-43

0
1031

😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒

Part-43

হলুদ শাড়ি লাল পাড়,হাতে লাল ফুলের চুড়ি কপালে সেই ফুলের টিকলি,,গলায় কানে সেই একই ফুলের সমাহার,,কপালের লাল টিপ আর ঠোঁটে হালকা রঙ,,সব মিলিয়ে আজ হিয়াকে একদম একটা হলুদ পরীর মতো লাগছে,,হিয়ার পাশে বসে আছে তার সেই পাগল প্রেমিক উজান,,টুকর টুকর চোখ দিয়ে সবার নজর ফাঁকি দিয়ে সে তার প্রেয়সীকে দেখায় ব্যস্ত,পড়নে হলুদ পাঞ্জাবির সাথে সাদা চুড়িদার,চুল গুলো নিয়ম করেই আছড়ানো,,হাতে একটা কালো ঘড়ি,,উজানের তো খুব ইচ্ছে ছিলো সে আগে হিয়াকে নিজের হাতে হলুদ ছোঁয়াবে কিন্তু সে আর হলো কোথায় হিয়া সেজেগুজে উজানের কাছে আসার সময় পেলে তো,,উজান প্রথমে হালকা ক্ষিপ্ত হলেও পরে যখন দেখলো বাড়ির সকলে তাদের দু’জনকে পাশাপাশি বসিয়ে দিয়ে হলুদ দেবার ব্যবস্থা করেছে তখন আর সে বেচারা আর বেশি রাগ করে থাকতে পারলো না,,

বাড়ির বড়দের দিয়ে হলুদ মাখার আয়োজন শুরু হলো,,আর সেই আয়োজন চলতে থাকলো ঘন্টাখানেক ধরে,,উজানদের এতো আত্নীয়স্বজন দেখে হিয়ার মাথা নষ্ট,,এই ফুফু ঔ চাচি ঔ বড়মা মানে লাইনের আর শেষ হবার নামই যেনো নেই আর,,শেষমেশ বড়দের সব লাইন শেষ হলে শুরু হলে ছোটদের পালা,,এ মা এই ছোটদের লাইন তো বড়দের লাইনের থেকেও দুই ডবল বেশি,এতে আরো মহাজ্বালা,,এক এক করে লাইন ধরে বাড়ির সব বয়সী ছোটরা নিজেদের মতো হলুদ মাখিয়ে দিলো শেষে আসলো এবার ফ্রেন্ডগুষ্টির পালা,,এরা তো আরেকধাপ এগিয়ে,,বাড়ির বড় আর ছোটরা যাও মানানসই রেখে হলুদ মাখাচ্ছিলো রুপম সাব্বির তুষার এসে তো পুরো উজানের মুখ হাত থেকে শুরু করে উজানের পাঞ্জাবি তুলে উজানের বুকে-পিঠে-চুলে যেভাবে পেরেছে হলুদের বাটি টা পুরো ঢেলে দিয়েছে,,আর এদিকে মেয়েদের গ্যাং এসে হিয়ার মুখ তো হলুদে লেপ্টে দিছে দিছে সাথে হিয়ার গলা হাত কিচ্ছু বাদ রাখেনি,,

উজানঃ হোয়াট দা___এগুলো কি করলি তোরা,,এই হলুদের রঙ কালকে না উঠলে

রুপমঃ কুল মেরে এ্যায়ার,,ইতনাভি গুচ্ছা মাত কারো না___উঠবে উঠবে পরে তোকে নিয়ে গোসল করিয়ে দেবো না আমরা,,হলুদ না উঠলে হবে,,কাল আবার বর সাজতে হবে না,,

ঝিনুকঃ (হাসতে হাসতে) আপু আপু হিয়ার মুখ টা একবার দেখো,,কেমন মনে হচ্ছে হলুদ হলুদ হাগু লেগে আছে,,

হিয়াঃ এরকম বেক্কালের মতো হাসা বন্ধ কর,,সবসময় বাজে কথা আর ফাজলামো,,(খুব রেগে গিয়ে)

সন্ধিঃ কি লাগছে দুটোকে উফফ পুরো রাজযোটক,,,,হলুদ মেখে খেয়ে একদম যা তা অবস্থা বানিয়ে দিলাম,,

সবার হাসি ঠাট্টার মাঝে তুষারের চোখ যায় পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রাবণের উপর,,সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখ দিয়ে পানি ফেলছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে,,তার কান্নার কারণ এখন অবধি সবাই তার বুবুকে আর ভালো ভাইয়াকে হলুদ মাখালেও সে নিজে এখনো একফোঁটা হলুদ ছুঁইয়ে ধরতে পারে নি,,তুষার গিয়ে শ্রাবণকে সামনে নিয়ে আসতেই শ্রাবণ আরো ফুপিয়ে কেঁদে উঠে,,উজান ওর হাত টা টিস্যু দিয়ে মুছে শ্রাবণকে কোলে নিলে হিয়া পাশ থেকে ওর ভাইয়ের কি হ’য়েছে জানার জন্য অস্থির হয়ে উঠে,,

উজানঃ আরে কাঁদছিস কেনো সেটা না বললে আমরা কি করে বুঝবো,,শ্রাবণ,,এই সোনা

শ্রাবণঃ তোমরা সবাই বুবুকে আর বালো বাইয়াকে হলুদ মেকে দিলে আমাকে আমাকে মাখাতে দিলে না,,এ্যা আ্য এ্যা

উজানঃ আরে এটার জন্য কাঁদতে হয় নাকি,,আমি তো বললেই সবার আগে তোকেই মাখতে দিতাম,,সরি সরি ভুল হয়েছে,,তুষার যা তো আরো হলুদ নিয়ে আয়

তুষারঃ ইয়েস বস,,এক্ষুনি আনছি

তুষার হলুদ নিয়ে আসলে চলে আরেকদফা হলুদ খেলা,হিয়া যাও বা একটু আগে টিস্যু দিয়ে ওর মুখে আর গলার কাছে লেগে থাকা হলুদ গুলো মুছে নিয়েছিলো শ্রাবণের এই হলুদ মাখানোর চক্করে আবার তাকে আর উজানকে হলুদের আবরণে নিজেদের ঢাকতে হলো,,কি আর করার,,এখন যে এই হলুদ খেলা কতোক্ষন চলবে কে জানে,,

শ্রাবণের হলুদ খেলা শেষ হতেই সবাই উজান আর হিয়াকে ছাঁদের মাঝে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গোল হয়ে ঘিরে ধরলো,,তাদের আবদার এখন নাকি উজান হিয়াকে নাচ করতে হবে তাও আবার পুষ্পার সামে সামে গানে,,উজানের ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেসটিং লাগলেও হিয়া এই গানের ছাতা মাথা কিছুই বুঝতে পারছিলো না,,না বুঝে বেচারি এখন নাচবে কি করে,,

হিয়া শুধু সবার সাথে তাল মেলাতে গিয়ে ওর হাত দুটো হেলাতে শুরু করে,,শেষে এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না দেখে সবাই যে যার মতো এক হাত কোমড়ে দিয়ে আর এক হাত কপালে ঠেকিয়ে সামে সামে নাচতে থাকে,,সবার সাথে তাল মেলায় উজান নিজেও,,সাথে শ্রাবণ পিচ্চি সোনা তো আছেই,,এর মধ্যে আবার অনেক বড় রাও যেমন মেজো ফুফু,ছোট চাচি,উজানের কি রকম এক দাদি সবাই এসে কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে একই স্টেপে যে যেভাবে পারে নাচতে থাকে,,ভাগ্যিস আল্লুআর্জুন এখানে উপস্থিত নেই নাহলে তার গানের এই স্টেপের এরকম ১২-১৩-১৪ অবস্থা দেখে নিশ্চয়ই হার্টফেল করে ওখানেই ঠুস হয়ে যেতো,,সবার এরকম বাকা ত্যাড়া কোমড় দুলানি দেখে হিয়াও একটা সময় সবার সাথে তাল মিলিয়ে নিজেও হালকা কোমড় দুলিয়ে দেয়,,এর মাঝে রুপম গিয়ে লাল নীল বেগুনি রঙ নিয়ে এসে সবার উপর ছুঁড়ে দেয়,,চলতে থাকে সবার নাচ গান হাসি মজা আনন্দ,,তবে যা আয়োজন হয় সবটাই শালিনতার মধ্যে থেকেই করা হয়,,কারো মাঝে অশালীন বা বেয়াদবি টাইপ ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না,,,

!
!
সব আনন্দ শেষে তুষার রুপম সাব্বির সহ সব ছেলেরা মিলে উজানকে কোলে করে বাড়ির বড় ওয়াশরুম টায় নিয়ে এসে সাবান দিয়ে ডোলে ডোলে গা থেকে সব হলুদ তুলে গোসল করিয়ে দিতে থাকে,,এই গোসল করাতে গিয়ে শুরু হয় আবার সবার হাসি মজা,,কেউ ইচ্ছে করে উজানের চোখে সাবান দিয়ে দেয় কেউবা ইচ্ছে করে উজানের মুখে শ্যাম্পু ঢুকে দেয়,,মানে বাথরুমের ভেতর একটা হুলুস্থুল কান্ড ঘটতে থাকে,,এক প্রকার পানি যুদ্ধ শুরু হয় এরকম অবস্থা,,সবাই ভিজে একাকার,,

এদিকে হিয়াকে নিয়ে এসে সন্ধি ঝিনুক মিলে সব মেয়েরা গোসল করিয়ে দিতে থাকে,,হিয়া শাড়ি খুলে ওর পেটিকোট টা বুক অবধি দিয়ে ফিতে টা গিট্টু দিয়ে বেধে রাখছে আর হিয়াকে সবাই একটা টুলে বসিয়ে দিয়ে চারপাশে ঘিরে ধরে রাখছে,,আর গোসল করিয়ে দিতে দিতে সব মেয়েদের গ্যাং হিয়াকে এমন এমন সব পাকা কথা বলতে শুরু করে যে হিয়ার গা থেকে হলুদের রঙ উঠলেও লজ্জায় মেয়ে একবারে পুরো লাল রঙ ধারণ করে ফেলে,,ঝিনুক হিয়াকে গোসল করে দিতে দিতে হিয়ার পিঠের দিকে সুরসুরি দিতে থাকে,,আর সন্ধি হিয়ার কোমড়ে কাতুকুতু___এদিকে ঝিনুক হিয়ার পিঠের কাছে ওর এক আঙ্গুল ঘোরাতে ঘোরাতে এবার এসমন সব কথা বলে যে হিয়া পুরো লজ্জায় চোখ মুখ বন্ধ করে ফেলে,,

ঝিনুকঃ ভাইয়া এরকম করে তোর পিঠে হাত দিবে তারপর এরকম করে আস্তে আস্তে ভাইয়া তোর ঘাড় থেকে তোর পিঠ তারপর ওখান থেকে এরকম করে করেএএএ

হিয়াঃ আহ ঝিনুক কি করছিস,,ছাড় না বোন আর কতো লজ্জা দিবি

সন্ধিঃ উফফ কি লজ্জা কি লজ্জা,,,

বলেই সন্ধি হিয়ার পা ধুতে ধুতে হিয়ার পায়ে সুরসুরি দিতে থাকে,,আর হিয়া হাসতে হাসতে লাফঝাপ শুরু করে

হিয়াঃ আপুউউউ আমার ভীষণ কাতুকুতু লাগছে,,না প্লিজ__আর এরকম করবেন না,,আপুউউউউ

সন্ধিঃ এরকম করে আস্তে আস্তে উজান তোমার পা দুটো গপ করে ধরবে,,তারপর এরম এরম করে আঙ্গুল দিয়ে সে আসবে তোমার এখানে,,এক টানে খুলে দেবে তোমার এই বুকের কাছের এই গিট্টু,,তারপররররর

হিয়াঃ আপুউউউউ প্লিজ নাআ,,আমার ভীষণ লজ্জা করছেএএ

জিনিয়াঃ হইছে হইছে আপু,,আর না জ্বালাই এরপর বেশিক্ষণ এভাবে পানি গায়ে ভিজিয়ে রাখলে যদি জ্বর আসে,,ভাইয়া কিন্তু খুব রেগে যাবে

ঝিনুকঃ হুম হুম করছি করছি,,

হিয়াকে গোসল করে নিয়ে এসে রুমে বসিয়ে দিয়ে এবার সবাই এক এক করে নিজেদের মতো ফ্রেশ হতে থাকে,,এদিকে হিয়া তোয়ালে দিয়ে নিজের চুল গুলো মুছতে মুছতে দাঁড়িয়ে যায় রুমের বারান্দায়,,গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে হিয়া তাকিয়ে থাকে বাহিরের দিকে,,ছাঁদের উপর এখনো হালকা মিউজিক বাজছে,,নিচে চলছে কেটারিং এর লোক গুলোও বড় বড় ডেসকি আর গামলা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি,,এদিকে বাড়ির মধ্যে সব আত্মীয়স্বজন কোথায় ঘুমোবে তাই নিয়ে চলে সবার হুড়োহুড়ি,,হিয়ার কাছে এ সব কিছুই একটা রঙীন কোনো স্বপ্নের মতো লাগতে শুরু করে,,তার জীবনেও যে কখনো এরকম হাসিমজা নাচ গান রঙের ছড়াছড়ি হবে এটা সত্যি তার কাছে এখনো অবিশ্বাস্য মনে হয়,,

হিয়াঃ মা,বাবা দেখছো আজ আমি কতোটা খুশি,,যেই হিয়ার একটা সময় কেউ ছিলো না আজ তোমাদের সেই হিয়ার চারপাশে মানুষের কোনো অভাব নেই,,আজ আমার একটা নিজের সংসার আছে মা তুমি দেখছো,,সেই সংসারের পথে কাল আমি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবো মা,,তুমি আর বাবা মিলে আমাকে অনেক অনেক দোয়া দিও আমি যেনো এই সংসারের প্রতি আমার দায়িত্ব গুলো পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করতে পারি,,আমার দ্বারা কখনো যেনো এ পরিবারের কেউ অসম্মানিত না হয় বা কষ্ট পায়,,আর এ-ই মানুষ টাকে যেনো আমি আমার সারাজীবনে যতোটা ভালোবাসা আছে সব দিতে পারি!!দরকার হলে নিজের সব কিছু ত্যাগ করেও যেনো আমি এই মানুষ টাকে সুখে রাখতে পারি!!

হিয়ার ভাবনার মাঝে হঠাৎই কোথা হতে উজান এসে দুম করে হিয়ার কোমড় চিপে ধরে,,মুহুর্তে হিয়া থমকে যায়,,গ্রীল টা আরো শক্ত করে চিপে ধরে রাখে,,উজান আঁচলের ফাঁক দিয়ে হিয়ার কোমড় জুড়ে এক গাদা হলুদ লেপ্টে দিতেই হিয়া কুঁকড়ে উঠে চোখ মুখ বন্ধ করে ফেলে,,

উজানঃ তোমার কোমড় টা এতো সুন্দর কেনো হিয়াপাখি কি নরম তুলতুলে,,উফফ সারাক্ষণ ধরে রাখতে ইচ্ছে করে,,

হিয়াঃ এ-ই লোকটা এতো কেনো অশ্লীল,,কিচ্ছু মুখে আটকায় না,,আরে ওনার মাঝে লজ্জা না থাক আমার তো আছে,,এনার এইসব কাজে যে আমি লজ্জায় মরে যাই উনি কি সত্যি বুঝে না,,(নিজ মনে)

হিয়া কিছু বলছে না দেখে উজান হিয়াকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে হিয়ার কোমড় এবার আরো জোড়ে চিপে ধরে

উজানঃ বলেছিলাম না সেজেগুজে সবার আগে আমার কাছে আসতে,,আসো নি কেনো,এখন এটা তোমার শাস্তি,,

হিয়াঃ তাই না,,আমি এখন গিয়ে মা’কে বলবো সব হলুদ তুলে কোথাও লুকিয়ে রাখতে,,একবার ঝিনুক একবার শ্রাবণ এখন আবার আপনি,,মানে কি চাইছেন কি আপনারা শুনি,,আমাকে ইচ্ছে মতো হলুদ মাখিয়ে দিবেন আর আমি ওগুলো তুলতে গিয়ে আবার পানি নাড়বো,,আর পানি নেড়ে নেড়ে ঠান্ডা লাগিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বো

উজানঃ বালাইষাট,,আমি থাকতে আমার পিচ্চি টা অসুস্থ হতে পারে না-কি,,

হিয়াঃ সেই তো,,দেখি ছাড়ুন এখন,,কেউ এসে যাবে একটু বুঝুন

উজানঃ বুঝলাম,,কিন্তু তার আগে একটু

হিয়াঃ না উজাননন,,ধ্যাত আপনি খুব অসভ্য,,

উজানঃ যা ইচ্ছে বলো গিয়ে আমি যেনো শোনার জন্য বসে আছি

হিয়াঃ (তবে রে,,,আপনার এসব ফাতরামি আমি এবার বের করছি)___মা তুমি,,,কখন আসলে,,কিছু লাগবে তোমার,,

হিয়ার মুখে মা কথাটা শুনেই উজান ভয়ে হিয়াকে ছেড়ে দিয়ে মাথায় হাত দিয়ে আমতা আমতা করতে শুরু করে,,,এদিকে হিয়া ফিক করে হেঁসে দিয়ে উজানের হাতের নিচ দিয়ে বেড়িয়ে এক দৌড়ে অন্য রুমে ছুটে যায়,,

উজানঃ আমাকে বোকা বানানোতো বারবার,,কাল থেকে তোমার এই উড়ন্তপনা আমি বের করছি থামো শুধু,,

!
!
!
পরের দিন দুপুরের দিকে হিয়াকে নিয়ে সবাই পার্লারে যায়,,গিয়ে হিয়াকে বউ সাজিয়ে সবার আসতে মিলতে তখন ঘড়িতে বিকেল ছয়টার কাছাকাছি,,একটুপর সন্ধ্যা নামবে,,রাতের দিকে হবে বিয়ে পড়ানো,,এদিকে উজানকে শেরওয়ানি পড়ে বরের সাজে সাজিয়ে দিয়ে সব ছেলে মিলে নিজেরা সাজতে শুরু করে,,আর মেয়েরা তো পার্লার থেকে সেজেই এসেছে সবাই তাই তাদের এখন আর সাজার কোনো ঝামেলা নেই,,সবাই এখন ব্যস্ত কি করে বরের জুতা চুড়ি করে কতো টাকা দাবি করা যায় তারই ফন্দি আঁটতে,,

জিনিয়াঃ শুনো আপু স্টেজের উপর উঠলে কিন্তু ভাইয়া জুতা খুলতে চাইবে না,,,সে না চাক কিন্তু আমাদের কে এই টেকনিক টা ফলো করতে হবে

সন্ধিঃ কোনটা?

জিনিয়াঃ আমি দাদি কে বলে দিছি দাদি তুমি গিয়ে বলবা তুমি এখন ভাইয়ার পা সোনার পানি দিয়ে ধুয়ে দিবা এটা আমাদের বাড়ির পুরোনো কালচার,,দাদি কে তো আর ভাইয়া না করতে পারবে না,,তারপর ভাইয়া যখন জুতো টা খুলবে ওমনি সুযোগ বুঝে টোপ মারতে হবে বুঝলা

ঝিনুকঃ কিন্তু দাদি এই কাজ টা করতে কেনো রাজি হবে,,

জিনিয়াঃ আরে দাদি কে বলেছি যা টাকা আসবে তার টুয়েন্টি পার্সেন্ট শেয়ার দাদিকে দেবো,,,বুঝো না,,

সন্ধিঃ যাক এইটটি পার্সেন্ট আসলেও অনেক লাভ হবে,,হাত ধুয়ে দেবার সময় তো আরেকদফা হামলা হবে আবার,,উফফ আজ উজানের পকেট থেকে টাকা তুলতে তুলতে পকেট পুরো ফুটো করে দেবো,,

সবার হাসাহাসি,গল্পের মাঝে বাসবি এসে আবার রাগ করতে শুরু করে,,

বাসবিঃ ফাঁক পেলেই গল্প এদের,,এ-তো গল্প যে কোথায় রাখে কে জানে,,এই তোদের মুখ ব্যাথা হয় না____যা তো জিনি উজানকে গিয়ে বল হিয়ার চাচ্চুরা সবাই এসেছে,,ও এসে যেনো একটু ওদের কি লাগবে না লাগবে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব দেখে রাখে,,আর ওরা হিয়ার সাথে দেখা করতে চাইছে এটাও বলিস,,

জিনিয়াঃ আচ্ছা মা যাচ্ছি,,,আপুরা তোমরা কন্টিনিউ করো আমি এক্ষুনি আবার ব্যাক করছি,,

জিনিয়া গিয়ে উজানকে সব বলতেই উজান এসে হিয়ার চাচ্চুর বাড়ির সবাইকে ঠিক মতো আপ্যায়ন করে হিয়ার সাথে কথা বলিয়ে দিতে হিয়ার রুমে আসে,,দরজাটা এবার আলতো করে ঠেলা দিয়ে খুলে হিয়ার দিকে চোখ পড়তেই নিজের সব হুঁশ হারিয়ে ফেলে উজান,,এটা কে হিয়া!!_____এটা কি সত্যি তার হিয়া পিচ্চি,,,,বিছানার এক পাশে ফোন হাতে দাঁড়িয়ে আছে হিয়া,,পড়নে লাল টুকটুকে বেনারসি মাথায় লাল কারুকার্য করা ওড়না,,হাত ভর্তি লাল সোনালি চুড়ি,, গলায় ভারী গহনা,,নাকের টানা টাও ইউনিক ডিজাইন হয়ে কান পর্যন্ত টেনে দেওয়া,,ঠোঁটের লাল সাথে হিয়ার মুখের লজ্জার লাল আভা,,কপালের লাল টিপ,,এ যেনো হিয়া না আজ উজানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক অন্যানা সুন্দরী কেউ,,পরীদের দেশ থেকে নেমে আসা একটা লাল টুকটুকে পরী❤️

জিনিয়ঃ উহু উহু,,ওভাবে দেখিও না চোখ বেড়িয়ে আসবে ভাইয়া

জিনিয়া কথায় উজানের হুঁশ ফিরে,,উজান এ্যা হুম করতে করতে নিজের হুঁশে ফিরে আসে,,জিনিয়া ফিক করে হেঁসে দিয়ে চলে যায়,,উজান এসে হিয়ার সাথে ওর চাচ্চু আর তার সাথে আসা চাচির কথা বলিয়ে দিয়ে একটু কাজে আবার বের হয়ে আসে,,চাচ্চু এসে হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া দিলেও চাচি আবার এদিকে হিয়ার এই হাইফাই অবস্থা দেখে মনে মনে জ্বলেপুড়ে শেষ হ’য়ে যায়,,

হিয়াঃ চাচ্চু দাদু আসলো না?

চাচিঃ উনি আসতে চেয়েছিলো মা,,কিন্তু কি মনে করে যে আবার মানা করে দিলো,,,,ওসব ছাড় আজকে তোকে এভাবে দেখে আমার যে কি ভালো লাগছে মা তোমাকে সে কথা আমি ভাষায় বোঝাতে পারবো না,,,,,এটা তোর জন্য আমার তরফ থেকে,,জানি এটা খুবই তুচ্ছ একটা জিনিস,, তুই যা পড়ে আছিস তার সিকিভাগ সোনাও বুঝি এখানে নেই তবু তোর চাচ্চুর যে টুকু সামর্থ্য আমি তাতেই

চাচ্চু বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলে চাচ্চুর সাথে হিয়াও চোখ দিয়ে পানি বের করে ফেলে,,

চাচ্চুঃ এই এই এই একদম কাঁদবি না,,এসব মেকআপ নষ্ট হ’য়ে যাবে তো নাকি

হিয়াঃ তুমি খুব খারাপ চাচ্চু খুব,,তুমি ভাবলে কি করে এটা একটা সামান্য জিনিস আমার কাছে,,তুমি আজ কিছু আমাকে না দিলেও যে আমার কোনো মন খারাপ থাকতো না চাচ্চু,,তুমি আজ এসেছো আমি এতেই অনেক খুশি বিশ্বাস করো,,

চাচ্চুঃ জানি মা,,এখন চুপ আর কাঁদিস না____দেখি আর এটা তোর দাদু তোর হাতে দিতে বলেছে,,আর বলেছে এটা দিয়ে তোর বরকে কিছু কিনে নিতে

হিয়াঃ এসবের কোনো দরকার ছিলো না চাচ্চু,

চাচ্চুঃ চুপ আর কথা না,,তবে তোর বরকে কিন্তু আমি আগেই বুঝেছিলাম সে তোকে খুব ভালোবাসে,,দেখতাম তো কেমন তোকে আর শ্রাবণকে আগলে আগলে রাখতো

হিয়াঃ হুম চাচ্চু উনি খুব ভালো একটা মানুষ,,শ্রাবণকে তো নিজের বাচ্চা হিসাবে মেনে নিয়েছে জানো তুমি

চাচ্চুঃ আজ ভাইয়া আর ভাবি বেঁচে থাকলে ওরা খুব খুশি হতো মা খুব খুশি হতো,,

হিয়াঃ ওদের দোয়াই আজ আমি এতো সুখে আছি চাচ্চু,,ওরা না থেকেও আজ আমি ওনাদের দোয়াতে এতো ভালো আছি,,

হিয়া আর চাচ্চুর মাঝে কথা চলাকালীন উজান কাজি সহ রুমে আসে,,

উজানঃ চাচ্চু বিয়েতে দেনমোহর টা কতো করবো একটু যদি ওনাদের বলে দিতেন,,ওনারা কাবিননামা লিখবে তাই জন্য,,

চাচ্চুঃ আমি কি বলবো বাবা তুমি আর হিয়া এর আগে বিয়ের সময়,

উজানঃ ওটা বাদ দিয়ে আজ আবার সব নতুন করে হবে চাচ্চু,,তাই আপনি বলুন আপনারা কতো করতে চান,

চাচ্চুঃ আমি কি বলি,,হিয়া মা তুমি বলো?তোমার পাওনা যেহেতু এটা,,

হিয়াঃ চাচ্চু আমি____আমি একটু ওনার সাথে আলাদা কথা বলতে চাই,,

চাচ্চুঃ ঠিক আছে মা,,যেটা তোমার ইচ্ছে,,

উজান হিয়াকে নিয়ে এদিকের রুমে আসলে বাকি সবাই এদিকে নিজেদের মতো কথা বলতে থাকে,,

উজানঃ কি হয়েছে এভাবে আড়ালে ডাকলে কেনো?

হিয়াঃ উজান আমার না কোনো দেনমোহর চাই না___আপনি আমার পাশে এভাবে থাকলেই আমার হবে,,ওসব টাকা পয়সা নিয়ে আমি কি করবো,,

উজানঃ ধুর বোকা মেয়ে ওটা তো তোমার অধিকার,

হিয়াঃ না আমি আপনার থেকে দেনমোহর নেবো না,,এমনিতেও কাল মা আমার জন্য শাড়ি আর গহনা কিনে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছে এখন আবার এসব,,

উজানঃ আরে পাগলি,,ওটা আর এটা এক নাকি,,আচ্ছা এ-ই দেনমোহরের টাকা টা মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি কেনো নেওয়া হয় বলো তো যাতে যদি ভবিষ্যতে কখনো আমাদের ছাড়াছাড়ি হয় তাহলে আমি সেই টাকা টা তোমায় ফেরত দিয়ে তবেই ডিভোর্স দিতে পারবো তাই তো

হিয়াঃ হ্যা এটা একটা কারণ কিন্তু,,,, আপনি সত্যি আমাকে দেনমোহর দিতে চান তো,,তাহলে আমি দেনমোহর হিসাবে যা চাইবো আপনি তাই দিবেন আমাকে?

উজানঃ আচ্ছা বলো কি চাই?

হিয়াঃ দেনমোহর হিসাবে আমার আপনাকেই চাই যদি কখনো বিচ্ছেদও আমাদের মাঝে আসে তাহলে তার বিনিময়ে যেনো আমি এ-ই আপনাকেই পাই

হিয়ার কথা শুনে উজান খুশি হয়ে হিয়াকে কোলে নিয়ে ঘুরতে শুরু করে,,

হিয়াঃ উজান কি করছেন,,পড়ে যাবো তো আমি,,

উজানঃ পাগলি রে পাগলি,,আমাকে শিকল পড়িয়ে রাখার বুদ্ধি টা তো খুব জোস আপনার,,

হিয়াঃ তাই!!

উজানঃ পাগলি একটা সারাক্ষণ শুধু বদবুদ্ধি,,আসো এখন,,

উজান হিয়াকে নিয়ে এসে রুমে বসিয়ে দিয়ে কাজিদের ডেকে অন্য রুমে নিয়ে গিয়ে সব বুঝিয়ে দিতে থাকে,,সব বুঝে নিয়ে লেখালেখি যা আছে সব করিয়ে এবার বর আর বউ কে এক জায়গায় বসিয়ে দিয়ে ডাকা হয় বিয়ে পড়াবার জন্য,,নিয়ম মতো উজান হিয়া একটুদূরে বসে আছে,,কাজি প্রথমে কাবিননামা পড়ে হিয়ার থেকে কবুল বলে নিয়ে উজানের দিকে আসে,,এবার হয় একটু ভিন্ন কাজ,,হিয়ার ক্ষেএে কাবিন নামা টা ঠিক থাকলেও উজানের ক্ষেএে সেটা একটু অন্য রকম হয়ে লিখে আনা হয়,,যা কিছুটা এরকম হয়,,

💙আমি সমরেশ শাহরিয়ার এ-র বড় পুএ উজান শাহরিয়ার,,মোজাফফর আহমেদের একমাএ সুযোগ্য কন্যা হিয়া মুনতাসীর আহমেদ কে ১০০কোটি ১লাখ ১টাকা দেনমোহরই আনায় আজ থেকে নিজের স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করলাম,,তার সাথে তার ছোট ভাই শ্রাবণ আহমেদকে নিজের ছেলে হিসাবে সম্পূর্ণ রুপে গ্রহন করে তার সারাজীবনের যাবতীয় সকল দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে বহন করার অঙ্গিকার বদ্ধ হলাম!!💙

উজান কবুল বলতেই সবাই দোয়া পড়ে মিষ্টি বিলাতে শুরু করলো সবার মাঝে,,এদিকে সবার মাঝে এ-ই কাবিননামা নিয়ে চললো হাজার টা কথা,,এটা আবার কেমন কাবিননামা,,এরকম ভাবে হয় নাকি বিয়ে,,বাড়ির অনেকে উজানের এই এক্সট্রা আদিক্ষ্যেতা সহ্য করতে পারছিলো না,,কেউ বা বলছিলো ওদের ব্যাপার আমাদের কি,,ভিন্নজনের ভিন্নমত,,সবার কথা কে পাওা না দিয়ে হিয়া খুশিতে চোখ দিয়ে দু ফোঁটা পানি বের করে ফেলতেই শ্রাবণ এসে গপ করে হিয়ার কোলে উঠে পড়লো,,

শ্রাবণঃ আমার মিষ্টি বুবু টা একদম একটা পরীর মতো লাগছে আজকে

শ্রাবণ হিয়ার নাকের বড় টানা টা নিয়ে খেলতে শুরু করলো,,এমন সময় কাজির সাথে উজান এসে হিয়ার সামনে দাঁড়ালো,,

কাজিঃ জীবনে অনেক বিয়ে পড়িয়েছি আজ প্রথম এরকম বিয়ে দিলাম,,দোয়া করি অনেক সুখী হও তোমরা,,এই ভালোবাসা যেনো সারাজীবন তোমাদের অটুট থাকে,,

হিয়াঃ দোয়া করবেন আমাদের তিনজনের জন্য,,

কাজিঃ হুম,তোমরা কথা বলো আমি আসছি,,

কাজি চলে যেতেই উজান হিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে হিয়া অপলক একটা নিষ্পাপ চাহনি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,আর চোখ দিয়ে হাজারটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে,,

হিয়াঃ উজান আপনি!!

উজানঃ ১০০কোটি টাকা তো কখনো তোমার এই অধম হাসবেন্ডের হবে না যেটা দিয়ে সে তোমাকে ছেড়ে যাবে,,তাই এই কাবিননামা টা আমাদের সম্পর্কের শিকল হ’য়ে থাক যাতে কখনো আমি চাইলেও টাকার অভাবে তোমার থেকে দূরে যেতে না পারি-আর না তুমি আমার থেকে,কারণ এখানে স্পষ্ট লেখা শ্রাবণ এখন থেকে আমার বাচ্চা তাই তুমি চাইলেও আমার থেকে দূরে যেতে পারবে না মিস উপস মিসেস হিয়া মুনতাসীর আহমেদ!!❤️

হিয়া এর উওর কি দেবে বুঝতে পারে না,,এতো সুখ সইবে তো তার কপালে,,কেনো এই মানুষ টা তাকে এতো ভালোবাসে,

উজানঃ এ যা,,আরেকটা কাজ যে হলো না,,আমি তো শ্রাবণকে ছেলে হিসাবে গ্রহন করে কবুল বললাম কিন্তু শ্রাবণ যে আমাকে বাবা হিসাবে গ্রহন করলো কি না সেটা তো জানা হলো না,,,এখন,,,,এই পুঁচকো এদিকে দেখ,,

শ্রাবণঃ কি!আমি বুবুর নাকের দুল টা নিয়ে খেলচি না,,

উজানঃ খেলা পড়ে হবে,,আমি এখন যা বলবো তুই শুধু আমার উওরে কবুল বলবি ঠিক আছে

শ্রাবণঃ হুম,বলো

উজানঃ ওয়েট ক্যামারে টা ওন করি,,

হিয়াঃ ক্যামেরা ওন করছেন কেনো এবার,,

উজানঃ আরে প্রমাণ রাখছি না,যদি কখনো শ্রাবণ বড় হয়ে বলে আমি ওর বাবা না তখন

হিয়াঃ পাগল আপনি,,

উজানঃ হুম পাগল কেনো এটা তুমি আগে জানতে না বুঝি,,,,এ-ই দেখি শ্রাবণ বল এবার____ আমি শ্রাবণ আহমেদ আজ থেকে উজান শাহরিয়ার কে মনে প্রাণে নিজের বাবা হিসাবে গ্রহন করলাম,,বল কবুল

শ্রাবণঃ হে হে,,দেখ বুবু আমাকেও কবুল বলতে বলচে

উজানঃ আহ বল না,,

শ্রাবণঃ বলছি বলচি,,কবুল কবুল কবুল কবুল

উজানঃ আহ শান্তি,,,,,,,ওয়েট আমি এক্ষুনি আসছি,বুবুর কোল থেকে একদম কোথাও যাবি না,,আসছি আমি,

উজান দৌড়ে এক ছুটে কাজির কাজ থেকে কাবিননাম টা নিয়ে এসে তারই এক ছোট্ট ফাঁকা জায়গায় লিখে দেয় “”আমি শ্রাবণ আহমেদ আজ থেকে উজান শাহরিয়ার কে মনে প্রাণে নিজের বাবা হিসাবে গ্রহন করলাম””

উজানঃ শ্রাবণ পেন ধর আর এখানে একটা নিজের সাইন কর,,লিখ শ্রাবণ আহমেদ,,একদম কাটাকাটি করবি না,

হিয়াঃ আপনি কি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেছেন,,

উজানঃ চুপো তো তুমি,,এ-ই লিখ না তাড়াতাড়ি,,

শ্রাবণ পেন টা নিয়ে ঔ লেখাটার নিচে নিজের একটা নাম লিখে সাইন করে দিয়ে আবার হিয়ার নাকের টানা টা নিয়ে খেলতে শুরু করে,,

উজানঃ সব দিক দিয়ে তুমি এখন বন্দি আমার কাছে হিয়াপাখি,,হা হা হা

হিয়াঃ আপনি এ-তো কেনো ভালোবাসেন আমাকে!

উজানঃ আপনি এ-তো কেনো ভালোবাসেন আমাকে!(ঢং করে)___নেও এটা আজ থেকে তোমার কাছে থাকবে,,এটা শুধু কাবিননামা না হিয়া এটা আমাদের দু’জনের অঙ্গীকারনামা!!যাকে সুন্দরভাবে আগলে রাখার দায়িত্ব আমি তোমাকে দিলাম,,

হিয়াঃ আমি কথা দিচ্ছি আমাদের এ-ই অঙ্গীকারনামা আমি আজীবন আগলে রাখবো,,যত্ন দিয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবো,,

উজানঃ আমাদের অঙ্গীকারনামা,,

হিয়াঃ হিয়ানের অঙ্গীকারনামা❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here