সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড় #লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা #পার্টঃ২৫ ,

0
379

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ২৫
,
,
,
,
,
নির আদ্রির হাত ধরে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে গাল দুইটা চেপে ধরে ব্যাথায় আদ্রি চোখ বন্ধ করে ফেলে

নিরঃকি লাগেয়েছিস হ্যা তখন থেকে সমস্যা কি আমাকে বিয়ে হয়েছে তাই দেখে এই মরা কান্না করছিস তাহলে এই কান্না তোকে সারাজীবন কান্না করতে হবে আমি বাকিদের মতো বলবোনা যে যতোদিন না মরছি ততোদিন এই চোখের পানি বের হবে কারন মরার পরেও তোকে এই নির এর নামেই থাকতে হবে। এই নির এর বউ থাকবি আমি না থাকলেও তুই আমার আমি থাকলেও তুই আমার আমি না থাকলেও তুই আমার কথা টা মাথায় রাখিস।

আদ্রিকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে নির সেখান থেকে বের হয়ে আসে রাগে তার মাথা কাজ করছেনা। সে চেয়েছিলো আজকে তার মনের কথা আদ্রিকে বলবে কিন্তু বলা হলোনা

নিরঃএতো কিসের তোর জেদ কেন বুঝিস না আমাকে আমার মন কে।তোকে ভালোবেসে নিজেকে বদলায় নিয়েছে।আর তুই কি করে বুঝাবো তোকে আমার সীমাহীন ভালোবাসার নীড় তোর জন্য অপেক্ষা করছে কবে ফিরবি নিজের নীড়ে আদর পাখি।

ওইদিকে আদ্রি বিছানা শুয়ে ফুফাচ্ছে
আদ্রিঃআমিও চাই আপনার সাথে আজীবন বেধে থাকতে চাইনা আপনি ব্যতিত অন্য কাউকে আপনি আমার শুরু আপনি আমার শেষ। কিন্তু আমি যে নোংরা অপবিত্র যার শরীরে এক হিংস্র পশুর ছোয়া সেদিন আমার সতিত্ব না নিলেও আমার শরীরে তো সে নোংরা ছোয়া টা ছিলো আছে। যার বাবা মা তাকে অপয়া অলক্ষি ভাবে তাকে কি করে আপনি মেনে নিবেন। (হাউমাউ করে দেয়)

আদ্রির কান্নার আওয়াজ বাহির পর্যন্ত শুনা যাচ্ছে যারা জোড় করে আদ্রির বিয়ে দিয়েছিলো তাদের মন টাও ভারি হয়ে আসে

বুড়োঃআমরা কোন ভুল কাজ করে ফেলিনি তো টাকার লোভে এসে মেয়েটা কিভাবে কান্না করছে। আমাদের উচিৎ হয়নি এমন কাজ করা
(আফসোস এর স্বুরে)

অন্য লোকঃআরে চাচা ওদের ভিতরে যদি কিছুই না থাকতো তাহলে ওরা ওই অবস্থায় সেখানে কি করে গেলো হ্যা মানছি আমরা ভুল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করেছি কিন্তু কাজটা ভুল ছিলোনা আমরা দুইটা মানুষ কে একটা পবিত্র বন্ধনে বেধে দিয়েছি।

বাকিরাও সবাই এই কথাই মত দিলো। কিন্তু বুড়ো করে চাচা টা কিছু তেই মানতে চাচ্ছে না।

বুড়োঃআমার মনে হচ্ছে এই দুইজনার জীবন বড় ধারনের ঝড় আসতে চলেছে। (মনে মনে)

——

অন্ধকার রুমে নিজের পিঠে একের পর এক চাবুকের বারি দিচ্ছে।ফর্সা পিঠের চামড়া চিড়ে রক্তে বেহাল অবস্থা।

আয়াজঃকেন কেন কেন তোমার না আমার হওয়ার কথা ছিলো কেনো হলে তুমি ওর তোমাকে ভালোবাসি এতো ভালোবাসি। তাহলে কেনো মানলে না আমাকে কেনো।কেনো আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পেলোনা।কেনো আমার ভালোবাসা অপূর্ণ রয়ে গেলো।

স্ক্রীনে আদ্রি আর নির এর বিয়ের ভিডিও চলছে। আয়াজ পূনরায় নিজের উপরে চাবুকের আঘাত করতে গেলে একটা মহিলা এসে চাবুক টা ধরে নেয়।

আয়াজঃপ্লিজ মামানি আজকে না প্লিজ আমি পারছিনা সহ্য করতে। বলেছিলাম না মামনি ভালোবাসি ওকে। চাই আমি ওকে খুব করে ভিক্ষা চেয়েছিলাম বলেছিলাম শত্রুতাকে ওকে টেনো না কিন্তু কি করলা তুমি আমার পরিটাকে ওই ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলা কেনো (চিৎকার করে কেদে দিয়ে মহিলাটির পা জরিয়ে ধরে)

আরিফা খান ছেলের সামনে বসে পরে।
আরিফাঃআমার ছেলে যা চেয়েছে সব সময় তা পেয়েছে আগেও পাবে এন্ড দেটস মাই প্রমিজ টু ইউ।
তুই সব সময় জানতে চাইতি না আমি কেনো নিহাল এর ফ্যামিলিকে সহ্য করতে পারিনা কিসের এই শত্রুতা তাহলে শুন
আমি তখন খুব ছোট আমার বাবা মানে তোর নানু নির এর দাদার অফিসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতো খুবই শৎ ছিলেন তিনি কখনো কোন হিসাব বা ফাইল পত্র এদিক ওদিকে করেনি।কিন্তু হুট করে একদিন একটা নতুন স্টাফ চুরি করে আর সে দায় দেয় আমার বাবার ঘাড়ে । বাবাকে সবার সামনে অপমান করা হয় বাবা সবকিছু সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করে। কিছু দিন পরে সব সত্যতা জানা যায়। নির এর দাদার আফসোস হয় আর আমার সব খরচ তিনি নিজের ঘাড়ে নেয়। কিন্তু আমি মানতে পারেনি।নিজের চোখে নিজের বাবার মৃত্যু ছোট মাথায় দাগ কেটেছিলো গভির পারিনি সহ্য করতে মনে মনে প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে উঠেছিলো। কিন্তু প্রতিশোধ এর আগুন নিভে গেছিলো যখন আমি নিহাল এর প্রেমে পড়েছিলাম নিহাল তখন পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছিলো।কিন্তু নিহাল এর মনে জায়গা করে নিয়েছিলো নিলিমা। আমি নির এর দাদুকে বলেছিলাম কিন্তু তার দাদুর আমাকে পছন্দ ছিলোনা ছেলের পছন্দই তার কাছে সেরা তবুও গেছিলাম নিহাল এর কাছে মেনে নেয়নি আমাকে অপমান করেছে। মনে মনে প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে উঠে। নিহাল কে টেক্কা দেওয়ার জন্য বিয়ে করি তোর বাবা নিহাল এর শত্রু মানে নিহাল এর ভাইকে। নিহাল কে মেরে ফেলেছিলাম কিন্তু শান্তি হয়নি তার ছেলেকে আমি কষ্ট পেতে দেখতে চায়। যে কষ্টে আমি রাতের পর রাত ভুগেছে ওই ও পাবে। একজনাকে ভালোবেসে অন্যর কাছে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন তেমন ই আদ্রিতাকেও দিতে হবে আদ্রি এখানে কোন দোষ না থাকলেও সে দোষী কারন সে নির এর প্রিয়তমা।

আদ্রি তোর হবে দুইজনে পুরবে আদ্রিকে তোর হতেই হবে যেভাবে হোক। আর নির সে তার ভালোবাসাকে হারিয়ে জীবত্ন লাশ এ পরিনত হবে।

আয়াজ তার মাকে দেখছে সে কোন দিন ভাবেনি তার মায়ের মনে এতোটা ভয়ংকর কোন প্ল্যানিং চলছে।

আয়াজ আজকে বুঝতে পারছে যে তার মাথায় এতোটা জেদ রাগ সাইকোনেস কি করে আসলো আসলে রক্তটাই এমন।

——-

পরেরদিন,,,

আদ্রিয়ান নওমিকে পড়াছে আর নওমি ঘুমে ঢুলছে।
আদ্রিয়ান এবার রেগে ধমক দেয়
আদ্রিয়ানঃকি সমস্যা তোমার হ্যা কিসের এতো ঘুম ধরছে হ্যা এতোক্ষন যে ওই ছেলেটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছিলা তখন তো ঘুম ধরছিলোনা (রেগে টেবিলে থাবা দিয়ে)
নওমিঃসে কি আর আপনার মতো বরিং বরিং চ্যাপ্টার পড়াছিলোনা।
আদ্রিয়ানঃহ্যা দেখছিলাম তো কি করছিলো
(রাগে গিজগিজ করতে করতে)
নওমিঃস্যার আগুন লেগেছে কোথাও
আদ্রিয়ানঃহোয়াট
নওমিঃনাহ আসলে পুরা পুরা গন্ধ বের হছিলো তাই আর কি (মজা করে)

আদ্রিয়ানঃদিবো এক থাপ্পড় পড়ো চুপচাপ (রাগি কন্ঠে)
নওমিঃউহু আমি পরবোনা আগে অন্যকিছু দেন (চোখ টিপ দিয়ে)
আদ্রিয়ানঃকি বলছো কি দিবো(ভ্যাবাচেকা খেয়ে)

নওমি চেয়ার থেকে উঠে আদ্রিয়ান এর কোলে বসে পরে।
আদ্রিয়ান এর ভ্রু জোড়া কুচকে যায়

আদ্রিয়ানঃনওমি তোমার সব মনে পরে গেছে(অবাক হয়ে)
নওমিঃমনে পরে গেছে মানে(অবাক হয়)
আদ্রিয়ানঃএই সব কি হচ্ছে হ্যা
নওমিঃআর বইলেন না প্রথম দেখায় আপনাকে ভালো লেগে গেছে। বয়স তো আর কম হলোনা এই সব পড়াশোনা না করে বিয়েটা করে নিলেই তো পারেন আমাকে। (চোখ টিপ দিয়ে)
আদ্রিয়ানঃতোমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে নামো
নওমিঃউহু বিয়ে করবেন বলেন নাহলে ভাইয়ার পিএ যেটা সকালে এসেছিলো তার সাথে চইলে যামু কইয়া দিতাছি হু(নাক ফুলায়ে).
আদ্রিয়ানঃপাগলী (নওমি কে নিজের সাথে জরায় নেয়
নওমিঃনা নাহ খালি জরায় ধরলে হবে না কিস করতে হবে কালকে মুভি তে দেখেছিলাম নায়ক নায়কাকে কিস করে উফফ।আপনিও করেন
আদ্রিয়ানঃতাই তো বলি বউটা আমার মুভি দেখে রোমেন্টিক হয়ে গেছে আল্লাহ আর কি কি দেখতে হবে এই পাগলীটার।
(মনে মনে)

নওমি আদ্রিয়ান এর চুল এর ভাজে নিজের হাত দিয়ে খেলছে।আদ্রিয়ান আর কি করবে সে বউকে কোলে নিয়ে বউ এর খেলা দেখছে।।।।
,
,
,
,
,
চলবে!!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here