21-25 #প্রেমঘোর#২১# 💜💜

0
1570

21-25

#প্রেমঘোর#২১#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
“আসলে হচ্ছিলাম ভাবী…..”
নৌশিনকে সরিয়ে দিয়ে তার ভাবী ভেতরে ডুকে যায়।
সাদাদ সে সময় শার্ট টা পড়ে নিচ্ছিলো,বুঝতে পারেন ভাবী।তাই মিটমিট করে হাঁসতে থাকে।
নৌশিনের ভাবী সার্ভেন্টকে খাবার রেখে চলে যেতে বলে।
মুচকি হেঁসে বলল,
“তাহলে এ জন্য ই আমার ননদ চেন্স টা পর্যন্ত করে নি…..”
“ভাবী!!!!!!!!……..”
“আসলে ভাবী ও না ছাড়ছিলো ই না……”
“আ……”
“ওওওও…….নৌশিন???”
নৌশিন রাগী চোখে সাদাদের দিকে তাঁকায়…..সাদাদ টান দিয়ে নৌশিনকে ভাবীর সামনে নিজের সাথে চেঁপে ধরে……..
“আসলে ভাবী কি বলেন তো……এত সুন্দর বর তো তাই মনে হয় ওর ছাড়তে ইচ্ছে করে না……..”
নৌশিন নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করেও পারছে না……
সাদাদ আর নৌশিনের ভাবী এক টার পর একটা দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে নৌশিনের সাথে।
আর নৌশিন তো লজ্জায় পুরো জমে যাওয়ার অবস্থা।
!
“ম্যাডাম,ভাবী তো চলে গেছে এখন চেন্স টা করে আসুন……”
নৌশিন কমড়ে হাত রেখে সাদাদেরর সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
“হুম…ভাবীর সামনে কি শুরু করেছিলে??তুমি না আসলেই একটা নির্লজ্জ”(নৌশিন)
“যাহ্ বাবা,আমি নিজের বউকে নিয়ে যা খুশি করবো,বলবো আমার ইচ্ছা সেটা,কার সামনে বা কখন করবো ভাবার সময় আমার নেই…….”(সাদাদ)
“হুম,থাকবেই না তোমার আমাকে লজ্জায় ফেলে মজা পান তো আপনি!!তার জন্য এতো কিছু…..”
“লজ্জা!লজ্জা!লজ্জা……..ইশ মুখ পুরো লাল হয়ে আছে রে…..এভাবে লজ্জা পেলে আমার যে আগুন লেগে যাবে জান,সে আগুনে তোমাকে পুরিয়ে মারার ইচ্ছা জাগবে জান সো এতো লজ্জা পেও না প্লিজ…..”
“উফফ!সাদাদ,তুমি না পারো সত্যি…….এখন দয়া করে যাও ফ্রেস হও…..আর শার্ট টা খুলে দাও আমি ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে আসি….ভাবী তো ঘুমাতে চলে গেলো সো আমাকে এই ওয়াশরোমেই যেতে হবে,তুমি আগে যাও…….”
“এখন কিছু ওয়াশে দিতে হবে না,চলো একসাথে ওয়াশরোমে ডুকি…….”
“কিহ্…..??”
“হুম,অবাক হওয়ার কি আছে?হাজবেন্ত ওয়াইভ একসাথে ওয়াশরোমে যায় না নাকি??”
“কোনো কথা না হাত টা ছাড়ো আর যাও প্লিজ,কাল তো সারা রাত ঘুমায় নি আর দিনেও না এট লিস্ট এখন একটু ফ্রেস হয়ে এসে একটা ঘুম দাও…..”
“আরে ধ্যাত ধ্যান দেওয়া শুরু করছো কেন??চলো তো….”
সাদাদ নৌশিনকে টানতে টটানতে ওয়াশরোমে নিয়ে যায়…..নৌশিন ছুটার অনেক চেষ্ঠা করেও ব্যর্থ হলো…….সাদাদ ওয়াশরোমে ডুকে দরজা লাগিয়ে দেয়…..”এখন চুপচাপ আমার সাথে সাওয়ার নিবে…..আর আমার যা যা করার ইচ্ছা আমি কিন্তু তাই করবো…..”
“কি হচ্ছে সাদাদ….এতো রাতে???আচ্ছা অন্য কেনো দিন…আর তুমি বেনারসি সহ আমাকে সাওয়ারের জন্য নিয়ে আসলে কেন???আমি একটা ভেজাবো না…
তুমি সাওয়ার নাও আমি আসছি……”
নৌশিন বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সাদাদ ওর হাত ধরে ফেলে…এক টানে বেনারসিটা খুলে স্ট্রেমি রাখে………
“আরে কি করছো???”(নৌশিন)
“যা করার তাই করছি…..”
সাদাদ নৌশিনকে জোর করে ঝর্ণার নিয়ে যায়….ঝর্ণা চালু করে দেয়…নৌশিন নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলে সাদাদ নৌশিনকে আরও কাছে নেয়…..কমড়ে হাত দিয়ে নৌশিনকে আরও কাছে নিয়ে নিজের সাথে লেপ্টে নেয় একদম…….ঝর্ণার পানিতে দুজনের ভিজে একাকার অবস্থা……..
“তোমাকে না এই ড্রেস আপে খুব হট লাগছে যদিও তুমি এখন কুল পানিতে আছো……”
নৌশিন নিশ্চুপ….সাদাদের সাথে ভেজা শরীর নিয়ে লেপ্টে আছে ও… ওর ফিলিংস টা ওকে শেষ করে দিচ্ছে…..সাদাদের শিক্ত শরীর হারিয়ে গেছে সে….
“এক কথায় তোমাকে সেক্সি লাগছে খুব……”
সাদাদ ঝর্ণার পানির বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়…….”এই পানিগুলো তোমার সারা শরীর বয়ে যাচ্ছে……আমার তো সহ্য হচ্ছে না…… “বলে সাদাদ ঝর্ণার বেগ কমায়….কম বেগে পানি পড়ছে আর সাদাদ নৌশিনকে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে ওর গাল থেকে পানির ফোঁটা গুলো চুষে নিতে থাকে….ব্লাউজের হুক গুলো এক এক করে খুচছে আর সে সময় এমন ভাবে পিঠ ছুঁয়ে দিচ্ছে নৌশিন পুরো মাতাল হয়ে গেছে…..তবু সামলে নিতে বলে উঠে”প্লিজ কি করছো…?ছাড়ো না…..”
সাদাদ নৌশিনের কথা শোনছে না….সাদাদ নৌশিনকে উল্ঠো করে ঘুরিয়ে নিয়ে ব্লাউজ টা এক টানে খুলে ফ্লোরে রাখে,নৌশিন লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে ওর শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত বেড়ে চলেছে…….নৌশিনের প্রতিটা শ্বাস ওর পিঠে ঢেউ সৃষ্টি করছে……সাদাদ নৌশিনের চুলগুলো সামনে দিয়ে পিঠে পাগলের মতো চুমু দিতে থাকে…চুল বেয়ে একটু পানি বের হতেই চুষে নিচ্ছে-নৌশিন আর পারছে না,ওর ভেতরে যে সাদাদ ঝড় বইয়ে দিয়েছে……..সাদাদ এবার নৌশিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়-নৌশিন পুরো কাঁপছে,চোখ দু টো বন্ধ করে ফেলেছে অনেক আগেই……নৌশিনের উন্মুক্ত বুকে সাদাদ নেশান্বিত চোখে তাঁকিয়ে আছে……চুমু দিতে থাকে,হাজার হাজার সুখ পাখি উড়ে যাচ্ছে নৌশিনের মন আকাশে…….সাদাদ এক হাত নৌশিনের পিঠে আর অন্য হাত কমড়ে দিয়ে বুকে পড়ে থাকা প্রতিটা পানির ফোঁটা চুষে নিচ্ছে…..নৌশিনের সারা দেহে ঝড় বয়ে দিয়েছে সাদাদ……না নৌশিন আর পারছে না…সাদাদের চুলগুলো মুষ্ঠিবুদ্ধি করে ফেলে-খামচে ধরে সাদাদের ঘাড়….সাদাদ আরও গভীরে চলে যাচ্ছে বুকের…….নৌশিনও হারিয়ে গেছে সাদাদের ভালোবাসার স্রোতে…..তাই কোনো বাঁধা মানছে না দুজনে…সাদাদ নৌশিনের বুক থেকে মুখ সরিয়ে নৌশিনের মুখের দিকে তাঁকায় এখনো চোখ বন্ধ মেয়েটার-সাদাদ পাগলের মতো নিজের শার্ট গেন্জি খুলে ছুড়ে ফেলে ওয়াশরোমে….নৌশিনের ঠোঁট গুলো কাপছে সাদাদ আর লোভ সামলাতে পারছে না,নৌশিনের দু গালে হাত রেখে চেপে ধরে নিজের ঠোঁটে এই সিন্গ্ধ ঠোঁট দুটো।।।।।অসংখ্য চুমু দিচ্ছে নৌশিনের মার্ধয ভরা ঠোঁটে….নৌশিনও সমান তালে চুমু খেয়ে যাচ্ছে।।।কেউ কারি চেয়ে কম যাচ্ছে না……..!!!বাট
এতো রাতে কি হলো এটা!
কি সুন্দর বাথ রোমে রোমান্স করছিলো বর-বউ
তার মাঝে কার এতো দরকার পড়লো??
কখন থেকে সাদাদের মরার অাধ খাওয়া আপেল টা বেজে চলছে…..
অনেক আগে থেকে ই বেজে চলেছে কিন্তু ওদের কান পর্যন্ত সাউন্ড এসে পৌঁছায় নি……পৌঁছাবেই বা কি করে যে রোমান্স চলছিলো….কিন্তু অনেক সময় ধরে ফোন টা জালাচ্ছে,নৌশিনের ঘুর আগে কাটে বরাবরের মতো সাদাদের আগে………কিন্তু ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না,সাদাদের ভালবাসায় ডুবে থাকতে চাইছে ভালবাসা প্রেমী মনটা……আবারও ফোনের আওয়াজ ভেসে আসছে,নিশ্চয় কোনো দরকারে কেউ কল করছে তা না হলে এতো রাতে এতো বার করে,এমনি এমনি তো ফোন দিবে না……..তাই নৌশিন সামলে নিচ্ছে নিজেকে,ছাড়াতে চাইছে নিজেকে………
আরে!সাদাদ তো হারিয়ে গেছে একদম….ছাড়া তো দূরের কথা আরও গভীর ভাবে ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে….কিন্তু ফোনটা যে একনও বেজে চলেছে….নৌশিন আবারও সাদাদকে সরানোর চেষ্ঠা করে,কথা বলারও কোনো উপায় নেই…..নৌশিন ছাড়াতে চাওয়ায় সাদাদ আরও শক্ত করে চেপে ধরে নৌশিনকে…..
!
ছাড়ানোর কোনো উপায় খুজে না পেয়ে পাশে থাকা হ্যান্ডওয়াশের বোতল টা হাতে নিয়ে সাদাদের ঘারে স্প্রে করে দেয়-হ্যান্ডওয়াশে লেবুর ফ্লেবার আছে সেটা জেনে নৌশিন কাজ করে ফেলে কারণ সাদাদ লেবুর ফ্লেভার নিতে অস্তস্বিবোধ করে…….
বেশ খানেকটা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে দেয় নৌশিন-সাদাদ প্রথমে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করলেও পরে ঠিক বুঝতে পারে গন্ধটা আর নৌশিন আবারও স্প্রে করে বাট এবার ঘারে না করে ডিরেক্ট সাদাদের মুখের কাছে……সাদাদ সামলাতে না পেরে নৌশিনকে ছেড়ে দেয়…..দুজনেই হাঁপাতে থাকে…….সাদাদ নৌশিনের দিকে চোখ ছোট করে তাঁকিয়ে থাকে-নৌশিনের হঠাৎ খেয়াল হয় ওর বুকে কোনো কাপড় নেই আর সাদাদ কেমন ভাবে চেয়ে আছে তাই লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি চুল গুলো সামনে নিয়ে আসে-মোয়েটার চুলগুলো এতোটাই ঘন যে সর্ম্পূন বুক ডেকে যায়…….
সাদাদ নৌশিনের এমন কান্ডে মুচকি হাঁসে-তাতে নৌশিনের আরও লজ্জা লাগছে…………
ইশশ কাল তো ড্রিম লাইটে খালি গায়ে ছিলো বাট আজ তো বাথরুমের ধবধবে ওয়াইট বোল্ড এর্নাজি লাইটের সামনে-ভাবতেই নৌশিন লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে একদম………………
সাদাদ আবারও এগিয়ে আসে নৌশিনের দিকে….নৌশিন মাথা নিচু করেই বুজতে পারে সেটা….তাই উল্টো দিকে ঘুরে যায়….কিন্তু নিজের সব চুলগুলো যে মেয়েটা সামনে নিয়ে গেছে সেদিকে তার খেয়াল নেই….উন্মুক্ত,ভেজা,এমন ফর্সা সিন্গ্ধ পিট টা সাদাদকে যে আরও পাগল করে তুলেছে….সাদাদ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে নৌশিনকে-সাদাদের খোলাবুকের লোমগুলো নৌশিনোর পিঠের সাথে মিশে গেছে,নৌশিনেরর ভেতর টা আবারও শিউরে উঠে……..
সাদাদ নৌশিনের ঘারে নক ডুবিয়ে দেয়-গাল দিয়ে ঘসতে থাকে নৌশিনের শ্বাস এতোটাই ভারী হয়ে আসছে,ওর মনে হচ্ছে এখনি পরম সুখে মরে যাবে ও………….উফফফ এই ফোন টা কি থামবে না??অসহ্য লাগছে নৌশিনের!এমন মুহুর্তে সাদাদকে আরও কাছে পেতে ইচ্ছা করছে ওর…..কিন্তু ছাড়তে হবে ফোন টা যে কোনো মতেই থামছে না…….
“প প্ল প্লি প্লি প্লিজ…. ছা ছা ছাড়ো…..”(নৌশিন)
“উমমমমমমমম…….”(সাদাদ)
“ছাড়ো প প্লি প্লিজ……”
সাদাদ হারিয়ে গেছে নৌশিনের মাঝে-নৌশিনের পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে আর একটা হাত নৌশিনের গলার উপর দিয়ে পাগলের মতো চুমু খেয়ে যাচ্ছে নৌশিনের ঘারে….
নৌশিনের সারা শরীর অবস হয়ে যাচ্ছে…………
ছাড়ানোর জন্য স্প্রে করলাম আর সাদাদ হ্যান্ডওয়াশ মুছে আবার কি শুরু করলো!!ধুর অর্থব ফোন টা আবার বাজছে…..নিশ্চয় আমার সতীন ফোন করছে এভাবে আমার ভালোবাসার সময় টাকে নষ্ট করে দিতে………
নৌশিন আর কিছু ভাবতে পারছে না,পারবেই বা কি রে সাদাদ তো ওকে প্রেমঘোরে বন্দি করে ফেলেছে….সারা পিঠে চুমু খাচ্ছে,এক একটা চুমু নৌশিনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে জান্নাতের মহা সুখে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে…………
!
ইশশ আবার ফোনের আওয়াজ??অসহ্য লাগছে আওয়াজ টা নৌশিনের সাদাদ কি শুনতে পারছে না নাকি!!!
নৌশিন আওয়াজ টা আর নিতে পারছে না রাগ হচ্ছে ফোনেরর ওপারে যে আছে তার উপর….নব দম্পতির মাঝে এতো রাতে কত কিছু চলে সে কি জানে না নাকি??এতো বার কল করার কি আছে….কিন্তু যদি জরুরি কোনো বিষয়ে কল এসে থাকে তাহলে???…..যদি ওর বাড়ি থেকে বা ওর বস বাবা ওনি তো একা বাড়িতে থাকে ওনার কোনো সমস্যা যদি হয়….হতে পারে আবার অন্য কারও খুব দরকার সাদাদকে এই মুহুর্তে,কোনো উপায় না পেয়ে হয়তো এতো বার নক করছে সাদাদকে…………
এইভেবে নৌশিন আবারও নিজেকে সামলে নিলো….”সাদাদ কি কর কর করছো, ছা ছাড়ো….”
“প্লিজ……ছাড়ো…..”
“তোমার ফো ফোন অন অনেকক্ষণ বাজ বাজচ্ছে,প্লিজ গিয়ে তু তুলো ফো ফোনটা…..প্লিজ”
সাদাদের কোনো সারা নেই…..
নৌশিন সাদাদকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্ঠা করছে…”ছাড়ো….”
“কি হলো… প্লিজ ছা ছাড়ো….”
সাদাদ ছাড়ছেই না………
“প্লিজ ছাড়ো,আমি তো হারিয়ো যাচ্ছি না আ আগে ফোন ফোনটা তুলো প্লিজ…..”
নৌশিন আবারও সাদাদকে ছাড়ানোর জন্য বল প্রয়োগ করে……সাদাদ এবার ছাড়তে বাধ্য হয় নৌশিন যে তাকে ঠিক মতো আদর করতে দিচ্ছে না তাই……..চুমু দোওয়া বন্ধ করলেও এখনো নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে আছে সাদাদ….
“কি হলো??যাও ফোন টা ধরো…..”
“ধরতেই হবে??????”(নৌশিনের ঘারে মুখ দিয়ে)
“হুম….অনেকক্ষণ ধরে বেজে যাচ্ছে হয়তো কারও দরকার না হলে নিশ্চয় এতো রাতে ফোন করতো না……….”
………..সাদাদের ইচ্ছা না থাকা সত্বেও নৌশিনের জোড়াজোরিতে নৌশিনকে ছেড়ে দেয় ও……….
“আমাকে কিন্তু পরে পুষিয়ে দিতে হবে……বলে দিলাম আমি….না হলে……”
“আগে ফোন টা তুলো প্লিজ…..”
“হুম……”
…..সাদাদ নৌশিনকে ছেড়ে দিয়ে আবারও সাওয়ারের নিচে গিয়ে দাঁড়ায় পানি চালু করে কোনো মতে একটু ফ্রেস হয়ে বাথরুমে থাকা নৌশিনের তোয়ালে টাই পেঁচিয়ে নিয়ে রোমে চলে যায়…..আর নৌশিন আগের মতোই সাদাদের দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একবারের জন্যও ঘোরে তাঁকায় নি সাদাদের দিকে….খুব লজ্জা লাগছে ওর,কি করে সাদাদের চোখে চোখ রাখবে,সাদাদ যে ওর সব….ধুর স্বামীই তো…….
মুচকি হাঁসে নৌশিন…………….
কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলো দুজনে একটু আগে ভাবতেই কেমন শিহরন দিচ্ছে সারা শরীর-মন……আরও কাছে পেতে ইচ্ছে করছিলো যে…..
ফোনটাই যত নষ্টের গোড়া….
এসব ভাবতে ভাবতে অনমনেই মুচকি হেঁসে চলেছে নৌশিন….
“ইশ কি সুখ দিয়ে চলেছে সাদাদ আমায়…….এই সুখে যে আমার সারা জীবন ডুবে থাকতে ইচ্ছে হয়………লাভ ইউ জান,আই লাভ ইউ সো মাচ…”
নিজে নিজেই বক বক করে চলেছে নৌশিন……………….
ভাবতে ভাবতে আয়নার দিকে ঘুরে দাঁড়ায় ও….চুলগুলো সামনে থেকে সরিয়ে নিতেই নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে…
“হায় আল্লাহ্!!আমি এভাবে সাদাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম……”
“না না আর দেখবো না নিজের মুখ”……বলেই আয়নার সামনে থেকে সরে ঝর্ণার নিচে গিয়ে দাঁড়ায় সাদাদ ওফ করে যায় নি ঝর্ণাটা…. নৌশিন ভিজতে থাকে পরম সুখে আছে ও…. ওর সাদাদ পৃথিবীর সব সুখ দিচ্ছে ওকে……আরও সুখের চাহিদাও যে রয়ে গেলে এখন…….নিশ্চয় সাদাদেরও চাহিদা রয়ে গেছে……দুজনেই পরম সুখী এই মুহুর্তে কিন্তু ওদের তো আরও কাছে যাওয়া বাকী এখনও……নৌশিন এসব ভেবে ভেবে সাওয়ার টা সেরে নেয়……ঝর্ণা বন্ধ করে তোয়ালে নেওয়ার জন্য স্ট্রিমে হাত দেয়….”ও মা!টাওয়েল টা গেলো কোথায়….আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার পর কি আমার টাওয়েল কেউ সরিয়ে ফেললো নাকি বাথরুম থেকে….না না মা তো বাসার সব বাথরুমেই টাওয়েল রাখে,এমন কি গেস্ট রুম গুলোর বাথরোমেও সবসময় টাওয়েল রাখে তাহলে,আমার টা???সাদাদ নেয় নি তো???…..নিয়েছে নিশ্চয়……..হ্যাঁ এই তো পেন্ট এখানেই…….যাহ্ আমি কি করে যাবো????……….”
অনেক ভেবে চিন্তে নৌশিন সাদাদকে ডাকতে শুরু করে……………………….

#প্রেমঘোর#২২#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
ওয়াশরোমের দরজা লক করা হয় নি,সাদাদ চলে যাওয়ার সময় শুধু ঠেলে রেখে গিয়েছিলো নৌশিন আর লক করে নি…………
ভেতর থেকে একবার ডাক দেওয়ায় সাদাদ শুনতে পায় নি……শুধু একটা পেডিকোট পড়ে কি আর রোমে যাওয়া যায় নাকি??তবু আবার ভেজা!রোমটাও ভিজবে আর এইভাবে সাদাদের সামনে গেলে আরও লজ্জায় পড়তে হবে…….তাই নৌশিন দরজার সামনে গিয়ে ডাকতে শুরু করে…..
“সাদাদ,এই সাদাদ…..শুনছো????”(নৌশিন)
“কি হলো???সাদাদ শুনতে পাচ্ছো????শুনো না দেখো ড্রেসিং এর পাশে দুটো টাওয়েল আছে আমার একটু দাও না প্লিজ…..”
সাদাদের কোনো সারা নেই….আসলে সাদাদ ফোন নিয়ে বারান্দায় চলে গেছে তাই নৌশিনের ডাক তার কানে যাচ্ছে না……………
“সাদাদ….কি হলো???দাও….তুমি কি শুনতে পারছো???নাকি টাওয়েল পাও নি…….ড্রেসিং এর সামনে না থাকলে দেখো একটু বারান্দায় সোভায় নিশ্চয় আছে….ঠান্ডা লাগছে খুব অনেকক্ষণ ধরে ভিজে আছি…….একটু এনে দাও প্লিজ……………”
নাহ্ সাদাদের কোনো সারা নেই…….নৌশিন এবার বুজলো-মনে হয় সাদাদ ওর কথা শুনতে পারছে না কিন্তু রোমে থাকলে তো ওয়াশরোমের আওয়াজ শুনবে…..তাহলে???ও কি রোমে নেই???না কি থেকেও সারা দিচ্ছে না…তাই নৌশিন দরজাটা হালকা ফাঁক করে রোমে উঁকি দেয়…..যা ভেবেছিলো তাই সাদাদ রোমে নেই……..
“যাহ্,এটা আবার কোথায় গেলো…..ওহ!ফোন এসেছিলো তো,নিশ্চয়ই বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে…….থাক আর না ডাকি আমিই বরং যাই….”
দরজাটা আবার একটু টেনে নেয় নৌশিন তারপর স্ট্রিমে থাকা বেনারশিটা শরীর কোনো মতো পেঁচিয়ে রোমে ডুকে….খাটের উপর জমা কাপড় রেখেছিলো ফ্রেস হয়ে পড়বে বলে কিন্তু সাদাদ টেনে ওয়াশরোমে নিয়ে গিয়েছে তাই এগুলো আর নেওয়া হয় নি……..তাই জামা-কাপড় আর টাওয়েল দুটো নিয়ে আবার ওয়াশরোমে যায়…..যাওয়ার সময় রোমের গ্লাস দিয়ে বারান্দার দিকে তাঁকিয়ে দেখে সাদাদ রেলিং এ হাত দিয়ে ফোনে কথা বলছে তাই আর ডেকে নি কিন্তু এতো রাতে কার সাথে এতো কথা বলছে সে-এটা ভেবে একটু কেমন জানি লাগছে নৌশিনের,আবার সে নিজেই ভাবে”না না কি ভাবছি!এগুলো ঠিক না….ধুর দু দিন হলো না বিয়ের এখনি আমি কি ভাবী…কার সাথে আবার নিশ্চয় কারও দরকারী ফোন….বাট এতো রাতে তো তাই মনে হয় একটু এমন লাগলো আমার যাই হোক আমার সাদাদ এমন না সো ওর সর্ম্পকে উল্টাপাল্টা ভাবার কোনো প্রশ্নই আসে না”……………
চেন্স করে ওয়াশরোম থেকে রোমে আসে কিন্তু সাদাদ এখনও কথা বলছে…নৌশিন মাথায় পেঁচানো টাওয়েল টা খুলে চুলগুলো একটু ঝেড়ে নিয়ে আবার আর একটা টাওয়েল দিয়ে চুল গুলো একটু উপরের দিকে পেঁচিয়ে বেঁধে আবারও ওয়াশরোমে ডুকে….আসলে মেয়েটার চুল বেশি লম্বা আর ঘন তো তাই আগের টাওয়েলটা ভিজে গেছে তাই আবার নতুন টাওয়েল নিতে হয়েছে রোজকার মতোই……..ওয়াশরোমে ডুকে সাদাদের ফেলে যাওয়া শার্ট,গেন্জি,পেন্ট ছোট বালতিতে করে নেয়…আর নিজের ব্লাউজ আর পেডিকোট টাও অন্য আর একটা ছোট বালতিতে করে নিয়ে বের হবে,তখন আবারও পেছন ফিরে চেন্স করা বেনারসিটা কাধেঁ নিতে যাবে হঠাৎ স্ট্রিমের নিচের দিকের ফ্লোরে ছোট কাপড়ের মতো দেখতে পায়…..ওর তো ছোট একটা ব্লাউজ তাহলে!!এটা কি??দেখার জন্য হাতে নেয়……..হাতে নিয়ে আবারও ছুড়ে ফেলে,নিজেই বকবক করতে থাকে…”এ মা!ছি ছি!সাদাদ কি খারাপ….এটাও আমার জন্য ফেলে রেখে গেছে…..এসব দেখলেই লজ্জা করে আবার হাত দিয়ে ধরেও ফেললাম এখন….ছিঃ ছিঃ….”
আবার কি যেন ভেবে কাপড়টা বালতিতে তুলে নেয়”যাহ্ কিসের লজ্জা…আমার বরের ই তো….সব ওয়াশ করতে পারলে এটাও পারবো…ভাবী যদি ওর এটা গুছিয়ে দিতে পারে আমি বউ হয়ে ওয়াশ করে দিতে পারবো না??….হুম নিশ্চয় পারবো…….”…ঠোঁটের কোনে হাঁসি টেনে ওয়াশরোম থেকে বেরিয়ে পড়ে দু হাতে দু বালতি নিয়ে,আর কাধেঁ বেনারসি টাও আছে…রোমে ডুকে বেনারসিটা খাটের ওপর রেখে বালতি দুটে নিয়ে বাইরে চলে যায়…..বসার ঘরের পাশেই ওয়াশিং মেশিং রাখা…সেখানে প্রথমে সাদাদের কাপড়গুলো ওয়াশিং করতে দিয়ে তারপর নিজের গুলো দেয়….একসাথে দেয় নি কারণ ওর ব্লাউজ আর পেডিকোডের রঙ উঠে যদি সাদাদের গুলোতে লেগে যায়!….তাই আলাদা করে নিয়ে এসে আলাদা করেই ওয়াশ করে….যদিও এতো রাতে এগুলো ওর করার দরকার ছিলো না নিশ্চয় কাল সকালে কোনো সার্ভেন্ট কাজগুলো করে দিতো কিন্তু নৌশিন নিজে যে কাজ টা করতে পারে সেটা সাধারণত সার্ভেন্টদের দিয়ে করায় না আর কাজ জমিয়ে রাখতেও অভ্যস্ত নয় সে-সেজন্যই এখনি ওয়াশ করে নিলো…….তারপর বালতি আর কাপড় গুলো নিয়ে নিজের রোমে ফিরে যায়….বালতি দুটো বাথরোমে রেখে,কাপড়গুলো ভাজ করে আলমারিতে রাখছে কিন্তু সাদাদ এখনও কথা বলছে….এবার নৌশিনের আসলেই জানতে ইচ্ছে করছে,কে ফোন করেছে?? বাসায় কি কারও কিছু হলো??ওর বস ও তো অসুস্থ মানুষ আর ওর দাদীও আছে বাসায় কিন্তু অনেকক্ষণ তো হলো……তাই নৌশিন জানতেই চাইলো এবার “সাদাদ কি হলো???এনি প্রবলেম.??”
কিন্তু সাদাদ কোনো উত্তর দেয় নি….তাই খাট থেকে শাড়ি নিয়ে ভাজ করতে করতে আবারও জিগেঙ্গ করে “কি হলো মাই ডিয়ার??কারও কি কিছু হয়েছে???”……
সাদাদ কোনো উত্তর দিলো না…..
নৌশিনের এবার আসলেই খারাপ লাগছে…মনে মনে ভাবছে”যাই হোক,আর যে ই হোক…আমি কত বার জানতে চাইলাম কিছু তো বলতে পারতো….” আবার পরক্ষনেই ভাবে “আরে!আমি কি বোকা ফোনে কথা বলছে তার মাঝে আমার প্রশ্নের উত্তর কি করে দিবে……..”
…”আমি না একটা পাগল….”এসব ভেবে আবারও মুচকি হাঁসে নৌশিন….আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছতে লাগলো…..হঠাৎ বারান্দায় কিছু একটার জোরে আওয়াজ হওয়ায় চমকে উঠে নৌশিন……কিছু একটা ভাঙার আওয়াজ…..
কিন্তু বারান্দায় তো ভাঙার মতো কিছু নেই,যে পড়ে গিয়ে ভেঙে যাবে-বারান্দায় তো সাদাদ….তাই নৌশিন একরকম দৌঁড়েই বারান্দায় যায়…..
হায় আল্লাহ্ একি সাদাদ নিজের ফোনকে আছাড় দিয়েছে….বারান্দার পুরো ফ্লোরটুকুই আরটিভিসিলাস ঘাসে ভরা…তাতে তো ফোনটা এভাবে চৌঁচির হওয়ার কথা না,তাহলে?? নিশ্চয় ওয়ালে ছুড়ে মেরেছে……
নৌশিন সাদাদের দিকে তাঁকায়-আর সাদাদ বাইরের দিকে তাঁকিয়ে…
নৌশিন সাদাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়-দেখতে পায় সাদাদ রাগে ফুসে উঠছে,লাল হয়ে গেছে সাদাদের চোখ মুখ….দাঁতে দাঁত চেপে আছে সাদাদ….
নৌশিন খুব ভালো করে বুঝতে পারছে সাদাদের মেজাজ চরম পর্যায়ে বিগরে আছে…কিন্তু কি কারণে সেটা অজনা…..
তাই আস্তে করে সাদাদকে ডাক দেয়,আসলে সাদাদের এমন রাগী ভাব দেখলে নৌশিনের ই কেমন ভয় ভয় লাগে……”সাদাদ….”
“সাদাদ…”
নৌশিন ওর হাতটা সাদাদের উপর রেখে আবারও ডাকে “সাদাদ….”
সাদাদ এবার নৌশিনের দিকে ফিরে তাঁকায়…..
সাদাদের চোখগুলো পুরো আগুনের মতো লাল হয়ে আছে-যা দেখে নৌশিন আরও ভয় পেয়ে যায়….
ঢোক গিলে জানতে চায়
“কি হয়েছে??”
সাদাদ:….(নিশ্চুপ)……..
শুধু নৌশিনের দিকে তাঁকিয়ে আছে……..
“কি হলো???আমি কি কিছু করেছি??এভাবে রেগে আছো কেন??”
সাদাদ কোনো কথা না বলে নৌশিনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে….হুম অনেক অনেক শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে…..নৌশিন হঠাৎ সাদাদ এমন ব্যবহারের কারণ বুজতে পারছে না কিন্তু এরকম করে জড়িয়ে ধরায় এইটুকু বুজতে পারছে যে ওর ওপর রাগ করে নি…..
সেজন্য ভয় টাও কম লাগছে…….
“সাদাদ কি হয়েছে???কে ফোন করেছিলো???”
“কিছু হয় নি…আর কেউ ফোন করে নি….”
“ফোন তো বেঁজে চলেছিলো…তুলো নি তুমি?”
“করুক যার দরকার সে করছে……আমি পড়ে দেখপ নিবো…তুমি আগে বলো….’আমায় ছেড়ে যাবে না তো কোনো দিন’…”
“সাদাদ এটা কেমন প্রশ্ন?কোথায় যাবো আমি তোমাকে ছেড়ে….সাদাদ তুমি আমার ভালোবাসা আর এখন তুমি আমার অস্তিত্ব হয়ে গেছো….তোমাকে ছাড়া আমি কোনো কিছু ভাবতে পারি না…….আর পারবোও না…..”
সাদাদ নৌশিনকে ছেড়ে দিয়ে-নৌশিনের দুগালে হাত দিয়ে “আমিও পরবো না ভাবতে……”
সাদাদের চোখের দিকে তাঁকায় নৌশিন…….নাহ্,কোনো রাগের ছাপ নেই চোখে এখন কিন্তু দেখে খুব ভালো করে বুজা যাচ্ছে যে একটু আগে চরম পরিমাণে রেগে ছিলো………..
“আচ্ছা!হঠাৎ এমন কথা কেন বললে তুমি?তুমি জানো না আমি তোমাকে কতটুকু চাই….এমন প্রশ্ন আর কোনো করবে না…..আজকেই লাস্ট,এই বলে দিলাম…..”
“আচ্ছা বাবা আর করবো না…..”
“হুম,এখন বলো রাগ হয়েছে কার উপর….আর ফোনের কি অবস্থা করেছো!…..কি হয়েছে??”
“কিছু না…..”
“বলবে না তাই তো?….”
“বাদ দাও না…..একজন থার্ড ক্লাস ফোন করেছিলো তার উপর রাগ করেই ফোন ছুড়ে মেরেছি…..ওর কথা প্লিজ এখন আর না……”
নৌশিনকে আরও কাছে টেনে নেয় সাদাদ…..”এখন আমাদের রোমান্স করার সময়….সো অন্য সবকিছু বাদ…”
“জি না,ছাড়ো…..”
“উমমম হুমমমম….ছাড়ার জন্য ধরেছি না কি……”
“এই তোমার ঘুম পাচ্ছে না কাল তো একফোঁটাও ঘুমাও নি….আর আজও সারাদিন নির্ঘুম-এখন রাত দেড় টা বাজে আর তুমার ঘুমের কোনো নমুনা ই তো দেখছি না আমি……”
“আমিও বুজতে পারছি না….আমার মনে হয়-তোমাকে পেয়ে আমার ঘুম উধাও হয়ে গেছে…..”
“তাই বুজি!….তা ছাড়ুন এখন আর যান ঘুমান…..”
“এই…একটা কথা বলো তো….”
“কি??…”
“তখন যে ওয়াশ রোমে তোমাকে ঐ ভাবে রেখে আসলাম-তোমার খারাপ লাগে নি??আই মিন তোমার আরও আদর পেতে ইচ্ছা করছিলো….এম আই রাইট???”
!নৌশিন কোনো কথা না বলে চুপচাপ নিচের দিকে তাঁকিয়ে আছে…..লজ্জা করছে খুব আসলে ই তো সাদাদ ওকে যে ভালবাসা দিচ্ছিলো তখন-সেটার তৃন্ষা যে এখনও রয়ে গেছে….আরও আদর পেয়ে ইচ্ছে করছে,সাদাদের ভালবাসায় মাতাল হতে চায় ও…….কিন্তু সেটা কি মুখে বলা যায় নাকি!…….
“ও আচ্ছা…..নীরবতা কিন্তু সম্মতির লক্ষণ…..”
“ধ্যাত….ছাড়ো তো……”
নৌশিন নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্ঠা চালাচ্ছে-সাদাদ কি সব বলছে আর যেভাবে ওর দিকে তাঁকিয়ে আছে তাতে তো নৌশিনের লজ্জায় যায় যায় অবস্থা…..
…………………………………….

#প্রেমঘোর#২৩#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
নৌশিন নাড়াচাড়া করে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্ঠা করে চলেছে……………….
“প্লিজ এমন নাড়াচাড়া করো না জান,এমন করে নাড়াচাড়া করলে তোমার নরম শরীর আমার শরীরে কেমন জানি ভেতরে ডুকে যায়…..তখন তোমার প্রতি লোভটা বেড়ে যায়……”
“ধুর অনেক রাত হয়েছে,ছাড়ো….”
“রাতেই তো শুভ কাজ করতে হয় ম্যাম…..”
“আগে যাও আমার টাওয়েল টা রাখো…..”
“কি বলো,টাওয়েল ও খুলে রাখবো এতো ফাস্ট তুমি!!….”
“উম….ছিঃ….তুমি না!….আমি বলছি টাওয়েল টা খুলে ড্রেস পড়ে নিতে….আর নিজে তো উল্টোটা বুজলে……”
“আচ্ছা!টাওয়েল চেন্স করে কি হবে….একটু পর তো…..”
নৌশিন সাদাদকে কথাটা শেষ করতে দেয় না……তার আগেই বলে উঠে “আমার একটু অস্বস্তি লাগছে…ছাড়ো…”
“কিহ্?????”
“হুম….চুল মুছি নি ভালো করে পানি ঝড়ছে তাই…..ছাড়ো একটু প্লিজ…”
“ঝড়ুক না পানি….ভিজো তুমি সাথে আমিও…..”
“সত্যি বলছি….একটু খারাপ লাগছে চুলের পানিতে একটু মুছতে হবে….ছাড়ো না…..”
“ধুর তুমি না রোমান্টিক মোড টা নষ্ট করতে এক্সপার্ট…………. ”
সাদাদ নৌশিনকে ছাড়ে…মুখে একটা বিরক্ত ভাব…….আর নৌশিন সাদাদের মুখের এই অবস্থা দেখে না হেঁসে পারে না…….
নৌশিন সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে রোমের দিকে পাঠাতে থাকে আর বলে “যাও ড্রেস পড়ো…..আমি আসছি……”
“আরে।।।। যাচ্ছি তো…..”
!
সাদাদ রোমে ডুকে দেখে নৌশিন আগে থেকেই ওর জন্য একটা টিশার্ট আর টাওজার খাটের উপর রেখে গেছে………….
সাদাদ টাওজার টা পড়ে নেয়…..আর নৌশিন সাদাদের ভাঙা ফোন,সিম,মেমোরি নিয়ে রোমে ডুকে………এমন ভাবে ফোন টা ছুড়ে মেরেছে সাদাদ সব আলাদা হয়ে গেছে আর ফোনের মার্দার বোর্ড টা পর্যন্ত চার খন্ড হয়ে গেছে…………….
সাদাদ কেবল টিশার্ট হাতে নিয়েছে পড়বে বলে…….
তার মাঝেই নৌশিন রোমে ডুকে পরলো আর বলে “হাই রে আমার বর রে…..এমন করে ফোন কে পিটানোর কি দরকার ছিলো?এক লাক্ষ টাকা শেষ করলা এক মিনিটেই….তবু আবার আমি একটু বেশি ব্যয় করলে আমাকে বকে….নিজে যে রাগ করে কত কিছু নষ্ট করে সেটা কিছু না……..”
নৌশিন কথা বলে চলেছে কিন্তু সাদাদের সেদিকে হুস নেই….এতোক্ষণ বারান্দায় সাদাদ নৌশিন কি পড়ছে সেটা খেয়াল করে নি কিন্তু রোমে ডুকার সময় সাদাদ নৌশিনকে দেখে ‘থ’……..
সাদাদ রিলেশন চলাকালীন সময়ে নৌশিনকে অল টাইম থ্রি-পিচ আর হিজাবে দেখছে…..আর একদিন ঐ যে অনুষ্ঠানে ভার্সিটিতে শাড়িতে প্রথম তারপর রিং ইনগেজমেন্টের দিন….বিয়ের আগে জাস্ট এই দু দিন শাড়িতে দেখছে…আর কাল থেকে তো শাড়িতে নানা ভাবে দেখে ক্রাস খাচ্ছে নিজের বউয়ের উপর………বাট আজ??……………………
একটা কালো প্লাজো,অফ হোয়াইট ফতুয়া টাইপ একটা কামিজ….আর এক পাশে শিপন কালো একটা উড়না….দেখে মনে হচ্ছে চৌদ্দ পনেরো বছরের কোনো কিশোরী…….
একটু আগে সাওয়ার নেওয়ার শরীর টা এখনও শিক্ত……সাদাদ অবাক হয়ে দেখছে…..এমন রূপে নৌশিনকে দেখবে সে ভাবতেই পারে নি…..নৌশিন বাসায় এই ড্রেস আপে থাকে ভাবতেই সাদাদের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে…….নৌশিন আয়ানার সামনে গিয়ে মাথায় প্যাঁচানো টাওয়েল টা খুলে চুলগুলো ছড়িয়ে দেয় আর সাদাদ হাতে টিশার্ট ধরে নিয়ে হা করে তাঁকিয়ে আছে-নৌশিন যে কথা বলে চলেছে কোনো কথাই শুনছে না সে……..
“কি হলো???কথার কোনো উত্তর ই তো দিচ্ছো না……..”
সাদাদ::::হুম……(বেঘোরে)
“কি হুম হুম করছো….??…..”(নৌশিন)
….সাদাদের কোনো শব্দ নেই…ও নৌশিনকে এভাবে দেখে থমকে গেছে…………
নৌশিন সাদাদের কোনো সারা না পেয়ে আর কিছু বললো না…..গুনগুন করতে করতে টাওয়েল দিয়ে চুল ঝাড়তে শুরু করলো…….সাদাদ যে ওর পেছনে সেটা দেখতে পায় নি অবশ্য সাদাদ আয়ান নৌশিনকে আর নিজেকে খুব ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছে…..কিন্তু নৌশিন আয়নায় তাঁকায় নি তাই দেখতেও পায় নি………
নৌশিন চুল ঝাড়ছে আর চুলের সব পানি ছিটে সাদাদের শরীর যাচ্ছে….
চুলগুলো একপাশে নিয়ে ঝাড়ার ফলে নৌশিনের ঘাড় টা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর এতক্ষণ চুলের পানি পড়তে পড়তে অফ হোয়াইট কামিজ টা ভিজে পিঠের সাথে পুরো লেপ্টে গেছে……..মেয়েটার চুল অনেক হওয়াতে ঘারের নিচের দিকেও ছোট ছোট বেশ কিছু চুল আছে……যেগুলো এখনও ভেজা চুয়ে চুয়ে এখনও পানি পড়ছে নৌশিনের ঘারে……সাদাদ আতকে উঠছে এভাবে নৌশিনকে দেখে…..একটা মেয়ের এতো রূপ কি করে হতে পারে??সাদাদের মাথায় আসছে না………….এই রূপে ভয় লাগছে সাদাদের….”এতো ভাগ্য আমার??এই সৌন্দর্য আমার বুকে সারা জীবন রাখবো আমি……এই মেয়ে আমার জন্য সৃষ্টি……..এতো সিন্গ্ধ আর পবিত্র হতে পারে একটা মেয়ে…….আমি কি পারবো সামলাতে……….”….ভাবতে ভাবতে এগিয়ে যাচ্ছে এক পা দু পা করে নৌশিনের দিকে……
(আসলে অনেকেই হয়তো ভাবছে,চার বছরের রিলেশনের পরও এমন সাধারণ ভাবে দেখে এমন লাগার কোনো লানে নেই!!কিন্তু এমন লাগার অনেক মানে আছে কারণ নৌশিন নামের মেয়েটা সব সৌন্দর্য ওর স্বামীর জন্য আগলে রেখেছিলো এত দিন তাই প্রেমিক সাদাদ শুধু হিজাব পরিহিতা মুখটুকুই দেখেছিলো,যদিও সাদাদের অনেক ইচ্ছাও ছিলো নৌশিনকে সাধারণ ভাবে দেখার কিন্তু নৌশিন নিজে থেকেই কোনো দিন সাদাদের সামনে হিজাব থ্রি-পিচ ছাড়া যেতো না…সাদাদ কিছু বললে বলতো…”সব হবে কিন্তু বিয়ের পর….কিন্ত নৌশিন যে এতটা কমল আর আবেগী রূপের অদিকারী হবে সাদাদ ভাবতেই পারে নি….ও তো নৌশিনের মায়াবী মুখ,টানা চোখ,চিকন দুটো ঠোঁট-মুচকি হাঁসি,পর্দা আর ব্যবহার দেখে প্রেমে পড়েছিলো কিন্তু তারজন্য এতো গভীর সৌন্দর্য অপেক্ষা করছে ভাবতেই পারে নি….যেমন রিলেশনের এক বছর পর অবাক হয়েছিলো নৌশিনের চুল দেখে তার চেয়েও অনেকগুন অবাক হচ্ছে সে)।।।।।।।।
……নৌশিন এতক্ষণে চুল ঝেড়ে ড্রেসিং এর উপর টুলে বসেছে…..
সাদাদ ওর দিকে এগিয়ে আসছে সেটাও খেয়াল করে নি……..সাদাদের ভাঙা ফোন টা সাইড করে রাখে ড্রেসিং টেবিলের উপরেই…..আর সিম,মেমোরী নিয়ে ওর ফোনে ডুকিয়ে দিয়ে বলে….”এই যে….আমার ফোনে সব আছে আপনার…..আপাতত কাল পর্যন্ত চালান আমার টা….আমার তো আর ফোন লাগছে না,আমাকে তো আপনি ছাড়া কেউ ফোন করবে না আর আপনি তো আমার সাথেই আছেন এখন…… আর ও বাড়িতেই নেই আমি যে মা ফোন করবে আর বন্ধুরা আজ মে বি কল করছে না………তাই আজ আর ফোন দরকার নেই আমার এমনকি কালও না…………….”
সাদাদ শুনলে তো ওর কথা…….সাদাদ নৌশিনের একদম কাছে এসে টুলের ঠিক পেছন দিকে বসে….টুলে বাসায় নৌশিনের চুলগুলো ফ্লোরে পড়ে ছিলো আর তাই নৌশিন চুলগুলো সামনে নিয়ে নিজের কোলে রাখে….সাদাদের কোনো সারা না পেয়ে পেছন ঘুরতে যাবে এমন সময় সাদাদ নৌশিনের ঘারে চুমু দেয়…
হঠাৎ এমন কমলতা পেয়ে শিউরে উঠে নৌশিন………
সাদাদ তো কালও ওকে পুরো শরীর জুড়ে এই কলমতা দিয়েছে তাহলে আজও কেন সাদাদের ছোঁয়া ওর নতুন লাগছে….
এ যে এক নতুন ভালোবাসার ছোঁয়া…..
মাতাল কন্ঠে সাদাদ বলে….”আমার পবিত্র ভালোবাসার জায়গায় নতুন ভাবে ছু্ঁয়ে দিলাম তাই এমন লাগছে তোমার….”……চমকে যায় নৌশিন সাদাদের এমন মাতাল কন্ঠে,আর নৌশিন তো কিছু বলেও নি কিন্তু সাদাদ তার আগেই নৌশিনের মনে উধিত হওয়া প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় সাদাদ…………………
সাদাদ নৌশিনের ভেজা চুলে নাক ডুবায়…..হারিয়ে গেছে সাদাদ নৌশিনের সিন্গ্ধতায়………………..
আবার চুমু খায় নৌশিনের ঘারে…..আবারও শিউরে উঠে নৌশিনের সারা শরীর চোখ বন্ধ করে ফেলে সে….
সাদাদ আয়নায় তার লজ্জাবতী লতিকাকে দেখছে…….সারা শরীর মৃদু কাঁপছে নৌশিনের-সাদাদ উপলদ্ধি করতে পারছে…..
সাদাদের গরম নিঃশ্বাস আছড়ে পড়ছে নৌশিনের ঘাড়ে…..নৌশিনেও শ্বাসও ভারী হয়ে আসছে…….সাদাদ আর দেরী করে না কুলে তুলে নেয় নৌশিনকে…………..
নৌশিন চোখ বন্ধ করেই সাদাদের গলায় হাত রাখে….সাদাদ পলকহীন দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে নৌশিনের নিষ্পাপ মুখের দিকে……..পবিত্রতা ভালো জানা ছিলো সাদাদের কিন্তু এতটা!!সাদাদ মুগ্ধ আজ নৌশিনের এমন পবিত্র কমলতায়………………..
সাদাদ নৌশিনকে আস্তে করে খাটের উপর রাখে…এমন করে রাখে যেন একটু জোরে ফেললে ওর প্রিয়তমা ব্যাথা পাবে…..তাই এমন করে শুয়িয়ে দেয় যেন বিছানা টা টাও টের না পায়……বিছানার চাদর বুঝি ভাবছে ওর উপর কোনো গোলাপের পাপড়ি পড়ছে………সাদাদ রোমের আলো নেভায়……ড্রিম লাটটা জ্বালিয়ে দেয়….
নৌশিন এখন চোখ বন্ধ করেই আছে………………
সাদাদ নৌশিনের উপর আসছে নৌশিন অনুভব করতে পারছে……………
সাদাদ আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে নৌশিনের ঠোঁট জোড়া।।।।কেঁপে উঠে নৌশিন……..নৌশিনের উপর এমন ভাবে শুয়েছে সাদাদ পুরো ভর দেয় নি….
“আমি যখন একটু ছোঁয়ে দিতে চাইতাম তুই বলতি,’বিয়ের পর’।।।।।একটু সাজতে বললে জবাব দিতি ‘বিয়ের পর’…
কিন্তু বিয়ের পর তুই আমার জন্য এতো কিছু জমা করে রেখেছিস সেটা তো জানতাম না………….
এতো রূপ বেঁধে রেখেছিস শুধু আমার জন্য……আমি শেষ করবো কি করে!!বল তো???আমাকে যে তুই তোর প্রেম সাগরে ডুবিয়ে মারছিস……….”
নৌশিন সাদাদের প্রতিটি কথায় হারিয়ে যাচ্ছে অজানায়…………..
সাদাদ নৌশিনের চুলগুলো ওর পিঠের নিচ থেকে সরিয়ে বালিশের উপর দিয়ে মেলে দেয়………
“তোর এই ভরা রূপে আমাকে ডুবিয়ে মারার এতো পরিকল্পনা তোর!!!!…..আমি তো একা মরবো না তোকেও মারবো আমার ভালবাসার ছুড়িতে…….তোর পুরো শরীরে আমাকে ওদের অহংকার প্রদশ্রণ করছে…..আমি কিন্তু সত্যিই সব অহংকার শেষ করে দিবো……তোর শরীর প্রতিটা লোম আমাকে জ্বালিয়ে দিতে চাইছে….তুই বলে দে আমি ভালোবাসায় সব পুরিয়ে দিতে পারবো…….”
সাদাদ পা দিয়ে নৌশিনের পা স্লাইশ করতে করতে প্লাজো উপরের দিকে তুলছে……..নৌশিনের নিঃশ্বাসের শব্দ ঘন থেকে ঘনতর হচ্ছে……………….
“একটু চোখ খুলবি?????”
নৌশিন সাদাদের কথায় ঢুক গিলে….নিজের ঠোঁট নিজেই চেপে ধরে………..
গলা শুকিয়ে আসছে মনে হয় তাই মুখগহ্বের লাসায় নিজের ঠোঁট আর গলা ভিজিয়ে নিলো………..
চোখ এড়ায় না সাদাদে..
“আচ্ছা,খুলতে হবে না…..
জানিস এখন ১.৪৩ বাজছে…কাল ঠিক এমনসময় তুই একটা ভার্জিন মেয়ে ছিলি কিন্তু আজ দেখ তোর ভার্জিনিটি নেই……কাল ১.৪৩ এর কিছু সময় পর মনে হয় ৪ টার দিকে তোর ভার্জিনিটি টা আমি নিয়ে নিয়েছিলাম……..পরম সুখ দিয়েছিলি তুই আমায়…..আজ আমি আবারও হারিয়ে যাবো তোর গভীরে……সাঁতার কাটবো….তোর ভেঙে ফেলা ভার্জিনিটি আবারও ভাঙবো……..আগুন ধরাবো তোর প্রতিটা লোমে খুব অহংকার তোর শরীরের প্রতিটা লোমের আমাকে খুব জ্বালায়….হিংসে হয় আমার…….আমার কি দোষ বল…..সব দোষ তোর….হুম সব দোষ তোর….”সাদাদ কথা বলতে বলতে নৌশিনের পায়ের কাছে যায়…..পা দিয়ে প্লাজো টা বেশ উপরের দিকে উঠিয়ে নিয়েছে সাদাদ….নৌশিনের পায়ের প্রতিটি লোম জেগে উঠছে…
সাদাদ নৌশিনের পায়ে চুমু দিতেই নৌশিন পা সরিয়ে নিতে চায়……..সাদাদ বাঁধা দেয়…….”কি ক ক করছো,পা পায়ে হা হাত দি দি তে নেই……”
সাদাদ কোনো কথা না বলে ছুঁয়ে দেয় নৌশিনের পা দুটো।।।।কি সিন্গ্ধা পা দুটোর মাঝে…….দু পায়ে চুমু দিয়ে আবার নৌশিনের শরীরের উপর চেপে উঠে…
নৌশিনের পুরো শরীর কাঁপছে….শ্বাস এতোটাই বেড়ে গেছে দেখে মনে হবে বুকের ঠেউ বয়ে যাচ্ছে…..
সাদাদ আর অপেক্ষা কীতে পারছে না……….নেশস ধরে গেছে ওর-ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়…..নৌশিন কি সামলাবে ওর তো সব কিছু সাদাদের জন্য পাগলপাড়া হয়ে উঠেছে…..আকড়ে ধরে সাদাদের ঘার আর চুল….দুজনেই দু জনের ঠোঁটের পরম স্বাদ নিতে শুরু করে……….অনেক সময় পর দুজন ছেড়ে দেয় ঠোঁট…..নৌশিন হাঁপিয়ে গেছে।।।ঠোঁট দুটো লাল একদম…..সাদাদ দেখে আর সামলাতে পারে না কামড় দিতে শুরু……….
প্রতিটা লাভ বিটে নৌশিন এমনভাবে শিহরণ দিচ্ছে সাদাদ আরও পাগল হয়ে যাচ্ছে…….মুখ,গলা,চোখ,কানের লতি সব কিছুতে চুমু আর লাভ বিটে ভরিয়ে দিচ্ছে সাদাদ।।।।।নৌশিনের পুরো শরীর জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে সাদাদের এমন ভালোবাসা পাগল হয়ে যাচ্ছে নৌশিন….আর এমন মধুর সময় আবার ফোনের আওয়াজ……..সাদাদের মাথায় রক্ত উঠে যায়…….নৌশিন ঘোরে চলে গেছে এতক্ষণে তাই এবার ফোনের আওয়াজ টা সাদাদ নৌশিনের আগে শুনে….সাদাদ চায় না নৌশিন এ ঘোর কেঁটে যাক তাই কোনো রকমে হাত বাঁড়িয়ে ফোন টা নিজের কাছে নেয়……যা ভেবেছিলো তাই….
সাদাদ ফোন হাতে নিয়েই বুঝতে পারে ওর সিম ডুকানো আর যার কথা আন্দাজ করছে ফোনের ও পাশে সে ই আছে………না সাদাদ এতক্ষণ অনেক ভাবে বুজিয়েছে ওকে এবার অন্যভাবে বুজানো দরকার…..তাই ফোন না কেটে ফোন রিসিভ করে পাশে রাখে…..নৌশিন কিচ্ছু বুজতে পারে নি কি করে বুজবে ও যে সাদাদে মেতে গেছে সর্ম্পূণ…আর সাদাদও যে ফোনের কাজ টা খুব সাবধানে করেছে…..
সাদাদ জানে এমন মুধুর শব্দ বাইরের কাউকে শোনাতে নেই কিন্তু এই মুহুর্তে আর ফোনের আওয়াজ না শোনার একমাত্র রাস্তা এটাই….
সাদাদ ফোন টা এমন করে রাখে যেন নৌশিনের করা সব সুখের আওয়াজ ফোনের ওপাশে পৌঁছে আর সাদাদের ভালোবাসার সব কথাও যেন শোনে……..
সাদাদ নৌশিনের গলায় আবারও গভীর করে কামড় বসিয়ে দেয় যেন নৌশিন আওয়াজ দিতে বাদ্ধ হয়…..আর হলোও তাই….”আউউউউউউ…..”(নৌশিন)
সাদাদ আবারও এমন শব্দ শুনতে চায় আর ফোনের ওপাশে কাউকে বুঝাতে চায় সে নৌশিনকে নিয়ে কতটা সুখে মেতে আছে তাই নৌশিনের কানের লতিতে আবারও কামড় বসায়……আর নৌশিন আবারও সুখের ঘুঙানী দেয়…….সাদাদ সজোরে চুমু খেয়ে যাচ্ছে নৌশিনকে…….নৌশিন খামছে ধরছে সাদাদের পিঠ…..চমড়া উঠে যাচ্ছে পিঠের সাদাদ আরও পাগল হয়ে গেছে…..
সাদাদ যে উন্মুক্ত শরীরে খামচি খাচ্ছে আর নৌশিন জামা পরিহিতা অবস্থায়-কিন্তু সাদাদ তো মেনে নিবে না….নৌশিনের শরীরে থাকা ওড়না ফ্লোরে ছুড়ে দিয়ে,জামার চেইনখুলে নৌশিনকে এক টানে বসিয়ে জমা টা খুলে নেয়….নৌশিনের শিহরিত বুকে হারিয়ে যায় সাদাদ…..ভালাবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছে বুক,পিঠ,পেট…..নৌশিন সুখের আওয়াজ দিতে ব্যস্ত….ছটফট করছে পরুো…আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সাদাদ শরীরে….
“আগুন আরও ধরাবো সেক্সি লেডি এই তো শুরু কেবল…..ভয় নেয় নিভিয়েও দিবো…..”
সাদাদের খেয়াল ছিলো না ফোনের কথা-মনে পরতেই ফোনের দিকে তাঁকায় আর বুঝতে পারলো কল টা ৩ সেকেন্ড আগে কেটেছে ওপাশ থেকে…….সাদাদ মুচকি হাঁসে………আবারও নৌশিনের মাঝে হারিয়ে যায়…….ভালাবাসার সাগরে তলিয়ে যায় দুটি মানুষ……পরমসুখে একাকার হয়ে আছে দুটি আত্মা…….জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত সুখ পৃথিবীতে ধারণ করে আনে-এ সুখ যেন শেষ হওয়ার নয়…..নৌশিনের কামনা ‘ইশ সময় টা থেমে যাক….আর না আবারও বিগ ব্যাঙ্ক হোক….যেভাবে একটা বিগ ব্যাঙ্কে সময়ের সূচনা হয়েছিলো ঠিক সেভাবে আবারও থেমে যাক সময় টা………’
সাদাদদের কামনা ‘এমন মধুর সময় যেন না শেষ হয়…..নৌশিনের অতল গহীন ভালোবাসার স্রোতে ভেসে থাকুক এইভাবেই…..”
তবু সময় তো নিজের গতিতেই ছুটে চলে…..মহা সুখে দুটি মানব-মানবীর আত্মা-ভালোবাসার পূর্ণতা লাভ করে ফেলে……………..
মুখ তুলে চায় সাদাদ নৌশিনের দিকে…….
মুচকি হাঁসে সাদাদ যেন বিশাল রাজ্য নয় পুরো পৃথিবী টা ই জয় করে ফেলেছে……আর নৌশিনের চোখ টা যে এখনও বন্ধ-মুখ দেখে ই মনে হয় ‘এই দুনিয়ায় ওর চেয়ে সুখী আর কেউ নেই….’
দুষ্টু সাদাদের দুষ্টু মন কড়া নাড়ে…..”কি ব্যাপার ম্যাডাম????এখনও চোখ বন্ধ কেন???আরও কিছু চাই নাকি???”
নৌশিন নিশ্চুপ কিন্তু ঠোঁটের কোণে হাঁসি আর লজ্জার আভাস…………..
“চোখ টা কি খুলা যাবে????…..খুলো না রে…এভাবে লজ্জা পাওয়ার কি আছে…..”
নৌশিন:…………
“আরে সব তো শেষ করে দিলাম-তবু লজ্জা………আচ্ছা!এই লজ্জায় কি আমাকে আবারও মাতাল করতে চান আপনি????তাহলে তাই হোক……….”
সাদাদ মুখ এগিয়ে নিয়ে যায় নৌশিনের দিকে নৌশিন বুজতে পেরে চোখ মেলে তাঁকায়……..”বাহ্…..”
নৌশিন সাদাদের দিকে তাঁকাতে পারছে না……
“কি?কেমন ফিল হচ্ছে???আজ কি ব্যাথা পেয়েছেন বেশি???”
“ধ্যাত…”বলেই সাদাদে জড়িয়ে ধরে…..মুখ লুকায় সাদাদের লোমশ বুকে……
“আজকে তো ব্যাথা আমি পেলাম……বুকে এভাবে কামড় দিলা মনে হচ্ছিলো রক্ত বের করে ফেলবে….আর পিঠ,ঘার এগুলোতে খাচমির কথা কি বলবো আমি???নখ তো এতো বড়ও না তাহলে এভাবে কেমন করে দিলা??জ্বলছে পুরো…….”
নৌশিন সাদাদের বুকে মুখ লুকিয়েই জবাব দেয়…..”তুমি বুঝি কিছু করো নি……..!!”
“আচ্ছা!কি করেছি আমি???…..”
“জানি না………”
মুচকি হাঁসে সাদাদ সাথে নৌশিনও………………..
!

#প্রেমঘোর#২৪#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
সাদাদ এখনও নৌশিনের উপর শুয়ে আছে…………
কিন্তু দুজনেই স্থির,নীরব……..একে অপরকে জড়িয়ে পরম সুখে শায়িত হয়ে আছে এক সুখী দম্পতি………….
সময় নিজের গতিতে বয়ে চলছে……..রাত কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে……সকালের সূর্যের আভা এখনও দেখা যাচ্ছে না…….এখনও কিছু সময় বাকী………ঘুম নেই এই মানব-মানবীর চোখে-ভালোবাসার কাছে মনে হয় রাতের ঘুমটুকু হার মেনে নিয়েছে……………………..
“কি হলো?উঠো…..”(নৌশিন)
“ওমমমম…….”(সাদাদ)
“কি ওম???উঠো এখন……”
“কেন?”
“কেন মানে?এভাবে আমার থাকবে নাকি সারা রাত?…..”
“হুম……..”
“কি বলছো!নামো খাটে শুয়….”
“কি রে বাবা এতক্ষণ কত কিছু করলাম আর তারপর কত মিষ্টি মিষ্টি আদর করলাম তারপরও যদি একটু শুয়ে থাকতে না দাও….ভালো লাগে না কিন্তু?”
“আমি কি শুয়ে থাকতে বারণ করেছি তোমায়!….বললাম যে খাটে শুয়…..”
“কাল কিন্তু আমি বলেছিলাম খাট শক্ত…..”
“খাট শক্ত কি করে হলো খাটের কাঠের উপর তো তুমি শুবে না শুবে তো ফোমের উপর আর ফোম শক্ত কি করে হলো??”
……..সাদাদ এতক্ষণ নৌশিনের গলার কাছে মুখ রেখে কথা বলছিলো এখন মুখ তুলে নৌশিনের চোখের দিকে তাঁকায়……”কি হয়েছে???”
নৌশিন সাদাদের মুখ দেখে মুচকি হাঁসে….”কি??”
“উঠতপ বলছো কেনো?”
“তো বলবো না?এভাবেই থাকবে?।।।।”
“হুম,থাকবো…..”বলেই সাদাদ আবারও নৌশিনকে জড়িয়ে ওর উপর শুয়ে পরে…….শুয়ে তো ছিলোই জাস্ট গলা টা তুলেছিলো আর কি….তাই আবার মুখটা নৌশিনের গলার কাছে রাখে……………..
“ঘুমবে না???”
“হুম…..”
“তাহলে খাটে শুয়ে পড়ো….আমি তো আর ফোমের চেয়ে নরম না যে আমার উপর ঘুমাতে হবে….”
“ফোমও তোর চেয়ে শক্ত….”
“কিহ্…..”
“হুম….রিয়েলি…..ইউ আর সো সফ্ট…….”
“ইশশশ…….কথা নাই কথা!।।।।”
“চুপ…..বেশি বকো কেনো?আমি যেটা বেলেছি সেটাই ঠিক……”
“তো তুমি নামো এখন,আমি ওয়াশরোমে যাবো…….”
“না…….”
“কি না?সরো তো…..”
“বললাম না চুপ……”
“আরে…..এভাবেই থাকবো?ফ্রেস হতে হবে না?……”
“ওফফ…কত ফ্রেস হওয়া লাগে তোর….এখনও তো চুলই শুকায় নি……হতে হবে না ফ্রেস…….”
“এই তোমার মাথা ঠিক আছে?চুল ভেজা তো কি হয়েছে আবার সাওয়ার নিতে হবে……সরো……”
“কেন সাওয়ার নিতে হবে?দু ঘন্টা আগে তো নিয়েছো…..”
“নিজে এতক্ষণ যেসব করেছেন তার জন্য…..”
“আবার করতে ইচ্ছে করছে…..একবারে ফ্রেস হয়ে নিও……..”
বলেই নৌশিনের গলায় চুমু দিতে লাগে…….নৌশিন গলায় হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্ঠা করছে………”সাদাদ প্লিজ প্লিজ জান……আর না….উঠতে হবে আমায়….চার বেজে গেছে মনে হয়,দেখো ঘড়িতে…..”
“উফফফ….কি সমস্যা একটু আদরও করতে পারবো না শান্তিতে???কত বাজে????কি চাই তোমার….”
সাদাদের এমন মুখ দেখে নৌশিন হেঁসে ফেলে……
“বললাম ঘড়ি দেখো……”
“দেখতেছি……..”
সাদাদ পাশে থাকা ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে ৪.১৩ বাজে…….”মাত্র চার টা তেরো……সকাল হতে এখনও অনেক সময় বাকী….আমি আবারও ডুব দিতে চাই………”
“ইশ….শখ কত!এখন আমি উঠবো,সাওয়ার নিবো দেন নামায পড়বো দেন লম্বা একটা ঘুম দিবো…….”
“আর আমি এখন আদর করবো…….”সাদাদ আবার নৌশিনের গলার দিকে মুখ নিয়ে যায় চুমু খাওয়ার জন্য আর নৌশিন ওর মাথার নিচ থেকে বালিশ এনে ওর মুখের উপর দিয়ে দেয়………..
একটু বিরক্ত নিয়ে সাদাদ বলে “কি হলো এটা??”
“বেশ হলো এবার উঠো…আর আমাকে যেতে দাও…..”
“হপপপপ………”
নৌশিন নিজের মুখের উপর থেকে বালিশ টা সরিয়ে নেয়…..সাদাদের মুখের দিকে তাঁকায়…সাদাদ আগে থেকেই তাঁকিয়ে ছিলো তাই দুজনের চোখাচোখি হয়ে যায়…..”রাগ করে না….প্লিজ উঠো….ফ্রেস হয়ে একটু ঘুমাও……..”
“ঘুম আসলে তো!…….”
“আসবে কালও ঘুমাও নি…আমি রাতে দু ঘন্ঠা ঘুমানোর পরও দিনে অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছি….আর তুমি দিনেও কাজের জন্য ঘুমাতে পারো নি……”
“আর একটু পর ছাড়ছি…..”
“চার টা তেরো বাজছে বললা…..আযান দিয়ে দিবে ৪.৪০ এর দিকে…..নামায পড়তে হবে তো……”
সাদাদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে……”বেড লাক!!”
“এই কিসের বেড লাক….শুধু রোমান্স করলেই হবে বাকীগুলোও দেখতে হবে সোনা…..”
“কি বললে???”
“কি বললাম…..”
“সোনা!!!!!”
“তো???”
“ভালো লাগলো….একদিন আমি এসএমএসে সোনা বলেছিলাম বলে রাগ করেছিলে তুমি…….”
“হুম…..তাতে কি??তখন আমার ভালো লাগতো না এখন আমি আমার বরকে যা খুশি তাই ডাকতে পারি….”
“আহ্….আই সি!…..আচ্ছা যাই হোক………একটা কথা না বললেই নয়…..”
“কি কথা???”
সাদাদ নৌশিনের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে জবাব দেয় “ইউ আর সো সেক্সি …….”
নৌশিন সাদাদের পিঠে জোরে খামছে ধরে….”এই ছিঃ…..কি বলছো এইসব….”
“যা সত্যি তাই বলছি……ইউ আর সো সেক্সি……আমি পুরো ই ফিদা হয়ে গেছি এই দু দিনে….এখন তো মনে হচ্ছে রোজ ই করবো…..”
“উনননননন…….সাদাদ, যাও কি সব বলছো?।।।।”
“আউউ…আস্তে খামচি দে না রে ভাই….পিঠ টা একদম শেষ আমার এতো জোরে খামচি দেয় নাকি মানুষ……”
“হুম দেয়….আমি আরও দিবো…..”….নৌশিন জোরে জোরে খামচি দিতে থাকে সাদাদের পিঠে……………
“হপপপ….আমিও কিন্তু শুরু করবো….”
“তাহলে কি আজে বাজে কথা বলছো তখন থেকে….?”
“কিসেরর আজে বাজে কথা জানেমন……তোমার তো পুরো শরীরে মধু ছিটিয়ে রাখা আমার মতো মৌমাছি যে খেয়ে শেষ তো দূরের কথা এখনও এক অংশও বোধহয় শেষ করতে পারি নি……তাই আর কি…..”
“সাদাদদদ……..”
“রোজ রাজি তো???”
“যা….কি সব বলছো তুমি??”
“ওকে রোজ করলে আবার তুমারও প্রব আর আমারও…….যাও ইজি করে দিই,রোজ সবটা করতে হবে না বাট আমায় আদর করতে দিতে হবে রোজ……..আর রোজ কি বলছি আমার যখন মন চায়….চাইলে প্রতিটা সেকেন্ডও…..”
“ধ্যাত…….সরো না প্লিজ…..”
“এতো লজ্জা থাকে কোথায়??সব তো দেখে নিলাম,তেমার সারা শরীরে আমার ঠোঁটের ছোঁয়া লেগে আছে…..স্পর্শ কাতর জায়গায় জিহ্বার লেহন আর…….”…..কথাটা শেষ করতে না দিয়েই নৌশিন সাদাদের মুখে হাত দিয়ে আটকে দেয়……………..
“চুপ……”
সাদাদ হাতটা সরিয়ে নিয়ে বলে “হাত টাও না সেই রকম মিষ্টি….বাট বুক টা সবচেয়ে…..”
নৌশিন লজ্জায় রাঙা হয়ে গেছে একদম……
“প্লিজ সেক্সি লেডি এভাবে লজ্জা পেও না।।।।লাল হয়ে যাও পুরো আমার কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে……”
“যাহ্ কি সব ভাষা বলছো তখন থেকে……”
“আমার বউকে আমি বলছি…..আমার বউ কি সানি লিওনির মতো বাজে টাইপ নাকি যে লোকে বলবে??আমার বউ পবিত্র যার সেক্সি উপমা টা শুধু সে আমার জন্য রেখেছে…….”
“সাদাদ তুমিও না পারো বটে….এখন প্লিজ উঠো।।।।”
“হুম…..মহারানী উঠতে তো হবেই আপনি যা নাছোরবান্দা…..তবে একটা আন্সার দিতে হবে…তার পর উঠছি??”
“কিসের আন্সার দিবো….”
“কোয়েস্চেনের…..”
“কি প্রশ্ন??করো…….”
“আমার থেকে তুমি কি পুরো সুখ পাচ্ছো??আই মিন আমি তোমাকে পুরোপুরি তৃপ্তি দিতে পারছি তো???….”
নৌশিন এতক্ষণ সাদাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিন্তু সাদাদের এমন প্রশ্নে লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে ফিরে তাঁকায়……..
“কি হলো??আন্সার কোথায়….”
নৌশিন নিশ্চুপ…..কি বলার আছে তার সাদাদ যে তাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তৃপ্ততা এনে দিয়েছে…….এই কথাটা কি মুখ ফোঁটে বলা যায় এতো সহজে হাজার হোক মেয়ে তো……….
“আই সি….এতো লাজুক…..বেশ!আন্সার মুখে বলতে হবে না…..কোনো ভাবে বুঝিয়ে দাও……….”
সাদাদ নৌশিনকে আলতো করে ধরে রেখেছে বেশি ভর দিয়ে রাখে নি এখন নৌশিনের শরীর উপর………….
নৌশিন কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেও পরক্ষণে সাদাদকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয় আর নিজে সাদাদের উপর শুয়ে সাদাদে দুগালে শক্ত দুহাত দিয়ে চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়……
শুধু চুমু নয় নৌশিন সাদাদের ঠোঁট এমন ভাবে চুষে নিচ্ছে যে এক সময় সাদাদের জিহ্বাও চুষতে শুরু করে…..সাদাদ ই বা কতক্ষণ সহ্য করবে সে ও নৌশিনের পিঠে আকড়ে ধরে শুষে নিতে থাকে নৌশিনের ঠোঁটের সবটুকু মিষ্টতা……….
সময় পার হয়ে যাচ্ছে……..এতক্ষণ সাদাদকে যে নৌশিন তাড়া দিচ্ছিলো নিজের উপর থেকে সরে যাওয়ার সে এখন সাদাদের উপর শুয়ে মধুর বিষে মরার মতো কাতরাচ্ছে……………..
আযান শেষ হয়ে গেছে প্রায় মিনিট দশেক আগেই…..ক্লান্ত নৌশিন হাঁপিয়ে উঠেছে-ধপাস করে সাদাদের উপর থেকে সরে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দেয়……..সাদাদও হাঁপাচ্ছে….
যেভাবে দুজন পাগলের মতো এক আরেক জনের ঠোঁট চেপে ধরেছিলো হাঁপানোর ই কথা….দম নেওয়ার সুযোগ তো লাগতো অবশ্যই…………..
সাদাদ শুয়ে থাকতে থাকতেই শরীর উপর থেকে চাদর সরিয়ে দিয়ে পাশে থাকা টাওয়েল টা প্যাঁচিয়ে নিয়ে নেমে যায় খাট থেকে………ক্লান্ত সাদাদ খেয়াল করে নি যে নৌশিন খাট থেকে নেমে পড়েছে….তখন বুজতে পারে যখন,
নৌশিন ওয়াশরোমের দিকে এক পা বাড়িয়েই আবার পেছন ফিরে তাঁকিয়ে বলে…..”আশা করি পেয়েছেন আপনার উত্তর……”
…..সাদাদ বালিশ থেকে মাথা উঁচু করে তাঁকায় নৌশিনের দিকে……নৌশিন মুচকি হেঁসে ওয়াশরোমে চলে যায়………..
আর সাদাদও নৌশিনের চলে যাওয়ার দিকে তাঁকিয়ে তৃপ্তির হাঁসি হেঁসে আবারও গা বিছিয়ে দেয় বিছানায়……………..

#প্রেমঘোর#২৫#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
নৌশিন সাওয়ার নিতে নিতে শুধু সাদাদের কথাই ভেবে যাচ্ছে…….আর আল্লাহ কাছে ওর তো আজ চার বছর যাবত একটাই পার্থনা ‘যেন সাদাদ আর ও কখনও আলাদা না হয়’ আর এই বাসনাটা গত ছয় মাসে আরও অনেকগুন বেড়ে গেছে…..মানে যে দিন সাদাদ নৌশিনকে নিজের বাবা মায়ের সামনে বিয়ে করে নেয়……আর সেই একটা বাসনাই আজ দু দিন আগে থেকে যেদিন নৌশিন সর্বসমক্ষে সাদাদের সাথে সারাজীবনের জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাদাদের হাত ধরে নিজের চিরচেনা সবকিছু ত্যাগ করে সাদাদের বাড়িতে প্রবেশ করে…..
অপরদিকে সাদাদ বিছানায় শুয়ে তার প্রিয়তামার কথা ই ভেবে চলেছে………….
সাওয়ার ছেড়ে নৌশিন রোমে ডুকে সাদাদকে এক রকম জোড় করেই ওয়াশরোমে পাঠায়……
আর সাদাদ সাওয়ার নেওয়ার সময় টুকু তে নৌশিন বারান্দায় গিয়ে চুল ভালোভাবে ঝড়ে নেয় এ দুদিন চুলে স্প্রে করা হয়েছে সাজানোর সময়,আর কাল তিন বার গোসল করেছে অথচ একবারও চুল ভালোভাবে শুকানো হয়ে উঠে নি আর দুপুরে তো ড্রায়ার ই করেছিলো-তাই চুলের অবস্থা মোটামুটি খারাপ,সেজন্য এখন শেম্পু টাও করে এসেছে………চুল ঝড়ে বারান্দার গ্লাস উঠিয়ে রেলিং ধরে বাইরের দিকে তাঁকিয়ে আছে……বারো তলার উপর থেকে ব্যস্ত শহর টা খুব ভালোভাবে দেখা যায়……কিন্তু ব্যস্ত শহরের ব্যবস্থা এখনও হয় নি…….ভোরের হালকা আভা বুজা যাচ্ছে কেবল তবে সূর্য মামা এখনও উঠে নি-কাক ডাকা আওয়াজ বুজিয়ে দিচ্ছে ঘুমন্ত মানুষ কুলকে ‘আর এক নতুন সকাল আসতে চলেছে….’সকালের এই মৃদু বাতাস টা তে গাড়ির অদাহ্য কার্বন মনোঅক্সাইডের গন্ধ পাওয়া যায় না,কলকারখানার সীসা ভেসে আসে না……………
নৌশিন রোজ সকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এই সীসা মুক্ত বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নেয়………….
রোজ সকালে এমন দৃশ্য দেখতে আর ভেজাল মুক্ত ফুরফরে বাতাসে একরকম হারিয়ে যায় নৌশিন………….
!
সাদাদ সাওয়ার সেরে ড্রেস আপ করে বারান্দায় গিয়ে নৌশিনের পেছনে দাঁড়ায়…আলতো করে জড়িয়ে ধরে নৌশিনকে…
আকাশের দিকে তাঁকিয়ে নৌশিন সজোরে একটা শ্বাস নিয়ে বলে “দেখো সাদাদ আকাশ টা কেমন হালকা দেখাচ্ছে….আবছা আকাশ দেখতে কিন্তু বেশ!….”
“হুম……..”
“একটু জোরে শ্বাস নাও,বুজতে পারবে বাতাস টা কি ফ্রেস!!!…..অন্য রকম একটা গন্ধ,জাস্ট ওয়াও………..”
সাদাদও নৌশিনের মতো সজোরে একটা শ্বাস নেয়……..তারপর মুচকি হেঁসে বলে “কেস টা কি হলো?তুমি তো বললে ফ্রেস বাতাস আসবে……কিন্তু আমি আমি তো অন্য কিছুর সুভাস পাচ্ছি……”
সাদাদের কথা শুনে নৌশিন মুখে একটা বিরক্ত ভাব এনে সাদাদের দিকে ঘুরে তাঁকায়….
“চুলে নাক দিয়ে ঘ্রাণ নিলে শেম্পুর গন্ধ ই পাবা………..”
সাদাদ মুচকি হেঁসে ফেলে….
“ঘ্রাণ টা কিন্তু যে সুগন্ধিকে হার মানায়………”
আবার নৌশিনের চুলের দিকে নাক দিয়ে শব্দ করে শ্বাস নিতে থাকে……..”আহা……ওয়াট আ স্মেইল………”
নিমেষে ই নৌশিনের মুখের বিরক্তিকর ভাব উধাও হয়ে যায়……….আসলে বিরক্তি না আসলে শুধু দেখানোর জন্য ভাব নিলে যা হয় আর কি…….
“হয়েছে,আপনার আর সুগন্ধ নিতে হবে না……চলুন নামায পড়তে হবে…….তুমি কি মসজিদে যাবা??”
“মসজিদে নামায পড়লে কতগুন বেশি নেকী হবে ভাবতে পারছো???……”
“আচ্ছা দাঁড়াও,আমি দেখছি ভাইয়া চলে গেছে কি না…….”
“ওকে……”
যাওয়ার আগে চুল টা খোপা করে নেয়……আর সাদাদ মুগ্ধ নয়নে তাঁকিয়ে থাকে খোপা করারর সময় অপূর্ব লাগছিলো নৌশিনকে একটু বেশি সময় ধরে দৃশ্য টা দেখার সুযোগ পায় সাদাদ কারণ ঐ যে লম্বা চুল……রাতের ড্রেস আপের মতোই একটা হালকা কালারের প্লাজো আর শর্ট জামা সাথে সাদা শিপন ওড়না আর মাথায় ভেজা চুলের খোপায় আবার নতুন এক রূপে সাদাদ দেখতে পারছে তার সহধর্মিনীকে………….
নৌশিন মাথায় ঘোমটা দিয়ে নেয়…..এতে যেন মেয়েটার সৌন্দর্য বহুগুন বেড়ে যায়…..
“কি ব্যাপার?হঠাৎ ঘোমটা দিলে যে?”
মুচকি হেঁসে জবাব দেয় নৌশিন,
“আরে,চুল ভেজা তাই খোপা করে ঘোমটা দিয়ে নিলাম নাহলে ভাইয়ার সামনে লজ্জা পাবো না??”
“আচ্ছা!!!!!বুদ্ধিমান বউ আমার…….”
“এতো টা না তবে অল্প……আর ভাইয়া না থাকলেও ভাবী যদি ভেজা চুলে দেখে হাজার টা প্রশ্ন করবে……তাই সাবধানের মার নেই……….আচ্ছা!আর বকবক না করে যাই তা না হলে ভাইয়া আবার চলে যাবে…….
……………………………………….
নৌশিন গিয়ে ওর ভাবীর রোমে নক করে,এদের বাড়ির সবাই ফজরের নামায আদায় করার জন্য এই সময়ে উঠে…………..
ভাবীর রোমে লাইট অন দেখে ই নৌশিন বুজে ওরা উঠে পড়েছে,তাই ডাক দিতে কোনো সমস্যা নেই………”ভাবী,……ভাবী…..”
সারা দেয় নৌশিনের ভাই “তোর ভাবী ওয়াশরোমে,দরজা অন আছে আয়…….”
নৌশিন ভেতরে ডুকে….ওর ভাই মসজিদে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে……..
“ও তুমি যাও নি এখনও!!…..”
“যাবো এখন,কেন?”
নৌশিনের ভাবীও এতক্ষণে উযু করে বেরিয়ে আসে……
“কি ব্যাপার নৌশিন…..কিছু লাগবে?…”(ভাবী)
“না ভাবী,সাদাদ নামাযে যাবে তাই দেখতে এলাম ভাইয়া চলে গেছে নাকি…..”
“ও আচ্ছা,আমি ওয়েট করছি ড্রয়িং রোমে-ওকে আসতে বল…….”
“আচ্ছা……..”
নৌশিন রোমে গিয়ে সাদাদ কে পাঠিয়ে দিয়ে নিজের নামায টাও আদায় করে ফেলে……….
ঘুম পাগল নৌশিনের ঘুম পাচ্ছে,আর ওর আসল ঘুম ই তো হয় ফজরের নামাযের পর থেকে সকাল দশ টা অবদি…..
তাই অভ্যাসবসত এই সময়ে একটু বেশি ই ঘুমিয়ে পড়েছে…….সাদাদ আসবে বলে দরজা অন করেই শুয়ে পড়ে……..শুয়েছে বুজতে পারলেও কখন যে ঘুমিয়ে গেলো সেটা নৌশিন নিজেও বুজতে পারে নি………………
সাদাদ নামায সরে এসে দেখে নৌশিন বেভোরে ঘুমিয়ে আছে,তাই আর ডাকাডাকি করে নি,এই বেচারাও ঘুম চলে এসেছে নৌশিনের ঘুম দেখে টানা দু রাত ঘুমায় নি ঘুম আসা টাই স্বাভাবিক……….তাই দরজা লাগিয়ে সাদাদও শুয়ে পড়ে………………
নৌশিনের মাথায় হাত রাখতে গেলে নৌশিন ঘুমরে ঘুরে ই সাদাদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে…..
আর খোলা ভেজা চুলগুলো সাদাদের মুখে গিয়ে পড়ে…….
সাদাদ চুলগুলো মুখ থেকে সরিয়ে সাইডে মেলে দিয়ে নৌশিনকে আকড়ে ধরে দু চোখ বন্ধ করে নেয়…………..
আবার চোখ খুলে ঘুমন্ত নৌশিনের মায়বী মুখেরর দিকে কিছু সময় তাঁকিয়ে থাকে……
ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাঁসি নিয়ে ভালবাসার মানুষটার কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে আবার দু চোখ বন্ধ করে ফেলে………………….
নৌশিনের মতো সাদাদও এক মুহুর্তেই হারিয়ে যায় গভীর নিদ্রায়…………………………
💜💜💜💜💜💜
হারানোর তো কথাই……..তাই তো লোকে বলে ‘তৃপ্ত আত্মার নিদ্রা ছেদ ঘটানো দায়’!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here