6-10
#প্রেমঘোর#৬#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
প্রাপ্তি:সত্যি রাজি তো???না হলে কিন্তু নিচে গিয়ে এখনি বলবো কি করেছিলে তোমারা….
সাদাদ:ঐ যাহ্ তো..গিয়ে বল..তোর কথায় ভয পাওয়ার কিছু নেই….u may leave now dear sis(একটু ভাব নিয়ে)
!নৌশিন কাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত এটা খুব ভালো ভাবে বুঝে গেছে প্রাপ্তি যথেষ্ঠ চালু টাইপ মেয়ে…ও সবার সামনে যে কোনো কিছু বলতে পারে হাসি মুখে!
প্রাপ্তি:কি বললা?????আমাকে ইগনোর করলা…এতটা…..???ওকে ব্রো…তো নিচে আসো।
!নৌশিন ভয় পেয়ে যায়…নতুন বউ আর কিছু নাকি???সবার সামনে বললে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে…..!
সাদাদের দিকে ভ্রু কুচকে চেয়ে”কিহ্..পাগল না তো তুমি??…
!প্রাপ্তি সাদাদের দিকে মুখ ভেঙেয়ি চলে নিতে লাগলো!
::নৌশিন পেছন থেকে দৌঁড়ে হাতটা ধরে ফেলে,নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে”না না কিউট সিস, তুমি বলো কি শর্ত?? সবটাতে রাজি…বাট নিচে গিয়ে বললে তো তোমার ভাইয়ার কিছু হবে না…..ও তো আস্ত নির্লজ্জ(সাদাদের দিকে রাগী নজরে)….তার চেয়ে তুমি আমায় বলো না…
প্রাপ্তু:যা বলবো তাই করবা তো??
ভাবী:১০০%…পাক্কা…বলেই দেখো না…
প্রাপ্তি:ওকে…..ভাইয়া আমাকে ওর বিয়েতে চার আনা পয়সাও দেয় নি😒😒…আর আম্মু তোমার জন্য অনেক দামী গহনা কিনতে গিয়ে আমাকে একটা 3rd class পঁচা জামা দিয়েছে যেটা আমার যায় না…
(প্রাপ্তির জামা খুবই হাই ক্লাস আর নন্দনীয়.. কিন্তু সবাইকে বোকা বানিয়ে গিফ্ট আাদায় করা ওর রোজকার কাজ…বড় লোকের টিনএজার ছোট মেয়েদের তো আবার অদ্ভুদ অদ্ভুত স্বভাব…বলতে গেলে আদুরে দুলালি আর কি….তবে চঞ্চল টাইপ হলেও মানে গুনে ঠিক ঠাক…কেউ দিতে পারবে না এমন কিছু চেয়ে কাউকে ছোট করে না কোনো দিন…বাবার কাছে ফেন্ডদের ট্রিট দিবে বলে হাজার বিশেক তো ছোট কাকার চাকরি নেই তাই কলম বা ফোনে রির্চাজ..বাট ছাড় কারও নেই..দেখা যাক নতুন দম্পতি কি করে)
সাদাদ:গেল….এটাই বাকী ছিল…দেখ কি বলে(নৌশিনকে)….তাহলে বুঝবা এই বুচি কি জিনিস..☺☺
প্রাপ্তি:ওকে..বায় বলবো না কি শর্ত…অপমান সহ্য করতে আসি নি😡😡
…চলে যেতে চাইলে…নৌশিন আটকে নেয় আবারও…
“তুমি একটু চুপ থাকো না”(নৌশিন সাদাদকে)
!সাদাদ মুখে হাত দিয়ে”ওক্কে চুপ একদম”..
নৌশিন:তো মাই ডিয়ার তোমার 1 st cls একটা জামা চাই তাই তো…ব্যাপার না পেয়ে যাবে ☺☺(প্রাপ্তির গাল টেনে)
প্রাপ্তি:কি করে ভাবলে যে তোমারা যা করছো তার জন্য অনলি একটা জামা…না না ভাবী এটা তোমার কাছে আশা করি নি…তবে তোমার বর যা।। ওর ই তো বউ ভাবতেই পারো….।
!সাদাদ মুখে হাত দিয়ে নৌশিনের দিকে চেয়ে চেয়ে হেসে চলছে..আর বুঝে গেছে নৌশিনের হাত ফাঁকা হবে খুব তাড়িতাড়ি…এই জন্যই ও শর্তে রাজি হতে চায় নি!
নৌশিন:আচ্ছা বেশ বলো কি চাই তোমার???
প্রাপ্তি:কি বলো তো ভাবী.. আমার এই ফোন টা না মামা দিয়েছিলো…বাট আমি কানটিনিউয়াসলি সেভেন মান্থ চালিয়ে যাচ্ছি…তো…
!সাদাদ শেষ…..ওর বুজা শেষ কি চায় ওর….এবার আর মুখে হাত দিলে সব শেষ…”তুই যা।। নিচে যা…সব বল..যা…তবু তুই যা আশা করছিস হবে না…যা…”(সাদাদ)
!প্রাপ্তি একটু এক্সক্লুসিভ লাইভ স্টাইল যাপন করে..সব ভাই বোনের ছোট আর এক বাবার একমাত্র মেয়ে তাই বাবার অতি আদরে এই অবস্থা…এক ইয়ারে তিন ফোন লাগে..যদিও কেবল ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পা রাখলো😭😭!
প্রাপ্তি চোখ লাল করে সাদাদের দিকে লক্ষ্য করে..”আমায় এভাবে বলছো তো!…নিচে যাবো… মেহমান আছে কিছু.. বাপ্পি(বাবা)..জেঠু(সাদাদের বাবা)…আম্মু..বড় মা(সাদাদের মা)..ভাইয়া ভাবী..আপু..জিজু(নিলার বর)সবার সামনে বলবো”ভাবী ভাইয়াকে চরম লেভেলে গিয়ে লিপ কিস করতেছিলো”
!নৌশিন 😱😱অবাক কি বলে এই মেয়ে..ও তো এসে জাস্ট সাদাদকে ওর ওপর দেখলো এর বেশি কিছু না… “😱😱আমি কোথায় করলাম???(নৌশিন)
“তুমি করো আর ভাইয়া…দুজনেই তো শামিল ছিলে…যদিও আমি সেটা করতে দেখি না বাট ভাইয়া তো তোমার ওপর লডু খেলতে শুয়ে ছিল না..কুচ কুচ তো গলদ হয়েয়য়…”..
!এ কেমন মেয়ে..বয়স তো এতোটুকু…আর কি সব বলছে…আমারি তো লজ্জা লাগছে আর ও বড় ভাইয়ের সামনে… কিভাবে??….(মনে মনে অবাক হয়ে যায়)!
…সাদাদ প্রাপ্তির কান ধরে জোরে টান দিয়ে”তোর বেশি পাকামি তাই না..কিচ্ছু পাবি না…আর কি সব বলতেসিস?? হুম??”
:::প্রাপ্তি রেগে আগুন:বাদর ভাইয়া…নতুন বউকে পেয়েই কি সব করো…আর আমি বললেই দোষ😡😡।।।কান ছাড়ো আমার..
…কানটা ছাড়িয়েই ভে ভে করে কান্না শুরু করে….”আমি বলবো সব বলে দিবো”
..নৌশিন: কি হলো কাঁদছো কেন???তোমার সাথে সাথে কান্নাটা বেমানান তো☺☺(মুচকি হেসে)
সাদাদ:সব ওর ভন্ডামি…পকেট ফাঁকা করার ধান্দা…
….”বাপ্পি….জেঠু…(চিৎকার করে প্রাপ্তি রোমের বাইরে যেতে থাকে…নৌশিনের কি আর হুস থাকে…আর যাই হোক শুশুড়ের সামনে যদি বলে তো সব শেষ…নৌশিন প্রাপ্তির মুখে শক্ত করে চেপে ধরে রোমে নিয়ে আসে…”আচ্ছা ওকে…ফোন চাই তো তোমার…???”
প্রাপ্তি:(কাঁদো কাঁদো গলায়)হুম…আমি কি এত বড় হয়েছি যে আই ফোন চাইবো..আর দামী ফোন ও তো না..মামা তো এই ফোন টা বারো হাজার টাকা দিয়ে দিল…তো তোমারা আমাকে তের হাজার টাকারও ফোন দিতে পারবা না😭😭😭..(কান্না করতে করতে)
সাদাদ:আমি পারবো না…বিয়ে করতে সব টাকা শেষ…যে কথা দিছে ওকে বল ও ই দিবে..
প্রাপ্তি:তুমি দিবে না ভাবী বলো??(নেকামী করে)
!নৌশিন:তের হাজার টাকার চেয়ে ওর লজ্জাটা বেশি দামী মনে করছে এখন”আচ্ছা বেশ আমিই দিবো তোমায়..এবার তো হাঁসো…”
…বলতে দেরি হলো না…এক গাল হাঁসি দিয়ে”আমার সোনা ভাবী(জড়িয়ে চুমু খেয়ে..)
সাদাদ:এই হলো…আসকারা দাও দেখ মাসে কতো যায়…(নৌশিনকে)
..আর এই তো তুই ভে ভে করছিলি এখন আবার ৩২ টা দাঁত?? “্
প্রাপ্তি:কথা বলবা না তুমি আমার সাথে…বাজে ছেলে….ভাবী কত্ত ভালো…শিখো পারলে..
সাদাদ:তুই যাবি..এখন(রেগে)
প্রাপ্তি:ওওওও(জিহ্বা দেখিয়ে)…যাচ্ছি…নিচে আসো খাবার নিয়ে সবাই ওয়েট করছে…
…প্রাপ্তি চলে গেলে..
“ওর শর্তে রাজি হতে কে বললো তেমায়..এবার বুঝো এখন তো ফোন চাইলো.. আবার কোনো সুযোগ পেলে পার্টি দিয়ে দিতে বলবে…চিনতে পারবা আস্তে আস্তে”(সাদাদ)
“তো কি করতাম…যদি বলতো..আমি তোমায় লিপ কিস করছি তো মান সম্মান সব শেষ হতো..আর ছোট বোন একটা ফোন ই তো..আর এমনি কিন্তু অনেক কিউট…সো এখন কথা না বাড়িয়ে নিচে চলো..”(নৌশিন)
…আচ্ছা ওয়েট…কি বললা…তুমি আমাকে লিপ কিস করছো এটা বললে তোমার মান সম্মান শেষ???”(সাদাদ)(নৌশিনের কাছে এসে)
“তোমার মাথা আছে তো সাথে..শুশুড়..কাকা শুশুড়..ভাসুরের সামনে এই কথা বললে মান সম্মান বাকী থাকবে কিছু??(জোরে)(নোশিন)
“হবে হয়তো…আর আমাকে…”
সাদাদকে আর কথা বলতে না দিতে “আবার আসবে..ব্রেকফাস্ট করে এসে কথা বলি..!চলো!”
সাদাদ:চলো😞।।তাই হোক…
…দুজনে খেয়ে আবার ওপরে চলে আসে…
ভাবী আর নিপাও আসে…
“নৌশিন..এখন তো ৯ টা বাজে….তুমি এক কাজ করবা…এখন একটু রেস্ট নিয়ে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিবা..তারপর পার্লার থেকে লোক আসবে কিন্তু”(ভাবী)
“আর ভাই ওকে একটু রেস্ট নিতে দে…দেখে তো মনে হচ্ছে কাল সারা রাত ঘুমাতে দিস নি…এখন রেস্ট না নিলে..বউ ভাতে দেখতে শুকনা লাগবে মুখটা বউমনির…সো ডিস্টার্ব করিস না”(নিপা)
“”নৌশিন ওদের কথা বার্তা শুনে চুপচাপ লজ্জা পাচ্ছে কিছু বলার ভাষা নেই..বড় বোনও বলে রে কি সব””
…ওরা চলে যায়..
নৌশিন ধপাস করে শুয়ে পড়ে….”ওহ্ মা…(জোরে শ্বাস নিয়ে..)কি বলে রে সবাই”
“যা হয় তাই বলে রে..”(সাদাদ)(নৌশিনের পাশে শুয়ে পড়ে)
“আমি শুধু ভাবছি… কাল রাতে কি হলো আমার…(নৌশিনের দিক চোখ দিয়ে)…আর যেটা সব চেয়ে রোমান্টিক ব্যাপার একটা মেয়ের কত যন্তের শরীর তা কি না আমি একটা ছেলে হয়ে সবটা জুড়ে মুখ লাগিয়ে দিলাম..(নৌশিনের কাছে এসে)…আর তার চেয়ে আরও বেশি স্বর্গীয় সুখে কি রে নিয়ে গেলাম তোমায় আর কি এমন আছে তোমার আমার কেন মনে হলো তুমিই আমার পৃথিবী..(কানের কাছে ফিসফিসিয়ে)…তোমার শরীরের সব জায়গায় তো আমার ছোঁয়া নৌশিন..তোমার আগলে রাখা বুকের ক্লিভেজে আমার হাতের চাপ..চুমু..কামড়ে একদম শেষ…তোমার আগলে রাখা শরীরে আমার ভালোবাসার ছোয়া দিতে ভরা শরীরটা ঘায়েল কি করে করলাম…তোমার সতিত্ব কেড়ে নিয়ে হাড় মানালাম তোমায়…ইশ কি করলাম তোমায়…
।।।নৌশিনের সাদাদের কথায়..মরে যাচ্ছে একদম…কি বলছো ও..”
“ধ্যাত কি বলো☺☺☺(লজ্জায়)”
সাদাদের পাশ থেকে ওঠে যাবে…তখন সাদাদ টেনে ওর বুকের ওপর নেয়…
“কই আর যাবা বলো..সব তো আমাকেই দিলা”
!ঘুমাও না একটু…কি সব বলো.(লজ্জায় মাথা নিঁচু করে)!
“ওম।। হু….”
“এই এখন কিন্তু কোনো রকম কিছু না..”
“তুমি তো আমার বোনের সামনে বললা আমি নাকি নির্লজ্জ।।তো আমি আর কি করবো তবে…লজ্জা যে নেই আমার… “(সাদাদ)
“তো ঠিকই বলছি..আর এখন আমার শরীরটা খারাপ লাগছে সো…”
“আই নো দিস মাই ডিয়ার…রাতে যা গেলো তোমার উপর..তাতে তো”
“ইশ তুমি না…”
“আচ্ছা…আমি কিছু করবো না এখন☺☺।।বাট তোমায় বলতে হবে তোমার কি খারাপ লাগছে😜😜”
“এটা কেমন কথা..আমি পারবো না বলতে…ছাড়ো আমায়…”
“ওম হু।।।বলতে হবে…বলো…”
“সাদাদ☺☺।।।ঘুমাও না একটু”
“আচ্ছা শোন আমি কিন্তু জানি তোমার সবচেয়ে কোথায় কষ্ট হচ্ছে☺☺..সে বলো”
“কিহ্… মানে কি?”
“বিশ্বাস হয় না..??এক কাজ করো আমি এই পেডে লিখে ফেললাম..তুমি এবার বলো কোথায় সব চেয়ে বেশি খারাপ লাগছে..দেখবা মিলে যাবে.”(সাদাদ)
“ইন না।।।আমি পারবো না..”
“এতো লজ্জা কিসের..??না বললে কিন্তু সব লজ্জা আবার নিয়ে নিবো সো বলো..”
“ওহ্ সাদাদ..”
“ওম।।।।বলো….”
…নৌশিন বুঝে যায় সাদাদ ওকে ছাড়বে না.. ওকে বলিয়ই ছাড়বে..রিলেশন চলা কালীন যা বলছে তাই করছে আর ওর যা রাগ তাই ভালোই ভালোই বলে ফেলাই বেটার..নৌশিন সাদাদের বুকে নিজের মুখটা রাখে..যেন সাদাদ ওর মুখটা না দেখে..
“ওকে..এবার বলো তো”(সাদাদ)
“আম..আ.মা..মা…র….আমম।।…. ”
“কি হচ্ছে আ আ করছো..বলে ফেলো”
“নৌশিন চোখটা বন্ধ করে সাদাদের শার্ট শক্ত করে ধরে রেখে মুখটা বুকে রেখেই হঠাৎ বলে ফেলে”আমার স্তনে খুব ব্যাথা হচ্ছে এখন…(খুব তাড়াতাড়ি)
…সাদাদ হেসে ফেলে😆😆…নৌশিনের সামনে পেড টা ধরে দেখতে বলে..নৌশিন একটু মুখটা খুলে দেখে হুম সাদাদ তাই লিখছে..!
“!ধুর… ☺☺তুমি না…আসলেই নির্লজ্জ ☺☺”
“ওম…তা ঠিক।।তোমার কাছে আমি সব…আমি জানতাম সকালে তোমার এটাই হবে আর তোমাকে এই ব্যাথা দিয়েই যে সুখটা পেলাম দুজনে…ইভেন আমি তো ভাবছি তোমার বুকটা একদম শেষ করে দিতে বাট পরে অল্পতেই ছেড়ে দিলাম…যতই হোক আমার জান টাকে বেশি ব্যাথা দিতে পারি না…☺☺”
“সাদাদ থামো তো তুমি☺☺”
“ওকে ওকে…উম্মমমমমমমাা জান..একটু সহ্য করো..নেক্স টাইম এই কষ্ট গুলো হবে না।।প্রথম বার তাই এমন লাগছে…এটাই তো সুখ…এজন্যই তো তুমি আমার কাছে সারা জীবন বাঁধা পড়লা..তোমাকে পুরোপুরি করে আমি নিজের করে নিয়েছি☺☺…তুমি আমার শুধু আমার।।।আমার ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে রাখবো তোমায়।।।”
!নৌশিন সাদাদের কথাগুলো সাদাদকে জড়িয়ে ধরে শুনে যাচ্ছে শুধু।।।!
…সাদাদ..নৌশিনের মুখটা তুলে.এই মুর্হুত থেকে তোমার সুখ দুঃখ সব আমার।।।। তোমার জন্যই সবটা ভালোবাসা…”
“এই একটা কথা মনে পড়লো(সাদাদকে থামিয়ে)…”
“কি কথা…”(সাদাদ)
!নৌশিন সাদাদের বুক থেকে ওঠলো…সাদাদকে হুকুমের স্বরে বলছে”ওঠো..উঠো…”
“কি হলো…??বলো না”(নরম কন্ঠে)
“জ্বি না..উঠো..নরম স্বরে ভুলছি না”
!সাদাদ ওঠে বসে…”ওফফ বলো কি কথা??”
“তুমি কি করে জানলা??? যে ফার্স্ট ডে তে মেয়েদর কেমন লাগে??কোথায় কোথায় ব্যাথা হয়…??”(রাগী ভাব নিয়ে)
“তোমার ৬ ইয়ারের সিনিয়র সো জানতেই পারি..☺☺”(সাদাদ)
“এই খবর দার হাসবা না…৬ বছরের হও বা ১০ বছরের বিয়ে তো করে নি আগে তো কি করে জানলা??”(আঙুল উঠিয়ে)
“হেয়য়।।।ঝগড়া করবা নাকি..?এত সাহস হঠাৎ…??”
“হুম করবো…ভেবো না আগের মতো চুপচাপ থাকবো…সব জবাব দাও এখন”
“আরে আজিব তো সব ছেলেই জানে😜😜…আর তোমাদের ঐ বাঁধানো বুকে ছেলেদের নজর টা বেশি যায় রে সোনা…তাই যখন বউকে কাছে নিয়ে ভালোবাসার পরশ দেওয়া হয়…নরমালি বোকে হাত মুখ সব দিয়ে বুকটা ঘায়েল করতে মন চায়।।।মনে হয় প্রতিটা স্তনকে চেপে কামড়ে চুষে মিশিয়ে দিই একদম।।।ট্রাস্ট মি কাল রাতে তোমার শ্বাস বেড়ে যাওয়ায় তোমার বুক যে ভাবে ওঠা নামা করছিল.. আমার তাতে দুনিয়া তোলপাড় হয়ে যাচ্ছিল তাই পাগল হয়ে গিয়েছিলাম পুরো…মনে হচ্ছিল”মিশিয়ে দিই একদম।।।।সব শেষ করে দিই…….শরীরে কি থাকে একটা মেয়ের মনে হয় ভরা শরীররে আগুন ধরিয়ে আাবার ঠান্ডা করে দিই..এই শারীরিক সম্পর্কেই একটা ছেলে আার মেয়ের যে মিলন হয় তা যেন জান্নাতের সুখ…কিন্তু বিয়ের আগে যারা এগুলো করে ওরা যে জাহান্নামে লিপ্ত হয় তুমিই আমাকে বলেছিলে..তোমার ঔ শরীরে চুমু আঁকার কারণে ভেঙে পড়েছিলে তুমি ঐ দিন… তোমার এক ফোঁটা জলও দেখতে রাজি নই তাই ঐ দিন ই বিয়ে করলাম…ক্ষমা করতে পেরেছিলে তো আমায়(নৌশিনের হাতটা ধরে)
নোশিন সাদাদের সব কথা শুনছিল…
“এই কি করছো..কিসের ক্ষমা???এভাবে একদম বলবা না…তুমি ঐ দিন আমাকে ছুয়েছো ঠিক বাট আমার সতিত্ব নষ্ট করো নি…আমি জানি একটা মেয়েকে ঔ ভাবে দেখলে কতটা চাপ পড়ে একটা ছেলের উপর।।।আল্লাহ ছেলেদের হাইপোথ্যালামাস সে ভাবেই বানিয়েছে।।।আর আমার ঐ দিন যা অবস্থা ছিল।। আমার প্রমিক হিসেবে ঐ দিনই তুমি আমার ভার্জিনিটি নিয়ে নিতে পারতে।।।কিন্তু করো নি আমার কান্না থামানোর জন্য বিয়েও করেছিলে..তাই তুমি আমার কাছে যেমন আমার ভালোবাসা তেমন আমার শ্রদ্ধা।।।তাই একটুও সেই অতীতকে ১০ আমি ভাবতে চাই না।।সে সময়ে আমিও দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম সত্যি বলতে তোমার যেমন ছাড়তে ইচ্ছা করছিল না -তেমনি আমার এক মুর্হুতের জন্য মনে হয়েছিল”তুমি যেন আমাকে হার মানাও..আমার সবটা জড়ে ছুয়ে যাও…শেষ করে দাও আমার সব কিছু” কিন্তু ঠিক সে সময় মনে হয়..আমার ভালোবাসার মানুষ আজ আমার এতোটা কাছে ও যদি আমায় সবটা দিয়ে নিজের কাছে হারিয়ে সর্বসুখ আমায় দেয় তবে সেটা পাপে উবে যাবে…তার চেয়ে একটু ধৈর্য্য নিয়ে বিয়ের পরে ও যদি আমায় একান্ত নিজের করে নেয় তবে এজীবনেই না পরকালেও সে আমার স্বর্গসুখের কারণ হবে।।আর আমি তোমার কাছে কালকের মতো সারা জীবন এমনি পরকালেও হেরে যেতে চাই…ভেসে যেতে চাই তোমার সাথে পরম সুখে…তাই দু জীবনেই তোমাকে পাওয়ার জন্য সে দিন বাঁধা দিয়ছিলাম।।তুমি আমার কাছে এতটাই দামী যে শুধু এক মুর্হুতেরর জন্য টাইল ট্রাভেলেও তোমাকেই চাই..তাই এই বৈধতার অপেক্ষায় ছিলাম… আর যাই হোক অবৈধতার বেড়াজালে সুখটা খনিক-পাপে ডেকে যায় ভালোবাসাটুকুও…তাই আমারা সে দিন যা করতে যাচ্ছিলাম আল্লাহর কাছে ক্ষমাপার্থী দুজনেই….সে দায় শুধু তোমাকে দিলে মহাপাপ হবে… তোমাকে যে সে ভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে আর বিবেকের প্রশ্ন তোললে তো আমার দিকেও আঙুল ওঠবে “আমার কি সত্যিই উচিত ছিল তোমাকে ওইভাবে কাজটা করতে বলা…আর তার ওপর তুমার প্রেম আমি…”সো সে সব ভাবার দরকার নেই আমি তো হেরেই গেছি তোমার কাছে☺☺ আপনার কাছে চিরতরে যেখানে শুদু সুখ আর সুখ..যেখানে পাপের ছায়ারও কোনো চিহ্ন মাত্র নেই….☺☺
#প্রেমঘোর#৭#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
!সাদাদ নৌশিনের সব কথা শুনছে আর ভাবছে”এমন আধুনিক হয়েও কি সুন্দর চিন্তাধারা-আসলে এটাই দরকার….আধুনিকতার নামে অশালীনতা পোষণ করা নেহাতই বোকামী বলতে গেলে এক ধরণের ভন্ডামীও”
“তোমার এই মেনটালিটির জন্য তোমাকে শ্রদ্ধা করতে মন চায় আমার”(সাদাদ)
“ধুর,কি বলো??আমি তোমার বড় আপু নাকি যে শ্রদ্ধা করবা….অনলি বউ সো নো শ্রদ্ধা টদ্ধা….শুধু ভালোবাসা”(নৌশিন)
“ও আচ্ছা…”(মুচকি হেসে)
“জি মাই ডিয়ার”(সাদাদকে জড়িয়ে ধরে)
!সাদাদও নৌশিনকে আগলে নিলো নিজের বুকে!
“এই শোনো না…”(নৌশিন)
“হুম,শুনি বলো”(সাদাদ)
“আমি কিন্তু আজ থেকে রোজ তোমার বুকে ঘুমাবো”(নৌশিন)
“কেন,কেন?”(সাদাদ)(মজা করে)
!নৌশিন সাদাদের বুক থেকে মুখ তুলে একটা রাগী মোড নিয়ে”কেন মানে কি???ইচ্ছা তাই শুবো… আমি এখন আপনার ভার্সিটির জুনিয়র না…আপনি এখন ভার্সিটিতে নেই কিন্তু জবে..আর আমি আপনার ঘরের বউ সো র্যার্গের ভয় আর পাই না..এখানে আমিই যার্গিং করবো আপনাকে সো আমার কথায় লাস্ট কথা…আর আমার যা ইচ্ছা তাই করবো..ইচ্ছা হলে সারা রাত ঝগড়া করবো…ইচ্ছা হলে আপনাকে নাচাবো….সো বুকে ঘুমাবো এটাই লাস্ট কোনো কোয়েশ্চেন হবে না…😃”
“বাহ্….সাহসের তারিফ না করে পারছি না…যে দেখলে ভয়ে কান্না করে দিতো তার মুখে এত্ত কথা….বাহ্… তা মিসেস সিনিয়র…”শুধু কি টরচার ই করবেন নাকি ভালোও বাসবেন একটু?☺”(সাদাদ)
“আমি তোমার মতো নাকি যে”অসহায় কাউকে নিযার্তন করবো?”…নিজে তো ফার্স্ট ডে তে ভার্সিটিতে আমায় কান্না করাইছো ইচ্ছা করে”(নৌশিন)
“আরে বুদ্ধু..তোমাকে ঐ যদি ভয় দেখিয়ে না বলতাম”মিস জুনিয়র ছেলেদের সাথে আপনি কথা কম বলবেন..আপনাকে দেখে তো পাকনা পাকনা মনে হয়.. সো এই জাবি তে IBA তে পড়তে গেলে…MBA এর ভাইদের কথা শুনবেন”
আর নিজে তো ভয়ে ভে ভে শুরু করে দিয়েছিলে☺…তবে কান্না করা প্রথম লোকটাতে আরও ফিদা হয়ে গেয়িছিলাম💜💜…
ফার্স্ট ডে তে সবার সামনে ঐ কথা বলছি..যেন তেমাকে কোনো ছেলে ইভেন ২য় /৩য় বর্ষের ছেলেরা ডির্স্টাব না করে..করার আগে ভাববে যে”সাদাদ ভাই পরে আবার মেয়েটাকে বাঁশ দিবে”সেজন্যই সে ভাবে বলেছিলাম..
কি করতাম প্রথম দিনই যে ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাই প্রথম দিন ই আটকে ফেলেছিলাম..যেন আমি ছাড়া আর কেউ সুযোগ না পায়…..☺☺”(সাদাদ)
“হুম..তবুও…আর আমার তো পর থেকে তোমাকে দেখলেই ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যেতো…বাপ রে মনে হতো”আজকে আমি র্যাগ খাবোই” বাট পরে আস্তে আস্তে দেখলাম সবাই র্যাগ খায় একমাত্র আমি ছাড়া কেউ একজন আছে যে আগলে রাখে…পর তো পরই ১ ইয়ার পরে প্রোপোজ ই পেলাম..☺☺…ভয়েই আমি রাজি হয়ে গেয়েছিলাম..ইভেন আমি তো মনে মনে এটাও ভাবে রেখেছিলাম”এই গোন্ডার সাথে শুধু বাঁচার জন্যই প্রেম প্রেম নাটক করে যাবো..তার পর ওর স্টাডি শেষ হলেই আমি সব রিলেশনের বারোটা বাজাবো..”বাট কখন যে আমার মনেরই বারো টা বেজে গেলো..হঠাৎ এক দিন ঔ যে ঝড়ের কারণে লোড সেডিং হলো আর ফোন অফ… সারা রাত একটুও কথা হয় নি.. আমার কেন জানি বার বার মনে হয়েছিল “এই ছেলের সাথে কথা না বললে আমি মরেই যাব…”খালি ওয়েট করা শুরু করলাম -কখন সকাল হবে আর কখন কথা বলবো…. ঐ দিন ই বুজলাম যে গোন্ডাটাকে ছাড়া তো দূরের কথা কথা না বললেই আমার জীবন শেষ….ঐ দিন থেকে আসল প্রেম করা শুরু করলাম”(নৌশিন)
“আমি জানতাম প্রথম দিন তুমি আমাকে ভয়ে ই-হ্যাঁ বলেছো..তবে আমার বিশ্বাস ছিলো -প্রেমে তুমি পরবেই তাই সবটা মেনে যেন প্রমে পড়ো সে ভাবে চলতাম..”(সাদাদ)
“আমার তোমার সাথে রাতে কথা না হওয়ায় কতটা কষ্ট লাগছে-আর তুমি ভার্সিটিতে ডুকার সাথে সবার সামনে কিভাবে বকা বকি করলে”এই মেয়ে..ফোন অফ কেন???ভালো লাগে না কথা বলতে??নাকি অন্য কারও সাথে কথা বলতে চাও -তাই ফোন অফ করে সেটা কানটিনিউ করো??😡😡…”কি যে কষ্ট লাগছে 😞😞 তখন”(নৌশিন)
“আরে মাথা গরম হয়ে গেছিলো..হঠাৎ সারা রাত ফোন অফ পেয়ে ভেবেছিলাম-তুমি আমার প্রেমে আসলেই পড়বা না নাকি -তাই সে ভাবে বলেছিলাম..বাট যে কান্না শুরু করে দিয়েছিলে…সেটা দেখে রাগ আর থাকে নি।। বুজতে পেরেছিলাম ফোন অফ থাকার কিছু কারণ তো আছেই…তাই তো হাত ধরে রোমে নিয়ে গেলাম..”(সাদাদ)
“আমি তখন অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম – আমি ভাবলাম -তুমি মে বে আমাকে রেগে চড় টর কিছু দিবা তাই ফাঁকা রোমে নিয়ে গেছো বা সে সব না করে যদি কিস টিস করো জোর করে-তো ২ টায় আমার জন্য মেনে নিতে কষ্ট হবে তাই কান্নার স্পিড বাড়িয়ে দিয়েছিলাম যাতে তোমার মন গলে যায়…আর রোমে….নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে…
“সরি😞😞।।তুমি কেন ফোন অফ করে রেখেছিলে বলো তো-কথা না বলে তো থাকতে পারি না আমি…”(সাদাদ)
“…😭😭😭😭”(নৌশিন)
“বললাম তো সরি..এভাবে বকা দেওয়ার জন্য…”(চোখ মুছে দিয়ে)
“হুম😞😞😭😭😭।।আমি কি ইচ্ছে করে ফোন অফ করে রেখেছিলাম নাকি..অফ হয়ে গিয়েছিল আর সাথে সাথে তো😭😭লোড সেডিং ও…আর তুমি বলো”আমি অন্য কারও সাথে😭😭😭😭😭””(নৌশিন)
“সরি তো আর এমন হবে না…”(সাদাদ)
“😞😞😞”(নৌশিন)
“উমমম্মা…(কপালে)লাভ ইউ সো মাচ”(সাদাদ)
“ছাই😡”(নৌশিন)
“☺☺☺হুম সে যাই হোক এবার তো হাসি মুখ টা দেখি”(সাদাদ)(নৌশিনের গাল টেনে)
“শয়তান..খালি বকতেই পারে☺☺”(নৌশিন)
“না তো ভালবাসতেও পারি”(সাদাদ)
“হয়েছে আমাকে অনেক বকা দিলা তো… তাই এখন আমাকে অনেক অনেক কিছু খাওয়াতে হবে…এন্ড সবার আগে ফুচকা☺☺”
…..ওফফ সে দিন থেকে রিয়েল লাভ শুরু☺☺(নৌশিন)
“হুম তাই তো.. ঐ দিন তোমার মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখে আমি সিউর হয়ে গেলাম তুমিও প্রেমে হাবোডুবো☺☺….যেমন প্রথম নিজে থেকে আমার হাত ধরে টেনে ফুচকার সামনে নিয়ে যাওয়া..অথচ তুমি জানতে যে ফুচকার ধারে কাছেও যাই না আমি তবুও ঐ দিন প্রথম আমার কাছে নিজে থেকে খেতে চাইলা তাই না করতে পারি নি…অন্য দিন হলে ফুচকা খাওয়াতাম ই না…”(সাদাদ)
“ইশশশ…..এখন থেকে তো তুমিই ভার্সিটিতে দিয়ে আসবা আর আমাকে রোজ ই কিন্তু ঐ দিনের মতো অনেক অনেক ফুচকা খাওয়াতে হবে”(নৌশিন)
“হুপপপ…ফুচকা আন হেলদি… পচাঁ… একটা অখাদ্য…আর যাই হোক সেই দোকানের সামনে দাড়াতে পারবো না…দরকার হলে রোজ বড় কোনো..”(সাদাদ)
!কথা টা শেষ করতে দিলো না নৌশিন……”না না না…..রোজ ফুচকা..না হলে খবর আছে…এখন কিন্তু আমি বউ-প্রমিকার আবদার না রাখলে বিপদ নেই কিন্তু বউয়ের সব দাবী কিন্তু মানতে হবে…না হলে খারাপ হয়ে যাবে….”(নৌশিন)
“আচ্ছা..আচ্ছা…বক বকানি বুড়ি…এত্ত কথা বলে রে…”(সাদাদ)
“তোমার কি”(মুখ ভেঙিয়ে)(নৌশিন)
“আমার আর কি..তবে ফুচকার অনেক গুন…সেই দিন ফুচকা খাওয়ানোর পর তো মিনিয়াম দশ বার “লাভ ইউ”বলেছিলে””(সাদাদ)
“আরে ঐ দিন তো প্রথম রিয়েল প্রমে পড়েছিলাম তাই আগে যে ভয় পেয়ে “লাভ ইউ”টা বলেছিলাম সেটা ভুলে যাওয়ার জন্য এত্ত এত্ত বার বলেছিলাম কথাটা…আর কি বলো তো- প্রথম প্রেমে পড়ায় দিন টা ছিল একটা বিশেষ দিন আমার কাছে তাই আমার লাইফের সব চেয়ে বিশেষ মানুষের কাছেই আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার টা খেয়ে নিয়েছিলাম”(নৌশিন)
“ওরে.তাই নাকি??☺☺”(সাদাদ)
“হুম – তাই”(নৌশিন)
…আচ্ছা শোনো অনেক গল্প হলো ১০ টা বেজে গেলো তো..তুমি এক কাজ করো একটু ঘুমিয়ে নাও ১২ টা পর্যন্ত.. না হলে বিকেলে রিসেপশনের টাইমে দেখতে আসলেই রোগা রোগা লাগবে..এখনি মুখটা শুকিয়ে আছে….(সাদাদ)
“হুম…কাল তো অনলি টু আওয়ার ঘুমানো হলো তাই এমন দেখাচ্ছে…আর এমনি তো আমি দশটার আগে উঠিই না…☺☺….তবে এখন সেই আরামের ঘুম টা আমার হারাম হয়ে যাবে…শশুড় বাড়ি তো আর দশটা অবদি ঘুমানো যাবে না(একটা বড় শ্বাস ফেলে)(নৌশিন)
“হুম শুধু কি দশটা পর্যন্ত ই ঘুম মিস না কি…রাতেও তো ঘুমাতে দিব নারে”(নৌশিনের কানের কাছে গিয়ে☺☺☺)(মুচকি হেসে)
!নৌশিন লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রাখে!
“যাও তো☺☺..বেশি বেশি তোমার”(নৌশিন)
“ওম হু…যা সত্যি তাই বললাম”(সাদাদ)
“হয়েছে তোমার সত্যি বলা..হয়ে গেলে আমি শুয়ে পড়ি??”(নৌশিন)
“হুম…আর দেরি করা ঠিক হবে না..ঘুমাও একটু..আমি এসে ডেকে দিবো…ততক্ষণ ঘুমাও”(সাদাদ)
“কেন বের হবে কোথাও তুমি??”(নৌশিন)
“হুম..একটু কাজ আছে বাইরে..বিকেলে তো আর করা হবে না..আবার তো তোমার বাসায়ও যাওয়া লাগবে নাকি আজ.. তাই কাজটা সেরে আসি-এখন না হলে লেট হয়ে যাবে”(সাদাদ ওঠে রেডি হতে হতে কথাগুলো বলছে)
“হুম।।কিন্তু তুমি তো রাতে ঘুমাও নি.. অসুস্থ হয়ে না যাও..আমি তো তবুও ২ ঘন্টা ঘুমিয়েছি”(নৌশিন)
“অসুস্থ হবো না গো রানী..ভার্সিটিতে তো আমিও খালি ঘুম আর ঘুম..বাট এখন জবে এসে রাত জেগে কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে..বুজলেন??”(সাদাদ)
“হুম….বুজলাম বাট আসবা কখন??”(নৌশিন)
“কেন???মিস করবে নাকি??☺☺”(সাদাদ)
“আজিব তো… জানতে চাইলাম শুধু… “(নৌশিন)
“হুম হুম…তা জানতেই পারো.. বউ যখন”(সাদাদ)
“তো…. বলো না কেন??”(নৌশিন)
“এই তো ১ ঘন্টার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে…তখনি এসে যাবো”(সাদাদ)
“তাড়াতাড়ি এসে পড়ো-আর সাবধানে ড্রাইভ করো☺”(নৌশিন)
“তবে এতদিনে আমার যাবার বেলায় সাবধান করে দেওয়ার মানুষ জুটলো কপাল☺”(জোরে শ্বাস নিয়ে হেঁসে)(সাদাদ)
“☺☺”(নৌশিন)
“লাভ ইউ☺”(নৌশিনকে চুমু দিয়ে)
“লাভ ইউ টু জান”(সাদাদকে জড়িয়ে ধরে)
“আচ্ছা-আসি??হুম”(সাদাদ)
“হুম☺☺”(মাথা নাড়িয়ে)(নৌশিন)
“দরজাটা চাপিয়ে ঘুমাও-লক করোও না, পরে বেশি ঘুমিয়ে গেলে ডাকলে তো তুমি আবার জাগতে পারবে না…কেউ আসবে না-আমি বলে যাব প্রাপ্তিকে তুমি ঘুমাচ্ছো তাহলেই বাইরের কাউ কে ঐই রোমে আসতে দিবে না…যতই পাগলী হোক বোন আমার কেয়ার করতে জানে।”(সাদাদ)
“হুম..আল্লাহ হাফেজ এন্ড আসসালামু আলাইকুম”(নৌশিন)(ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাঁসি ফুটে ওঠে মেয়ে টার)(সাদাদ ও মুচকি হাঁসে)
“হুম আল্লাহ হাফেজ…বাট হঠাৎ সামনা সামনি সালাম….আগে তো শুধু ফোনে দিতে-সামনে তো দাও নি☺☺”(সাদাদ)
“হুম..আগে লাভার ছিলে তাই শুধু ফোনে..মানে কম কম শান্তি কামনা করতাম আর কি(দুষ্টু কণ্ঠে)..আর এখন তো স্বামী তাই সবসময় যেন শান্তি বর্ষিত করেন আল্লাহ্ সেজন্য এখন শুধু ফোনে নয় সামনা-সামনিও দিবো….বুজলে মাই ডিয়ার?☺”(সাদাদের নাকে ছুঁয়ে নাক টা নাড়িঁয়ে)
“হুম☺☺☺জান….বুজলাম আর ওয়ালাইকুম আস-সালাম…..উম্মাহ্…কিছু দরকার হলে প্রাপ্তি/ভাবী/আপু তো আছেই আর নাহলে আমাকে ফোন করো…কেমন?☺”(সাদাদ)
“আচ্ছা☺-নো টেনশন”(নৌশিন)
“হুম-রেস্ট নাও একটু এখন-আসছি না হলে লেট হয়ে যাবে আবার☺”(সাদাদ)
“হুম☺☺…হেভ এ সেভ জারনি☺”(নৌশিন)
!!সাদাদ একটা অসীম তৃপ্তি নিয়ে রোম থেকে বেরিয়ে যায়!
!নৌশিনও শুয়ে পড়ে…!
!আর কাল রাতের সেই সময় গুলো ভেবে নিজেকে পৃথিবীর সব চেয়ে সুখী মানুষগুলোর তালিকায় আওতাভুক্ত করে ফেলে☺!
…….ভাবনার জগতে থেকেই মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়ে….
💜💜💜💜
#প্রেমঘোর#৮#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
……..১২ টা বেজে গেছে……..
নৌশিন এখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে…….সাদাদ এক ঘন্টায় কাজ টা শেষ করতে পারে নি………
বাসায় আসতে আসতে ১২.১৫………
“কী রে প্রাপ্তি???তোর ভাবী ওঠে নি??”(সাদাদ)
“নাহ্ তো…আমি ডাকতে চাইলাম আপু বলল একটু পরে ডেকে দিতে”(প্রাপ্তি)
“ওহ……তুই কি লাগাস??এগুলা কি এতো???”(সাদাদ)
“দেখো না,মেহেদী…”(প্রাপ্তি)
কালকের আগের দিনও তো দিলি আজ আবার….ঢঙ কই খিসতেছিস এতো??”(সাদাদ)
“আম্মু……জেঠি……দেখো ভাইয়া কি বলতেছে আমাকে😡😡………তোমার কি???আমি ১০০ বার দিবো….হাজার বার ঢঙ করবো….😡😡”(প্রাপ্তি)
“থাপ্পর দিবো একটা…..ভাব- কম সাজবি তুই……আর শোন ঐ ছেলেটা কে?? “(সাদাদ)
“কিহ্??”(ঘাবড়ে গিয়ে)(প্রাপ্তি)
“হুম…কম সাজবি….আমি চাই না তোর পিছনে ছেলের এতো লাইন লাগুক…আর সাবধান না হলে থাপ্পর খাবি”(সাদাদ)
“ভাইয়া😞😞😞”(প্রাপ্তি)
“হুম….কাল রাতে ফোন কই ছিলো তোর??”(সাদাদ)
“জানি না।।।মনে ছিলো না…আম্মু সকালে রোমে দিয়ে আসছে”(প্রাপ্তি)….(ভয় পাচ্ছে সাদাদের এমন সব কথায়)…
“ড্রয়িং রোমে ফেলে রেখেছিলি…আর তখন….”(সাদাদ)
…..কেউ আসছে ড্রয়িং রোমে তাই কথাটা থামিয়ে দেয় সাদাদ…….”চল রোমে চল আমার”(সাদাদ)
…..প্রাপ্তি আসলেই অনেক ভয় পেয়ে যায়…..
“ভাইয়া😞😞”(কাঁদো গলায়)
“রোমে আয় কথা আছে..”(বলেই সাদাদ উপরে চলে যায়)
……আল্লাহ ভাইয়া কি বলবে আমাকে😞😞😞।।।।কোন ছেলে….আমি তো কিছু করি ই নি….
ভাবতে ভাবতে সাদাদের রোমের দিকে যেতে থাকে….
….নৌশিন এখনও ঘুমের মধ্যেই আছে……
সাদাদ এসে শার্ট চেন্জ করছে…
প্রাপ্তিও রোমে ডুকলো….
“ভাইয়া….বিশ্বাস করো…আমি কিচ্ছু করি নি😞😞”(প্রাপ্তি)….
/////হুম ঠিক ধরেছেন এই বিচ্ছু মেয়ে সাদাদকে খুব ভয় পায়…..কারণ এই পুরো বাড়িতে একমাত্র সাদাদ ই ওকে মাঝে মাঝে শাসন করে…..//////
“আমি তোকে তো কিছু বলি নাই…ছেলেটা কে??”(সাদাদ)(রাগী চোখে)
“আমি কি জানি নাকি😰😰😰….কোনো ছেলে পিছু নিলে আমি কি করবো….😭😭😭….আমি সত্যি ই জানি না তুমি কার কথা বলছো😭”(প্রাপ্তি)
“কান্না শুরু করলি নাকি😡😡😡….রায়ান কে???ওর এসএমএস দেখলাম কাল তোর ফোনে????বল কে???”(সাদাদ)(ধমকাতে শুরু করে)
……সাদাদের ধমকের শব্দে নৌশিনের ঘুম ভেঙে যায়…..
“কি হলো এসে গেছো…ডাকো নি কেন??”(নৌশিন)(ঘুমস্বরে)
….নৌশিনের কথা সাদাদ খেয়াল করে নি…..
……”কি হলো???Ans me….😡😡….Who is Rayan???”(সাদাদ)
….নৌশিন এতক্ষণে ভালো করে চোখ খুলে দেখলো-সাদাদ প্রাপ্তিকে বকছে আর প্রাপ্তি কান্না করছে….
…..তাড়াহুড়ো করে ওঠে প্রাপ্তির কাছে যায়…..
“কি হলো কাঁদছো কেন??”(নৌশিন)
“ভাবী…..ভাইয়া ভুল বুঝছে আমায়😰😰😰…”(প্রাপ্তি)
“কি বললি???আমি কি তোর মতো বাচ্চা নাকি যে তোকে ভুল বুঝবো??বল রায়ান কে???”(সাদাদ)
“😭😭😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“আহ্….সাদাদ প্লিজ….এমন করে কেন বলছো ওকে???স্টপ দিস প্লিজ”(নৌশিন)
“ভাবী😭😭😭…রায়ান আমার ক্লাসমেট….ও কিছু দিন আগে আমাকে প্রপোজ করেছিলো কলেজে কিন্তু আমি সাথে সাথে ওকে না বলে দিয়েছি😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“মানে কি সাদাদ????তুমি এই জন্যে ওকে বকছো….আর্শ্চয তো “(নৌশিন)
“তুমি চিনো ওকে???এই বয়সেই বেশি পেকে গেছে অনেক টা…কেউ কিছু বলে না তাই ওর সাহস বেড়ে চলেছে দিন দিন”(সাদাদ)
“তো তোর ক্লাসমেট….কালকে ঔ সব এসএমএস করলো কেন??”(সাদাদ)
“ভাইয়া….আমি কি করবো বলো তো….ও তো আগে আর আমাকে প্রপোজ করে নি তাই না??…ক্লাসমেট ই আমার তাই ফোন নম্বর ছিল ওর কাছে….আর আমি তো সকালে দেখতে পারি যে রায়ান এসএমএস করছে…বাট ভাবী আমি রিপ্লে দিই নি”(প্রাপ্তি)
“ওকে পরের বার বলবি যেন তোর সাথে কোনো কথাবার্তা না বলে”(সাদাদ)
….. প্রাপ্তি আর এক মুহুর্তও দেরি না করে দৌড়ে চলে যায় নিজের রোমে…..
“প্রাপ্তি শোনো….এই প্রাপ্তি….প্লিজ আপু…”(নৌশিন)
…..পিছু ডাকতে থাকে….কিন্তু প্রাপ্তি না শোনে নিজের রোমে যায়……
“কি হলো এটা সাদাদ???তোমার না সবার সাথে রাগারাগি করা একটা বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে….ধুর মেয়েটা কিভাবে কান্না করতেছে”(নৌশিন)
“বাদ দাও ওর কথা…”(সাদাদ)
“কেন বাদ দিবো….আর রায়ান যদি ওর ফ্রেন্ড না হয়ে বফ ও তোমার আপত্তি কি তাতে???নিজেও তো রিলেশন ই করেছিলে….তবে???(নৌশিন)
“সেটা না নৌশিন….বোন রিলেশন করলে আমার আপত্তি নেই….কিন্তু ও এখনো সে ভাবে রিয়েলিটি কিছুই বুঝে না…দুই দিনে ই তুমি বুঝে যাবা সেটা……আর দেখলে তো সকালে একটু হলেও বুঝছে হয়তো কতটা আবেগী ও…..একটু বেশি বকবক করে বাট বুঝে কম….যে কেউ ওকে এক চুটকি তে ঠকিয়ে চলে যাবে ও বুঝবেও না…তাই আমি চাই ও আগে নিজেকে চিনুক…বুঝুক…তার পর বাকী সব…কেবল তো স্টার্ট লাইফের…অনেক সময় আছে”(সাদাদ)
“তাই বলে…তুমি ও ভাবে ধমকাবে…কতটা খারাপ লাগছে ওর বলো তো….এই ভাবে না বললেও হতো….সাধারণ ছিল বিষয় টা “(নৌশিন)
…….”হুম ছিল তো…..(নৌশিনের কাছে এসে)….একটু ধমকাবো কান্না করবে তাতে তো মজা তাই না??”(সাদাদ)
“অদ্ভুত….এটা কোনো কথা???”(নৌশিন)
“ও হাতে দেখলাম হাফ মেহেদি দিয়েছে…..আর তুমি যে ভাবে বললা….রিসেপশনে মেয়েটার মুখ ভার থাকবে….আজকে না করলেও পারতা কাজটা”(নৌশিন)
“আরে মাথা গরম হয়ে গেছিলো….রায়ানকে তো চিনি ই আমি….আসার টাইমে দেখলাম বাসার সামনে ই দাড়িয়ে আছে….তাই মাথাটা চটে গেছে…আর এসে প্রথমে প্রাপ্তি কেই পেলাম বাসায়…. তাই আর কি”(সাদাদ)
“আচ্ছা….ওকে…ওর রোম কোনটা?আমি ওর কাছে যাচ্ছি”(নৌশিন)
“কেন??কি দরকার???”(সাদাদ)
“ওফফ….বিকেলে অনুষ্ঠান…এখন না সামলালে তখন ও মোড ওফ থাকবে মেয়েটার….আর আমি সেটা চাই না”(নৌশিন)
“ওপরে ই ওর রোম….ডান দিকে যাবা….দরজাটা ব্লু গ্লাস করা… সেটা ই”(সাদাদ)
“ওকে আমি আসছি”(নৌশিন)
…..সাদাদ নৌশিনের হাত ধরে ফেলে”থাকুক না…..বাদ দাও…ওর মন খারাপ জাস্ট পাঁচ মিনটেই ওবে যাবে”(সাদাদ)
“তবুও”(নৌশিন)
“আমার কি হবে,আমি তো ভাবছি এক সাথে ফ্রেস হবো দুজনে☺☺….বাট”(সাদাদ)
“আস্ত একটা শয়তান তুমি….ছোট বোনটাকে ওভাবে কাঁদিয়ে এখন আমার সাথে ঢঙ হচ্ছে….গেলাম আমি”
“হপপপ….. যাও আর তাড়াতাড়ি এসবেন পাড়লে”
…………….নৌশিন প্রাপ্তির রোমের সামনে……….
“প্রাপ্তি….আপু দরজাটা খুলো না প্লিজ….”(নৌশিন)
“বোন প্লিজ…আমি বলছি তুমি আমার কথা শোনবে না বলো???”(নৌশিন)
….দরজা খুলে দিলো নৌশিন…..
“এ মা….প্রাপ্তি এখনো কাঁদছো…..এমন করো না বোন….তোমার ভাইয়া একটু রেগে ছিলো তো তাই-তোমার সাথে এমন বিহেভ করে ফেলছে”(নৌশিন)
“সে যাই হোক…বকতেই পারে ভাইয়া।।।।কিন্তু জানো ভাবী-আমি আজকে বুঝলাম যে ভাইয়া আমাকে একটু বিশ্বাস করে না😭😭😭…যদি করতো তাহলে আমাকে এমন করে বলতো না….😭😭😭”(প্রাপ্তি)
“এই নাহ্….এমনটা না…তুমি তো চিনো তোমার ভাইয়াকে বলো….ও একটু রাগী ই তো”(নৌশিন)
“হুম রাগী…বাট আজ তো বুঝলাম আমাকে মিনিমাম বিশ্বাসটুকু ভাইয়া করে না…আচ্ছা আমি যদি রিলেশন ই করতাম রায়ানের সাথে তো ওর এসএমএস এর আন্সারগুলো তো দিতাম নাকি???…বলো???…ভাইয়া কাল রাতের এসএমএস দেখলো তো আগের গুলোও দেখেছে তো অবশ্যই…আমি এসএমএস একটাও ডিলেট করি নি….সেগুলোরও তো কোনো আন্সার দেই নি আমি…ইভেন আমি ওর সাথে সেভাবে কথাই বলি না…আর ওই দিন কথাটা বলার পর তো একদম ই না”(প্রাপ্তি)
“না…তোমার ভাইয়া অনেক বিশ্বাস করে তোমায়….বাট দেখো তুমি তো অনেক ছোট তাই তোমার ভাইয়া চায় না তুমি এখনি কোনো রিলেশনে যাও তাই আর কি”(নৌশিন)
“😰😰😰😰”(প্রাপ্তি)
“হুম…..আর এক ফোঁটাও চোখের পানি যেন না পড়ে…আর দেখি-মেহোদী এমন হাফ কেন?”(নৌশিন)
“দিচ্ছিলাম ই তো তখন ই ভাইয়া এসে শুরু করলো😰”(প্রাপ্তি)
“ওকে…ব্যাপার না-তুমি যদি চাও আমি হেল্প করতে পারি?☺”(নৌশিন)
“না আমি দিব না আর..আর আমি এখন ঘুমাবো-তুমি যাও”(প্রাপ্তি)
“এখন ঘুমাবা মানে কি???বিকেলে তো অনুষ্ঠান-তুমি থাকবা না আমার পাশে??”(নৌশিন)
“তোমার পাশে তো তোমার বর ই থাকবে তখন-কত্ত লোক আসবে…আমাকে দিয়ে কি হবে😞?”(প্রাপ্তি)
“এই পাকা বুড়ি…এবার আমি বকবো কিন্তু…”(নৌশিন)
……নৌশিন লেট করছে তাই সাদাদ নিজে থেকে ই প্রাপ্তির রোমে আসে……
“এখনো হয় নি তোমার?ফ্রেস হবা কখন…আপু তাড়া দিচ্ছে তো-গোসল সারো এরপর তো পার্লারের লোক চলে আসবে…আবার সবাই মিলে সেন্টারে যেতো হবে….”(সাদাদ)
“হুম..কিন্তু ও তো বলছে ও এখন ঘুমাবে”(নৌশিন)
“১ টা বাজে প্রায়…আর দিনে কবে ঘুমাস তুই??যা রেডি হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার কর”(সাদাদ)
“আমার মাথা ব্যাথা..আমি যাচ্ছি না”(প্রাপ্তি)
“তোমরা যাও…আর সেন্টার তো দূরে না..বাসার পাশেই ব্যাথা কমলে ঠিক কমে যাব”(প্রাপ্তি)
“ওহ্ তোর মাথা ব্যাথা..তবে এক কাজ কর মাথাটা আজকেরর জন্য খুলে রাখ একটু…আর রেডি হতে থাক”(সাদাদ)
“☺☺☺☺”(নৌশিন)
“আমি যাব না-বললাম তো”(প্রাপ্তি)
“তাহলে আমিও যাচ্ছি না…”(নৌশিন)
“কিহ্??”(প্রাপ্তি)
“তুমি না গেলে অনুষ্ঠান হবে নাকি….বৌ-ভাত ই তো বাদ হয়ে যাবে”(প্রাপ্তি)
“তো তুমি গেলে ই আমি যাবো না হলে সব কেন্সেল”(নৌশিন)
“এটা কিন্তু ব্ল্যাকম্যাল করছো আমায়”(প্রাপ্তি)
…নিচে কলিং বেল বাজচ্ছে…..
“কি ব্যাপার কখন থেকে বেল বাজছে-সবাই কোথায়…কেউ ই খুলছে না কেন?”(সাদাদ)
“সবাই মে বে ছাদে…কাজ করছে মনে হয়…”(নৌশিন)
“হুম….ছাদে সবাই-আম্মু যাওয়ার সময় বলে গেছে তাই তো নিচে বসে ছিলাম-আর তখনি ভাইয়া😞”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা…আমি খুলছি-তোরা তোদের কাজ কর”(সাদাদ)
“এই না…দাঁড়াও-তুমি যাবা না,প্রাপ্তি তুমি যাও…তোমার ভাইয়ার সাথে দরকার আছে আমার”(নৌশিন)
“ওকে..😞😞😞…যাচ্ছি”(প্রাপ্তি)
….প্রাপ্তি নিচে চলে যায়…..
….সাদাদ আর নৌশিনও নিজেদের ঘরে চলে যায়….
“কি দরকার বললা??”(সাদাদ)
“নাহ এমনি প্রাপ্তিকে পাঠানোর জন্য ই সেকথা বলেছিলাম”(নৌশিন)
“তা কেন পাঠালে-রোমান্স করবে নাকি??☺”(সাদাদ)
“ধুর-তোমার না খালি রোমান্স……দেখ প্রাপ্তি আসবে আমাদের রোমেই তখন বুজবে কেন ওকে পাঠালাম”(নৌশিন)
“আচ্ছা☺☺….তখন যা জানার জানবো…আগে তো তোমাকে জানি”(সাদাদ)(পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
“ছাড়ো….কি করছো☺”(নৌশিন)
“উমম…..যা করার তাই করছি”(সাদাদ)
…..সাদাদ নৌশিনের ঘারে অসংখ্য চুমু দিতে থাকে…..সাদাদ একদম ঘোরে চলে যায় নৌশিনকে কাছে পেলে……নৌশিন চোখ বন্ধ করে সাদাদের আদরে মতোয়ারা হয়ে যাচ্ছে……তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
“কি গো…ছাড়ো না….আবার কিন্তু দরজা খোলা…..”(নৌশিন)
…সাদাদের সে দিকে হুশ নেই….
“প্লিজ ছাড়ো…”(নৌশিন)
“উমমমম……না”(সাদাদ)
“আমি গোসল করে রেডি হবো তো নাকি…..১ টা বাজে তো”(নৌশিন)
“ওফফফ….তোমার খালি বাহানা কেন??”(সাদাদ)(নৌশিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে)
“আহা রে…..মি.বর সব সময় কি আপনি এইভাবে ই আটকে থাকবেন নাকি আমার সাথে”(নৌশিন)
“হুম…থাকতে তো চাই বাট আপনার তো কত রকমের বাহানা…”(সাদাদ)
“দরজাটা খোলা ছিলো…ছাদ থেকে নামার সময় কিন্তু সবাইকে এই রোমের সামনে দিয়েই নিচে যেতে হবে…দেখলে কি হতো???”(নোশিন)
“দেখলে দেখতো…আমার বউ আমি আদর করছি তাতে কার কি..”(সাদাদ)
“যা…তুমি না যা তা একদম…”(নৌশিন)
……..”ভাবী, ভাবী….”(প্রাপ্তি)…..দৌড়ে আসছে নৌশিনের রোমের দিকে…
“বলেছিলাম না আসবে…?”(নৌশিন)
“হুম….আমার তো কাজ নাই তাহলে…একটু হাত পা মেলে শুই আমি…গোসল সেরে নিও তারপর আমি সারবো”(সাদাদ)
“ওকে☺☺”(নৌশিন)
প্রাপ্তি দৌঁড়ে এসে নৌশিনকে জড়িয়ে ধরে ঘোরানো শুরু করে……”ভাবী u r great…..ummmmmaaahhaa…ummhhhaa”
“এই তোর কি হলো”(সাদাদ)
“কি হলো…আস্তে পড়ে যাব তো☺”(নৌশিন)
…প্রাপ্তি আরও জোড়ে ঘুড়াতে থাকে…
“কি রে বাবা….এতো খুশি….??ছাড়ো এবার..না হলে সত্যি সত্যি ই পড়ে যাব”(নৌশিন)…এতক্ষনে ছাড়লো…
“ওফফ…দম বন্ধ হয়ে গেছিলো প্রায়…তোমার ভাইয়াও তো এতো জুড়ো জড়িয়ে ধরে না যে ভাবে তুমি ধরলা☺”(নৌশিন)
….কথাটা বলেই জিহ্বায় কামড় দিলো..কি বলল এটা…সাদাদ চোখ বড় বড় করে তাঁকিয়ে আছে নৌশিনের দিক….প্রাপ্তি তো হাসতে হাসতে ই শেষ…
“ভাইয়া কি ভাবে ধরে জানি না।।।তবে তুমি ভালো জানতাম বাট এতো ভাল সেটা জানতাম না”(প্রাপ্তি)
“কি ব্যাপার তোর??এতো খুশি কেন?একটু আগেই তো কান্না করছিলি?”(সাদাদ)
“তোমাকে বলার প্রয়োজন মনে করছি না আমি😒😒…তুমি আমাকে মিনিমাম বিশ্বাস টুকু করো না ভাইয়া😞….তো আমার খুশি/মন খারাপের কারণ কেন শেয়ার করব তোমার সাথে😞😞?”(প্রাপ্তি)
….সাদাদ বুঝতে পারে বেশি রিয়েক্ট করে ফেলেছে আজ বোনটার সাথে তাই কষ্ট পেয়ে বলছে এই সব….
“কিহ্….কথা তো ভালোই শিখছিস”(সাদাদ)
“হুম….তোমার ই তো বোন😞”(প্রাপ্তি)
“আহ্….আবার শুরু হলো তোমাদের….আর এই মেয়ে কে বলেছে তোমার ভাইয়া তোমায় বিশ্বাস করে না??একটু বেশি রেগে গিয়েছিলো তাই…প্লিজ আর মন খারাপ করো না”(নৌশিন)
“এইদিকে আয়..☺”(সাদাদ)
……প্রাপ্তি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে……
“কি হলো যাও….ডাকছে তো তোমার ভাইয়া☺”(নৌশিন)
“আসতে বলছি কাছে…আমি ঔঠে গেলে তোর কাছে একটা কান মলা খাবি কিন্তু”(সাদাদ)
…..প্রাপ্তি সাদাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়….সাদাদ শোয়া থেকে ওঠে বসে…..
“বিশ্বাস করি না তোকে????কে বলছে???”(সাদাদ)
“তুমি যদি বিশ্বাস করতে তাহলে ওভাবে বলতে নাকি?😞”(প্রাপ্তি)
“থাপ্পর চিনিস?”(সাদাদ)
“বা রে…এতক্ষণ বকলে এখন আবার মারবে😞😞….আচ্ছা ছেলেরা যদি আমার পিছনে ঘোর ঘোর করে তো আমার কি করার আছে…আমার তো আর তোমার মতো জিম বডি না যে পিটাবো”(প্রাপ্তি)
…..নৌশিন দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে চলেছে ওদের কথা শোনে……
“তোর পিটাতে হবে না তুই শুধু বলবি…বাকীটা আমি দেখে নিব”(সাদাদ)
“এই তুমি আবার রায়ানকে পিটাবে না তো….??”(প্রাপ্তি)
“আরে….ও তো তোর মতো ই বাচ্চা…কই পিটাবো ওরে শরীরে আছে কি ওর???😃😃”(সাদাদ)
“এখন দেখা হাতটা দেখা….কেমন মেহেদী দিলি!!”(সাদাদ)
…হাত বাড়িয়ে…”দেখ কি দেখবা…হাফ দিয়ে ই তো ধুয়ে আসলাম তুমি কেমন করতেছিলা😞”(প্রাপ্তি)
“এখন যা….এটা বাকীটা ঠিক কর নাহলে বাজে দেখাবে…”(সাদাদ)
“ঠিক করে কি হবে??আমি তো যাব ই না”(প্রাপ্তি)
“এই মেয়ে…এইবার আমি তোমাকে মারবো…..কেন যাবে না তুমি??”(নৌশিন)
“কি করে যাব…ভাইয়া তো সরাসরি না বলে দিয়েছে আমি যেন না সাজি…😞😞…তো সেখানে কত্ত লোক আসবে আমি যদি এভাবে যাই-আমাকে খেত খেত লাগবে…..আর আমি চাই না আমাকে দেখে কেউ মজা নিক,তাই না যাওয়া ই ভালো”(প্রাপ্তি)
“😃😃😃😃😃😃……আরে বুদ্ধু তুই তো এমনি ই সবার চেয়ে সুন্দর…তোর সাজা লাগে নাকি”(সাদাদ)
“ঠিক তাই”(নৌশিন)
“মোটেই না…..তোমরা বেশি বেশি বলছো…”(প্রাপ্তি)
#প্রেমঘোর#৯#
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
“একবিন্দুও বেশি বলছি না মাই ডিয়ার,তুমি জানো?বিয়ের দিন যখন তোমরা সবাই আমার বাসায় ডুকেছিলে আমাকে দেখতে সবার আগে তোমার উপর চোখ পড়েছিল আমার।একটা পুচকি পুতুল লাগছিল একদম☺”(নৌশিন)
“ইশ-তোমাকে তো সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল”(প্রাপ্তি)
“আরে বাবা আমি তো বউ সেজে ছিলাম তাই একটু হয়তো লাগছিল কিন্তু তুমি তো এমনি ই তেই কত্ত কিউট বল তো”(নৌশিন)
“তাহলে??তুমিও কি ভাইয়ার মতো সাজতে বারণ করবে আমায়?”(প্রাপ্তি)
“ধুর বোকা একদম না-তুমি যাও তোমার যেমন করে সাজতে ভালো লাগবে তেমন করে ই সাজো”(নৌশিন)
“আর তোমাকে তো আমি বেশি গডজিয়াস সাজে দেখলাম ই না…তুমি তো কমই সাজো”(নৌশিন)
“হুম-একদম ঠিক….বাট ভাইয়ার বেশি বেশি”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা রে-যা তোর ভুত পেতনী যা মনে চায় সাজ শুধু কেয়ারফুল্লি চলতে শেখ,আর ঐ হাতে কিসের প্যাক ওটা?”(সাদাদ)
“আরে ভাইয়া এটার জন্যই তো ভাবীকে এতো আদর দিলাম”(প্রাপ্তি)
….প্যাকেট টা খুলে একটা ফোন বের করে সাদাদের হাতে দিলো..”কি সুন্দর ফোন ভাইয়া☺☺☺ভাবী অর্ডার করেছিল আমার জন্য সেটাই তো পারসেল করে গেল লোকটা☺”
“কিহ্??”(সাদাদ)
“হুম”(প্রাপ্তি)
“তোমরা বকবক কর আমি সাওয়ারে গেলাম”(নৌশিন)
“ওক্কে ভাবী…যাও”(প্রাপ্তি)
“বাব্বা তোর তো বড় লোক ভাবী জুটলো কপালে রে বুচি…ফার্স্ট দিন ই ‘গ্যালাস্কি 6′ হাতিয়ে নিলি”(সাদাদ)
“তুমি তো দিলে না…..তাই ভাবীই দিল”(প্রাপ্তি)
“হুম-যে ভয় দেখালি সকালে….ভয়ে ই দিয়ে দিছে”(সাদাদ)
“আচ্ছা…আচ্ছা শোন না ভাইয়া….😃😃😃😃”(প্রাপ্তি)
“বল..?”(সাদাদ)
“ভাবী কি সত্যিই কিস করতেছিল তোমাকে??”(প্রাপ্তি)
“গেলি তুই-ফাজিল মেয়ে”(সাদাদ)
…প্রাপ্তি বসা থেকে তাড়াতাড়ি ওঠে দাড়ায়…
“😆😆😆আচ্ছা যাচ্ছি….ভালোই হলো মাঝে মাঝে ভয় দেখানোর আর একটা নতুন সদস্য পেলাম☺☺কাজে দিবে”(প্রাপ্তি)
….প্রাপ্তি নিজের রোমে চলে যায়…..কিছুক্ষণ পর নৌশিন সাওয়ার থেকে বের হয়ে আসে চুল মুছতে মুছতে…”নাও সাওয়ার সরে এসো”
“কি হলো কাজ টা??”(সাদাদ)
“কি??”(নৌশিন)(সাদাদের দিকে ফিরে)
….সাদাদ নৌশিনের কাছে এসে”ওকে ফোন দিলা কেন?”
“ও মা…ছোট মানুষ একটা ফোন ই তো…কি হয়েছে তাতে?”(নৌশিন)
“ওর কি ফোন নেই নাকি??”(সাদাদ)
“আরে এমন করে কেন বলছো…তাছাড়া আমি সকালের কাহিনীর জন্য ফোন টা দিই না-আর যাই হোক আমি তোমাকে লিপ কিস করছি এই কথাটা ও বাবা আর কাকার সামনে বলবে না-কিন্তু যেভাবে ই হোক মেয়েটা তো ওর ভাবীর কাছে একটা নতুন জিনিস চাইছে…তাই আর কি……আর নতুন বউয়ের কাছে তো বরের ছোট ভাই বোনরা কত কিছু চায়…..তোমার তো সবাই বড় এই তো একটা মাত্র ছোট বোন”(নৌশিন)
“ওকে-মানলাম….তো আমি কি দিতাম না??ও তো সকালেই বলল….না হয় পরে দিয়ে দিতাম-তুমি আমাকে না বলেই আজ ই দিয়ে দিলে”(সাদাদ)
“একজন দিলেই তো হলো”(নৌশিন)
“হলো মানে??কত টাকা নিলো??”(সাদাদ)
“দাম দিয়ে তুমি কি করবা??মারুফকে(নৌশিনের বেস্ট ফ্রেন্ড)বললাম তো ও ওপ্যারা থেকে কিছু ফোন দেখালো সেখান থেকে ই অর্ডার করলাম-আর তোমার বাসা থেকে মেইন বিল্ডিং টা কাছেই ওদের তাই এতো জলদি এসে গেছে”(নৌশন)
“টাকা নষ্ট করার মানে আছে কোনো এইভাবে??….১৭/১৮ তো খরচ করছো নাকি??”(সাদাদ)
“নারে ১৬৫০০ টাকা”(নৌশিন)
“থাপ্পর চিনো….নিজে কি ইনকাম কর নাকি??আর আমাকে বলছো যে তোমার এত টাকা লাগবে??”(সাদাদ)
“ওফফ সাদাদ এখন আমার পেছনে লাগলে আবার??টাকা তো ছিলো আমার রকেটে-বাবা বিয়ের দু দিন আগেই আমার খুটিনাটি জিনিস কেনার জন্য আর এখানে তো নতুন আসবো তাই বিয়াল্লিশ হাজার টাকা আমার রকেটে দিয়েছিল যেন খরচ করি বাট মা তো সব নিজে ই কিনে ফেলেছিল মেইন শপিং এর সাথে তাই আমার টাকা টা লাগে নি-শুধু কালের আগের দিন মারুফের সাথে দেখা হয়ে গেছিলো তাই এক হাজার টাকা কিভাবে জানি খরচ করেছি…আর এই যে আজকে করলাম কিছু”(নৌশিন)
“মানে???তুমি এখানে আসছো বলে আঙ্কেল তোমাকে টাকা দিছে”(সাদাদ)(একটু রাগ নিয়ে)
“এই ভাবে কেন বলছো…বাবা কি টাকা দিতে পারে না আমায়??এতদিন কার টাকায় গা ভাসালাম তবে??”(নৌশিন)
“তোমার বাবা তোমাকে টাকা দিক সেটা দেখার বিষয় না আমার…আমি এটা জানতে চাইছি’ওনি কি তোমাকে এখানে আসবে বলে টাকা টা দিলো কি না’?”(সাদাদ)
“মানে???”(নৌশিন)
“মানে মানে কি কর????যেটা বলছি সেটার উত্তর টা দাও”(সাদাদ)
“রাগে যাচ্ছো কেন এইভাবে?নতুন আসবো কাউকে ই তো সেভাবে চিনি না তো কোনো দরকার লাগলে যদি না বলতে পারি-সেটা ভেবেই টাকা টা সেন্ড করেছিল ফোনে বাবা আর যদি কিছু এলাদা করে কেনার থাকে সেটা বলেই দিয়েছে,তাই আমিও বারণ করে নি বলেছিলাম হাতে না দিয়ে ফোনে দিতে”(নৌশিন)
“তার মানে তোমাকে আগে জিঙ্গাসা করেছিলো তারপর তুমি অনুমতি দিয়প দিলা তাই তো?”(সাদাদ)
“তুমি ফোন থেকে বাবার টাকা দেওয়ার পেছনে কেন লাগতে গেলে??আমি বুঝতে পারতেছি না”(নৌশিন)
“একটা কসিয়ে থাপ্পর দিলে না সব বুঝে যাবা…তুমি আমার বাসায় আসবা আর তোমার পারসোনাল খরচের টাকা তোমার বাবা দিবে???তোমার বাবা দিতে পারে এমনি..বাট তোমার দরকারের টাকা তুমি আমার কাছে না নিয়ে তোমার বাবার কাছ থেকে এনেছো”(সাদাদ)
“সাদাদ😞😞”(নৌশিন)
“এই মুখ ভার করবে না একদম…বলে দিলাম”(সাদাদ)
“তুমি এমন করে কেন নিচ্ছো বিষয়টাকে???আমি কি আজকে নিলাম নাকি টাকা টা।।।এটা তো দুই আগের টাকা যখন আমি বাবার বাসায় ছিলাম😞”(নৌশিন)
“হুম…আচ্ছা(মাথা ঠান্ডা করে)…আমি সেটা বলি নি..আঙ্কেলকে মিন করি নি-আমার কথা হলো এটা তুমি নিজেই তোমার দরকারের জন্য টাকা নিয়েছো তাও আবার এই বাড়িতে যদি তোমার লাগে সেজন্য-কেন???এই বাড়িতে আমি নেই??আমার টাকা নেই??”(সাদাদ)
“😞😞😞😞”(নৌশিন)
“মুখ ভার করতে না করছি আমি”(সাদাদ)
…..নৌশিন কান্না করে দিলো😞😞😞…..
“😭😭😭😭😰😰😰😰”(নৌশিন)
“এই-কান্না????”(সাদাদ)
“😰😰😰😰😰”(নৌশন)
….সাদাদ নৌশিনকে কাছে টেনে নেয়…..”আজব তো….আমি খালি এটা বুঝাতে চাইলাম যে তেমার এই বাড়িতে যদি কোনো দরকারে টাকা লাগে তো আমার কাছ থেকে নিবা….চাইতেও হবে না তোমায়…চাবি তো তোমার সামনে ই রাখলাম-যখন যা লাগবে নিবা-আর তোমার বাবার কাছে যখন ইচ্ছা তুমি টাকা নাও বাট প্লিজ যেটা দরকার এখন থেকে এই ড্রয়ার থেকে ই নিও….তোমার বাবার টাকা তুমি যা খুশি কর বোনকে ফোন কিনে দাও-পার্টি দিয়ে দাও কোনো বারণ নাই বাট আমার বউয়ের খুটিনাটি একটু দরকার কি আমার মতো গরীবের টাকাতে হবে না??”(সাদাদ)?
“এইবার কিন্তু বাজে বকছো….”(নৌশিন)
“তাহলে-হাঁসো☺”(সাদাদ)
“হাঁসবো না…খালি ধমক দিয়ে কথা বলা😞”(নৌশিন)
“আরে তুমি যখন বললা এই বাড়িতে যদি কোনো দরকার তাই টাকা নিয়েছো তখন একটু মাথা গরম হয়ে গেল আরকি…..নাহলে তোমার বাবা তোমাকে টাকা দিবে আমার তাতে কি??”(সাদাদ)
“তাই বলে এতো ধমকায় নাকি মানুষ?”(নৌশিন)
“ওকে।সরি…..এবার তো মোড টা ঠিক করো”(সাদাদ)
“☺☺☺-রাগী বর একটা”(নৌশিন)
“কাঁদুরে বউ একটা☺”(সাদাদ)
“কিহ্…😡😡😡আমি কাঁদুরে????”(নৌশিন)
“তা নয় তো কি….একটা কথা একটু জোরে বললেই চোখে একদম বন্যা বয়ে যায়..”(সাদাদ)
“আমার কান্না আসলে আমি কি করবো??এমন করে না বললেই হয়😞….তাহলেই তো কান্নাটা আসে না”(নৌশিন)
“ওকে জান”(বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
#প্রেমঘোর#১০#
💜💜
“আচ্ছা…ছাড়ো এখন সাওয়ার সেরে এসো”(নৌশিন)
“হুম….”(সাদাদ)
“আমি নামায পড়বো এখন-তুমি সাওয়ার সেরে নামায পড়তে যাবা মসজিদে….ওকে?”(নৌশিন)
“☺☺ওকে”(সাদাদ)
…….নৌশিন নামায পড়ে নেয়…..সাদাদ গোসল সেরে আসে……
“কি হলো??বসে আছো যে যাবা না মসজিদে??”(নৌশিন)
“যাব তো…তোমার জন্য ওয়েট করছিলাম আর এখনও ১৫ মিনিট বাকী আছে নামাযের….”(সাদাদ)
“ওহ্….শার্ট পড়ে যাও তুমি নামাযে?”(নৌশিন)
“হুম….শ্রুকবার পান্জাবি পড়ে যাই”(সাদাদ)
“নাহ্….এখন থেকে নামাযে গেলে পান্জাবি পড়ে যাবা….আমার তো তোমাকে পান্জাবিতে বেশ লাগে”(নৌশিন)
“ওরে…..ফুল চেন্জ করবা নাকি আমায়??”(সাদাদ)
“মোটেই না….আমার বর এমনি অনেক বেস্ট বুঝলে???তো এই ছোট খাটো একটু অভ্যাস গুলো তুমিই পরির্বতন করে নিবা…যেমন সকালের নামায টা তুমি আগে পড়তে না কিন্তু বাকী গুলো ঠিক পড়তে….সকালে এর্লাম দিলেও তো তোমার ঘুম ভাঙে না বাট এখন তো আমি আছি ডেকে দিব..এই রকম কিছু কিছু”(নৌশিন)
“ওকে ওকে…”(সাদাদ)
…..সাদাদ পান্জাবি বের করতে আলামরিটা খুলে…”এই মেয়ে কি এই সব??”(সাদাদ)
“কি??”(নৌশন)
“আলমারীতে এতো কি রাখছো?এতো বড় সব ডেস্ক তো ফাঁকা ছিলো আজ তো এক কোণাও ফাঁকা নাই”(সাদাদ)
“তো….আমার গুলো কি ব্যাগেই থাকবে নাকি??আর আমি তো এখনো কিচ্ছু আনি নি…কাল রাতে কে না কে ব্যাগ গুছিয়ে দিয়েছে???আজ তো বাসায় যাব তখন তো আরও আনতে হবে”(নৌশিন)
“আরও মানে???এখানেই তো ৫০+ শাড়ি মনে হচ্ছে আমার আরও??”(সাদাদ)
“আরে এগুলো কি সব আমি এনেছি নাকি??এই বাসারই তো সব আমি শুধু আমার ব্যাগে ৪ টা শাড়ি ই পেয়েছি-আর যা দেখছো সব মা আর ভাবী রেখে গেছে আলমারীতে”(নৌশিন)
“আর আমাকে তো আরও ড্রেস আনতেই হবে…বিয়ের আগের দিন মা ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য এক গাদা ড্রেস কিনেছে…বলছে বিয়ের আগে যেগুলো ব্যবহার করেছি সেটা তোমার বাসায় যেন না করি’তো সেগুলো আনতে হবে-তা না হলে শাড়ি পড়ে ক্লাস করতে হবে”(নৌশিন)
“হায় আল্লাহ…একটা মেয়ের এতো কিছু লাগে কেন☺☺!!”(সাদাদ)
…নৌশিন চুল ড্রাই করতে লাগলো আয়নার সামনে বসে…..
“হুম লাগে।।।তোমার মতো ৪/৫ টা শার্টে তো আমার হবে না…কত কি লাগে রে বর দেখবা আস্তে আস্তে”(সাদাদ)
“হুম…তাই তো দেখছি…এই তুমি চুলে ড্রায়ার দিচ্ছো যে??দাও না তো…”(সাদাদ)
“হুম সব সময় দেই না…..একটু পড়েই তো পার্লার থেকে লোক আসবে আর আমি এখন নিচে যাব তাই ড্রাই করে নিচ্ছি…না হলে করতাম না”(নৌশিন)
“হুম…করো না….আমি চাই না যে আমার বউয়ের এতো সুন্দর চুল গুলো ফ্যাকাসে হয়ে যাক”(সাদাদ)(পান্জাবি পড়তে পড়তে)
….নৌশিনের চুল শুকানো শেষ…..
“বাহ্…বেশ লাগছে তো তোমায়….আবার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি☺”(নৌশিন)
…সাদাদ নৌশিনের কাছে এসে ওকে আয়নার দিকে ঘুরিয়ে নিলো…পেছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে…..”দেখ তো..কে বেশি সুন্দর??”(সাদাদ)
“যাহ্….এভাবে কমপেয়ার করা যায় নাকি??তবে তুমি আমার চেয়ে মোর বেটার..ইভেন তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করতে তাহলে আরও অনেক ভালো+সুন্দরি একটা মেয়ে পেতে”(নৌশিন)(আয়নায় দুজনকে দেখছে আর বলছে)
“এই পুচকি….বেশি বললে না খবর আছে….তোমার মতো এমন মিষ্টি মেয়ে আমি জীবনেও দেখি নাই…আর তুমি যে সুন্দর+ভালো মেয়ের কথা বলছো-তোমার কি মনে হয় আমি বুঝি নি??”(সাদাদ)
“তাই..?কি বুঝলেন আপনি???”(নৌশিন)
“ভার্সিটির শার্ট পেন্ট পড়া মর্ডান নামক ফালতু মেয়েদের কথা বলছো-যারা হেঁটে গেলে টিশার্টের উপর দিয়ে বুকের সাইজও বুঝা যায়….”(সাদাদ)
“এই কি বলো এই গুলা…”(একটু লজ্জা পেয়ে যায় নৌশিন)
“হুম…লজ্জার কিছু নাই তোমাকে বলতে…তুমি আমার বউ সো শেয়ার করতেই পারি…তুমি খারাপ ভাবে নিবা না জানি…একটা মেয়ের শরীরের ভাজগুলো একটা ছেলেকে টানে ই রে ভাই…যারা ভালো ছেলে ওরা দাম দেয় না ঐ সব সস্তা টাইপ মেয়েদের আর যারা লুলুতুপু টাইপ ওরা তো লোভ সামতে জানে না ইভেন কেন ই বা সামলাবে???সামনে রেডি জিনিস থাকলে কেউ সামলাতে চায় না…সবার ই যৌবনের টান বলে কিছু একটা আছে….বুঝলেন??”(সাদাদ)
“হুম বুঝলাম….তার মানে কি আপনি ঐ সব মেয়েদের দেখছেন ঐ ভাবে নজর দিয়ে?”(নৌশিন)
“এই যে…একটা দোষ তোমার…আমি বলি একটা তুমি বুঝো একটা….আরে মাইয়া আমার সস্তা জিনিসে নজর যায় না বাট রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে চোখে কি পড়ে না নাকি”(সাদাদ)
“এতো ডিরেক্ট বলো কিভাবে তুমি??পারোও বটে”(নৌশিন)
“হুম ওরা ডিরেক্ট বডি বের করে ঘুরবে আর আমি বললেই দোষ…..আর পুরো ভার্সিটিতে তোমার মতো মেয়ের সংখ্যা কম ছিল….আমি প্রথম দিন কিভাবে যে তোমার প্রেমে পড়ে গেলাম আমি নিজেও জানি না কোনো দিন কোনো মেয়েকে দেখে এমন ফিল হয় নি”(সাদাদ)
“হয়েছে…হয়েছে”(নৌশিন)
“না হয় নি…তুমি আমার বউ কে কম সুন্দর বলেছো…যেটা ডাহা মিথ্যা কথা……আর প্রথম দিন আমি তোমার চুল দেখলে আরও প্রেমে পড়তাম… চুল তো দেখলাম টানা এক বছর পর…তোমার ২ য় বর্ষের প্রথম দিন যেদিন তুমি তোমার ফ্রেন্ডদের সাথে দাড়িয়ে পরাতন কলা ভবনের সামনে ফুচকা খাচ্ছিলে….আর আশা দুষ্টুমি করতে গিয়ে তোমার হিজাব খুলে ফেললো…ইশ💜💜…..সাথে সাথে মাথার বেনটাও পড়ে গিয়েছিল…আর তুমি যেভাবে চিৎকার দিয়েছিলে…আমি তো ভাবছি পিন টিন কিছু ঢুকে গেল নাকি মাথায়….পরে বুঝলাম বউ আমার চুল খুলে গেছে বলে চিৎকার দিয়েছিলো….জানো আমি তো আগে থেকেই তোমার ফুচকা খাওয়া দেখতেছিলাম তো হঠাৎ তোমার হিজাব প্লাস চুল খুলে গেলো আমি তো পুরা শেষ…কি দেখলাম এটা চুলও এতো সুন্দর হয় একটা মেয়ের💜💜…..আর সেখানে তো তোমার পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে হিজাব পরা সম্ভব হয়নি-তাই নিজে বোকার মতো চুল খুলা রেখেই আবার ফুচকা খাওয়া শুরু করলে-হালকা বাতাসে চুলগুলো উড়তেছিলো আর আমার মনে হচ্ছিল যদি আমিও ঐ চুল গুলোর মতো তোমার গালে পিঠে ঘারে ছুঁয়ে দিতে পারতাম”(সাদাদ)
“আল্লাহ…. তোমার বউয়ের রূপের বর্ণনা শেষ হয়েছে তোমার?”(নৌশিন)
“না তো…আ…(সাদাদ)
…..আ পর্যন্ত ই বাক্যটা শেষ করতে হলো সাদাদের কারণ নৌশিন সাদাদের দিকে ফিরে ওর মুখটা হাত দিয়ে আটকে ধরে যেন সাদাদ আর কিছু বলতে না পারে….”চুপ একদম চুপ আর একটা কথাও না…কথা বলেই চলেছে কখন থেকে পাগলের মতো”(নৌশিন)
“উমমমমমম”(সাদাদ ইশারা দিয়ে মুখটা ছাড়তে বলে)
…”উমমম উমমম করো কেন??”(নৌশিন)
…..সাদাদের সাথে নৌশিন কি পারে নাকি.. সাদাদ একটু জোর খাটালেই নৌশিনের হাত কেন সবকিছু একনিমিষে সরিয়ে ফেলতে পারবে….নৌশিন মুখে হাত দিয়ে রেখেছিল তখনো….সাদাদ নিজের মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে নৌশিন হাতে একটা কামড় বসিয়ে দিল…
“ওহ্ মা গো”(নৌশিন)
সাদাদ কামড়টা ছেড়ে দেয় নৌশিনের শব্দে…
“কি হলো এটা😡?”(নৌশিন)
“যা হওয়ার তাই হলো☺☺…তোমার আন্দাজ আছে কিছু?তুমি শক্তি দেখাও আমার সাথে☺☺…..হেয়য়…..”(সাদাদ)
“যাও কথাই বলবো না আর আমি😒”(নৌশিন)
“আচ্ছা…বলো না….নামাযে যাই…বাই”(সাদাদ)
….”😒😒😒….যান”…..(নৌশিন)
…..ওহ্ আস্ত একটা শয়তান হাতটা ব্যাথা করে দিয়ে গেলো…আমিও কামড় দিতে পারি হয়তো গায়ের জোরে পারবো না,কামড় তো দিতে পারবো…হুম শোধ তো তুলবোই আমি এটার….(মনে মনে বক বক করছে নৌশিন)…..
…কিছুক্ষণ পর নৌশিন প্রাপ্তির রোমে যায়….
“হাই কি করছো?”(নৌশিন)
“আরে ভাবী-দরজায় দাড়িয়ে জিঙ্গাসা করছো যে??ভেতরে আসো না…”(প্রাপ্তি নৌশিনকে টেনে এনে খাটে বসায়)
“হুম..আমি ই আসতাম..এমনি দরজা থেকেই আস্ক করলাম আর কি??কি করছিলে??”(নৌশিন)
“এই তো ভাবছিলাম কি পরবো???”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা☺☺”(নৌশিন)
“তুমি একটু দেখ না কোনটা পরবো…?”(প্রাপ্তি)
“আমি কি বলবো??তোমার যেটা ভালো লাগবে সেটা পরো তো..”(নৌশিন)
“ইন না…আজকে তুমি যেটা চোজ করে দিবে আমি সেটা ই পরে যাব”(প্রাপ্তি)
“দাও না…প্লিজ প্লিজ”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা ওকে….যদি তোমার লাইক না হয়?”(নৌশিন)
“আরে ভাবী এখানকার সব গুলোই আমার পছন্দের বাট কোনটা পরবো জাস্ট সেটা বুজতে পারছি না-তুমি বলে দাও”(প্রাপ্তি)
“উম…….(সবগুলো ড্রেস দেখে)…..তুমি তো অনেক ফর্সা আর আজকে তো বৌ ভাত,তুমি বরের বোন তোমাকে একটু বেশি সুন্দর দেখানো চাই-সো আমার মনে হয় এই ব্লেক ড্রেস টা ই পারফেক্ট হবে তোমার জন্য”(নৌশিন)
“উফ ভাবী তুমি না..উমম্মা….আমিও ভাবছিলাম এটার কথা”(প্রাপ্তি)
“আচ্ছা তাহলে তো হলোই তোমার সমস্যার সমাধান”(নৌশিন)
“হুম….তুমি করে দিলে”(প্রাপ্তি)
“মেহেদী কভার করেছো?”(নৌশিন)
“এই তো করেছি..দেখ…”(প্রাপ্তি)
“বাহ্…লোকিং সো বিউটিফুল….”(নৌশিন)
……গল্প করতে থাকে দু জনে…..
“বৌ মা….তুমি এখানে আমি তোমার রোম থেকে ঘুরে আসলাম..পাই নি যা ভেবেছি তাই হলো প্রাপ্তির কাছে”(সাদাদের মা)
“জ্বি মা…একা ছিলাম তো তাই প্রাপ্তির কাছে এসেছি একটু”(নৌশিন)
“হুম..জেঠি…জানো ভাবী আজকে আমায় ফোন গিফ্ট করেছে আর এখন কি পড়বো সেটাও ঠিক করে দিল…একদম পাক্কা ভাবী”(প্রাপ্তি)
“কি???তোর আবার ফোন???তোর কত ফোন লাগে…আর বৌ মা এই বিচ্ছু মেয়েকে বেশি মাথায় তুলো না খুব ফাজিল এই মেয়ে”(সাদাদের মা)
“জেঠি তুমিও..😞”(প্রাপ্তি)
“☺☺☺”(নৌশিন)
“হয়েছে আপনার আর মুখ গোমড়া করতে হবে না….নিচে আয় খেয়ে যা…বৌ মা চল সকালে তো একটা লুচি খেয়েছো মাত্র….আমি গেলাম তাড়াতাড়ি এসো”(সাদাদের মা)
“আচ্ছা যাও আসছি আমরা”(প্রাপ্তি)
…..সাদাদের মা নিচে চলে যায়….
“ভাবী চল…খুব খুদা লাগছে আমার”(প্রাপ্তি)
“সাদাদ তো এলো না এখনো..”(নৌশিন)
“তুমি কি আদি কালের বৌ দের মতো বরের জন্য ওয়েট করে থাকবে নাকি এখন?”(প্রাপ্তি)
“না সেটা না…অনেক ক্ষণ হলো আসছে না তাই বললাম”(নৌশিন)
“আচ্ছা চল যাই আগে নিচে…ভাইয়া এখনি চলে আসবে-নামাযেই তো গেছে মসজিদ জাস্ট ৩ মিনিটের পথ,এসে যাবে….সো ডোন্ট ওরি চলো…”(প্রাপ্তি)
“ওকে চল”(নৌশিন)
….নিচে নামতেই সাদাদ বাসায় ঢুকলো…”বললাম না চলে আসবে এক্ষুনি”(প্রাপ্তি)
“ছোট বৌ মা,এসো জলদি এসো…..তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও তুমি…সাদাদ বসে পড় তুইও….প্রাপ্তি বস বস জলদি অনেক কাজ বাকী এখনো তাড়াতাড়ি সবাই লান্সটা করে নাও”(সাদাদের মা)
…….সবাই লান্স করছে…..নৌশিনের এক পাশে প্রাপ্তি অন্য পাশে সাদাদ…. সামনে সকাল বেলার ঐ মেয়টা ভাবীর সাথে যে রোমে ডুকেছিলো-নৌশিন ভেবেছিল সাদাদের কোনো বোন…পড়ে জেনেছে মেয়েটা সাদাদের বড় বোনের ননদ……আর ঐ মেয়েটার পাশ ঘেষেই সাদাদের ভাবী,ভাই,বাবা সবাই একে একে বসেছে….শুধু সাদাদের মা আর কাকী বসে নি ওরা সার্ভ করে দিচ্ছে….
“কি ব্যাপার নৌশিন…তুমি চিংড়ি খাও না??”(প্রাপ্তির মা)
“আসলে কাকী…আমার চিংড়ি তে এলার্জি তো তাই”(নৌশিন)
“আগে বলবা তো….”(প্রাপ্তির মা)
“মা ওকে অন্য ডিস দাও…”(সাদাদের ভাবী)
“হুম…..”…বলেই কাকী নৌশিনের প্লেটে গুরুর গোসতের পিস দিতে যায়…..তখনি….”ইইই….নানা না…আমি গুরু খাই না”(নৌশিন)
“কি রে…মা তোর তো দেখছি খাওয়া দাওয়ার অবস্থা খুব খারাপ..সকালে একটামাত্র লুচি খেলি দেখলাম আর এখনও তে কিছু খাচ্ছিস না”(সাদাদের বাবা)
“ঐ চুপচাপ খাও সব…কাকী দাও তো গুরু ওর প্লেটে”(সাদাদ)
“ইননন না….আমি খাব না তাহলে…বমি আসে আমার-কেমন একটা গন্ধ😒😒…”(নৌশিন)
“আচ্ছা ছোট তাহলে থাক ওটা দিস না….ওকে মুরগি টা দে….মুরগি খাস তো নাকি???”(সাদাদের মা)
“হুম..”(মাথা নাড়িয়ে)
“আজব-ভাবী তুমি তো একটা জিনিস দেখি এত্ত কম খাও😃😃”(প্রাপ্তি)…..
“মে বি ডায়েড কন্ট্রোল করো তাই না??”(রিদি)(সসদাদের বড় বোনের ননদ)
“না..এমনি'(নৌশিন)
….এই মেয়টা নৌশিনের সাথে কেমন জানি অন্য রকম করে কথা বলে…..যাই হোক সেটা ওর ব্যাপার…..লান্স শেষে যে যার রোমে…..
“এই কবুতর”(সাদাদ)
“কবুতর…..”(সাদাদ)
“কি? কোথায় কবুতর??”(নৌশিন)
“এই যে আমার সামনে….”(সাদাদ)
“মানে কি???আমাকে হঠাৎ কবুতর ডাকলে?”(নৌশন)
“তো কি হাতি ডাকবো??”(সাদাদ)
“তোমার সব সময় কারও না কারও পেছনে লাগতে হবে না হলে তোমার পেটের ভাত হজম হয় না”(নৌশিন)
“হতেও পারে…তোমার মতো তো কবুতরের দানা খাই না যে এক নিমিষেই হজম হয়ে যাবে”(সাদাদ)
“ভালো হয়েছে-আমার যতটা ধরে পেটে ততটাই খাই”(নৌশিন)
“আরে বাবা…এমন করে খেলে শরীর খারাপ করবে তো….সকালে একটা মাত্র লুচি…আর এখন হাফ প্ল্যাট ভাতও তো খেলে না আর না কোনো সবজি খেলে অনলি আধাটুকরা মুরগির গোসত…সেটাও ঠিক মতো না…এমন করলে তো পেসার ল হতে থাকবে….খাওয়া প্রেকটিস করা লাগবে জান…”(সাদাদ)
“খাই তো☺….”(নৌশিন)
“আমি জানি সোনা তুমি খাও…(নৌশিনকে বুকে নিয়ে শুয়ে)….বাট ইউ নিড মোর..”(সাদাদ)
“আচ্ছা…খাবো বেশি বেশি করে….হ্যাপি??”(নৌশিন)
“উম হু….শুধু বললে না খেয়ে দেখালে পরে হ্যাপী হবো..”(সাদাদ)
“ওকে রাতে দেখো☺”(নৌশিন)
“হুম”(সাদাদ)
(নৌশিনের চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে সাদাদ)
“এই চুল এতো স্ফট কেন?”(সাদাদ)
“তো তোমার চুলের মতো হবে নাকি?”(নৌশিন)
“না তা হবে না…তবুও চুলগুলোতে কেমন জানি একটা মায়া মায়া ভাব রে বউ”(সাদাদ)
“উফ সাদাদ….তোমার সবকিছুতে একটু বেশি বলা স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে আমার ব্যাপারে”(নৌশিন)
“সে যাই হোক….আমার বোন একটা ফোন আবদার করে ৩ ঘন্টার মাঝেই পেয়ে গেলো…আর আমি বেচারা??”(সাদাদ)
“ও মা….তোমাকে কি ফোন কিনে দিব না কি এখন….প্রাপ্তির বর্তমানের টার চেয়ে কস্টলি ফোন দিতে বলেছিলো-ছিলো টাকা তাই দিলাম…বাট তোমার তো এখানকার টাই ঐ অর্ধেক আপেল….ভাই আমার না এতো টাকা নেই যে তোমাকে আমি এর চেয়ে ভালো আই ফোন কিনে দিবো….৯৫ হাজার টাকা দিয়ে তো কিনেছো এর চেয়ে লেটেস্ট টা কিনতে গেলে আমার ১+ লাগবে…সেটা আমার কাছে নেই সো আবদার করেও লাভ নেই”(নৌশিন)
“আরে…মেম……আমি কিন্তু এই ফোন টোন কিছু আবদার করি নি ওকে..??”(সাদাদ)
“তাই তো বলছিলে”(নৌশিন)
“না…গ্ফিটের কথা বলছিলাম…..আর পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা গ্ফিট টা তুমি আমাকে দিবে”(সাদাদ)
“কিহ????কি জিনিস??”(নৌশিন)
“”আমাদের বেবি☺☺”(সাদাদ)
…নৌশিনের কেমন যেন লজ্জা লাগে কথাটা শোনে…”যাও…কি সব কথা তোমার”(নৌশিন)
“হুম সব সত্যি কথা… বাট মেম এতো আগে না…তোমার শরীরের যা অবস্থা….এই অবস্থায় বেবি নিলে কপালে কষ্ট আছে….আর IBA তো এটাই তোমার শেষ সেমিস্টার…MBA কমপ্লিট করো পরে আমার একটা ফোট ফোটে সোনা বাবু চাই”(সাদাদ)
…নোশিন সাদাদের বুক থেকে মাথা তুলে…”না না।।।।সেটা শেষ হতে তিন বছর এখনো….আম