THE_BOOK #পর্ব_১৬

0
229

#THE_BOOK

#পর্ব_১৬

#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)

মধ্যরাত, শহরের প্রতিটি মানুষ ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু ঘুমায়নি কিছু কিছু মানুষ,কেউ কেউ তার প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত কেউ কেউ ডিউডিতে আছে আর কেউ কষ্টের পাহাড় নিয়ে বসে আছে। দুজন নারী ভয় নিয়ে এই রাত্রি যাপন করছে। খাটের দুই কোণায় দুজন বসে আছে কারো ঘুমই হচ্ছে না। কি করে হবে?? এরকম একটা ভুতুড়ে কান্ড ঘটলে কি ঘুমানো যায়??যে ভ্রুণ এখন গঠন হয়নি সেই কথা বলতেছে এটা বেশ আশ্চর্য জনক। কোন ডক্টরকে এসব বললে তো সে হাসতে হাসতেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এদের তো সত্যি বলাও যাবে না।

লাবন্য পূর্ণাশা চুপ করেই বসে আছে। ঘুমও ধরা দিচ্ছে না ওই বাচ্চার বকবকানিতে। সে শুধু তার বাবাকে চায়। আশ্চর্য,কি এমন বলে গেল লোকটা যে বাবার প্রতি তার এতো টান?আর লাবন্য তো ওর মা তাহলে মায়ের প্রতি কোন টান নেই কেন??লাবন্য তা ভেবে পায় না। ভোর হতেই দুজনের চোখ লেগে আসে ফলে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে। বেশ বেলা করেই দু’জনে ঘুম থেকে উঠে। পূর্ণাশা দ্রুত রা’দকে ফোন করে সবটা জানায়।

রা’দ সব শুনে নিজের মনে মনে সব প্ল্যান সেট করে ফেলে। বাঁচার উপায় সে একটা পেয়ে গেছে আর এই সুযোগ টা সে কিছুতেই হাতছাড়া করবে না। তাই সে অভিনবের সাথে দেখা করতে গেলো।

এদিকে ঘুম থেকে উঠার পর ওই বাচ্চাটা এবার ভয়ানক কান্ড ঘটাচ্ছে। নিজের শক্তিতে এটা ওটা ভাঙতেছে। এসব দেখে তো পূর্ণাশা ভয়ে সিটিয়ে গেছে লাবন্যর অবস্থা ও সেইম। দুজনে কি করবে বুঝতে পারছে না। কিছু বললে যদি ওদের কেও মারে??না বাবা এর থেকে চুপ থাকাটাই বেটার। কলিং বেলের শব্দে পূর্ণাশা দ্রুত দরজা খুলল। রা’দ আর অভিনব এসেছে ওরা ঘরে ঢুকতেই একটা ফুলদানি ওদের দিকে উড়ে আসতেই ওরা সরে যায়। ফুলদানি টা দেওয়ালে লেগে ভেঙে গেল।

“তোমরা কেন এসেছো আবার?? আমার বাবাকে কোথায় রেখেছো?? তোমাদের তো আমি মেরেই ফেলবো।”

বাচ্চাটা হুংকার দিয়ে কথাগুলো বলতেই রা’দ বলে উঠলো,”দেখ আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। আমরাও চাই তুমি এখন তোমার বাবার কাছে থাকো। তাইতো আমরা এখান থেকে চলে গিয়েছি যাতে তোমার বাবা এখানে আসতে পারে।”

“তাহলে আবার এসেছো কেনো??”এবার অভিনব বলল,”লাবন্য তো আমাদের বন্ধু ওকে মাঝেমধ্যে আমরা দেখতে আসতেই তো পারি।”

“আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।”
রা’দ পূর্ণাশার দিকে একটু ইশারা করে বললো,”তাহলে তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করে দেখো সেই তোমাকে বলে দেবে।”

পূর্ণাশা এবার বলল,”কিন্তু ওর বাবা তো কালকে আসেনি বেচারা কতো করে ডেকেছে বাবাকে আমার তো খুব খারাপ লাগছিলো। এতো বার ডাকলো আর এলো না। লাবন্যর ও খারাপ লেগেছে তাই না লাবন্য??”

লাবন্য হা হয়ে পূর্ণাশার দিকে তাকালো ও আবার কখন দুঃখ প্রকাশ করলো??ও তো মনে প্রাণে চায় যে ওই লোকটা যাতে এখানে না আসে তাহলে পূর্ণাশা এসব কি বলছে??পূর্ণাশা লাবন্যকে চোখের ইশারায় হ্যা বলতে বলল। কিন্তু লাবন্য ভেবে পাচ্ছে না যে ও কেন হ্যা বলবে??রা’দের দিকে তাকাতে দেখলো রা’দ ও একই ইশারা করছে। আর চুপ থাকছে ওরা। লাবন্য হয়তো কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছে তাই মুখটা একটু গোমড়া করে খাটের উপর বসে পড়ল। কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলল, “হ্যা আমিও তো মন খারাপ করে বসে ছিলাম। কিন্তু ওই কুৎ,,, তোমার বাবা তো এলোই না। আমার খুব খারাপ লাগছে এখনো।”

কথাগুলো লাবন্য ওদের তিনজনের দিকে তাকিয়ে বলল। ওরা তিনজনই বুড়ো আংগুল দেখিয়ে কারেক্ট বলল। লাবন্য এখনো কিছু বুঝতেছে না। পূর্ণাশা আবার বলল,”রা’দ অভিনব তোরা বরং খুঁজে দেখ আশেপাশে যদি খুঁজে পাস তাহলে এখানে নিয়ে আয়। দেখবি লাবন্য আর ওর বাচ্চার মন ভালো হয়ে যাবে।”

“আমরা চেষ্টা করবো। তাহলে আজকে যাই হ্যা??”

ওরা দুজনেই বেরিয়ে গেল। পূর্ণাশা মুচকি হাসলো লাবন্য এসে পূর্ণাশাকে ধরে চোখের ইশারা করলো। বুঝালো কি হয়েছে??পূর্ণাশা ভেবে পেলো না যে কিভাবে বুঝাবে??তাই খাতা কলম নিয়ে বসলো। ধীরে ধীরে সবটা লিখে লাবন্যকে দেখালো। এবার লাবন্য সবটা বুঝলো এটাও বুঝলো যে ওদের চারজনকে এখন থেকে নাটক করে যেতে হবে যাতে বাচ্চাটার মন ওর বাবার থেকে উঠে যায়। আর এটা করতে পারবে একমাত্র লাবন্য। লাবন্যই পারবে বাচ্চাটার কান ভাঙাতে। লাবন্য তাই পূর্ণাশাকে আশ্বাঃস দিলো যে ও পারবে।

প্রতিশোধ!!! আজকের সমাজের প্রতিটি মানুষ ই প্রতিশোধ নিতে চায় তার শত্রুর থেকে। সুযোগ পেলে কেউ কাউকে ছাড়ে না। তবে বেশিরভাগ মানুষ তার প্রিয় মানুষের জন্য এই প্রতিশোধে নামে। হত্যা,ধোকা, লাঞ্ছনা এছাড়া আরো অনেক কিছুর শিকার হয় মানুষ। তার মধ্যে প্রিতমও শিকার হয়েছে আর লাবন্য তার প্রতিশোধ নিতে উদ্বিগ্ন হয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর কষ্ট যেমন ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তেমন প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে ওর মনে। এক চোখে কাঁদছে তো আরেক চোখে আগুন জ্বলছে। তাই এর শেষ দেখে ছাড়বে ও। এই প্রতিজ্ঞা করেছে।

দুদিন পার হয়ে গেছে। পূর্ণাশা এখনও লাবন্যর কাছেই থাকে। এখান থেকেই অফিসে যায়। লাবন্যর জন্য তিনদিন ছুটি নিয়েছিলো ছুটি ও শেষ। কিন্তু পূর্ণাশা চেয়েছিল চাকরি ছেড়ে দিতে। ওর কাছে সবার আগে ওর বন্ধুর জীবন তারপর চাকরি।লাবন্য এতে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ খুব কম সংখ্যক মেয়েরাই বিনা স্বার্থে বন্ধুত্ব করে। তার মধ্যে পূর্ণাশা একজন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো পূর্ণাশা ভিন্ন ধর্মের মানুষ। দুজনই আলাদা ধর্মের হয়েও একে অপরের প্রতি টান রয়েছে। রা’দ আর অভিনব ও। তাই লাবন্য জোর করেছে পূর্ণাশাকে যেন ও চাকরি টা করে। লাবন্যর জোড়াজুড়িতে পূর্ণাশা বাধ্য হয়।
লাবন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাই থাকে ফ্ল্যাটে। সারাদিনই ওর বাচ্চার সাথে কথা বলে। আগের মতো এখন আর ভয় পায় না। প্রতিশোধের নেশা ওকে শক্ত করে দিয়েছে।
সবসময় বাচ্চাটার সাথে এটা ওটা কথা বলে।
কিন্তু বাচ্চাটাকে কিছুতেই বোঝাতে পারে না যে ওর বাবা খারাপ। বাচ্চাটার মনে দৃঢ় বিশ্বাস যে ওর বাবাই ভালো বাকি সবাই খারাপ। এসব নিয়ে কথা বলতে বলতেই কলিং বেল বাজলো। লাবন্য চমকে উঠে কারণ যদি ওই লোকটা আসে?? কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়লো যে এই ফ্ল্যাটে ওই লোকটা আসতেই পারবে না। কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলতেই দেখলো রা’দ আর অভিনব দাঁড়িয়ে আছে। লাবন্য ওদের ভেতরে আসতে দিলো। রা’দ বলল,”কেমন আছিস??”

লাবন্য কিছু বলার আগেই বাচ্চাটা হুংকার দিয়ে উঠলো বললো,”তোমরা আবার এসেছো কেন??চলে যাও নয়তো তোমাদের মারতে আমার একটুও সময় লাগবে না।”

অভিনব বলল,”দেখ আমরা সত্যিই তোমার আর তোমার বাবার কোন ক্ষতি করতে চাই না। আমরা তো তোমার বাবাকে খুজতেছি। এমনকি পেয়েও গিয়েছি তোমার বাবাকে।”

একথা শুনে লাবন্যর মনে ভয় দেখা দিলো। ভয়ার্ত গলায় বলল,”পেয়েছিস??কোথায়??”

রা’দ চোখের ইশারায় লাবন্যকে শান্ত হতে বলে তারপর মুখে বলল,”আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ওনাকে আনতে কিন্তু উনি আসবেন না বলেছেন। উনি বলেছেন এই বাচ্চা আর তোকে মেনে নেবে না। তাই আর কখনোই তোদের কাছে আসবে না।”
রা’দের কথা শেষ হতেই কাঁচের জগটা উড়ে আসলো রা’দের দিকে। অভিনব তা দেখে টান দিয়ে রা’দকে সরিয়ে ফেলে। নাহলে জগের আঘাতে রা’দের মাথাই ফেটে যেতো। তখনই বাচ্চাটার বিশ্রি গলার আওয়াজ আসলো, “আমার বাবার নামে মিথ্যা বললে তোমাদের আমি শেষ করে দেব।”

এটা বলার সাথে সাথে আশেপাশের জিনিস পত্র সব উড়ে আসতে লাগলো ওদের উপর। রা’দ অভিনব নিজেদের সেফ করতে লাগলো।অভিনব বলল,”তুমি বিশ্বাস না করলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে তোমার বাবার জন্য অপেক্ষা করেই দেখো আদৌ সে আসে কি না??”
বাচ্চাটা আবার ও গর্জন তুলে বলল,”তোমরা আমার বাবার ক্ষতি করে ফেলেছো তাই না?? তোমাদের তো আমি ছাড়বো না।”

“তুমি বিশ্বাস করো আমরা তোমার বাবাকে কিছুই করিনি। আমরা তো তোমার বাবার খোঁজ দিতে এসেছি তোমাকে।”

বাচ্চাটা এবার একটু শান্ত হলো কিন্তু ওদের কথা বিশ্বাস করলো না। ভয়ংকর হুংকার দিতে লাগল। রা’দ আর অভিনব চলে আসলো। লাবন্যকে চোখের ইশারাতে কিছু বুঝিয়ে দিলো। লাবন্য ও মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো। কারণ এখন পুরো গেম লাবন্যর হাতে।

বাইকে বসতেই রা’দ আর অভিনবের মুখে হাসি ফুটে উঠল। অভিনব বলল,”খাসা চাল দিয়েছি আমরা। এবার বুঝবে মজা মামা। নিজেকে যতোই শক্তিশালী মনে করো না কেন মানুষের বুদ্ধির কাছে তোমরা সবসময় নুয়ে থাকবে।”
বলেই অভিনব হেসে উঠলো। সাথে সাথে বাইকের লুকিং গ্লাসে অশরীরীর বিভৎস চেহারা ভেসে উঠলো তা দেখে ওরা দুজনেই হেসে উঠলো। কারণ এই দুইদিন লোকটা ওদের আয়নায় দেখা দিয়েছে। শাসিয়ে বলেছে যে লাবন্যর কাছে যেন ওকে যেতে দেওয়া হয় কিন্তু ওরা তা শোনেনি। এখন থেকে প্রতিদিনই ওদের দেখা দেয়। রা’দ মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে উঠলো,”হ্যালো ব্রো কেমন আছো??”

আয়নায় থাকা লোকটা কটমট করে বলে উঠলো,”ভালো কাজ করছিস না তোরা?? আমাকে যেতে দে??”
রা’দ কটাক্ষ করে বলল,”এমনিতেই তো তোমার চেহারা কুৎসিত রাগলে আরো কুৎসিত দেখা যায়। নিজের মুখখানা আয়নায় একবার দেখেছো কখনো??”
বলেই রা’দ হাসলো এটা দেখে আয়নায় থাকা লোকটার মাথা গরম হয়ে গেল। এই একটা কথাই ওকে দূর্বল করে দেয়। তখন ও বাকরুদ্ধ হয়ে যায় কিছু বলার ক্ষমতা থাকে না। অভিনব রা’দের কাঁধের কাছে মাথা এনে আয়নায় তাকিয়ে বলল,”আমাদের কোন ক্ষতি তুমি করতে পারবে না কিন্তু আমরা পারবো। আর আমাদের সাথে লড়াই করতে হলে তোমাকে বাইরে আসতে হবে। বাইরে আসলে তোমার মৃত্যু অবধারিত। আমাদের হাতেই তোমার মৃত্যু শিঘ্রই হবে জাস্ট ওয়েট।”

আয়না থেকে অশরীরী প্রস্থান করলো। রা’দ ও বাইক স্টার্ট দিলো।

……………

পূর্ণাশা অফিস শেষে বের হয়েছে মাত্র। রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে। লাবন্যর বাসা থেকে ওর অফিস কাছেই। পূর্ণাশা ব্যাগ থেকে আয়না বের করে মুখটা দেখতে দাগলো। এটা ওর অভ্যাস বলতে গেলে। কিন্তু যখন অশরীরীর ছায়া আয়নায় দেখতে পেল তখনই ওর বুকটা ধক করে উঠলো। অশরীরী খিটখিটে মেজাজে বলল,”তুই লাবন্যর কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দে না হলে তোকে তো আমি মেরে ফেলবো। নিজের ভালো চাইলে আমার কথা শোন??”

পূর্ণাশা কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল। চেহারা দেখে ভয় পাচ্ছে কিন্তু রা’দ ওকে সব বলেছে তাই এখন অতোটাও ভয় পাচ্ছে না।পূর্ণাশা মুখ বাঁকিয়ে বললো,”তুই সর আমার লিপস্টিক দিতে হবে জ্বালাস না আমাকে??”

“তুইইইইই,,,,” রাগে ফেটে পড়লো সে। পূর্ণাশা বলল,”তোর থেকে আমি ঢের সুন্দর আছি। নিজের চেহারা কখনো আয়নায় দেখেছিস।”

এটা বলার সাথে সাথে অশরীরীর প্রস্থান হলো। পূর্ণাশা আয়না ব্যাগে রেখে বড় শ্বাস ফেলে বলে,”আপদ একটা কবে যে ঘাড় থেকে নামবে কে জানে??যদি অভিনবের মতো এর প্রেমে লাবন্য পড়ে যায়??”
পূর্ণাশা চোখমুখ খিচে মাথা নাড়িয়ে বলল, “ছিঃ ছিঃ কি ভাবছি আমি??এই কুৎসিত লোকটার প্রেমে লাবন্য পড়বে কেন?? তাছাড়া লাবন্য তো শুধু প্রিতমকে ভালোবাসে। নাহ এসব ভাবলে চলবে না তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে লাবন্য একা বাসায় আছে।”

পূর্ণাশা দ্রুত বাসায় ফিরলো। লাবন্যকে দেখেই বলে উঠলো,”জানিস আজকে ওই কুৎসিত ব্যাটা আমাকে দেখা দিয়েছে বলেছে,,,”
লাবন্যর চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে গেল। জিভে কামড় দিলো কি বলে ফেললো কার সামনে??বাচ্চটা খুশিভাব নিয়ে বলল, “বাবা তোমাকে দেখা দিয়েছে?? কোথায় বাবা এখানে আনলে না কেন??”

পূর্ণাশা পড়েছে বিপাকে এখন কি বলবে??লাবন্য বারবার ইশারা করছে রা’দের বলা কথাগুলো বলতে। কিছুক্ষণ পর তা বুঝে পূর্ণাশা বলল,”তোমার বাবা আমার সাথে আসেনি। আমি বলেছিলাম আসতে। এটাও বলেছিলাম যে তোমার সন্তান তোমার জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু সে বলেছে সে নাকি তোমাদের কারো সাথে যোগাযোগ রাখবে না।”
বলতে বলতেই সামনে থাকা টেবিলটা শব্দ করে উল্টে গেল। পূর্ণাশা ভয়ে কেঁপে উঠলো। এবার লাবন্য বাচ্চাটাকে শান্তনা দিয়ে বলল, “সবাই তো তোমার বাবাকে বুঝিয়েছে তুমি কেন বিশ্বাস করছো না?? তাহলে তোমার বাবা আসছে না কেন??আর তোমার বাবা নেই তো কি হয়েছে মা আছে না?? তোমার মা ই তোমার খেয়াল রাখতে পারবে।”

“না আমার বাবাকেও লাগবে??”

“আচ্ছা তাহলে আমরা অপেক্ষা করি দেখি তোমার বাবা কবে আসবে??”

বাচ্চাটা আর কিছু বলল না। তবে এখনও ওদের কথা বিশ্বাস করছে বলে ওদের মনে হচ্ছে না। পূর্ণাশা ওখান থেকে সরে পড়লো। বাথরুমে গিয়ে লম্বা শাওয়ার নিলো। এই ফ্ল্যাটে কোন আয়না নেই কারণটা হলো ওই অশরীরী। বলা তো যায় না যদি আবার আয়নায় চলে আসে। তবে ওদের কাজগুলো ওই বাচ্চার থেকে লুকিয়ে করতে হবে নইলে ওদের সমস্ত প্ল্যান শেষ হয়ে যাবে। তাই সবাই কোমড় বেঁধে নেমেছে।

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here