#আমার_একলা_আকাশ_তোমায়_জুড়ে #৭ম_পর্ব

0
286

#আমার_একলা_আকাশ_তোমায়_জুড়ে
#৭ম_পর্ব

অন্নার কথাটা শেষ হবার পূর্বেই অর্জুনের মোটা পুরুষালী কন্ঠে কানে এলো,
“এই অন্না, শুনে যা”

পেছনে ফিরতেই দেখলো শক্ত মুখে অর্জুনদা দাঁড়িয়ে আছে। তবে কি সব শুনে ফেললো সে! ভয়ে বুকখানা কেঁপে উঠলো অন্নার। মুখখানা মিয়ে গেলো। নিভু কন্ঠে বললো,
“কেনো?”
“আসতে বললাম তো নাকি?”

অর্জুনের কন্ঠের প্রখরতা বাড়লো। মুখে কিঞ্চিত বিরক্তির ছাপ, কপালে তিনখানা ভাঁজ পড়েছে। ভ্রুযুগল একবিন্দুতে টেনে রেখেছে। অন্না শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজালো। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো। ভয় হচ্ছে, অর্জুনদা যদি শুনে তাকে আ’স্তো রাখবে না। দেখা যাবে দেবীর ত্রি’শুল খুলেই তাকে দৌ’ড়ানি দিবে। এই মীরজাফরের দল আজ অর্ধেক হওয়া সত্ত্বেও ফাঁসিয়েই ছাড়লো অন্নাকে। দীপ্তি এবং লাবন্য তাদের গোয়েন্দা দৃষ্টি তাক করে রেখেছে অন্নার দিকে। অর্জুনদা অন্নাকে ঠিক কি বলার জন্য জরুরি তলব দিলো তা জানাটাই যেনো এখন পৃথিবীর একমাত্র কাজ। এই বিষয়টা জানতে না পারলে তাদের পৃথিবীটাই যেনো ফেটে যাবে, আকাশ ভেঙ্গে পড়বে।

অন্না ধীর পায়ে অর্জুনের সামনে গেলো। ঈষৎ ভয়ার্ত কন্ঠে শুধালো,
“ডাকছিলে কেনো?”
“হাতটা সামনে আন”

অর্জুনদার সাবলীল কথায় হকচকিয়ে উঠলো অন্না। অর্জুনদা কি সকলের সামনে তার মাস্টার হবার সুযোগ নিবে? অন্না অর্জুনের দিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতেই দেখলো তার এক হাত পেছনে রাখা। সেই হাতে কি বেত রয়েছে! অর্জুনদা কি সকলের সম্মুখে অন্নাকে মা’র’বে? অবশ্য তার বিশ্বাস নেই, সে বলেছিলো পাড়ায় যদি আর কোনো কানাগোসা হয় তবে অন্নার একদিন কি তার যে ক’দিন লাগে। অন্না ইতস্তত চোখে পেছনে তাকালো। দীপ্তি এবং লাবন্যের চোখ তার দিকেই স্থির। অন্না ঠোঁট কামড়ালো, মস্তিষ্কটা কাজ করছে না। অর্জুন এবার অধৈর্য্য হয়ে বললো,
“কি দেখছিস পেছনে?”
“সকলের সামনে না মা’র’লে হয় না অর্জুনদা?”

অসহায় কন্ঠে অন্না কথাটা বললো। অন্নার কথায় বেশ বড়সড় ধাক্কা খেলো অর্জুন। হতবাক দৃষ্টিতে কিছুসময় তাকিয়ে রইলো সে। অবাক কন্ঠে বললো,
“যখন ঈশ্বর বুদ্ধিদান করছিলো তুই কি ঘুমাচ্ছিলি?”
“হ্যা?”
“হাত বাড়াতে বলেছি আমি, এক কথা চৌদ্দবার বলতে ভালো লাগে না অন্নপূর্ণা”

বেশ কড়া স্বরেই কথাটা বললো অর্জুন। অন্নাও শুকনো ঢোক গিলে হাতখানা বাড়ালো। তাকে অবাক করে একথোকা শিউলী ফুল হাতে দিলো অর্জুন। শিউলির মিষ্টি গন্ধ নাকে আসছে। অন্না বিমূঢ় দৃষ্টিতে চাইলো। এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। অনুভূতিগুলো ধলা পাকিয়ে গেলো অচিরেই। কৌতুহল, বিস্ময়, আনন্দরা জট পাকালো অন্নার। তার বিমূঢ়, হতবিহ্বল দৃষ্টি দেখে অর্জুন চাঁপা স্বরে বললো,
“অকেজো মস্তিষ্কটা একটু কাজ করা, খোঁপা করেছে অথচ এটুকুও জানে না খোঁপা খালি রাখতে নেই। সাজতেও জানিস না নাকি! খালি খোপা দেখে দয়া হলো, তাই দিলাম। তবে ভাবিস না আমি তোকে অনুমতি দিচ্ছি আমার গাছের ফুল ছেড়ার, খবরদার কখনো আমার শিউলি গাছের যেনো তোকে না দেখি”

বলেই হনহন করে হেটে চলে গেলো অর্জুন। অন্না অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো অর্জুনের যাবার পানে। হাতে তার এক থোকা শুভ্র শিউলি, তার মৃদু মিষ্টি গন্ধ নাকে ধীরে ধীরে আসছে। অজান্তেই ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠলো কুসুম প্রভা। তার বক্ষস্থলে হাজারো সুখের লহর বয়ে গেলো। শ্যাম গালজোড়া রক্তিম হয়ে উঠলো অজানা অনুভূতির শিহরণে। সারা শরীরে সেই শিহরণ লজ্জার রুপে ছড়িয়ে গেলো। হৃদস্পন্দন বেসামাল হলো, ভেতরের জমা ভয় অনুরাগের রঙ্গে রঙ্গিন হলো। এক পশলা বৃষ্টির পর হৃদয়ের আঙ্গিনায় উদিত হলো সাতরঙ্গের রংধনু। অন্না ফুলগুলো মুখের সামনে নিলো। হৃদয় ভরে গন্ধ নিলো। তার ঠোঁটের হাসি প্রসারিত হলো। স্নিগ্ধ শিহরণে তার হৃদয় আজ বেসামাল। আচ্ছা, রমেশ কি কখনো হেমনলিনীকে শিউলি ফুল দিয়েছে? কে জানে! তবে অন্নার রমেশ তার রিক্ত খোঁপার অলংকার ঠিক ই দিয়েছে। তার যে রিক্ত খোঁপা অপছন্দ।

অন্না যখন মীরজাফরের দলের কাছে ফিরলো তখন তার গালের লালিমা অক্ষত। দীপ্তি বললো,
“অর্জুনদা সত্যি তোকে এই ফুলগুলো দিলো?”
“নাহ, মিথ্যে মিথ্যে দিয়েছে। বলেছে এখন পড়, সন্ধ্যেবেলায় আমি নিয়ে আবার গাছে লাগিয়ে দিবো। ঈশ্বর যখন বুদ্ধি দিচ্ছিলো কোথায় ছিলি তখন?”
“এভাবে বলছিস কেন? অর্জুনদা তোকে ফুল দিয়েছে তাও নিজ শিউলি গাছের অবিশ্বাস্য নয়!”

দীপ্তির কথার যুক্তি আছে। ফলে ঠোঁটের হাসিটুকু বিস্তারিত করে অন্না বললো,
“আমার জন্য সব ছাড়”

বলেই প্রসন্নমুখে চলে গেলো প্যান্ডেলের ভেতর। বাহিরে থাকা দীপ্তি এবং লাবণ্য মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো। তাদের মুখে কথা নেই। তারা মোটামুটি নিশ্চিত, “অর্জুনদা অন্নার প্রেমে মজেছে”

*****

ব্যস্ত দিনের অবসান ঘটিয়ে ধরনীতে নামলো স্নিগ্ধ তমসা। তমসার ঘোরে হিমুলেনের নীল আকাশটি কালো রুপ ধারণ করলো। তবুও উত্তেজনা এখনো কমে নি। প্যান্ডেলের বাহিরে যুবসমাজের জমজমাট আড্ডা। মেয়েরা চায়ের সাপ্লাই দিচ্ছে। চা আর রফিক ভাইয়ের গরম গরম পুরি। আর কি লাগে! তামিমা এবং সামিহা, নিপাও এসেছে। বান্ধবীদের আগমনে মীরজাফরের দল সম্পূর্ণ হলো। এর মাঝেই বিদ্যুৎ বলে উঠলো,
“একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে কেমন হয় প্রতীকদা?”
“এই শেষ সময়?”

প্রতীকের কথায় রবিন ভাই বলে উঠেন,
“শেষ সময় কোথায়? নবমীর দিন করে ফেলো। নিমাই দাদাকে বলো একটা ছোট স্টেজ বানিয়ে দিতে। আর আমাদের কৃতি শিল্পীরা তো আছেই। দীপ্তি, লাবণ্য, অন্না কি চমৎকার নাচে। বিদ্যুৎ , রনবীর তো আছেই গাইয়ে। আর ভুলে গেলে তো হবে না পাড়ার কৃতী গায়ক আমাদের অর্জুন ভায়া তো আছেই। আচ্ছা, আমি বলি কি অর্জুন ভায়া আর অন্না একসাথে একটা পারফরম্যান্স করুক। অর্জুন গাইবে আর অন্না নাচবে। আহা! কি দৃশ্য”

রবিন ভাই এর প্রস্তাবে চা টা মুখ অবধি এসেই থেমে গেলো অর্জুনের। চুমুকটি আর দেওয়া হলো না। সে হতাশ দৃষ্টিতে তাকালো রবিন ভাই এর দিকে। এদিকে সামির ভাই, বিদ্যুৎ, প্রতীক মিটিমিটি হাসছে। প্রতীক কমিটির সভাপতি হিসেবে বললো,
“ঠিক ঠিক রবিন ভাই, আমরা তো ভাবি ই নি এভাবে। তুমি না থাকলে কি হতো আমাদের। তুমি তো ভাই গুরুমানুষ”
“আরে কি যে বলিস, আমি তো পিপড়ে তুল্য মানুষ। হুটহাট মাথায় বুদ্ধি চলে আছে। তোদের ভালোবাসি বলে সেগুলো তোদের বলি”

রবিন ভাই লজ্জিত কন্ঠে বললো কথাগুলো। অর্জুন দীর্ঘশ্বাস ফেললো। রবিন ভাই এর দিকে তাকিয়ে ধীর স্বরে বললো,
“বাঁচতে দিবে না?”
“ভায়া, রাস্তা করে দিচ্ছি। এবার শি’রটা কাটা যাবে না। দেখবে গান গাইতে গাইতেই হৃদয়ের দ্বার খুলে যাবে। তুমি অধৈর্য্য হও কেন? কবি বলেছে একবার না পারিলে দেখো শতবার”

অর্জুন যুক্তি খুঁজে পেলো না রবিন ভাইয়ের বিপরীতে। সে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো অন্নার দিকে। অন্নাকে ইশারা করলো কিছু বলতে। অন্না ইশারা ঠিক কি বুঝলো বোঝা গেলো না। সে প্রশ্ন করে বসলো,
“রিহার্সাল কবে করবো?”

অর্জুন কপাল চা’পড়ালো। একেই ফাঁকিবাজ, ও তো সুযোগ খুঁজছে কিভাবে পড়ায় ফাঁকি দিতে হয়। রবিন ভাই বললেন,
“সে বোন যখন তুমি চাও, অর্জুন ভায়া সবসময় প্রস্তুত”

যুবসমাজ হো হো করে হেসে উঠলো। অন্না বুঝলো তারা কি বোঝাতে চাইছে, সাথে সাথেই রক্তিম হয়ে উঠলো তার গাল। এদিকে মাথা নামিয়ে নিলো অর্জুন। এই রবিন ভাই বিয়ের পিড়ি অবধি না নেওয়া অবধি ক্ষান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না। গাল ফুলিয়ে তপ্ত নিশ্বাস ফেললো অর্জুন। তারপর অন্নার দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমার গানের সাথে নাচতে পারবি? পা ভেঙ্গে খোঁ’ড়া হয়ে যাবি না তো?”
“তুমি কি উচ্চাঙ্গ সংগীত গাইবে? হাহ! আমি বিনা সঙ্গীতে নাচতে পারি। নিজের হেরে গলার খোঁজ নাও। পাড়ায় আমার নাম ডুবিও না”
“সময় আসলে না হয় পাড়ার মানুষ ই দেখবে কে কার নাম ডুবাচ্ছে”

দুজনের আরোও এক দফা ঝগড়া লাগলো। রবিন ভাই হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। একজন বুনোওল তো অন্যজন বাঘাতেতুল। এদের গল্পের পরিণতি বিধাতা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।

*****

বাসায় ফিরতেই বেশ হুল্লোর দেখলো অন্না। মা, বড়মা ছোটাছুটি করছেন। তাদের মুখ উজ্জ্বল। অন্না চটি খুলতে খুলতে বললো,
“কি হয়েছে মা? এভাবে ছুটছো কেন?”
“আরেহ, দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? যেয়ে দেখ দেব এসেছে। কত জার্নি করে এসেছে, ক্লান্ত হয়ে আছে। ওকে খেতে দিবো না?”
“দাদার না কাল ফেরার কথা ছিলো?”
“এই তোর প্রশ্নোত্তরের সময় নেই। যেয়ে ওর মাথা খা, আমাকে জ্বা’লাস নে”

বলেই রীতাদেবী তার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। অন্নার খুশি হচ্ছে বটে, কিন্তু সেই সাথে কৌতুহল ও হচ্ছে। এতো তাড়াতাড়ি দাদা ফিরলো কেন? তাই ছুটে দেবব্রতের ঘরেই গেলো সে।

দেবব্রতের ঘরের দরজা ভেজানো। লাইট ও জ্বালায় নি। ভেতর থেকে তার পায়চারির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সে কারোর সাথে কথা বলছে, হয়তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। তাই শব্দ ক্ষীন শোনা যাচ্ছে। দেবব্রত বারংবার একই কথা বলছে,
“আমার কথাটা বোঝার চেষ্টা করো। আমার সময় লাগবে। পাগলামি করো না”

অন্না খানেক দ্বিধায় পড়লো। সে কি প্রবেশ করবে! দেবব্রতের কন্ঠে ক্ষীন গম্ভীর ঠেকলো। ফলে কিছুটা চিন্তিত হয়েই দরজায় কড়া নাড়লো সে। সাথে সাথেই দেবব্রতের কন্ঠে শোনা গেলো,
“কে?”
“দাদা, আমি”

মিনিট পাঁচেক বাদে ঘরের বাতি জ্বললো। দরজা খুলে দেবব্রত হাসি মুখে বললো,
“বাড়ি ফিরলি তবে, ভেতরে আয়”

দেবব্রতের মুখে হাসি ঝুলছে কিন্তু সেই হাসিটা কেমন ফিকে ফিকে ঠেকলো অন্নার কাছে। অন্না তার খাটে বসতে বসতে বললো,
“কি রে কলকাতা বাবু, তোর না কালকে আসার কথা ছিলো। এমন রাত বিরাতে ছুটে এলি যে? ছুটি কি পেলি নাকি পালিয়েই চলে এসেছিস?
” আমি এসেছি খুশি হস নি?”
“আমার জন্য কি এনেছিস না দেখে বলতে পারছি না খুশি হয়েছি কিনা”
“পাকাবুড়ি একটা”

বলেই মাথায় গা’ট্টা দিলো দেবব্রত। অন্না এবার বললো,
“তুই কি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত দাদা?”

দেবব্রত প্রশ্নটা শুনলো। তারপর কিছুসময় থেমে বলল,
“আমি বিয়ে করবো অন্না”

দেবব্রতের কথা শুনেই আকাশ থেকে পড়লো অন্না। হা করে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। নিজেকে বহুকষ্টে সামলে বললো,
“তুই কি করবি?”
“বিয়ে, আমি বিয়ে করবো”
“কাকে?”
“সময় হলে জানতে পারবি”
“বড়মা জানে?”
“না, জানাবো”
“রাজি না হলে?”
“বিয়ে করে বাড়ি এনে তুলবো”

দেবব্রতের দৃঢ় কন্ঠ শুনে শুকনো ঢোক গিললো অন্না। অবন্তীকা দেবী গোরা মনোভাবের নারী, দেবব্রতের এমন আবদার সে ঠিক কতটা মানবে জানা নেই। তবে এতোটুকু জানা আছে একটা বিশ্বযু’দ্ধ হবেই। এবং তার প্রথম শহীদ অন্নাই হবে_______

*****

দুপুরের পর থেকেই ঝুম বৃষ্টি। থেমে থেমে নয়। অঝরধারায় অবিরাম বৃষ্টি। সন্ধিপুজোর ক্ষণ গড়িয়ে আসছে। কিন্তু বৃষ্টির থামার নাম নেই। প্যান্ডেলের ভেতর পানি জমার আশংকা নেই তবে মন্দির আসতে আসতে সকল সাজের বারোটা বেজে যাচ্ছে তাতে দ্বিধা নেই। অন্না আজ লাল শাড়ি পড়েছিলো। কিন্তু শাড়ির তলায় কাদা লেপ্টে আছে। অর্জুনের দেওয়া ফুলের মালাটিও বৃষ্টিতে ভিজে নেতিয়ে গেছে। ফলে তার মন বেজায় খারাপ। প্যান্ডেলে প্রবেশ করতেই মন খারাপের মাত্রা বাড়লো, যখন লাবণ্য বলে উঠলো,
“অন্না, অর্জুন দার সাথে ওই মেয়েটা কে রে?”

বৃষ্টিতে ভেজা অন্না ওদিক তাকাতেই দেখলো অর্জুনদার পাশেই একটি অপরিচিত মেয়ে। পরণে সাদা-লাল জামদানী, শুভ্র বদনে হালকা গহনা। টানা টানা দেবীর ন্যায় চোখ, শান্ত মুখশ্রী। স্নিগ্ধ তার হাসি। মেয়েটির কৃষ্ণ চুলগুলো খোঁপায় বাঁধা। সেই খোপায় তাজা বেলীর মালা। তার সম্মুখে অন্নাকে মোটেই সুন্দর লাগছে না। যেনো জীবন্ত গোলাপের কাছে মূর্ছানো রজনীগন্ধা। অন্নার ভেতরটা আরোও নিভে গেলো। মনে মনে শুধালো,
“এই কি তবে অর্জুনদার হেমনলিনী?”……..

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here