#বিষ_করেছি_পান(২৩)
(কপি করা নিষেধ)
বাঁধনের সামনে ছুটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ছুটি মোটেও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকার মেয়ে নয়। এই মুহূর্তে তার মাথা নিচু করার স্পেসিফিক কোন কারণ ও নেই। তবুও সে মাথা উঁচু করছে না। বাঁধনের দিকে চোখ পড়তেই তার লজ্জায় চোখ বন্ধ হয়ে আসে। বাঁধন তো গড়গড়ে মেজাজে বলেই ফেললো
— সারারাত ঘুমাসনি? এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছিস! সিরিয়াসলি ছুটি তুই এতো পড়ুয়া ছাত্রী হয়ে গেছিস? ফেলটু থেকে সরাসরি গোল্ডেন পেয়ে যাবি।
ছুটি বিরবির করলো। পড়ুয়া না ছাই! আবার গোল্ডেন! সেসব আননিসেসারি কথা বাদ দিয়ে নিসেসারি কথা বললেই তো হয়।
— ছুটি আমি এতো সুন্দর হয়ে গেছি যে গোল্ডের মতো গ্লেস দিচ্ছে যার কারণে তুই তাকাতে পারছিস না। চোখ বন্ধ করে নিস।
একথা বাঁধন কিভাবে বলবে? ছুটি যে এই কারণেই তাকাচ্ছে না সেটাই বা কি করে বুঝবে? ছুটি দাঁড়ালো না। আস্তে আস্তে সরে যেতে লাগলো। এখান থেকে পালাতে হবে। দরজার কাছাকাছি গিয়ে আটকে গেলো। ঝিমা কড়া করে চোখ রাঙালো। ঠোঁট চেপে বললো,
— এখানেই দাড়া। তোর বিচার হবে।
— আমি কোন অন্যায় করিনি। আমার কি বিচার হবে?
কথাটা ছুটি জোরেই বলে ফেললো। বাঁধন ভ্রু কুঁচকে তাকালো। হাতের ইশারায় কাছে ডাকলো।
— তুই বলছিস কোন অন্যায় করিস নি? আমি যে তোকে এতোবার যেতে বলেছিলাম তুই যাসনি। পড়ার দোহায় দিয়েছিস। এটা কি অন্যায় নয়? আমি আসার পরেও বাড়ি থেকে নেমে আসিস নি। এটা কি অন্যায় নয়?
— আপনিও তো আমি ছাড়াই বর সেজে বিয়ে করতে চলে গিয়েছিলেন সেটা কি অন্যায় নয়?
ছুটির পাল্টা প্রশ্ন শোনে বাঁধন অবাক হয়ে যায়। জোর গলায় বলে,
— আমার সাথে তর্ক করিস? তোর তো কম সাহস নয়? বেশী সাহসী হয়ে গেছিস। সাহস নিয়ে পাতলা পায়খানা আটকানো যায়না। তাই তুই আমার বিয়েতে যেতে পারলিনা। তাছাড়া আমি দেখেছি ঝিমা তোকে ভিডিও কলে রেখেছিলো। তুই আমার বিয়েতে আমার সাথেই ছিলি। কিসের অভিযোগ তাহলে?
— কোথায় সাথে ছিলাম? বিয়েতে যদি সাথেই থাকি তাহলে এক্সিডেন্টে কেনো সাথে থাকলাম না? হসপিটালে আপনার পাশের বেডে কেনো আমার বেড হলোনা?
বলতে বলতেই ছুটি নাক টান দিলো। শুষ্ক মুখে নাক টান! বাঁধন, ঝিমা যেনো আকাশ থেকে পড়লো। ঝিমা এগিয়ে এসে বললো,
— ছুটি তুই এজন্য এতো অজুহাত দেখিয়েছিস?
— তো কি ওরকম পলিথিনে মোড়ানো বাঁধন ভাই কে দেখতে যাবো?
ছুটির সোজাসাপটা উত্তর। বাঁধন এক হাত টেনে ছুটিকে নিজের কাছে আনলো। মাথায় পরম যত্নে হাত বুলিয়ে দিলো। ছুটি যেনো মিইয়ে গেলো। মাথা তুলে বললো,
— আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো বাঁধন ভাই। ছোট থেকেই আপনার ছায়ায় বড় হয়েছি। আপনাকে ঐ অবস্থায় দেখতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিলো। কারন আপনাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি।
ছুটির এমন আবেগ মাখানো কন্ঠে বাঁধন কোন উত্তর দিতে পারলোনা। স্নেহের হাত বাড়িয়ে রেখেই বললো,
— ভেবেছিলাম তোর বিচার করবো। কিন্তু না। তোর বিচার মওকুফ করা হলো।
ছুটির খুব হালকা লাগছে। কয়েক মাস পর বাঁধন ভাইকে দেখলো। নির্ধিধায় ভালোবাসি কথাটাও বলে দিলো।এখন এই ভালোবাসা বাঁধন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে নিক ছুটির যায় আসেনা। বরং সে ঘাড় থেকে একটা বোঝা নামালো। রিতীর দেখাদেখি নিজেও রাতে ধূমিয়ে পড়লো। রিতী একবার ভ্রু কুঁচকে তাকালেও কিছু বললো না। এদিকে সোহাগ বার বার কল দিচ্ছে। রিসিভ করে রেখে টেবিলেই ফোনটা ফেলে রাখলো। সামনে পরিক্ষা। এখন সে কোনপ্রকার চিন্তা ভাবনা মাথায় ঢুকাবেনা। আশপাশ ধ্বংস হয়ে যাক। রিতী নিজের পড়া মনোযোগ সহকারে চালিয়েই যাবে।
সকালে রুম্পা ছুটির হাতে বড় একটা বাটি ধরিয়ে দিলো। মিস্টি সুঘ্রাণ আসছে। ছুটি ঢাকনাটা একটু তুলে দেখলো। মোগলাই সেমাই। রুম্পা বললো,
— যাতো তোর বীণা কাকিমাকে দিয়ে আয়। সেমাই করেছিলাম ভাবলাম একটু দেই। ছেলে মেয়ে দুটো খেতে খুব ভালোবাসে। যা তো। দৌড় লাগা।
— মা আমার স্কুলের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
— ঝিমাও তো যাবে। যা আগে দিয়ে আয়।
ছুটি ইউনিফর্ম পড়া নিয়েই সেমাই দিতে গেলো। বাড়িতে ঢুকার পর বীনার হালকা চেঁচামেচি কানে আসলো। বাঁধনের ঘর থেকেই আসছে। বাঁধন ভাইয়ের কিছু হলোনাতো? টেবিলে বাটি রেখেই ছুটি দৌড় দিলো। দরজার কাছে আসতেই বাঁধনের গলা কানে গেলো।
— মা এখন ই কি এসবের প্রয়োজন আছে? মেয়েটাকে সুস্থ হতে দাও আগে। তারপর তোমার এই জেদটা দেখিও। একটা অসুস্থ মানুষকে নিয়ে তোমরা কিভাবে এমন করতে পারো?
কি করেছে কাকীমা? বাঁধন ভাই চেঁচাচ্ছে কেনো? কে অসুস্থ? কৌতুহল নিয়ে ছুটি দরজায় গিয়ে নি:শ্বব্দে ঝিমার পাশ ঘেঁষে দাঁড়ায়।
বাসায় আসার পর থেকেই বীণা মুখটা থমথমে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেমন যেনো মিইয়ে গিয়েছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিষয়টা বাঁধনের খেয়ালে আসে। বাঁধন সকাল বেলা মা ঘর গোছানোর জন্য আসতেই বাঁধন জিজ্ঞাসা করে। বীনা এড়িয়ে যেতে চাইলে বাঁধন শক্ত করে ধরতেই কাট কাট গলায় বলে,
— বাঁধন আমি খুব তাড়াতাড়ি সুমির সাথে তোর ডিভোর্স করাবো।
কথাটা শুনেই বাঁধন বিরক্তি প্রকাশ করে। রেগে মেগে মাকে বলে,
— প্রথমে বললে বাসে দেখা মেয়েটাকে পছন্দ হয়েছে এখন আমাকে বিয়ে করতে। অচেনা একটা মেয়েকে দুই দিনেই কথা বলে বিয়ে করে নিলাম। যেই দেখলে মেয়ে তোমার চাহিদা মতো ঘরোয়া লক্ষী নয় বরং স্মার্ট স্বাধীনচেতা নিজের বিয়েতে ড্রাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছে সেই তুমি এবার বলছো ডিভোর্স করিয়ে নিবে। আমার জীবনটাকে কি খেলা পেয়েছো যে নিজের ইচ্ছেমতো যাকে ইচ্ছে ঢুকাবে যাকে ইচ্ছে বের করবে? এরপর নিশ্চয় আবার আরেকজনকে এনে রিপিট করবে!
বীনা বাঁধনের কথায় চিন্তায় পড়ে যায়। সত্যিই তো রুপ দেখেই পাগল হয়ে গিয়েছিলো। আর কিছু খোঁজ খবর ও নেয়নি। তার ঘরের বউ ছেলেমানুষের মতো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে বেড়াবে সেটাতো মেনে নেওয়া যায়না।না জানি এই মেয়ে আর কি কি করবে? কি আর করবে? এখন তো হাত দুটোই নেই। তবুও হসপিটাল থেকে ফেরার পথে সুমির মায়ের কথায় বীণা হাসফাস করছে। তাদের একান্ত ইচ্ছা মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে এই বিয়ে ভাঙবেনা। মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব বাধনকেই নিতে হবে। দরকার পড়লে বিদেশ থেকে কৃত্রিম হাত লাগিয়ে আনবে তবুও মেয়ের সংসার দেখবে। বীণা মুখের উপর বলে দেয়,– আগে মেয়ে বাঁচবে কিনা সেই চিন্তা করেন তারপর আমার ছেলের ঘাড়ে চাপানোর ধান্ধা করেন। এতোবড় কথাটা বলতে গিয়ে বীণার গলা কাপলেও থামলোনা। সুমির মায়ের চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। সে যাই হোক বীণাকে কঠোর হতেই হবে। যেচে যেচে ছেলেকে একটা অনিশ্চিত জীবনের সাথে তো জলাঞ্জলি দিতে পারবেনা। সুমি আদৌ সুস্থ হবে কিনা?কবে সুস্থ হবে?সুস্থ হয়েইবা পঙ্গুত্ত্ব নিয়ে কিভাবে সংসার করবে? বীনার পর এতো বড় সংসারটাকে তার ছেলের বউকেই সামলাতে হবে। যে মেয়ের হাত ই নেই সে কিভাবে সামলাবে? না না। এখনি ডিভোর্স করিয়ে নিতে হবে। সুমি হসপিটালে বেডে শুয়ে থাকা কালীন ই ডিভোর্স নিতে হবে। এই মেয়ের বোধ বুদ্ধি ফিরলে এর বাবা মা আবার নানান বাহানা শুরু করে দিবে। সারারাত ধরে বীণা এই চিন্তা করেছে। বাঁধন জিজ্ঞাসা করতেই বাঁধনকে ডিভোর্সোর কথা জানায়। বীনা বাঁধনের পাশে বসে। কাঁধে হাত বুলিয়ে বোঝানোর ট্রাই করে।
— দেখ বাবা সুমিকে আমিই পছন্দ করেছিলাম। তাকে এতো শখ করে তোর সাথে বিয়ে দিলাম। কিন্তু সবকিছু আমরা চাইলেই তো আর হয়না বল? ভাগ্যে যদি সেই মেয়ের সহায় না হয় এতে আমরা কি করবো?
— মেয়েটা বাঁচবে কিনা মরবে তার গ্যারান্টিও নেই। এর মধ্যে তোমরা এসব কথা কিভাবে বলো?
— সেটাই তো কথা। ধর মেয়েটা বেঁচে থাকলো…আরো দশবছর?বিশ বছর বাঁচলো। এভাবেই মরা লাশের মতো বাঁচলো। সেই বাঁচার কি কোন দাম আছে? আগামী দশ বিশ বছরে যেখানে তুই মেয়ে বিয়ে দিতে যাবি সেখানে একাই কাটাবি?আমি কতোদিন আর একা হাতে এতোবড়ো সংসার সামলাবো? আমারো তো বয়স হয়েছে নাকি? আমার দায়িত্ব তো আমার উত্তরসূরীর হাতে বুঝিয়ে দিয়ে তারপর নিস্তার পাবো। তোর বউ আমার একমাত্র উত্তরসূরী।
— এটা সঠিক সময় নয় মা। এখন এসব কথা তুলবেনা সুমির বাবা মা ফ্যামিলির মনের অবস্থা টা একবার বুঝার চেষ্টা করো। সুমির জায়গায় আমি থাকলে তখন তুমি কি এক ই কাজ করতে?
— হ্যা করতাম। নিজের ছেলে নিজের কাঁধেই রাখতাম। পরের কাঁধে তুলে দিতে চাইতামনা।
রাগে গজ গজ করতে করতে চলে যায় বীনা। ছুটির হটাৎ মাথা ঘুরায়। ঝিমাকে খামচি দিয়ে ধরে শরীরের ব্যালেন্স রাখে। ঝিমাও ‘কি হলো ‘ বলে চিৎকার করে ছুটিকে ধরে। ছুটি হা করে ঝিমার দিকে তাকায়। মনে মনে বিরবির করে — ‘ডিভোর্স? সুমি লাশ?হাত নেই? ‘ এ যেনো চমকের উপর চমক। অতিচমকে ছুটি বোবা হয়ে গেলো। সেতো শুধু বাঁধনকে নিয়েই চিন্তা করেছে। সুমির কথা একবারেও মাথায় আসেনি। মেয়েটাযে এক্সিডেন্ট করেছিলো তারপর দেখে এসেছিলো আর খোঁজ নেওয়া হয়নি। এতো দিন পর কি বলছে? পঙ্গু? পঙ্গুর জন্য বাধন ভাই ডিভোর্স দিবে? সংসার করবেনা সুমির সাথে? তারপর আবার বিয়ে করবে? এতো চিন্তা ছুটির মাথা লোড নিতে পারলোনা। মাথাকে বাঁচাতে ছুটি ঘোড়ার মতো দৌড় দিলো।
স্কুলে যাবার সময় বাঁধনকে দেখে আবার চিন্তার সাগরে ঢুবে গেলো। বাঁধন আজ বাইক নেয়নি। ঝিমার হাত ধরে ছুটির সাথে গলির মুখে এলো। আশ্চার্য করে দিয়ে অটো ডেকে ছুটিকে নিয়েই উঠে বসলো। ছুটি ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে বাঁধনের দিকে। বাঁধন তাকিয়ে আছে বাইরে। ঝিমা একটু চেপে ছুটির কানে কানে জানালো ,
— ভাইয়ার মন ভালো নেই। একক্লাস শেষে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আমরা ঘুরতে যাবো। ভাইয়াকে আমাদের সময় দেওয়া উচিত।
ছুটি মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপর নিচ মাথা দুলালো। কিন্তু বাঁধনের থেকে চোখ সরালো না। তাকিয়ে থাকতে থাকতেই দেখলো বাঁধন বড় করে একবার দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ছুটির দম বন্ধ হয়ে এলো। বাঁধন কেনো দীর্ঘশ্বাস ফেললো? বাঁধনের জীবনে কেনো এতো কষ্ট?
স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে ছুটি ঝিমা বাঁধনের সাথে একটা নদীর পাড়ে চলে এলো। নদীর পানি প্রায় শুষ্ক। মাঝখান দিয়ে চর ভেসে উঠেছে। সেই চরে ঘাস নেই। মাটি অতি শুষ্ক। ঘাটে বাঁধা একটা নৌকাও আছে। ঐ চরের মাঝে নৌকা করে যাওয়া যাবে। ছুটি স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে নিলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো বাধন নদীর পাড় ঘেঁষে হাঁটছে। বসার জায়গা খুঁজছে। নদীর পাড়ের ঘাসগুলো শুকিয়ে মরে গেছে। বসার কোন উপায় নেই। ছুটি সেদিকে এগিয়ে গেলো। স্যান্ডেল জোড়া ধপ করে মাটিতে ফেললো। বাঁধনকে বললো,
— আমার স্যান্ডেল জোড়া পাহারা দিন। উপরে বসুন। তাহলে ময়লা লাগবেনা।
— তোরা কোথায় যাবি?
বাঁধন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো।
— ঐ চরে যাবো। আপনি বসুন। আমরা আসি।
বলেই ছুটি নৌকার দিক দৌড় দিলো। ঝিমা আগেই নৌকায় উঠে হাতে বৈঠা তুলে নিয়েছে।ছুটি যেতেই সেও বৈঠা চালালো। বাঁধন সেদিকে তাকিয়ে রইলো। নিষেধ করলোনা। এগিয়েও গেলোনা। স্যান্ডেলের উপর বসে পড়লো। বসে বসে ছুটি আর ঝিমাকে দেখতে লাগলো। দুইজন কিশোরী দুইজনের হাতেই বৈঠা। অদক্ষ হাতে নৌকা বাইছে। দুজনের হাসির সাথে নদীর পানি ছলাৎ ছলাৎ তাল মেলাচ্ছে। কি সুন্দর দৃশ্য! বাঁধন মুগ্ধ হয়ে গেলো। মনের কালিমা সরে গিয়ে কিশোরীদের হাসির শব্দ ছন্দ তুলে দিলো। ঝিমাকে ছেড়ে ছুটির দিকে চোখ চলে গেলো। সাথে সাথে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস। বাঁধন নিজেকে বোঝায় ছুটি তার অনেক ছোট। ছুটির জন্য একটি সফট কর্ণার বাধনের আগে থেকেই ছিলো। ছোট্ট মেয়েটার চঞ্চলতা তার বড্ড ভালো লেগেছিলো। ঝিমার সাথে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়াতো।সেইযে বাঁধন স্নেহের হাত রেখেছিলো আজো নামায়নি। ঝিমার ডাকে ধ্যান ভাঙলো।
— ভাইয়া, এদিকে এসো।
দুই বান্ধবী চর ঘুরে এসে কিনারায় দাঁড়ানো।বাঁধন হাত নাড়িয়ে চেঁচিয়ে বললো,
— আসছি আসছি ।
চলবে,
লাবিবা তানহা এলিজা ~