বিষ_করেছি_পান(৪৮)

0
513

#বিষ_করেছি_পান(৪৮)

(কপি করা নিষেধ)
— পরিক্ষা কবে শেষ তোর?আর কয়টা আছে?
— হু?
রিতীর ডাকে ছুটি হুস ফেরে। এতোক্ষন সে হোটেলের প্রত্যেকটা ডেকোরেশন পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ছুয়ে ছুয়ে পরখ করছিলো। মুখ থেকে একটাই কথা বেরিয়ে আসে
” কি সুন্দর!”
রিতী হেসে বলে,
— আমার শ্বশুর বাড়ি এর থেকেও সুন্দর।
— সত্যিই? কবে যাবো দেখতে?
— যাবিনা।
— কেনো?
— আমি যাবোনা তাই।
— কেনো?
— পড়াশোনা শেষ করবো। তারপর শ্বশুরের কোম্পানিতে বসবো। কাজ বাজ সব বুঝে নিবো। বিষয় আশয় সবটাই বুঝে নিবো। তারপর আমি হয়ে যাবো কোটিপতি। টাকার উপর শুয়ে পুরো জীবন কাটিয়ে দিবো।
— আর তোমার সংসারের সপ্ন? সেটা পূরণ করবেনা? কি বলছো আপু? আমি খালামনি হবোনা?
— সেসবের দায় কি আমার?
— বাবা কোনদিন দুলাভাইকে মেনে নিবে না।
— আমি কি করবো? এসব তাঁদের বিষয়। আমার আপাতত লক্ষ্য আমার শ্বশুরের সম্পত্তি রক্ষা করা। যেভাবেই হোক তার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমি পৌঁছে দিবো। এর বাইরে যদি আমার কিছু পাওয়ার থাকে পাবো নয়তো আমার এতেই চলবে।
ছুটি চোখের পলক ফেলে। অবাক হয়ে বলে,
— আপু তুমি কি তাহলে লোভী হয়ে গেলে?
রিতী ছুটির কথায় হো হো করে হেসে উঠে। মাথায় গাট্টি মেরে বলে,
— লোভ কি রে? ঐ একটু খানি লোভ সবাই করে। আমিও করেছিলাম। পেয়েছিও। আধো আধো। পুরোটা না। এখন লোভ করলাম একটা ধরা দেয় যদি অন্যটা তাহলে আমি কি করবো বল?
— তোমার কিসের লোভ আপু?
— তোর যাতে লোভ আমারো তাতে লোভ।
মিনিট খানেকের মধ্যেই ফুঁপিয়ে উঠে ছুটি। রিতীর বুকে হামলে পরে।
— আমি আবার প্রেমের বীষে নীল হতে যাচ্ছি আপু। আগের বার তেমনটা মনে হয় বুঝে উঠতে পারিনি। এবার আর আমি বাঁচবো না আপু। আমি বাঁচতে চাইলেও পারবোনা। আমাকে মাফ করে দিও।
— কান্না থামা। আগেই বলেছিলাম দূরে থাক।শুনলিনা।
— তুমি তাও যতক্ষন চাও ততোক্ষন ই পাও। মনের মতো করে দুলাভাইকে ভালোবাসো । আমি তো শূণ্য আপু। কেনো এতো যন্ত্রনা? বউ হতে গেলে সংসার করতে গেলে কি লাগে আপু? বয়স কোন ফ্যাক্ট? মন মানসিকতা কি আমার নেই? কাজ বাজ করতে করতেই তো মানুষ শিখে ফেলে। আমি কেনো পারবোনা?
— তো কি রিস্ক নিতে চাস? বলে দে তাহলে। ভালোবাসলেই এনাফ আর যদি মান্য করার ইচ্ছা থাকে আর কিছুই ইমপর্টেন্ট না।
— সেজন্য ই তো এতো গুলো কথা শুনতে হলো।
— বলেছিলিস?
— আমি আমার ভেতরে আর রাখতে পারিনি আপু। চিরকুট লিখে বালিশের পাশে রেখে আসছি। সেজন্য বাঁধন ভাই আমাকে অন্যভাবে বুঝিয়ে দিলো আমি ছোট। আমার বয়স হয়নি। বিয়ে সংসার এসবের মনমানসিকতা তৈরী হয়নি। প্রেম করতে চায় ক্যারেক্টারলেস মেয়েরা।
— বাঁধন ভাই তাহলে জেনে গেছে তোর মনের কথা।
— হ্যা। জেনেই তো এসব বললো।

ওয়াসরুমের দরজা খোলার শব্দে ছুটি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। উদোম গায়ে সোহাগকে দেখে বেশ লজ্জা পায়। সোহাগ ছুটিকে দেখেই টেনে ডাকে
— ছুট্টি…রা..নী!!
রিতী টি শার্ট টা সোহাগের দিকে ছুঁড়ে দেয়।
— টি শার্ট পড়ো। তোমার ছুটি রাণী লজ্জা পাচ্ছে।
সোহাগ হো হো করে হেসে উঠে। ছুটির সামনে দাঁড়িয়ে টি শার্ট পড়তে পড়তে বলে,
— দেখলে ছুট্টি রাণী? তোমাকে বাধলাম বলেই আজ সাতদিন তোমার বোন আমার সাথে। সেদিনের জন্য আমি একটু অনুতপ্ত নই বুঝলে?
ছুটি রিতীর দিকে তাকিয়ে বলে,
— আপু তুমি সুন্দর হয়ে গেছো।
— শুকিয়ে নাকি কাঠ হয়ে গেছি তোমার দুলাভাই বলে। সারাদিন এত্তো এত্তো খাওয়ায়।
— হয়েছিলে তো কিছুদিন আগে। এখন সুন্দর লাগছে।
সোহাগ ফোড়ন কাটে।
— শ্বশুর আব্বা কে বলো আমার কাছে মেয়েকে একেবারে দিয়ে যেতে। আদর খাইয়ে এমন সুন্দরী বানাবো.. আকাশের চাদটাও হিংসে করবে।
— তুমি খুব ভালো আছো তাইনা আপু?
— হোটেল ছাড়ার আগ পর্যন্ত।

রিতী সোহাগকে মুখের দিকে তাকিয়ে ছুটির চোখ আবার ভিজে উঠে। সোহাগ ছুটির সামনে বসে বলে,
— তোমার তো দেখি কপাল খুলতে চলেছে। বাঁধন ভালোই সিরিয়াস। কান্না চলে কেনো তবে?
ছুটি ডানে বায়ে মাথা নাড়ায়। পরমুহূর্তেই ডুকরে কেঁদে উঠে। রিতী ছুটির কাঁধ ধরে আছে। এইটুকু বয়সে এতোটা কষ্ট একমাত্র বোনের সামনেই প্রকাশ করে। এবার এড হয়েছে সোহাগ। এদের কাছেই মনের যত কথা উগলে দিতে দুবার ভাবতে হয়না। বাকি সবাই করে সুযোগ এ সদ্ধ্যবহার।
— এভাবে কাঁদলে হবে? ছুট্টি রাণী! তোমাকে রাণী বলি কি এমনি এমনি? রাণীর মতো পছন্দের জিনিস কে নিজের করে নাও।
— বাঁধন ভাই আমাকে…. আমাকে… আমি আর কখনো ভালোবাসার দাবী নিয়ে দাঁড়াতে পারবোনা দুলাভাই। আমি যেমন চুপিসারে তাঁকে আমার হবার আহ্বান জানিয়েছি তিনি তেমন ভাবেই কৌশলে আমাকে আমার জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছে। এরপরেও যদি আমি মুখোমুখি হই সেটাতে প্রকাশ পাবে আমার নির্বুদ্ধিতা। আমি যে আরো অযোগ্য হয়ে উঠবো। তাকে ভালোবাসি মুখে বলার সুযোগটাও হারালাম। আমি আর সে বাসায় যাবোনা। পরের একটা পরিক্ষাই এখানে থেকেই দিবো।
— তা দাও কিন্তু আমার মনে হয় তোমার একবার সরাসরি ভালোবাসার দাবী নিয়ে তার সামনে দাঁড়ানো উচিত। ভালোবাসায় আত্মসমর্পণ করা উচিত। যদি আত্মসম্মানের ভয়ে দূরে সরে থাকো তাহলে কখনো ভালোবাসা পাবেনা। প্রয়োজন হলে জোর করবে। পায়ে ধরবে। তবুও মানানোর চেষ্টা করো।
রিতী বাঁধা দেয়।
— কি বলছো এসব ওকে? হিতে বিপরীত হবে।
— হলে হবে। এমনিতেই চুপ থাকলে যে বাঁধন ওকে ভালোবাসবে সেটা তো আর না? ছুটি রাণী! ভেবে দেখো। একবার হারিয়েছিলে। ভাগ্য ভালো থাকায় আবার তোমার সুযোগ এসেছে। এবারো কি ছেড়ে দিবে? যদি তাই চাও তাহলে এতো কান্না কিসের? বাঁধনকে পেতে হলে এটাই তোমার সুযোগ। এরপর কি আবার ঢাকা আসতে পারবে? কতদিন পর আসবে? ততোদিন কি বাঁধন ব্যাচেলর থাকবে?
— তাই বলে গিয়ে ছেচড়ামো করবে? বাঁধন ভাই এক ধমকে বসিয়ে দিবে। থাপড়িয়ে কানের গোড়া লাল করবে।
— সমস্যা নেই তো। আমি করিনি ছেচডামো? মাইর খাইনি তোমার হাতের? তো ওও খাবে।

শেষ পরিক্ষাটা রিতীর কাছে থেকে দিলেও তাকে আবার বাঁধনের মুখোমুখি হতে হবে। ছানোয়ার আসবে নিতে। সোহাগ বার বার ছুটিকে বলছে বাঁধনের সাথে কথা বলতে। ছুটি সাহস পাচ্ছিলোনা। তবে এবার মনের মধ্যে সাহস সঞ্চার করে ই যাচ্ছে। রিতীও হলে চলে যাবে। হিযাপটা বেঁধে নিয়ে লাগেজটা দরজা অব্দি এগিয়ে আসে। বিনে মদের বোতল দুটো রাখতেই কচ করে উঠে। রিতী উঁকি দিয়ে এক পলক দেখেই নাক ছিটকে উঠে।
— আপু দুলাভাই আবার মদ খাওয়া শুরু করেছে?
— ছাড়লো কবে যে শুরু করবে?
— তাই বলেন এখানেও খাবে তোমার সামনে। আর তুমি সেটা এলাও করলে?
— যারা আসক্ত তাঁদের একটু হলেও খেতে নয়। নেশা উঠলে হুস থাকে না। আমি বলেছি আস্তে আস্তে ছেড়ে দিবে।

সোহাগের মুখটা গোমড়া হয়ে আছে। চোখে টলমল করছে জল। রিতীর কাছে গিয়ে অসহায় হয়ে বলে,
— না গেলে হয়না? এখান থেকেই ক্লাস করতে পারো। হলে যাবার দরকার হবেনা।
— অনেক দূর। সম্ভব কি? টিউশন আছে রেগুলার।
— টিউশন ছেড়ে দাও। কত টাকা লাগবে আমি দিবো আর কষ্ট করতে হবে না।
— আছে! রোজগার করে আমাকে টাকা দেবার ক্ষমতা?
এই একটা কথাই যথেষ্ট। সোহাগকে আশা ছেড়ে দিতে হলো। আর সম্ভব না।

বাঁধনকে ছাদে দেখেই ছুটি সিড়ির দরজা লাগায়। এক বুক সাহস নিয়ে বাঁধনের সামনে দাঁড়ায়। বাঁধন ছুটি কে দেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসে। বাঁধনকে দেখেই উপচে আসতে চাইছে চোখের জল। আজকাল একটুতেই বেরোতে চায়। ছুটি কন্ট্রোল করতে পারেনা। বাঁধনের দৃষ্টি সেই চোখে। চোয়াল শক্ত করে নির্লিপ্ত ভাবে তাকিয়ে আছে। বাঁধন গলা খাঁকারি দিয়ে উঠতেই সোজা প্রশ্ন করে,
— বাঁধন ভাই আপনি কি সত্যিই বিয়েটা করবেন?
— করবো।
— মেয়েটা ভালো না। আগে প্রেম ছিলো।
— আমার মতো আগে বিয়ে তো হয়নি! অবিবাহিত মেয়ে আমার কপালে জুটবে না।
— কেনো? আমি আছিনা? আমাকে চোখে পড়ে না? ভালোবাসি আপনাকে। আপনি কি বোঝেন না?
— চোখের পানি মুছ ছুটি। আমি তোর জন্য না।
— কেনো না? আপনার মতো ভালো মানুষ কে আছে দেখান দেখি? আপনার মতো দায়িত্ব নিতে কজন পারে শুনি?আমি জানি আমি কখনোই আপনার কাছে থাকলে অসুখী হবোনা।‌
— আমি চাইনা তুই আমার কাছে থাক। ইভেন কেউই চায়না। সবার আগে তোর পরিবার ই চাইবেনা। আমার সাথে তোর যায়না ছুটি। তোকে ছোট থেকেই ঝিমার পাশে স্থান দিয়ে এসেছি। মনের পাশে না।
— এখন দিতে কি সমস্যা?
— ছেলেদের বিয়ের বয়স কখন জানিস?২১ বছর। সঠিক বয়সে বিয়ে করলে তমালের মতো আমারো একটা সন্তান থাকতো। তোকে মানাতো তার জেঠাতো বা মামাতো বোন হিসেবে। আরেকটু সহজ করে বলি তোর বাবা আর আমার তেরো বছরের ডিফারেন্স। বড় ভাই ছোট ভাইয়ের নরমালি এমন ডিস্টেন্স ই থাকে। সঠিক বয়সে বিয়ে করার দরুন তোরা এতো বড় বড়। বুঝতে পারছিস আমি কি বলছি? তোর আর আমার গুনে গুনে পনেরো বছরের ডিফারেন্স। যে ডিফারেন্সে আমি তোর বাবাকে কাকা ডাকি তার থেকেও বেশি।
— বয়স ই সব বাঁধন ভাই?
— না । আরো অনেক ব্যাপার আছে। আমাকে তুই ভালোবাসিস ভাইয়ের মতো ভালোবাস। এতে কেউ বাধা দিতে আসবেনা। এখন যদি তুই আমাকে লাইফ পার্টনার হিসেবে ভালোবাসিস তাহলে কে তোকে সাপোর্ট দিবে? সবার আগে তোর বাবাই তো বাগড়া দিবে। সমাজে কোন চোখে দেখবে? আমার মা যে রুপধারী… তাকে তো চিনিস। জায়গা হবে তোর এই বাড়িতে?সব থেকে বড় কথা আমিই তো মানতে পারবো না। তোর প্রতি আমার একটা সফট কর্ণার আছে সেটা তো আমি অস্বীকার করছি না। তাই বলে আবেগে তো গা ভাষাতে পারিনা। একটা হাঁটুর বয়সী কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করে তার জীবন নষ্ট করার মতো নিচু লোক আমি না। আবেগে গা ভাসানোর সময় তোর। আমিতো তোর মতো হতে পারিনা।
— এটা আমার আবেগ না।
— কাকা আসলে বাড়ি চলে যা। দু তিন টা বছর সময় দে। যখন বুঝতে শিখবি তখন নিজেই হাসবি এসব ছেলে মানুষীর কথা ভেবে।
— আমি ছেলেমানুষী করছি না। তুমি আমার আবেগ না বাঁধন ভাই। কোনদিন ছিলে না। আমি তোমাকে ভালোবেসেছি। একটু একটু করে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছি। কম বয়স বলে যে আমার মনে শুধুই আবেগ জম্মাবে ভালোবাসা জম্মাতে পারবেনা তা তো না।
— বড্ড কথা শিখেছিস ছুটি। কান্না কাটি থামিয়ে যা নিচে যা।
— তোমার পায়ে পড়ি বাঁধন… আমাকে ফিরিয়ে দিওনা। একবার তোমাকে হারিয়ে ফিরে পেয়েছি। আমি আবার হারাতে পারবোনা । আমার ভীষণ কষ্ট হয়। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না। সত্যি করে বলতে পারবে? তুমি আমাকে নিয়ে একটুও অন্যরকম কিছু ফিল করোনা?
— তুই তো কথা বুঝার মানুষ না ছুটি… যা নিচে যা এক্ষুনি। কেউ জানতে পারলে আমাদের ফ্যামিলির বন্ডিং এখনি নষ্ট হয়ে যাবে । দোষারোপ করা হবে তোর বাবা মাকে। বুঝার চেষ্টা কর ছুটি। নিচে যা।
ছুটি বাঁধনের পা জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে। বাঁধন নড়ে না। রাগ করতে চেয়েও পারে না। বাঁধন খেয়াল করে তার চোখ ও ভিজে উঠছে। ছুটির ক্ষমতা দেখে বাঁধন শুকনো হাসে। কি তেজ এইটুকু মেয়েটার! বাঁধনের মতো শক্ত পোক্ত মনটাকে ও নাড়িয়ে দিয়েছে। অস্থিরতার কারণ হয়েছে। বুকে ব্যথার সঞ্চার করেছে। চোখে জল এনে ছেড়েছে। তবে এই সব কিছুর উর্ধ্বে যেটা আছে সেটাতো বাঁধন এড়িয়ে যেতে পারেনা। কিশোরী বয়সে সবাই টুকটাক এমন ভুল করে। ছুটি যখন বড় হবে তখন নিশ্চয় এই আবেগটা আর থাকবেনা। এখন ছুটিকে পশ্রয় দিলে অনেক বড় ভুল হয়ে যাবে। পরবরর্তীতে মনে হতেই পারে যে একটা বুড়ো লোকের সাথে নিজের জীবনটা জড়িয়ে মস্ত বড় এক ভুল করে ফেলেছে। চলার পথে হাজার হাজার ছেলের সাথে হাত মেলাবে। নিত্য নতুন যুবকের রশ্নিতে নিজেকে আলোকিত করতে চাইবে। বাঁধা হবে এই অসম সম্পর্ক টা। তিক্ততা ছুঁইয়ে যাবে রন্ধে রন্ধে।এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসার জন্য জান প্রাণ দিয়ে ছুটাছুটি করবে। প্রতি মুহূর্তে ই মনে হবে এই সম্পর্ক আমাদের দুজনের জন্য না। বাঁধন নিজে ছুটিকে স্টেশন অব্দি এগিয়ে দেয়। ছুটি হয়তো দু একদিন কান্নাকাটি করবে তারপর নিশ্চয় তার জীবন রাঙাতে নতুন কেউ এসে হাত ধরবে। অসম সম্পর্ক হবার সমতা খোঁজার চেয়ে অন্ধ হয়ে পথ চলা সহজ।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here