#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব৪১
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
জার্মানির ছোট্ট একটা শহরে বেড়ে উঠা নওশাদ বারির আদরের দুলালি, একমাত্র কন্যা অধরা নওশাদ বারি যে বাল্যকাল থেকে খুব সাধারণ জীবন যাপনের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিল। নরমাল জীবন ছিল। বাবা মায়ের ভালোবাসা আর নিজের ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নগুলোকে বুকে ধারণ করে রাজকন্যার ন্যায় সুখের সমুদ্রে ভেলা ভাসিয়েছিল অথচ সময়ের ব্যবধানে সেই ছোট্ট মেয়েটা আজ সুলতান পরিবারের বউ। সুলতান জুবায়ের ফারুকীর অর্ধাঙ্গী আর সুলতানা কহিনুর ফারুকীর মাতা। সেই সাধারণ মেয়েটা এখন আর সাধারণ নেই। অজান্তেই পিতা মাতার স্নেহের আচল মাথার উপর থেকে সরে গিয়েছিল আর বুঝতে শিখেছিল স্বামী শশুর বাড়িই ওর একমাত্র আপনার স্থান। কিন্তু নিয়তির অমোঘ দোষে মেয়েটা ক্রমান্বয়ে জানতে পারলো দীর্ঘ একটা বছর যার সঙ্গে ও সংসার গড়েছে সে মোটেও ওর নিজের না। লোকটা স্বার্থের জন্য ওকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছে। লোকটা অন্য নারীতে আসক্ত। নারীরা যতই কোমল হৃদয়ের হোক নিজের স্বামীর ভাগ দিতে সে নারাজ। তবুও অধরা সেটা মেনে নিয়েছিল শুধুমাত্র সুলতান পরিবারের রহস্য উৎঘাটন করতে গিয়ে। শাশুড়ির হঠাৎ মৃ/ত্যু সঙ্গে ওর উপরে করা স্বামীর নির্যা/তন সব মিলিয়ে ভেঙে পড়া অধরা নামের মেয়েটা নিজেকে স্বাভাবিক রাখে। নিজে আর নিজের সন্তানকে বাঁচাতে উপাই খুঁজতে থাকে। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে কিছুদিনের মধ্যে স্বামীকে খারাপ রাস্তা থেকে ফিরিয়ে এনে ভালোবাসা সমুদ্রের অবগাহন করে নিয়েছিলো । তবুও বিপদ যেনো পিছু ছাড়ে না। ক্রমাগত কালো যাদুর প্রভাব আর কাছের মানুষদের খারাপ রূপ ওদের সামনে আসতে শুরু করে। মেয়ে আর স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে জুবায়ের নিজে কঠিন বিপদের সম্মুখে পড়তেও পিছপা হয়নি। সকলের অগোচরে বাংলাদেশের পাঠিয়ে দিয়েছিল। অতৃপ্ত ভালোবাসাকে পদলিত করে অধরা অচেনা পরিবেশে পাড়ি দিয়েছিল। এর মধ্যে হাজারো রহস্য ওদেরকে ঘিরে রেখেছিল। অর্ধমানব যারা সুলতান পরিবারের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল এরা কারা,এদের পরিচয় কি অধরা কিছুই তখন জানতো না। অভিশপ্ত সুলতান পরিবারের মেয়েরা এই অর্ধমানবদের সঙ্গী রূপে গ্রহণ করে জীবন্ত নরকভোগ করেছিল। অধরা চেয়েছিল এসবের সমাপ্তি ঘটুক। তার জন্য প্রয়োজন ছিল কহিনুরের। যার হাত ধরে সুলতান পরিবার চিরমুক্তি পেতে চলেছে। শুভ্র শক্তির প্রকাশ ঘটে কালো শক্তি বিলীন হয়ে যাবে কালের গর্ভে। কথাগুলোই জামসেদ এতোক্ষন মীরাকে বলছিলো। মেয়েটা গভীর মনোযোগ দিয়ে সবটা শুনে বলল,
> অধরার ভীষণ সাহস তাইনা? যেটুকু ভালো হচ্ছে সবটা ওর জন্য। পৃথিবীতে বিশ্বাস এখনো বেঁচে আছে। আল্লাহ সহায় ছিল নয়তো জুবায়ের কিভাবে ভালো পথে চলে আসলো বলুন? কালো শক্তির থেকে মুক্তি পাওয়া যেখানে কঠিন।
জামসেদ মিরার কথা শুনে হাসলো। ওর হাতদুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু দিয়ে বলল,
> কয়েকদিনের মধ্যেই অধরা বুঝেছিল জুবায়ের খারাপ না। ওকে বশে রাখা হচ্ছে। মেয়েটা চালাকি করে জুবায়েরের খাবার পরিবর্তন করে দিতে শুরু করে। এখনো পযর্ন্ত জুবায়ের বা কহিনুর ওর রান্না ছাড়া খাইনা।
মীরা মলিন হেসে জামসেদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলল,
> কতগুলো দিন আমাদের জীবন থেকে নষ্ট হলো। এসবের পেছনে কে আছে ওদের আসল উদ্দেশ্য কি সেটা জানতে পেরেছেন? একটা বিষয় খেয়াল করেছেন দাদুর বয়স কেমন স্থির হয়ে আছে। আগেও যেমন ছিল এখনো তেমন। সন্দেহ হয়না?
জামসেদ মীরার কথার উত্তর করলো না। ওকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
> তোমাকে ওসব নিয়ে ভাবতে হবে না। তুমি শুধু আমাকে নিয়ে ভাবো। এতগুলো বছরের জমিয়ে রাখা পাহাড় সমান ভালোবাসাকে তুমি কিভাবে গ্রহণ করবে আর আমাকে ফিরিয়ে দিবে ভেবেছো একটা বার?
মীরা লজ্জা পেয়ে গেলো জামসেদের কথা শুনে। মনের মধ্যে থাকা প্রশ্ন আর কৌতূহল মূহুর্ত্তের মধ্যে এলোমেলো হয়ে এক রাশ লজ্জা এসে হানা নিলো মীরা সর্বাঙ্গে। জামসেদ হাসলো। মেয়েটাকে চিন্তিত দেখতে ওর ভালো লাগে না। তাছাড়া ভালোবাসা ছাড়া একটা মূহুর্ত কাটানো মানে ভয়াবহ রকমের ক্ষতি করা। মীরাকে ও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিয়েছে। যতটুকু সময় বাঁচবে মেয়েটাকে ও ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই চাওয়ার শেষ নিশ্বাস পযর্ন্ত মেয়েটাকে বুকের মধ্যে নিয়ে বাঁচে।
******************
ক্ষণেক্ষণে বিদ্রুৎ চমকাচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। পাথর বেলালকে নিয়ে গাড়িতে চেপে বসেছে। ছেলেটার জ্ঞান নেই। পাথর চোখ বন্ধ করে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে ছেলেটার শরীর থেকে আগাতের চিহ্ন মিলিয়ে দিয়েছে। পাথর চাইছে না ওর জ্ঞান ফিরে আসুক। নানারকম প্রশ্ন করবে সেট শুনতে ওর মোটেই ভালো লাগবে না। নিজের প্রিয়তমার হাতে প্রিয় একজন মানুষের হ/ত্যার চেষ্টা হয়েছে মানত ও নারাজ। এতো লোকজন রেখে মেয়েটা বেলালকে কেনো টার্গেট করেছে বিষয়টা রহস্যজনক। পাথর বেলালকে নিয়ে ওর ফ্লাটে রেখে আসলো। এখানে ওর বয়সী একজন ছেলে আছে যার সঙ্গে ও ফ্লাট শেয়ার করে থাকে। সব কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ওর আরও খানিকটা সময় লেগে গেলো। অর্ধভেজা অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে রুমের ঢুকতেই তফসিলের সঙ্গে ওর দেখা হয়ে গেলো। পাথর ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল,
> কিছু বলার আছে?
তফসিল কিছু একটা ভেবে বলল,
> কহিনুর বাড়িতে নেই। মেয়েটা ফিরছে না দেখে চিন্তা হচ্ছে। তোমার নাম্বার বন্ধ ছিল তাই বলতে পারিনি। একটু দেখবে ও বিকেলে বেরিয়েছে। আন্টি চিন্তা করছিলো।
পাথর থমকে গেলো। চোখ বন্ধ করে বেলালের উপরে হওয়া এটাকের কথা ভেবে হাতের মুঠো শক্ত করে উত্তর দিলো,
> যেখানে আছে নিশ্চয়ই ভালো আছে। একা থাকতে চাই আশাকরি এইটুকু সুযোগ পাবো আমি? তাছাড়া আমার কক্ষে বাইরের নারীদের প্রবেশ নিষেধ।
তফসিল থতমত খেয়ে বেরিয়ে আসলো। কহিনুর ওর প্রতিদ্বন্দ্বী তবুও আজ ওর জন্য চিন্তা করছে দেখে পাথর কিছু একটা ভেবে ফ্রেস হয়ে আসলো। খোঁলা জানালা দিয়ে শীতল বাতাস এসে সাদা রঙের পর্দাগোলো উড়াউড়ি করছে। পাথর সেদিকে তাঁকিয়ে হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের ভার ছেড়ে দিলো বাতাসে। বারবার কহিনুরের চেহারা ওর চোখে ভেসে উঠছে।। মূহুর্তে রাগে ওর কপালের রগ খাড়া হয়ে উঠলথ। পাথর রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষমেশ রক্ষা পেলো না। ক্রমাগত চেহারা পরিবর্তন ঘটছে। শরীরে হাড্ডিগুলো কটমট করে যন্ত্রণা করে উঠলো। চামড়া ভেদ করে কিছু একটা বেরিয়ে আসতে চাইছে। শরীরের পশম বৃদ্ধি পাচ্ছে পিঠের মেরুদণ্ডের হাড় ভেদ করে পালক গড়িয়ে উঠলো ক্রমশ সেটা লম্বা আকার ধারণ করলো। শরীরের একটা অংশ হিং/স্র প/শুর মতো আর আর মাথা সমেতো হাতদুখানা মানুষের আকৃতি নিয়েছে। দেখতে বড়ই অদ্ভুত সেই আকৃতি। পাথর বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উড়তে শুরু করলো। মন মস্তিষ্কের একটা অংশজুড়ে শুধু শূন্যতা বাকীটুকু কহিনুর আর খান পরিবারের সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক বাসা বেধেঁছে। প্রতি/শোধের নেশায় চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। সেখানে চেপে আছে শুধু খু/নের নে/শা। নারী পুরুষ সেখানে অর্থহীন। সমুদ্রের তীরে এসে ও থমকে গেলো। দূরে কহিনুর দাঁড়িয়ে আছে সঙ্গে সাঈদ নামের ছেলেটা। পাথর রূপি অর্ধমানব সোজা গিয়ে কহিনুরের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে হুঙ্কার ছাড়লো। কহিনুর বাঁকা হেঁসে সাঈদকে ইশারা করলো দূরে সরে যেতে। ছেলেটা তাই করলো। কহিনুর এবার মুখ খুললো,
> নারী লো/লুপ হিং/স্র অর্ধমানব আপনাকে আমার জীবনে স্বাগতম। এভাবেই আসবেন তাঁতে সম্মুখ যু/দ্ধে আমি মনোবল পাবো। ভোল বদলে গেলে আপনার ধারালো দৃষ্টিতে আমি আহত হয়ে যায়। আপনার সঙ্গে আমার তুলনা করতে কষ্ট হয়। এভাবে আসলে আর হবে না।
কহিনুরের বলা শব্দগুলো সমুদ্রের পৃষ্টের প্রতিধ্বনি হয়ে ঘুরতে লাগলো। পাথরের শরীর আবারও কেমন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। মূহুর্ত্তের মধ্যে ও আবারও নিজের রূপে ফিরে এসে চোখ বন্ধ করলো। শরীর দুর্বল লাগছে। শক্তিটা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যেভাবেই হোক একটা ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর আগে কহিনুরের সামনে দাড়ানো অবশ্যক। পাথর কথাগুলো ভেবে কহিনুরের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে হালকা চাপ দিয়ে বলল,
> বাড়িতে চলো তোমার খামখেয়ালী আমি সহ্য করবো না। বেলালকে আহত করে কি ভেবছিলে নিজের রাগ মিটিয়ে আমাকে একা করে দিবে? কখনও পারবে না। আমি ঢাল হয়ে রক্ষা করবো। আর কিছুক্ষণ আগের বলা কথাগুলো ফিরিয়ে নাও। পাথর কখনও নারী লো/লুপ ছিল না। আর না এখন আছে। কখনও হবেও না। তোমার সঙ্গে আমার যুদ্ধ সেটা কক্ষের বাইরে আসতে আমি দিবো না। স্বামী স্ত্রীর বিষয়টা অন্দরেই শোভনীয়। তাছাড়া শত্রুতা হয় পরের লোকের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে না। আমি ইচ্ছে করলে এই মূহুর্ত থেকে তোমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতেই পারি। নিজের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে আপনার থেকে আপন করতে জানি কিন্তু করবো না। আমি ভালোবাসা চাই ঘৃণা চাইনা। এবার থেকে কিছু বলতে চাইলে বুঝে শুনে বলবে।
পাথর একদমে কথাগুলো বলে থামলো। মেজাজ চরম থেকে চরম খারাপ হচ্ছে। কহুকষ্টে রাগ নিয়ন্ত্রণ করেছে। ভেবেছিল কখনও আর পশুর রূপে নিজেকে প্রকাশ করবে না কিন্তু কথা রাখতে পারেনি। তাছাড়া কহিনুরের বলা প্রতিটা কথা ওকে আঘাত করেছে। যে মেয়েটা নিজে জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত সে কিভাবে ওকে দোষারোপ করতে পারে?অবান্তর বিষয়। ওকে ভাবতে দেখে কহিনুর শব্দ করে হেসে উঠে বলল,
> কহিনুর না চাইলে কিচ্ছু হয়না। যা ইচ্ছে চেষ্টা করতে পারেন শুধুমাত্র নূরের চুল ছুয়ে দেখান। যাইহোক অযথা লেকচার দিলেন। সুলতানা কহিনুর ফারুকীকে চিনতে আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমার প্রতিটা নক একটা করে ধা/রালো খ/ঞ্জর। মে/রে বালি চা/পা দিতে দুবার ভাববো না। এখানে কোনো এসেছেন?
পাথর রাগে ফুলতে ফুলতে উত্তর দিলো,
> বোঝাপড়া করতে। কেনো মারলে বেলালকে?
কহিনুর হাসলো। সমুদ্রের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে উত দিলো,
> বলবো না আপনি খুঁজে বের করুন। নিশ্চয়ই কারণ আছে। এবার কার পালা আসছে ভাবুন। কিভাবে বাঁচাবেন তাঁকে?
কহিনুরের কথা শুনে পাথর হতভম্ভ হয়ে গেলো। মেয়েটা উন্মাদ হয়ে খেছে। কিভাবে এসব করছে? ওকে এসব বলে ভয় দেখানো হচ্ছে নাকি সত্যি সত্য মেরে দিবে ভেবে ও ভয় পেলো।নিজের জন্য না আশেপাশের প্রিয়জনের জন্য খারাপ লাগছে। পাথর শঙ্কিত হয়ে ফিসফিস আওয়াজ করে বলল,
> এরকম কিছু করবে না তুমি। আমিও দেখবো কিভাবে তুমি এসব করতে পারো।
পাথর ওর হাতের কব্জি ধরে টানতে টানতে সামনে এগিয়ে গেলো। আপাতত ওকে বাড়িতে নিয়ে জিঞ্জাসা করা হবে।
********
বেলাল একদম সুস্থ হয়ে উঠেছে তবে ভালো খবর যে ছেলেটার সেদিনের বিষয়টা একদম মনে নেই। ভুলে গেছে। পরদিন থেকেই একভাবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে পাথর কহিনুরকে চোখে চোখে রাখতে শুরু করেছে। কোথায় কাকে মেরে বসে থাকে বলা যায় না। পাথর অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে ও কাউকে দেখতে পেলো না । ছুটে কক্ষে গিয়ে ফ্রেস হয়ে বাইরে থেকে কিছুর আওয়াজ শুনে ও থমকে গেলো। তফসিল ফ্লোরে পড়ে আছে।ওর শরীরে আঘাতের চি/হ্ন। পাথর কিছু না ভেবে ওকে স্পর্শ করতে চাইলো কিন্তু তফসিল হাত উচু করে নিষেধ করলো। পাথর বুঝতে পারলো। নিজের উপরে নিজের রাগ হচ্ছে। কহিনুরের উপরে ডাবল রাগ হচ্ছে। পাথর ওর দিকে মন্ত্র উচ্চারণ করে বলল,
> ঠিক হয়ে যাবে একটু শান্ত হও। আগে বলো এসব কিভাবে হলো।
তফসিল পেট থেকে খঞ্জ/রটা বের করে বলল,
> আমার এই অবস্থার জন্য তোমার অর্ধাঙ্গী দোষী। তোমার প্রাণ বাঁচানোর জন্য এই উপহার দিলে? ওকে বলে দিও আমার মৃ/ত্যু এতো সহজে হবে না।
কথাটা বলে ও নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো। পাথর চটে আছে ভীষন। কহিনুরকে এর জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে। কথাটা ভেবে ও চোখ বন্ধ করলো।
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।