# আরশিযুগল প্রেম
# লেখনীতে — নৌশিন আহমেদ রোদেলা
#পর্ব — ৩৮
ঢাকায় ফেরার পর দেখতে দেখতেই কেটে গেল প্রায় একটা মাস। সাদাফের সাথে খুনশুটি, নিস্তব্ধ নদীর পাড়ে উত্তাল প্রেম। ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর সব জায়গাতেই প্রেমময় স্মৃতি ফেলেই কেটে গেল পুরো বর্ষা! ধীরে ধীরেই ঘনিয়ে এলো আনিমুল হকের দেশে ফেরার দিন। আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ। শরৎ এর আকাশে সাদা মেঘের উড়ো উড়ি শুরু হয়েছে মাত্র। শুভ্রতা আশা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সরু কাঠগোলাপ গাছটির দিকে। সাদা-হলুদে রাঙা কাঠগোলাপে ছেঁয়ে আছে ছোট্ট গাছটির মাথা। শুভ্রতা মাথার ঘোমটা ফেলে দিয়ে প্রাণ ভরে শ্বাস নিল। সাথে সাথেই বেজে উঠল ফোন। ফজরের নামায শেষ করে অনেকদিন পর ছাঁদে এসেছে শুভ্রতা। ফজরের নামাযের পর সাধারণত ফোন বাজে না তার। তাই সকালের নিস্তব্ধতাকে ছাপিয়ে হঠাৎই ফোনের শব্দে বিস্মিত হল সে। কয়েক সেকেন্ড ফোনের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে নম্র গলায় সালাম দিল। ওপাশ থেকে গম্ভীর গলায় সালামের জবাব নিলেন আনিমুল সাহেব। খানিক থেমে বললেন,
—-” কেমন আছ দিদিভাই?”
আনিমুল সাহেবের ফোন পেয়ে খানিকটা হকচকিয়ে গেল শুভ্রতা। এই দু’মাসের হজ্জ যাত্রায় কখনো শুভ্রতার পার্সোনাল নাম্বারে ফোন দেন নি আনিমুল হক। শুভ্রতা খানিকটা ধাতস্থ হয়ে বলল,
—-” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি দাদু। তুমি কেমন আছ?”
—-” আলহামদুলিল্লাহ।”
এটুকু বলেই থেমে গেলেন আনিমুল সাহেব। তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করে হঠাৎই নাতনীকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছিল তাঁর। বুকে বাজছিল অদ্ভুত এক হাহাকার। কিন্তু নাতনীর কাছে সে কথা প্রকাশ করা চলে না। নিজেকে সবার থেকে খানিকটা দূরে, গাম্ভীর্যতার চাদরে মুড়িয়ে রাখতেই অভ্যস্ত তিনি। হুটহাট সেই খোলস ফেলে নিজেকে মেলে ধরা তাঁর স্বভাব বিরোধী। আনিমুল সাহেব দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বললেন,
—-” এরপরের বার যখন আসব তখন তোমায় সাথে আনব দিদিভাই। সাথে নাতজামাইকেও আনব। আমি ফেরার পর বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই তো দিদিভাই?”
শুভ্রতা কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলল,
—-” না নেই। তুমি ফিরে এলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসব আমি দেখো।”
—-” আচ্ছা।”
শুভ্রতা মৃদু গলায় বলল,
—-” হুম।”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে কাতর কন্ঠে বলে উঠলেন আনিমুল সাহেব,
—-” আর মাত্র পাঁচ/ছয়দিন বাকি দিদিভাই। আল্লাহর ঘর থেকে এবার আর ফিরতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে, কি যেন ফেলে যাচ্ছি। কি যেন ফেলে যাচ্ছি।”
আনিমুল সাহেবের কাতর কন্ঠটা শুভ্রতার কাছে অপরিচিত। আনিমুল হক নিজের কাতরতা খুব একটা প্রকাশ করেন না। শুভ্রতা প্রথম দফায় খানিকটা বিস্মিত হলেও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
—-” কি ফেলে আসছ দাদু?”
আনিমুল সাহেব জবাব না দিয়ে বললেন,
—-” পরের বছর তোমায় সাথে আনব দিদিভাই। সাথে আনব। ভালো থেকো।”
এটুকু বলেই ফোন কাটলেন আনিমুল সাহেব। শুভ্রতা কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎই ভীষণ খুশি হয়ে গেল। চোখে-মুখে খেলে গেল অদ্ভুত এক দ্যুতি। ছাঁদ থেকে খুব দ্রুত নিচে নেমে গেল সে।
ভোর সাতটা বাজে। সাদাফের বানানীর ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা। মাকে হেনতেন বুঝিয়ে সেই ভোরে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে সে। পার্স থেকে এক্সট্রা চাবি বের করে খুব সাবধানে দরজা খুলল শুভ্রতা। একমাস আগে ফ্ল্যাটের চাবিটা সাদাফই দিয়েছিল তাকে। শুভ্রতা দরজা লক করে পার্সটা সোফার উপর রাখল। সারা ঘর আবছা অন্ধকারে ঢাকা। শুভ্রতা পা টিপে টিপে সাদাফের ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। সাদাফ কাঁথা মুড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। গায়ে টি-শার্ট না থাকায় আগলা বুকের আকর্ষনীয় লোমের অনেকটাই শুভ্রতার দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। শুভ্রতা খুব সাবধানে বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। সাদাফের ঘুমন্ত মুখটাকে ছুঁয়ে দেওয়ার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে খানিকটা ঝুঁকে এল সে। কি ভেবে হুট করেই গুটিশুটি হয়ে সাদাফের কাঁথার ভেতর ঢুকে গেল। একদৃষ্টে বেশ কিছুক্ষণ সাদাফের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল শুভ্রতা। সাদাফের বন্ধ চোখ জোড়ার বড় বড় পাপড়ি কুয়াশা ভেজা শিউলি ফুলের মতোই স্নিগ্ধ লাগছে। কালচে লাল ঠোঁটটা মাঝে মাঝেই কেঁপে কেঁপে উঠছে। মাথার এলোমেলো চুলগুলো কপালে এসে পড়েছে। শুভ্রতা সাবধানী হাতে সাদাফের চুলে হাত বুলাল। চুলগুলো পেছন দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের অজান্তেই সাদাফের কপালে উষ্ণ পরশ দিল শুভ্রতা। শুভ্রতার শরীরের গরম ওম পেয়ে ঘুমের ঘোরেই তাকে দু’হাতে শক্ত করে জড়িয়ে নিল সাদাফ। সাদাফ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতেই কেঁপে কেঁপে উঠল শুভ্রতা। সাদাফের এতোটা কাছাকাছি এসেই ভেতরটাই ঢাক-ঢোল পেটাতে লাগল। হৃদপিণ্ড এতো জোড়ে ছুঁটতে লাগল যে শুভ্রতার ভয় হলো এই বুঝি ঘুম ভেঙে যাবে সাদাফের। সাদাফ জেগে থাকলে কখনই সাদাফের দিকে এতোটা গভীর ভাবে তাকাতে পারে না শুভ্রতা। সাদাফ তাকাতেই লজ্জায় মর মর অবস্থা হয় তার। শুভ্রতা তার কোমল হাতটা সাদাফের দু’দিনের শেপ না করা দাঁড়িগুলোর ওপর রাখল। শুভ্রতার ছোঁয়া আর চুলের ঘ্রাণে আচমকাই ঘুম ছুটে গেল সাদাফের। চোখ কুঁচকে জড়িয়ে রাখা মানুষটির দিকে তাকাল। বিস্ময় নিয়ে বলল,
—-” শুভ্রা! তুমি?কখন এলে?”
শুভ্রতা ঠোঁট টিপে হেসে বলল,
—-” সারপ্রাইজড হয়েছ?”
সাদাফ হাতের বাঁধন শক্ত করে শুভ্রতার গলায় মুখ ডুবাল। মাথা নেড়ে বলল,
—-” প্রচুর।”
ততক্ষণে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিকের থেকে বহুগুণ উথাল-পাতাল হয়ে গিয়েছে শুভ্রতার। গলা শুকিয়ে এসেছে। সাদাফের বাঁধন ছেড়ে দূরে সরার চেষ্টাও করেছে কিন্তু লাভ বিশেষ হয় নি। সাদাফের শক্তির সাথে পেরে ওঠা শুভ্রতার ছোট্ট-পাতলা শরীরের কর্ম নয়। শুভ্রতা মৃদু গলায় বলল,
—-” একটা দারুণ খবর আছে। শুনবে?”
—-” হু।”
—-” আজ থেকে ঠিক ছয়দিন পর দাদুর ফ্লাইট। তারমানে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছাচ্ছেন দাদু। দাদু বাড়ি ফিরলেই তোমার কথা বলে দিব উনাকে। দাদু প্রথম কথাতেই রাজি হয়ে যাবে দেখো।”
সাদাফ হাসল। বলল,
—-” বাবা-মাও চারদিন পর ঢাকায় আসছেন শুভ্রা। এবার হয়ত সব ঠিক হবে।”
শুভ্রতা উত্তেজনায় লাফিয়ে উঠল। তাকে আবারও নিজের কাছে টেনে নিতেই খুশি খুশি গলায় বলে উঠল শুভ্রতা,
—-” উফ! আমার তো ভাবতেই আনন্দ লাগছে। এবার আর লুকিয়ে চুরিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে না আমাদের। সবার সামনে প্রেম করব। গলিতে গলিতে আমাদের প্রেমের প্রচার হবে…. পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যাবে মনের ক্যানভাস।”
শুভ্রতার কথায় হুহা করে হেসে উঠল সাদাফ। শুভ্রতা ভ্রু কুঁচকে তাকাল,
—-” কি সমস্যা? হাসছ কেন?”
—-” কই হাসছি?”
—-” অদ্ভুত! হেসে হেসেই বলছ কই হাসছ।”
সাদাফ আবারও হাসল। কাঁথা দিয়ে নিজেদের আগাগোড়া মুড়িয়ে নিয়ে বলল,
—-” আর হাসব না। আজ অফিস নেই, চলো ঘুমাই।”
সাদাফের অবাধ্য হাত অবাধ্য থেকে অসহনীয় রকম অবাধ্য হয়ে উঠতেই মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দিল শুভ্রতা। সাদাফ ভ্রু কুঁচকে বলল,
—-” কি হলো? এতো নড়াচড়া করছ কেন?”
শুভ্রতা একবার লাজুক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সাদাফের বাহুতে ধাক্কা দিয়ে বলল,
—-” উঠো তো। অনেক ঘুমিয়েছ এবার বউয়ের খাবারের বন্দোবস্ত করো। প্রচুর ক্ষুধা পেয়েছে। আজ তোমার হাতের রান্না খাবো।”
—-” আমার ঘুমাতে ইচ্ছে করছে। ছুটির দিন খেতে নেই। চলো ঘুমাই।”
—-” আর আমার খেতে ইচ্ছে করছে। ছুটির দিন এতো ঘুমাতে নেই। চলো খাই।”
সাদাফ হেসে ফেলল। ডানচোখ টিপে বলল,
—-” আচ্ছা খাও।”
সাদাফের কথাটা প্রথম দফায় বুঝতে না পেরে ভ্রু কুঁচকে তাকাল শুভ্রতা। তেতে উঠে বলল,
—-” তুমি দিন দিন অসভ্যতার চূড়ায় উঠে যাচ্ছ।”
সাদাফ আবারও শব্দ করে হাসল। শুয়া থেকে উঠে বসে বলল,
—-” কতক্ষণ আছ?”
_____________________
দুপুর দিকে সাদাফের বাসা থেকে ফিরেই মার পিছু পিছু রান্না ঘরে ঢুকেছে শুভ্রতা। মায়ের কুঞ্চিত ভ্রুকে পাত্তা না দিয়ে এটা ওটা নাড়ছে সে। সাদাফদের বাড়িতে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন মুরুব্বি গোছের মহিলা রান্না, কুরআন শিক্ষা, সেলাই এসবের কথা জিগ্যেস করেছিল তাকে। কুরআন তিলওয়াত করতে পারলেও রান্না আর সেলাই এ শুভ্রতার মার্কস পাঁচের বেশি কখনও নয়। সেই থেকে সেলাই ও রান্না শেখায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সে। যদিও সাদাফ বলেছে এসব শেখা অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তবুও শুভ্রতা শিখবে। সাদাফ জয়েন্ট ফ্যামিলির ছেলে, তার স্ত্রী হিসেবে বছরে একবার দু’বার তো শশুরবাড়ি যেতেই হবে তাকে। শুভ্রতা চায় না এক মুহূর্তের জন্যও কেউ ভাবুক শুভ্রতা সাদাফের যোগ্য নয়। মায়ের সাথে রান্নায় হাত চালিয়ে, রাতের খাবার শেষ করে ক্লান্ত শ্রান্ত শরীরে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই অর্পনের কল এল। শুভ্রতা আলসেমি ভরা হাতে ফোনটা তুলতেই কোনো ভূমিকা ছাড়ায় ওপাশ থেকে বলে উঠল অর্পন,
—-” তুই কি জানিস যে তনুর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে? তনু কাঁদছে।”
এক টানে কথাটা বলে থামল অর্পন। অর্পনের কথাটা কানে যেতেই ভ্রু কুঁচকে এলো শুভ্রতার। চট করে উঠে বসে অবিশ্বাস্য গলায় প্রশ্ন করল,
—-” কী? কী বললি তুই?”
অর্পন অস্থির গলায় বলল,
—-” তনুর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এতোবড় ব্যাপারটা এতোদিন চেপে যেতে পারল তনু? আজ যখন বিয়ের ডেট পড়ে গিয়েছে তখন…”
শুভ্রতা ধমকে উঠে বলল,
—-” কি যা তা বলছিস? পাগল হয়ে গিয়েছিস তুই? তনু কালও আমাদের সাথে আড্ডা দিল। তাছাড়া, ও তো ভাইয়াকে…”
—-” সেটাই তো। এতোবড় কথা একটা বারও আমাদেরকে জানতে দিল না মেয়েটা? এই বোকাসোকা মেয়েটা মিথ্যা হাসি হাসতে শিখে গেল কবে রে?”
শুভ্রতা স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। অর্পনের কথা কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না তার। তনয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে শুভ্রব এখনও বসে আছে কেন? ওদের কি ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে? শুভ্রব কি তনয়াকে ছেড়ে দিয়েছে? না, নিজের ভাইয়ের সম্পর্কে এমনটা কখনই ভাবতে পারে না শুভ্রতা। শুভ্রব এমনটা করতেই পারে না। তাহলে? অর্পনের কথায় ভাবনার সুঁতো কাটল শুভ্রতার,
—-” শুভ্রব ভাইয়া চুপ করে আছে কেন বল তো? এখন আমার নিজেরই কান্না পাচ্ছে শুভি। এই তনুটা যে কেন আগে বলল না। একটা বার আমাদের বলতো! এখন কেঁদে কি হবে?”
এটুকু বলতেই গলা কেঁপে উঠল অর্পনের। শুভ্রতা উত্তর না দিয়েই ফোন কাটল। মাথাটা কেমন ভো ভো করছে তার। শুভ্রবের সাথে তনয়ার সম্পর্ক না থাকলে, তনয়া শুভ্রবকে ভালো না বাসলে এতোটা ভাবতে হত না তাদের। কিন্তু…. আবারও সেই কিন্তুর মাঝেই আটকে গেল শুভ্রতা। পাশে রাখা ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে। ভাইয়ের রুমে উঁকি দিয়ে ভাইকে দেখতে না পেয়ে ছাঁদের দিকে পা বাড়াল। এদিক-ওদিক তাকিয়ে ছাঁদের এক কোণায় কারো ছায়া দেখতে পেল শুভ্রতা। সিগারেটের মৃদু আলোর উঠানামায় ব্যক্তিটি শুভ্রব নাকি শফিকুল সাহেব বুঝে উঠতে পারল না শুভ্রতা। ধীর পায়ে কিছুটা সামনে এগিয়ে গিয়েই বিস্ময় নিয়ে বলল,
—-” ভাইয়া তুই সিগারেট খাস?”
শুভ্রতার বলা কথাটা শুভ্রবের কান পর্যন্ত পৌঁছাল বলে মনে হল না। শুভ্রতা আরো একটু কাছাকাছি এসে দাঁড়াল। গলার জোড় খানিকটা বাড়িয়ে নিয়ে বলল,
—-” ভাইয়া? শুনছিস?”
শুভ্রব খানিকটা চমকে উঠল। ঘাড় ঘুরিয়ে একপলক শুভ্রতার মুখের দিকে তাকাল। মুখ ফিরিয়ে বার কয়েক সিগারেটে টান দিয়ে, সিগারেটটা দূরে ছুঁড়ে ফেলে বলল,
—-” রাতের বেলা ছাঁদে কি? কিছু বলবি?”
শুভ্রবের স্বাভাবিক কন্ঠ শুনে অবাক হল শুভ্রতা। এই মুহুর্তে শুভ্রবের মুখটা দেখার তীব্র ইচ্ছে জাগতে লাগল। জানতে ইচ্ছে করতে লাগল, শুভ্রবের সুপ্ত মনের সত্য সেই কথাগুলো। শুভ্রব কি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছে না? একটুও না?
#চলবে….