গল্প:- সি অফ মারমেইড
লেখায়:- যাবেদ খাঁন আবু বকর
দ্বিতীয় পর্ব
চার.
পানির তলদেশে একটি রাজ প্রাসাদ। রাজ সভায় বসে আছে রাজসভাসদেরা। তারা একেকজন একেক কাজের জন্য নিয়জিত। দুই সারিতে পালংয়ের মতো একটি মধ্য টুলে বসে আছে ২০ জন। সবগুলো আসনেই মৎস মানব দেখা যাচ্ছে। কেবল একটি আসন ফাঁকা হয়ে আছে। তাদের লম্বাটে সারি শুরু হয়েছে রাজ প্রাসাদের রাজসভার প্রবেশদ্বারের কিছুটা দূর থেকে। এবং প্রবেশদ্বারের অপর প্রান্তে একটি রাজ সিংহাসন রয়েছে।
তবে রাজ সিংহাসনের আরেকটু নিচে দুই পাশে দুটি সিংহাসন আছে। তিন সিংহাসনের স্থানটা সম্পূর্ণ হীরা দিয়ে খোদাই করা। এছাড়াও রাজসভায় বাকি সদস্যদের আসনগুলো হীরা এবং স্বর্ণ দিয়ে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে।
রাজ সিংহাসনে বসে আছেন মৎস রাজা অরগাড। তার ডান পাশের সিংহাসনেই বসে আছেন মৎস রানি নিয়ানো। তাদের দুজনকেই বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে। গতকাল ছিল পূর্ণিমার রাত্রি। আকাশে বিশাল একটি থালার মত চাঁদ উদয় হয়েছিল। কিন্তু চাঁদ ডুবে গিয়ে নতুন সূর্য উদয় হতে চলল। রাজা অরগাড চিন্তায় অস্থির হয়ে সবার উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন,
‘ এখনও রাজকুমারী ডায়ানা ফিরছে না কেন? এছাড়া প্রভাতের আলো ফুটতে চলল। সেনাপতি রিবিয়ানেরও তো কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ‘
বাম সারির মধ্যবর্তী অবস্থান থেকে একজন মৎস মানব দাঁড়িয়ে বলল,
‘ রাজকুমারী আর সেনাপতির আবার কোনো বিপদ হয়নি তো?’
এমতাবস্থায় কিছুটা হন্তদন্ত হয়ে রাজসভার প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে রাজকুমারী ডায়ানা এবং সেনাপতি রিবিয়ান। তাদের এরূপ অবস্থা দেখে উপস্থিত সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। কিন্তু সেদিকে ধ্যান না দিয়ে রাজকুমারী ডায়ানা দ্রুত হেঁটে মৎস রাজা অরগাডের বাম পাশের সিংহাসনে বসে যায়। সেনাপতি রিবিয়ানও কোনো কিছু না বলে তার আসন গ্রহণ করেন। রাজা অরগাড রাজকুমারী ডায়ানার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে যাবেন, এমতাবস্থায় নিজ স্থানেই দাঁড়িয়ে বলতে আরম্ভ করলেন সেনাপতি রিবিয়ান,
‘ আমাদেরকে ধরার জন্য অক্টাইসের সৈন্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে ফিরে আসি। এছাড়াও আমাদের চারজন সৈন্য তাদের সাথে যুদ্ধ করতে যেয়ে প্রাণ হারায়। ‘
বেশ রাগান্বিত স্বরে সেনাপতির উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন রাজা অরগাড,
‘ অক্টাইসের সৈন্যরা তোমাদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হলো কী করে? তারা কীভাবে জানল তোমরা সেখানে যাচ্ছ?’ কঠিন হয়ে প্রশ্ন রাখলেন রাজা অরগাড।
মৃদুস্বরে সেনাপতি রিবিয়ান জবাব দিলেন,
‘ এ প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই। তবে আমার মনে হয়, অক্টাইসের সৈন্যরা আমাদের উপর গোপনে নজর রাখছে। ‘
কিঞ্চিৎ অনুরাগযুক্ত কণ্ঠে জবাব দিলেন রাজা অরগাড,
‘ এ অসম্ভব ঘটনা। প্রাসাদের চারপাশে এত সৈন্য থাকার পরেও তারা আমাদের উপর নজর রাখবে বলে মনে হয় না। তবুও সুরক্ষার জন্য শহরে এবং রাজপ্রাসাদের চারদিকে আরও সৈন্য সংখ্যা বাড়াও। ‘
‘ যথা আজ্ঞা মহারাজ। ‘ রাজা অরগাডের কথার জবাবে মাথাটা নিচু করে সম্মান প্রদর্শন করে নিজ আসনে বসে যান সেনাপতি রিবিয়ান।
রানি নিয়ানোর চোখ-মুখে চিন্তার ছাপ। তার দিকে তাকিয়ে কী যেন বুঝে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন রাজা অরগাড,
‘ আজকের জন্য রাজসভার কার্যসিদ্ধি এখানেই শেষ হলো। যে যার বাড়ি চলে যেতে পারেন। আগামীকাল ঠিক সময়ে রাজসভার কার্যসিদ্ধি পুনরায় শুরু হবে। ‘
রাজা অরগাড এই কথা বলেই রানি নিয়ানো এবং রাজকুমারী ডায়ানাকে নিয়ে দ্রুত রাজসভা ত্যাগ করেন। অবশ্য তাদের পিছুপিছু চারজন প্রহরী এসেছে। রাজসভা থেকে একটু ভেতর দিকে গেলেই রাজা অরগাডের বিশ্রাম কক্ষ রয়েছে। রানি এবং রাজকুমারীকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন রাজা অরগাড। উদ্দেশ্য তাদের সাথে আলাপনে সংযোগ হওয়া। আজকের বিষয়টা খুব ভয়ানক ছিল। কোনোভাবে যদি অক্টাইসের সৈন্যরা রাজকুমারী ডায়ানাকে বন্ধি করতে পারত! তবে খুব বড় একটি বিপদ হয়ে যেত। তাই রাজসভায় উপস্থিত লোকেদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপনে চাইতে, পরিবারের লোকেদের সাথে পরামর্শ করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
পাঁচ.
ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হয় রন ইওহার্ড। এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিল! কিন্তু স্বপ্নও কি বাস্তবের মত এত অনুভূতি পূর্ণ হয়! কিন্তু তা কী করে সম্ভব? রনের স্পষ্ট মনে আছে, সে বিষয়গুলো অনুভব করেছে। আমরা স্বপ্ন দেখার সময় অনেকটাই অনুভব করি। কিন্তু তাই বলে সম্পূর্ণই অনুভব করতে সক্ষম নই। হাজার চেষ্টা করেও মাথা থেকে চিন্তার ভূত নামাতে পারছে না। তবুও বিছানায় শোয়া থেকে উঠে বসে যায়। বিছানার দিকে তাকাতেই চোখ কপালে ওঠার উপক্রম। কাল রাতে ফেসবুকে গল্প লিখতে লিখতে প্রায় তিনটা বেজে যায়। অবশ্য সে ফেসবুকে টুকটাক গল্পও লিখে। পাঠক সংখ্যাও আছে মোটামুটি। তবুও লেখাটা ফেসবুকে আপলোড না দিয়ে, ড্রাফট করে জমা রেখে দেয়। কিন্তু ঘুম তাকে এতটাই ভালোবেসেছে, যার হেতু ল্যাপটপ অন করেই বিছানায় রেখে ঘুমিয়ে গেছে। এদিকে ল্যাপটপ নড়াচড়া খেয়ে খাটের একদম কর্নারে চলে এসেছে। হয়তো সামান্য একটু ধাক্কা লাগলেই নিচে পড়ে যাবে। আর পড়ে যাওয়া মাত্রই…! আর কিছুই ভাবতে চাচ্ছে না রন ইওহার্ড। স্বপ্ন-টপ্ন নিয়ে পরেও ভাবা যাবে। এর আগে তার ল্যাপটপ বাঁচাতে হবে। ছোঁ মেরে একটি টান দিয়ে খাটের কিনার থেকে ল্যাপটপটি হাতে নিয়ে নেয়। এবার যেন বুকে পানি চলে এসেছে। এতক্ষণ মনে হচ্ছিল, এই বুঝি প্রাণ যায় যায় অবস্থা। ল্যাপটপটা বুকের সাথে লাগিয়ে আলতো করে চেপে ধরে। কী যেন ভেবে ল্যাপটপটা অন করে গতকালের ড্রাফট ফাইলে ঢুকে যায়। সেখানে যেতেই তার চোখ আকাশে তোলার উপক্রম। গতকাল ঘুমানোর আগে যেমনটা লিখেছিল তা ড্রাফট ফাইল চেক করতে যেয়ে তার রক্ত হীম করে দেয়ার মত অবস্থা। লেখা রয়েছে,
সমুদ্রের মাঝে ডুবে গেল একজন মানব। চারদিকে পানি আর পানি। কিন্তু অবাক করা বিষয়, তার দেহের একটি লোম পর্যন্ত ভিজতেছে না। মানুষটির দেহের প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যেন আপনা-আপনিভাবেই পানি দিয়ে সামনে এগিয়ে চলছে। দৃষ্টির গোচর হচ্ছে নানান রকমের সামুদ্রিক প্রাণী। ছোটো-বড় বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, তাকে দেখা মাত্রই যে যার স্থানে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এ রহস্যের জট মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু সমাধান কিছুতেই মিলছে না। আর দেহের উপরেই বা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না! তাও একপ্রকার রহস্য। এছাড়া আরও অবাক করা বিষয়, মানবটি পানির ভেতরে থাকা অবস্থাতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্য সম্পাদনা করতে সক্ষম। কিন্তু এটি কোনো মানুষের দ্বারা আদৌ সম্ভব কি-না তা তার জানা নেই। ধীরে ধীরে সমুদ্রের গভীর চলে যাচ্ছে সে। কিন্তু তার গন্তব্য জানা নেই। দেহ এখন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। দেহের ভেতরে যেন দ্বিতীয় আরেকটি সত্তার উপস্থিতি অনুভব হচ্ছে। সমুদ্রের গভীর থেকে গভীরে চলে এসেছে। কত হাজার ফিট পানির নিচে তার অবস্থান, তা তার অজানা। তার কাছে স্থান মাপার যন্ত্রও নেই যে, মেপে বলতে পারবে।……!
অবশ্য বিষয়গুলো সে নিজে অনুভব করেছে। এবার ভেবে পাচ্ছে না আসলেই কি সে গল্প লেখার প্রভাবে এমনটা অনুভব করছে? না-কি অনুভব থেকেই সে এগুলো লিখেছে! এটাও তার কাছে এটা রহস্যময় প্রশ্ন হয়েই রইল।
ছয়.
‘ স্যার, এখনো রেডিয়েশনের আওতায় জাহাজ দুটির কোনো খোঁজ পেলাম না।’
কম্পিউটার চালাতে চালাতে একজন লোক তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লম্বাটে কালো আলখাল্লা জাতীয় পোশাক পরিহিত লোকটির উদ্দেশ্য করে বলল।
লোকটি রাগান্বিত স্বরে বলে উঠলেন,
‘ কিন্তু তা কী করে সম্ভব? এখন পর্যন্ত জাহাজ দুটির খোঁজ পেলে না। কী করছ তোমরা? একটা জাহাজ ডুবে গেলেও তো অন্তত তার চিহ্ন থাকার কথা। তবে সেটাও নেই কেন?’
কাঁপতে কাঁপতে লোকটি জবাব দেয়,
‘ তা আমার জানা নেই স্যার। কী থেকে এমন হচ্ছে সেই বিষয়টা এখনও অজ্ঞাত! যার ফলে আমরা সফল হতে পারছি না। ‘
‘ এক্ষুণি ডিককের সাথে আমাকে কথা বলানোর ব্যবস্থা করো।’
কোনোরকম বিলম্ব ছাড়াই টেলিফোনে একটি নাম্বার কোড লিখতে লাগল কম্পিউটারের কাছে বসে থাকা লোকটি। ক্ষণিক সময় বাদেই টেলিফোনটা লম্বাটে লোকটির কাছে হস্তান্তর করল সে।
লম্বাটে কালো আলখাল্লা পরা লোকটা টেলিফোন হাতে নিয়ে বলতে আরম্ভ করলেন,
‘ ডিকক, সমুদ্রের অবস্থা কেমন?’
ওপাশ থেকে জবাবে ভেসে এলো এলো,
‘ খুব শান্ত পরিবেশ। কিন্তু এরকম শান্ত পরিবেশে জাহাজ কী করে উধাও হলো, তা বুঝতে পারছি না! ‘
‘ পরবর্তী জাহাজ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হতে কত সময়ের প্রয়োজন? ‘
‘ আনুমানিক এক দিনের অধিক সময়ের প্রয়োজন হবে। ‘
‘ যত দ্রুত সম্ভব সেখানে আরও চারটি জাহাজ নিয়ে যাও। এছাড়া উদ্ধারকাজের জন্য আরও একটি জাহাজ নিয়েগ করো। যে কোনো মূল্যে আমি আমার এক্সপেরিমেন্ট সফল করতে চাই।’
‘ জি স্যার। কিন্তু শেষ সময়ে এসে এরকমভাবে সকল কিছু হাত ছাড়া হয়ে যাবে তা ভাবিনি।’
‘ আমাদের আরও আগে থেকে সতর্ক থাকা উচিত ছিল। বিষয়টা কোনো স্বাভাবিক জিনিসের উপর প্রয়োগ করছি না। কিন্তু আমি এখনও বুঝতে পারছি না, রেডিয়েশনের বাহিরে জাহাজ দুটো গেল কী করে? আর গেলে যাবেই বা কোথায়? ‘
‘ আমিও সেটা বুঝতে পারছি না স্যার।’
উৎসুক হয়ে জানতে চাইলেন লম্বাটে কালো আলখাল্লা পরিহিত লোক,
‘ আচ্ছা বিস্ফোরণ অথবা ডুবে যায়নি তো?’
‘ স্যার, আমরা ইতোমধ্যেই জাহাজ দুটো রেডিয়েশনে শেষবার যেখানে দেখা গেছে তার চল্লিশ স্কয়ার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখেছি। কিন্তু ফল স্বরূপ তেমন কিছুই পাইনি।’ ওপাশ থেকে অজ্ঞাত লোকটি উপস্থাপন করলেন।
এবার লোকটি বেশ রাগান্বিত স্বরে বলতে লাগলেন,
‘ তবে কোথায় যাবে? আমি এই রহস্যের আগামাথা বুঝতে পারছি না। ‘
অপর পাশ থেকে ভেসে এলো,
‘ স্যার, আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা দেখছি সব।’
পুনরায় উৎসুক হয়ে জানতে চাইলেন অজ্ঞাত লোকটি,
‘ রেডিয়েশনে শেষবার জাহাজ দুটো কোথায় দেখা গেছে?’
ধীর কণ্ঠে ওপাশ থেকে ভেসে এলো,
‘ আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝামাঝি অবস্থানে। সেখানেই তো আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল।’
এবার বেশ বিরক্ত হয়ে লোকটি বলল,
‘ ওকে আমি লাইন কাটছি।’
সাত.
সমুদ্রের তলদেশে বিশাল বিস্তৃত একটি স্থান নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি প্রাসাদ। চারদিকে আছে বিভিন্ন রকমের ভয়ানক প্রজাতির মাছ। তাদের সাথে যুক্ত রয়েছে হাঙর, শার্ক, অক্টোপাস এবং ভয়ানক সব মাছ। তাদের ভয়ানক দাঁতগুলো চিকচিক করছে। দুটি হাঙর প্রাসাদের প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। বাম দিয়ে মোড় নিয়ে চলতে থাকে সামনের দিকে। প্রাসাদের রাজ কক্ষের সামনে এসে থেমে যায়। কক্ষের সামনে উপস্থিত রক্ষি অক্টোপাসগুলো দরজায় করাঘাত করে। ভেতর থেকে ভেসে আসে, ” ভেতরে আসতে দাও।”
বিশাল বড় একটি দ্বার। লম্ব এবং প্রস্থ নির্ধারণ করা কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। রক্ষি ছয়জন অক্টোপাস তাদের আট বাহুর জোর দিয়ে দ্বারের দোপাটি খুলে দেয়। ভেতরে প্রবেশ করে আগত দুজন হাঙর। কক্ষটি বিশাল বড়। অন্তত একটি ভরা নদীর উপরিভাগ থেকে তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত স্থান নিয়ে তৈরি। ভেতরে বসে আছে একটি বিশাল দানব অক্টোপাস। আটটি বাহু তার কক্ষের বিস্তৃত স্থান জুড়ে আছে। এছাড়াও বিশাল বড় একটি মাথা। যা প্রায় আধা কিলোমিটারের চেয়েও বিস্তৃত। হাঙর দুটি অক্টোপাসটি সামনে এসে মাথা নিচু হওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়াল। তাদের দুজনের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন অক্টোপাস রাজা অক্টাইস,
‘ নতুন খবর কী? মৎস রাজা অরগাডের কন্যা ডায়ানাকে ধরতে পেরেছ? ‘
‘ আমরা দুঃখিত মহারাজ। অল্পের জন্য বেঁচে যায় ডায়ানা। ‘
আর কিছু বলতে পারেনি হাঙর দুটো। অক্টোপাসের দুটো বাহু দিয়ে হাঙর দুটোকে প্যাঁচিয়ে ধরে। বেশি সময় বিফলে না দিয়ে দ্রুত মুখের ভেতরে পুরে নেয়। দুটো চিবোনি দিয়ে হজম করে নেয় হাঙর দুটো।
[ — চলবে — ]
• রন ইওহার্ডের স্বপ্নটি কী ছিল? আসলেও কি সেটা বাস্তবে ঘটমান? না-কি যেটা ঘটমান সেটাই লিখিত?
• রাজকুমারীর অবস্থান সম্পর্কে অক্টাইস কী করে অবগত হলো?
• জাহাজ দুটোর সাথে আসলে কী ঘটেছিল?
• রাজা অক্টাইস মৎস রাজকুমারী ডায়ানাকে পাকড়াও করার কারণ কী?