কৃষ্ণময়ীর_অলংকার #রাহনুমা_রাহা #পর্বঃ২৮

0
614

#কৃষ্ণময়ীর_অলংকার
#রাহনুমা_রাহা
#পর্বঃ২৮

সামান্য উঁচু পেটের উপর পাতলা কাপড়ের আস্তরণে আবৃত। লম্বা চুলগুলো হাত খোঁপার বাঁধন থেকে মুক্ত হয়েছে সেই কখন। অযত্নে অবহেলার সহিত তা বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। পিঠে ভর করে চিৎ হয়ে শুয়ে মৃদুস্বরে গোঙাচ্ছে তপা। চোখের নিচটা দেবে গিয়ে গর্তাকৃতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পড়েছে কাল রঙের প্রলেপ। কত রাত না ঘুমানোর ফলাফল স্বরূপ এই কালশিটে দাগ। চুলের ঝট খোলা হয় নি সপ্তাহ খানেক। শ্যাম্পুর গন্ধ সহ্য করার ভয়ে শ্যাম্পু করা হয় নি দিন পনেরো। চিরুনী ছুঁয়েছে দিন চারেক আগে। কেবল একটা কাজ তপা ঠিকঠাক করেছে। সেটা হচ্ছে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকা। অপলক নয়নে চেয়ে থাকা।

ডান কাত হয়ে পেটের উপর হাত রেখে মৃদু আওয়াজে বলল,
“মাকে আর কত কষ্ট দিবি সোনা? মা তো একা একা সহ্য করতে পারছে না। তোর বাবা টা থাকলে সব সহ্য করে নিতাম আমি। মনোবল খুঁজে পাই না যে এখন। তোরাও যদি এত জ্বালাতন করিস। মা কিভাবে সহ্য করি বলতো? একটু তো শান্ত হয়ে থাকতে পারিস মায়ের মত করে। বাবার মত দুষ্টুমি তখন করিস, যখন বাবা চলে আসে তোর কাছে। তোর মায়ের কাছে। তখন সব কষ্ট আমি সহ্য করে নেব। এখন একটু শান্ত হয়ে থাক না মা।”

মিনিট কয়েক যাওয়ার পর তপা পুনরায় ব্যথায় কুকিয়ে উঠল। গত দুদিন ধরে থেকে থেকে পেটে ব্যথা হচ্ছে তার। ডক্টর মিথিলার সাথে কথা হয়েছে এ নিয়ে। সে বলেছে এটা নর্মাল ব্যথা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনসিভ করার চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত এরকম ব্যথা হতে পারে। ভয়ের কিছু নেই। তবে সেটা সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।
তপা এখনো দাঁত কামড়ে সহ্য করে নিচ্ছে সব ব্যথা। কিছুদিন যাবত তপা আরও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। মাছ খেতে পারে না। মাছের গন্ধ নাকে গেলেও বমি করে গা ভাসিয়ে ফেলে। শ্যাম্পুর গন্ধও সহ্য হয় না তার। এরকম আরও কিছু ছোট ছোট জিনিসের উপর রয়েছে মারাত্মক পরিমাণ অনিহা। ধরা বা ছোঁয়া তো অনেক দূর কিছু জিনিসের নাম শুনলেই গা গুলিয়ে উঠে তার।

আয়েশা তপার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
“আমি কি তোর এতটাই পর?”
তপা আবেশে চোখ বন্ধ করে আছে। ভালো লাগছে এভাবে থাকতে। মনে হচ্ছে কতগুলো দিন পর সে মানুষের সাথে আছে। আপন কারো বাঁধনে আঁটকে আছে। এক স্নেহমহী মায়ের ছায়াতলে আছে। যেখানে সে ও তার সন্তান নিরাপদ।
আয়েশা তপার মৌনাবস্থা দেখে পুনরায় বললেন,
“বল। আমরা কি তোর এতটাই পর? একবার বলতে পারলি না তুই অসুস্থ?”
তপা চোখ পিটপিট করে তাকাল। হাত টেনে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,
“তোমরাই তো আমার সব আন্টি। রাগ করো না। দেখো আমি ভালো আছি। তোমরা তো এটাই চাইতে। তাই না?”
আয়েশা দুমিনিট মৌন রইলেন। অতঃপর বললেন,
“চল আমার কাছে থাকবি তুই আজ থেকে। প্রয়োজনীয় কি কি নিতে হবে বলে দে। আমি গুছিয়ে নিচ্ছি।”
তপা ভড়কে গেল। মুখটা কাচুমাচু করে বলল,
“আমি যাব না।”
আয়েশা হাত ছাড়িয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
“যাবি। একশবার যাবি। হাজার বার যাবি।”
তপা উঠে বসল। আয়েশার হাত পুনরায় নিজের হাতের মুঠোয় পুরে বলল,
“আন্টি আমি এখানে ভালো আছি। হ্যা মানছি একটু অসুস্থ। ঠিক হয়ে যাব কয়েকদিনেই। কিন্তু দেখো আমার মনটা সুস্থ আছে। এখানে আমি সত্যিই ভালো আছি। এখানে আনাচে কানাচে পলকের স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেয়ালে তাকিয়ে দেখ ওনার ছবি। মনে হচ্ছে আমি ওনার সাথেই আছি। একা নই। তাছাড়া আমি কথা দিয়েছি এই ফ্ল্যাট ছেড়ে কোথাও যাব না। তুমিই দুটো দিন আমার কাছে থেকে যাও না আন্টি। তাহলেই দেখবে আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে গেছি।”

আয়েশা কিছুক্ষণ ভাবলেন। অতঃপর মৃদু স্বরে বললেন,
“পৃথা কে আসতে বলব?”
তপা মুচকি হেসে বলল,
“আন্টি পৃথা এখন সংসারী হয়েছে। ওর নিজের সংসার ছেড়ে আমাকে পাহারা দিতে চলে আসবে?”
“এসে ক’দিন থাকলে কি পৃথিবী উল্টে যাবে? ভেসে যাবে সংসার?”
তপা মলিন কণ্ঠে বলল,
“মামি অসুস্থ আন্টি। তুমি তো জানোই। অসুস্থ শ্বাশুড়ি রেখে আমার কাছে এসে থাকলে চলবে?”
আয়েশা কিছু বলল না। কি’বা বলবে সে।
তপা পুনরায় বলল,
“তিন মাসেরই তো ব্যাপার। দেখতে দেখতে চলে যাবে। তুমি দু’দিন থাকো। আর মাঝেমধ্যে সময় করে এসো। তাহলেই হবে। এত ভেবো না। আমি ঠিক আছি।”

“কথা হয়েছে পলকের সাথে?”
আয়েশার কথা শুনে তপার মুখ মলিন হলো। জোর করে ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি ফুটিয়ে বলল,
“সে তো ব্যস্ত আন্টি। যতটুকু সময় পায় কথা বলে। অপারেশন হয়েছে গতকাল। হসপিটালে দৌড়াতে দৌড়াতে তার অবস্থাই শোচনীয়। কথা বলার সময় কোথায়?”
আয়েশা তপার কিশোরী মনের মৃদু অভিমান ভেবে নরম কণ্ঠে বলল,
“অভিমান হয়েছে মা?”
তপা মাথা নাড়ালো। বলল,
“এই সময় অভিমান করলে আমার পাপ লাগবে আন্টি। তার দিক থেকে কোনো কমতি নেই। সে যথেষ্ট চেষ্টা করে চলেছে আমাকে ভালো রাখার। একটুখানি সময় পেলেই কথা বলে আমাকে মাতিয়ে রাখতে চায়। হয়তো পারে না সবসময়। কিন্তু সে চেষ্টা করে আন্টি। আমার প্রায় ধ্বংস জীবনটা সে রঙিন আলোয় সাজিয়ে দিয়েছে। মরে যাওয়া মনটাতে ভালবাসার বীজ বুনেছে। তার জীবনের ভয়াবহ সময়টাতে আমি অভিমান করতে পারি না। তার ক্ষতটাতো এখন আমারও ক্ষত। তার ব্যথাতে আমারও ব্যথা। তার জীবনের ক্রাইসিস তো আমারও আন্টি। তবে কিসের অভিমান? কিসের অভিযোগ?”

আয়েশা কিছু বলল না। কেবল তপা মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। মুখ এগিয়ে চুমু খেলো কপালে।

প্রায় মাস খানেক আগে। পলকের মায়ের ফোন পেয়ে রাতের আধারেই ছুটে চলে যায়। বাড়ি ফিরে হসপিটালে নিতে হয় বাবা রায়হান তাজওয়ার কে। হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে পরে যায়। অতঃপর পলক কে ফোনে জানায় পায়েল তাজওয়ার। পলক ফিরে হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ জানাল হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি।
পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তিন তিনটে ব্লক ধরা পড়ল হার্টে। চর্বি জমে হৃদযন্ত্রের রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেছে। শুরুতে এনজিওপ্লাস্টি অর্থাৎ রিং পরিয়ে সরু পথ বড় করার ব্যবস্থা করতে চাইলেন। পরে সেটাতে হবে না বুঝতে পেরে পরামর্শ দিলেন ওপেন হার্ট সার্জারী করার। শরীরের অন্য জায়গা থেকে রগ কেটে নিয়ে পুরো বুক চিঁড়ে সেই রগ হৃদযন্ত্রে বসিয়ে দেওয়া হবে।
পলক সিদ্ধান্ত নিল সিংগাপুর নিয়ে যাওয়ার। মায়ের কাছে বলতেই সেও রাজি হয়ে গেলেন। অতঃপর শুরু হলো নতুন যাত্রা।
এক পক্ষকাল যেতেই পলক মা বাবাকে নিয়ে উড়াল দিল সিংগাপুরের পথে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এগারো দিনের মাথায় শুরু হলো অপারেশন। দীর্ঘ দশ ঘন্টা চলল অপারেশন। তারপর হাসিমুখে বের হলো ডক্টর। পলকও যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল খানিকটা। এতদিনের ধরে রাখা নিশ্বাসগুলো সপাটে বেরিয়ে এলো।

সিংগাপুর যাওয়ার আগের দিন বিকেলে এসেছিল পলক তপার কাছে। দীর্ঘক্ষণ বুকে আগলে রেখেছিল। জড়িয়ে রেখেছিল স্বস্নেহে, মমতায়, ভালবাসায়।
গালে হাত রেখে নয়নে নয়ন মিলিয়ে বলেছিল অনেক অনেক নিষেধ বাক্য। তপা দুচোখ ভরে দেখেছিল প্রিয় মুখখানা। দুকানে মন্ত্রের মত শ্রবণ করেছিল স্বপ্ন পুরুষের কণ্ঠনালী বেদ করে আসা শব্দমালা।

“আমি আমার জানটা রেখে যাচ্ছি এখানে। শুধু দেহটা নিয়ে যাচ্ছি টেনে হিঁচড়ে। তুমি কথা দাও আমার আমানতের খেয়াল রাখবে। বিন্দু পরিমাণ অবহেলা, অযত্ন করবে না। মাত্র তিনমাস কৃষ্ণময়ী। আমি আমার বাবাকে সুস্থ করে নিয়ে আসি। তারপর নিজের বাবা হওয়ার সব দায়িত্ব আমি পালন করব। তিনটে মাস একটু সহ্য করে নাও না কৃষ্ণময়ী। আমি জানি তোমার কষ্ট হবে। হয়তো মাঝেমাঝে ভীষণ কান্না পাবে। কিন্তু তুমি কাঁদবে না। শুধু জানবে তোমার পলক তোমার কাছেই আছে। তোমার পলকের সত্তা তোমার কাছে আছে। তুমি যদি ভাল থাকো। আমার সন্তানের খেয়াল রাখো তবেই আমি ভালো থাকব। ভালো রাখবে তো আমাকে? রাখবে আমার কৃষ্ণময়ী আর আমার আগামী প্রজন্মের খেয়াল?”
তপার চোখের কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া জলটুকু সন্তর্পণে মুছে ফেলেছিল। বুক পেরিয়ে আসা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে কান্নাটুকুও গিলে ফেলেছিল।
পলক পুনরায় বলেছিল,
“ফ্ল্যাটের বাইরে যেও না কৃষ্ণময়ী। দরকার হলে প্রান্ত, সিজান ওদের বলবে। পৃথা আর আন্টিও তো আছে। এছাড়াও যদি প্রয়োজন হয় সজলকে বলতে পারবে। ওকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। জীবন দিয়ে দেবে তবুও তোমাকে রক্ষা করবে। আমি মিথিলাকেও বলে রেখেছি। তোমার রুটিন চেক-আপ করে নেবে। তাছাড়াও প্রয়োজন হলে যেতে পারো। ও তোমাকে অপেক্ষা করাবে না। রান্নার লোক তো ঠিক করাই আছে। এছাড়াও যদি কাউকে লাগে সজল কে বলবে। ও ঠিক যোগাড় করে দেবে। ওয়াশরুমে সাবধানে যাবে। আমি না তোমার চিন্তায় পাগল হয়ে যাব। সত্যি পাগল হয়ে যাব।”

কিছুক্ষণ মৌন থেকে আবারও বলেছিল,
“বলো না কৃষ্ণময়ী। ভাল রাখবে তো নিজেকে? অপেক্ষা করবে তো আমার?”
তপা মৃদু হেসে বলেছিল,
“একসাথে বুড়ো হওয়া বাকি তো। অপেক্ষা না করে কোথায় যাব? আপনি বাবাকে সুস্থ করে নিয়ে আসুন। আমি বাবা মায়ের ভালবাসার কাঙাল। আমি সবার ভালবাসায় বাঁচতে চাই পলক। আমার সন্তান কে একটা সুস্থ পরিবার দিতে চাই। আপনি অতি দ্রুত ফিরে আসুন।”

এরপর আর মুখে কোনো কথা নয়। সময় কেটেছে ঠোঁটের তাপে। কিছু উষ্ণ আলিঙ্গনে। ভালবাসায় আবদ্ধ হয়ে। অনাগত ভবিষ্যতের ভাবনায় কিছু আবেগঘন স্পর্শে।

রাতের আধার কেটেছে প্রায় আধঘন্টা। তপা গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে। চোখের কার্নিশে দুফোঁটা জল চিকচিক করছে তার। একহাত সগৌরবে উঁচু হয়ে থাকা পেটের উপর। প্রেগন্যান্সির মাত্র চারমাস চলে। সময়ের তুলনায় পেট অতিরিক্ত বড় হওয়ায় মিথিলার শরণাপন্ন হয়েছিল তপা। কাল বিকেলে একা একাই চলে গিয়েছিল চেম্বারে। মিথিলা মেয়েটাকে তপার বড্ড পছন্দ। খুশি খুশি সংবাদগুলো তো সে-ই দেয় তাকে। যেমন কাল বিকেলে একরত্তি দুশ্চিন্তা নিয়েই গিয়েছিল সে। সময়ের তুলনায় পেট বড় হওয়া নিয়ে চিন্তা হলেও ভেবেছিল বাবুটা বোধহয় তার বাবার মত এখনই সুঠাম দেহ নিয়ে চলে আসবে। কিন্তু মিথিলা সেই একরত্তি দুশ্চিন্তার বদৌলতে একরাশ আনন্দ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে তাকে। সেজন্যই তার প্রিয়র তালিকায় মিথিলার অবস্থান হলো আরও একধাপ উপরে।

মিথিলা যখন বলল তপার পেটে একটা নয় বরং দুটি প্রাণ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। তখন তপার ঠিক কি করতে ইচ্ছে করছিল তা ভাষায় প্রকাশ্য নয়। পলকের ভাষায় পাগল পাগল অবস্থা। সুখী নারীর তালিকায় তপার নিজের নামটা লিখানোর খুব করে ইচ্ছে হলো। পরক্ষণেই মনে হলো নাহ! সে তো এই মূহুর্তে সুখী নয়। সুখী হতো যদি পলক সামনে থাকত। নাম সেদিন লেখাবে যেদিন পলকসহ পুরো পরিবার তপার সামনে আসবে। পলক কে ইচ্ছে করেই জানালো না তপা। থাক না তার জন্য একটুখানি চমক। ঘাবড়ে যাক সে খুশিতে। মাত্রারিক্ত আনন্দে পলক ঠিক কি কি পাগলামি করে তা তপা নিজের চোখে দেখতে চায়। সামনে থেকে অনুধাবন করতে চায়।

পলক আনমনা হয়ে হসপিটালের জানালার ধারে বসে আছে। পায়েল তাজওয়ার ছেলের ক্লান্ত মুখ দেখে পাশে দাঁড়ালেন। গভীর মমতায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। কিঞ্চিৎ সময় পর ধীর গলায় বললেন,
“কি হয়েছে বাবা? মন খারাপ কেন তোর? তোর বাবা তো এখন মোটামুটি সুস্থ। কি নিয়ে চিন্তা করছিস তুই?”

পলক কিয়ৎক্ষণ চুপচাপ বসে রইল। পরক্ষণেই নরম গলায় বলল,
“আমি কোনো ভুল করলে তোমরা আমাকে মাফ করে দেবে তো মা?”
পায়েল তাজওয়ার মৃদু হেসে বললেন,
“ভুল হলে মাফ করতেই পারি। তবে ভুল টা যদি ভুল হয় তবেই। অপরাধ হলে মাফ করার ক্ষমতা আমার নেই বাবা।”
পলক দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সে কি ভুল করেছে? নাকি অপরাধ?

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here