#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৩
“এতো রাত অবধি বাহিরে থাকা ঠিক নয় রাগিনী। ঢাকা শহরটা খুব একটা ভালো নয়। সাবধানে চলতে হবে তোমাকে।”
বাহিরে থেকে সবে বাড়ির হলরুমে প্রবেশ করতেই একটা ভারি কন্ঠ ভেসে আসতেই হাঁটা থামালো রাগিনী। চোখ গোল গোল করে তাকালো ডাইনিং এর দিকে। টেবিলে দুহাত রেখে বসে রয়েছেন এক অর্ধবয়স্ক লোক। চুলগুলো অনেকটা পেকে গিয়েছে। কিছু কিছু কালো চুল অবশিষ্ট! চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। শান্ত দৃষ্টিতে রাগিনীর দিকে তাকিয়ে। লোকটি ডক্টর শাহ্ রাশেদ। রাগিনীর বাবা। রাগিনী হাতের ব্যাগটা সোফায় রেখে ডাইনিং-এ টেবিলের কাছে এগিয়ে আসে। টেবিলের নিকট আসতেই বিভিন্ন খাবার দেখে রাশেদ সাহেবের উদ্দেশ্যে নরম সুরে জিজ্ঞেস করে,
“বাবা এখনো খাওনি তুমি?”
“তুমি যখন বাড়িতে আসো তখন রাত আর সকালের খাবার একসাথে না খেলে যে আমি শান্তি পাই না সেটা তোমার অজানা নয় তাই না?”
রাগিনী কিছু না বলে হলরুমের বড় ঘড়ির দিকে তাকায়। রাত সাড়ে দশটা পেরিয়ে এগারোটার দিকে কাঁটা ছুটছে। দৃষ্টি সরিয়ে সে বেসিনের কাছে তাড়াতাড়ি গিয়ে হাতটা ধুয়ে নিয়ে আবারও টেবিলের কাছে এসে প্লেট হাতে নিয়ে খাবার বাড়তে বাড়তে বলল,
“আই এম সরি বাবা। আসলে এতো ঘটনা ঘটে গেছে বিকেল থেকে যে আমার আসার মতো কোনো রাস্তায় ছিল না। কিন্তু তোমাকে শরীরটা ভালো নেই বাবা। তোমার রাত ১০ টার মাঝে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত।”
“মেয়ে এতো রাত অবধি বাহিরে থাকলে কোন বাবার ঘুম আসবে চোখে?”
রাগিনী আর কোনো জবাব দিল না। মাথা নত করে রাশেদ সাহেবের কাছে খাবার প্লেট এগিয়ে দিয়ে বলল,
“তুমি খেতে শুরু করো। আমি ফ্রেশ হয়েই আসছি।”
রাগিনী নিজের ঘরে যাবার জন্য উদ্যত হয়। ফের বাবার এক প্রশ্ন শুনে থেমে যায়।
“ফোন করেছিলাম তখনকার ব্যাপারটা কি হলো কিছুই বুঝতে পারিনি তখন!”
“আমি তো আজকে তোমার হসপিটালে গিয়েছিলাম। সেখানকার একটা পেশেন্ট কোহিনূর। উনি তোমাকে এসব কথা বলেছিল। আসলে ঘটনাটা অনেক বড়। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে ঠান্ডা মাথায় বলি?”
রাশেদ সাহেব আর কথা বাড়ান না। মৌনতা অবলম্বন করেন। রাগিনীও ফ্রেশ হতে নিজের ঘরে চলে যায়।
রাতে বাবা-মেয়ে একসঙ্গে খেতে খেতে রাজ্যের সব গল্পগুজব করতে আরম্ভ করল। রাশেদ সাহেব মানুষটি একা। রাগিনীর মা মারা যাবার পর বিয়েও করেন নি মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে। রাগিনীও সুযোগ পেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। ফলে মেয়েটার সাথেও সময় কাটানো হয় না তার। ছুটিতে মেয়েকে পেলে গম্ভীর মানুষটিও ভারি গল্পগুজব করেন। হসপিটালের অবস্থা সম্পর্কে কথা কথা বলতে বলতে হুট করে রাগিনী বলে উঠল,
“আচ্ছা বাবা, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের পেশেন্টগুলো কি এতোটাই অদ্ভুত? একসময় একরকম আরেক সময় অন্যরকম। হুট করেই একেবারে বাচ্চা হয়ে যায়। আবার হুট করেই এতোটা গম্ভীর হয়ে যায় যে বোঝাই মুশকিল হয়ে যায়। আবার কখনো আক্র’মণাত্মক হয়ে যায়।”
রাশেদ সাহেব খেতে খেতে জবাব দিলেন,
“হ্যাঁ। এদের কেস হ্যান্ডেল করা বেশ কঠিন ব্যাপার। কারণ এদের রিয়েল পার্সোনালিটি কোনটা সেটা বোঝা যায় না। ওরা সময়ে আসল রূপে আসে।”
“কোহিনূর নামের ওই পেশেন্টকে আমার অন্যরকম লেগেছে। বাবা আমার তো ছুটি আছে। আমি উনার কেসটা দেখতে চাই।”
“তুমি এখন এসবের মধ্যে জড়াতে যেও না। ঝামেলা হবে অনেক।”
রাগিনী রাশেদ সাহেবের এমন কথায় শান্ত হয় না। মুখ ভার করে বলে,
“বাবা, প্লিজ!”
রাশেদ সাহেব মানতে চান না। তবুও মেয়ের কয়েকটা কথায় মেনে যান। উনার ধারণা, এখন থেকে অভিজ্ঞতা থাকলে ভবিষ্যতে রাগিনীর জন্যই ভালো!
ভোরের আলো ফোটেনি তখনও। মেইন রোডে ফুল স্পিডে গাড়ি চলছে। গাড়িটি বাকি সব গাড়িটিকে ওভার টেক করে দ্রুত চলছে। তবুও গাড়ী ড্রাইভ করা ব্যক্তির অস্থিরতা বিরাজমান। নিজের অগোছালো চুলগুলো একহাতে ঠিক করার পর দ্রুত ব্লুটুথ কানেক্ট করে কাউকে কল দিল সে। ধড়ফড়িয়ে বলে উঠল,
“কি অবস্থা ওদিকের?”
ওপাশে কথা শুনে গাড়িতে থাকা অবস্থায়ই সজোরে একহাতে গাড়ির দরজায় থাবা মেরে বলল,
“ড্যাম ইট! হাউ ইজ ইট পসিবল। আমি সব দিক দিয়ে নজর রেখেছি। এতো বড় ব্লান্ডার…”
একটু থেমে আবারও উত্তেজিত সুরে বলল,
“অফিসার আলম কি সত্যিই মা*রা গেছে? আর ইউ সিউর? পারলে বার বার চেক করে দেখো।”
নির্জন এবার কথা সহ্য করতে না পেরে কলটা কেটেই দিল। এতো বাতাসেও তার কপাল থেকে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরছে। চোখমুখের ধরণটা বেশ কড়া। কপালে তিনটে ভাঁজ পড়েছে। গাড়ির স্পিড আরো বাড়ালো সে।
আ’হত এবং জীবিত পরীক্ষা করে তাদেরকে এম্বুল্যান্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এডিশনাল এসপি অফিসারের বাড়িতে বো*ম ব্লা*স্ট হয়ে পুরো বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসপি স্যারের তৎক্ষনাৎ মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে রয়েছে শুধুমাত্র তার একটা মেয়ে এবং বাড়ির দুটো দারোয়ান। তারাও পুলিশের দল থেকেই স্পেশালি এই বাড়ির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। টেরো’রিস্ট দল তাদের কাজের সূত্রপাত ঘটিয়ে ফেলেছে।
গাড়ি এসে থামে রাস্তায় সাইডে। গাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে বের হয় নির্জন। বড় বড় পায়ের ধাপ ফেলে আসতেই দেখে এম্বুল্যান্সকে সেখান থেকে বের হতে দেখে। গার্ডেনের ভেতরে ঢুকতেই তার চোখে পড়ে অনেকের ভীড়। ভীড়ের মাঝে সে সকলকে চিনতে পারে। আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে ভালো করে। আশেপাশের সাধারণ লোকজনের সরগম দেখা দিয়েছে। তাদের ঠেকাতে কয়েকজন কনস্টেবল ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নির্জন ভীড় ঠেলে সিল মেরে দেওয়া জায়গায় ঢুকে পড়ে। সেখানে ইতিমধ্যে ইনভেস্টিগেশন শুরু হয়েছে। পুরো টিম উপস্থিত হয়েছে। নির্জন সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেই তার উপস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ায় এক সুর্দশন পুরুষ। গায়ে তার পুলিশের ইউনিফর্ম জড়ানো। কোমড়ে ঝুলছে বন্দুক। জড়িয়ে রাখা চেহারায় হাসি ফুটিয়ে তুলল। ব্যাঙ্গাত্বক হাসি! নির্জনের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গ করে বলল,
“অফিসার নির্জন! কাম কাম। আপনারই অপেক্ষা ছিল। নিজের চোখে দেখুন আপনার ইনভেস্টিগেশনের ফলাফল। অনেক সুন্দর না?”
নির্জন নিরব থাকে। কপালের রগ দপদপ করছে। ঠোঁট দুটো কেমন যেন শুঁকিয়ে এসেছে। তবুও নির্জন জানে কি করে হাসিমুখে সবটা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেও সেই পুরুষের ব্যাঙ্গাত্বক হাসির বিপরীতে স্মিত হাসি দেয়। আর বলে,
“ইন্সপেক্টর রায়ান, আমার ইনভেস্টিগেশন এখনো শেষ হয়নি। এইতো দুইদিন হয়েছে সবে আমি মাঠে নেমেছি। তার আগে থেকে তো আপনিই এসব ইনভেস্টিগেট করছিলেন তাই না?”
“তাহলে এখন কি এসব কিছুর জন্য আমাকে দায়ী করতে চাইছেন অফিসার নির্জন?”
নির্জন আরো খানিকটা শব্দ করে হেঁসে দিয়ে বলে,
“জোকস্ অ্যা পার্ট!”
“এই সময়ও আপনার জোকস্ করতে ইচ্ছে করছে?”
“অভিয়েসলি নট। আপনার কথাতে মাঝে মাঝে জোকস্ এমনি এমনি এসে যায়।”
“স্বীকার করে নিন অফিসার নির্জন যে ভুলটা আপনার। আপনার ভুলভাল প্ল্যানিং এর কারণে আজকে বড় বিপত্তি ঘটে গেল। টেরো*রিস্টের দল প্রথম ধাপে জিতে গেল। এডিশনাল এসপি আর তার পুরো পরিবারের র*ক্তের মাধ্যমে তারা নিজেদের স্বাগতম জানিয়ে নিল। সবটা ঘটল আপনারই দৌলতে!”
অন্যরকম কণ্ঠস্বর শুনে ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায় নির্জন। কথাগুলো ইন্সপেক্টর রায়ানের পারসোনাল কনস্টেবল শেখরের। তবে নির্জনের মধ্যে কোনো হেলদোল দেখা গেল না। সে আগের মতোই শান্ত থেকে উত্তর দিল,
“তারা যখন স্বাগতম জানিয়েই দিয়েছে তখন জানাতে দাও। তাদের বিদায়ের ব্যবস্থা তো আমিই করব।”
তখনি হাত থেকে তাড়াহুড়ো করে নির্জনের সাথ দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলো মেহরাজ। আর শেখরের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
“তোমাকে এতো কথা বলতে কে বলেছে শেখর? যাও না যাও নিজের কাজ করো।”
কথাটা শেষ হওয়া মাত্রই নির্জন মেহরাজকে হাতের ইশারায় থামতে বলে। পেছন থেকে গাড়ি থামার শব্দ পেয়ে সকলেই পিছু ফিরে তাকায়। গাড়ি থেমে নেমে আসে এসআই অফিসার। বেশ সিরিয়াস রয়েছেন উনি। দ্রুত পায়ের ধাপ ফেলে কাছে আসতেই সকলে একজোট হয়ে উনাকে স্যালুট জানাতেই উনি মাথা নাড়াতেই সকলে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। কিছুটা বিস্ময়ের সাথে নির্জন এবং রায়ানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে ওঠে,
“ইন্সপেক্টর রায়ান আর সিক্রেট টিমের লিডার অফিসার নির্জন। তোমরা থাকতে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটল কি করে?”
ইন্সপেক্টর রায়ান মাথা নুইয়ে ফেলে।
“আই এম সরি স্যার। আমরা সতর্ক ছিলাম। ভাবিনি সেই টিম এতো দ্রুত কাজ ঘটিয়ে ফেলবে। পুরো টিমের এক অংশ ধ্বংস হয়ে গেল। তার জন্য ওয়ানস্ এগেইন উই আর এক্সট্রিমলি সরি।”
অফিসার সন্তুষ্ট হলেন না। নির্জনের দিকে তাকালেন। নির্জন চোখে চোখ রেখেই উত্তর দেয়,
“আই এম সরি স্যার। যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে পারব না। তবে এই ক্ষতির জন্য যারা দায়ী তাকে আপনার সামনে হাজির করব। আই প্রমিস!”
অফিসার আর কোনো কথা বললেন না। পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। তৎক্ষনাৎ নির্জন মেহরাজকে বলে উঠল,
“কোনো সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড তো নেই তাই না?”
মেহরাজ মাথা নাড়ায়। নির্জন ব্যস্ত সুরে বলে,
“তাহলে আশেপাশের বিল্ডিং এ সার্চ করো। সেখানকার যত সিসিটিভি ফুটেজ আছে সব নিয়ে এসো। আর সেই সাথে যেই দুজন কনস্টেবল বেঁচে আছে তাদের খোঁজ নাও। ফাস্ট!”
মেহরাজ কাজে লেগে পড়ে তার টিমের সাথে। নির্জন দূর থেকে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বড় বাড়ির দিকে পলকহীন ও কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ভেতরের ক্রোধটা বাড়তে থাকে দাবানলের মতো। দাঁতে দাঁত চেপে সেই দাবানলকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে। তার কালো কোটের পকেট থেকে বের করে একটা মোটা কাগজ। কাগজটা খুলতেই তার চোখমুখ কুঁচকে আসে। দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে কাগজ চেপে ধরে। কাগজে এক নারীর স্কেচ আঁকা। নারীটির মুখশ্রী বড্ড চেনা। নির্জন বিরবির করে বলে ওঠে,
“আমি জানি কাজটা তোমার মিস. রাগিনী। সব খোঁজ নেওয়ার পর জানতে পেরেছি তুমি বেরিয়েছো মেন্টাল হসপিটাল থেকে নয়টায়। কিন্তু বাড়ি ফিরেছো সাড়ে দশটার পর। মাঝখানে এতোগুলো সময় কোথায় ছিলে সেটা আমাকে জানতে হবে। আই উইল কি*ল ইউ!”
ভোর তখন ছয়টা। সবে সকালের আলো ফুটেছে। নব্য দিনের সূচনা। আকাশে লাল আভা। খোলা জানালা দিয়ে সেই নতুন দিনের আলো আসায় চোখমুখ কুঁচকে অন্যপাশ ফিরে কোলবালিশটা জড়িয়ে নিল ঘুমন্ত রাগিনী। এলোমেলো চুলে ঘুমটা হালকা হয়ে এলো। চোখ না খুলেই মুখ থেকে চুল সরিয়ে শান্ত হয়ে পড়ল। ঘুমে মগ্ন হবার চেষ্টা করল। কিন্তু বিধি বাম। তার কানে এসে পৌছালো কিছু চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ। তবুও সে সেটাকে পাত্তা না দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করল। কিন্তু হলো না। আওয়াজ বেড়ে চলেছে। একসময় বিরক্ত হয়ে চোখ খুলল সে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জানালার দিকে তাকালো। একরাশ বিরক্তির ছাপ তার মুখে। আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে পড়ল সে। পায়ে সামান্য স্লিপার পড়ে ধীর গতিতে গেল জানালার দিকে। ভালো করে পর্দা সরিয়ে বাহিরের দিকে চোখ দিতেই চোখ চড়কগাছে পরিণত হলো তার। অস্ফুটস্বরে বলে উঠল,
“কো…কোহিনূর!”
ঘুমটা চোখ থেকে এবার ছুটে গেল। আর কিছু না ভেবে বাহিরের দিকে ছুট লাগালো। সিঁড়ি বেয়ে নেমে হলরুম পেরিয়ে সদর দরজার লক খুলে বাহিরে বের হতেই চোখে পড়ল এলোমেলো অবস্থায় কোহিনূরকে। দারোয়ান তার দিকে লাঠি তাক করে আছে। দুজনে তর্কাতর্কি করছিল। রাগিনী ভাবলেশহীন হয়ে সামনে থাকা এলোমেলো সেই লোকটির দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু কোহিনূর সে তো রাগিনীর দেখা পাওয়া মাত্রই রাজ্য জয়ের হাসি দিয়ে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই ছুটে এসে শক্ত করে রাগিনীকে উচ্ছ্বাসের সাথে জড়িয়ে ধরে বলে,
“এইতো রাগের রানীর দেখা পেয়েছি!”
চলবে…
[বি.দ্র. যতই আগে লিখা শুরু করছি ততই দেরি হচ্ছে। লোডশেডিং হচ্ছে ঘনঘন। যার ফলে লিখায় মন টিকছে না। অনেকের মতে কোহিনূর নামটা শুধু মেয়েদের। কিন্তু না। আমি জেনেশুনেই নামটা দিয়েছি। এই নামটা উভয়ের জন্য এবং আমার অনেক পছন্দের। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]