মেইন রাস্তায় যখন রাগিনী বুঝতে পারল একজন পুরুষ তার গলার ওড়না পেঁচিয়ে পেছন থেকে গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে রেখেছে তৎক্ষনাৎ নিজের ক্রোধ সামলাতে না পেরে পিছু ফিরে সেই কাঙ্ক্ষিত পুরুষটিকে থাপ্পর মারতে উদ্যত হলো। তবে তার সামনে থেকে কিছু লোকজনের চিৎকার ভেসে আসায় সেটা না করে তড়িঘড়ি করে ঘাড় সোজা করে তাকাতেই দেখলো কয়েকজন লোক তার দিকেই তেড়ে আসছে। চোখ বড় বড় করে তাকালো রাগিনী। তবে সরে যেতে পারলো না কোথাও। হতবাক হয়ে সামনেই তাকিয়ে রইল। ততক্ষণে সেই লোকজন তার কাছেই চলে এসেছে। হুঁশশ ফিরল রাগিনীর। তারপর লোকজনগুলোকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো তারা একটা নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়া। সে কিছু বলার আগেই লোকদের মধ্যে একজন বলে উঠল,
“ম্যাডাম আপনি সাইড হন। এই লোকটাকে আমি দেখছি। সারাদিন পাগলামি।”
রাগিনী কিছু বুঝলো না। সরু দৃষ্টিতে লোকটার কথা বোঝার চেষ্টা করতেই তার গলার ওড়নায় টান পড়ল। রাগিনী চোখমুখ খিঁচে তাকালো ঘাড় ঘুরিয়ে। রাগিনীর ওড়না নিয়ে টানাটানি করা লোকটি ওড়না দিয়েই নিজেকে ঢেকে রেখেছে। আশ্চর্য হয়ে ওড়না টেনে নিতে চায় রাগিনী। তবে পুরুষালি শক্তির সাথে কি পারা যায়? সেই মূহুর্তে আরেক লোক ওড়না নিয়ে টানাটানি করা লোকটির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
“ভালোই ভালোই বেরিয়ে আয়। নয়ত আজ তোর খবর খারাপ করব আমরা। একে তো পালিয়ে এসেছিস। আর রাস্তায় পাগলামি শুরু করেছিস?”
কথাগুলো রাগিনীর কর্ণগোচর হওয়া মাত্র সে ঘনঘন পলক ফেলে ভেবে পায় যে এই লোকজন মেন্টাল হসপিটাল থেকে এসেছে। আর তার ওড়না পেঁচিয়ে যে দাঁড়িয়ে আছে সে মানসিক রোগী। যে কিনা কোনোভাবে পালিয়ে এসেছে। রাগিনী এতো কিছু ভেবে ওঠার পরপরই যখন লোকজনগুলো রাগিনীর পেছনে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষটির দিকে এগিয়ে আসে তখনি ঘটে অঘটন। পুরুষটি তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরে হিংস্রতার সাথে সবার উদ্দেশ্যে বলে ওঠে,
“আমায় স্পর্শ চেষ্টা করলেও আমি এই মেয়েকে মে’রে দেব।”
সকলে থমকায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে বলে। রাগিনী নড়াচড়া বন্ধ করেছে। তার ফর্সা গলায় চাপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা ওড়না সরাতে চাইছে। তবে তাকে আগলে ধরে আছে এক পুরুষালি বিশাল হাত। মানসিক রোগী হলে কি হবে? সে ছুটতে পারছে না। রাগিনী শান্ত হবার চেষ্টা করে কিছুটা। চোখ বন্ধ করে বড় বড় শ্বাস নেয়। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে তাকে শান্ত থাকতে হবে। নিজেকে সামলে বলে ওঠে,
“দেখুন শান্ত হন। ওরা কেউ আপনার কাছে আসবে না। আমি ওদেরকে আপনার কাছে আসতে দেব না। রিল্যাক্স।”
বলেই সামনে থাকা হসপিটালের লোকজনকে চোখ দিয়ে ইশারা করে রাগিনী। পুরুষটির হাতের বাঁধন হালকা হয়। তবুও বড় বড় শ্বাস ফেলতে ফেলতে জিজ্ঞেস করে,
“সত্যি? ওরা আমাকে আবার ওইখানে নিয়ে গিয়ে মা’রবে। আমি ওখানে থাকব না। তাই চলে এসেছি। তুমি ওদের থেকে আমায় বাঁচাবে?”
“হ্যাঁ অবশ্যই। ওরা তো আপনাকে টাচও করতে পারবে না। কিন্তু আপনাকে বাঁচাতে গেলে যে আমায় ছেড়ে দিতে হবে। আপনি যেভাবে ধরে রেখেছেন। এভাবেই ধরে রাখলে আমি বাঁচাবো কি করে?”
সেই লোকটি কিছুটা শান্ত হয়। সে আস্তে আস্তে আলগা করে দেয় রাগিনীকে। তৎক্ষনাৎ না দেখে হসপিটালের লোকগুলো ছুটে আসে। আবারও লোকটা রাগিনীর পেছনে বাচ্চাদের মতো লুকিয়ে রাগিনীকে সামনে এগিয়ে দেয়। রাগিনী এবার তাদের উদ্দেশ্যে ক্ষীণ সুরে বলে ওঠে,
“এই পেশেন্ট পালিয়েছেন সেটা মানলাম। কিন্তু পেশেন্ট উপর অ’ত্যাচার করেন আপনারা? মেন্টাল হসপিটালে একজন পেশেন্টকে পাঠানো হয় তার মেন্টাল হেলথ ভালো করার স্বার্থে। আর পেশেন্টকে মা’রধর করে কি করে তার মেন্টাল কন্ডিশন বেটার করবেন?”
লোকজন যেন কিছুটা বিরক্ত হয়। শাঁই শাঁই করে গাড়ি যাচ্ছে। রাস্তার মাঝে এতো ভীড় দেখে অনেকে গাড়ির গতি কিছুটা কমাচ্ছে। লোকজনের মধ্যে একজন বললেন,
“ম্যাডাম, আপনি কি করে বুঝবেন এদের কত জ্বালা? কতটা অসহ্য এরা জানেন? এদেরকে সোজা করতে মা’রতেই হবে। আপনি আমাদের বিশেষ ট্রিটমেন্ট বুঝবেন না।”
এবার ক্ষুব্ধ হয় রাগিনী। চোখ বড় করে ভ্রু দুটো বাঁকিয়ে তাকায়। ফর্সা ত্বকে দেখা দিয়েছে রাগের রক্তিম আভা। গোল চোখদুটোতে তখন ক্রোধের বিশেষ ছাপ। কড়া সুরে বলে,
“এক্সকিউজ মি! আপনারা যা বোঝেন তার থেকে যথেষ্ট আমি ভালো বুঝি। আমি সাইকোলজি নিয়ে পড়ছি। তাই একজন পেশেন্টকে কি করে ট্রিট করতে হয় তা সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। কোন হসপিটালে কাজ করেন আপনারা?”
সকলে কিছুটা ভড়কে যায় রাগিনীর এমন শক্ত জবাব শুনে। কেউ কিছু বলার আগেই রাগিনী আবারও সন্দিহান হয়ে প্রশ্ন করে উঠল,
“সামনে মেইন রোড দিয়ে বাজার পেরিয়ে ‘শাহ্ মানসিক হাসপাতাল কেন্দ্র’ যেটা সেখানকার নাকি আপনারা?”
সকলের মৌনতা দেখে রাগিনী বুঝে ফেলে সে ঠিকই ধরেছে। তারা আবারও এগিয়ে এসে বলে,
“দেখুন আমাদের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেন না। ওকে নিয়ে যেতে দিন। অনেক কাজ আছে আরো আমাদের। একটা পেশেন্ট পালিয়েছে জানলে স্যার আমাদের আস্ত রাখবেন না।”
“আপনাদের স্যার মানে ডক্টর শাহ্ রাশেদ সম্পর্কে আমার বাবা হন।”
সকলে এবার দাঁড়িয়ে পড়ে। চোখেমুখে হঠাৎ করেই ফুটে উঠেছে অন্যরকম রঙ। সকলের মাঝে কৌতূহল এবং মুখ হয়েছে ফ্যাকাশে। রাগিনী এবার তেজ নিয়ে বলে,
“আমি ভেবেই অবাক হচ্ছি বাবার এতো কষ্টে গড়া একটা মেন্টাল হসপিটালের এই পরিণতি। সেখানে পেশেন্টদের সাথে এই ব্যবহার করা হয়?”
সকলে যেন মাথা নুইয়ে ফেলে। রাগিনীর বিস্ময় এবং রাগ কাটছেই না। সে কি বলবে তা মুখেই আসছে না। ঢাকার একজন বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট শাহ্ রাশেদ। উনার একমাত্র মেয়ে রাগিনী তাজরীন। রাগিনীর মা নেই। গত হয়েছেন রাগিনী ছোট থাকতেই। ফলে বাবার অতি আদরে মানুষ রাগিনী। বাবার মতোই একজন সাইকোলজিস্ট হবার লক্ষ্য তার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে এসেছে বাবার কাছে। আজ বিকেলে গোধূলির আলোমাখা পরিবেশ দেখে সে বেরিয়েছিল তার বাবার হসপিটাল দেখতে যেতে। মাঝপথে পুরোনো গাড়ির সমস্যা দেখা দেওয়ায় সে হেঁটেই আসছিল কিছুটা পথ। আর এর মাঝেই তার সাথে এই বিপত্তি ঘটে।
এই মেইন ব্যস্ত এক রাস্তায় তারা ছাড়া তেমন কোনো লোকজন নেই। ব্যস্ত শহর। শাঁই শাঁই করে গাড়ি ছুটছে শুধু। ভালো করে দেখারও সুযোগ নেই গাড়িটিকে। এই রাস্তায় গাড়ি দ্রুত ছোটে। রাগিনী আশেপাশে তাকিয়ে হসপিটালের লোকগুলোর উদ্দেশ্যে বলে ওঠে,
“গাড়ি এনেছেন কোনো?”
সকলে মাথা নাড়ায়। একজন ড্রাইভারকে কল করতেই কিছুক্ষণের মাঝে গাড়ি দেখা যায়। এম্বুলেন্স আরকি! এম্বুলেন্স দেখামাত্র রাগিনীর সাথে দাঁড়িয়ে থাকা মেন্টাল পেশেন্ট ভয়াতুর চোখে তাকায়। রাগিনীর হাত চেপে ধরে বলে,
“আমি ওই গাড়িতে যাব না। এরা প্রথম আমাকে এই গাড়িতে করে এনে ওই ফালতু জায়গায় ফেলেছিল। আবার ওরা আমাকে ওখানে নিয়ে যাবে।”
রাগিনী চোখমুখ খিঁচে ফেলে। লোকটা তার হাত এতো শক্ত করে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে হাত ছিঁড়ে যাবে এই মূহুর্তে। কিন্তু তার রাগ হওয়া চলবে না। কন্ঠস্বর নরম করে বলল,
“আমিও যাচ্ছি আপনার সাথে। আই প্রমিস আপনার কিছু হতে দেব না আমি।”
“সত্যিই তুমি যাবে?”
রাগিনী ব্যথার মাঝে স্মিত হাসি দিয়ে মাথা ঝাঁকায়। এবার আর কাউকে কিছু করতে হয় না। লোকটা নিজেই রাগিনীর হাত ধরে গাড়ির সামনে নিয়ে যায়। রাগিনী হালকা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে। লোকটি আরো হাত শক্ত করে ধরতেই রাগিনীর চোখমুখ লাল হয়ে আসে। চারিদিকে অন্ধকার দেখে। গাড়ির সামনে দাঁড়াতেই সে রাগিনীর হাত ছেড়ে উঠে একা একা গাড়িতে বসে পড়ে। তাও আবার পায়ে পা তুলে। লোকটা তো বেশ স্টাইল জানে! রাগিনী হাত ছাড়া পেয়ে বড় শ্বাস নেয়। নিজের হাতটা অন্যহাত দিয়ে নাড়াতে থাকে। চিনচিন ব্যথা করছে। বড় চোখ দুটো ছোট হয়ে আসে গোধূলির সুপ্ত সূর্যের তাপে। সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে। তাও সরাসরি রাগিনীর মুখের উপর। রাগিনী খেয়াল করল লোকটা তার দিকে দৃঢ় দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে। রাগিনী খেয়াল করা মাত্র লোকটি গম্ভীর হয়ে বলল,
“আমার সাথে যাবে বলেছো। সো কাম ইন!”
রাগিনী হতভম্ব। তার জানামতে সামনে থাকা লোকটা একজন পেশেন্ট। তার কথাবার্তার ধরণ দেখে বর্তমানে মনেই হবেনা। তার বসার ধরণও পাল্টেছে। অদ্ভুত তো! ততক্ষণে হসপিটালের লোকজন চলে আসে। রাগিনীর উদ্দেশ্যে একজন বিনয়ের সাথে বলে ওঠে,
“ম্যাম, অবাক হবেন না। সে পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের পেশেন্ট। আমাদের হসপিটালে সবথেকে ভয়ানক যেসব পেশেন্ট হয় তার মধ্যে এই টাইপ পেশেন্ট সবকিছুর ঊর্ধ্বে। এই পেশেন্ট দুই ধরনের আচরণ করবে আপনার সাথে। এখন গম্ভীর হয়ে গেছে। হয়ত এটাই তার আসল চরিত্র।”
লোকটা আরো বলতে চায়। রাগিনী থামিয়ে দেয়। সে বাকিটা জানে। এই বিষয়ে পড়েছে। এক ভয়ানক মানসিক রোগ! অতঃপর রাগিনী কিছুটা থেমে বলে,
“আমিও যাব আপনাদের সাথে।”
বলেই সেও গাড়িতে উঠে লোকটির সামনা-সামনি বসে পড়ে। গাড়ি চলতে শুরু করে। রাগিনীর দুটো গভীর আঁখির দৃষ্টি নিবদ্ধ সামনে থাকা সেই পুরুষটির দিকে। অগোছালো চুল ঝাঁকড়া উষ্কখুষ্ক চুল আর দাড়িগুলোও খুব একটা বড় না হলেও পুরোপুরি অগোছালো। চোখেমুখে বিশাল গাম্ভীর্য বিরাজ করছে। বড় বড় হাতের নখ। এক সুবিশাল দেহের অধিকারী! তবুও লোকটা কিনা একটা পেশেন্ট! হঠাৎ এক প্রশ্নেই ধ্যান ভাঙ্গে রাগিনীর।
“এখনো তোমার নামটাই জানা হলো না! সো নেম?”
রাগিনী থতমত খায়। গলা খাঁকারি দিয়ে উত্তর দেয়,
“রাগিনী তাজরীন। আপনার?”
“কোহিনূর আর…”
পুরো কথা সম্পূর্ণ না করেই সে থামে। কিছু একটা ভাবতে থাকে। তা দেখে রাগিনী আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“কি ভাবছেন?”
“আই ফটগট সামথিং! তোমার নামে তেমন টাইটেল আছে। আমার নামেও তো থাকা উচিত তাই না? কি টাইটেল সেটা ভুলে গেছি।”
রাগিনী কিছুটা শব্দ করে হাসে। আর মজা করে বলে,
“কোহিনূর রত্ম!”
কোহিনূর নামক লোকটি কোনো জবাব দেয় না। চুপ থাকে। রাগিনী বুঝতে পারে সে কথা বলার মুডে নেই। সেও চুপ হয়ে যায়। কোহিনূর বেশ চুপচাপ থেকে বলে আচমকা বলে ওঠে,
“তোমার নাম রাগিনী কেন? তুমি কি সবসময় রাগ করো?”
রাগিনী কিছুটা ভেবে উত্তর দেয়,
“তা তো বাবা বলতে পারবে। বাবা আমার নামটা রেখেছিল।”
“তোমায় দেখে মনে হয় না। তুমি এ্যাংরি বো*ম। হোয়াটএভার, কার মধ্যে কি থাকে বলা যায় না!”
রাগিনী কথা না বুঝতে পেরে চুপ করে থাকে। গাড়ি চলতে থাকে আর নিজ গন্তব্যে।
হাতে ফোন ধরে জানালার কাছে বসে অনবরত কথা বলছে এক সুদর্শন পুরুষ। তার কন্ঠে চাপা উত্তেজনা।
“আই ওয়ান্ট অল ইনফরমেশন ওফ দিস গার্ল! এট এনি কস্ট।”
পুরুষটির শক্ত কন্ঠ শুনে ফোনের ওপাশ থেকে ঢক গিলল মেহরাজ। কাঁপা সুরে বলে ওঠে,
“জি স্যার।”
মেহেরাজের কথা শুনেও ক্ষ্যান্ত হলো না সে। টান টান হলুদ ফর্সা চেহারায় বিন্দু বিন্দু ঘাম। মুখভঙ্গিতে ভীষণ কঠোরতা। খোঁচা খোঁচা দাড়ির একটু ওপরে ডান গালের কালো তিল চোখে পড়ার মতো। মেহরাজ নিজেকে সামলে বলে ওঠে,
“স…স্যার, মেয়েটার খোঁজ পেয়েছি। মেয়েটার নাম রাগিনী তাজরীন। সাইকোলজি বিভাগে পড়াশোনা করছে। আচ্ছা একটা ভালো স্টুডেন্ট কি করে এতো বড় অপরাধী হতে পারে স্যার?”
“আজকাল তো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কিছু অফিসার ক্রা*ইমের সাথে যুক্ত থাকে। ইভেন বড় বড় ফেমাস পারসনের অনেকে মাফি-য়া দলের সাথে যুক্ত থাকে। এটা কি অস্বীকার করতে পারি?”
সেই পুরুষটিকে কন্ঠে আগের মতোই জোর রেখে কথাগুলো বলল। মেহরাজ ভেবে বলল,
“না স্যার। আপনার কথাগুলো ভুল নয়।”
“সহজসরল মুখ বলে তার অন্তরও সহজসরল সেটা ভেবে ভুল করো না মেহরাজ। দেয়ার ইজ সামথিং সাসপিসিয়াস এবাউট দিস গার্ল। আর আমি নির্জন আহমেদ সেটা বের করেই ছাড়ব। লেটস্ সি! এই ইনোসেন্ট ফেসের মাঝে কি লুকিয়ে?”
চলবে…
[আবারও নতুন গল্প নিয়ে চলে এলাম। টুইস্ট আছে কিছু গল্পে। প্রথম পর্ব পড়েই যা তা ভেবে নিবেন না। গল্পে রহস্য আছে। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]