গোধূলি বেলায় তুমি এসেছিলে – পর্ব ৪৭

0
307

#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৪৭

“এখন কেমন লাগছে সাইকোলজিস্ট সাহেব? ভালোই তো ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন।”

রাশেদ সাহেব হালকা হাসলেন। হাসতেও যেন খানিকটা কষ্ট হচ্ছে। বুকটা জ্ব’লছে এখনো। বুকে হালকা হাত রেখে দুর্বল গলায় জবাব দিলেন,
“এখন তো বেশ ভালোই আছি। মাঝে মাঝে ভয় পেয়ে যাওয়া ভালো কিন্তু। সব অনুভূতির মাঝে ভয় ধরাও উচিত।”

“আর আপনার মেয়ে? সে তো প্রায় পা’গল হয়ে গিয়েছিল? তার কথাও তো ভাবতে হবে।”

“ওর জন্যই তো ওপারের টিকিট কেটেও যেতে পারিনি।”

রাশেদ সাহেবের কথায় বিস্তর হাসলেন ড. ইরশাদ। অতঃপর বললেন,
“আর এমন টিকিট কাটার দরকার নেই। আমি আসছি তাহলে। আবার আপনাকে জ্বা’লাতে আসব। হসপিটালে রাউন্ড দেওয়ার সময় হয়েছে।”

বলেই চললেন ড. ইরশাদ। তিনিই বর্তমানে রাশেদ সাহেবের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি নিজেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন রাশেদ সাহেবের কন্ডিশনে। শেষ মূহুর্তে রেসপন্স করেছিলেন বলেই বেঁচে গিয়েছেন এবারের মতো। উনি যাবার পরেই পাশের টুলে বসে থাকা রাগিনী তার বাবার হাত ধরে আহ্লাদী কণ্ঠে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে ওঠে,
“বাবা! আমাকে একা করে দিয়ে যাচ্ছিলে কেন?”

মেয়ের এমন প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাশেদ সাহেব কষ্ট করে নিজের হাতটা উঠিয়ে মেয়ের মাথায় হাত রাখেন।
“এভাবে বললে হবে? সৃষ্টিকর্তার ডাক কখন পড়বে বলা যায়?”

“আমি তোমায় ছাড়া একা একা কী করে থাকব? আমার তো অন্য কেউ নেই। আমি জানি না তুমি আর এমন করবে না আমার সঙ্গে।”

“শুনেছি তুমি জ্ঞান হারিয়েছিলে? এখন ঠিক আছো তো? এত চিন্তা কেউ করে? ডক্টর চেকআপ করেছে? কী বলেছে তোমার প্রেশার লো তাই তো?”

রাগিনী মিনমিন করে বলে,
“উঁহু… তা তো বলেছে আর…”

বলতে বলতে কথার মাঝপথে থেমে যায় রাগিনী। পুরোটা বলা কি ঠিক হবে? তার এমন কথার মাঝে থেমে যাওয়ায় জোর গলায় রাশেদ সাহেব জিজ্ঞেস করেন,
“আর কী? বলো।”

“আসলে বাবা কারা যেন আমাকে ব’ন্দি করে করে ড্রা’গ টাইপের কিছু দিয়েছিল না? সেটার প্রভাবেও জ্ঞান হারাতে পারি বা বেশ কয়েকদিন এর প্রভাব থাকতে পারে। যার কারণে হ্যালুসিনেট করতে পারি।”

রাশেদ সাহেব চুপ রইলেন। তার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে রাগিনীর বুঝতে দেরি হলো না উনি ফের চিন্তায় মত্ত হয়েছেন। রাগিনী স্পষ্টভাবে বলল,
“জানি চিন্তা করতে শুরু করেছ। এজন্যই বলতে চাইনি। তোমার আজকের এই অবস্থা শুধুমাত্র আমাকে নিয়ে চিন্তা করার জন্যই। আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করছ তুমি। কেন এত চিন্তা করছ? দরকার নেই। যা হবার তা হবে।”

বলেই কোহিনূরের কথা স্মরণ করল রাগিনী। যেন এই মানুষটাই সব কিছুর মূলে। এই লোকটাই তো তার পিছু নিয়েছে। সেকারণেই এখন তাকে সব হারানোর ভয় ঝেকে বসেছে। রাগিনীর রাগ হলো। নাকি অভিমান হলো? সে সম্পর্কে সে অবগত নয়। রাশেদ সাহেব স্থির নয়নে মেয়ের দিকে চেয়ে রইলেন। মেয়েটা শুধু শুধু নিজেকে দোষারোপ করছে। এখন উনি কী করে বোঝাবেন যে চিন্তার কারণ হাজারটা? আর সেই চিন্তার উদ্ভব হয়েছে স্বয়ং নিজের থেকেই। কিন্তু তা তো মুখ ফুটে বলতে পারবেন না মেয়েকে। তার অবস্থা যে এখনো খুব একটা ভালো সেটা উনি বুঝতে পারছেন। ভবিষ্যতে মুষড়ে পড়তে সময় লাগবে না সেটাও বোধগম্য হলো। তবে মেয়েটার কী হবে? আসলেই তো সে একা। এবার কণ্ঠ খাদে নামিয়ে তিনি বললেন,
“একটা কথা নিজের মাথায় ঢুকিয়ে নাও। বাস্তবতা যতই কঠিন হক। তার থেকে কখনো আমরা পালাতে পারব না। যেমন আজ যদি সত্যিই আমার কিছু হয়ে যেত তবে কিন্তু কিছুই করার ছিল না রাগিনী। জীবনের নিশ্চয়তা কেউ কখনো দিতে পারে না। তাই তুমি তোমার মনকে শক্ত রাখবে, তৈরি রাখবে। তবে একটা বিষয় আমায় খুব ভাবাচ্ছে। তোমার ভবিষ্যৎ। মানুষ কখনো একা একা চলতে পারে না। তার জন্য লাগে কোনো সঙ্গী। যার হাত ধরে সবসময় চলতে হয়। এতগুলো বছর আমি তোমায় আগলে, তোমার ছোট আর নমনীয় হাত ধরে তোমায় এগিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমার এই হাতটা ভরসা আর নেই।”

এতক্ষণ কোনোমতে দমিয়ে রাখা কান্নাগুলো আর বাঁধ মানতে চাইছে না। ঠেলে ঠেলে বেরিয়ে আসছে। চোখ দুটো দিয়ে সবটা ঝাপ্সা দেখছে। কী বলছে তার বাবা? মানতে যে খুব কষ্ট হচ্ছে। একদিকে তিল তিল করে যত্নে গড়া অনুভূতি ভেঙেচুরে দেওয়া কোহিনূরের বিশ্বাসঘাতকতা অপরদিকে তার বাবার এমন শক্ত কথা। কতদিক আর সহ্য করা যায়? মাথা নিচু করে ঠোঁট কামড়ে নিজের কান্না সংবরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাগিনী। তৎক্ষনাৎ রাশেদ সাহেব আবার বললেন,
“তোমার পছন্দের কেউ আছে? কাউকে নিজের সঙ্গী বানাতে চাও?”

বেশ উৎসুক হয়ে প্রশ্নটা করলেন রাশেদ সাহেব। রাগিনী চকিতে তাকাল। ছোট থেকেই তার মা না থাকাই সব খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো বাবার সঙ্গেই শেয়ার করেছে। এখন এটাও তার বাবাকে বলতে হবে? কিন্তু কার কথা বলবে সে? মনটা যেন বার বার জোর করতে থাকল কোহিনূরের নামটা নেওয়ার জন্য। অবুঝ মন! কোনো যুক্তিই তার কাছে বোধগম্য নয়। সে যা বোঝে তাই। আর সে তো বোঝে শুধু মিথ্যেবাদী কোহিনূরকেই। নিশ্বাস প্রগাঢ় হয়ে এলো রাগিনীর। মনে মনে নিজেকে ধমকে বলল, কীসের এত বাসনা? কীসের এত লোভ একটা স্বার্থপরকে পাওয়ার? যে তোকে মিথ্যে বলেছে তাকে পেতে হবে? উঁহু না! রাগিনী চোখমুখ খিঁচে জোরপূর্বক উত্তর দেয়,
“কেউ নেই বাবা। কেউ নেই। হঠাৎ এই প্রশ্ন করলে?”

“কারণ আছে বলে করেছি। আমার কিছু হয়ে যাওয়ার আগে তো তোমার পাশে রাখার মতো কাউকে দরকার।”

“তুমি কী বলছ আমি বুঝতে পারলাম না বাবা।”

ক্ষীণ গলায় বলল রাগিনী। তার হাত-পা কাঁপছে কোনো অজানা আশঙ্কায়। কিছুটা আন্দাজে আসতে পেরেছে সে। ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে আর প্রতীক্ষা করছে বাবার উত্তরের।
“খুবই সহজ রাগিনী। আমি চাইছি আমি কিছুটা স্টেবল হয়ে উঠলেই তোমার জন্য যোগ্য কোনো সঙ্গীর ব্যবস্থা করতে।”

রাগিনী ওড়না শক্ত করে চেপে ধরল। এটা সে চায়নি। তার মুখের সুর হারাল। বাকহীন হয়ে তাকিয়ে রইল। কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর নিচু সুরে বলল,
“এটা কথা ছিল না বাবা। তুমিও তো চেয়েছিলে আমি যেন তোমার মতো হই। আমার পড়াশোনা?”

“সব হবে। আমি তোমায় তাড়াহুড়ো করতে বলিনি। তোমার কোনো ইচ্ছে অপূর্ণ থাকবে না। তবে আমার চোখে একজন রয়েছে যে তোমায় বুঝবে।”

রাগিনী ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল। হুড়মুড়িয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কে?”

রাশেদ সাহেব এই বিষয়ে আর কিছু বললেন না। মৃদু হেসে বললেন,
“সময় হক। এখন এসব নিয়ে তোমার চিন্তাভাবনা বাড়াব না। তুমি আস্তে আস্তে তৈরি হও।”

রাগিনী কিছু বলার পূর্বেই একজন ওয়ার্ড বয় এলো। বিনয়ের সঙ্গে রাগিনীকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“স্যারকে এখন অবজারভেশনে রাখা হয়েছে ম্যাম। এখানে আপনার বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। এখন বাহিরে যেতে হবে। ঘুমানোর সময় হয়েছে উনার।”

রাগিনী প্রতিত্তোরে কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়াল। রাশেদ সাহেবের দিকে চেয়ে থমথমে গলায় বলল,
“গুড নাইট বাবা।”

রাশেদ সাহেব মাথা দুলালেন। রাগিনী উঠে বাহিরে এসে সিটে ধপ করে বসল। দুহাত পড়ল মাথায়। বাবার সব কথা মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে যেন। নিতে পারছে না আর! কী করে করবে নিজেকে তৈরি? অসহ্য লাগছে চারিদিক। বি’ষের চেয়েও বি’ষাক্ত হয়ে উঠেছে প্রতিটা মূহুর্ত। মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে রাগিনীর। দেয়ালের সাথে মাথা লাগিয়ে দেয় সে। চোখটা বুঁজে আসে। বিড়বিড় করে বলে,
“আজ বাবাকে আপনার নামটাই বলতাম যদি সবটা ঠিক থাকত। যদি সত্যিই আমি আপনার প্রেয়সী হতে পারতাম। যদি সত্যিই আমাদের এতগুলো একসাথে কাটানো মূহুর্তগুলোর মাঝে কোনো একটা অর্থ থাকত। কিছুই নেই। সব অর্থহীন। সব একতরফা।”

সিটি হসপিটালটা সবে একটু একটু করে নীরব হতে শুরু করেছে। সরগম কমছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। নাইট ডিউটি ব্যতীত সব ডক্টর নিজেদের বাসস্থানে ফিরতে ব্যস্ত। রাগিনী একা একজায়গায় বসে। রাগিনী স্তব্ধ হয়ে মূর্তির ন্যায় চোখ বুঁজে বসে আছে। পেটে কিছুটা খাবার পড়েছে। অভিরূপ ও নোমান রাগিনীকে খাইয়ে তবেই বাড়িতে ফিরেছে। যদিও তারা যেতে চায়নি। রাগিনীর জোরাজুরিতেই তাদের বাড়ি ফেরা। তবে সকাল সকাল তারা উপস্থিত হবে তাতে নিশ্চিত রাগিনী। কখনো কখনো সে বুঝেই উঠতে পারেনা যে সে একজন সেলেব্রিটি মানুষের সাথে রয়েছে। সে দেখেছে অভিরূপের মাঝের উচাটন। রাশেদ সাহেবের জন্য দুশ্চিন্তা। মানুষটা একটু পাগলাটে হলেও বেশ ভালো।

নির্জন হসপিটালের রিসেপশনে আসে। চোখেমুখে চাঞ্চল্যতা। মনটা দুরুদুরু করছে। শান্ত হচ্ছে না কিছুতেই। তবুও শান্ত গলায় রিসেপশনিস্টকে বলে,
“হ্যালো. মিস! শাহ্ রাশেদ স্যারের কেবিনটা কোনদিকে বলতে পারবেন?”

রিসেপশনিস্ট চেক না করেই তড়িঘড়ি করে বলল,
“উনি তো এখনো অবজারভেশনে। সেকেন্ড ফ্লোরের লাস্ট দিকে।”

“থ্যাংক ইউ।”

বড় শ্বাস নিয়ে নির্জন এগোতে থাকে সিঁড়ির দিকে। দ্রুত পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে শেষ প্রান্তে বেশ উত্তেজনার সঙ্গে পৌঁছায়। হাঁটার মাঝেই মৃদু আলোতে দৃষ্টি আটকায় এক ছিপছিপে গড়নের দুশ্চিন্তা মাখানো মুখের দিকে। উজ্জ্বলতায় পরিপূর্ণ সেই মুখটা এখন ফ্যাকাশে। যেন নিষ্প্রাণ। নির্জনের বুক ধক করে ওঠে। মেয়েটা ঠিক আছে তো? এসব ভাবার মধ্যেই রাগিনীর নিকটে পৌঁছায় সে। রাগিনী চোখ হ্যান্ডেলে হাত রেখে তার উপর মাথা লাগিয়ে যেন অবচেতন। নির্জন তাড়াহুড়ো করে গিয়ে তার পাশে বসে। তার মাথায় আস্তে করে হাত বুলায়। তৎক্ষনাৎ হুড়মুড়িয়ে রাগিনী উঠে সোজা হয়ে বসতেই নির্জন চমকে ওঠে। চোখ বড় বড় করে তাকায় রাগিনীর দিকে। এখনো মেয়েটা চোখ বন্ধ করেই রয়েছে। ফট করেই চোখ মেলে রোবটের ন্যায় মাথা ঘুরিয়ে নির্জনের দিকে চোখমুখ কুঁচকে তাকাতেই নির্জন তব্দা খেয়ে যায়। মেয়েটা কি এতই শোকে কাতর যে চিনতে পারছে না তাকে? হতেই পারে! নির্জন কিছু বলাট আগেই রাগিনী খানিকটা চেঁচিয়ে বলে,
“আপনি আবার এখানে এসেছেন?”

থতমত খেয়ে যায় নির্জন। কী বলে এই মেয়ে? সে আবার কখন এসেছিল?
“আমি তো কেবলই এলাম।”

“মিথ্যুক। আস্ত একটা মিথ্যুকের বস্তা। সবসময় মুখে মিথ্যে লেগেই থাকে। এই নিয়ে নয়বার আপনি এসেছেন।”

“নয়বার?”

এবার বিস্ময়ে নিজেই হতবাক হয় নির্জন। মাথাটা ভনভন করে ওঠে। রাগিনী থামে না। আঙ্গুল উঁচিয়ে দুর্বল গলায় বলে,
“হু নয়বার। বার বার আমার সুযোগ নিচ্ছেন আপনি। ডক্টর বলেছে আমি ড্রা’গের প্রভাবে হ্যালুসিনেট করতে পারি। আর আপনি সেটার সুযোগ নিয়ে বার বার আমার হ্যালুসিনেশনে প্রবেশ করছেন। লজ্জা করে না?”

এবার নির্জন খানিকটা হলেও বুঝল। স্বস্তির শ্বাস ফেলল সে। মৃদু হেঁসে রাগিনীর হাতটা আলতো স্পর্শ করে বলল,
“দেখো! আমি এবার সত্যি এসেছি।”

রাগিনী ঝটকা মে’রে হাত সরায়। তড়তড় করে বলে,
“এর আগের বারও আপনি আমার হাত ধরেছিলেন, আমায় স্পর্শ করেছিলেন আর…”

“আর কী?”

“চুমুও খেয়েছিলেন। কিন্তু আবার উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।”

বলেই হতাশ হয় রাগিনী। তার চোখের ঘুমটা এখনো লেগে রয়েছে। সেই সঙ্গে এত বড় শক। তার উপর ড্রা’গের প্রভাব। সব মিলিয়ে মেয়েটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। নির্জন এবার রাগিনীর পাশ ঘেঁষে বসে বলল,
“তাই? কিসও করেছি?”

রাগিনী মাথা দুলায়। নির্জন আবারও বলে,
“রাশেদ আঙ্কেল কেমন আছেন?”

“সব হয়েছে আপনার জন্য। বাবার অবস্থার জন্য আপনি দায়ি।”

নির্জন বিস্ময় নিয়ে বলে,
“আমি?”

“হু আপনি। আমার পিছু নিয়েছেন জন্যই তো বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ছাড়ুন না আমার পিছু।”

কিছুটা অনুরোধ করেই বলল রাগিনী। নির্জন দম নিয়ে রাগিনীকে কাছে টেনে নিয়ে বলে,
“আরে বাবা, এই প্রথম দেখলাম মেয়ের চুরি হয়ে যাওয়ার চিন্তায় তার বাবা হার্ট ফেইল করেছে।”

“আপনি খুব নিষ্ঠুর মানুষ।”

বলেই নির্জনের বুকে থাবা দিয়ে সরে আসে রাগিনী। নির্জন প্রশ্ন করে,
“কেন?”

“”আপনি আমার জীবনের এমন একজন মানব যাকে ঠিক ভালোবাসা আর ঘৃণা এই দুটো অনুভূতির মাঝখানটাতে ঠাঁই দিয়েছি। সেই ভালোবাসা ও ঘৃণার মাঝে যু’দ্ধ আহ্বান করা হয়েছে। তারা নিজেরা যু’দ্ধ করছে আপনাকে নিজের কাতারে ফেলতে। আমার মনে কেন এই যু’দ্ধের সৃষ্টি করলেন কোহিনূর রত্ন?”

চলবে…

[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here