#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১৭
.
.
.
মেঘের লাগামছাড়া কথা শুনে ফারহা আর এক মুহূর্ত না বসে মেঘের কোল থেকে উঠে দৌড়ে নিজের রুমে যেতে নিলে আচমকা কারো বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলে সেই মানুষটা ফারহার হাত ধরে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরে৷
” আর ইউ ওকে ফারিহা? তোমার কোথাও লাগেনি তো?”
ফারিহা নামটা ফারহার কানে পৌছানো মাত্র ফারহা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে অর্নিলের বাহুদ্বয়ে আটকে আছে৷ ফারহা অর্নিলকে দেখে বেশ অবাক হয়৷ এই সময় অর্নিল এখানে আসতে পারে এটা ফারহা ভাবেনি৷ মেঘ ইতোমধ্যে ড্রইংরুমে এসে হাজির হয়৷ অর্নিলের বাহুদ্বয়ে ফারহাকে দেখে মেঘের চোখ মুখ রাগে লাল বর্ণ ধারণ করে ৷ ফারহা এক ঝলক মেঘের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে অর্নিলের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে৷
-” মিস্টার অর্নিল আপনি ভুল ভাবছেন৷ আমি ফারিহা নই৷ আমি ফারহা ফারিহার বড় বোন৷”
-” ওহ আই এম রেইলি স্যরি মিস ফারহা৷ আসলে আপনারা দুই বোন জমজ বিধায় আমি আপনাকে চিনতে পারি নি৷ বরং ফারিহা ভেবেছি৷ ”
” ইটস ওকে৷ কাছের মানুষ জন যখন আমাদের দু’বোনকে চিনতে পারে না কে ফারহা আর কে ফারিহা তাহলে আপনি কি করে চিনবেন?”
ফারহার কথা শেষ হতে মেঘ ফারহা পাশে এসে দাড়িয়ে , ফারহার কোমর চেপে ধরে বলে,” কেন ফারুপাখি যেভাবে আমি তোমাদের দু’বোন কে আলাদা করে চিনতে পারি তেমন ভাবে মিস্টার অর্নিল তার ভালোবাসার মানুষটাকে চিনবে৷”
অর্নিল অবাক হয় মেঘকে তার পরিচয় না জানাতে কি করে তার নাম জানতে পারে?
ফারহা উস্কখুস করতে করতে অর্নিলকে বলে, ” মিস্টার অর্নিল মিট মাই ফ্রেন্ড মেঘ চৌধুরী৷”
ফারহা মেঘকে ফ্রেন্ড বলে ইন্টিডিউজ করায় মেঘ আগুন চোখে ফারহার দিকে তাকাতে ফারহা মেকি হাসি দিয়ে আবার অনির্লকে বলে,” মিস্টার অর্নিল মেঘ শুধু আমার বন্ধু নয়৷ আমার উডবি হাসবেন্ট ৷ আর মেঘ মিস্টার অর্নিলের পরিচয় নিশ্চয় তুমি আগে থেকে জানো নাহলে এভাবে হুট করে ওনার নাম বলতে না রাইট?”
মেঘ ফারহার কোমর ছেড়ে দিয়ে বলে, রাইট ফারুপাখি ৷ একজন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারের কাছে তার প্রিয়মানুষদের আশে পাশে থাকা লোকদের নিশ্চয়ই খবর রাখবে৷ এটা কি স্বাভাবিক নয়?”
মেঘ গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার শুনে অর্নিল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,” আপনি সত্যি গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার মিস্টার চৌধুরী?”
” ইয়েস মিস্টার খন্দকার৷ ”
“তাহলে তো আমি কি করি না করি এটা আপনি নিশ্চয়ই জানবেন মিস্টার চৌধুরী?” অর্নিল হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে মেঘ তার হাত অর্নিলকে দেখিয়ে বলে, ” স্যরি মিস্টার খন্দকার, হাতে এটো লেগে আছে তাই আর হ্যান্ডশেক করতে পারলাম না৷”
” নো নো ইটস ওকে ৷ ” অর্নিলের চোখ জোড়া পুরো বাড়িতে বুলিয়ে যাচ্ছে তার ভালোবাসার মানুষটিকে দেখার জন্য, অথচ সেই মানুষটি যে আর কখনো তার কাছে আসবে না৷ তাকে বকবে না আর না কখনো তাকে রাগ দেখিয়ে চলে যাবে৷
ফারহা অর্নিলের চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারছে৷ অর্নিলের চোখ কাকে খুজছে৷ ফারহার মনটা নিমিষে খারাপ হয়ে গেল কারণ এই ছেলেটা সত্যিকারে ফারিহাকে বড্ড ভালোবাসে৷ ফারিহার জন্য নিজেকে বিশর্জন দিতে দু’বার ভাববে না৷
” মিস্টার অর্নিল আপনি বসুন আমি এখুনি আসছি৷” অর্নিলকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফারহা কিচেনে ঢুকে হাত ধুয়ে নেয়৷ ফারহার খুব খারাপ লাগছে অর্নিলের মতো এতো ভালো একটা ছেলের মন ভাঙতে ৷ কিন্তু এ ছাড়া আর কোন পথ ফারহা খুজে পাচ্ছে না৷ ফারহা হাত ধুয়ে কিচেন থেকে বের হতে নিলে দেখে মেঘ দেয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে৷
ফারহা মেঘকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে মেঘ বলে ওঠে,” ফারুপাখি যেটা করবে ভেবেছো তুমি, সেটাই করো৷ আমি তোমার পাশে আছি৷ ”
মেঘের কথা শুনে ফারহা কিছু বুঝতে না পেরে প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকায় মেঘের দিকে; মেঘ ফারহার কাছে এসে ফারহার কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে, ” যাও অর্নিল অপেক্ষা করছে ৷ ” এতোটুকু বলে মেঘ সরে আসে ফারহার থেকে , ফারহা আপাদতো অর্নিলের মন ভাঙার জন্য নিজের মনকে প্রস্তুত করছে৷ তাই মেঘের কথা গুলোর মানে না ভেবে ড্রইংরুমে চলে গেল৷
(৩৫)
ফারিহা রাগে ফোঁস ফোঁস করছে৷ কিন্তু হ্যারির তাতে বিশেষ কিছু যায় আসে বলে মনে হলো না৷ ফারিহার নেশা যখন কেটে যায় ততোক্ষণে হ্যারি তার কাজ করে ফেলেছে৷ ফারিহা যখন বুঝতে পারলো হ্যারি তার অজান্তে তার সাথে ইন্টিমেন্ট হয়েছে তখন থেকে প্রচন্ড ক্ষেপে আছে হ্যারির উপর ৷
কিং ফায়ার খুব বুদ্ধি করে ফারিহার দু’হাতে অটো ইলেকট্রিক হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে দিয়েছে৷ ফারিহা যদি বাড়াবাড়ি করে বা চেঁচামেচি করে তখনি ইলেকট্রিক শকড পাবে ফারিহা৷
ফারিহা রাগে ফুসতে ফুসতে হ্যারিকে বলে,
-“ইউ বাস্টার্ড তোর সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ করার?”
” কেন সুইটহার্ট , শুধু মাত্র কিং ফায়ার তোমার ওই সুন্দর নরম শরীরটা উপভোগ করতে পারবে? আমি পারবো না?”
” কুত্তার বাচ্চা হাতের হ্যান্ডকাফ একবার খুলে দে৷ তারপর দেখ আমি ঠিক কি করি তোর সাথে!”
” নো চান্স বেবি৷ কিং ফায়ার তোমাকে আর বাচিঁয়ে রাখবে বলে তোমার মনে হয়? কতো বড় বিশ্বাসঘাতক তুমি? কিং ফায়ারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিতো তোমাকে পেতে হবে৷ ”
” আমি কিচ্ছু করেনি হ্যারি যা করার সব করেছে আরু ৷ আরু সবটা করে আমাকে ফাসিঁয়ে দিয়েছে৷ ”
” এই সব বলে আর লাভ নেই মারু৷ আরু তোমার মতো নয় ৷ আরু কিং ফায়ারের প্রতি লয়াল৷ লয়াল আমাদের দলের জন্য , আর তুমি একজন বিশ্বাসঘাতক ৷ কিং ফায়ার নিজে তোমাকে শাস্তি দিবে৷ কিন্তু তার আগে আমাকে যা করতে বলেছে আমি সেটাই করবো৷ ”
” কি করবে তুমি?”
” যাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ৷”
হ্যারি হাতে দুবার তালি দিতে দুটো লোক এসে রুমে হাজির হয়৷ তাদের কে হ্যারি ইশারা করতে তারা দুজন ফারিহাকে তুলে নিয়ে অন্য একরুমে নিয়ে যায়৷
কিং ফায়ারের প্লানিং বানচাল হতে হ্যারি কিং ফায়ারকে নিয়ে হোটেল থেকে অন্যত্র চলে আসে৷ শহর থেকে অনেকটা দুরে, একটা গ্রামের মতো জায়গায় ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নেয় কিং ফায়ার আর তার দলবল৷ তবে সেখানে সব রকম সুযোগ সুবিধা কিং পাচ্ছে৷ সেখানে ফারিহাকে নিয়ে আসা হয়৷
ফারিহাকে যে রুমে নিয়ে রাখা হয়৷ সে রুমে নানা রকম পোকা মাকড়ে ভর্তি৷ ফারিহা আর কিছুতে ভয় পাক বা না পাক এই সব পোকা মাকড় একদম দেখতে পারে না ঘৃনা ভয় দুটোই ফারিহার ভিতর বিদ্যমান৷
অন্ধকার পোকা মাকড় ভরা রুমে ফারিহাকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় হ্যারি৷ আগামিকাল ফারিহাকে শাস্তি দিবে কিং ফায়ার৷ সে পর্যন্ত ফারিহাকে এখানে বন্দি থাকতে হবে৷
.
.
.
.
.
অর্নিলের পুরো শরীর রাগে থর থর করে কাঁপছে৷ ফারিহা তাকে ধোকা দিয়ে লন্ডন চলে গেছে এটা ফারহার মুখ থেকে শোনার পর অর্নিল তার রাগটা আর ধরে রাখতে পারছে না৷ অর্নিলের ইচ্ছে করছে মুহূর্তে সব কিছু ধ্বংস করে দিতে৷ এতো ভালোবাসে ফারিহাকে তারপর ও এই ধোঁকাটা অর্নিল মেনে নিতে পারছে না৷
ফারহা অর্নিলের চোখ মুখ দেখে ফারহার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে অর্নিল প্রচন্ড রেগে আছে৷ ফারহা একটু দম নিয়ে আবার বলতে লাগলো,” মিস্টার অর্নিল আপনি প্লিজ নিজের রাগ টাকে কন্ট্রোল করুন৷ আমি জানি আপনি ফারিহাকে ভিষণ ভালোবাসেন বাট ওনেস্টলি বলছি ফারিহা আপনার ভালোবাসার যোগ্য নয়৷ ফারিহার আপনাকে কখনো ভালোবাসেনি৷ ফারিহার দুদিন পর পর বয়ফ্রেন্ড চেন্জ করার একটা নেশা কাজ করে ওর ভিতর৷ আর বাংলাদেশে এসে আপনি হলেন ওর নেশা কটানোর একটা মাধ্যম ৷ ”
” এই কথা গুলো আপনি আমাকে আগে কেন বলেনি?” কঠোর গম্ভির গলায় ফারহাকে প্রশ্নটা করলো অর্নিল৷
ফারহা মেকি হাসি দিয়ে অর্নিলকে বলে,” আমি আপনাদের রিলেশনের কথা জানতাম না মিস্টার অর্নিল ৷ জানতে পেরেছি সেদিন যেদিন আপনি এবং আপনার বাবা মা বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে এসেছিলেন৷”
অর্নিল বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে ফারহাকে বলে,” আমার অনুভূতি নিয়ে খেলার জন্য আমি কখনো ফারিহা ক্ষমা করবো না৷ লাইফে যদি কখনো ফারিহা আমার মুখোমুখি হয় তাহলে সেদিন টা ওর জীবনে শেষ দিন হবে মিস ফারহা ৷”
অর্নিল ফারহাকে বলার সুযোগ না দিয়ে গট গট করে হেটে বেড়িয়ে গেল খান মন্জিল থেকে ৷
ফারহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রুমে ঢুকতেই মেঘ ফারহার হাত ধরে বেডে ফেলে দিয়ে ফারহার হাত দুটো চেপে ধরে কটমট করে তাকিয়ে বলে,” এতোক্ষণ ওই অনির্ল ব্যাটাকে কি বলছিলে হুম?”
ফারহা মেঘের চোখে মুখে জেলাসি দেখে ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে,” কি আর বলবো? বোন পালিয়েছে আর এখন বোনের জায়গায় আমি অর্নিলকে বিয়ে করবো এটাই বলছিলাম৷”
ফারহা ভাবেনি তার সামান্য মজা করে বলা কথাটায় মেঘ এমন রিয়েক্ট করবে! ফারহার কথা শেষ হতে মেঘ ফারহার ঠোঁট জোড়ার ভাজে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে , ফারহার ঠোঁট জোড়ার উপর সকল রাগ ঝাড়বে৷ এতেও যখন মেঘের রাগ কমেনি তখন ফারহার গলায় খুব জোড়ে বাইট দিলো৷
ঠোঁট ফুলে ঢোল আর গলায় দেওয়া বাইটের জায়গায় রক্ত বের হচ্ছে৷ ঠোঁট আর গলার যন্ত্রনা ফারহা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে মেঘের দিকে তাকাতে দেখে মেঘের চোখ জোড়া ছলছল করছে৷ নিজের প্রিয় মানুষটাকে হাড়িয়ে ফেলার ভয়টা যেন আরো প্রবল ভাবে আকড়ে ধরছে মেঘকে৷
মেঘের চোখের পানি গড়িয়ে ফারহার মুখে পড়তে ফারহা রাগ যন্ত্রনা ভুলে মেঘের চোখের পানি মুছিয়ে দিতে মেঘ ফারহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷ যাতে ফারহা কোথাও হাড়িয়ে যেতে না পারে৷
” মেঘরাজ কি হয়েছে তোমার? এমন কেন করছো?”
” ফারুপাখি কখনো আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলো না৷ তাহলে সেদিন তোমাকে নিজ হাতে খুন করে নিজেকে শেষ করে দিবো৷ ”
” মেঘরাজ আমি সত্যি খুব স্যরি৷ আমার সামান্য কথায় তুমি এতোটা হার্ট হবে এটা আমি ভাবিনি৷”
ফারহার কথা শুনে মেঘ তার লাল টকটকে চোখ দিয়ে ফারহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,” ফারুপাখি তোমার কাছে যে কথাটা ফান আমার কাছে তা পাহাড় সমান কষ্টের কথা৷ তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকার কথা আমি ভাবতেও পারি না৷ সাত বছর আগে আমি যে ভুলটা করেছি তা আমি দ্বিতীয়বার করতে চাই না৷ খুব শীগ্রই তোমাকে আমার রাজ্যের রানী করে নিয়ে যাবো৷ তোমাকে নিয়ে আমি আর কোন রিক্স নিবো না ফারুপাখি৷”
” কিন্তু মেঘরাজ আমার কাঁধে যে এখনো অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে৷ সে দায়িত্ব পালন না করে আমি বিয়ের পিড়িতে বসতে পারবো না ৷ যে কারণে আমি এতো বছর ত্যাগ করেছি তা পূরণ না করে আমি কারো বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবো না মেঘরাজ৷ ”
ফারহার কথাটা মেঘের রাগ উঠানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো৷ হুট করে মেঘ ফারহাকে ছেড়ে উঠে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল৷ ফারহার অনেক বার ডেকেও মেঘকে থামাতে পারেনি৷
ফারহা মিররে নিজের ফুলে যাওয়া ঠোঁট আর গলায় কালসিটে পড়া জায়গায় হাত বুলিয়ে মলম লাগিয়ে দেয়৷ ফারহা মেঘের এমন আচমকা রাগের কারণ বুঝতে না পেরে চুপ মেরে রইল৷ মাথা ঝিম ঝিম করছে ফারহার তাই কিছু না ভেবে বেডে শুয়ে পড়ে৷ কিছুক্ষণ পর ফারহার মনে হলো সে হাওয়ায় ভাসছে৷ ঘুমু ঘুমু চোখ মেলে পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে মেঘ তাকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে ৷ মেঘ ফারহাকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফারহা ড্রইংরুমের দিকে তাকিয়ে দেখে ফারহার বাবা মা আদিল রাফি তন্নি আর মেঘের বাবা মা ভাই সবাই হাজির ৷ সবাইকে চিনতে পারলেও একজনকে চিনতে পারলো না ফারহা! একজন হুজুর মতো ব্যক্তি সোফায় এক কোনে টুপি মাথায় দিয়ে বসে আছে৷ মেঘ ফারহাকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে ফারহার গলার ওরনার খানিকটা অংশ ফারহার মাথায় দিয়ে যা বললো সেটা শুনে ফারহা বিস্মিত হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইল মেঘের দিকে……..
.
.
.
#চলবে…………
[১.মেঘ কি করতে চলেছে? যদি সবাই বুঝে জান তাহলে চলে আসুন৷ প্রত্যেকের রিডার্সের দাওয়াত রইল৷ বাই দ্য বড় রাস্তা দাওয়াতে যারা আসবেন তারা কিন্তু বাসা থেকে খেয়ে আসবেন৷ ]