ধূসর প্রেমের অনুভূতি – পর্ব ৮

0
225

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_০৮
.
.
.
রাত দু’টোয় ফারহা ফারিহার রুমে এসে দেখে ফারিহা আজও নেশা করছে৷ ফারহা ফারিহাকে কিছু না বলে ফারিহার পাশে বসে নেশা করার সামগ্রীতে হাত দিতে ফারিহা ফোলা ফোলা রক্তিম চোখে ফারহার দিকে তাকিয়ে জলন্ত সিগারেট টা নিয়ে ফারহার বুকে চেপে ধরে ৷ ফারহা দাঁতে দাঁত চেপে ফারিহার দিকে তাকিয়ে ফারহার সরিয়ে মুচরে ধরে জলন্ত সিগারেট টা নিয়ে ফারিহার গলায় চেপে ধরে বলে,” তোর সাহস দেখে আমি সত্যি স্পিচলেস ফারিহা৷ আমাকে সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়ার সাহস আজ আমি তোর মিটিয়ে দিবো ফারিহা৷ ”

ফারিহা নেশার ঘোরে ফারহাকে বলতে লাগলো,” ছেড়ে দে ফারহা ছেড়ে দে নাহলে তোকে আমি ধ্বংস করে দিবো ৷ ছাড়বো না তোকে আমি ৷” ফারিহার এলোমেলো কথা গুলো ফারহার কানে পৌছাতে ফারিহার গলা থেকে জলন্ত সিগারেট সরিয়ে নিয়ে বেড থেকে উঠে দাড়ায়৷

ফারিহা তার গলার পোড়া গলায় জায়গায় হাত দিয়ে কুকড়ে ওঠে৷ ফারহা ফারিহার অবস্থা দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,” শুধু মাত্র তোর জন্য আমার আমিকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি ফারিহা৷ শুধু মাত্র তোর জন্য আমি আজ ফারহা থেকে আরু হয়েছি৷ আর তুই ফারিহা থেকে মারু ৷ কেন এই জঘন্য পরিবর্তন? কারণটা তুই, তোর জন্য আমি আজ দেশদ্রোহী টেরোরিস্ট ৷ কখনো ক্ষমা করবো না তোকে ৷ তবে শাস্তি তুই পাবি ৷ এমন শাস্তি যেটা কখণো কোন বোন তার বোনকে দেয়নি৷ শুধু সময়ের অপেক্ষা ফারিহা ৷ তারপর সব সুদে আসলে মিটিয়ে নিবো৷ ”

ফারিহা নেশার ঘোরে ফারহার কোন কথাই তার কানে এসে পৌছায় নি৷ ফারহা ড্রয়ার থেকে ফাস্টএইড বক্স বের করে ফারিহার গলায় মলম লাগিয়ে দিয়ে ফারহা ফারিহার রুম থেকে বেড়িয়ে গেল৷

১৮.

” স্যার আর আমার জন্য কি আর কোন কাজ আছে?” উত্তিজিত হয়ে জ্যাক তার কথার প্রত্ত্যুতরে কিছু শোনার জন্য মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে৷ মেঘ তার ল্যাপটপে টাইপিং করা বন্ধ করে জ্যাকের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,” নো জ্যাক এখন তোমার জন্য কোন কাজ নেই তবে !”

” তবে কি স্যার?”

” থ্যান্কস ৷ আমার যাস্ট একটা ফোন কল পেয়ে তুমি লন্ডনে থেকে সব ইনফরমেশন কালেক্ট করে দেশে এসে নিজের হাতে ফাইল গুলো আমার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য, থ্যান্কস এগেইন৷”

জ্যাক মেঘের কথা শুনে লজ্জা পাওয়ার মতো ভঙ্গিমা করতে আসলাম পাশ থেকে গলা খাকাড়ি দিয়ে জ্যাককে শান্ত থাকতে ইশারা করে৷

জ্যাক মেঘের হয়ে কাজ করে ৷ মেঘ যখন যেখানে যেতে বলে কাজের জন্য জ্যাক কোন টু-শব্দ ছাড়াই সেখানে চলে যায়৷ জ্যাক আজ পর্যন্ত মেঘকে নিরাশ করেনি৷ আসলামকে যেহেতু পাঠাতে পারছে না সেহেতু মেঘ জ্যাককে কাজে লাগালো৷ জ্যাক খুব সকালে দেশে এসে হাজির হয়৷

” জ্যাক তোমার কাজ টা আমি তোমাকে ফোন করে পরে জানিয়ে দিবো ততোক্ষণ নাহয় তুমি আসলামের সাথে ওর ফ্লাটে থাকবে৷”

জ্যাক আসলামের সাথে তারই ফ্লাটে থাকবে কথাটা শুনে আসলামের মুখটা কালো হয়ে যায় ৷ আসলাম বরাবর জ্যাককে এড়িয়ে চলে ৷ আসলাম জ্যাক কে মটেও পছন্দ করে না কারণ একটাই মেয়েদের মতো গায় পড়া স্বভাবের জন্য, মেঘ আসলামের মুখের দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হাসতে হাসতে আসলাম জ্যাক এর উদ্দেশ্য বলে ওঠে ,

-” আসলাম জ্যাক আমি বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি ৷ তোমরাও যেতে পারো৷”

কথাটা বলে আসলামের দিকে না তাকিয়ে কেভিন থেকে বেড়িয়ে গেল মেঘ৷

রাত তিনটা বেজে ত্রিশ মিনিট , ফারহা এই মধ্যে রাতে শাওয়ার নিয়ে রুমে এসে লাইট অফ দেখতে পেয়ে ফারহা ভ্রু কুচকে মনে মনে বলতে লাগলো,” আমি তো লাইট অফ করি নি৷ তাহলে লাইট অফ কে করলো? ” ভাবতে ভাবতেই ফারহা লাইটের সুইচ অন করতে যাবে তখনি একজোড়া বলিষ্ঠ হাত ফারহাকে পেছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরে ৷ ফারহাকে জড়িয়ে ধরে মানুষটার শরীরের ঘ্রাণ পেতে ফারহার ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো ৷ ফারহা দ্রুত লাইট অন করতে বলিষ্ঠ হাত জোড়া ফারহাকে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে ধরে ভেজা চুলে মুখ গুজে দিতে ফারহা কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলে ওঠে ,” মে,,মেঘরাজ!”

ফারহার কথা শেষ হতেই মেঘ ফারহাকে তার দিকে ঘুড়িয়ে নেশা ভরা চাহনিতে ফারহার দিকে তাকিয়ে থাকে ৷ ফারহা কিছু বলতে যায় তখনি মেঘ ফারহার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে,

-” হুসসস কোন কথা নয় ফারুপাখি ৷ এই মাঝরাতে শাওয়ার নিয়ে ভেজা চুল আর তোমার সিগ্ধ রুপটাই বার বার কেন ঘায়েল করো আমায়! তোমার মায়াবি চোখ , ভেজা ঠোঁট আর এই লাল লাল গাল দুটো কেন এতো বেশি টানে আমাকে! কেন এতো চাই তোকে! কেন বারবার তোমার মাঝে নিজেকে হাড়াতে চাই! কেন তোমার ঠোঁটের হাসি দেখে বারংবার তোমার প্রেমে পড়ি! কেন বারংবার তোমার মুখ টা আমি চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই! ”

এতোক্ষণ ফারহা মুগ্ধ হয়ে মেঘের প্রত্যেকটা কথা শুনছিলো কিন্তু হঠাৎ ফারহা নিজের অবস্থানের কথা মনে পড়তে চোখ মুখ শক্ত করে মেঘকে আচমকা ধাক্কা দিতে মেঘ দু’পা পেছনে সরে যায়৷ ফারহা তার অভিব্যক্তি শক্ত রেখে মেঘকে বলে,

-” সবটাই ধূসর মেঘরাজ৷ সময়ের সাথে সাথে এই প্রেম এই মোহ এই ভালোবাসা সবটাই ধূসর হয়ে যাবে ৷ থাকবে না আর এই #ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি সময়ের সাথে সাথে সবটা হাড়িয়ে যাবে অন্য কোন শরীরে,

মেঘ ফারহার পুরো কথাটা শুনে বিদ্যুৎতের গতিতে ফারহার অধর জোড়া নিজের ওষ্ঠদ্বয়ের ভাজে আবদ্ধ করে নেয়৷ ফারহা নিজেকে মেঘের বন্ধন থেকে মুক্ত করতে গিয়ে করতে পারে না৷ ফারহা মেঘের শার্ট খামচে ধরে ৷ ফারহার মনে হচ্ছে এই সময়টা অনন্ত কালের জন্য স্তব্ধ হয়ে যেতো! এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সময় টা ধরে রাখতে ইচ্ছে করছে ফারহার, কিন্তু সময়টা বড্ড নিষ্ঠুর ভলো লাগার
মুহূর্ত গুলো সব সময় ক্ষনিকের হয় ৷
মেঘ ফারহার জন্য সময়টা ক্ষনিকের হলো হঠাৎ মেঘের ফোনটা বেজে ওঠায়৷

মেঘের হাতের বাধন আলগা হতে ফারহা মেঘের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়ায়, ফারহার দু’চোখে আজ অশ্রুপূর্ণ যে কোন মুহূর্তে বষর্ণ হতে পারে৷ আকাশে আজ তারার মেলা বসেছে৷ হাজার কোটি তারার মাঝে রুপালি থালার মতো গোল আকৃতির চাঁদটার আলোর জোৎস্না ছড়িয়ে দিয়ে পুরো পৃথিবীতে, চাঁদের কিছুটা আলো ফারহার মুখে পড়তেই ফারহার অশ্রুভরা আখি জোড়া চিকচিক করছে৷ চাঁদের আলোয় ফারহার মুখটা আরো উজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছে৷

ফারহার খেয়াল নেই মেঘ সে কখন থেকে তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ মেঘ ফারহার দৃষ্টি আকষর্ণ করতে ব্যর্থ হয়ে রুম থেকে টাওয়াল নিয়ে এসে ফারহা ভেজা চুল গুলো মুছতে লাগলো৷ ফারহার আখিদ্বয় থেকে অশ্রুকনা গড়িয়ে পড়তে ফারহা তার আখিদ্বয় মুছে হুট করে পেছনে ফিরে মেঘকে জড়িয়ে ধরে, মেঘ মৃদু হেসে তার হাত জোড়া আপনা আপনি ফারহাকে জড়িয়ে ধরে৷

ব্যালকনিতে দাড়িয়ে একে অন্যকে আলিঙ্গন করে আছে দুটো মানব-মানবী৷ অথচ তাদের মাঝে কোন প্রেমময় বাক্য বিনিময় হচ্ছে না বরং তার একে অন্যের হৃদস্পন্দন অনুভব করতে ব্যস্ত ৷

রাত গড়িয়ে ভোর হতে হঠাৎ কালো মেঘে পুরো আকাশ ছেয়ে গিয়ে , কালো মেঘের বুক চিরে বৃষ্টির ফোঁটা গুলো পৃথিবীর বুকে আচরে পড়ছে৷ তাতে ফারহার বিশেষ কিছু এসে যায় বলে মেঘের মনে হলো না৷ হুট করে মেঘ ফারহাকে কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিয়ে আলতো করে ফারহার কপালে তার অধর জোড়া ছুইয়ে দিয়ে , ফারহার কানের কাছে মুখ এনে বলে,

” চোখের যত কথা ছিল,
কেড়েছে শূন্য দৃষ্টি।
খুব আদরের শহর ভিজা’ক,
বেহিসেবী বৃষ্টি।। ”

ফারহা কিছু বললো না শুধু তার অধর জোড়া প্রশারিত করে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেলে ………

১৯.

ভোর বেলায় বৃষ্টিতে ভিজে মেঘের জ্বর চলে আসলো৷ মেঘ আর যাই পারুক না কেন বৃষ্টিতে ভিজতে একদম পারে না৷ গাড়িতে রেইনকোট থাকা সত্যেও মেঘ বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরলো৷

রুমে ঢুকে আবার শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করে এসির পাওয়ার বাড়িয়ে ব্লাংকেট জড়িয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো৷

!
!
!

ডাইনিং টেবিলে অর্নিল মিস্টার আর মিসেস খন্দকার বসে আছে৷ কারো গলা দিয়ে কোন খাবার নামছে না পোস্টমোর্টেম এর রিপোর্ট কখন আসবে সেই চিন্তায় ৷

অর্নিল শুকনো ব্রেড মুখে দিয়ে তার বাবা মিস্টার আমানকে বলে,

-” ড্যাড ওই অফিসার তোমাকে ফোন করেছিলো?”

” না অর্নিল , অফিসার আমাকে কোন ফোন কল করেনি৷ ”

” ড্যাড আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে , এই পুরো ঘটনা মার্ডার টা করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য”

” আমার ও তাই মনে হয় অর্নিল৷ কিন্তু তুমি চিন্তা করো না আমি এবার নিজে খোজ খবর নিচ্ছি ৷ আমার একমাত্র ছেলে তুমি , তোমার কোন ক্ষতি আমি হতে দি কি করে বলো?”

” ড্যাড আজ আমি একটু বের হবো ৷”

” যেখানে যাও সাবধানে থাকবে৷ আর একটা কথা তোমার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি তোমার জন্য চারজন গার্ড নিযুক্ত করেছি আশা করবো তোমার কোন আপত্তি নেই৷”

অর্নিল বারণ করতে চেয়েও করলো না৷

” নো ড্যাড আমার কোন আপত্তি নেই৷ তবে এখন আমি একটু বের হচ্ছি ৷ ”

” ওকে সাবধানে যেও৷” (মিসেস খন্দকার )

অর্নিল তার ফর্মাল ড্রেসে রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷

!
!
!

ফারহা ফারিহা দুজনে আজ সেম শাড়ি পড়েছে৷ ফারিহা নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে যেতে নিলে ফারহা ফারিহাকে আটকে দিয়ে বলে,” ফারিহা তোর সাথে আমার ইমপটেন্ট কথা আছে ৷ আমার রুমে আয়৷”

ফারিহা ভদ্র মেয়ের মতো ফারহার পেছন পেছন রুমে ঢুকে গেল৷ ফারিহা রুমে ঢুকে ফারহা ভেতর থেকে রুম লক করে দেয়৷

কিছুক্ষণ ফারিহা দরজা খুলে তার হান্ডব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে ৷

কলেজে পৌছানোর পূর্বে মাঝরাস্তায় অর্নিলের গাড়ি এসে ফারিহার গাড়ির সামনে দাড়ায়৷ হুট করে সামনে গাড়ি দাড়াতে ফারিহার খুব দ্রুত গাড়ি ব্রেক মারে৷

অর্নিল আগে থেকে ফারিহার খবর নিয়ে রেখেছিলো ৷ ফারিহাযে কলেজে এই রাস্তা দিয়ে যাবে এটা জেনেই অর্নিল এখানে ফারিহার জন্য অপেক্ষা করছিলো৷

ফারিহা স্থির দৃষ্টিতে অর্নিলের দিকে তাকিয়ে আছে৷ অর্নিল ভ্রু যুগল কুচকে ফারিহার দিকে তাকিয়ে আছে৷ অর্নিল রিতিমতো অবাক ফারিহার এমন পরিবর্তন দেখে , ফারিহা এতোক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে অনির্লের কলাট ধরে মার দেওয়ার কথা ছিলো সেখানে স্থির শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেন কোন শিকারির চোখ অপেক্ষা করছে তার শিকারকে ধরার জন্য…..

ফারহা গাড়ি থেকে নেমে দাড়াতে অর্নিল দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে ফারিহার কাছে গিয়ে অর্নিল ফারিহাকে জড়িয়ে ধরে , সাথে সাথে ফারিহা অর্নিলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রক্তিম চোখে তাকিয়ে বলে,” ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মি মিস্টার অর্নিল৷ ”

অর্নিল ফারিহার কথা তোয়াক্কা না করে ফারিহার দুইবাহু ধরে অর্নিল বলে উঠলো ,

” জান ট্রাস্ট মি আমি সত্যি জানি না ওই মেয়েটি কি করে আমার ফ্লাটে আমার বেড রুমে এলো৷ আর কে বা মেয়েটিকে খুন করলো এটাও আমি জানি না৷ আমি শুধু একটা কথাই জানি আই লাভ ইউ জান৷ ভালোবাসি তোমাকে…”

” বাট আই ডোন্ট লাভ ইউ মিস্টার অর্নিল ৷ বিকজ আই হেইট ইউ৷” দাঁতে দাঁত চেপে বললো ফারিহা ৷

” আমি জানি তুমি আমাকে ভুল বুঝেছো বাট ট্রাস্ট মি আমি নিজেকে প্রুফ করবো আমি নির্দোষ ৷ তখন নিশ্চয়ই আমাকে ফেরাবে না?”

ফারিহা তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে অর্নিলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,” তার আগে নিজেকে তো প্রুফ করুন মিস অর্নিল ৷ তারপর না হয় ফেরাবো কি ফেরাবো না তখন দেখা যাবে৷”

” প্রুফ তো আমি নিজেকে করবোই সেটা যে করে হোক ৷”

” দেন ট্রাই ইট মিস্টার অর্নিল৷ ” ফারিহা রহস্যময় কথাটা বলে গাড়িতে উঠতে নিলে অর্নিল ফারিহার হাত চেপে ধরে৷

২০.

দুপুরে মেঘ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে ড্রইংরুমে আসতে দেখে জ্যাক আর আসলাম বসে চা পান করছে৷ মেঘ ভ্রু জোড়া কুচকে জ্যাক আসলামের দিকে তাকাতে তারা চায়ের কাঁপ রেখে আস্তে করে মেঘকে বলল,” স্যার আপনার ফোন অফ কেন? ”

মেঘ তার পকেট থেকে ফোনটাবের করে দেখে সত্যি তার ফোন বন্ধ হয়ে আছে৷

” শিট ফোনে চার্জ ফুরিয়ে গেছে ৷ কিন্তু জ্যাক তুমি এখানে কেন? সকালে তোমাকে তোমার কাজ টা মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছি তাহলে তুমি এখানে কেন?” কড়া গলায় প্রশ্ন করলো মেঘ৷

” স্যার আসলে আমি কনফিউজড্ ৷”

” কনফিউজড্ মানে! কি কারনে কনফিউজড্?”

” আসলে স্যার আমি ফারহা ম্যাডাম কে ফলো করার জন্য খান মন্জিলের বাইরে লুকিয়ে ছিলাম কিন্তু ফারহা ম্যাম আর ফারিহা ম্যাম দুজনে একই রকম ড্রেস মানে শাড়ি পড়েছিলো ৷ আর আমি বুঝতেই পারছিলাম না কে ফারহা ম্যাম আর কে ফারিহা ম্যাম!”

জ্যাকের কথা শুনে মেঘ চোখ বন্ধ করে কিছু একটা ভেবে দ্রুত উপরে নিজের রুমে গিয়ে ফর্মাল ড্রেস গান লোড দিয়ে , জ্যাক আর আসলামকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে……..
.
.
.
#চলবে……………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here