#’যাও পাখি বলো তারে’❤
#’লেখাঃ ঈশানুর তাসমিয়া মীরা❤
#’পর্বঃ ৩৬
.
‘ব্যস্ততা’ শব্দটি অনেক আগে থেকেই পরিচিত আমার। প্রতিদিনকার মতো আজও ব্যস্ত ভঙ্গিতে বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি আমি। নেমেই রিকশার খোঁজে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় পাশের বিল্ডিং থেকে বের হলেন শুভ ভাইয়া। আমাকে দেখে থমকে দাঁড়ান তিনি। আমিও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। কিন্তু, পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে মুচকি হেসে ‘শুভ সকাল’ জানাই। প্রতিত্তোরে তিনি স্লান হাসলেন। আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে নরম স্বরে বললেন,
— “শুনেছি, তোমার নাকি আকদ হয়ে গেছে। সত্যি?”
আমি এবারো মুচকি হেসে বললাম,
— “জ্বী।”
নিরবতা কাটলো কিছুক্ষণ। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার মাঝেই হালকা কেঁশে শুভ ভাইয়া বলে উঠেন,
— “ঐ দিনের ঐ ছেলেটার সঙ্গে তোমার বিয়ে হয়েছে, তাই না?”
— “জ্বী।”
জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালেন শুভ ভাইয়া। মৃদু কম্পিত গলায় হঠাৎ-ই বলে উঠলেন,
— “আমি তোমাকে ভালোবাসি মীরা।”
চমকে গেলাম। মুখ ঘুরিয়ে তাকালাম শুভ ভাইয়ার দিকে। বিস্ময়ে চোখ দু’টো বড় বড় হয়ে গেছে আমার। শুভ ভাইয়া হাসার চেষ্টা করলেন। ছোট নিশ্বাস ফেলে বললেন,
— “আমি জানি তুমি আমাকে ওই রকম চোখে কখনো দেখোনি। কিন্তু আমি দেখেছি প্রতিবার। তুমি আমার আশেপাশে থাকলে এক আলাদা ভালো লাগা কাজ করে আমার মাঝে। এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়! আমি এটাও জানি এখন অনেক দেড়ি হয়ে গেছে। এসব বলে কোনো লাভ নেই। তবে, এসব বলে নিজের মনের বোঁঝাটা বিলুপ্ত করতে চাইছিলাম মাত্র। আমি জানি না কখনো তোমায় ‘মীরা সাহেবা’ বলে ডাকতে পারবো কিনা। সম্ভবও না হয়তো। ওইদিন দেখেছিলাম তোমার বরকে। ‘মীরা সাহেবা’ ডাকায় কিভাবে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। যেন এখনই মাটিতে গেড়ে ফেলবেন আমাকে।”
বলেই অস্বাভাবিক ভাবে হাসতে লাগলেন শুভ ভাইয়া। একজন লেখক হিসেবে তার কথাগুলো ভীষণ অগোছালো মনে হচ্ছে আমার। সেও বড্ড অগোছালো ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। খেয়াল করলাম, হাসতে হাসতে তার চোখ থেকে পানি ঝরছে। আচ্ছা, অতিরিক্ত হাসার কারণেই কি এই চোখের জল? নাকি অন্যকিছু? প্রশ্নটা জটিল। তার চেয়েও জটিল মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে। এক হাতে চোখের পানি মুছে শান্ত দৃষ্টিতে তাকালেন শুভ ভাইয়া। মুচকি হেসে বললেন,
— “চললাম মীরা সাহেবা।”
কথাটা বললেও প্রথমে একটা রিকশা ঠিক করে দেন আমাকে। আমি রিকশায় উঠবার আগে একপলক তাকালাম তার যাওয়ার পথে। দূরে যেতে যেতে হয়তো বহুদূরে চলে যাচ্ছেন তিনি!
________________
ভার্সিটি পৌঁছে দ্রুত পায়ে চলে এলাম ক্লাস রুমে। ক্লাস রুমে ঢুকতেই কুহুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় আমার। গোমড়া মুখে সাইডের একটা বেঞ্চে বসে আছে সে। আমি তার পাশে বসতে বসতে বললাম,
— “কি হয়েছে? মন খারাপ কেন তোর?”
— “কিছু না। কথা বলিস না আমার সাথে।”
রাগী শোনালো কুহুর কণ্ঠ। ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। গভীরভাবে কিছুক্ষণ কুহুকে পর্যবেক্ষণ করে বললাম,
— “কি করেছি আমি?”
এমন কথায় কুহু উত্তেজিত হয়ে উঠল। মুখ ঘুরিয়ে আমার মুখোমুখি বসলো। প্রবল ক্রোধ এবং হতাশা নিয়ে বললো,
— “তুই তোর ভাইকে আমার ফোন নাম্বার কেন দিয়েছিস?”
সঙ্গে সঙ্গে চুপসে গেলাম আমি। ইয়াসিন ভাইয়া কি উল্টাপাল্টা কিছু বলেছে নাকি কুহুকে? অপরাধীর মতো কুহুর দিকে তাকিয়ে বললাম,
— “ভাইয়া চেয়েছিল তাই! কিছু কি বলেছে নাকি ভাইয়া?”
— “বলেছে মানে? আলবাদ বলেছে। কত কি বলেছে তোকে বলে বুঝাতেও পারবো না আমি।”
একটু থেমে আবারো বললো কুহু,
— “আচ্ছা, তোর ভাই দেখতে কেমন? ছবি দেখা তো।”
শেষের কথাটা শুনে ভ্রু কুঁচকে গেলো আমার। তবুও কিছু না বলে ফোনে ইয়াসিন ভাইয়ার ছবি বের করে দেখালাম কুহুকে। আমার হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নিলো কুহু। গভীর ভাবে ফোনের স্ক্রিনে ভেসে থাকা ছবি দেখে হঠাৎ-ই উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বললো,
— “মীরু… তোর ভাই তো ভীষণ সুন্দর। আ’ম ক্রাসড!”
হতবাক হয়ে তাকালাম কুহুর দিকে। এ মেয়ে না কিছুক্ষণ আগে আমার ভাই কল দেওয়ায় রেগে ছিল? এখন আবার ছবি দেখে আচরণ পাল্টে গেল কেন? কুহুর আচরণ দেখে চরম বিরক্ত হলাম। কুহু থেকে ফোনটা নিয়ে বললাম,
— “চিন্তা করিস না, ভাইয়াকে বলে দেবো তোকে আর কল না দিতে।”
সাথে সাথে মৃদু চেঁচিয়ে উঠল কুহু। বললো,
— “দোস্ত, দোস্ত? এমন করছিস কেন? আমি মানা করেছি নাকি কল দিতে? তুই আগ বাড়িয়ে মানা করবি কেন?”
— “একটু আগে তো তোর আচরণ অন্য কিছু বলছিল।”
— “সেটা তো আচরণ বলছিল। আমি তো বলিনি।”
হতাশ ভঙ্গিতে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ইয়াসিন ভাইয়ার সাথে এ মেয়েকে সবদিক দিয়েই মানাবে। দু’জনেরই একই স্বভাবের। বদ স্বভাব!
__________________
ক্লাস শেষ। আপাতত আঁকাবাঁকা রাস্তায় হাঁটছি আমি আর কুহু। কুহু বেশ উৎফুল্লের সঙ্গে বললো,
— “মীরু, চল ফুচকা খাবো।”
এক মুহুর্তের জন্য চিন্তায় পড়ে গেলাম আমি। রেয়ান তো মানা করেছিলেন এসব দোকান থেকে ফুচকা খেতে। অথচ আমার খেতে ইচ্ছে করছে। তাছাড়া রেয়ান এখন কোত্থেকে আসবেন এখানে? উনি যেহেতু আসবেন না, সেহেতু আর বাঁধাও রইলো না আমার। প্রফুল্ল মনে কুহুর সঙ্গে চলে গেলাম ফুচকা খেতে।
ফুচকার স্বাদটা মুখে যেতেই একটা অদ্ভুদ ভালো লাগা কাজ করলো মুহুর্তেই। উফ! খাবারটা এত মজার কেন? ইচ্ছে মতো ঝাল আর টক নিয়ে ফুচকা খাওয়া শুরু করলাম কুহু আর আমি। যেন প্রতিযোগিতা করছি আমরা। কার আগে কে খেতে পারে! প্রতিযোগিতা করতে করতে বিকেল অনেক হয়েছে গেছে। অথচ আমরা দু’জনই সমান অবস্থানে দাঁড়িয়ে। কেউ কারো থেকে কম খাই নি ফুচকা। সুতরাং প্রতিযোগিতার ব্যাপারটা স্থগিত রেখে আপাতত নিজেদের বাসায় যাওয়ার সিধান্ত নিলাম দুজনে। কুহু তার বাসার পথে চলে গেল আর আমি আমার।
রিকশা পেলেও আজ রিকশায় উঠছি না আমি। ভাবছি, হেঁটে হেঁটেই পারি দেব বাসার পথ। এতে দেড়ি হলে হোক! রাস্তা পার হবো এমন সময় হঠাৎ-ই একটা রিকশা এসে সামনে দাঁড়ালো আমার। ভড়কে গেলাম। মনে মনে রিকশা চালককে কিছু কড়া কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে আমাকে সেই সুযোগ না দিয়ে, রিকশা চালক অতি নম্রতার সঙ্গে আমাকে বলল,
— “আপামণি, আপনাকে স্যার রিকশায় উঠতে বলছেন।”
সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালাম। ভ্রু কুঁচকে বললাম,
— “কোন স্যার?”
— “জ্বে, আব্রাহাম স্যার।”
তবুও উঠলাম না রিকশায়। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তাক করলাম রিকশা চালকের দিকে। সে হকচকিয়ে গেলো। নম্র কণ্ঠে আবারো বলল,
— “আমি সত্যি কইতাছি আপামণি। স্যার আমারে পার্কে নিয়া যাইতে কইছে।”
তাও বিশ্বাস হলো না যেন। রিকশা চালককে মানা করে দিলাম। আমি যাবো না রিকশায়। অথচ সে ঠায় দাঁড়িয়ে। বিরক্ত আর রাগে অগ্নি কুন্ড হয়ে গেছে আমার সারা মুখ। আশ্চর্য! যাচ্ছেন না কেন তিনি? এর মাঝে ফোনের রিংটোন বেজে উঠল। আপনা-আপনি জ্বলে ওঠা ফোনের স্ক্রীনে তাকিয়ে দেখলাম রেয়ানের মেসেজ। তার মেসেজ স্পষ্ট ভাবে জানান দিচ্ছে উনিই পাঠিয়েছেন এ রিকশা। কিন্তু রিকশা চালক চিনলো কিভাবে আমাকে? ফোন বন্ধ করে আবারো তাকালাম রিকশা চালকের দিকে। কাঠকাঠ কণ্ঠে বললাম,
— “মানলাম আপনাকে আপনার স্যার পাঠিয়েছে। কিন্তু আপনি আমায় চিনলেন কিভাবে?”
— “স্যার আপনার ছবি দেখাইছিল আপামণি।”
অদ্ভুদ ভাবে রাগ হলেও চাপিয়ে রাখলাম। চুপচাপ উঠে বসলাম রিকশায়।
রিকশা থামলো একটা পার্কের সামনে। ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিকশা চালককে টাকা দিতে চাইলেও সে নিলো না। তাকে নাকি আগেই তার স্যার টাকা দিয়ে দিয়েছে। অগত্যা টাকা না দিয়েই রিকশা থেকে নেমে পরলাম। সাথে সাথে ফোনে মেসেজ টোন আবারো বেজে উঠল আমার। এবারো রেয়ানের মেসেজ। চেক করলাম, ‘টার্ন লেফট্’ লেখা। আমিও তাকালাম সেদিকে। একটু দূরে একটা বেঞ্চে বসে আছেন রেয়ান। একদম সাধারণ ভাবে আছেন উনি। তবুও গাঢ় নীল রঙের শার্টে অসাধারণ লাগছে আমার কাছে। একহাতে ফোন প্যান্টের পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে অন্যহাতের বইয়ের পাতায় একমনে তাকিয়ে সে। আমি ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম তার দিকে। তার পাশে বসতেই বই পাশে রেখে আমার দিকে তাকালেন উনি। শান্ত, তীক্ষ্ণ ও গম্ভীর দৃষ্টি তার। প্রায় অনেক্ষণ তাকিয়েই রইলেন ওভাবে। এদিকে উনার এমন চাহনীতে অস্বস্তি হচ্ছে আমার। কিছু বলব তার আগেই হঠাৎ সে আমার বাম গাল একহাতে টেনে ধরলেন। শক্ত করে ধরলেন। ব্যথা পেলাম একটু। রেয়ান চোখ ছোট করে সামান্য ঝুঁকে গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
— “ফুচকা খেয়েছো? আবার? মানা করেছিলাম না?”
গালের ব্যথা যেন ভুলে গেলাম আমি। হতভম্ব হলাম। উনি জানলেন কিভাবে? জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। উনি গাল আরেকটু শক্ত করে টেনে বললেন,
— “চোখ, নাক, গাল লাল। ঝালে হাসফাস করছো। ফুচকা খেলেই তো তোমার এমন হয় তাই না? মানা করার পরও কেন খেয়েছো?”
শুকনো ঢোক গিললাম। কিছু বলার মতো পেলাম না। রেয়ান উত্তর না পেয়ে নিজ থেকেই আবারো বললেন,
— “ওয়ার্নিং দিচ্ছি মরুভূমি। আর খাবে না। দরকার পরলে ইউটিউব দেখে শিখে তারপর বাসায় বানাবে।”
বলেই তীক্ষ্মভাবে একবার তাকিয়ে ছেড়ে দিলেন গাল। পাশ থেকে বই হাতে নিয়ে আবারো পড়তে লাগলেন। রাগ হলো আমার। কথায় কথায় সর্বদা তার ভয়ংকর বার্তা থাকবেই। একদিন একটু না থাকলে কি হয়? খুব কি ক্ষতি হবে? মুখ ফুলিয়ে তাকালাম রেয়ানের দিকে। সে ব্যস্ত বই পড়তে। এক মিনিট, দু’মিনিট করতে করতে পুরো আধা ঘন্টা ধরে বইয়েই ব্যস্ত উনি। উনি কি ভুলে গেছেন, আমি তার পাশে বসে? বিরক্তিতে অধৈর্য হয়ে উঠলাম আমি। আমতা আমতা করে বললাম,
— “কি পড়ছেন?”
— “উপন্যাস।”
বইয়ে তাকিয়েই তার উত্তর। আমি আগ্রহ নিয়ে আবারো বললাম,
— “ইংরেজী?”
— “হুম।”
— “কি বিষয়ে?”
— “এভারেস্ট জয়।”
— “আপনি কি এভারেস্ট জয় করবেন নাকি? এভারেস্ট জয়ের গল্প পড়ে লাভটা কি?”
সঙ্গে সঙ্গে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন উনি। হকচকিয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম, উল্টাপাল্টা কথা বলে ফেলেছি আমি। সুতরাং মাথা নিচু করে চুপ থাকাটাই শ্রেয় মনে হলো। এবং তা-ই করলাম। উনিও আবারো লেগে গেলেন বই পড়তে। আচ্ছা, যদি বই-ই পড়তে হয় তাহলে আমাকে ডেকেছেন কেন উনি? উনার পাশে সং ধরে বসে থাকতে?
— “আচ্ছা, আপনি আমাকে ডেকেছেন কেন? কিছু বলার না থাকলে আমি যাই?”
বিকেল শেষে সন্ধ্যা নেমে আসছে প্রায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার শেষ মুহুর্তের আলোটুকু এসে পরছে রেয়ানের মুখে। এ আলোয় তার গম্ভীর মুখটা অপূর্ব দেখাচ্ছে। কিন্তু জবাব না দিয়ে তার চুপ থাকা অতিরিক্ত রাগিয়ে তুলছে আমায়। ফলে অপূর্ব মুখটাও তেঁতো লাগছে আমার কাছে। দিক-বেদিক চিন্তা না করে উনার হাতের বই টেনে নিয়ে নিলাম আমি। উনি অবাক হলেন হয়তো। পরক্ষণেই ডান ভ্রু উঁচিয়ে তাকালেন। ইশারা করলেন ‘কি?’ আমার ঝাঁঝালো কণ্ঠে জবাব,
— “কেন ডেকেছেন তা না বলা পর্যন্ত বই দেবো না।”
— “তোমাকে ডাকতে কি আমার কোনো কারণ প্রয়োজন মরুভূমি?”
শান্ত, আবেগীয় কণ্ঠ তার। এক মুহুর্তের জন্য আমিও আবেগী হয়ে পরলাম। কিন্তু উনি আমার হাত থেকে বই নিতে উদ্যোগি হতেই বাস্তবতায় ফিরে এলাম আবার। বই দূরে সরিয়ে ফেললাম। রেয়ান বললেন,
— “বইটা দাও মরুভূমি।”
— “না।”
উনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন,
— “সেনি সিভিউরুম মরুভূমি। প্লীজ দাও!”
তার মুখে এমন কথা শুনে লজ্জায় নুইয়ে গেলাম। ততক্ষণে আমার হাত থেকে বই নিয়ে ফেলেছেন উনি। আমি মিনমিনিয়ে বললাম,
— “আমি এটার অর্থ জানি।”
বইয়ে চোখ রেখে তার উল্টো প্রশ্ন,
— “কিসের অর্থ?”
— “সেনি সিভিউরুম..!”
বাকি কথা বলার আগেই বইয়ের পাতা পাল্টাতে পাল্টাতে উনি বললেন,
— “আই লাভ ইউ টু মরুভূমি।”
কথাটা যেন মাথার উপর দিয়ে গেল। পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম, উনি আমাকে কৌশলে ‘ভালোবাসি’ কথাটা বলিয়েছেন। মুহুর্তেই অবাকের শেষ প্রান্তে চলে গেলাম আমি। উনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, উনি ঠোঁট কামড়ে হাসছেন।
_____________
চলবে…