তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ১৬

0
500

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ১৬
#Jhorna_Islam

দায়ান এখনো রুশের অবস্থা দেখে হেসে লু’টোপু’টি খাচ্ছে। সেই কবে এভাবে মন খুলে হেসেছিলো মনে করতে পারবে না দায়ান।জীবন এমন এক পরি’স্থিতি’তে এনে ফেলেছিলো,,সব সুখ কর মু’হূর্ত গুলো শেষ হয়ে গেছিলো।
এক ভয়ানক দূ’র্বি’ষহ দিন সুখ ও হাসি নামক বস্তুটা কেরে নিয়ে গিয়েছিলো।

রুশ নিজের অবস্থা ভুলে দায়ানের হাসি দেখে দায়ানের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছে।তাই হাত দিয়ে চোখ কচলিয়ে আবার দায়ানের দিকে তাকায়।সেই ভ’য়াবহ দূর্ঘ’টনার পর দায়ানকে কতো হাসাতে চেয়েছিলো রুশ কিন্তু পারে নি।

দায়ানের হাসি দেখার চ’ক্করে রুশ কখন যে নিজের ডান হাত দিয়েই চোখ কচলেছে সেই খেয়াল নেই।
এবার রুশের হা’ল বেহা’ল হয়ে গেছে।একেইতো ঝালে অবস্থা কা’হিল তার উপর চোখের জ্ব’লন শুরু।এখন রুশের মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে চিল্লিয়ে কান্না করতে মন চাচ্ছে।

দায়ানের এই দিকে খেয়াল নেই সে হাসতে ব্যস্ত।

রুশ আর সহ্য করতে না পেরে জোড়ে চিল্লিয়ে ওঠে।

রুশের চিৎকার শুনে সোহা হ’ন্ত দ’ন্ত হয়ে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে আসে। কি হয়েছে দেখার জন্য। এসে দেখে রুশ মেঝেতে বসে চোখ বুঁ’জে কান চেপে ধরে ফোঁপা’চ্ছে।আর দায়ান সোফার উপর গড়া’গড়ি খেয়ে হাসছে।

সোহা দায়ানের হাসি দেখে যেনো অন্য জগতে চলে গেছে। এই মানুষটারে সব সময় গ’ম্ভীর ই দেখে আসছে।এতো সুন্দর করে হাসতে পারে জানাই ছিলো না।সোহা এক ধ্যানে দায়ানের হাসির দিকে তাকিয়ে আছে। ইসসস কি সুন্দর হাসি। ইচ্ছে করতেছে গা’ল দুটো টেনে ধরে টু’ক করে চু’মু খেয়ে ফেলি।সারাদিন দায়ানের হাসি দেখলেও যেনো চোখ জুড়ে ক্লান্তি আসবেনা।

সোহা আর দায়ানের কারো ই রুশের দিকে হু’স নেই। একজন যেমন হাসতে ব্যস্ত, আরেকজন তেমন দেখতে ব্যস্ত।

রুশের দায়ান আর সোহার মধ্যে ওরে নিয়া কোনো ভা’বান্তর না দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে আবার।

এবার দুজনের হু’স আসে।দায়ান নিজেকে সামলে সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

সোহা ও দায়ানের দিক থেকে চোখ দিয়ে রুশের দিকে তাকায়। রুশের এই করুন অবস্থা দেখে,, সোহা তড়িঘড়ি করে বলে উঠে রুশ ভাইয়া।কি হয়েছে আপনার? এমন করতেছেন কেনো?

এইই সোহা তুমি কি হা’ল করেছো আমার বন্ধুর? মানুষ কতো ভাবে মানুষকে মারতে চায়।তুমি কি না শেষ মেষ ঝা’ল খাইয়ে তোমার একমাত্র ভাইকে মারতে চাইছো? এই ছিলো তোমার মনে সোহা?

— মানে? কি বলেন এগুলা?

— তোমার ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারছোনা?

— সোহা দুই দিকে মাথা নাড়ায়। মানে দায়ানের কথার আ’গা মাথা কিছুই বুঝতে পারেনি।

— উফফ তুমি এতো বোকা কেনো সোহা? তোমার ভাইয়ের ঝা’লে ধরেছে। তাড়াতাড়ি কিছু একটা করো।।

— কি বলেন এগুলা? বলেই সোহা রান্না ঘরের দিকে ছুট লাগায়। দুই মিনিটের মধ্যে দৌড়ে হাতে বাটি সহ ফিরে আসে। তড়িঘড়ি করে রুশের পাশে বসে পরে।

রুশ সোহাকে কিছু বলতে নিবে।তার আগেই সোহা চামচ দিয়ে চিনি উঠিয়ে রুশের মুখে ঢুকিয়ে দেয়।

রুশ চিনি খেয়ে এবার একটু ঝা’ল থেকে রি’লিফ পায়।

— ঝা’ল যখন খেতেই পারেন না।তখন কেনো খেতে গেলেন রুশ ভাইয়া? দেখেনতো কি অবস্থা করেছেন।চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।

— না বোন আসলে।তোমাকে খেতে দেখে কৌ’তূহলী হয়ে খেতে গেছিলাম।মাথা থেকে একদম বেরিয়ে গিয়েছিলো আমি যে ঝা’ল খেতে পারি না।

— এক লোক’মা খেয়ে তো বুঝতে পেরেছিলেন।যে অনেক ঝা’ল। আর খেতে পারবেন না তাহলে কেনো আ’গ বারিয়ে খেতে গেলেন?

— ইয়ে,,,,মানে,,,আসলে,,,।রুশ আমতা আমতা করতে থাকে। কি বলবে ওতো সোহার হাসি মুখ দেখে কষ্ট দিতে চায় নি।ঝা’লের কথা বললে যদি বেচারি কষ্ট পায়।

মাঝখান থেকে দায়ান বলে উঠে,,, বোঝ নাই ব্যাপার টা? হিরু সাজতে চাইছিলো।বোন কে কষ্ট দিবে? সে কথা ভেবে।

সোহা দায়ানের কথা গুলো শুনে রুশের দিকে ছলছল চোখে তাকায়।আহা তার ভাইটা কতোই না ভালো।বোনের মনে কষ্ট লাগবে বলে নিজে কষ্ট ভো’গ করেছে।

দায়ান পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য মজার ছলে বলে ,,, কিরে রুশ ঠিক আছিস তুই? নাকি ঝা’লের চো’টে হা’র্ট’অ্যা’টা’ক, আ,মা,শ,য় একসাথে বাঁধাবি।চল ওঠ হাসপাতালে নিয়ে যাই।নাকি এম্বু’লে’ন্স ডাকতে হবে কোনটা?

সোহা এবার দায়ানের দিকে রা’গি লুক নিয়ে তাকায়। চুপ করুন আপনি।ছিঃ মুখের ভাষার কি ছি’রি। আমার ভাই কষ্ট পাইছে।আর উনি আসছে মজা নিতে।বা’জে লোক,,,।

দায়ান সোফায় আ’য়েশ করে বসে বলে,,,ভালো কথার তো দেখছি দা/ম ই নেই আজকাল।

সোহা দায়ানকে মুখ ভেঙায় কিছু বলে না।

ততক্ষণে রুশ ঠিক হয়ে গেছে। উফ এখন ভালো লাগছে।জীবনে আর ঝালের ঝ এর কাছে ও যাবেনা।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।বলেই ওয়াশরুমের দিকে চলে যায় রুশ।

সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে,,নিজের কাজে চলে যায়।

দায়ান সোহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের ফোন নিয়ে বসে।আর মনে মনে হাসে।দুইটাই এক নাম্বারের জো’কা’র।এতোদিন রুশ একা ছিলো।এখন রুশের দলে আরেকটা এসে যু’ক্ত হয়েছে।।

——————————————-

ওমি আজ বাড়িতে সন্ধ্যা হতেই চলে এসেছে।

ওমি বাড়িতে আসতে দেরি,,তার মায়ের নোহার নামে বিচার দেওয়ার ডা’লা নিয়ে বসতে দেরি না।

— বাপরে,,,, আমারে আমার বাপের বাড়ি নিয়া দিয়ে আয়।আমি আর এই বাড়িত থাকুম না।

— ওমি ব্রু কুঁচকে মায়ের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে কি হয়েছে।

— আমারে কালকের মধ্যে নিয়াই দিয়ে আয় আমার বাপের বাড়ি।

— কি হয়েছে বলবাতো আম্মা। এসব কথা কেনো বলতেছো।তোমার বাড়িতে তুমি থাকবেনা কেনো আম্মা।

— কেমনে থাকুম বাপ।তুইতো জানিস ই না কি হইছে।

— না বললে কেমনে যানমু আম্মা? কও কি হইছে।

— তর বউ আমারে আজ বুড়া কইছে।আমারে খাওনের খোঁটা দিছে।আমি নাকি বেশি বেশি খাই।আমার পা’ত থেইকা খাবার তুইলা নিছে।এই বয়সে ই যদি এগুলা করে,,আমি বুড়ো হলেতো উ’ষ’টা মাইরা বাড়ির বাইর কইরা দিবো বাপ।এর থেইকা ভালো আমি আর কিছু সহ্য করার আগেই বি’দেয় হই।অন্তত খাওয়া নিয়ে অপমান আর বয়স নিয়া খোঁটা তো শুনতে হবে না।নিজের বাপের বাড়ি সম্মানের সঙ্গে দুইটা ডাল-ভাত খেতে তো পারবো।

— একেই তো সারাদিন কাজ কর বাসায় এসেছে ওমি।তার উপর মায়ের এসব কথা। সাথে চোখের পানি আছেই।নিজের রাগটা যেনো তরতর করে মাথায় উঠে গেলো ওমির।সারাদিন কাজ করে এসে কেই বা এসব সহ্য করবে বাড়িতে? তাই রাগে হুংকার দিয়ে চিল্লিয়ে নোহা কে ডাকতে শুরু করে।

— নোহা,,,,,,,,, নোহা কই তুই এখোনি আমার সামনে আয়।

— নোহা আলমারিতে ওমির ধোয়ে রাখা কাপড় গুলো রাখতে ছিলো।ওমির এরকম হুংকার দিয়ে ডাক শুনে হকচকিয়ে যায়।হাতের ভা’জ করে রাখা জামটা নিচে পরে যায়। নোহার বুঝতে আর বাকি নেই,, শাশুড়ী মা তার মহান কাজটি ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। আর কিছু পারুক আর না পারুক মিথ্যা কথার ডা’লি সাজিয়ে ছেলের কান ঠিকই ভরতে পারেন।নোহা এবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ওমির ডাকে। নয়তো আরো রে’গে যাবে।

নোহাকে দেখেই ওমি সোজা প্রশ্ন করে,,,

— মা কে কি বলেছিস তুই? তুই নাকি মাকে খাবার নিয়ে খোঁটা দিয়েছিস?

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

— কিরে চুপ করে আছিস কেনো? কথা বল।প্রশ্নের উত্তর দে।

— কি উত্তর দিবো? আপনি কি আমার পুরো কথা শুনবেন? নাকি বিশ্বাস করবেন? কোনোটাই করবেন না।তাহলে কি আমার চুপ করে থাকাই ভালো না?

— তুই আমার মাকে খাবার নিয়ে কথা বলার ও বয়স নিয়ে কথা শুনানোর কে রে?

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

— এই সংসারের ক’র্তৃ মনে করিস নিজেকে।নাকি তুই কা’মাই করে এনে আমাদের খাওয়াস?

— আমি কেনো আপনাদের কাজ করে এনে খাওয়াবো? সারাদিন তো বা’ন্দি দা’সী’র মতো বাড়িতেই খেটে মরি।

— তো তোরে কি সো-পিছে সাজায় রাখার জন্য আনছি নাকি? আমার আম্মা যা কইবো তাই করবি।আমার আম্মা খাওন দিলে খাবি। নয়তো না খেয়েই থাকবি।কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নে ভালো করে।

নোহার শাশুড়ী এইবার মুখে হাসি ফুটিয়ে বিজয়ের হাসি হাসে।

এসব করে আপনি জানেন ওমি আপনি যে আমার কাছে রাস্তার কু/কু/রের থেকেও নিচু হয়ে যাচ্ছেন? সব সময় একপাক্ষিক কথা শুনে কাউকে বিচার করতে নেই।অপর পক্ষকে ও নিজের হয়ে কিছু বলতে দেওয়া উচিৎ। বিশ্বাস করা উচিৎ। নিজের মা বলে যে অ’ন্ধ হয়ে থাকতে হবে এমন টা না।সব সময় মায়েরা সঠিক আর বউ রা ভুল এমন কিন্তু না ওমি।এসব যারা ভাবে তারা কা/পু/রুষ ছাড়া আর কিছুই না।বলেই নোহা উল্টো ঘুরে রুমের দিকে হাঁটা দেয়।

ওমি এখনো র/ক্ত চক্ষু নিয়ে নোহার দিকে তাকিয়ে আছে।

পাশ থেকে ওমির মা বলে উঠে,,,,,,, দেখলি বাপ দেখলি? কেমন তে’জ দেখায়।বোঝ এবার আমারে একলা পাইয়া কি করে। দিন দিন সাহস বাড়তাছে।সময় থাকতে লা’গা’ম টেনে ধর বাপ।

ওমি কিছুই বলল না।মায়ের কথা গুলো কানে ঢুকেছে কি না কে জানে। তার কানেতো এখনো নোহার বলে যাওয়া কথা গুলোই বারি খাচ্ছে।

———————————-
প্রতিটি রাতের সমাপ্তি ঘটে একটি ভোরের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায়।সকালে স্নিগ্ধ পরিবেশ সবাই উপভোগ করতে পারে না।যে ভোরে উঠতে পারে সে ভোরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ,সতেজ হাওয়া উপলব্ধি করতে পারে।খুব সকালে উঠে সকালের স্নিগ্ধ কোমল হাওয়া লাগালে পুরো দিনটাই ভালো যায়।

প্রতিদিনের মতো আজও ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে ওঠে সোহা।আড়মোড়া ভেঙে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় ফ্রেশ হওয়ার জন্য।

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে,, দায়ানের জন্য কফি করতে রান্না ঘরে ঢুকে।কফি করে কফি মগ নিয়ে দায়ানের রুমে গিয়ে টোকা দেয়।কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে রুমের দিকে উঁকি দেয়।দায়ান কে রুমের ভিতর না দেখতে পেয়ে সোহা দরজা ঠেলে রুমের ভিতর ঢুকে যায়।ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ পাচ্ছে। হয়তো ফ্রেশ হচ্ছে। তাই মগটা টেবিলের উপর রেখে বেরিয়ে আসে সোহা।

সোহার বেরোনোর সাথে সাথেই দায়ান ও ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে।টেবিলে কফির মগ দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলো সোহা দিয়ে গেছে।মগ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। দায়ান ও কফির মগটা হাতে নিয়ে বাইরের দিকে হাঁটা দেয়।

সোহা বাগানে এসে ফুল গাছ গুলোর দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকে।সবগুলো গাছ তা’জা হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ফুল ফোটবে।ভাবতেই মনটা পুলকিত হয়ে উঠে। এই বাগান টা থাকায় এখনো সোহা টিকে আছে। নয়তো এই বদ্ধ পরিবেশ থেকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কবেই কেঁদে ভাসাইতো।তারপর পাইপ হাতে নিয়ে একমনে পানি দিতে থাকে আর গান ধরে,,,,,,,,,,,,,,,,

সেই মেঘবালিকার গল্প হোক,
শহর জুড়ে বৃষ্টি হোক।
রোদ্দুর হোক আজ
শুধুই তাহার ডাকনাম।

সোহার গানের গলা অসম্ভব সুন্দর। আগে স্কুল কলেজে,,গানের প্রতিযোগিতায় সবসময় ফাস্ট হতো।গান গাওয়া নিয়ে মায়ের কাছে কতো যে বকা খেয়েছে। সারাদিন গুন গুন করতো।আর মা বলতো এসব অভ্যাস নাকি বিয়ের পরে থাকবে।তাই নিজেকে গান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে।তাও মাঝে মাঝে গুন গুন করে এখনো।

দায়ান ও কফির মগটা নিয়ে বাগানে এসে পরেছিলো সোহার পিছন পিছন।তখনই সোহার গান কানে আসে।কি সুন্দর গায় মেয়েটা,,,,,আর কি কি গুন আছে এই মেয়ের? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দায়ান।

সোহা পানি দেওয়ার মাঝেই লক্ষ করে দায়ান কে।

— আপনি আজ এখানে?

— হুম আসা যাবে না? এখানে আসা কি নি’ষেধ?

— নিষেধ হতে যাবে কেনো? এ সময় তো আসেন না তাই বললাম।

— ১০ টার দিকে বেরোতে হবে।হাতের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে রেডি হও।ডাক্তারের কাছে যাবো।

— বলছি কি,,,না গেলে হয়না? আমিতো এখন সুস্থই।আর এটাতো আমার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার।

— তোমার মতামত জানতে চাইনি আমি।আদেশ করছি।

বলেই দায়ান চলে যায়। সোহা আর কথা বাড়ায় না।

————————-
সকালের নাস্তা করেই দুইজন হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়।

দায়ান ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে।

সোহা ও দায়ানের পাশের সিটে বসে পরে।

— দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,তোমার সিট বেল্ট লাগাও।

— আমি এইটা লাগাতে পারি না।

— ঐদিন না দেখালাম?

— তো? আমি এসব পারি না।আপনি করে দেন ড্রাইভার সাহেব।সোহা ঐইদিন ই সিট বেল্ট লাগানো শিখেছিলো।কিন্তু লাগাবে না।দায়ান কাছাকাছি আসলে সুন্দর একটা মিষ্টি ঘ্রাণ এসে নাকে বারি খায়।সোহার খুব ভালো লাগে।তাই ঠিক করেছে এই কাজটা সারাজীবন দায়ানকে দিয়েই করাবে।

— ড্রাইভার কথাটা শুনেই,,, দায়ান চোখ মুখ কোচকে বলে উঠে । হোয়াট! কি বললে তুমি? আমি ড্রাইভার?

— হুম।যারা গাড়ি চালায় তাদের কি বলে? পাইলট? ড্রাইভার ইতো বলে।

দায়ানের সোহার কথা শুনে ইচ্ছে করতেছে নিজের মাথায় নিজে বারি দিতে।

#চলবে,,,,,

বিঃদ্রঃ জ্ব’র ঠা’ন্ডা একসাথে লাগছে। ভেবেছিলাম দিবো না।কিন্তু আপনাদের অপে’ক্ষা করাতে চাইনি। তাই যতোটুকু মাথায় আসছে লিখছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here