তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ২৫

0
511

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্ব২৫
#Jhorna_Islam

সোহা যার সাথে ধা’ক্কা খেয়েছে তাকে মাত্রই স’রি বলতে নেয়।কিন্তু তার আগেই মেয়েটি তাকে যা নয় তাই বলেই অপ’মা’ন,করতে লাগলো।

কা’না নাকি চোখে দেখতে পাওনা? ইচ্ছে করতেছে ঠা’টি’য়ে চ/ড় লাগিয়ে দেই।জীবনে মনে হয় এরকম শপিং ম’ল দেখোনি।অবশ্য পোশাকের বে’শ ভূ’ষা দেখেই বোঝা যায় কোনো ক্ষে’ত থেকে উঠে আসছে। মেয়েটির কথায় মেয়েটির সাথে দাঁড়ানো বান্ধবী গুলো শব্দ করে হেসে দেয়।

নিশ্চই শুধু দেখে দেখে চোখ জো’ড়া’তে এসেছো? আহারে তোমাদের মতে লো স্টে’ন’ডা’রে’র মেয়েরা আর কি ইবা করবে।

আমার সাথে ইচ্ছে করেই ধা’ক্কা লাগিয়েছো না সি’ম’প্যা’থি পাবার আশায়। আমার মন টা আবার অনেক বড় চলো চলো আমি তোমায় একটা ড্রে’স কিনে দেই। বলেই মেয়েটা তার বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে আবার হাসতে লাগলো।

কিন্তু হঠাৎ করে কারো কথা শুনে সবার হাসি ব’ন্ধ হয়ে যায়।

তাই নাকি,,,,,, মিস হোয়াট এ’ভা’র তা আপনার এতো বড় মন নিয়ে রাস্তা ঘা’টে চলাচল করেন কি করে সমস্যা হয় না আপনার? আহারে আমি আমার জীবনের প্রথম এতো বড় মনের মেয়ে দেখেছি বুঝলেন।

সোহা এখনো নিরবে চোখের পানি ফেলে চলেছে।এতো অপ’মান সহ্য করতে পারতেছে না।কতোগুলা কথা শুনাইলো মেয়েটা ওর তো কোনো দো’ষ ছিলো না।তাও তো স’রি বলতে চেয়েছিলো।কিন্তু তার আগেই মেয়েটা কথার বা’ণ ছু’ড়’তে লাগলো।

দায়ান এতোসময় সোহার সাথে ছিলোনা।ফোন চা’পতে চা’পতে সামনে এগিয়ে গিয়েছিলো।পরে সাথে সোহাকে না দেখে আবার পিছনে বে’ক করে।পরে শুনতে পায় মেয়েগুলো সোহাকে যা’তা বলে অ’প’মা’ন করছে।আর দায়ান তো চুপ করে থাকার লোক নয়।কি করে যো’গ্য জ’বা’ব দিতে হয় খুব ভালো করেই জানে।

মেয়েটি দায়ান কে দেখে এক দৃ’ষ্টি’তে তাকিয়ে আছে। এটাতো দায়ান শেখ। আব্বুর সাথে অনেক বার দেখেছে ব্যবসায়িক মিটিংয়ে। অবশ্য দায়ান তাকে দেখেনি।সে দেখেই পছন্দ করে ফেলেছিলো।তারপর আব্বুর মুখে দায়ানের প্রশংসা শুনে শুনে আস্তে করে ভালোবাসতে শুরু করেছিলো।আব্বুকে বলে দিয়েছিলো,,বিয়ে করলে দায়ানকেই করবে।আব্বু যেনো যে করেই হোক দায়ান কে তার জন্য এনে দেয়।আব্বু তাকে বলেছে এখন একটা কাজ নিয়ে বি’জি।কাজটা শেষ হলেই এ বিষয়ে দায়ানের সাথে কথা বলবে। মেয়েটির ভা’ব’নার ছে’দ ঘ’টে দায়ানের কথায়।

তা ম্যাডাম ও না হয় কা/না দেখতে পায়নি।আপনি কেনো দেখতে পাননি বলুনতো।আপনার চোখে তো দেখার কথা তাহলে ধা’ক্কা খেলেন কিভাবে?আপনার ওকে চ/ড় মা’রতে ইচ্ছে করতেছে রাইট? বিলিভ মি আমার ও ইচ্ছে করতেছে ঠা/টি/য়ে চ/ড় মা’রতে।কিন্তু আফসোস পারলাম না। মেয়ে মানুষের গা’য়ে আমি খুব সহজে হা’ত তুলি না।আবার লিমিট ক্র’স করলে ছাড়িও না।এতোটা ভালো মানুষ আবার আমি নই।

আর কি যেনো বলছিলেন ওর পোশাকের বেশ’ভূ’ষা দেখেই বোঝা যায় কোনো ক্ষে’ত থেকে উঠে এসেছে রাইট? বাট মিস,,,এখানে আসা প্রতিটা মানুষ ই বুঝতে পারছে কে কোথা থেকে এসেছে।কার ক্লা’স কেমন।ও শা’লী’নতা বজায় রেখে পোশাক পরলে যদি লো স্টে’ন ‘ডার ক্ষে’ত হয় তাহলে তাই ভালো।এট’লিস্ট কেউ তো আর ওর শরীরের দিকে লো’লু’প দৃষ্টিতে তাকাবে না।

আর কি কি যেনো বলছিলেন মিস? ওহ মনে পরেছে,,,, দেখে চোখ জো’ড়া’নোর জন্য এসেছে।কেন ওর কি কিনার ক্ষ’ম’তা নেই নাকি? ও দেখে দেখে চোখ জো’ড়া’তে আসবে কেনো?

এই রকম দু- চারটে শপিং ম’ল কেনার সা’ম’র্থ আছে আমার ম্যাডাম। তাই আমার ওয়াইফ কে চোখ দিয়ে দেখে মন জো’ড়াতে আসতে হবে না।চাইলে পুরো ম’ল টাই কিনে নিতে পারে।

উপরটা দেখে কখনো ভিতরটা বি’চার করবেন না। সবাইতো আর আপনার মতো শো-অফ করে বেরায় না।কিছু কিছু মানুষ অসাধারণ হয়েও সাধারণ থাকতে পছন্দ করে।যেমন আমার ওয়াইফ। বলেই দায়ান সোহাকে কাছে নিয়ে আসে একহাতে কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে রাখে।

সোহা ফ্রি’জ’ড হয়ে যায়।দায়ানের দিকে তাকিয়ে রয়।

মেয়েটি দায়ানের বলা আমার ওয়াইফ কথাটা শুনে বড় স’ড়ো একটা ধা’ক্কা খায়।মুহূর্তে এতোদিনে জমিয়ে রাখা আশা গুলো ভে’ঙে চূ’র্ণ বি’চূ’র্ণ হতে থাকে।চোখের কোণে নোনাজল জমতে থাকে।হৃ’দ’য়ে সাজানো সু’প্ত আশা গুলো সব ভা’ঙ’তে থাকে।

দায়ান আবার মেয়েটিকে বলতে শুরু করে,,,,,,এইযে দেখছেন আপনি এতো গুলো কথা বললেন ও কিন্তু একটা শব্দ ও বলেনি আপনাকে।অথচ দোষ কিন্তু ওর ছিলো না।তাও চুপ হয়ে রয়েছে।এটা কিন্তু ওর দূ’র্ব’লতা না এটা ওর পারিবারিক শিক্ষা। আর আপনার ব্যবহারে যে কেউ বলে দিতে পারবে আপনি কেমন শিক্ষাতে মানুষ হয়েছেন।

আর আপনি চাইলে আমার ওয়াইফ আপনাদের সবাইকে শপিং করিয়ে দিতে পারে।আ’নলি’মি’টে’ড অফার আপনার আর আপনার ফ্রে’ন্ড’দের জন্য। যে যা ইচ্ছে হয় কিনবেন বি’ল আমি পে করবো। আমার ওয়াইফ আবার লোকদের দা’ন করতে খুব ভালোবাসে।

দায়ানের কথা তে মেয়েটির বু’কে ছু/ড়ির মতো আ’ঘা’ত করতে লাগে।নিজের প্রিয় মানুষটার মুখ থেকে কেউই এসব ক’টু বাক্য সহ্য করতে পারবেনা।মেয়েটি রা’গে দুঃখে শ’ক্ত করে নিজের জামা হাতের মুঠোয় ধরে রাখে।একেইতো নিজের ভালোবাসার মানুষটা অলরেডি অন্য কারো হয়ে গেছে।তার উপর সেই মানুষটাই তাকে কতো কথা শুনাচ্ছে তার ওয়াইফের জন্য। আবার চোখের সামনে মেয়েটির কো’ম’ড় জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।মেয়েটির ইচ্ছা করতেছে পুরো ম’লে আ/গুন লাগিয়ে দিতে।সবকিছু ধ্বং’স করে দিতে।পাশের বান্ধবী গুলো হয়তো বুঝতে পারছে মেয়েটির মনের অবস্থা। কারণ তারাও দায়ানকে দেখে অবাক হয়ে গেছে।ওদের বান্ধবী দায়ানকে নিয়ে সারাক্ষণ ই কথা বলে।পিক ও দেখিয়েছে দায়ানের।তাই তাদের চিনতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

দায়ান মেয়েটিকে বলে নে’ক্স’ট টাইম কারো সাথে ভালো ব্যাবহার না করেন।খারাপ ব্যাবহার করবেন না।কারো সম্পর্কে কোনো কিছুনা জেনে।বলেই সোহাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

মেয়েটি এক দৃ’ষ্টি’তে দায়ানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। দায়ানের হাতটা এখনো সোহার কো’মড় জড়িয়ে ধরা।
দোস্ত তুই ঠিক আছিস? চল বাড়ি চল।এখানে থাকা লাগবো না।নিজেকে শ’ক্ত কর। নানান ভাবে শা’ন্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে অন্য মেয়ে গুলো। মেয়েটি নিজেকে সামলে নিয়ে বলে আমি ঠিক আছি চল।বলেই ওদের রেখেই মেয়েটি এক প্রকার দৌড়ে বের হয়ে যায় ম’ল থেকে।

দায়ানের দিকে এখনো সোহা তাকিয়ে আছে। এই লোকটা এতো ভালো কেনো? সব সময় সব বি’প’দ থেকে ঠিক র’ক্ষা করে নেয়।আজ মেয়েটিকে কতো গুলো কথা শুনিয়ে দিলো তার জন্য। বাবার প্রতি সোহার ভালেবাসাটা আরো হাজার গু’ণ বেড়ে গেলো।এরকম একটা মানুষ কে নিজের জী’বন স’ঙ্গী করে এনে দেওয়ার জন্য। কি সুন্দর লোকটা তার প্রতিটা অ’প’মানের যো’গ্য জ’বাব দিয়ে এসেছে।

কে বলেছে দায়ান তাকে স্ত্রী হিসাবে মানে না।মুখে হয়তো বলে মানে না।কিন্তু প্রতিটা প’দে প’দে দায়ান উপ’ল’ব্ধি করিয়ে দেয় দায়ানের কথায় ও কাজে যে সোহা তার ওয়াইফ।

দায়ান হয়তো নিজেই জানে না নিজের অজান্তেই সোহাকে কতোটা কাছে টেনে নিয়েছে।কতোটা আপন করে নিয়েছে।আর বেশি দে’রি নেই জামাই জা’ন দেইখেন আপনার আমাকে ভালোবাসতে।আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।আমার মন বলছে আর বেশি দিন আমায় অপেক্ষা করতে হবে না।আপনি আমায় পুরোপুরি মেনে নিবেন,,কাছে টেনে নিবেন৷ ভালোবাসবেন খুব ভালোবাসবেন।সোহা মনে মনে কথা গুলো বলে।

এতো সময় মেয়েটির অ’পমানে চোখ দিয়ে পানি পরেছে।এখন দায়ানের কেয়ার দেখে চোখের পানি চিকচিক করছে সোহার।

সোহার ভাবনার মাঝেই দায়ান বলে উঠে,,,,,,,, ইচ্ছে তো করছে ঠা’টিয়ে তোমার গা’লে চ;ড় লাগাই।

এতোসময় কি কথা বলার মে’শিন অফ হয়ে গিয়েছিলো তোমার? কথা বলতে পারো নি? চুপ করে ছিলে কেনো।

মেয়েটি এতো কিনা বলল একটা কথার ও জ’বাব দাও নি কেনো।চোখের পানি ফেলে তুমি মেয়েটিকে আরো বুঝাতে চেয়েছিলা যে তুমি সত্যিই দূ’র্বল।

যেখানে সেখানে চোখের পানি ফেলবানা বলে দিলাম। আরেক দিন যদি কাঁদতে দেখি তাহলে আমি নিজেও জানিনা কি করবো।

নিজের অ’পমানের জ’বাব নিজে করতে শিখো।সব সময় তোমার হয়ে কথা বলার জন্য অন্য কেউ থাকবে না।

আর অন্য সময় তো কথা বলে মাথা খা’রাপ করে দাও।তখন চুপ ছিলে কেনো? আমার একটা কথাও তো ছা/ড় দেও না। তখন কি হ’য়েছিলো বলোতো।গ’লা মি”উ’ট হয়ে গেছিলো?

সোহা দায়ানের কথায় কোনো কথা বলে না।চুপচাপ থাকে।সত্যি বলতে একটু ঘা/বড়ে গিয়েছিলো হঠাৎ করে।

দায়ান আরো কতক্ষন সোহাকে কথা শুনিয়ে তারপর শান্ত হয়।

তারপর দায়ান তাকে অনেকগুলো ড্রেস কিনে দিয়েছে।ড্রেস এর সাথে ম্যাচিং করে হিজাব,,কসমেটিকস,, জোতা,,,আরো নানান প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়েছে।
শাড়ী গয়না কিনে দিয়েছে। সোহা এতো সব ড্রেস শাড়ী দেখে হা করে তাকিয়ে ছিলো। এই লোকটা এতো গুলো নিতেছে কেন? এগুলো কবে পরে শেষ করবে সে? মনে মনে নিজের কাছেই নিজে জানতে চায়। সামনা সামনি কিছু বলে না।এমনিতেই রে’গে আছে।যদি আরো রে’গে যায় সেই ভ’য়ে।

দায়ানের জন্য ও কয়েকটা ড্রেস ও জোতা কিনে বেরিয়ে আসে ওরা ম’ল থেকে।

———————————————

পরের দিন সকাল সকাল সোহা উঠে নামাজ পড়ে। তারপর রান্না ঘরে গিয়ে দায়ানের জন্য কফি বানায়।

কফি বানিয়ে হাতে কাপটা নিয়ে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। দায়ানের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ছোটো করে দরজায় একটা টো’কা দেয়।ঐপাশ থেকে কোনো সারা শব্দটা আসে না।আবার ও সোহা টোকা দেয়।নাহ কোনো সারা শব্দ নেই।তাই আস্তে করে দরজার ন’ব টা ঘুরিয়ে দরজাটা খুলে ভিতরে ঢু’কে। জানালা লাগানো ও লাইট অফ দেখে রুমটা আবছা অ’ন্ধ’কার হয়ে আছে।

সকাল সকাল তো এমনিতেই শীত শীত ভা’ব থাকে।তার উপর দায়ানের রুমের এসির পাওয়ার অনেক বেশি দেওয়া।সোহার মৃ’দু কা’পু’নী উঠে গেছে। বিছানায় তাকিয়ে দেখে দায়ান এখনো ঘুমুচ্ছে হাত পা কো’করি’য়ে হয়তো শীত লাগছে।

তাই সোহা কফির কাপটা টেবিলে রেখে এসির রিমোটটা খুঁজে এসি অফ করে দেয়। দায়ানের পাশে গিয়ে পায়ের নিচ থেকে চাদরটার ভা’জ মেলে দায়ানের শরীরে দিয়ে দেয়।

দায়ান ও মনে হয় এটার অপেক্ষাতেই ছিলো।চাদরটা শরীরে জড়িয়ে আরো আরাম করে ঘুমিয়ে পরে।সোহা মৃদু হেসে দেয় দায়ানের কাজে।মাথায় একটু হাত বুলিয়ে বেরিয়ে আসে। আর ডাক দেয়না।ঘুমোচ্ছে ঘুমাক।

————————————-
সোহা বাগানে চলে আসে চারিদিকে তাকিয়ে অবাক,,গাছে ফুল ফুটেছে। চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দেয়।ফুল গুলো হাত দিয়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখতে থাকে অনেক সময় নিয়ে।

পরোক্ষনে মনে হয় দায়ান কে খবরটা দিতে হবে। ভেবেই উপরে দৌড় লাগায়।

দায়ান মাত্রই ঘুৃম থেকে উঠে ড্রইং রুমে এসেছে।সোহাও দৌড়ে আসায় দায়ানের সাথে ধা’ক্কা খায়।দায়ান কিছু বোঝে উঠার আগেই নিচে ঠা’স করে পরে যায়।

আহ আমার কো’মড় ভেঙে গেলো।বলেই দায়ান সোহার দিকে রা’গী চোখে তাকায়।

সোহা মে’কি হাসি দিয়ে বলে,,,চিন্তা করবেন না ভেঙে গেলে আমি বিক্রি করে দিবো।শুনবেন আমি কিন্তু ভাঙা জিনিস কেনার জন্য লোকেরা মাইকিং করে না? ঐটা পারি।

” পুরাতন ভাঙা চূ’রা সব বিক্রি করুন ঘর দুয়ার সব পরি’ষ্কা’র করুন।”

পুরাতন ভাঙা চূ’ড়া,টিন ভাঙা,লোহা ভাঙা,বালতি ভাঙা,ডা’ম ভাঙা তা’মা-পি’তল ভাঙা বিক্রি করতে চাইলে চলে আসুন আমাদের মাইকের কাছে।

ওহ থু’ক্কু আমিতো কিনবো না বিক্রি করবো,,তাই আমি বলবো,,,ভাঙা কো’মড় নিতে চাইলে চলে আসুন আমার কাছে।আপনার ভাঙা কো’মড় বিক্রি করে নতুন কো’মড় লাগিয়ে দিবো ওকে???

#চলবে,,,,

বিঃদ্রঃ কেমন হয়েছে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here